#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি
#পর্বঃ৩১
সকলে মিলে ছাদে আড্ডা দিচ্ছিলো হঠায় সমস্ত আকাশ গুমোট বেধে এসে অন্ধকারে ছেয়ে যায়। চারদিকে ঠান্ডা বাতাস শা শা করে বয়ে যাচ্ছিলো। কিছুক্ষণ সকলে মিলে এই রোমাঞ্চকর পরিবেশ উপভোগ করতে না করতে আকাশ ভেঙে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে ছেয়ে পড়ে তীব্র ঝড়। সকলে তড়িঘড়ি করে নিচে নেমে যায়।
সেই যে বিকেল থেকে বৃষ্টি ধরেছে তার আর থামার নামই নেই। সন্ধ্যে হতে হতেই চারদিকে বজ্রপাতের ঠা ঠা গা কাপিয়ে তোলা আওয়াজ।
দেখতে দেখতে কার্তিক – অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সময় চলে এলো তবে এখনো বৃষ্টির আমেজ যায় নি। ইদানীং তো এসব কারবার বেড়েই চলেছে।
সন্ধ্যাবেলা শুভ্রা, সকলের জন্য গরম গরম পাকোড়া, কফি আর পুলি পিঠা বানায়। আবহাওয়া খারাপ বলে ইলিয়ানা আর পারভেজদের পরিবার ছাড়া সকলেই বাড়ি চলে যায়। নাদিম ও এতোদিন বিয়ের ঝামেলায় অফিসের অনেক কাজ পেন্ডিং এ রেখে দিয়েছিলো। জরুরী ফোন আসায় তাকে তাৎক্ষনাৎ চলে যেতে হয়।
ড্রয়িং রুমে, সাদাফ,শুভ্রা, কুবরা, ইলিয়ানা, পারভেজ, আবির, শুভ্রার মা, সাদাফের মা বাবা আর ইলিয়ানার মা বাবা সকলে মিলে গোল হয়ে বসে বৃষ্টির আমেজে আড্ডায় ভরে উঠে। সাদাফের বাবা আর ইলিয়ানার বাবা টিভিতে খবর দেখছে। আবহাওয়ার খবরের পর্যায়ে এসে দেখে মংলা,চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রে ৭ নাম্বার হুশিয়ারি সংকেত দেয়। কালকের ভিতর দেশে ঘূর্ণিঝড় ও হতে পারে। যার কারনে সব ফ্লাইট, ট্রেন ও যাতায়াত ব্যবস্থা স্থগিত রাখা হয়েছে।
খবর শোনা মাত্র পারভেজ এবং তার মায়ের কপালে চিন্তার ভাজ ফুটে উঠে। এভাবে তো আর এতো দিন কারো বাড়িতে থাকা যায় না। নাহলে যে তারাও বিরক্ত হয়ে যেতে পারে।
পারভেজের মাঃ দেখেছো কান্ড! এখন আমরা কি কাল যাবো না? হ্যা রে পারভেজ, সবই কি বন্ধ করে দিয়েছে নাকি?
পারভেজঃ খবরে তো তাই বলছে দেখছি আম্মু। ( চিন্তিত হয়ে)
সাদাফের মাঃ আরে আপা আপনারা মা ছেলে এতো টেনশন কেন করছেন বলুন তো। যাবেন আর কি আস্তে ধীরে। আপনারা আছেন বলে আমাদের ও কতো ভালো লাগছে দেখুন।
ইলিয়ানার মাঃ হ্যা বুবু তো ঠিকি বলেছে। তাছাড়া আমাদের ও বাড়ি যেহেতু কক্সবাজার। এক সাথে এক ফ্লাইটেই চলে যেতে পারবো আমরা। আগে আবহাওয়া ঠিক হোক।
রাতের বেলা শুভ্রা আর ইলিয়ানা খিচুড়ি বানায়। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ির স্বাদের মজাই আলাদা।
পারভেজের মা তো ইলিয়ানাকে শুধু চোখে চোখে রাখছে। খেতে বলসে ইলায়ানা আর শুভ্রা মিলে সকলকে একে একে বেড়ে দেয়। পারভেজের মা কে যখন ইলিয়ানা বেড়ে দেয় তখন তিনি বলে উঠেন,,
” তো মেয়ের বিয়ে শাদি কবে দিবেন আপা? ” ( ইলিয়ানার মাকে উদ্দেশ্য করে)
ইলিয়ানার মাঃ এইতো সাদাফের বিয়ে তো হয়েও গেলো। এবার ইলিয়ানার বিয়ের চেষ্টা করবো আর কি। ভালো মতো ছেলে পেলে বিয়ে দিয়ে দিবো।
ইলিয়ানা পারভেজের মাকে পরিবেশন করার পর এবার পারভেজকে পরিবেশন করতে যায়।
পারভেজের মাঃ হুম আপনার মেয়ে দেখছি খুব লক্ষিমন্ত। আসলে আমার পারভেজের জন্য এরকম একটা বউ খুজছিলাম। বিয়ের বয়স তো হয়েছেই। তাছাড়া ডাক্তারি ও করে বিদেশে। ইলিয়ানার মতো একটা বউমা পেলে আমার সংসারের লক্ষির অভাব টা ঘুচে যাবে।
ইলিয়ানা পারভেজকে খিচুড়ি দিচ্ছিলোব। পারভেজের মায়ের কথায় মনোযোগ দিতে গিয়ে একের পর এক চামচ খিচুড়ি দিতেই আছে। এদিকে পারভেজ যে মানা করছে তার কানে এসব পৌছাচ্ছেই না। এক পর্যায়ে পারভেজ বাধ্য হয়ে খপ করে ইলিয়ানার হাত ধরে ফেলে। হাতে কারো স্পর্শ পেয় ইলিয়ানার হুশ হয়।
পারভেজঃ এই যে মিস!! খেয়াল কোথায় আপনার? এতো করে বলছি যে, এখন দেখুন বোলের সব খিচুড়িই তো আমায় দিয়ে দিলেন।
ইলিয়ানাঃ উফ.. স.. সরি সরি। আসলে আমার খেয়াল ছিলো না।
কেন জানি পারভেজের সামনে পড়লে কিংবা কোনো অবস্থায় সম্মুখীন হলে ইলিয়ানার খুব লজ্জা পায়। কেন? আগে তো তার কতো ছেলে বন্ধু ছিলো। কতো ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো। আগে তো এমন হয় নি। তবে কি এই পরিবর্তনের ফলে তার মনেরও ইচ্ছা এবং রুচির পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে??
রাত ১২ টা মতন বাজে। সকলে খাওয়াদাওয়া শেষে যে যার মতো ঘুমুতে চলে গিয়েছে। শুভ্রা আর সাদাফ এক সাথে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঝড়ো দিনের এই ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করছে। থেমে থেমে ঘন কালো ওই আকাশের বুকে হঠাৎ সোনালী কিংবা রুপালি রঙের দাগ কেটে কেটে গুড়ু গুড়ু আওয়াজ হচ্ছে। সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও।
শুভ্রা সাদাফের কথা মতো তার হাটু পর্যন্ত চুল ছেড়ে দিয়ে একটা পাতলা শাড়ি পড়েছে। বাতাসের সাথে সাথে শুভ্রার চুল আর শাড়ির আঁচল ঢেউয়ের মতো খেলছে। আর তারই পেছনে সাদাফ নেশাক্ত মাতালের ন্যায় শুভ্রার ওই সুগন্ধি চুলের ঘ্রাণ নিচ্ছে।
সাদাফঃ এই শুভি কি দাও বলো তো তোমার চুলে? এতো খুশবু কেন?
শুভ্রাঃ শ্যাম্পু ই দিই। আর তেল দিই।
সাদাফঃ উহু এসব শ্যাম্পু ট্যাম্পু কিচ্ছু না। এটা আমার শুভির নিজস্ব একটা মন মাতানো সুগন্ধ। ( পেছন থেকে শুভ্রার ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে ঘষতে ঘষতে )
সাদাফের খোচাখোচা দাড়ির ঘষাতে কেপে উঠে শুভ্রা। সাদাফ আস্তে করে এক হাত শুভ্রার পেটের দিকে আঁচলের ভেতর হাত ঢুকিয়ে নিজের সাথে আবদ্ধ করে নেয় শুভ্রাকে। ঘাড় নামিয়ে শুভ্রার গলায় তার ঠোঁট দুটো ডুবিয়ে গভীরভাবে ভালোবাসার পরশ একে দেয় সাদাফ। শুভ্রা যেন শক্ত পাথরের ন্যায় চোখ বন্ধ করে সবকিছু উপভোগের করছে। আস্তে আস্তে সাদাফের পাগলামি যতো বাড়তে লাগলো বৃষ্টির বেগ ও ততো বৃদ্ধি পাচ্ছে। বারান্দার রেলিঙের পাশে দাড়িয়ে থাকায় দুজনের গায়ের ঝড়ের ফুটা ফুটা বৃষ্টি পড়ে ভিজে যায়।
বৃষ্টির বেগ বৃদ্ধি পেতেই আচমকা সাদাফ শুভ্রাকে কোলে তোলে নেই। সাদাফ কোলে নেওয়া অবস্থাতেই শুভ্রার একদম কাছাকাছি। এদিকে যতো সময় যাচ্ছে শুভ্রার নিশ্বাস ভারি হয়ে আসছে।
রোমে আসার পর সাদাফ আলতো করে শুভ্রাকে খাটের ওপর বসিয়ে দিই। শুভ্রা এখনো হাপাচ্ছে। নিশ্বাস যেন আটকে আসছে। বৃষ্টিতে ভেজায় শুভ্রার পাতলা শাড়িটা একেবারে শুভ্রার গায়ের সঙ্গে লেপ্টে গিয়েছে। যার কারনে ভারি নিশ্বাস নেওয়ায় শুভ্রার দুধে আলতা বর্ণের শরীর চিকচিক তো করছেই সাথে তার উদর শাড়ির আঁচলের উপর স্পষ্ট ভেসে উঠছে। বার বার নিশ্বাস নেওয়ায় উঠানামা করছে সে উদর।
এদিকে যে সাদাফ তার নেশাভরা চোখে পলকহীন ভাবে চেয়ে আছে শুভ্রার দিকে। নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সটান শুভ্রাকে নিজের কাছে টেনে শুভ্রার বিউটিবোন্সের উপর থাকা তিলের উপর তার নরম দুটি ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। সে অবস্থাতেই শুভ্রার পেছনে হাত দিয়ে শাড়ির পিন নিয়ে আচল খুলে ফেলে সাদাফ।
সাদাফঃ আজ্জে আমার তোমায় বড্ড পেতে ইচ্ছে করছে শুভি। এতোদিন তো শুধু পালিয়ে পালিয়ে থাকতে। জানো কতোদিন ক্ষুদার্ত পিশাচের ন্যায় অপেক্ষার প্রহর গুনেছি? কতোটা ব্যাকুল ছিলাম তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্য। আজ ও কি তুমি আমায় দূরে ঠেলে দিবে শুভি।
লজ্জায় শুভ্রা মুখ ফোটে কিচ্ছু বলতেও পারে না। চুপচাপ সাদাফ যা করছে সে সব কিছু করতে বসে রয়েছে। সাদাফ শুভ্রার নিরব সম্মতি পেয়ে মুখ ডুবায় শুভ্রার ওই সাদা উদরের মাঝে। কাপনিতে আর সাদাফের মাতালতায় শুভ্রার নিশ্বাস আরো ভারী হয়ে আসছে। নিজেকেও যেন সাদাফের মতো নেশাক্ত লাগছে আজ। সাদাফ শুভ্রাকে আরো চেপে ধরায় শুভ্রা সাদাফের মাথার চুল আর পিঠ খামচে ধরে। তাতে সাদাফের কোন হেলদোলই নেই। সে আজ মগ্ন তার প্রেয়সীর ভালোবাসার আঙ্গিকে।
রাত যতো গভির হয় বাইরে ঝড়ের গতি ও বাড়তে থাকে। সাথে বাড়তে থাকে দুজন কপোত-কপোতীর ভালোবাসার সীমা ও।
সারারাত মুষলধারে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে সাথে বাজও। শুভ্রা আর সাদাফ ভোরের আগেই ঘুমিয়েছে। বেলা ৯ টা নাগাত শুভ্রার ঘুম ভাঙে। নিজেকে সাদাফের ওই কেশহীন বক্কের উপর আবিষ্কার করে শুভ্রা। কাল রাতের কথা মনে পড়াতেই লজ্জায় বার বার কুকড়ে যাচ্ছে সে। তবু মনের কিনারায় আর প্রাপ্তি আর পূর্ণতার ভরপুর খুশি। শুভ্রার নড়াচড়ায় ঘুম ভেঙে যায় সাদাফের ও।
চোখ খোলা মাত্র শুভ্রাকে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু নাচিয়ে “কি”বোধক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে সাদাফ। শুভ্রা মুখে হাত দিয়ে লজ্জায় আবারও সাদাফের বুকে গুজে যায়। সাদাফো মুচকি হেসে শুভ্রাকে বাহুবদ্ধ করে নেয়।
➡️➡️➡️➡️➡️
আজ শুভ্রা না উঠায় ইলিয়ানা নিজেই সকলের জন্য স্যান্ডউইচ, মামলেট, মোমো, আর কেক তৈরি করে।
চারদিকে গুমোট মেঘে ঢাকা অন্ধকার । তাই কেউ সকাল সকাল উঠে নি আজ। ইলিয়ানা একাই সব করেছে। আর প্রথম সে নিজে হাতে সকলের জন্য খাবার বানিয়েছে।
পারভেজ ফ্রেশ হয়ে এসে রান্নাঘরে আওয়াজ শুনে মনে করে শুভ্রা কাজ করছে। কারণ এসেছে থেকে শুভ্রাই কাজ করে দেখেছে সে।
পারভেজঃ শুভ্রা এক কাপ কফি দে তো কড়া করে। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে রে।
ইলিয়ানা কাজের মধ্যে পারভেজের কথা শুনে। কিন্তু শুভ্রা তো এখনো উঠেনি। তাই ইলিয়ানাই বানিয়ে নিয়ে পারভেজ কে দেয়।
পারভেজ মোবাইল স্ক্রল করতে করতে কফির মগে এক চুমুক দেয়।
পারভেজঃ উমম.. তোর কফির টেস্ট দেখছি চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। ভালোই ইম্প্রোভ করেছিস দেখি। ( মোবাইল দেখতে দেখতে)
ইলিয়ানা কিছু না করলেও নিজের জন্য কফিটা বানাতো। তাই তার কফির স্বাদের কোনো জবাব নেই। পারভেজ ইলিয়ানাকে এতোক্ষন শুভ্রা ভেবেই এসব বলছিলো।
ইলিয়ানাঃ না মানে… আমি.. শুভ্রা নই।
পারভেজ চোখ তোলে তাকিয়ে দেখে সামনে ইলিয়ানা দাড়ানো।
পারভেজঃ উহহ সরি সরি.. আসলে প্রতিদিন শুভ্রাকেই আগে দেখি আর সবার কাছ থেকে শুনেই আমি রান্নাঘরে শুভ্রা ভেবেছিলাম।
ইলিয়ানাঃ ইটস অকে। আসলে শুভ্রা মনে হয় এখনো ঘুম থেকে উঠে নি।
পারভেজঃ আচ্ছা। বাট নাইস কফি। দারুন হয়েছে কিন্তু।
ইলিয়ানাঃ মাই প্লেজার। আসলে আমি শুধু কফিটাই বানাতে পারি। আস্তে আস্তে শিখছি শুভ্রার কাছ থেকে। আজ একটু ট্রাই করেছি।
পারভেজঃ আচ্ছা আচ্ছা। আসলে কাল রাতের জন্য মাইন্ড করবেন না। আপনাকে এতো ডাকার পরেও আপনার সাড়া নেই তাই বাধ্য হয়েই হাত টা ধরেছিলাম।
ইলিয়ানাঃ মাইন্ড করার কি আছে। আসলে আমি একটু অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিলাম তাই খেয়াল ছিলো না।
পারভেজ আর ইলিয়ানা কথা বলতে বলতে পারভেজের মা আর কুবরা চলে আসে। দুজনেই এসে দেখে ইলিয়ানা আর পারভেজ কথা বলছে।
ইলিয়ানা পারভেজের মাকে দেখে দুজনকেই খেতে ডাকে। আর ইলিয়ানা রান্নাঘরে চলে যায় সব কিছু ডাইনিং এনিয়ে আসতে।
কুবরা এসে পারভেজের কানে ফিসফিসিয়ে বলে ” কি গো ভাইয়া.. আমাদের লুকিয়ে ট্রাই করার চেষ্টা করছো নাকি?? “”
পারভেজঃ দিবো তোকে এক ফাজিল মেয়ে। খেতে বস।
পারভেজের মাঃ আচ্ছা একটা কথা বল তো পারভেজ… মেয়েটাকে কেমন লাগে?
পারভেজঃ ভালো, ভদ্রশিষ্ট, খুব সুন্দর কথা বলে। কেন বলো তো?
পারভেজের মাঃ না বলছি তোর কোমন লাগে? মানে.. মানে বুঝছিস না..
পারভেজঃ মানে মানে কি আম্মু!! তোমরা সবাই আমার পিছু কেন নিয়েছো বলো তো?
পারভেজের মাঃ আচ্ছা বাবা বাদ্দে। রাগ করিস কেন বল তো খামকা? বিয়ের বয়স তো তোর হয়েছেই। বিয়ের কথা বললেই কেন চটে যাস? আমার তো বয়স হয়েছে নাকি?
এদিকে ইলিয়ানা খাবার দিতে আসায় কিছু কিছু কথা শুনা যাচ্ছে। তবে ভালো করে কিছু বুঝছে না। কুবরা ও ইলিয়ানাকে সাহায্য করছে। আস্তে আস্তে বাড়ির সকলেই চলে আসে।
শুভ্রা আর সাদাফ ও রেডি হয়ে চলে আসে। তারপর সকলে মিলে একসাথে খেতে বসে। সকলে তো মোমো আর কেক খেয়ে এত্তো প্রশংসা করেছে ইলিয়ানার। আজ প্রথম ইলিয়ানার তৈরি খাবার খেয়ে সকলের মুখে প্রশংসা শুনে ইলিয়ানার মন খুশিতে ভরে উঠে। সে নিজেই এখন বুঝতে পারছে সকলের সাথে মিলে মিশে থাকলে, সকলের মনের মতো হলে মনের মধ্যে সুখ কতো আপ্লুত থাকে।
#চলবে।
( এই যে আপনাদের বলছি,, সবাই যে শুভ্রা সাদাফের ব্যাপারটা বোরিং বলে মন খারাপ করেছেন তাদের জন্য আজকের পার্ট। মান সম্মান সব পেলাস্টিক করে দিয়েছি কিন্তু প্রথম গল্পতেই। সবার কাছ থেকে গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি। আর আপনাদের দোয়া আর আল্লাহর রহমতে অনেক সুস্থ হয়েছি। অনেক ধন্যবাদ 💖💖💖)