#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_২৭
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
“আমি অতশীকে বিয়ে করতে চাই”।
–মাথা কি ঠিক আছে তোমার?এই পরিস্থিতিতে কি করে এটা বলতে পারলে তুমি?
–সরি বাবা!আমি জানি এটা শুনলে তুমি অনেক বেশি অবাক হবে।বাট আমি আর কোনো উপাই দেখছি না।
–আমি বুঝতে পারছি না ইভান!তুমি হঠাৎ এরকম সিদ্ধান্ত নিলে কেনো?
–কারণ আছে।তুমি জানো আমি কারণ ছাড়া কোনো কাজ করি না।
–কিন্তু কি এমন কারণ?যার জন্য তোমাকে এখনি বিয়ে করতে হচ্ছে?
–অফিসার আকরাম আমাকে থ্রেড দিয়ে গেছে,আজকের মধ্যে অতশীদের যদি ওদের বাসায় না পাঠিয়ে দেই তাহলে নাকি খুব বেশি খারাপ হয়ে যাবে।কিন্তু আমি কিছুতেই অতশীদের পাঠাবো না ও বাড়িতে।
–উনি তো তোমার ভালোর জন্যই বলেছে বাবা।আমিও তো এটাই চাই।যেখানে অয়ন এই মুহুর্তে একজন ওয়ান্টেড আসামী,সেখানে তার পরিবার কে আমাদের বাসায় রাখা মোটেও ঠিক হচ্ছে না তোমার।
ইভান সেই কথা শুনে বললো, বাবা তুমি কি তোমার মেয়ের মৃত দেহ দেখতে পারবে?বা ধর্ষিত কোনো দেহ?
ইভানের এমন কথা শুনে মুহিব সাহেব জোরে করে চিৎকার করে বললো, শাট আপ!কি বলছো এসব?মৌরির সাথে এমন কিছু হতেই পারে না।তাছাড়া ওকে তো পাঠাতে বলছি না।আমি অয়নের ফ্যামিলির কথা বলেছি।ওদের কে পাঠাতে বলছি।
–ইভান তখন বললো মৌরিও তো এখন ওদের পরিবারের সদস্য।
আচ্ছা মৌরির কথা বাদ দিলাম।মৌরির পরিবর্তে যদি অতশীর সাথে এমন কিছু হয় তখন?
ইভানের বাবা এবার চুপ হয়ে রইলেন।
ইভান তখন বললো,চুপ হয়ে গেলে কেনো?উত্তর দাও?
জানি এখন কোনো উত্তর দিবে না।
তুমি যেমন শুধু মৌরির কথা চিন্তা করছো ঠিক আমিও তেমনি মৌরির পাশাপাশি অতশীকে নিয়ে ভাবছি। অতশীর কোনো ক্ষতি হলে আমি কিছুতেই সেটা সহ্য করতে পারবো না।সেজন্য বিয়ে করে সারাজীবন এ বাড়িতেই রাখতে চাই।দেখি তখন কে এসে ওকে চলে যেতে বলে?
ইভানের বাবার মাথায় মনে হয় আকাশ ভেঙে পড়লো।ছেলে তার কি বলছে এসব?
মেয়ে সন্ত্রাসী কে বিয়ে করে নিলো,আর ছেলে আবার সেই সন্ত্রাসীর বোনকেই বিয়ে করতে চাচ্ছে।যা মানসম্মান ছিলো সব শেষ হয়ে যাবে তার।তবুও তিনি ইভান কে বুঝাতে লাগলেন।
দেখো বাবা!অতশীকে বিয়ে করবে ঠিক আছে।আমি মানা করছি না।কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অতশীকে বিয়ে করলে খুবই খারাপ হয়ে যাবে।পুরো মিডিয়া জুড়ে তোলপাড় শুরু হবে।নানা মানুষ নানা কথা বলবে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।পরে না হয় করিও।
–আই ডোন্ট কেয়ার!আমি কাউকে ভয় পাই না।যা হবার হবে।তাছাড়া আমি তো লুকিয়ে বিয়ে করবো না।সবাইকে জানিয়েই করবো।আর অফিসার আকরাম কে সবার আগে বিয়ের কার্ড দিতে চাই।অতশীর আম্মু আর দাদীর সাথে কথা বলো বাবা।এই বলে ইভান চলে গেলো।
মুহিব সাহেব কিছুই বুঝতে পারছেন না।তিনি কি করবেন এখন?আর ইভান কেই বা থামাবেন কিভাবে?মুহিব সাহেব ইভানের কেরিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন।যেখানে সন্ত্রাসী অয়ন কে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরার পারমিশন দেওয়া হয়েছে সেখানে ইভান কি করে তারই বোনকে বিয়ে করছে!
শুভ্র,নীলয় আর দিশান মোটামুটি সুস্থ হয়েছে।ইভান সেজন্য ওদের সাথে দেখা করার জন্য চলে গেলো।
কারণ এই মুহুর্তে এই তিনজন ছাড়া কাউকে সে বিশ্বাস করতে পারছে না।ওদের সাহায্য দরকার ইভানের।অফিসার আকরামের উপর এতোদিন বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয় নি ইভানের।কিন্তু এখন সন্দেহ হচ্ছে।কেনো অফিসার অতশীদের তাদের বাসায় পাঠানোর জন্য বার বার বলছে।নিশ্চয় সন্ত্রাসীদের সাথে আকরামের কোনো হাত আছে?
ইভানের ধারণা সেদিন হাসপাতাল থেকে অয়ন কে অন্য কেউ কিডন্যাপ করেছে।কারন ইভান শুভ্রর থেকে শুনেছে সেদিন যারা অয়ন কে নেওয়ার জন্য এসেছিলো তারা সবাই নরমাল ড্রেস পড়ে এসেছিলো।কিন্তু অয়ন তার ডাইরিতে লিখেছিলো ওর লিডারের পার্সোনাল লোকেরা ব্লাক কালারের ড্রেস পড়তো, যাতে হোয়াইট কালারের ইংরেজি লেটার AN থাকে।
ইভান আজকেও সেদিনের ঘটনা টা আবার বিস্তারিত ভাবে শুনতে লাগলো।যদিও আগেও শুনেছে তবুও আবার তাদের সেম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলো।
সেদিন কয়জন সন্ত্রাস এসেছিলো?
আর তাদের পোশাক কেমন ছিলো?
শুভ্র জানালো নরমাল ড্রেস পড়া ছিলো বাট মুখে কালো কাপড় বাধা ছিলো।
ইভান যেটা সন্দেহ করছিলো সেটাই হলো।
তাহলে এখন অয়নের লিডার অবশ্যই অয়ন কে পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে।নিশ্চয় অয়নের ফ্যামিলিকেও খোঁজার জন্য হয়রান হয়ে গেছে।ইভান সেজন্যই অতশীদের তাদের বাসায় নিয়ে গেছে।কিন্তু কারা অয়ন কে নিয়ে গেলো?ইভানের মাথায় কিছুতেই আসছে না।সেজন্য ইভান অয়নের ডাইরিটা আবার ভালো করে পড়তে লাগলো।
সারাদিন আর বাসায় ফেরা হলো না ইভানের।এই মুহুর্তে ইভান মারাত্মক একটা ঝামেলার মধ্যে আছে।একদিকে অয়ন কে ধরার জন্য উপর থেকে চাপ দিচ্ছে অন্যদিকে অতশীর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আছে ইভান।
ইভান আজও রাত তিন টাই বাসায় ফিরলো।আর বাসায় এসেই তার ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়লো।কিছুক্ষন কাজ করার পর ইভানের হঠাৎ অতশীর কথা মনে হলো।ইভান ভাবলো আজ হয় তো সে ঘুমিয়ে পড়েছে সেজন্য রুমে আসলো না।ইভানের মন টা কেমন যেনো আনচান করতে লাগলো।সে অতশীর রুমের দিকে চলে গেলো।
অতশীদের রুমে যেতেই ইভানের মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। রুমে তো কেউ নেই।ইভান তখন মৌরির রুমে চলে গেলো।মৌরিও নেই।
ইভান তা দেখে পাগলের মতো দৌঁড়ে তার বাবার রুমের দিকে গেলো।আর জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলো।
ইভানের বাবা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।সেজন্য তিনি ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে উঠে এলেন।
ইভান জিজ্ঞেস করলো,বাবা অতশীরা কই?
ওরা কেউ নাই কেনো?
ইভানের বাবা তখন বললো,ওরা সবাই চলে গেছে।আমি যেতে বারণ করেছিলাম তবুও শোনে নি।
–চলে গেছে মানে?কই গেছে?
–ওদের বাড়িতে।
ইভান আর এক মিনিট সময় ও নষ্ট করলো না।বা তার বাবাকে এ নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস ও করলো না।সে যে অবস্থায় ছিলো সেই অবস্থাতেই দৌঁড়ে চলে গেলো অতশীদের বাসায়।
ইভান যখন অতশীদের বাসায় পৌঁছলো সে তার নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারলো না।কারন অতশীদের রুমের দরজা ভেঙে কে যেনো আগেই ঢুকেছে রুমে।
ইভানের পুরো শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো।তার আর রুমে ঢোকার সাহস হচ্ছিলো না।তবুও সে সাহস করে রুমের মধ্যে ঢুকলো।কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলো না।
ইভান চিৎকার করে ডাকতে লাগলো সবাইকে।কারো কোনো সাড়া পেলো না ইভান।ইভান কি করবে এখন বুঝতে পারছিলো না।সে একদম দিশেহারা হয়ে গেলো।যে চোখ দিয়ে সহজে জল বের হয় না সেই চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো।সে ধরেই নিলো সন্ত্রাসী গুলো ওদের সাথে খারাপ কিছু করেছে।
হঠাৎ রুমে নীলয়,শুভ্র আর দিশান প্রবেশ করলো।কারন ইভান আসার সময় ওদের কেও ফোন করে ডেকেছিলো।
রুমের দরজা ভাংগা দেখে ওরাও ভয় পেয়ে গেলো।
শুভ্র ইভান কে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে কিন্তু তার আগেই ইভান শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো।
ইভান কে এরকম ভেংগে পড়া দেখে সবাই অবাক হলো।কারণ তারা কখনোই ইভান কে এরকম ভেংগে পড়তে দেখে নি।
কিছুক্ষন পর ইভান শান্ত হলো তারপর তার ফোন বের করে অফিসার আকরাম কে ফোন দিলো।
অফিসার আকরাম ডিউটি তে আছেন।সেজন্য সাথে সাথে ফোন রিসিভ করলেন।
ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে ইভান শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলো,অতশীরা কোথায়?
–মানে?কোন অতশী?
–অয়নের বোন।
অফিসার আকরাম তখন হাসতে হাসতে বললো,আজকাল স্যার কি নেশা করছেন নাকি?যে মধ্যরাতে অয়নের বোনের কথা জিজ্ঞেস করছেন?
–শাট আপ অফিসার।মজা করা বাদ দিয়ে সত্য কথা বলেন।আমার বোন আর অয়নের পরিবারের লোকেরা কোথায়?
–তা আমি কি করে জানবো?ওরা তো আপনাদের বাসাতেই ছিলো।
ইভান তখন বললো, না আমার বাসায় ছিলো না।ওরা আজ তাদের বাড়িতে এসেছিলো।কোথায় ওরা?
অফিসার আকরাম তখন বললো, কি বলছেন স্যার?আমি কিভাবে জানবো ওরা কোথায়?
ইভান তখন বললো, তাহলে বার বার ওদের কে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য বলছিলেন কেনো?
আকরাম সেই কথা শুনে আবার হেসে উঠলো।আর বললো,এটা আমার ডিউটির মধ্যে পড়ে।একজন সি আই ডি অফিসার হয়ে সন্ত্রাসীর ফ্যামিলিকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন সেজন্য বলেছি।
ইভান তখন চিৎকার করে বললো, আপনার ডিউটি আমি শিখিয়ে দিবো।যদি ওদের কিছু হয়ে যায় আপনাকে আমি খুন করবো।
ইভানের কথা শুনে আকরাম চিল্লাচিল্লি করতে লাগলো, এতো বড় সাহস!আমাকে হুমকি দেয়!
কিন্তু ইভান তার আগেই কল কেটে দিয়েছে।
ইভান শুভ্র কে বললো আর এক মুহুর্ত ও দেরী করা যাবে না।তোমাকে যে ঠিকানা টা দিয়েছিলাম সেটা খুঁজে বের করেছো?
–হ্যাঁ স্যার।কিন্তু কোম্পানি টা তো অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ইভান কোনো উত্তর দিলো না।ইভান তখন দিশান কে বললো,তোমার কাজ টা কম্পিলিট করেছো?
–না স্যার।খুঁজে পাই নি কাউকে।
নীলয় কে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই নীলয় বললো আমার কাজ হয়ে গেছে স্যার।
–গুড।
এই বলে ইভান সবাইকে নিয়ে বের হয়ে গেলো।
ইভান বাহিরে সবার সাথে ভালো করে কথা বললেও সে ভিতরে ভিতরে একদম শেষ হয়ে যাচ্ছিলো।যে কষ্ট বুঝানোর মতো ভাষা তার কাছে নাই।যত বিপদই আসুক না কেনো, আর যত কিছুই হোক না কেনো একজন সি আই ডি অফিসার কখনোই তার কাজকে অবহেলা করতে পারে না।মনের কষ্ট মনে রেখেই ইভান মাঠে নেমে গেলো।তবে অতশী আর মৌরির সাথে খারাপ কিছু হয়ে গেলে সে কি করে সহ্য করবে সেটা?
ভাবতেই তার শরীর শিউরে উঠলো।
মুহিব সাহেব ইভানের সাথে অতশীর বিয়ে নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলো অয়নের মায়ের সাথে।অয়নের মা রাজি হয় নি।কারন এই পরিস্থিতিতে ইভান কি করে বিয়ের কথা বলতে পারলো।যেখানে অয়ন হাসপাতালে ভর্তি আছে।তার অবস্থা এখন কেমন ইভান সেটাও ভালো করে বলে নি।
অয়নের কথা শুনে ইভানের বাবা বললো, অসুস্থ?
কে অসুস্থ?আর অয়ন যে হাসপাতালে সেটা আপনাদের কে বললো?অয়ন তো নিঁখোজ হয়ে গেছে।পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।সে এই মুহুর্তে একজন এমন এক সন্ত্রাসী যাকে দেখলেই ক্রসফায়ার করা হবে।
ইভানের বাবার কথা শুনে সবাই ইভান কে ভুল বুঝলো।তারা ভাবলো ইভান অয়ন কে ধরার জন্য তাদেরকে এ বাড়িতে নিয়ে এসেছে।অথচ ইভান তাদের বলেছে সে অয়ন কে বাঁচাতে চায়।সেজন্য তারা তাদের বাড়ি চলে গেছে।
তিনদিন হয়ে গেলো এখন পর্যন্ত ইভান অতশীদের কোনো খোঁজ পেলো না।কিন্তু ইভান থেমে থাকলো না।সে তার প্লান অনুযায়ী সবকিছু করতে লাগলো।
প্রথমেই তারা এস,আর,এস কোম্পানি তে চলে গেলো।কোম্পানি টা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।ইভান এই কোম্পানির মালিক কে খুঁজে বের করলো।এস,আর,এস কোম্পানির মালিক ছিলেন সারোয়ার রাকিব সরকার।কিন্তু তিনি আজ থেকে পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন।সেজন্য কোম্পানি টা নাকি আপাতত বন্ধ আছে।
কিন্তু ইভানের মাথায় একটা বিষয় ঘুরপাক খেতে লাগলো।সারোয়ার রাকিব সরকার যদি পাঁচ বছর আগে মারা যায় তাহলে অয়ন কিভাবে এই কোম্পানি তে চারবছর আগে জয়েন করলো?তাহলে এই এক বছর কে চালু রেখেছিলো কোম্পানি।
ইভান সেটা খোঁজার জন্য সারোয়ার রাকিব সরকারের বাসায় চলে গেলো।
সারোয়ার রাকিব সরকারের দুইছেলে ছিলো।যারা বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে।আর এক মেয়ে আছে যার বিয়ে হয়ে গেছে।কিন্তু মেয়েটি মায়ের সাথে এই বাড়িতেই থাকে।
ইভান সারোয়ার রাকিব সরকারের মেয়ের জামাইকে দেখে একদম অবাক হয়ে গেলো।শুধু ইভান না,শুভ্র নীলয় আর দিশান ও বেশ আশ্চর্য হলো।
কিন্তু তারা তাকে কিছু বুঝতে দিলো না।
তবে সারোয়ার রাকিব সরকারের জামাই ইভানদের দেখে ভয়ের মধ্যে পড়ে গেলো।
কারন সে সি আই ডি অফিসার ইভান কে ভালো করেই চেনে।সেজন্য তিনি জিজ্ঞেস করলেন আপনারা কেনো এসেছেন আর কেনোই বা সারোয়ার রাকিব সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?
ইভান তখন জানালো তারা এস,আর,এস কোম্পানি সম্পর্কে জানতে এসেছে।কেনো কোম্পানি টা বন্ধ হলো?আর কত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে?
সারোয়ার রাকিব সরকারের জামাই সেম উত্তর দিলো যা ইভানরা আগেই শুনেছে লোকমুখে।
ইভানের সন্দেহের মাত্রা বেড়ে গেলো।
#চলবে,