#অতঃপর_প্রেমের_গল্প❤ [উপন্যাস]পর্ব____২০
#কায়ানাত_আফরিন
রাজনৈতিক কোন্দল ছেড়ে হঠাৎ সময়ের ব্যবধানে সারা কলেজ নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। এতক্ষণের চলা ভয়ঙ্কর মারামারি অবশেষে থেমেছিলো পুলিশ অফিসারদের চার্জ পড়াতে। ফারহান থেমে যায় তখন। সেই সাথে ডানপন্থী দলের লোকরাও। বলা বাহুল্য, আফরা আর ইলার সাথে যে বা যারা অশ্লীল আচরণ করেছিলো তারা ছাত্রনেতা ওমর ফারুকের লোক ছিলো। মেয়ে দুটোকে ভীড়ের মাঝে অসহায় দেখে ওরা দুজন নিজের পশুত্বটা দমাতে পারেনি। তখনই ওমর ফারুকের সাথে তর্কাতর্কির পর ফারহান দ্রুত পায়ে বেরিয়ে আসছিলো প্রধান ভবন থেকে। ওর মস্তিষ্কে এখনও ওমরের সেই হুমকি দেওয়া কথাগুলো স্মৃতিচারণ হচ্ছে বারবার। সাহস কি করে হলো ওর ফারহার জুবায়ের কলার ধরার মতো দুঃসাহসিক কাজে হাত বাড়ানোর? এদিকে চেয়ারম্যান আদিত্য ব্যানার্জী রীতিমতো ওকে ফোর্স করছে ইলেকশনে যোগদান করার জন্য যেদিকে ফারহান স্টুডেন্টসদের পক্ষে এবং এসব কোন্দলের বাহিরে।
ফারহান নিঃশ্বাস ছাড়লো তখন।নিজের রাগকে যথাসম্ভব কাবু করে ফিরে যাচ্ছিলো তখনই হঠাৎ ওর চোখ যায় ভীড়ের মধ্যে থাকা ইলা আর আফরার দিকে। ওদেরকে দুজন ঘিরে আছে। চোখেরদৃষ্টিতে কামুকতা। ইলার কাদো কাদো মুখ দেখে ফারহান বড়ো বড়ো পা ফেলে এগিয়ে গেলো সেখানে। যা দেখলো এতে ওর চাপা ক্ষোভ নিমিষেই আগ্নেয়গিরির মতো বিস্ফোরণ করলো এবার। ওরা দুজন ডানপন্থী দলের লোক। গায়ে জড়ানো টিশার্ট তারই প্রমাণ দিচ্ছে। এর মধ্যে একজনের হাত আফরার শরীরে অপ্রীতিকর স্থানে ছোয়াতে গেলেই ফারহান আর দমাতে পারো না নিজেকে। কোনো কিছু না ভেবে এলোপাথারি ওদের মারতে লাগলো। ভেতরকার ওমরের আচরণে একপলকও ফারহানের মনে হয়নি ওকে শেষ করার ইচ্ছা। কিন্ত এদেরকে মেরে পিষে ফেলার মতো হিংস্র ইচ্ছে জেগে ওঠেছিলো ফারহানের মনে। পরে মারামারিটা এতই তুঙ্গে উঠে যায় যে কলেজ কতৃপক্ষ বাধ্য হয় পুলিশকে জানাতে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে ওদের গ্রেফতার করার জন্য উদ্ধত হলেই চেয়্যারম্যান আদিত্য ব্যানার্জী ঘরে বসেই ব্যাপারটা সামলে নেয়। যেহেতু ফারহানের সাথে তার নিজেদের লোকরাই যুক্ত রয়েছে তাই তিনি চাননা যে ওমর ইলেকশনের আগে কোনো পুলিশি ঝামেলায় পড়ুক। তারপর সেখানেই থেমে যায় ব্যাপারটি।
এখন দুপুর ঢলে নেমেছে বিকেল। তপ্তমান দুপুরের কড়া রোদ্দুর পাড়ি দিয়ে এখন সিক্ত শীতল হাওয়ির সমাহার সর্বত্র। ফারহানের গাড়িটি এবার দ্রুত ব্রেক কষলো একটি কাঠবাগানের সামনে। ফারহানকে এখানে গাড়ি থামাতে দেখে পিছু পিছু গাড়ি থামালো ফাহিমও। ফরহান খেয়াল করেছে পেছনে ফাহিমকে অনুসরণ করতে। কিন্ত ফারহান সেটাতো নজর না এলিয়ে বসে পড়লো গাড়ির ওপর। সাব্বির-শামসু এদিকে ফারহানের মোবাইলে বার বার কল দিয়ে যাচ্ছে, এমনকি নিয়াজি সাহেবও। তবে এদের একজনের কলও ধরলো না ফারহান। সুইচড অফ করে গাড়ির ভেতর ছুঁড়ে মারলো। ফাহিম তা দেখে বললো,
-‘ফারহান শান্ত হও। তোমার এই তেজি আচরণ বেশ ভাবিয়ে তুলছে আমাকে।’
ফারহান গর্জে ফাহিমের উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,
-‘ফাইন ফাহিম ! আমার সম্পর্কে মোটেও ভাবতে হবেনা তোমাকে। তুমি আমার কাজির ব্রাদার ছাড়া কিছুই নও। সো এসব ভাবাভাবি না দেখিয়ে আমার চাচি মিসেস নাবিলার মতো আমায় ট্রিট করলেই তো পারো!’
ফাহিম নীরব হয়ে গেলো। এতক্ষণ আফরা আর ইলা গাড়িতে বসে থাকলেও ফারহানের হঠাৎ এভাবে গর্জে ওঠাতে বেরিয়ে এলো গাড়ি থেকে। তখনই ফারহানের চোখাচোখি হলো আফরার সাথে। অপরূপা সুন্দরী আফরার গায়ের রূপ যেন সর্বত্র কাঠবনে ছড়িয়ে পড়ছে। পিচ ঢালাই পথের একপাশে গভীর খাদ আর একপাশে কাঠবন। মাঝখানে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে দুটো গাড়ি। বিকেলের হলদেটে আলো পরিবেশে অন্য মাদকময় করে তুলছে। সেই সাথে আফরাকেও। ফারহান শ্বাস ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে এলো আফরার এমন চাহিনী দেখে। ও এগিয়ে গেলো আফরার দিকে। বাহুটা সজোরে চেপে বলে উঠলো,
–‘আপনি কি পাগল আফরা? নুন্যতম কমন সেন্স কি আপনার মাঝে নেই? দেখছিলেন যে ওই জায়গিাটি গরম ছিলো রাজনৈতিক তাপদাহের জন্য তাহলে কেনো এগিয়ে গিয়েছিলেন ওখানে?’
আফরা ফারহানকে বলতে না দিয়েই মিহি কন্ঠে বলে ওঠলো,
–‘আপনার জন্য ।’
ঠায় হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সেখানে ফারহান। আস্তে করে ছেড়ে দিলো আফরার বাহু। ফারহানের শরীর আজ দুর্বল লাগছে বেশ। তখনকার মারামারিতে সে নিজেও কড়াকড়ি আঘাত পেয়েছে। এর মধ্যে সাদা টিশার্টের হাতের কাছে কিভাবে যে রক্তে মাখামাখি হয়ে গেলো তা সে খেয়ালই করে নি। আফরা সেটা দেখেই বিচলিত হয়ে গেলো হঠাৎ। বলে ওঠলো,
–একি ফারহান! আপনার হাতে দেখি………
একথাটি বলে আফরা ফারহানের হাত স্পর্শ করতেই ফারহান নিজের হাত ছাড়িয়ে বললো,
–‘ডোন্ট চাট মি।’
আফরা শুনলোনা। এতদিন এই মোহনীয় মানুষটার বড্ড অবাধ্য হয়েছে সে । আজ আরও একবার অবাধ্য হলে দুনিয়া উল্টে যাবে না। ফারহানের হাত টেনে দ্রুত ফাহিমের গাড়ির কাছে নিয়ে গেলো। বিচলিত কন্ঠে বললো,
–‘ফাহিম ! দ্রুত এর হাতে ব্যান্ডেজ করে দিন।’
–‘আমার লাগবে না বললাম তো?’
ফারহান নিজের হাত ছাড়িয়ে চলে যেতেই আফরা আরও জোরালোভাবে ওর হাত আকড়ে ধরলো। ফারহানের এবার অস্বস্তি হচ্ছে বেশ। আফরা কড়াভাবে বললো,
–‘আপনার যা মন চায় তাই করুন তবে আগে হাতে ব্যান্ডেজটা করে নিন ফারহান!’
‘ফারহান’ নামটা আফরাকে খুব কমই উচ্চারণ করতে দেখা যায়। তাই বিচলিতভাবে মিঃ কমরেড নামটি না শুনে নিজের নাম শুনাতে সপ্রতিভ হলো ফারহান। এবার নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো নিবিড়ভাবে। ফাহিমকে মাথা নাড়িয়ে ইশারায় তাই ব্যান্ডেজ করতে বললো আফরার কথায়। আজকে আফরার আর সাত রঙের চা খাওয়া হলোনা কলেজের সেই দুর্ঘটনার জন্য। যদিও ফারহান বারবার বলেছিলো যে ওর জন্য আফরাকে নিজের ভ্যাকেশন নষ্ট না করতে কিন্ত আফরা শুনেনি।কেনো শুনেনি তা নিজেও জানেনা আফরা। ও শুধু এতটুকু অনুভব করতে পেরেছে যে এই আহত মানুষটাকে রেখে কিছুতেই শান্তিতে ঘুরতে পারবে না সে। তাই সবাই মিলে সন্ধ্যা হওয়ার আগেই ফিরে গেলো নেলসন টি এস্টেট এর উদ্দেশ্যে।
_______________
খাওয়ার টেবিলে রাতের খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে ডায়নিং টেবিলে এসে বসলো আফরা।ফাহিম আর ইলা ইতিমধ্যে খাবার খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। মিঃ ইফাজ অপেক্ষা করছিলেন আফরার আসার জন্য। আফরার সাথে উনার চোখাচোখি হওয়া মাত্রই আফরা বিনিময়ে মুচকি হাসি দিলো। বিনয়ী কন্ঠে বলে ওঠলো,
-‘কেমন আছেন আঙ্কেল? ইদানীং তো আপনাকে বেশ ব্যস্ত দেখছি। আমার সাথে তো কথা বলারই সময় পান না।’
মিসেস নাবিলা মিহি ভাবে বললেন,
-‘তা আর বলো না আফরা। এই বুড়ো বয়সে কি দরকার এত কাজ সামলানোর? আমি বারবার না করেছিলাম এসব কাজ রাখো , আগে নিজের শরীরের যত্ন নাও। কিন্ত তোমার আঙ্কেল কি আদৌ আমার কোনো কথা শুনে?’
ইফাজ সাহেব মলিন হাসলেন। খাবারে আঙুল নাড়াতে নাড়াতেই বলে ওঠলেন,
-‘আমি না করলে এসব কাজ কে করবে শুনি?’
-‘কে করবে আবার? তোমার ভাইয়ের ছেলে ফারহান আছে না? এতবছর ওকে দেখেশুনে রাখলাম ; এখন ওর উচিত না একটু চাচার দিকে নজর রাখার? তাছাড়া ও করেটা কি শুনি? চা বাগান থেকে বসে বসে ইনকাম করে রাজনীতিতে বিলিয়ে দেয়।’
শেষের কথাটি ব্যঙ্গস্বরূপ বললেন মিসেস নাবিলা। এতে অসন্তুষ্ট হলেন মিঃ ইফাজ। সেই সাথে ফাহিম আর ইলাও। আফরা যে ঠিক কি ভাবছে সেটা ওর মুখভঙ্গি দেখে বোঝা গেলো না। সে আপনমনে খাবার খেয়ে যাচ্ছে। মিঃ ইফাজ ফারহানের ব্যাপারে আর কথা বাড়ালেন না। আফরা কে জিজ্ঞেস করলেন,
-‘আফরা তোমার মম ড্যাডের সাথে কথা বলো তুমি?’
আফরা খাওয়া রেখে শীতল দৃষ্টিতে একপলক মিঃ ইফাজের দিকে তাকালো। তবে কোনো কথা না বলে পুনরায় খাওয়াতে মনোযোগ দেওয়ায় উনি বুঝে গিয়েছেন আফরার উত্তর। তাই বলে ওঠলেন,
-‘কেনো কথা বলোনা উনাদের সাথে তুমি? তোমার মম ড্যাড তো প্রতিদিন কল দেয় আমায় তোমার খোঁজ নেওয়ার জন্য।’
-‘তাদের বলে দিয়েন আঙ্কেল যে আমি কোনো বাচ্চা মেয়ে না যে বারবার খোঁজ খবর নিতে হবে।আমি চাই না যে কেউ বারবার আমায় নিয়ে খোঁজখবর নিক।’
আফরা শীতল কন্ঠে কথাগুলো বলে খাওয়া শেষ করলো এবার। ঘুমানোর উদ্দেশ্যে সবাইকে শুভরাত্রি জানিয়ে চলে গেলো নিজের শোয়ার ঘরে। মিঃ ইফাজ আফরাকে এখনও বাবা মায়ের প্রতি এত বিক্ষোভে জর্জরিত দেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। তিনি সবই জানেন আফরার সাথে অ্যামেরিকায় ঘটা সেই ঘটনাগুলো যার জন্য ওর মা বাধ্য হয়ে শাস্তিস্বরূপ ওকে পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে। তবে এটা সত্যি যে অ্যামেরিকায় ও যেভাবে লাইফ লিড করে সেভাবে ও আরও কিছুসময় থাকলে ওর জীবন আরও অগোছালো হয়ে যেতো। হয়তো ওর জীবনের এক নতুন মোড় বাংলাদেশের এই ছোট্ট অঞ্চল শ্রীমঙ্গলেই হবে।
___________
রাতের গহীনে উন্মাদ সারা অঞ্চল। কিছুক্ষণ আগে কারেন্ট চলে যাওয়াতে দূর দূর বাড়িগুলোকে ভুতুড়ে বাড়ি মনে হচ্ছে। ইলা আস্তে করে মোবাইল নিয়ে পূব দিকের বারান্দায় চলে গেলো। ওর কপালে সুক্ষ্ণ ঘাম রয়েছে। ঠোঁট কাঁপছে তুমুল উত্তেজনায়। আজ কলেজে থাকাকালীন সময়ে ওর প্রিয় মানুষটা কল করেছিলো বারবার। কিন্ত ভাইয়ের নজরে পড়ার ভয়ে একবারও কল ধরার সিহস পায়নি। এখন সারা বাড়ি নিস্তব্ধ। তার ওপর আবার বিদ্যুৎ নেই। তাই তাকে কল দিতে হলে খুব সাবধানে কল দিয়ে মিহি স্বরে কথা বলতে হবে। ইলা এবার তপ্ত শ্বাস ছেড়ে সেই নম্বরে কল দিলো এবার। দু’বার রিং বাজতেই অপরপাশ থেকে ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে ওঠলো,
–‘হ্যালো ইলা। কি হয়েছিলো তোমার? তখন বারবার কল দিচ্ছিলাম কি হয়েছিলো যে ফোন ধরোনি?’
ইলার ঠোঁটকোলে স্মিত হাসি ফুটে ওঠে মানুষটির কন্ঠ শুনে।প্রতিউত্তরে বলে উঠলো,
-‘ভাই আর আফরা আপু সাথে ছিলো সাব্বির। তাই তোমার কল ধরিনি।’
সাব্বির চুপ হয়ে রইলো এতে। এটাই সেই সাব্বির যে হলো ফারহানের বিশ্বস্ত সঙ্গী। ফারহানের সাথে কথা বলার সুবাদে প্রায়ই শামসুর সাথে আসা হতো নেলসন টি এস্টেটে। সেই সুবাদে পরিচয় হয়ে যায় ফারহানের ছোট চাচাতো বোন ইলার সাথে। কথার ভাঁজে ভাঁজে কখন যে ওদের মধ্যে নতুন অনুভূতির সূত্রপাত হয় তা দুজনের কাছেই ছিলো একেবারে ধারনার বাহিরে। তবে ওদের এ সম্পর্কের ব্যাপারে কেউই জানেনা। তাছাড়া সাব্বির বা ইলা কেউই চায়না ওদের সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে। কেননা উপযুক্ত সময় এখনও হয়নি। সাব্বিরের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো ইলার। কথা হলো আজ দুপুরে ফারহানের হঠাৎ মারামারির কোন্দল নিয়েও। সাব্বির একপর্যায়ে বলে ওঠলো,
-‘আচ্ছা ইলা , আফরাকে ফারহান ভাইয়ের সাথে কেমন লাগবে?’
ইলা বিস্মিত হলো সাব্বিরের কথা শুনে। এমনভাবে সে মাবলেও এতোটা গভীরভাবে সে ভাবেনি। তাই অবাক গলায় বললো,
-‘মানে?’
-‘আমার কেনো যেনো মনে হয় ফারহান ভাই কিছুটা দুর্বল আফরার প্রতি। কেননা আমি কখনোই কোনো মেয়ের প্রতি তাকে অভিভূত হতে দেখিনি।’
ইলা ঠোঁট চেপে রাখলো কিছুক্ষণ। এই ব্যাপারে কথা এড়িয়ে কল কেটে দিলো পরিশেষে। বাহিরে ফুরফুরে হাওয়া বইছে। নিশিরাতের বাতাসে অন্যরকম এক উত্তেজনা কাজ করলো ইলার। তবে চিন্তাও হচ্ছে ফারহান ভাইয়ের ব্যাপারে। কেননা ইতিমধ্যে মায়ের কাছে শুনেছে আফরা আর ফাহিম ভাইয়ের সম্পর্ক এগোনোর কথা। তাছাড়া ইলার ধারনা ফাহিম ভাই মনে মনে পছন্দ করে আফরাকে যা সূচনাতেই সে ধরতে পেরেছিলো। যদি ফারহান ভাই ব্যাপারটাতে এগিয়ে আসে তাহলে মা কখনোই ক্ষমা করবেনা ফারহানকে। ভাবতেই ওর ছোট মনে প্রবল উদ্বেগ দেখা দিলো।
.
.
.
~চলবে ইনশাআল্লাহ