#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত
পর্ব ১২
ছোটফুফি জবাব না দিয়ে ফোন চার্জে লাগাতে চলে গেলেন। এরপর এসে বললেন, “হুম প্রথমত তোরই দোষ।”
ছোটফুফি অকারণে কথা বলেন না। তাই আমি স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞেস করলাম,
“কিভাবে আমার দোষ?”
“প্রথমত, তুই কাউকে না বলে ও-বাড়িতে গিয়েছিস, যে বাড়িটা আমাদের জন্য নিষিদ্ধ। দ্বিতীয়ত, তুই একটা ছেলের সাথে গিয়েছিস। তারওপর তুই জনসমাগমে গিয়ে ক্রিকেট খেলিস? একজন মেয়ে হয়ে, পর্দার ধার না ধারে? আচ্ছা সে বিষয়ে পরে আসি। আগে প্রথম দুটো বিষয় ফয়সালা করি।”
ফুফি হালকা থেমে বললেন, “ঐবাড়িতে কেন গিয়েছিস?”
“ফুফি দাদুর ওপর খুব নির্যাতন করে তাই মাঝেমধ্যে আমি দাদুকে দেখতে যাই। আর ছেলেটা আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড। আমার ভালো চায় সে। তাই জোর করে আমার সাথে গিয়েছে।” কাঁচুমাচু করে বললাম।
“ছেলেটা তোর ক্লোজফ্রেন্ড? সে পরপুরুষ না? পরপুরুষের সামনে যাওয়া, কথা বলা কি জায়েজ? তুই বল, আমি কিছু বলবো না।”
“জায়েজ না জানি। বাট…”
“বাট? বাট বলে কিছু নেই আর। ছেলে-মেয়ে কখনো বন্ধু হতে পারে না। বর্তমান সমাজে যে জাস্ট ফ্রেন্ড, বেস্টফ্রেন্ড, ক্লোজ ফ্রেন্ড নামক ছেলেমেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব শুরু হয়েছে এসব কিছুই ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম মাহরাম-নন মাহরাম ভাগ করে দিয়েছে। কার সামনে যাওয়া যাবে, কার সামনে যাওয়া যাবে না সব ঠিক করে দিয়েছে ইসলাম। সেসব মানতে না পারলে নিজেকে একজন মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিবি কি করে?” একটানে বলে থামলেন ফুফি।
আমি মাথা নিচু করে রইলাম। কথাগুলো সত্যি জানি। তবুও কেন যেন মানতে পারি না। আমি আমতা আমতা করে বললাম,
“ফুফি, আমরা তো কেউ কাউকে টাচ করি না, করিনি কখনো। একে-অপরের দিকে ভালো করে তাকাইও না।”
“শোনো পাগলী মেয়ের কথা।” ফুফি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,
“শোন হৃদিতা, কেবল বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে যার সাথে তুই ঘুরে বেড়াচ্ছিস তার সাথে ঘোরার অনুমতি তো মহান রব তোকে দেননি। আমাদের কাউকেই দেননি। আজ যাকে তুই কেবল বন্ধু ভাবছিস কিছুদিন পর হয়তো সে তোর ভালোবাসার মানুষেও পরিণত হতে পারে। মন কারো কন্ট্রোলে থাকে না রে মা। কখন কাকে ভালো লেগে যায় বোঝা দায়। তাই আমাদেরই উচিত মনটা অবাধ্য হওয়ার আগেই দৃষ্টি ও নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।”
ছোটফুফির সব কথাই ঠিক। ফুফি আদৌ জানেন না, রাফিনকে আমি কতটা ভালোবাসি। না জেনেই যা বলছেন সব খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও রাফিনকে ছাড়ার কথা আমি ভাবতে পারছি না।
ফুফি আবার বলতে লাগলেন, “আল্লাহ আমাদের ভাগ্য বহুবছর আগে লিখে রেখেছেন। কার সাথে আমাদের বিয়ে হবে তা-ও ঠিক করে রেখেছেন। যেখানে আল্লাহই সব ঠিক করে রেখেছেন সেখানে আমাদের সে ব্যাপারে মাথা ঘামানোর কি দরকার? আমরা শুধু দোয়ায় চাইবো, যেন একজন নেককার, উত্তম জীবনসঙ্গী আমরা জীবনে পাই। ব্যস! আল্লাহ বলেননি, তোমরা নিজেরাই জীবনসঙ্গীর খোঁজ করো। অথচ বর্তমানে বয়ফ্রেন্ড থাকাটা একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। ওর আছে কেন, আমারও থাকতে হবে।” ফুফি ঠোঁট বাঁকা করে মাথা নাড়লেন।
এরপর বললেন, “এই অন্তর সৃষ্টি হয়েছে রবকে ভালোবাসতে। রবকে ভালো না বেসে দুনিয়ার নন মাহরাম পুরুষকে ভালোবেসে কোনো ফায়দা জীবনে হবে না। ধর তুই কাউকে ভালোবাসিস। তুই কি আদৌ নিশ্চিত যে, তার সাথেই তোর বিয়ে হবে? যদি বিয়ে না হয় তবে এতদিন মেলামেশা করায় যে পরিমাণ গুনাহ তোর হয়েছে তার কি হবে? তুই আল্লাহকে কি জবাব দিবি? আচ্ছা ধর, তুই তওবা করেছিস। তাওবা করলে আল্লাহ সব গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু সেটা তাওবা করার পর অবশ্যই। কিন্তু তুই যে এতদিন তোর স্বামী মানে যার সাথে তোর বিয়ে হবে তার হক নষ্ট করলি তার কি হবে? অন্যের হক নষ্ট করার অধিকার তো তোর নেই।”
আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, গতকাল রাতে রাফিনের বলা কথাগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলছে ছোটফুফি। অথচ ছোটফুফি এই ছেলেটাকেই ছেড়ে যেতে বলছে। আমি কিভাবে ওকে ছেড়ে থাকবো? এরকম ছেলে কোটিতে একটা মিলে কিনা সন্দেহ।
এতক্ষণে আমি বললাম, “তার হক নষ্ট হয়ে যাবে? তাকে তো আমি কখনো দেখিনি। আর যদি সে-ও আমার মতোই মেয়েদের সাথে ঘোরাঘুরি করে তখন?”
“তখন তার কৈফিয়ত সে আল্লাহকে দিবে। কিন্তু তোর নিজেরটা তোকে ভাবতে হবে। আল্লাহর হক, বান্দার হক কোনো হকই নষ্ট না করে দৃষ্টি ও নফসকে নিয়ন্ত্রণ করে জীবন চালিয়ে যেতে হবে। রবকে ভালোবেসে জীবন কাটাতে হবে। দুনিয়াটা ক্ষনিকের আবাসস্থল মাত্র। এখানে তুই অনন্তকাল থাকবি না। অনন্তকাল থাকবি আখিরাতে। তাই আখেরাতের কথা ভাব। দুনিয়ায় কি পেলি না পেলি সেসব না ভেবে আখেরাতে কি পাবি, কিভাবে সুখে থাকবি সেই চিন্তা কর। যে আল্লাহকে পাওয়ার জন্য দুনিয়া ত্যাগ করে আল্লাহ দুনিয়াকে তার পায়ের কাছে এনে ফেলেন। এটা একটা হাদীস বুঝলি?”
আমি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম, “সব বুঝলাম।”
“এবার বল, ক্রিকেট খেলার ব্যাপারটা কি? তুই অত লোকের সামনে গিয়ে ক্রিকেট খেলিস এটা তো জানতাম না? ভাইয়া কিছু বলে না তোকে?”
“আব্বু জানে না এসব। তাছাড়া আমি বাচ্চাদের সাথে খেলি। হিজাব করে বের হই তো।”
“আর তোর হিজাব! হিজাব করা মানেই পর্দা না। তুই মুখ দেখিয়ে হিজাব করলি, ছেলেদের সাথে ঘুরলি-ফিরলি এটাকে তো পর্দা বলে না। এতক্ষন কি বোঝালাম তোকে?”
আমি মাথা নিচু করে বললাম, “তাহলে কি করতে হবে?”
“প্রোপার পর্দা করতে হবে। ইসলাম যেভাবে বলেছে সেভাবে। হাত-মুখ, পা কিছুই দেখা যাবে না, জাস্ট চোখ ছাড়া। কোনো পরপুরুষের সাথে কথা বলা যাবে না। আচ্ছা এসব আস্তেধীরে হবে। এখনই তোকে এসব করতে বলছি না। প্রথমে অল্প অল্প চেষ্টা কর, ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবি।”
ফুফি উঠে চলে যাচ্ছিলেন। আমি বললাম,
“তারমানে সব দোষ এখন আমার? ফুফির কোনো দোষ ছিল না? জাফরের কোনো দোষ ছিল না?”
“তোর ফুফির দোষ তো অহরহ, যা শুধরানো মুশকিল। সে তো সেই ৩০ বছরযাবৎ দোষ করেই চলেছে। তাকে শুধরানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের সাধ্যের মধ্যে আছিস তুই। তোকে পরিপূর্ণ শিক্ষা দেওয়াটাই এখন আমাদের দায়িত্ব। যাতে তুই-ও ওর মতো ভুল না করিস। যদিও তুই করবি না জানি। তবুও বলা তো যায় না, মানুষের মন কখন কি করে বসে! এছাড়াও, আমাদের সবসময় আগে নিজের দোষ দেখা উচিত। নিজে ভালো তো জগৎ ভালো। বুঝলি?”
আমি মাথা নাড়ালাম, “বুঝেছি।”
ছোটফুফি চলে গেলেন। এরপর আমি ছোটফুফির কথাগুলো নিয়ে ভাবতে বসলাম। সবকিছু মানতে পারলেও রাফিনকে ছাড়ার কথা একবারও ভাবতে পারলাম না। কিভাবে ওকে না ছেড়ে ইসলামের পথে চলা যায় তাই ভাবতে লাগলাম। ছোটফুফি আমাকে সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর এর “প্রিয়তমা” বইটি পড়তে দিলেন। রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রীদের জীবনী নিয়ে লিখিত বইটি। কিভাবে নবীপত্নীরা দিন কাটাতেন আর আমরা কিভাবে কাটাচ্ছি সেই ফারাক ধরতে পারার জন্য এবং সঠিক জীবন কাটানোর জন্য এই বই নাকি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ছোটফুফি চলে যাওয়ার পরপরই রাফিন কল করে। রিসিভ করবো না করবো না করেও কলটা রিসিভ করে ফেললাম। বিকেলে দেখা করতে বলে রাফিন।
দেখা করবো কি করবো না এটা নিয়েও দোটানায় পড়ে গেলাম। মন বলছে, রাফিন তো কোনো অন্যায় করেনি। ওর সাথে হুট করে কথা বন্ধ করা মানে তো ওকে ঠকানো হচ্ছে। তাছাড়া যদি ছোটফুফির ভাষ্যমতে সম্পর্কটা শেষই করতে হয় তাহলেও তো শেষবার আমাকে রাফিনের সাথে কথা বলতে হবে। কিন্তু শেষবার কথা বলবো এটাও আমি ভাবতে পারছি না। মূল কথা, আমি রাফিনকে ছাড়া অন্যকিছু ভাবতেই পারছি না। যে ছেলেটা গতকালও আমাকে চরম বিপদ থেকে উদ্ধার করে এনেছে, নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে অপরাধীকে ধরিয়ে দিয়েছে তাকে ছাড়ার কথা আমি কিভাবে ভাববো? এটা তো অসম্ভব!
বিকেলে কাশবনে গেলাম। ছোটফুফির কথামতো প্রোপার পর্দা না করলেও আজ মুখ ঢেকে নেকাব করে এসেছি। নিকাব করে সাইকেল চালাতে বেখাপ্পা লাগছিলো বটে, কিন্তু কি আর করা। ছোটফুফির নির্দেশ।
কাশবনে এসে দেখি রাফিন আগে থেকেই বেঞ্চিতে বসে আছে। ওর হাতে মোবাইলের বদলে গিটার। ওকে দেখামাত্রই আমার প্রথমে কেমন যেন লাগলো। প্রথমত, ও কখনো বেঞ্চিতে বসে না কারণ জায়গাটা রাস্তার পাশে। লোকজন আসা-যাওয়ার সময় বেঞ্চিতেই আগে চোখ পড়ে। দ্বিতীয়ত, ওর হাতে মোবাইল নেই। ও গেইমস না খেলে গিটার বাজাচ্ছে। তৃতীয়ত, গিটারটাও আমার কাছে পরিচিত না। এবং সর্বশেষ, ওর গেটআপটাও আমার কাছে অদ্ভুত ঠেকছে। সবই ঠিক আছে তবুও কি যেন একটা ব্যতিক্রম। সে-ই ব্যাতিক্রম ব্যাপারটা আমি সহসা ধরতে পারলাম না।
আমি এলোমেলো পায়ে গিয়ে ওর পাশে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে বসলাম। ও প্রথমে আমার দিকে ফিরেও তাকালো না। পরক্ষণে তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে নিলো। আমি গলা খাঁকারি দিতেই কিছুক্ষণ পলকহীন তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। এবার চতূর্থবারের মতো খটকা লাগলো আমার। ওর চোখজোড়া ঘোলাটে। অথচ রাফিনের চোখ স্বচ্ছ, গভীর কালো। তাকালেই আমার দৃষ্টি এলোমেলো হয়ে যায়। অথচ এই চোখের দিকে আমি স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
কিছুক্ষণ পর রাফিন বললো, “আরোহী..”
কথাটা পুরোপুরি শেষ না করে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। ও আমার নামটা এমনভাবে নিয়েছে সেটাকে আমি ডাক হিসেবেও ধরতে পারি আবার কুয়েশ্চন হিসেবেও নিতে পারি। আমি মৃদুস্বরে বললাম,
“চিনতেই পারছো না দেখছি।”
“না মানে, তোমাকে নিয়েই ভাবছিলাম। হঠাৎ সামনে দেখে আর কি চমকে গিয়েছি।”
”আমাকে নিয়ে ভাবছিলে? তুমি? রিয়েলি?” পঞ্চমবারের মতো খটকা লাগলো। আমি আরও ভালো করে ওর দিকে তাকালাম। রাফিন-ই তো। ধুরর! ছোটফুফির কথায় হয়তো আমার সাব-কনশাস মাইন্ড আমাকে ওর বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য উল্টাপাল্টা ভাবাচ্ছে। আমি ভাবনা বাদ দিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলাম।
“কেন আমি তোমাকে নিয়ে ভাবতে পারি না?”
“কখনো বলো না তো এজন্য বললাম।”
“কখনো বলি না বলে কি কখনোই বলবো না তা তো না।”
“হুম আচ্ছা।”
মৃদু বাতাস বইছে। কাশফুলগুলো দুলছে। আকাশে হালকা মেঘ। মেঘের ভেসে যাওয়া দেখতে দেখতে উদাস গলায় বললাম,
“আচ্ছা, জাফর তো পালিয়েছে, শুনেছো?”
আমার কথা শুনে মনে হলো রাফিন বেশ চমকে গেছে। কিছুক্ষণ নিরব থেকে বললো,
“হুম হুম শুনলাম।”
“গতরাতেই পালিয়েছে। অথচ গতরাতে আমাদের এসব নিয়ে কোনো কথাই হয়নি।”
“ঐ যে একটু ব্যস্ত ছিলাম তো আমি…”
আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম ওর দিকে। ব্যস্ত ছিলো মানে কি? ও তো কাল রাতে আমার বাসাতেই ছিল। কি আজব! ওর কি ব্রেইনে কোনো প্রবলেম হলো নাকি?
একপর্যায়ে রাফিন বললো, “আচ্ছা আমরা এসব নিয়ে এখন কথা না বলি। সুন্দর ওয়েদারটা এনজয় করি।”
বলে ও আমার হাতটা শক্ত করে ধরলো। ওর হাত ধরাটা আমার মোটেও সুবিধার ঠেকলো না। আমি টান দিয়ে সরিয়ে নিলাম হাত। গতরাতেই যে ছেলে আমাকে এতকিছু বোঝালো একরাতের ব্যবধানে সে কিছুতেই এতোটা পাল্টে যেতে পারে না।
আমি বললাম, “আচ্ছা আমি আজকে উঠি। বাসায় ছোটফুফি এসেছে তো। বেশিক্ষণ বাইরে থাকলে বকবে।”
“মাত্রই তো এলে আরেকটু থাকো।”
আমি চোখ বড় বড় করে একপলক তাকিয়ে মুহুর্তেই বাড়ির পথ ধরলাম। আমার মাথায় আসছে না, রাফিনের আচরণ এরকম কিভাবে হয়ে গেল? অন্যসময় হলে, জরুরি কথা থাকলে ও আমাকে ধমকে বসিয়ে দিতো আর নাহয় বিনাবাক্যে আমাকে বাড়ি ফিরতে দিতো। আমাদের এতদিনকার সম্পর্কে রাফিন কখনো আমাকে বলেনি,
“মাত্রই তো এলে, আরেকটু থেকে যাও।”
এসব আদিখ্যেতা ওর একদমই পছন্দ না। আর আজ ও-ই এসব বললো! কি আশ্চর্য!
কিছুদূর গিয়ে লক্ষ্য করলাম, রাফিনও আমার পিছু পিছু আসছে। তখনই অবাক হয়ে দেখলাম, রাফিনের চুলগুলো ভীষণ কোঁকড়া। অথচ রাফিনের চুল গতরাতেও স্ট্রেইট ছিল। ইভেন, ওর তো কোঁকড়া চুল পছন্দই না। এজন্যই ওকে এতক্ষণ কেমন যেন বেখাপ্পা দেখাচ্ছিলো।
#Be_Continued__In_Sha_Allah ❣️