অনুভবে তুমি পর্ব-৪২

0
2642

#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_৪২
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ

ইভান আজ আহসান কে ধরে ফেললো।সে ভাবতেই পারে নি প্রথম মিশনেই এভাবে তার দেখা পেয়ে যাবে। যদিও তাকে ধরতে অনেক বেশি হয়রানি হতে হয়েছে ইভানদের।আজ ইভানদের আনন্দের দিন।আহসানকে ধরতে পেরে অনেক বেশি খুশি লাগছে তাদের। সেদিনের পর থেকে আহসানকে আর দেখা যায় নি।অয়নের আস্তানায় গিয়ে খুব সাহস করে নিজেকে গ্যাং এর লিডার বলে আসার পর থেকে বেচারা উধাও হয়েছে।যদিও এটা তার দোষ নয়,তার বড় বসের কথামতোই হয় তো এভাবে লুকিয়ে আছে।আর এখন তো ইভানের হাতে মাত্র একমাসের সময় আছে। আর ইভান চ্যালেঞ্জ করেছে এই একমাসের মধ্যেই সকল কে ধরে ফেলবে।সেজন্য সবাই আরো বেশি সতর্ক হয়েছে।আহসান নিজেকে বাঁচানোর জন্য একট গোপন আস্তানা তৈরি করেছে।আর সেই গোপন আস্তানা টা হলো তার নিজের বাড়ি।আহসান তার নিজের বেডরুমেই একটা সুরঙ্গ তৈরি করেছে।আর সেখানেই লুকিয়ে আছে সে।তবে বোঝার কোনো উপাই ছিলো না যে তার বেডরুমেই কোনো সুরঙ্গ আছে।কারণ সুরঙ্গের উপরে একটা খাট পাতানো ছিলো।যেহেতু খাটটি বক্স খাট ছিলো সেজন্য খাটের নিচে দেখার কোনো উপাইও ছিলো না।অনেক বুদ্ধি করে আস্তানা টা তৈরি করেছে আহসান।কারণ এই একমাসে ইভান নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে আবার জেলে যাবে।সেজন্য সকল সন্ত্রাসী এই একমাস খুব সতর্ক থাকবে।এই একমাস পার হয়ে গেলেই তো সবার বিপদ কেটে যাবে।সবাই আবার আগের মতো অপরাধ করতে পারবে।এজন্য তাদের লিডার সবাইকে এই একমাস গোপন কোনো জায়গায় লুকিয়ে থাকতে বলেছে।

ইভানরা যখন সব জায়গা তন্নতন্ন করে খুঁজেও আহসান এর কোনো সন্ধান পাচ্ছিলো না তখন ইভান বুদ্ধি করে আহসানের পুরো বাড়িটা চেক করে।কিন্তু আহসানের বেড রুম চেক করার সময় কেনো জানি ইভানের সন্দেহ হলো।কারণ আহসানের স্ত্রী বার বার বলছিলো স্যার চেক করা হয়ে থাকলে আপনারা এখন আসতে পারেন।আমার বাচ্চারা ঘুমাবে।কারণ ওদের এখন ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে।এই বলে আহসানের স্ত্রী তার বাচ্চাদের নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।ব্যাপার টা কেমন যেনো অদ্ভুত লাগলো ইভানের।স্বামীকে ধরতে এসেছে সি আই ডি আর উনি আছেন বাচ্চাদের ঘুম নিয়ে।ইভান তখন দিশান আর নীলয় কে বললো বাচ্চাদুটিকে কোলে নাও তোমরা।বাকিটা আমি দেখছি।ঠিক তখনি আহসানের স্ত্রী চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন।আপনাদের কোনো কমন সেন্স নাই নাকি!একজন মহিলা মানুষের বেডরুমে ঢুকে কি শুরু করেছেন এসব?আমি কিন্তু আপনাদের নামে উলটো মানহানির মামলা দিবো।
ইভান সেই কথা শুনে বললো, ওকে দিয়েন।কোনো সমস্যা নাই।এই বলে ইভান একা একাই বেড টা সরালো।কিন্তু কোনো চিহ্ন খুঁজে পেলো না।ইভান তা দেখে ভীষণ হতাশ হয়ে গেলো।তার পুরো বিশ্বাস ছিলো এখানেই সে খুঁজে পাবে আহসানকে।ঠিক তখনি দিশান চিৎকার করে বললো স্যার মেঝেটা ভালো করে দেখেন ,টাইলসগুলো কেমন যেনো নড়বড়ে।ইভান সেটা শোনামাত্র টাইলসগুলোতে হাত দিলো।হ্যাঁ টাইলসগুলো নড়বড়ে,ভালো করে জয়েন করা হয় নি,এজন্য ঠিক ভাবে বসে নি।
ইভান সেজন্য আর এক মিনিট ও দেরী করলো না।এক এক করে নিজেই সকল টাইলস উঠাতে লাগলো।নীলয় তা দেখে বললো স্যার মিস্ত্রীকে খবর দেই।তাহলে তাড়াতাড়ি হবে কাজটা।আপনি অযথায় কেনো কষ্ট করবেন?এই বলে নীলয় ইভান কে ওঠালো।

ইভান তখন বললো নীলয় তুমি এখনি বাহিরের কাউকে আহসানের কথা বলো না।কারণ এটা আমাদের ম্যাটার,সুতরাং আমরাই এটা নিজেরাই সমাধান করবো।চলো নিজেরাই চেষ্টা করি।এই বলে ইভান আবার কাজ শুরু করে দিলো।ইভানের দেখাদেখি দিশান আর নীলয় ও কাজ শুরু করে দিলো।এদিকে আহসানের বউ জোরে জোরে চিৎকার চেঁচামেচি করতে লাগলো।ইভানদের যা নয় তাই বলে গালিগালাজ করতে লাগলো।
আহসানের বউ এর এমন ব্যবহার দেখে ইভানের মেজাজ ভীষণ বিগড়ে গেলো।কিন্তু মেয়ে মানুষ দেখে তার গায়ে হাত দিতেও পারছে না ইভান।সেজন্য ইভান নীলয় কে বললো,তাড়াতাড়ি শীলা আর দীপা কে খবর দাও আর এই মহিলাকে ধরে নিয়ে যেতে বলো।কয়েকটা চড় খেলেই চুপ হয়ে থাকবে।কথাটা শোনামাত্র আহসানের স্ত্রী চুপ হয়ে গেলো।তবে তিনি বসে থাকলেন না।ফোন হাতে নিয়ে কাকে যেনো কল করতে লাগলেন।ইভান তা দেখে আহসানের বউ এর হাত থেকে মোবাইল টা কেড়ে নিলো এবং তাকে অন্য আরেকটা রুমে বন্দি করে রাখলো।

ইভানরা এক এক করে সব টাইলস ওঠাতে লাগলো।টাইলসগুলো ওঠানোর পর ইভানরা খেয়াল করলো মাটিগুলোও কেমন যেনো আলগা আলগা।সেজন্য তারা তাড়াতাড়ি করে মাটি খুঁড়তে লাগলো।যখন তারা উপর থেকে কিছু টা মাটি সরিয়ে ফেললো ঠিক তখনি তারা একটা সুরঙ্গ দেখতে পেলো।সুরঙ্গ টি দেখে সবার চোখ কপালে উঠে গেলো।ইভান ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে নীলয় তাকে বাধা দিলো।সে বললো,স্যার এভাবে একা একা প্রবেশ করা ঠিক হবে না।আমার মনে হয় ভিতরে শুধু আহসান নয়, আরো অনেকেই আছে।আমাদের পুলিশ ডিপার্টমেন্টের লোকদের খবর দেওয়া উচিত।ইভান সেই কথা শুনে তার বিশ্বস্ত কয়েকজন পুলিশকে খবর দিলো।তারা খবর পাওয়া মাত্র ছুটে এলো।কিন্তু কেউই ভিতরে প্রবেশ করার সাহস পেলো না।কারণ সবাই জানে এই কাজে অনেক রিস্ক আছে।ইভান তখন সাহস করে নিজেই প্রবেশ করলো সুরঙ্গের ভিতরে।ইভানের দেখাদেখি এক এক করে দিশান আর নীলয় ও প্রবেশ করলো।ইভানরা ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র গুলির শব্দ শোনা গেলো।সবাই বুঝে গেলো ইভানের উপর হামলা শুরু হয়েছে।সেজন্য পুলিশগুলো আর চুপ করে থাকতে পারলো না,তারাও প্রবেশ করলো ভিতরে।নীলয়ের ধারণাই ঠিক ছিলো।শুধু আহসান ছিলো না ভিতরে।সমস্ত গ্যাং এর লিডাররা এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে।মুহুর্তের মধ্যে তুমুল লড়াই শুরু হয়ে গেলো।একের পর এক পুলিশের লোক আহত হতে লাগলো।তখন কিছু পুলিশ সুরঙ্গ থেকে বের হয়ে আরো কিছু বিশ্বস্ত পুলিশদের খবর দিলো।কিন্তু এবার আর সন্ত্রাসীরা পেরে উঠতে পারলো না।অবশেষে তারা হার মেনে নিলো।সন্ত্রাসীদের মধ্যেও অনেকেই আহত হয়েছে।কারণ তাদের সবাইকে হাতে আর পায়ে গুলি করা হয়েছে।
ইভান সন্ত্রাসীদের ধরেছে শুনে পুলিশের বাকি সদস্যগুলোও এলো।কিন্তু তাদের আর প্রয়োজন ছিলো না।ইভান তখন আহসানকে টানতে টানতে বাহিরে বের করলো।কিন্তু আগেই আহসানকে পুলিশের হাতে তুলে দিলো না।সেজন্য সে পুলিশ অফিসারের পারমিশন নিয়ে নিজেই আগে পার্সোনাল ভাবে আহসানের সাথে কথা বলতে চাইলো।কারণ আহসান কে এখনি যদি পুলিশের হাতে দিয়ে দেয় তাহলে অনেক গোপন তথ্য তারা জানতে পারবে না।সেজন্য ইভান আহসানকে নিয়ে তাদের একটা গোপন আস্তানায় চলে গেলো।আর নানা ধরনের প্রশ্ন করতে লাগলো তাকে। ইভান প্রথমে ভালোভাবেই জিজ্ঞেস করলো,কার আদেশে আহসান এই গ্যাং পরিচালনা করে।আহসান উত্তরে বললো সে নিজেই পরিচালনা করে।এবং সেই লিডার। ইভান সেই কথা শুনে আহসানকে একটা চড় মেরে বললো আমি সবকিছু জেনেই তোকে জিজ্ঞেস করছি।সত্য করে বল।আমি জানি তোরও লিডার আছে।কিন্তু কে সে?
আহসান সেই কথা শুনে বললো তাহলে নিজেই খুঁজে বের কর,আমাকে জিজ্ঞেস করছিস কেনো?কথাটা শোনামাত্র ইভানের মাথা গরম হয়ে গেলো।সে তখন আহসানকে একের পর এক আঘাত করতে লাগলো। আহসান তবুও মুখ খুললো না।ইভান তখন আহসানকে মেরে ফেলার হুমকি দিলো।আহসান সেই কথা শুনে বললো আমাকে মেরে ফেললে তোরই লস।তুই জীবনেও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবি না।তারচেয়ে বরং আমাকে ছেড়ে দে।তুই পারবি না লিডার কে ধরতে।অযথায় লাফালাফি করিছ না।তাছাড়া তিনি পুরো দেশ কে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন কোথায় কে কি করছে সব সাথে সাথে খবর যায় তার কাছে।এই যে তুই আমাকে ধরেছিস এ খবরও গিয়েছে ওনার কানে।আমাকে তুই বেশিক্ষন আটকিয়ে রাখতে পারবি না।ইভান আহসানের মুখে এসব কথা শোনামাত্র আরো জোরে জোরে আঘাত করতে লাগলো।এক পর্যায়ে ইভানের লাঠিই ভেংগে গেলো।আহসানের পুরো শরীর রক্তাক্ত হওয়ার পরেও সে মুখ খুললো না।দিশান তা দেখে বললো স্যার এভাবে হবে না।ওকে অন্যভাবে লাইনে আনতে হবে।ইভান সেই কথা শুনে বললো, সে ব্যবস্থাও করেছি।দেখি এরপর কি করে সে চুপ থাকে?এই বলে ইভান থেমে গেলো আর নীলয় আর দীশান কে বললো,তোমাদের সবার পরিবারকে আগে সেফে জায়গায় রাখো।আমার বিশ্বাস আহসানের লিডার আহসানকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তোমাদের পরিবার কে ব্যবহার করতে পারে।দিশান আর নীলয় সেজন্য তাদের বাবা মাকে ফোন করে সতর্ক করে দিলো।

ইভান যখন সকল ঝামেলা মিটিয়ে তার ফোন হাতে নিলো তার চোখ কপালে উঠে গেলো।মৌরি মনে হয় হাজারবার কল দিয়েছে তাকে।কিন্তু সে একবারও টের পায় নি।সেজন্য ইভান সাথে সাথে মৌরিকে কল দিলো।কিন্তু মৌরি কল রিসিভ করলো না।ইভান তখন অতশীকে কল দিলো।অতশীও কল রিসিভ করলো না।ইভান সেজন্য ভীষণ টেনশনের মধ্যে পড়ে গেলো।ইভানকে এমন টেনশন করা দেখে দিশান বললো,স্যার আপনি না হয় একবার বাসায় যান,এদিকে আমরা সামলিয়ে নিচ্ছি।ইভান সেই কথা শোনামাত্র আর এক সেকেন্ডও দেরী করলো না।তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে গেলো।

ইভান বাসায় এসে দেখে সবাই একসাথে ডাইনিং রুমে বসে আছে।সবাইকে একসাথে দেখে তার চিন্তা কিছুটা দূর হলো।কিন্তু ইভান খেয়াল করলো সবাই কে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে।ইভান তখন অতশী অতশী বলে ডাকতে লাগলো। কারণ সবাই বসে আড্ডা দিলেও অতশী ছিলো না এদের সাথে।এদিকে অতশীকে ডাকা দেখে সবার চোখমুখ শুকিয়ে গেলো।ইভান কিছু বুঝতে পারলো না।সে মৌরির কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো,কি হয়েছে?সবাই এভাবে বসে আছে কেনো?আর অতশী কই?
মৌরি তখন ইভানের হাত ধরে বললো, ভাইয়া অতশীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।আমরা সব জায়গায় খুঁজে দেখেছি কিন্তু কোথাও পাই নি তাকে।
কথাটা শোনামাত্র ইভানের মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো সে তখন তার বাবার দিকে তাকিয়ে বললো,কি হয়েছে বাবা?মৌরি এসব কি বলছে?
ইভানের বাবা তখন বললো আমিও তো মাত্র ফিরলাম বাসায়।তখন মিটিং শেষ করে একটু বাহিরে গিয়েছিলাম।আর এখন বাসায় এসে শুনি অতশীকে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইভান তখন মৌরিকে বললো,ওর মাকে ফোন দিয়েছিলি?
–হুম।
–ওর বান্ধুবীদের জিজ্ঞেস করেছিলি।
–হ্যাঁ।সব জায়গাতেই খবর নিয়েছি।কোথাও যায় নি সে?
ইভান তখন চিৎকার করে বললো,তাহলে অতশী কোথায় গেলো?বাসাভর্তি লোকের মধ্যে থেকে সে কিভাবে উধাও হলো?এই বলে ইভান লতিফ আংকেল কে ডাকতে লাগলো।লতিফ আংকেল কে ডাকা দেখে ইভানের বাবা বললো,আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছি।কিন্তু লতিফ বললো, সে অতশীকে গেট থেকে বের হতে দেখেছে।কিন্তু কোথায় গিয়েছে সেটা বলে নি।
ইভান তার বাবার কথা শোনামাত্র লতিফের কাছে গেলো আর জিজ্ঞেস করলো আংকেল অতশীকে বাসা থেকে বের হতে দেখেছিলেন?
লতিফ আংকেল সাথে সাথে বললো হ্যাঁ বাবা দেখেছি।ইভান তখন বললো ওর সাথে কি আর কেউ ছিলো?
–হ্যাঁ ছিলো।গেটের বাহিরে এক ছেলে দাঁড়িয়ে ছিলো।অতশী মা তার সাথে চলে গেলো।আমি জিজ্ঞেস করলাম, মা ছেলেটি কে?অতশী তখন বললো ওর কোনো এক ফ্রেন্ড হয়।দরকারী একটা কাজে যাচ্ছে।কয়েকঘন্টা পরেই ফিরে আসবে।আমি সেজন্য আর বেশিকিছু জিজ্ঞেস করি নি।

ইভান কিছুই বুঝতে পারছে না।কি হচ্ছে এসব?এই পরিস্থিতিতে অতশী আবার কোন ফ্রেন্ডের সাথে কোথায় গেলো?ইভান সবার ফ্যামিলিকে সেফ জায়গায় থাকতে বললেও সে নিজের ফ্যামিলিকেই সতর্ক করতে ভুলে গেছে।সে কখনোই ভাবে নি অতশী তাকে না বলে এভাবে বাসা থেকে বের হয়ে যাবে?

এদিকে অতশীর আম্মু আর দাদী খবর পেয়ে পাগলের মতো দৌঁড়ে এলো ইভানের বাড়িতে।আর চিৎকার করে বললো অতশী কই?ওকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ইভান সেই কথা শুনে বললো, মা প্লিজ একটু শান্ত হোন।অতশী ওর কোনো এক ফ্রেন্ডের সাথে গিয়েছে।এমনিতেই ফিরে আসবে।আপনারা রেস্ট নিন।
অতশীর মা তখন বললো,ফ্রেন্ড?কোন ফ্রেন্ডের বাসায় গিয়েছে সে?
–আমরা কেউই জানি না।তবে লতিফ আংকেল নাকি দেখেছে কোন এক ছেলে ফ্রেন্ডের সাথে চলে যেতে।ছেলে ফ্রেন্ডের কথা শুনে অতশীর মা প্রচন্ড রেগে গেলো।তিনি ধমক দিয়ে বললেন,বাবা ইভান কি সব ভুলভাল বলছো?ওর কোনো ছেলে ফ্রেন্ড নাই।নেহা,সুইটি আর লিশা ছাড়া ওর কোনো ফ্রেন্ড নাই।ইভান তুমি বসে থেকো না।এখনি খুঁজতে বের হও।নিশ্চয় আমার মেয়েটা বিপদের মধ্যে আছে। এই বলে অতশীর মা হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো।
ইভান অতশীর মাকে কি বলে শান্ত্বনা দিবে বুঝতে পারলো না।তবে ইভান নিজেও বুঝতে পারছে এর পিছনে অন্য কোনো কারন আছে।অতশী কখনোই তাকে না বলে এভাবে বাহিরে যেতেই পারে না।যদিও যেয়ে থাকে অন্তত মৌরিকে তো বলে যাবে।তাহলে অতশী কই গেলো এভাবে?

ইভান বুঝতে পারছে না কি করবে এখন?আর কোথায় খুঁজবে তাকে?তবে ইভান একটা অংক কিছুতেই মেলাতে পারছে না,তা হলো কেয়ার টেকার লতিফ মিথ্যা কথা কেনো বলছে?তাহলে কি অতশীর ধারণাই ঠিক ছিলো?
কারণ অতশী যে ছেলে ফ্রেন্ডের সাথে চলে গেছে এটা সে কখনোই বিশ্বাস করে না।কারণ তার জানামতে এমন কোনো ছেলে নেই যার সাথে অতশীর ভালো কোনো সম্পর্ক আছে।অতশীকে সে অনেকদিন ধরেই চেনে।সে তার ডিপার্টমেন্টের কোনো ছেলের সাথেও কথা পর্যন্ত বলতো না।তাহলে হঠাৎ করে আবার এই ছেলে ফ্রেন্ড আসলো কই থেকে?

#চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here