অনুভবের প্রহর পর্ব-৩২

0
2160

#অনুভবের_প্রহর
#অজান্তা_অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব____৩২

________
শুক্রবারের সকাল। বেলা দশটার মতো। আকাশে সূর্য তীর্যক ভাবে আলো বিকিরণ করছে। দিনটি পরিষ্কার! গ্রামের মেঠোপথ ধরে প্রহর এগিয়ে চলেছে। পাশে অনুভব! সাথে আরেকজন আছে। নাজমুল নামের বাবার সেক্রেটারি! নাজমুলের আরেকটা পরিচয় হলো সে অনুভবের বাল্যকালের বন্ধু। বিষয়টা সম্পর্কে প্রহর প্রথম অবগত হওয়ার পর দারুণ বিস্মিত হয়েছিল। সত্যি! পৃথিবীটা ভীষণ ছোট। ঘুরেফিরে পরিচিত মানুষদের সাথে ঠিক দেখা হয়ে যায়।

পথের দু পাশে সরিষা খেত। সরিষায় ফুল ফোটার সময় হয়ে এসেছে। বিশাল মাঠের মাঝে বেশকিছু খেতে ইতোমধ্যে ফুল ফুটেছে। প্রহর সেসবই দেখছিল। অনুভব আড়চোখে তার দিকে তাকালো। গতকাল রাতে তারা গ্রামে এসে পৌঁছেছে৷ সাথে এসেছে নাজমুল। মাঝের দিনটা থেকে আবার আগামীকাল ভোরে রওনা দিতে হবে। প্রহরের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা চলছে। একদম হেলাফেলা করা যাবে না। সে প্রহরের শরীর ভালো মতো লক্ষ্য করে বললো,

‘প্রহর কোথাও অস্বস্তি হয়? হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে?’

‘উঁহু। ভীষণ ভালো লাগছে।’

প্রহর প্রফুল্ল চিত্তে হাসলো। সত্যি ভালো লাগছে তার। শারীরিক অসুস্থতা বেমালুম ভুলে গেছে। গ্রামের পরিষ্কার হিমেল বাতাস। কেমন ভেতর বাহির শান্ত করার মতো পরিবেশ। সে চারপাশে দৃষ্টি রেখে অনুভবকে জিগ্যেস করলো,

‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’

‘জানি না! নাজমুল বের হতে বললো।’

নাজমুল আনমনে হাঁটছিল। তাদের থেকে বেশি দূরে নয়। প্রহর ডাক দিল।

‘নাজমুল ভাই কোথায় যাচ্ছি আমরা?’

নাজমুল পেছন ঘুরে দাঁড়িয়ে পড়লো। দুজন কাছাকাছি আসতে বললো,

‘উদ্দেশ্য মূলক ভাবে কোথাও যাচ্ছি না। এলোমেলো হাঁটতে থাকি৷ তবে দুপুরের দিকে গ্রামের শেষ মাথায় যে সরকারি হাসপাতাল আছে ওখানে যাব।’

_______

গ্রাম্য হাসপাতাল হলেও বেশ ছিমছাম মনে হলো প্রহরের। হবে না-ই বা কেন? দিন বদলাচ্ছে, প্রযুক্তি উন্নত হচ্ছে। পৃথিবী উন্নত হচ্ছে। সে বর্তমানে বসে আছে হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে। হাতে সিরিয়াল নাম্বারের একটা টোকেন। অনুভব তাকে এখানেও ছাড় দিল না৷ ঢাকার কোন বড় ডাক্তার নাকি এসেছে। শরীরটা প্রাথমিক ভাবে দেখানোর জন্য এই ব্যবস্থা। হাতের স্লিপটার দিকে তাকালো প্রহর। বিড়বিড় করে ডাক্তারের নামটা পড়লো। ডা. স্বপ্নীল মুরসালিন।

নাজমুল আসছে। সে কাছাকাছি আসতে প্রহর কপাল কুঁচকে বললো,

‘নাজমুল ভাই, এটা কোনো কথা? অনুভবকে বাঁধা দিচ্ছেন না কেন? গ্রামে ঘুরতে এসেও ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। আশ্চর্য মানুষ!’

নাজমুল মৃদু হাসলো৷ মাঝে একটা সিট রেখে প্রহরের পাশে বসে পড়লো। বললো,

‘সময় লাগবে না! আপনাতে শেষ সিরিয়াল। যাবেন আর আসবেন। কয়েক মিনিটের ব্যাপার।’

‘তবুও! তিনি কোথায়?’

‘আছে ওয়ার্ডে। গ্রামের পরিচিত একজন একটু অসুস্থ। তার সাথে কথা বলছে। আমি আছি এখানেই। আপনি……’

‘নাজমুল ভাই!’

তাকে থামিয়ে দিল প্রহর। কপট রাগ দেখিয়ে বললো,

‘আপনাকে বলেছি তো আমাকে আপনি করে সম্বোধন করবেন না। কত বড় আপনি আমার। আমি আপনার ছোট বোনের……’

প্রহর কথা শেষ করতে পারলো না। দরজা খুলে গেছে। কিশোর এক ছেলের মুখ দেখা যাচ্ছে। তার সিরিয়াল ধরে ডাকছে। সে দ্রুত পায়ে এগিয়ে গেল। তার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলো নাজমুল৷ বুক চিঁড়ে গভীর দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। সাথে সূক্ষ্ম এক ব্যথা!

________

অনুভব বিমুঢ়! বিমূর্ত হয়ে তাকিয়ে আছে নূপুরের দিকে। নূপুর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। চেহারার কিশোরী ভাবটা এখনো যায়নি। তবে বড় বড় লাগছে। পুরনো হাসিখুশি আর দুষ্টমি ভাব সাথে রয়ে গেছে। অনুভবের চোখ গেল নূপরের কোলে রাখা বাচ্চাটার দিকে। ফুলের মতো এক শিশু। বয়স বছর দুয়েক হবে হয়তো। বিস্ময় লুকাতে পারলো না সে৷ চমকিত সুরে বললো,

‘নূপুর! নূপুর তুই? সত্যি তুই?’

নূপুরও অবাক হয়ে চেয়ে রয়েছে। এই আকস্মিক সাক্ষাৎ যে সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত তা মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যে চোখ নামিয়ে নিল সে। মাথা নুইয়ে ফেলল। লজ্জা লজ্জা লাগছে ভীষণ! একটা সময় এই ছেলেটার জন্য কতটা পাগল ছিল ভাবতে লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করলো। তখন বয়স কম ছিল। ম্যাচুরিটি কম ছিল! আবেগের বশে কতকিছু বলতো। কতকিছু করতো! সেসব মনে হতে অস্বস্তি শুরু হলো। এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো অসহায় ভঙ্গিতে যেন উত্তরণের পথ খুঁজছে। তাকে অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিল অনুভব। হাস্যোজ্জ্বল সুরে বললো,

‘নূপুর কেমন আছিস রে? কতদিন পর দেখা হলো বলতো? সাত-আট নাকি নয় বছর? মাই গড!’

নূপুর সহজ হয়ে এলো বেশ। মুখে হাসি ফুটে উঠলো তার। বললো,

‘আমি অনেক ভালো আছি। তুই কেমন আছিস? তোর শরীর কেমন?’

‘হুঁ! ভালো আছি৷ শরীরও বেশ আছে। বাচ্চা কার?’

‘কার হবে আবার?’

দুজন স্বশব্দে হেসে উঠলো। সমস্ত অস্বস্তি দূরে মিলিয়ে গেল যেন। কিছুক্ষণ দুজনের কেউ কিছু বললো না। নূপুর হঠাৎ কৌতূহল নিয়ে জিগ্যেস করলো,

‘হাসপাতালে কেন হঠাৎ?’

‘প্রহরকে একটু ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছি।’

নূপুরের প্রশ্নাতুর দৃষ্টি বুঝতে পারলো অনুভব৷ ঝটপট বললো,

‘অহ! প্রহর আমার ওয়াইফ।’

বলার পরই বোধ হলো অনুভবের। নূপুর কি কষ্ট পেল? তার খচখচানি দূর হলো দ্রুত। নূপুরের অভিব্যক্তির কোনোরূপ পরিবর্তন হয়নি৷ প্রফুল্ল দেখাচ্ছে তাকে৷ সে হাসিমুখে বললো,

‘তোর বউয়ের সাথে বোধ হয় আজ দেখা হয়ে যাবে। দেখতে পারবো?’

‘কেন নয়? ওর ডাক্তার দেখানো শেষ এতোক্ষণে হয়তো। তুই এখানে কেন?’

‘ওর বাবা ডাক্তার। জানিস তো। সারাক্ষণ এত ব্যস্ত থাকে। জোর করে এবার গ্রামে নিয়ে এসেছি ছুটি কাটানোর জন্য। এখানে এনেও শান্তি নেই। আসার পর থেকে রেগুলার রোগী দেখে যাচ্ছে। এই মানুষটা একদন্ড শান্তি দেয় না।’

নূপুর মুখে ‘শান্তি দেয় না’ বললেও তার কন্ঠের আড়ালে লুকিয়ে রাখা খুশিটুকু লুকিয়ে রাখতে পারলো না। স্বামীর এই রোগী দেখার ব্যস্ততা বলতে গিয়ে তার চেহারা ঝলমল করছে৷ অনুভব স্বস্তি পেল৷ বুঝতে সক্ষম হলো নূপুর সুখে আছে৷ খুশিতে আছে। তার স্বামী তাকে ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে।

‘ওই তো উনি আসছে!’

অনুভব পেছন ঘুরে তাকালো। ভরাট চেহারার এক সুদর্শন পুরুষ এগিয়ে আসছে৷ গায়ে এপ্রোন। চোখে চশমা। অনুভব তাকিয়ে রইলো বেশ কিছুক্ষণ। চেহারা টা পরিচিত মনে হচ্ছে। কোথাও দেখেছে মনে হচ্ছে। কিন্তু স্মরণে পরলো না। এ জীবনে কত ডাক্তারের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লোকটি এগিয়ে এলো। নূপুর ঝলমলে সুরে দুজনের দিকে তাকিয়ে বললো,

‘অনুভব উনি আমার স্বামী। ডা. স্বপ্নীল মুরসালিন। আর ও হলো অনুভব। আপনাকে তো বলেছিলাম।’

অনুভব হাত বাড়িয়ে দিল। স্বপ্নীলকে তেমন উৎসাহী দেখাল না। তবে হাত মিলিয়ে কুশলাদি জিগ্যেস করলো৷ পরক্ষণে নিজের ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। ছেলেটা বাবাকে দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়লো বাবার কোলে যাওয়ার জন্য। পাপা পাপা বলে ঝাঁপিয়ে পড়লো। স্বপ্নীল ছেলেকে কোলে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো৷ অনুভবের কথা মনে রইলো না যেন। নূপুরকে উদ্দেশ্য করে বললো,

‘নূপুর আপনার বুদ্ধি হবে কবে? বাবুকে এত পাতলা কাপড় পরিয়ে বাহিরে এনেছেন। যদি ঠান্ডা লেগে যায়?’

‘ঠান্ডা লাগলে লাগবে। আপনি ডাক্তার সাহেব আছেন কেন? হুম?’

অনুভব হাসলো৷ স্বপ্নীলের কোলে থাকা বাবুর দিকে ডান হাত বাড়িয়ে দিল। গাল টিপে বললো,

‘বাবু তোমার নাম কি?’

বাবু নাম তো বললো না। উল্টো গাল টিপে দেওয়া অনুভবের হাতের আঙুল কামড়ে দিল৷ অনুভব চমকে অস্ফুট শব্দ করলো। নূপুর ভীষণ লজ্জায় পড়লো৷ ছেলের দিকে গরম চোখে তাকালো। বদৌলতে ছেলে খিলখিল করে হেসে উঠলো। নূপুর আড়ষ্ট গলায় বললো,

‘বাবুর দাঁত উঠার পর থেকে কামড় দেওয়া স্বভাব৷ যা কিছু পাবে কামড় দিবে। বিশেষ করে গাল টিপে দিলে আরো রেগে যায়।’

অনুভব অসহায় ভঙ্গিতে হাসলো৷ মাথা নেড়ে হুঁ হাঁ করলো। আঙুল জ্বালা করছে৷ মনে মনে বিড়বিড় করলো,

‘কি বিচ্ছু ছেলে! বড় হয়ে একদম বাবার মতো হবে।’

সে ডাক্তারের দিকে তাকালো। চশমার ভেতর দিয়ে জ্বলজ্বল চোখে অনুভবের দিকেই তাকিয়ে আছে। যেন চোখ দিয়ে ভস্ম করে ফেলবে। মুখ দেখে মনে হচ্ছে জীবনে হাসেনি৷ সে-ও তো অতিরিক্ত গুরুগম্ভীর। কিন্তু ভদ্রতা বজায় রাখার জন্য অপরিচিতদের সাথে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করে৷ কিন্তু এই সুঠামদেহী সুপুরুষ স্বাভাবিক ভদ্রতা টুকু জানে না। নাকি তার প্রতি আলাদা আক্রোশের কারণ সে তার বউয়ের প্রথম ক্রাশ ছিল?

পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার আগে অনুভব সবার থেকে বিদায় নিয়ে হাঁটা ধরলো। বাবুর নাম জানতে হবে না। সে মনে মনে ইতোমধ্যে একটা নাম দিয়ে ফেলেছে। তাকে দ্রুত পায়ে হাসপাতালের ভেতর ঢুকতে দেখা গেল।

অনুভব চলে যেতে নূপুর চোখ গরম করে তাকালো ডাক্তারের দিকে। স্বপ্নীল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। অসহায় গলায় বললো,

‘এভাবে তাকাচ্ছেন কেন নূপুর? ভুল কিছু করেছি?’

নূপুর কনুই দিয়ে পেটে গুঁতো দিয়ে বললো,

‘আপনাকে বলেছি না অপরিচিত মানুষদের সামনে “আপনি” “আপনি” করবেন না? আমি আপনার দশ বছরের ছোট! তুমি করে বলা কি খুব কঠিন?’

‘হুঁ! খুব কঠিন। আপনি আমার থেকে পনেরো-বিশ বছরের ছোট হলেও আপনি ডাকতাম।’

নূপুরের চেহারায় লজ্জার ছাপ স্পষ্ট হলো। স্বপ্নীলের থেকে লুকানোর জন্য মুখ ঘুরিয়ে নিল। দৃষ্টি রাখলো সুদূরে! হাসপাতালের বারান্দা দিয়ে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাচ্ছে। স্বপ্নীলকে কখনো বলা হয়নি তার মুখের ‘আপনি’ ডাকটা বেশি প্রিয় তার। সতেরো বছর বয়সে বাবাকে শর্ত দিয়ে মানুষটাকে বিয়ে করেছিল। অনুভবের চিকিৎসা খরচ বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা দেওয়ার শর্তে বিয়েতে রাজি হয়েছিল যা অনুভবের অগোচরে। ভাঙা মন নিয়ে শহরে পাড়ি দিয়েছিল সেদিন। স্বপ্নেও ভাবেনি এই রগচটা ডাক্তার কে এতটা ভালোবেসে ফেলবে। অথচ গুরুগম্ভীর মানুষটা একের পর এক তার শত আবদার, শত রকমের বাচ্চামো অবলীলায় পূরণ করতে থাকে। তার প্রতি খুঁটিনাটি যত্নাদি আর তাকে নিয়ে এক সমুদ্র উদ্বিগ্নতা একসময় বাধ্য করে নতুন করে প্রেমে পড়তে। নতুন করে ভালোবাসতে। অনুভবের প্রতি জীবিত অনুভূতিকে ধূলিসাৎ করে তীব্র অনুভূতি নিয়ে এই ডাক্তার সাহেবের প্রেমে পড়তে বাধ্য হয় সে। নিজেকে ভেঙে চূড়ে ভালোবেসে ফেলে। এই ভালোবাসা আজন্ম অক্ষয়! নূপুরের মুখে প্রশান্তির হাসি ফুটে উঠলো। সেদিনের একটা সিদ্ধান্তে অনুভব তার ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে আছে৷ সে পেয়েছে নতুন এক তীব্র ভালোবাসার অনুসন্ধান। এর চেয়ে সুখের কিছু আছে? পেছন ঘুরে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে ডাক্তার সাহেবের দিকে তাকালো নূপুর।

______

পরের দিন ভোরে রওনা হলো তারা। সূর্য তখনো উঠেনি। শেষবারের মতো বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে গাড়িতে উঠলো অনুভব। নাজমুল গাড়ি চালাচ্ছে। প্রহর আর অনুভব পেছনে৷ গাড়িতে উঠার পর থেকে অনুভব নিশ্চুপ। প্রহর কিছু বলতে নিয়েও বলতে পারলো না। কিছু কিছু সময় কথা বলার চেয়ে নিশ্চুপ সঙ্গ দেওয়া বেশি কমফোর্টের। সে চুপচাপ অনুভবের হাত চেপে বসে রইলো। অনুভবের দৃষ্টি জানালার ওপাশে। ছন্নছাড়া দৃষ্টি! যে দৃষ্টিতে বাবা-মা হারানোর এক সমুদ্র দুঃখ ফুটে উঠেছে।

(চলবে)

আসসালামু আলাইকুম। নূপুর আর স্বপ্নীলের জীবন দুই ভিন্ন বাঁক থেকে কিভাবে এক হলো? ‘অনুভবের প্রহর’ এটা শেষ হলে পরবর্তী গল্পে ওদের জীবন কাহিনি লিখতে চাচ্ছি। সাথে একগুচ্ছ নতুন চরিত্র নিয়ে। আপনাদের মতামত থাকলে লিখবো। আর চলমান এটা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here