মরীচিকার সন্ধানে পর্ব – ৮

মরীচিকার সন্ধানে
পর্ব – ৮

নাজমা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ওর মোবাইলে হোয়াটস্যাপের মেসেজগুলো দেখে যাচ্ছে। মেসেজগুলো বলা ঠিক হবেনা। ঘুরে ফিরে একজনের মেসেজগুলোতেই ওর চোখ আটকে যাচ্ছে। কী করবে ও ঠিক বুঝে উঠতে পারছেনা। ওর কি এই মেসেজের জবাব দেওয়া ঠিক হবে? আর কীই বা জবাব দিবে ও? আবার মেসেজগুলো দেখে এভাবে ফেলে রাখতেও মন ঠিক সায় দিচ্ছেনা। নাজমার ভীষণ অস্থির লাগছে। ও বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লো। আসরের নামাজটা পড়ে ফেলা দরকার। আবার ভীষণ খিদাও লেগেছে। কিছু একটা খেতে হবে। গতকাল একটু ক্যানের সারডিন মাছ পুঁই শাক দিয়ে রান্না করেছিল নাজমা। সেটা অল্প বাকি আছে। এখন শুধু রাইস কুকারে একটু ভাত রান্না করে ফেললেই হবে। এই ভেবে অল্প একটু চাল বাটিতে নিয়ে বাথরুমের সিঙ্কে ধুতে গেলো। নাজমার কাছে একটা ব্যাপার খুব আশ্চর্য লাগে। ফেলে আসা জীবনের ও সবচেয়ে যেই জিনিষটা মিস করে তা হলো ম্যানচেস্টারের ওর শ্বশুরবাড়ির রান্নাঘরের সেই বেসিনটা। যেখানে ও রাত জেগে বাসনকোসন ধুয়ে যেত।

রাতের বেলা বাসনগুলো ধোয়ার সময় অনবরত ওর মোবাইলটা ভাইব্রেট করে যেত। একটার পর একটা মেসেজ আসতেই থাকতো। নাজমা কখনো মোবাইলটা তুলে মেসেজগুলো দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি। কারণ ও জানতো যে উপরের তলায় বেডরুমে শুয়ে শুয়ে ওর স্বামী ফাহাদ এই মেসেজগুলো পাঠাচ্ছে। প্রায় প্রতিরাতের এই একই রুটিন, একই কাহিনী। বিকালের পর ফাহাদ ওর বাবার রেস্টুরেন্টের কাজ তদারকি করে একটু রাত করেই ঘরে ফিরত। কাজ তদারকি আর কী। বাপের রেস্টুরেন্টে বসে থাকা আর কী। তদারকির যা কাজ সব ফাহাদের বাবাই করে। ফাহাদ যে কাজ করতে পারেনা, তা না। কিন্তু ফাহাদ হলো বাবা মায়ের সুবোধ সন্তান। বাবা মায়ের কথার এদিক ওদিক করার ক্ষমতা তার নেই। আর বাবা মাও তাদের বড় পুত্র নিয়ে ভীষণ গর্বিত। ছেলেকে দিয়ে তাদের খুব একটা কাজ করানোর কোনো ইচ্ছা নাই। ছেলে বিকাল হলেই যে বাবার রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে থাকে এতেই গর্বে তাদের বুকের ছাতি ফুলে উঠে। আর ছেলের বউ হিসেবে যে তারা নাজমাকে ভালোবাসতোনা তা কিন্তু না। নাজমার বাবা মা যাতে ভালো থাকে সেদিকে তো তাদের ঠিকই খেয়াল ছিল। আর নাজমাকেও তাদের বউ হিসেবে ভীষণ পছন্দ। কিন্তু তাদের জীবনটা একটা গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ। যেই গন্ডিতে ছেলের বউরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্দি থেকে ঘর সংসারের কাজ করে কাটিয়ে দেয়। তাদের কাছে এটাই স্বাভাবিক, এটাই নিয়ম। তাদের কাছে এর মধ্যেই মঙ্গল, এর মধ্যেই আনন্দ, এর মধ্যেই শান্তি।

রেস্টুরেন্ট থেকে বাড়ি ফিরে ফাহাদ প্রথমেই রান্নাঘরে খেতে চলে আসতো। ফাহাদ স্বল্পাহারী মানুষ, খাওয়া দাওয়ার প্রতি আগ্রহ নাই বললেই চলে। কিন্তু রাতে ফিরে এই রান্নাঘরে সোজা খেতে চলে আসার আগ্রহের কখনো কমতি ছিলোনা। নাজমা জানতো আগ্রহটা কোথায়। নাজমার সান্নিধ্য পাবার জন্যই এত আগ্রহ। ওদের বিয়ের প্রায় চার বছর হয়ে গেলো। এই চার বছরে নাজমার কাছে এই সংসার বড়ই পুরোনো, বড়ই ম্যাড়মেড়ে মনে হতো। অথচ এই চার বছরে ফাহাদের নাজমার প্রতি আকর্ষণের কোনো হেরফের হয়নি। তবে বউয়ের প্রতি এই আকর্ষণই সার। নাজমার মনেহয় এই আকর্ষণ নিয়ে ফাহাদ খুবই লজ্জিত এবং বিব্রত। বউয়ের প্রতি ফাহাদের ভাব ভালোবাসা যাতে বাবা মায়ের সামনে প্রকাশ না পেয়ে যায় সেকারণে ও সদা তটস্ত থাকতো। রাতে রান্নাঘরে খেতে আসলেও সেখানে শাশুড়ি থাকলে কোনো রকমে মুখ বুজে খেয়ে চলে যেত। আর কেউ না থাকলে শুধু নিচুস্বরে নাজমার সাথে একটু আধটু কথা বলতো। ফাহাদের এধরণের ব্যবহার নাজমার কাছে কাপুরুষতা মনে হতো।

এই যে খাবার পর প্রতিরাতে ঘরে গিয়ে ও নাজমাকে মেসেজ করে তাড়াতাড়ি ঘরে আসতে বলতো, এর মধ্যেও ছিল সাবধানতা। ফাহাদ জানতো যে নাজমার মোবাইল ফোন সবসময় সাইলেন্টে থাকে। বাবা মায়ের কিছু টের পাবার কোনো সম্ভাবনা নাই দেখেই মেসেজ পাঠানোর ব্যাপারে ওর এত দুঃসাহসিকতা। নাজমা বেশিরভাগ সময়ই ওর মেসেজ পাত্তা দিতোনা। ধীরে সুস্থে কখনো চোখের পানি ফেলতে ফেলতে, কখনোবা গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে ধোয়াধুয়ির কাজ শেষ করেই তারপর ঘরে ফিরত। ঘরে ফিরে প্রতিদিনের এক দৃশ্য। বিশাল ঘরটার একপাশের সিঙ্গেল বেড আর কটে দুই ছেলে অঘোরে ঘুমাচ্ছে আর তাদের বাবা ঘরের ডবল বেডে চাতক পাখির মতো নাজমার প্রতীক্ষায় বসে আছে। নাজমাকে আদর করার পরই সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে।

এই আদরের ব্যাপারেও ফাহাদের সাবধানতার শেষ নাই। ওদের বাসাটা খুব একটা বড় না। ওর শ্বশুররা সিলেটে রাজপ্রাসাদ বানালে কী হবে, ইংল্যান্ডে মাত্র তিন বেডরুমের সেমি ডিটাচ বাসায় থাকে ওরা। নাজমারা চারজন এক ঘরে থাকে বলে বাসার সবচেয়ে বড় রুমটা ওদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বাকি রুমগুলো ছোটই বলা যায়। এই বাসায় প্রাইভেসি বলে কিছু নাই। সব ঘরের শব্দ সব ঘরে শুনা যায়। নাজমাকে আদর করার সময় শব্দ হবার ব্যাপারেও ফাহাদ সবসময় তটস্ত থাকতো। এত প্রতীক্ষার পর জুৎ করে বৌকে একটু আদরও করে উঠতে পারতোনা ফাহাদ। নাজমার মনে হতো এ কেমন পুরুষ মানুষ? নাজমার ফাহাদকে অসহ্য লাগতো। নাজমার ওর জীবন অসহ্য লাগতো।

ভাগ্য ভালো থাকলে ফাহাদ ঘুমিয়ে গেলে অবশ্য নাজমা একটু নিজের মতো করে সময় পেতো। ভাগ্য ভালো মানে পিচ্চিটা ঘুমিয়ে থাকলে। প্রায় রাতেই নাজমার চোখদুটো ঘুমিয়ে জড়িয়ে আসা মাত্রই ঘুম থেকে উঠে পিচ্চিটা তারস্বরে কান্না জুড়ে দেয়। তবে যেরাতে একটু সময় পেতো, সেই রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুক খুলে বসতো নাজমা। ওর চোখজুড়ে ঘুম থাকলেও ও প্রানপনে চেষ্টা করতো জেগে থাকতে। এই সারাদিনে এইটুকু সময় ওর নিজের জন্য। এসময় ঘুমিয়ে পড়লে হবে?

যদিও ফেসবুকে ওর বন্ধু-বান্ধব বেশি ছিলোনা। বেশিরভাগই আত্মীয়স্বজন। সবার সেজেগুজে দাওয়াতে যাবার ছবি দেখতে নাজমার বিরক্ত লাগতো। ও শুধু একজনেরই পোস্টই দেখতো। সে হলো ওর চাচাতো দেবর তৌফিক। তৌফিক প্রায় ফাহাদের বয়সীই হবে। ফাহাদের মতো বিলেতে বড় হওয়া ছেলে। নাজমার শ্বশুর আর ফাহাদের বাবা – দুই ভাইয়ের পরিবার একই রোডের উপর দুই বাসায় থেকেছে সারাজীবন। একইভাবে ছেলেমেয়েদের বড় করেছে। ফাহাদ আর তৌফিক দুইজনে একই স্কুলে পড়াশুনা করেছে, একসাথে বড় হয়েছে। অথচ দুইজন একেবারে দুই ধরণের মানুষ। তৌফিক বাবা মায়ের পছন্দমতো বিয়ে করতে অসম্মতি জানিয়েছে, বাবার রেস্টুরেন্ট ব্যবসার জন্য কাজ করতে রাজি হয়নি, কী যেন একটা চাকরি করে ও। পরিবারের সবাই তৌফিকের উপর বিরক্ত। এই বংশের ব্ল্যাকশিপ তৌফিক। নাজমার শাশুড়ি অবশ্য এর জন্য তৌফিকের মাকেই দায়ী করে। তার মতে ছেলে মেয়েদের বেশি স্বাধীনতা দিয়ে বড় করার ফল তো ভোগ করতেই হবে। তবে সবাই তৌফিকের উপর বিরক্ত হলে কী হবে, এই একটা মানুষকেই নাজমার ভীষণ ভালো লাগে। এই মানুষটা এই পরিবারে সবার থেকে ভিন্ন, সবার থেকে বেপরোয়া, সবার থেকে সাহসী।

হঠাৎ করেই তৌফিক মুসলিম উম্মাহ নিয়ে বিশেষ চিন্তিত হয়ে উঠেছিল। মুসলিম উম্মাহর প্রতি অন্যায় অবিচারের প্রতি রুখে দাঁড়ানো, ওদের উপকার করা নিয়ে সদা ব্যস্ত থাকতো। তৌফিকের ফেসবুক জুড়ে থাকতো শুধু প্যালেস্টাইন আর সিরিয়ার খবরের পোস্ট। কত পরিবার ঘর বাড়ি ছাড়া, কত অসহায় শিশু রাস্তায় পড়ে আছে, কত শিশু প্রতিদিন এতিম হচ্ছে, কী ভীষণ অন্যায় অবিচার পৃথিবী জুড়ে – এইসব নিয়ে সব পোস্ট। কিন্তু তৌফিকের পোস্টগুলো সব ইংরেজিতে, তাই বেশি কিছু নাজমা বুঝতে পারতোনা। আর সত্যি কথা বলতে কী, এসবে ও খুব একটা বিচলিতও হতোনা। নাজমার মনেহত যে ওর নিজের জীবনের থেকে সেই যুদ্ধ বিধস্ত দেশের রাস্তার মানুষগুলোর জীবন অনেক বেশি ইন্টারেষ্টিং। অন্তত ওদের তো বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতে হয়। নাজমার জীবনে তো সেই লড়াইটুকুও নাই। এই বন্ধ ঘরের মধ্যে রাঁধো, বারো, খাও, বাচ্চা পালো, শশুড়বাড়ির গুষ্টির খেদমত করো। ব্যস এই ওর জীবন। এই জীবনেই ওকে পচে মরতে হবে।

তারপরও নাজমা মন দিয়ে পোস্টগুলো দেখে যেত। পোস্টগুলোর মানুষের দুঃখ-কষ্ট, যুদ্ধ-বিগ্রহ ওকে নাড়া দিতোনা। ওর ভালোলাগতো এই মনে করে যে এগুলো তৌফিকের পোস্ট। এই অজানা দেশের অচেনা মানুষগুলোর জন্য তৌফিকের কী ভীষণ মায়া। ওদের জন্য কত কিছু করে। আজকে ফান্ড রেইজ করছে তো কালকে ছুটোছুটি করে সেই টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করছে তো পরশু সারাদিন মসজিদে পড়ে সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করছে।

ওর এই ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর স্বভাব অবশ্য পরিবারের সবার চোখের বিষ ছিল। কিন্তু ও কারো তোয়াক্কা করতোনা। ছেলেটা ছিল নিজের আদর্শে অটল। নাজমার ভাবতেই অবাক লাগতো যে এই ছেলেটাও ফাহাদের মতো ইংল্যান্ডে বড় হওয়া ছেলে। কিন্তু কোথায় ফাহাদ আর কোথায় তৈফিক। দুইজনের ব্যক্তিত্বের কী বিশাল ফারাক।

নাজমা একে একে তৌফিকের সব পোস্টগুলোতে লাইক, লাভ, কেয়ার দিয়ে যেত। কখনো কখনো সাহস করে হার্ট ইমোজিও কমেন্টে পোস্ট করে দিতো। তারপর শুরু হতো প্রতীক্ষা। কখন তৌফিক সেই কমেন্ট দেখবে, একটা লাইক দিবে। তবে কখনোই নাজমাকে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ইমোজির কমেন্টগুলোতে পাল্টা লাভ ইমোজির রিএকশন পেয়ে যেত নাজমা। এইটুকুতেই ওর মনটা ভালো হয়ে যেত। একুটুই ওর নিরানন্দ জীবনে আনন্দ উত্তেজনার সঞ্চার ঘটাতো। এর বেশি তো কখনো কিছু চায়নি নাজমা। একটু আনন্দ, একটু উত্তেজনা, একটু ভালোবাসা আর সেটা ফেসবুকের “লাভ-হার্ট” ইমোজির মতো তুচ্ছ ভালোবাসাই হোক না কেন, ভালোবাসা তো। এইটুকু চাওয়া কি ওর অন্যায় ছিল?

তবে ন্যায় অন্যায়ের বিচার নাজমা আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিয়েছে। যা হবার হয়েছে। ও ভেবে চিন্তে আল্লাহর পথে বের হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ওকে সাহায্য করবে। সবার কাছে ও এখন কলঙ্কিনী, একজন নিকৃষ্ট মা । কিন্তু ও যা ভালো, যা সঠিক তাই করেছে। সঠিক কাজে তো বাধা থাকবেই, কলঙ্ক থাকবেই, কষ্ট থাকবেই। তা না হলে তো ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব না। নাজমাকে ওর রাস্তায় অটল থাকতেই হবে। যেভাবেই হোক।

নাজমা যতই নিজেকে বুঝ দেওয়ায় চেষ্টা করে ততই ও বুঝতে পারে যে ভিতরে ভিতরে ওর বিশ্বাসের ভিতটা একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচ্ছে। ওর মনে হচ্ছে ও তো সব উজাড় করে দ্বীনের পথে বের হয়েছিলো। কিন্তু দ্বীনের পথে যেতে পারলো আর কোথায়? ম্যানচেস্টার থেকে ইস্ট লন্ডনে এসে এই একটা ধরধরে রুমে আটকে আছে। অথচ বাকি মেয়েগুলো ঠিকই ইংল্যান্ড, জার্মানি আর সুইডেন থেকে জায়গামতো পৌঁছে গেছে। নাজমার আজকাল সন্দেহ হচ্ছে যে এখানেও পক্ষপাতিত্ব, এখানেও অন্যায় অবিচার। আল্লাহর পথে যেতেও বাছ-বিচার করা হচ্ছে। যতই এসব নাজমা চিন্তা করতে চায়না ততই এসব চিন্তা ওর মাথায় চেপে বসছে। বাকি মেয়েগুলোর মধ্যে শুধু নাজমারই বাংলাদেশি পাসপোর্ট। ফাহাদ আলসেমি করে ওর ব্রিটিশ পাসপোর্ট করেনি। বাকিদের সবার ইউরোপিয়ান পাসপোর্ট। তাই বাকিদের সবার ডাক পড়েছে নাজমার আগে। ইউরোপিয়ান মেয়েদের নিতে পারলে বিশ্বের কাছে ওদের নাম ডাক বাড়বে। নাজমাকে নিয়ে ওদের লাভ কী?

নাজমা এত কিছু চিন্তা করতে চায়না, বুঝতে চায়না কিন্তু ও যে ভীষণ বুদ্ধিমতী মেয়ে। কেমন করে জানি ও এসব বুঝে যাচ্ছে। আর তৌফিক? ও কি নাজমাকে চায়না? আর কেউ না চাক, ও নাজমাকে ছাড়া কিভাবে আছে? তাহলে কি এতদিনের প্রেম, ভালোবাসা, উন্মক্ততা সবই মিথ্যা ছিল? সারাটাদিন এসব চিন্তা করে করে নাজমার মাথাটা একেবারে খারাপ হবার জোগাড়। তার উপর মায়মুনা ভীষণ যন্ত্রনা করছে। মেসেজ করে করে ওর জীবনটা ঝালাপালা করে দিচ্ছে। নাজমা ঠিক করেছে যে পাত্তা দিবেনা মায়মুনাকে। এইটুকুতেই এভাবে ভেঙে পড়লে কেমন করে হবে? নাজমার মনে হচ্ছে নাম ডাক বাড়ানোর লোভে ওরা ভুল মানুষদের নিয়ে যাচ্ছে। নাজমা ওখানে গেলে কি মায়মুনার মতো এত সহজে ভেঙে পড়তো ও? কখনোই না। ও ঠিকই ওর বিশ্বাসে অটল থাকতো।

(চলবে)
©আমিনা তাবাস্সুম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here