#_লাল_নীল_সংসার_
#_মারিয়া_রশিদ_
#_পর্ব_২২_
চারিদিকে পুষ্পসজ্জিত পরিবেশের মাঝে বসে আছে ছোয়া। আজ তার আর শিশিরের বিয়ে হয়ে গেছে। কিছু সময় আগে সাঝ আর কোয়েল তাকে শিশিরের রুমে বসিয়ে দিয়ে গেছে। ছোয়ার মাথায় হালকা ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। এখানে চলে আসার সময় অনেক কান্নার করার ফলে হয়তো এমন হচ্ছে।
ছোয়ার আবার মন টাহ আস্তে আস্তে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মুখটাহ হাটু ভাজ করে তার উপর রেখে বসে আছে। মা-ভাইকে ছেড়ে চলে এসেছে সে। এখন থেকে এই বাড়ির মানুষগুলোয় নাকি তার সব,, মা- ভাইকে আর যখন খুশি তখন দেখতে পারবে নাহ।
এখনও ভারি সাজ নিয়ে বসে আছে ছোয়া। তার গায়ে ভারি লাল বেনারসি,, ভারি সাজ,, চুল খোপা করে ফুল লাগানো,, গোল্ড প্লেটের ভারি ভারি গহনা পরা,, খুব অসোয়াস্তি লাগছে ছোয়ার। কিন্তু,, সবাই বলে গেছে,, শিশির আসার পর চেঞ্জ করতে। লজ্জাও পেয়েছে ছোয়া।
আজ থেকে শিশির তার স্বামী,, ভাবতেই ছোয়ার এক অন্যরকম ভালো লাগছে। শিশিরকে যে সে ভালোবাসে,, এইটা সে কখনোই অস্বীকার করতে পারবে নাহ। চোখ ঘুরিয়ে পুরো রুমে আর একবার চোখ বুলিয়ে নেয় ছোয়া। শিশিরের রুমে ফার্নিচারের মধ্যে আছে,, একটা বিছানা,, বিছানার পাশে একটা ছোট্ট টেবিল,, আর একপাশে একটা ড্রেসিংটেবিল,, একপাশে একটা মাঝারি সাইজের ওয়াড্রোব,, তার পাশে একটা আলামরি। আলমারি আর ড্রেসিংটেবিল টাহ নতুন মনে হচ্ছে। হয়তো নতুন কেনা হয়েছে।
এমন সময় দরজায় আওয়াজ হতেই ছোয়া আর একটু গুটিসুটি হয়ে বসে। শিশির দরজায় ছিটকিনি দিয়ে বিছানার দিকে তাকাতেই শান্তি অনুভব করে। বিছানার উপর ছোয়া বসে আছে,, লাল বেনারসি গায়ে জড়িয়ে,, বেশ বড় ঘোমটা দেওয়া। শিশিরের ঠোঁটে হালকা হাসি ফুটে উঠে। শিশির এগিয়ে আসে ছোয়ার দিকে।
এইদিক দিয়ে শিশির যতো ছোয়ার দিকে এগিয়ে আসছে,, ছোয়ার বুকের ভেতরে কেমন যেন ধুকধুক করছে। হালকা কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে শরীরে। শিশির এসে ছোয়ার পাশে বসতেই ছোয়া হালকা কেঁপে উঠে। শিশির ছোয়ার পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে,, ধবধবে সাদা পা গোলাপের পাপড়ির উপর যেন সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে আছে।
শিশির আস্তে করে ছোয়ার ঘোমটা সরিয়ে দিয়ে ছোয়ার মুখের দিকে তাকায়। ছোয়া লজ্জায় চোখ বন্ধ করে ফেলে। প্রচন্ড লজ্জা লাগছে তার। শিশির ছোয়ার এই বন্ধ চোখের সৌন্দর্যে আবার প্রেমে পড়ে যায়। মেয়েটার একেক সময় একেক রকম রুপের অধিকারী হয়ে উঠে। বধু সাজে কি অপরুপই নাহ লাগছে মেয়েটাহকে। শিশির আর একটু এগিয়ে এসে ছোয়ার কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়। হালকা কেপে উঠে ছোয়া। এ কেমন অনুভুতি তার,, শিশিরের স্পর্শে যেন তার শরীরে অজানা কম্পনের সৃষ্টি হয়। ছোয়া উপভোগ করে সেই কম্পন।
শিশির একটু সরে আসতেই ছোয়া আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকায়। শিশির ছোয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের চোখের তৃপ্তি মেটাতে থাকে। মেয়েটাহ এতো স্নিগ্ধ যে,, শিশির বুঝে উঠতে পারে নাহ,, এই রুপের বর্ননা সে কিভাবে করবে। এই মেয়েটাহ আজ থেকে তার বউ,, তার সহধর্মিণী,, ভাবতেই শিশির এক শান্তি অনুভব করছে। শিশির কখনো ভাবেই নি,, এইভাবে তার জীবনে কেউ এসে হঠাৎ করেই জড়িয়ে যাবে। ছোয়া শিশিরের থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। শিশির ছোয়ার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” ছোয়া!”
ছোয়া মাথা তুলে বলে ওঠে,
–” হুম!”
–” যাও,, শাড়ি খুলে ফ্রেশ হয়ে নাও। এই ভারি সাজ খুলে ফেলো। আর ওযু করে এসো,, নামাজ পড়বো।”
ছোয়া সম্মতিসূচক মাথা নাড়িয়ে বিছানা থেকে নেমে আসে। লাগেজ থেকে একটা সুতি শাড়ি নিয়ে বাথরুমে চলে যায়। শিশির উপরের সেরোয়ানি টাহ খুলে পাশে থাকা একটা চেয়ারের উপর ছড়িয়ে রাখে। তারপর পুরো রুমে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়। ফুল, মোমবাতি দিয়ে খুব সুন্দর করেই সাজানো হয়েছে তার রুম। হালকা হাসে শিশির।
বাথরুমের দরজায় আওয়াজ হতেই সেইদিকে তাকায় শিশির। আর শিশিরের চোখ যেন সেইদিকেই স্থির হয়ে যায়। ছোয়া গোসল করে এসেছে,, সুতি শাড়ির সাথে ভেজা চুল গুলো গামছায় পেচিয়ে এসেছে। এক অন্যরকম সুন্দর লাগছে স্নেহাকে। শিশির মুচকি হাসে ছোয়াকে দেখে। ছোয়াও প্রত্তুরে একটা হাসি দেয়।
শিশিরও ফ্রেশ হয়ে আসলে দুইজনে একসাথে এশার নামাজ সহ দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে। জায়নামাজের উপর বসেই শিশির ছোয়ার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে বলে ওঠে,
–” মাশআল্লাহ!”
ছোয়া মুচকি হাসি দেয়। ছোয়া উঠে জায়নামাজ গুছিয়ে রাখতেই শিশির পেছন থেকে ছোয়াকে জড়িয়ে ধরে। কেঁপে উঠে ছোয়া। শিশির ছোয়াকে সামনে ঘুরিয়ে নিয়ে বলে ওঠে,
–” অনেক ভালোবাসি তোমাকে ছোয়া! আরও বেশি ভালোবাসতে চাই। দেবে আমাকে সেই অধিকার?”
ছোয়া লজ্জায় কিছু বলতে পারছে নাহ। চোখ বন্ধ করে ফেলে ছোয়া। শিশির ছোয়ার দিকে নিজের মুখ এগিয়ে নেয়। মিলিত হয় ছোয়া আর শিশিরের ওষ্ঠদ্বয়।!!!!
★
কয়েকমাস পর…………
আজ আদনানের অনার্সের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। আদনানের রেজাল্ট অনেক ভালো হয়েছে। আদনান 1st ডিভিশন পেয়েছে। আদনান খুব খুশি। স্নেহার রেজাল্টও ভালো হয়েছে। আদনান বাসায় এসে কলিং বেল চাপতেই ছোয়া দরজা খুলে দেয়। ছোয়া আদনানকে দেখেই বলে ওঠে,
–” আদনান! ভাই! রেজাল্ট কেমন হয়েছে?”
আদনান আনন্দিত হয়ে রেজাল্ট শিট টাহ ছোয়ার দিকে এগিয়ে দেয়। ছোয়া রেজাল্ট দেখে খুব খুশি হয়। আনন্দিত কন্ঠে বলে ওঠে,
–” আদনান! তুমি এতো ভালো রেজাল্ট করেছো? তোমার ভাইয়া জানলে খুব খুশি হবে।”
এমন সময় আহিয়া রহমান এগিয়ে আসতেই ছোয়া খুশির সংবাদ টাহ দেয়। আহিয়া রহমান আদনানের কপালে একটা চুমু দেয়। সাঝ এখনও মেডিকেল কলেজ থেকে ফিরে নি। ছোয়া শিশিরকে ফোন করে আদনানের রেজাল্ট বলেছে। শিশির খুব খুশি হয়েছে।
এইদিকে……
স্নেহা নিজের রুমে বসে আছে। রেজাল্ট ভালো হওয়ার সব আনন্দ যেন তার শেষ হয়ে গেছে। কারন,, সবাই তার রেজাল্ট শুনে খুশি হলেও,, বলেছে আজ নাকি ইয়াশের বাবা- মা আসবে তাকে দেখতে। এই একটা খবর স্নেহার সব আনন্দই শেষ করে দিয়েছে।
এতোদিনে তার খেয়ালই ছিলো নাহ এই ব্যপার টাহ। এখন তো আর নাও করতে পারবে নাহ সে। কিন্তু,, স্নেহা যে কিছুতেই ইয়াশকে বিয়ে করতে পারবে নাহ। কারন,, তার অনুভুতি যে অন্য কথা বলে। আচ্ছা! একবার কি বাসার সবাইকে আদনানের কথা বলবে? হ্যা! স্নেহা খুব ভালো ভাবেই বুঝে গেছে,, আদনানের প্রতি তার অনুভুতির কারন,, নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছে আদনানকে।
কিন্তু,, স্নেহা যে তার পরিবারকেও অসম্ভব ভালোবাসে। সে কিছুতেই তার পরিবারকে কষ্ট দিতে পারবে নাহ। নাহ! সবাই তো রাজি হতেই পারে। আর ইয়াশের বাবা- মা আজ শুধু দেখতে আসতেছে তাকে,, বিয়ে তো আর হচ্ছে নাহ। ওরা আজ দেখে যাওয়ার পরই সময় বুঝে সব বলে দিবে।
সন্ধ্যায় ইয়াশের বাবা- মা সহ ইয়াশ এসেছে। সাইফ আর মি. আশাউল ( স্নেহার বাবা ) ইয়াশের বাবা- মায়ের সাথে কথা বলছে। মিসেস. আখি স্নেহাকে নিয়ে আসে। স্নেহাকে সাইফ নিজের পাশে বসিয়ে ওনাদের সাথে কথা বলতে থাকে। এমন সময় ইয়াশের মা বলে ওঠে,
–” তা,, স্নেহা মামনি! তোমার তো এই বিয়েতে আশা করি কোনো সমস্যা নেই?”
স্নেহা কি বলবে বুঝতে পারছে নাহ। কিভাবে বোঝাবে সে,, এই বিয়ে যে সে করতে চায় নাহ? সে যে নিজের মন অন্য একজনকে দিয়ে বসে আছে। প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে স্নেহার। সব কিছু অসহ্য লাগছে তার। সাইফ হালকা হেসে বলে ওঠে,
–” নাহ! আন্টি আমার বোনের কোনো সমস্যা নেই। আমার বোন কে আমি ছোট বেলা থেকে খুব যত্ন করে বড় করেছি। ফুলের টোকাও লাগতে দেয় নি। আর আমি বিশ্বাস করি,, আমার বোন কখনো এইসব বাজে সম্পর্কে নিজেকে জড়াবে নাহ। আর তাছাড়া ওর মনে যদি কারোর প্রতি অনুভুতি থাকতো,, তাহলে আমি বুঝতে পারতাম। কিন্তু,, আমার বোন এতো টায় ভালো,, ও ওর পরিবারের বাইরে কিছু করবে নাহ।”
মি. আশাউলও মুচকি হেসে বলে ওঠে,
–” ঠিক বলেছিস,, সাইফ! আমার মেয়ে তো আনোখি! মাশাআল্লাহ! আমার মেয়ে কে নিয়ে আমার গর্ব হয়। আমি ওকে নিজের পছন্দ মতো ছেলের হাতে তুলে দিয়ে,, আরও গর্বিত হতে চাই। আর ইয়াশ তো ওর বন্ধু,, ইয়াশের থেকে ভালো ছেলে হতেই পারে নাহ। আমি আমার মেয়ের সুখ চাই। আর ইয়াশই পারবে আমার মেয়েকে সুখি করতে।”
মিসেস. আখিও হেসে বলে ওঠে,
–” আপা! এইগুলো নিয়ে আপনি একদমই ভাববেন নাহ। স্নেহার বাবা,, আপনাদের কথা দিয়েছে,, যে স্নেহার সাথে ইয়াশের বিয়ে হবে। আর,, আমার স্নেহা তার বাপিকে খুব ভালোবাসে। সে কখনোই,, তার বাপির সম্মান নষ্ট হবে এমন কোনো কাজ করবে নাহ। স্নেহার কোনো সমস্যা নেই ইয়াশকে বিয়ে করতে। আপনি একদম নিশ্চিন্ত থাকেন।”
নিজের বাবা-মা- ভাইয়ের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে আছো স্নেহা। আর কি বলবে তাদের? কি বলতে পারে স্নেহা? ওরা এতো টাহ আশা নিয়ে বসে আছে,, সেখানে স্নেহা কি করে তাদের এতো আশা শেষ করে দিবে? পারবে নাহ স্নেহা,, কিছুতেই পারবে নাহ। স্নেহার প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে।
স্নেহা অবাকও হয়ে যাচ্ছে তার পরিবারের মানুষের কথা শুনে। তারা কেউ একবার তার মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে নাহ। উল্টো অনেক আশা নিয়ে বসে আছে। আদনানের কথা বলার সব রাস্তায় বন্ধ করে দিয়েছে। একদিকে পরিবার আর একদিকে নিজের ভালোবাসা। এ কোন পরিস্থিতিতে পড়লো স্নেহা?
★
আদনান স্নেহা কে অনেক সময় ধরে ফোন দিচ্ছে। কিন্তু,, স্নেহা ফোন তুলছে নাহ। এই মেয়েটাহ যে কি করে নাহ। স্নেহা ফোন নাহ তুললে,, আদনানের খুব চিন্তা হয়। কিন্তু,, সেইটাকি আর তার বার্বিডল বুঝে? ফোন টাহ পাশে রেখে দেয় আদনান।
একটু আগে শিশির মিষ্টি কিনে নিয়ে এসেছিলো। পরিবারের সবাই খুব খুশি তার রেজাল্টে। সাঝ নিজের ব্যাগ থেকে একটা চকলেট বের করে দিয়েছিলো। ছোয়া আর আহিয়া রহমান মিলে বিরিয়ানি রান্না করেছিলো,, সবাই মজা করে খেয়েছে। সত্যি,, পরিবারের মানুষগুলো কে খুশি করার মতো শান্তি আর কিছুতেই নেই। এমন সময় ফোন বেজে উঠতেই ভাবনা কেটে যায় আদনানের। ফোন হাতে নিয়ে দেখে স্নেহার কল এসেছে। আদনান মুচকি হেসে কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে স্নেহা বলে ওঠে,
–” আদনান!”
স্নেহার ভয়েস শুনতেই আদনানের বুকটাহ ধুক করে উঠে। মেয়েটার গলা কেমন ভেঙে আছে। তাহলে কি স্নেহা কান্না করছিলো? কিন্তু,, আজ তো তার কান্না করার কথা নাহ। উল্টো হাসি খুশি থাকার কথা। তাহলে,, কি হয়েছে তার বার্বিডলের? আদনান বলে ওঠে,
–” স্নেহা! কি হয়েছে তোর?”
–” কিছু হয় নি।”
–” তাহলে তুই কান্না কেন করেছিস?”
স্নেহা চমকে উঠে আদনানের কথায়। ছেলেটাহ তাকে সব সময় এতো বুঝে,, যে স্নেহা আরও মায়াই আটকে যায় তার। স্নেহা নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলে ওঠে,
–” নাহ! কান্না করি নি। গলাটা একটু বসে গেছে।”
আদনান একটু রাগী কন্ঠে বলে ওঠে,
–” তুই কি যে করিস নাহ। নিশ্চয় এক সাথে বেশি আইসক্রিম খেয়েছিস?”
–” হুম!”
আদনান রাগী কন্ঠে বলে ওঠে,
–” তোকে নিয়ে যে কি করবো,, আমি সেইটাই বুঝে উঠতে পারি নাহ।”
হালকা হাসে স্নেহা। আদনানের কেয়ার,, কথা সব যেন স্নেহা কে অন্য এক প্রশান্তি এনে দেয়। এক রাশ ভালো লাগার সৃষ্টি করে। কিন্তু এই সব কিছু যে সে হারিয়ে ফেলার পথে। আবার কান্না পাচ্ছে স্নেহার। কিন্তু,, আদনান যে ফোনের ওপাশে। স্নেহা নিজেকে সামলিয়ে বলে ওঠে,
–” আদনান আগামীকাল একটু দেখা করতে পারবি?”
–” এইটাই আবার জিজ্ঞেস করার কি আছে? কোথায় আসবো?”
–” ট্রিপল পার্ক!”
–” আচ্ছা! ঠিক আছে। কখন আসবো?”
–” পাঁচ টায়!”
–” আচ্ছা! ঠিক আছে!”
–” আচ্ছা! এখন রাখি। ঘুম পাচ্ছে,, ঘুমাবো।”
–” ঠিক আছে ঘুমা। আল্লাহ হাফিজ!”
–” আল্লাহ হাফিজ!”
ফোন কেটে দেয় স্নেহা। তারপর আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ায়। নিজেকে নিজের কাছেই কেমন যেন বিদ্ধস্ত লাগছে তার। নিজের পরিবারকেই বেছে নিয়েছে সে। আদনানকে কোনোদিনও তার অনুভুতির কথা জানতে দেবে নাহ। বান্ধবী হয়েই সরে যাবে তার জীবন থেকে,, একটা সুন্দর বিদায় নিয়ে চলে যাবে বহুদুরে।
#_চলবে……………🌹
{{ হ্যাপি রিডিং!!🌹
দয়া করে আবার কেউ স্নেহা আর আদনানকে মিলিয়ে দিতে বইলেন নাহ🥹 }}