অবশেষে ভালোবাসি❤ writer :রোদেলা❤ part:1

গল্পের নাম: অবশেষে ভালোবাসি❤
writer :রোদেলা❤
part:1
: ঠাসসসসসসসস্
সাদিয়াঃ এটা নিয়ে কয়বার হলো?
রিয়াদঃ দশবার( গালে হাত দিয়ে)
সাদিয়াঃ দশটা চড় খেয়েও তোমার মাথা থেকে ভূতটা কেন নামছে না,,, বুঝতে পারছি না।
রিয়াদঃ এটা ভূত নয় ভালোবাসা,,,,ভূত হলে তো তোমাকে দেখেই দৌড়ে পালাতো।( মাথা নিচু করে)
সাদিয়াঃ what did you mean??
রিয়াদঃ কিছু না।
সাদিয়াঃদেখো রিয়াদ,,,আমি তোমাকে বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত।এই নিয়ে দশটা চড় খায়ছো আর যদি না খায়তে চাও তাহলে দয়া করে আমার সামনে এইসব কথা বলতে আসবে না।
রিয়াদঃ তুমি ক্লান্ত হয়ে মেনে নিলেই তো হয়।
সাদিয়াঃ এই তুই বাংলা কথা বুঝিস না??আর কতো বার বলবো??No means no…তুই যদি চাস আমাদের ফ্রেন্ডশিপটা থাকুক তো এই ভালোবাসা নামক আবেগটা ভুলে যা।।( রেগে একটু উচু গলায়)
রিয়াদঃ ( চুপ,,,,,)
সাদিয়াঃ দেখো রিয়াদ,,,,তুমি আামার ছোট বেলার ফ্রেন্ড।আমাদের ফ্যামিলিও অনেক ক্লোজ।তাই আমি চাচ্ছি না আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা নষ্ট হোক। এখন decision is yours… তুমি যদি এসব ফালতু বিষয় নিয়েই পড়ে থাকো তাহলে আমি তোমার সাথে কথা বলা পর্যন্ত বন্ধ করে দিবো।।এখন তুমি ঠিক করো,,,, তুমি কি চাও?
রিয়াদঃ (কিছু না বলে চলে গেলো)
রিয়াদ আর সাদিয়া ছোট বেলার বন্ধু।। দুই পরিবারের মধ্যেও বেশ আত্মীয় আত্মীয় ভাব।।রিয়াদ আর সাদিয়ার বাবা একই অফিসে চাকরী করতো।পাশাপাশি কোয়াটার হওয়ার সুবাদেই এই বন্ধুত্ব।যা এখনো টিকে আছে কিন্তু রিয়াদের কর্মকান্ডে তা যেন এখন গাছে পাকা আম,,,যেকোনো সময় খসে পড়তে পারে।।ছোট বেলা থেকেই সাদিয়ার প্রতি রিয়াদের ফিলিংস ছিলো,,,,বড় হওয়ার সাথে সাথে তা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েই চলেছে।।।এই পর্যন্ত রিয়াদ সাদিয়াকে নয়বার প্রপোজ করেছে আর প্রতিবারই উপহার হিসেবে গালে একটি নিঃখুত হাতের ছাপ নিয়ে বাসায় ফিরেছে।আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।গালে দশ নাম্বার ছাপটা বসিয়ে বাড়ির পথে হাঁটছে রিয়াদ।গালের ছাপটার জন্য তার মোটেও কষ্ট হচ্ছে না।কারণ সাদিয়ার চড় খাওয়াটা এখন ওর প্যাশনে পরিণত হয়েছে।।কিন্তু সাদিয়ার বলা কথাগুলো ভেবে ওর খুবই খারাপ লাগছে।।।বুকে একটা চিন চিনে ব্যাথা হচ্ছে।রিয়াদ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে সাদিয়াকে আর এসব বলে বিরক্ত করবে না। সাদিয়ার বন্ধু হয়ে থাকাটাই তার জন্য অনেক। কি দরকার শেষ অধিকারটুকুও নষ্ট করার। সব লাভ স্টোরির হ্যাপি এন্ডিং থাকা উচিত নয়। কিছু লাভস্টোরি ওর লাভ স্টোরির মতো ডিফারেন্টও হতে পারে।তাতে কোনো দোষ নেই।এসব ভাবতে ভাবতেই বাসায় পৌছালো রিয়াদ।বাসায় গিয়ে অনেক সময় নিয়ে শাওয়ার নিলো আর সাদিয়ার কথাগুলো ভাবলো।।শাওয়ার শেষে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লো।।।।
সময় থেমে থাকে না।।সবাই তার কর্মময়জীবনের ব্যস্ত পথিক।আজ তিনবছর হয়ে গেছে রিয়াদ সাদিয়াকে এই নিয়ে আর কিছু বলে নি।।সাদিয়া সব ভুলেই গেছে।।মাঝে মাঝে মনে পড়লেও রিয়াদের পাগলামো ভেবে হেসে উড়িয়ে দেয়। আর রিয়াদ? রিয়াদও মানিয়ে নিয়েছে সব কিছুর সাথে।মনের একটি কোণে সাজিয়ে রখেছে সাদিয়াকে খুবই গোপনে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষে পড়ছে তারা।।ডিপার্টমেন্ট আলাদা হলেও আড্ডা আনন্দে মেতে থাকে সবসময়।এবার গল্পে ফেরা যাক।।।।
সাদিয়াঃ এতক্ষন লাগে? ১ ঘন্টা যাবত ওয়েট করছি।(রেগে)
রিয়াদঃ সরি।আসলে,,,,,
সাদিয়াঃ হয়ছে,,,প্লিজ আর লেম এক্সকিউজ না দিয়ে চলো। এমনিতেই লেট হয়ে গেছে।(একরাশ বিরক্তি নিয়ে)
রিয়াদঃ হুম,,, চলো।।
সাদিয়াঃ তো,, পরশো আমাদের বাসায় যাচ্ছো তো??
রিয়াদঃ কেন? পরশো তোমাদের বাসায় যেতে হবে কেন??
সাদিয়াঃ কেন মানে?(অবাক হয়ে) বিয়েতে যাবে না??
# চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here