#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_৪০
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
অতশীর পুরো বিশ্বাস ইভানের বাবার সাথে সন্ত্রাসীদের কোনো যোগসূত্র আছে।কিন্তু এদিকে আবার ইভানের বাবা ইভানকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্যও চেষ্টা করে যাচ্ছে।এজন্য অতশীর মাথা পুরাই হ্যাংক হয়ে গেলো।সে কিছু বুঝতে পারলো না।
এদিকে মৌরিও এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না,তার নিজের বাবা কি করে এইরকম করতে পারে?তাছাড়া সবাই তার বাবাকে এক নামে চেনে।এডভোকেট মুহিব সাহেব একজন সৎ এবং ন্যায়বান মানুষ। তার মতো ভালো মানুষ আর হতেই পারে না।
অতশী ভীষণ টেনশনের মধ্যে পড়ে গেলো।সে বুঝতে পারছে না কিভাবে সে ইভান কে এইরকম একটা ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করবে?শুধু ইভান না,ইভানের সাথে তার ভাইও আছে।কিন্তু সে একা একা কি করবে?হঠাৎ অতশীর দিশান আর নীলয়ের কথা মনে হলো।কারণ ওরা দুইজন এখনো ধরা পড়ে নি।ইভান ওদের উপর গুরুত্বপূর্ণ একটা দায়িত্ব দিয়ে গেছে।এখন এই দুইজন মানুষ ই শেষ ভরসা।অতশী দিশান আর নীলয়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো।কিন্তু ওদের ফোন অফ ছিলো।এজন্য ওদের সাথে আর যোগাযোগ করা গেলো না।
অতশী আর মৌরি দিনরাত এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করতে থাকে।আর তাদের বাবার দিকে নজর দিতে লাগলো।তিনি কখন বাসায় থেকে বের হন আর কখন আসেন?
কিন্তু মুহিব সাহেব সেই আগের মতোই চলাফেরা করতে লাগলেন।
ইভান কে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে তার জবানবন্দি নিলো।মিডিয়ার লোকেরা ভীড় ধরে আছে।হাজার হাজার লোকের সামনে তাকে জিজ্ঞেস করা হলো কেনো সে জীবিত অয়ন এবং শুভ্র কে মৃত বলে ঘোষণা করেছে?
ইভান চারদিকে তাকিয়ে দেখে সবাই তার ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত।আজ সকল টিভি চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ হবে এটা।ইভান আজ আর কিছু লুকাবে না।এতোদিন প্রকাশ করে নি সন্ত্রাসীরা জানবে বলে।কিন্তু আজ সত্য কথা না বললে সে কিছুতেই জেল থেকে মুক্তি পাবে না।সে আজীবনের জন্য সবার চোখে অপরাধী বলেই ঘোষিত হবে।
ইভান বলা শুরু করলো,
আমি এখন এই মুহুর্তে যেসব কথা বলবো সব সত্য এবং এসবের যথেষ্ট প্রমাণ ছিলো।আমি সেদিন কনফারেন্স ডেকেছিলাম সত্য টা প্রকাশ করার জন্য।কিন্তু সব ডকুমেন্ট তার আগের রাতেই চুরি হয়ে যায়।কেউ একজন আমার বাড়িতে ঢুকে আমার রুমের মধ্যে আলমারির ভিতর থেকে ফাইলগুলো চুরি করে।এজন্য এখন পর্যন্ত সত্য কথা টা প্রকাশ করতে পারি নি।যদি আপনারা সবাই আমার মুখের কথা বিশ্বাস করেন তাহলে আমি সবকিছু বলতে চাই আজ।
ইভানের কথা শুনে সবাই হ্যাঁ বলে চিৎকার করে উঠলো।
ইভান তখন বললো আমি সন্ত্রাসীদের গ্যাং কে চিনে ফেলেছি।কে বা কারা এর সাথে যুক্ত আছে সব জানি।আর সন্ত্রাসী অয়ন আসলেই একজন সন্ত্রাসী। তবে সে নিজের ইচ্ছায় এ পেশায় আসে নি।তাকে বাধ্য করা হয়েছে।দশ বছরের এক চুক্তিতে সাইন করে নেওয়া হয়েছে যাতে স্পষ্ট লেখা আছে এই গ্যাং থেকে বের হলেই মৃত্যু অনিবার্য আর তার সাথে তার পরিবারের প্রতিটা সদস্য বিপদে পড়বে।অয়ন তার পরিবারের কথা চিন্তা করে এই অপরাধ করে।অয়ন আমাকে সব বলেছে।এবং তার ডাইরি আমাকে দিয়েছিলো।কিন্তু দুঃখের বিষয় সব প্রমাণ চুরি হয়ে যায়।আমি যখন বুঝতে পারলাম অয়ন নির্দোষ তখন আমি তার সঙ্গ দিলাম।সেদিন সন্ত্রাসীরা অয়ন কে মেরে ফেলার জন্যই এসেছিলো।তাকে যখন একের পর এক ছুরিকাঘাতে মেরে ফেলা হচ্ছিলো তখনি পুলিশের লোক চলে আসে।আমি তখন বুদ্ধি করে শুভ্রকে দায়িত্ব দেই।সে অয়নকে নিয়ে তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে চলে যায়।এজন্য আমি তাদের মৃত্যুর কথা সবাইকে জানায়।যাতে করে কেউ আর অয়নের খোঁজ না করে।কারণ সন্ত্রাসীরা যদি জানতো এখনো অয়ন বেঁচে আছে তাহলে আবার মারার চেষ্টা করতো।
ইভানের কথা শুনে অফিসার আকরাম বললো,প্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলে লাভ হবে না অফিসার ইভান!আপনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য তো মিথ্যার আশ্রয় ও নিতে পারেন?
ইভান তখন বললো আমি জেলে থাকলে কিভাবে প্রমাণ যোগাড় করবো?আমাকে যদি কয়েকদিনের সময় দেওয়া হয় তাহলে হয়তো পারবো।
ইভানের কথা শুনে সকল পুলিশ অফিসার রাজি হয়ে গেলো।শুধুমাত্র আকরাম বাদে।সে তখন সবাইকে জানালো অফিসার ইভান যদি পালিয়ে যায় তার দায়ভার কে নেবে?সে তো দেশ ছেড়েও পালাতে পারে বা এমন কোনো জায়গায় লুকালো আমরা তাকে আর ধরতে পারলাম না।
আকরামের কথা শুনে ইভান আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না।সে সবার সামনেই আকরামের শার্টের কলার ধরে বললো,এই হলো আসল ক্রিমিনাল।কারণ এর সাথে সন্ত্রাসীদের লিডারের পুরো হাত আছে।অফিসের সব তথ্য এই পাচার করে।আমাকে শুধু কয়েকদিনের জন্য মুক্তি দেওয়া হোক আমি সব প্রমাণ আবার জোগাড় করে এই কালপিটের মুখোশ সবার সামনে খুলে দেবো।
আকরাম কে এভাবে এট্যাক করায় সবাই ইভান কে থামালো।আকরাম ছাড়া পেয়ে বললো আমি অফিসার ইভানের গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছি বলে আমাকে সে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।তবে যদি সে আমার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমি আমার অপরাধ অবশ্যই মাথা পেতে নিবো।এইভাবে আকরাম সবার সামনে ভালো মানুষ সাজলো।
ইভানের কাছে এই মুহুর্তে কোনো প্রমান নাই।সেজন্য সে আর কিছুই বললো না।কিন্তু হঠাৎ একজন সাংবাদিক পুলিশ অফিসার আকরাম কে বললো, অফিসার ইভান যে একজন সন্ত্রাসী তার কি প্রমাণ আছে?
আকরাম তখন শুভ্র আর অয়ন কে হাজির করলো।আর তাদের জিজ্ঞেস করলো।
অয়ন কে জিজ্ঞেস করা হলো ইভান তার হয়ে যা বলছে তা সত্য কিনা? অয়ন কোনোকিছু না ভেবেই বলে দিলো সব মিথ্যা।শুভ্রও সেম কথা বললো।শুভ্র আর অয়ন যখন নিজের মুখে স্বীকার করলো ইভানই তাদের লিডার।আর অন্য কোনো লিডার কে তারা চেনে না তা শুনে ইভান নিজেও অবাক হলো।
অফিসার আকরাম তখন বললো,ইভান যা যা করতে বলতো এরা সেটাই করতো।ইভানের গোপন আস্তানার কথাও জানিয়েছে তারা শুভ্র।আমি কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে সেই আস্তানা ঘেরাও করলে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র পাই।আকরাম সব অস্ত্র সবার সামনে রাখলো।
এসব দেখে কেউ আর ইভান কে বিশ্বাস করতে পারলো না।সবাই আবার তার বিপক্ষে চলে গেলো।
ইভান বুঝতে পারলো আকরাম সব কাজ বুদ্ধি খাটিয়ে করেছে।কিন্তু শুভ্র আর অয়ন হঠাৎ কিসের ভয়ে মিথ্যা বলছে ইভান এটা কিছুতেই বুঝতে পারলো না।
হঠাৎ সবাইকে অবাক করে দিয়ে নীলয় আর দিশান আসলো।নীলয় আর দিশানকে দেখামাত্র তাদেরকে এরেস্ট করা হলো।দিশান তখন বললো স্টপ!কেউ হাত দেবে না আমাদের গায়ে। ভুলে যেও না আমরা সি আই ডির লোক।দিশানের কথা শুনে ইভানের মনে সাহস ফিরে এলো।সে বুঝতে পারলো দিশানের হাতে মনে হয় সব প্রমাণ এসে গেছে।কিন্তু নীলয় একটা কাগজ দেখিয়ে বললো,উপর থেকে পারমিশন দিয়েছে,আমাদের কে ছেড়ে দিতে হবে।এই হলো তার কাগজ।আকরাম নীলয়ের হাত থেকে কাগজ টা নিয়ে পড়তে লাগলো। সেখানে লেখা ছিলো সি আই ডি অফিসার ইভান আর সহকারী অফিসার নীলয় আর দিশানের আবেদন গ্রহণ করা হলো।তবে তাদের মাত্র একমাসের সময় দেওয়া হবে।এই একমাসে যদি তারা সকল প্রমাণ যোগাড় করতে পারে তবেই তারা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবে।
ইভান ভাবতেও পারে নি দিশান আর নীলয় এতো বড় একটা কাজ করবে।চিঠিতে আরো লেখা আছে অফিসার ইভান তার দায়িত্ব থাকাকালীন অনেক অনেক প্রশংসনীয় কাজ করেছে।সে একজন সৎ এবং দায়িত্ববান অফিসার হওয়ায় সামান্য দুই একটা প্রমাণে তাকে সন্ত্রাসী বলা ঠিক হবে না।তাকে সেজন্য কিছুদিনের সময় দেওয়া উচিত।আর পরবর্তী দায়িত্ব পুলিশ অফিসার আকরামের পরিবর্তে অফিসার সঞ্জয় কে দেওয়া হলো।আকরাম চিঠিটা পড়ার সাথে সাথে চিৎকার করে উঠলো।সে কি করেছে?তার অপরাধ কোথায়?দিশান তখন বললো সেটা আপনার বড় স্যারকেই জিজ্ঞেস করুন।আমরা একমাসের সময় পেয়েছি নিজেকে নিদোর্ষ প্রমানের জন্য।আর এই একমাসে আপনি আমাদের ধারেকাছেও আসবেন না।আপনাকে বান্দরবান ট্রান্সফার করা হয়েছে।পুলিশ অফিসার আকরামের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়লো।এটা কি হলো তার সাথে?ইভান কে শেষ করতে গিয়ে সে তো নিজেই ফেঁসে গেলো।ইভান ছাড়া পাওয়া মাত্র আকরামের কাছে চলে গেলো।আর বললো,আপাতত বান্দরবান গিয়ে থাকুন অফিসার,যখন প্রমাণ সহ ধরে দিবো তখন আর বান্দরবান ও থাকতে পারবেন না। সোজা রাস্তায় নামিয়ে দিবো।এই বলে ইভান নীলয় আর দিশান কে নিয়ে চলে গেলো।এদিকে শুভ্র আর অয়ন জেলেই থাকলো।কারণ তাদের কথার সাথে আবার ইভানের কথার মিল হচ্ছে না।কে সত্য বলছে আর কে মিথ্যা বলছে কিছুই বুঝতে পারছে না কেউ।
ইভান ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথে মিশনে নেমে পড়লো।তবে সবার আগে সে শুভ্র আর অয়নের ব্যাপারে খোঁজ নিতে লাগলো।কেনো তারা মিথ্যা বলছে?ইভান যা ভেবেছিলো সেটাই করেছে সন্ত্রাসীরা।শুভ্রর পরিবারকে কিছুদিন হলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।তারা কোথায় চলে গেছে কেউ বলতে পারছে না।ইভানের মাথা পুরাই গরম হয়ে গেলো।সে কোথা থেকে শুরু করবে এখন?শুভ্রর পরিবারকে খুঁজবে কখন আর নিজেকেই বা নির্দোষ প্রমাণ করবে কখন?সবচেয়ে বেশি ভয় লাগছে শুভ্রর বোনকে নিয়ে।যদি বড় কোনো ক্ষতি হয় তার কিভাবে শুভ্রকে মুখ দেখাবে সে?কারন তার কারণেই শুভর আজ এ অবস্থা।ইভান যদি সেদিন অয়নকে বাঁচানোর জন্য শুভ্রকে তার সাথে না যেতে বলতো তাহলে শুভ্রর এই বিপদ কখনোই হতো না।
এদিকে ইভান ছাড়া পাওয়ার কথা শুনে অতশী সেই থেকে অপেক্ষা করে আছে।শুধু অতশী না, ইভানের মা বাবা, মৌরি সবাই অধীর আগ্রহে বসে আছে।কিন্তু ইভান তাদের সাথে এখন পর্যন্ত দেখা করলো না।ইভান প্রায় রাত তিনটার দিকে বাসায় ফিরলো।সে বাসায় এসে দেখে এখনো কেউ ঘুমাই নি। সবাই তার জন্যই অপেক্ষা করছে। ইভান বাসায় এসেই আগে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। কারণ তার বাবাই নীলয় আর দিশানের সাথে যোগাযোগ করে এই আবেদনের কথা বলে।যার জন্য ইভানরা একমাসের জন্য ছাড়া পায় নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য।ইভানের বাবা তখন বলে, সন্তানের জন্য যদি এইটুকু কাজও না করি তাহলে কিসের বাবা হলাম?
অতশী আর মৌরি দুইজনই হা করে তাকিয়ে থাকলো।অতশী তো নিজের চোখ কে বিশ্বাস ই করতে পারছে না।ইভানের বাবা তো একদম হিরো সাজলো ছেলের কাছে।এখন তো জীবনেও আর ইভান তার বাবার কথা বিশ্বাস করবে না।মৌরি তখন অতশী কে টেনে অন্য জায়গায় নিয়ে গেলো। আর বললো,ভাবি তোমার ধারণা মনে হয় ভুল।বাবাকে মনে হয় আমরা ভুল ভাবছি।বাবা যদি ভাইয়ার শত্রুই হতো তাহলে এভাবে সাহায্য করতো না।
অতশী কি আর বলবে?সে শুধু বললো হুম।কারণ এই পরিস্থিতিতে কেউই বিশ্বাস করবে না ইভানের বাবাই আসল কালপিট।
মৌরি তখন নিজেও চলে গেলো ইভানের কাছে।আর তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,ভাইয়া কেমন আছো তুমি?কোনো অসুবিধা হয় নি তো?
ইভান তখন বললো না কোনো অসুবিধাই হয় নি।মৌরি তখন বললো ভাইয়া শুভ্র আর অয়ন কেনো মিথ্যা বলছে জানো কিছু তুমি?
–হ্যাঁ।শুভ্রর পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।হয় তো সন্ত্রাসীরাই ধরে নিয়ে গেছে।সেজন্য বাধ্য হয়ে শুভ্র আর অয়ন মিথ্যা বলছে।
–তাহলে কি হবে এখন?কিভাবে ওদের উদ্ধার করবে?আর অয়ন কে কিভাবে নির্দোষ প্রমাণ করবে ভাইয়া?
ইভান তখন মৌরির মাথা বুলিয়ে বললো,খুব শীঘ্রই।শুধু একটু সময় দাও আমাকে।
অতশী সেই আগের মতোই চুপচাপ হয়ে আছে।সে এখন পর্যন্ত ইভানের সাথে কোনো কথা বলে নি।আর বলবেই বা কি করে?ইভান তো আসার পর থেকে একবার তার বাবা তো আরেকবার তার মার সাথে কথা বলছে।তার দিকে একবারের জন্যও তাকায় নি।
ইভান হঠাৎ খেয়াল করলো অতশীকে।অতশীকে চুপচাপ থাকা দেখে ওর কাছে গেলো এবার।আর বললো অতশী কেমন আছো তুমি?আমাকে আসা দেখে খুশি হও নি?একটা কথাও জিজ্ঞেস করছো না যে?
অতশী সেই কথা শুনে বললো,হ্যাঁ ভালো আছি।আপনি কেমন আছেন?এই বলে অতশী চোখ ফিরিয়ে নিলো।
ইভান বুঝতে পারলো না অতশীর ভাবসাব।কারন তাকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছিলো।মৌরি তখন এগিয়ে এসে বললো,ভাইয়া তুই রুমে গিয়ে রেস্ট নে।তাছাড়া অনেক রাতও হয়ে গেছে।এই বলে মৌরি তার রুমে চলে গেলো।আর সবাইকে যেতে বললো।
কিন্তু ইভানের মা তখন বললো বাবা কিছু খেয়ে তারপর রুমে যা।এই বলে ইভানের মা নিজের হাতে খাইয়ে দিলো ছেলেকে।অতশী শুধু দূর থেকে দেখছে সব।সে তখন আর দাঁড়িয়ে না থেকে তার রুমে চলে গেলো।এদিকে ইভানের মা আর বাবা ছেলের সাথে গল্প করতে লাগলেন।অনেক দিন পর ছেলে বাসায় আসায় তাদের কে বেশ খুশি খুশি লাগছিলো।
অতশী রুমে গিয়ে শুধু পায়চারি করতে লাগলো।সে কিছুতেই স্থির হতে পারছিলো না।ইভানের বাবা যেভাবে ছেলের মন জয় করে বসে আছে সেই মনে তার নামে এখনি কিছু বলা যাবে না।এদিকে ইভানের হাতে সময় ও নেই।মাত্র এক মাসে কি করে ইভান নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবে?অতশী চিন্তায় এখন পাগল হয়ে যাবে।
হঠাৎ ইভান প্রবেশ করলো রুমে।সে রুমে এসে দেখে অতশী কোনো দিকে না তাকিয়ে রুমের মধ্যে শুধু হাটাহাটি করছে।ইভান দাঁড়িয়ে থেকে অতশীকে দেখতে লাগলো।অতশী খেয়ালই করে নি ইভানকে।
#চলবে,