#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত
পর্ব ৪৭
রাফিন এসেছে দুদিন হয়ে গেছে। এরমধ্যেই তারা হুলস্থুল ঘোরাঘুরি শুরু করেছে। নাকীবকে আজকাল পাওয়া-ই যাচ্ছে না। মায়ের কাছ থেকে রাফিনের ব্যাপারে সব শুনে শাওনের সাথে যোগাযোগ করলাম।
শাওন বলে, ‘কবেই তোকে মেসেজ করেছি দেখ।’
দীর্ঘদিন পর মেসেঞ্জারে ঢুকলাম। অসংখ্য মেসেজ জমা। রিয়াদের ম্যাসেজও আছে। সে বিয়ে করে নিয়েছে সেই দুই বছর আগে। বাব্বাহ! শাওনও বিয়ে করেছে জানলাম। ও আমাকে দাওয়াত করেছিলো অবশ্য। আমি যাইনি।
আরেকটু স্ক্রল করতেই রাফিনের মেসেজও পাই।
“আর যাবে না রাখা তোমায় এখানে
রাখতে হবে তোমায় খুবই যতনে।”
এটা অনেক আগের মেসেজ। তখন রিলেশন শেষ হয়নি বোধহয়। এরপর লাস্ট মেসেজটা আনরিড।
‘জানি না কত কথা ছিল বলার আরও
হয়নি আমার বলা, হয়নি বলা তারও,
চলে যাচ্ছি, হয়তো হবে না আর ফেরা
করেছি জ্বালাতন, করবো না আর জেরা।”
আবার অফলাইনে চলে এলাম। শাওনের সাথে যা কথা বলার বলা হয়েছে। রুমের বাইরে এলাম। ড্রইংরুমে আলাপ হচ্ছে বিয়ের। কার বিয়ের? আমার নাকি রাফিনের?
খালামনি বেশ জোরেশোরে বললেন, “আমরা অবশ্যই তোর বাসায় থাকবো না। আমরা হচ্ছি ছেলেপক্ষ। ভাইজানের বাসায় থেকে ওদের বিয়ে হবে। আমরা ছেলে নিয়ে তোর বাসায় গিয়ে মেয়ে নিয়ে আসবো।”
”বুবু, এখন থেকেই পর বানিয়ে দিচ্ছো?”
“আপন-পর বুঝি না। তোর মেয়ের বিয়েটা বিয়ে আমার ছেলের বিয়ে বিয়ে না? আমার ছেলেকে ঠিক আমি নিয়ে যাবো। গিয়ে তোর মেয়েকে নিয়ে আসবো।”
“আচ্ছা আচ্ছা তাই করো।”
“কোনো ধুমধাম হচ্ছে না সেটা তো ফাইনাল তাই না?” বাবা বললেন।
“হ্যাঁ, সে তো অবশ্যই। ছেলে আমার যা কড়া। ইসলামের বিধানের এদিক-ওদিক হওয়া যাবে না। সে তুলকালাম বাঁধিয়ে ফেলবে।”
“তা তো বটেই। আমাদের মেয়েও কি কম? সে তো আগে থেকেই বলে রেখেছে, সুন্নত পদ্ধতিতে বিয়ে না হলে সে বিয়ে করবে না। জাঁকজমকপূর্ণ হলে বিয়ে ভাঙতেও পিছপা হবে না।” মা বললেন।
“উঁ বাবা! আমাদের ছেলেও তাই। দুটোতে মিলবে ভালো।”
রাফিনের বাবা বললেন,
“দেখো, মেয়েটাকে আমার বড্ড পছন্দ হয়েছে। নদীর পাড়ে একা বসেছিলো। আনমনে বই পড়ছে। আমি গিয়ে পাশ থেকে ঘুরে এলাম অথচ তার কোনো হেলদোল হলো না। একাকী থাকে সবসময়, পরপুরুষের সামনে যায় না। খুব ভালো লাগে ওর এই ব্যাপারগুলো। আমাদের ছেলের সাথে মিলবে ভালো।”
কথাগুলো শুনে বেশ ভালো লাগলো। যাক! দ্বীনি কেউ আমার জীবনসঙ্গী হতে চলেছে অবশেষে। আলহামদুলিল্লাহ। করিডোর ধরে খানিকটা সামনে এগিয়ে গেলাম। নাকীবকে কোথায় পাই এই মুহুর্তে? উহু, পাওয়া গেল না ওকে। রুমে এসে দাদুকে ফোন দিলাম। ওদের খবরাখবর নিলাম। জাফর আর ডিস্টার্ব করেনি শুনলাম। সিকিউরিটি গার্ড দুজন নাকি ভালোই পাহারা দিচ্ছে। দিবেই তো, কালপ্রিট তো এখানে বসে অর্ডার করছে ওদের৷ ডিনারে ডাকায় চলে গেলাম। কবে বাড়ি ফিরবো কে জানে? খুব অস্থির লাগছে। আর কতদিন বাচ্চাগুলো একাকী থাকবে?
পরদিন ভোরে নামাজ-দোয়া শেষে করিডোর ধরে হাঁটতে হাঁটতে করিডোরের শেষপ্রান্তে চলে গেলাম৷ সূর্য উঁকি দিচ্ছে গাছের ফাঁকে। ভোরের সময়টা একমাত্র সময়, যখন পুরো বাড়িটায় আমি একাকী মনের আনন্দে ঘোরাঘুরি করি। পুরো বাড়ির সবাই ঘুম থাকে আর আমি মহানন্দে ঘোরাফেরা করি। আজও পূব দিকের করিডোরের জানালার ধারে গেলাম। গিয়ে দেখি জানালার পাশে একটা টুল রাখা। বাহ! আজ এই আয়োজন কে করলো? এতদিন দাঁড়িয়ে দেখেছি সূর্যোদয়, আজ বসে বসে দেখবো। ভাবতে ভাবতে রাজকীয় ভঙ্গিতে বসে পড়লাম টুলে। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর হঠাৎ সর্বশেষ রুমটার দরজা মটমট আওয়াজ তুলে খুলে গেল। আমি ভয়ে মৃদু চিৎকার করে উঠি। এই দরজা জীবনে খোলা দেখিনি আমি। আজ হঠাৎ ভেতর থেকে দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে লাফিয়ে ওঠাটাই স্বাভাবিক।
আমি লাফিয়ে ওঠায় টুল পড়ে গেল। বিকট শব্দ হলো। ভেতরের মানুষটা বেরিয়ে এলো। রাফিন! ওকে দেখে আরও একটা চিৎকার বেরিয়ে এলো অনায়াসে। ও বিস্ফোরিত চোখে তাকালো আমার দিকে। মুহুর্তেই “স্যরি, স্যরি, স্যরি, স্যরি” বলতে বলতে ভেতরে ঢুকে দরজা আটকে দিলো। আমি প্রাণ হাতে নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে রুমে ফিরে এলাম। ধুত্তুরি! ওর সাথে দেখা হলেই কেন একটা না একটা তুলকালাম ঘটে যায়। সেই প্রথমদিন থেকে। সাক্ষাৎটাই তো হয়েছিল তুলকালাম দিয়ে৷
নাকীবকে সকাল আটটায় খুঁজতে গিয়েও পাওয়া গেল না। সে এরমধ্যেই বেরিয়ে গেছে। আমার রাগ হলো ভীষণ। আমাকে ফেৎনার জালে আটকে রেখে নিজেরা ইচ্ছেমতো ঘুরছে। আজ আসুক!
নাকীবকে ফোন দিয়ে ইচ্ছেমতো গালমন্দ করলাম। সামনে আসলে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দিলাম। এরপর আমি তৈরি হয়ে একাকী চলে গেলাম নৌকার কাছে। নৌকাটা খালি পরে আছে। সেটা খুলে অনেক কষ্টে টেনেটুনে সিঁড়ির কাছে আনলাম। এবার সাবধানে নৌকায় উঠে বৈঠা হাতে নিয়ে বাইতে শুরু করলাম। প্রচন্ড রেগে থাকায় বৈঠা বাইতে আমাকে কোনো বেগ পোহাতে হচ্ছে না। রাগই সবটা সামলে নিচ্ছে। কিছুদূর যেতেই আগেরদিনের সেই খেয়া পারাপারের মাঝির সাথে দেখা হয়ে গেল। তিনি ডাক দিয়ে বললেন,
“আফা, একাকী কই যান?”
আমি চুপ করে থাকলাম। তিনি আবার বললেন,
“মাঝি নিয়া যাইতেন৷ মাঝনদীত যাইয়া আবার শক্তি থাকবো না, ফিরতি পথে আইতে পারবেন না।”
আমি কিছু না বলে সামনে যেতে থাকলাম। মাঝ নদীতে গিয়ে বৈঠা রেখে দিয়ে শুয়ে থাকি। নৌকা যেদিকে নিয়ে যায় সেদিকেই যেতে থাকি। একসময় ঘুমিয়ে পড়ি নৌকায়৷ যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন সন্ধ্যা নেমে গেছে। প্রথমে ঘাবড়ে যাই খুব। কি করবো ভেবে পাই না। বৈঠা হাতে নিয়ে দেখি চালাতে পারছি না। রাগ কমে গেছে সাথে শক্তিও। তাও কষ্ট করে চালানোর চেষ্টা করলাম। চালালামও খানিকক্ষণ। হঠাৎ খেয়াল হলো আমি কোনদিক থেকে এসেছি সেটা আমার মনে নেই। ঘুমিয়ে পড়ায় নৌকা কোথা থেকে কোথায় এসেছে তাও জানি না। এদিকে সন্ধ্যা নামছে। ভয়ে আমার আত্মা শুকিয়ে এলো। কি হবে যদি নির্জন এই নদীতে হারিয়ে যাই? যদি ডুবে যাই? অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠে দোয়া-ইউনুছ পড়তে থাকলাম অনর্গল। ইউনুস (আঃ) মাছের পেটের ভিতর থেকেও যদি আল্লাহর ওপর ভরসা করতে পারেন, আল্লাহর সাহায্য আশা করতে পারেন তবে আমি মাঝ নদীতে কেন আল্লাহর সাহায্যের আশা করবো না? আমি হাঁটুতে মুখ গুঁজে আল্লাহকে ডাকতে লাগলাম। আমার মোটেও উচিত হয়নি এত রাগ করা, রাগ করে এখানে চলে আসা। রাগ শয়তানের কাছ থেকে আসে সেটা আমি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তিকে তোমরা বড় বীর মনে করো?’ সাহাবীগণ বললেন, ‘যাকে কেউ যুদ্ধে হারাতে পারে না।’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘না, বরং প্রকৃত বীর হলো সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে। [১]
একসময় সূর্য পুরোপুরি ডুবে গেল। আমার ভয় আরও গাঢ় হয়। অন্ধকার নামছে। আসরের নামাজ বোধহয় কাযা হয়ে গেছে। আমি নদীর পানিতে ওযু করলাম। নামাজ পড়ে নেয়া যাক। নৌকাতেই নিয়ত বাঁধলাম। মহানবী (ﷺ) বলেন, “আর সারা পৃথিবীকে আমার জন্য মসজিদ (নামাযের জায়গা) এবং পবিত্রতার উপকরণ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তির নিকট যে কোন স্থানে নামাযের সময় এসে উপস্থিত হবে , সে যেন সেখানেই নামায পড়ে নেয়।” [২]
আসর ও মাগরিব একসাথে আদায় করলাম। সূর্যাস্তের সময় নিষিদ্ধ ওয়াক্ত হওয়ায় নামাজ পড়তে পারিনি। নামাজ শেষ হতেই দেখি পাশে মিটিমিটি আলো জ্বলছে। মৃদু আলোয় একটা নৌকা দেখা যাচ্ছে। আলো দেখে সাহস ফিরে পাই৷ ধীরে ধীরে নৌকাটা এদিকেই আসছে। কাছে আসতেই আবছা আলোয় রাফিনের মুখ দেখতে পাই। ওকে দেখে মনে সাহস বেড়ে গেল। পরক্ষণেই আবার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। ও আমাকে ফলো করেছে নাকি? আমাকে কেন ফলো করতে হবে? আমি কে তার? এত ঢং আসে কোত্থেকে? আমার ধর্মে পরপুরুষের সাথে এত ঢং নেই। উফ! আবার রেগে যাচ্ছি আমি৷ আবার ওকে ভুল বুঝছি। ও মোটেও আমাকে ফলো করছে না। ও এখন আর সেই আগের মতো নেই। আর আগে হলেও ওর স্বভাবে কোনো মেয়েকে ফলো করার মতো মানসিকতা অন্তত নেই। এমনকি কোনোকালেই ছিল না৷ উল্টাপাল্টা ভাবনার জন্য নিজেকে নিজে ধিক্কার দিলাম।
রাফিন গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,
“পথ হারিয়েছেন?”
ও বোধহয় আমাকে চিনতে পারেনি। আমি কি বলবো ভেবে পেলাম না। ওকে দেখে আমার হঠাৎ কান্না চলে আসছে। কেমন যেন আনন্দ আর দুঃখ একসাথে হচ্ছে। আমি মৃদুস্বরে বললাম,
“পথ ভুলে গিয়েছি।”
আমার কন্ঠ শুনে রাফিন চমকে উঠলো। খানিকক্ষণ সময় নিয়ে বললো,
“তুমি অনেক দূর চলে এসেছো। একা ফিরতে পারবে না।”
হঠাৎ মনে হলো আমি আবার ফেতনায় জড়িয়ে যাচ্ছি। রাফিনের সাথে কথা বলতে গিয়ে আমার ভেতরটা কাঁপছে। আমি আমার মধ্যে নেই। আমার মধ্যে অন্য এক আমি’র আস্তরণ পড়ে গেছে। আমি যা করছি আলাদাভাবে করছি। এটা আমার স্বভাব না।
আচমকা ঝাঁজালো কন্ঠ বেরিয়ে এলো কন্ঠনালি দিয়ে,
”একা যখন এসেছি একাই যেতে পারবো। আজীবন তো একাই চলেছি। এখন আবার কারো সাহায্য লাগবে কেন?”
রাফিন আবার চমকালো। আমতা আমতা করে বললো,
“ভালোর জন্য বলছিলাম…”
“আমার ভালো আমি দেখতে জানি৷ যান নিজের রাস্তায় যান।”
“আমার সাথে মিসবিহেইভ করছো কেন? আমি কি করেছি?”
“সীমালঙ্ঘন করেছেন। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না। আপনি নিজের রাস্তায় যান। আমি পথ চিনে যেতে পারবো৷ আপনার ভাবতে হবে না আমাকে নিয়ে। যত্তসব!”
বৈঠা হাতে নিয়ে নৌকা বাইতে লাগলাম। কষ্ট হচ্ছে তবুও হাল ছাড়লাম না। রাফিন চেঁচিয়ে বললো,
“আমার ঠ্যাকা পড়েনি একজন নন-মাহরামের সাথে কথা বলতে৷ শুনুন, ঐদিকে না বাড়ি এদিকে।”
“ধুৎ জ্বালা।”
নৌকা ঘুরিয়ে ঐদিকে যাওয়া শুরু করলাম। রাফিন আসছে পিছুপিছু। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে আমার। কাল সকালেই আমি বাড়ি ফিরবো। এখানে আর একমুহূর্তও থাকবো না। একা হলে একাই ফিরে যাবো। রাগের চোটে বৈঠা বাইতে কষ্ট হচ্ছে না আমার। দাঁতে দাঁত চেপে রাগ হজম করলাম। ইচ্ছে করছে ইট দিয়ে নিজের মাথা ফাটিয়ে দিই। আজব তো! ওর উপর হঠাৎ এত রাগ হচ্ছে কেন আমার? ওর সাথে রাগ করার তো কোনো কারণ নেই। রাগ করতে হলে তাকে নিয়ে ভাবতে হবে, তার সাথে মনোমালিন্য হতে হবে। রাফিনের সাথে আমার সেরকম কেনোকিছুই হয়নি। ইভেন, সে তো আমার ভাবনারও বাইরের কেউ। তার ওপর রাগ দেখানোর মাধ্যমে আমি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছি যেটা আমার একদমই উচিত হচ্ছে না। ও আমাকে সাহায্য করতে এসেছিলো উল্টো আমি ওকে… আমার থাকতে হবে একদম স্বাভাবিক। ইনফ্যাক্ট, আমার রাগ করারই তো কোনো কারণ নেই। একজন প্রকৃত মুমিন কখনো রাগে না। মুমিনের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো, সে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
রাগের মাধ্যমে শরীরে দ্বিগুণ শক্তি পাচ্ছিলাম এতক্ষণ। হুট করে রাগের হাদীসটা আবার মনে পড়লো। আর চোখের সামনে ভেসে উঠলো আমার নিজের নৌকা চালানোর দৃশ্য। একজন পরপুরুষ আমাকে দেখছে আমি শরীর দুলিয়ে নৌকা চালাচ্ছি। ছি! যদিও অন্ধকার… এটা ভাবতেই আমার হাত থেকে বৈঠা পড়ে গেল পানিতে। আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম। খুব কান্না পাচ্ছে আমার। সবকিছুতে এত বাড়াবাড়ি কেন করি আমি? সময়ের কথা সময়ে বুঝি না কেন? আল্লাহ! আমি কি করবো এখন? আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম, আল্লাহ-ই তো সাহায্য পাঠালেন। অথচ আমি হেয় করলাম। ওহ আল্লাহ! তুমি আমাকে রক্ষা করো। আমাকে বুদ্ধি দাও। আমি আর পারছি না। এত বোকা কেন আমি?
আমি পেছনে ফিরে তাকালাম। রাফিন মুখ ফিরিয়ে নিলো। আমার খুব কান্না পাচ্ছে। আমি আল্লাহর অবাধ্যতা করেছি। রাফিনকেও অযথা রাগিয়ে দিয়েছি। আমাদের স্বাভাবিক পথ চলাকে অস্বাভাবিক করেছি। রাফিনের সাথে কথা বলে আমি মোটেই বাড়াবাড়ি করিনি বরং বাড়াবাড়ি করেছি ওর সাথে রাগারাগি করে। প্রয়োজনে পরপুরুষের সাথে অবশ্যই কথা বলা যায়৷ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি আমি। আল্লাহ, এখন আমার কি করা উচিত? হতাশায়, দুঃখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম আমি৷
রেফারেন্স:
[১] সুনানে আবু দাউদ, মুসলিম
[২] বুখারী ৪৩৮নং, মুসলিম
#Be_Continued_In_Sha_Allah ❣️





