#অনুভবে_তুমি
#পর্ব_০৬
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
আমি যেই সিএনজি তে উঠতে যাবো ঠিক সেই সময়ে ভাইয়ার বন্ধুটি আমার হাতের মধ্যে একটা চিরকুট দিয়ে দূরে সরে গেলো।হঠাৎ এভাবে চিরকুট দেওয়াই আমি ওনার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলাম। কারন আমার আর বুঝতে দেরী হলো না যে এই সেই অচেনা নাম না জানা প্রেমিক।যে দূরে থেকেই শুধুমাত্র চিরকুটের মাধ্যমে আমাকে পাগল করে দিচ্ছিলো।।ইনিই সেই লোক যে এতোদিন গোপনে আমাকে পার্সেল পাঠাতেন,আর ভালোবাসার কথা লিখতেন।উনি আমার হাত স্পর্শ করার সাথে সাথে মুহুর্তের মধ্যে আমি শকড খেয়ে গেলাম।আমি কি বলবো এখন বা কি করা উচিত সত্যি আমার মাথাতেই আসছে না।একদিকে বাসার সবাই বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করছে অন্যদিকে সেই চিরকুটওয়ালা ছেলেকে খুঁজে পেলাম।
এসব কিছু ভাবতেই হঠাৎ ভাইয়া এসে বললো,এখনো দাঁড়িয়ে আছিস?তাড়াতাড়ি বসে পড়।ভাইয়ার কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে সিএনজিতে গিয়ে বসে পড়লাম আর তাড়াতাড়ি করে চিরকুট টা ব্যাগের মধ্যে রেখে দিলাম।আমাদের সবাই কে সিএনজি তে বসিয়ে রেখে ভাইয়া তার বন্ধুদের থেকে বিদায় নিচ্ছে।ভাইয়ার আসতে দেরী হওয়াই আমি সিএনজির মধ্য থেকে মাথা টা বের করে উঁকি দিলাম।অল্প একটু তাকাতেই দেখি ছেলেটি আমার দিকেই দেখছে।আমি তা দেখে আবার সিএনজির মধ্যে মাথাটা ঢুকিয়ে নিলাম।কিন্তু কিছুক্ষন পর কি মনে করে যেনো আবার একটু উঁকি দিলাম।ঠিক তখনি ভাইয়া এগিয়ে আসলো আমার কাছে।আর জিজ্ঞেস করলো, কোনো সমস্যা হচ্ছে তোর?আমি মাথা নেড়ে জানালাম না হচ্ছে না।এই বলে সিএনজির মধ্যে ভালো হয়ে বসলাম।এবার ভাইয়াও বসলো আমার সাথে।কিছুক্ষণ পরেই সিএনজি স্টার্ট দিবে।কিন্তু ছেলেটির নাম জানার জন্য মন টা ছটফট করতে লাগলো।কে জানে আর দেখা হবে কি না?কোনো উপাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না।আর ভাইয়াকেও সরাসরি বলতে পারলাম না।সেজন্য ছেলেটির নাম অজানাই রয়ে গেলো।
আমি শুধু অপেক্ষা করছি কখন বাসায় গিয়ে পৌঁছবো?আর চিরকুট টা পড়তে পারবো?আজ কেনো জানি বাসায় পৌঁছতে অনেক দেরী হচ্ছে।অবশেষে অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো।আমরা বাসায় পৌঁছে গেলাম।আমি বাসায় পৌঁছেই সবার আগে রুমে চলে গেলাম আর দরজাটা লাগিয়ে দিলাম।ড্রেস চেঞ্জ না করেই চিরকুট টা বের করে পড়তে লাগলাম।
ভালোবাসার অতশী,
আমি তোমার ভালোবাসার মানুষ না হলেও তুমি আমার একমাত্র ভালোবাসার মানুষ। জানি খুব বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে তবুও আজ আমি ব্যাপার টা ক্লিয়ার করতে চাই।তোমাকে পাবো কিনা জানি না তবে বিশ্বাস করো তোমাকেই আমার ভালোবাসার মানুষ ভেবে আসছি।তোমার ছবি দেখেছিলাম অয়নের মোবাইলে।প্রথম দেখাই ক্রাশ খেয়ে যাই।সবাই তোমাকে বন্ধুর বোন হিসেবে দেখলেও আমি তোমাকে বোন হিসেবে দেখতে পারি নি।আমি জানি অয়ন এটা কখনোই মানবে না। এটা জানার পর ও হয় তো আমাদের বন্ধুত্বটাই নষ্ট করে দিবে।এজন্য এ বিষয়ে কাউকেই কিছু বলি নি।তবে বিশ্বাস করো অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি তোমাকে।সেজন্য বাধ্য হয়ে গোপনে পার্সেল পাঠাতাম।যাতে কিছুটা হলেও তুমি আমার ভালোবাসা অনুভব করতে পারো।কিন্তু আজ হঠাৎ অয়নের এমন ডিসিশন শুনে সত্যি অবাক হয়ে যাই।সব আমার জন্যই হয়েছে।আজ যদি আমি চিরকুট না দিতাম তাহলে তুমি ধরাও পড়তে না আর তোমার ফ্যামিলি বিয়ের জন্য এতো তাড়াহুড়োও করতো না।সরি ডিয়ার,এজন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।এখন একটা কথা ভীষণ জানতে ইচ্ছে করছে।তুমি কি আমাকে অনুভব করো?যদি আমার প্রতি একটু ভালোলাগা কাজ করে দয়া করে আমাকে জানাবে।আমি তোমাদের বাসায় আমার ফ্যামিলি কে পাঠাবো। তারপর যা হবার হবে।আমি তোমাকে জোর করছি না।তুমি যদি বলো এটা সম্ভব না তাহলে আমি আর বিরক্ত করবো না।আমি আমার মনের কথা বলে দিলাম।এখন বাকিটা তোমার হাতে।
আমি চিরকুট টা পড়ে এতো বেশি আনন্দিত হলাম যে রুমের মধ্যে একা একাই হাসতে লাগলাম।আমি কখনোই ভাবি নি আবার তার চিরকুট পড়তে পারবো।আমি তাকে না দেখে অনেক আগেই তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম।কিন্তু আজ তাকে দেখার পর আর এই চিরকুট পড়ার পর কিছুতেই নিজের খুশি আর চেপে রাখতে পারছিলাম না।অনেক বেশি ভালো লেগেছে তাকে।আমি আজ তার প্রতি আমার ভালোবাসা ফিল করতে পারছি।আজ সারারাত এই আনন্দে ঘুমাতে পারলাম না।তাকে আমি কিভাবে আমার মনের কথা জানাবো এই চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম।কি লিখবো ভেবেই পাচ্ছিলাম না।লিখছিলাম আর কেটে কেটে দিচ্ছিলাম।কিন্তু কোনোটাই মন মতো হচ্ছিলো না।শেষমেষ লেখা বাদ দিয়ে ডিসিশন নিলাম যে আমার বান্ধুবীদের সাহায্য নিবো।ওদের সাথে পরামর্শ করে তবেই আমার মনের কথা লিখবো।
তবে ভাইয়ার কথা মনে হতেই ভীষণ ভয় লাগছে আমার।ভাইয়া কি এটা হতে হবে?ভাইয়া কি তার বন্ধুকে মেনে নিবে কখনো?
সারারাত জেগে থাকার পর সকালবেলা কখন যে ঘুমিয়ে গেছি টেরই পাই নি।এদিকে কে যেনো দরজায় অনবরত ধাক্কাতেই আছে।সেজন্য ভীষণ বিরক্ত বোধ করছি।বার বার দরজা ধাক্কানো দেখে আর কিছুতেই শুয়ে থাকতে পারলাম না।তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে দেওয়ার জন্য বিছানা থেকে নামলাম।কিন্তু দরজার কাছে যেতেই খেয়াল করলাম আমি কালকের সেই গাউন পরেই ঘুমিয়েছি।আম্মু যদি এই অবস্থায় দেখে তাহলে ইচ্ছেমতো বকাঝকা করবে।সেজন্য দরজা না খুলে আগে ড্রেস টা চেঞ্জ করে নিলাম।এদিকে দরজা ধাক্কানোও থেমে গেছে।আমি তাড়াতাড়ি করে দরজা টা খুলে দিলাম।আমাকে দেখামাত্র দাদী বললো,এই আজ তুই ভার্সিটিতে যাবি না?হ্যাঁ যাবো তো।বলেই ঘড়ির দিকে তাকালাম।এমা!সকাল ১০ টা বাজে।এখন কি করি?তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নিলাম।
আজ ভাইয়া আগেই বাহিরে চলে গেছে।আম্মুও নাই বাসায়,বাজার করতে গেছে।সেজন্য একা একাই রওনা দিলাম ভার্সিটির দিকে।ভীষণ তাড়াহুড়ো করছিলাম।কখন যাবো আর কখন বান্ধুবীদের কে তার কথা বলবো?পুরোই অন্যমনস্ক ছিলাম।হঠাৎ কে যেনো আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।আর আমি সেই ধাক্কা খেয়ে দূরে ছিটকে পড়ে গেলাম।আর ও বাবা রে মরে গেলাম বলে জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলাম।আমার হাঁটু আর কনুই একদম ছিলে গেছে। ছিলা জায়গা ইতোমধ্যে জ্বলতে শুরু করেছে।
হঠাৎ খেয়াল করলাম ইভান ভাই আমার দিকে আসছে।আমি ওনাকে দেখামাত্র তাড়াতাড়ি করে দাঁড়িয়ে গেলাম আর বললাম আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।কারন সেদিনের পর থেকে ওনাকে দেখলেই আমি সালাম দেই।ভার্সিটির বড় ভাই বলে কথা।তিনি সালামের উত্তর নিয়েছেন কিনা জানি না তবে আমার কাছে এসেই বকাবকি শুরু করে দিলেন।
–আচ্ছা তোমার মাথায় কি সমস্যা আছে?না তুমি পাগল? একটু ক্লিয়ার করে বলবা?
আমি ওনার কথা শুনে চুপ করে তাকিয়ে রইলাম।কারন কোনোভাবেই এনার সাথে তর্ক করা যাবে না।তা না হলে সমস্যা হয়ে যাবে।তাছাড়া উনি এভাবে বলছেন কেনো সেটা এখনো বুঝি নি।
উনি আমাকে চুপচাপ থাকা দেখে ধমক দিয়ে বললেন,এভাবে বোকার মতো তাকিয়ে আছো কেনো?উত্তর দাও।আমি তখন বললাম,কি করেছি আমি?বুঝতে পারলাম না ভাইয়া।উনি সেই কথা শুনে চোখ বন্ধ করে রাগে নিজেই নিজের হাত খিঁচতে লাগলেন।আমি তা দেখে ভয় পেয়ে গেলাম।পাগল হয়ে গেলো নাকি আবার?এমন করছেন কেনো?হঠাৎ তিনি শান্ত হয়ে বললেন,তাড়াতাড়ি টাকা বের করো।আমার বাইক ঠিক করতে হবে।
টাকা?কিসের টাকা?
–তোমার কারনে আমি এক্সিডেন্ট করেছি।বাইক মেরামত করতে হবে।
–ও তার মানে আপনি আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন, এই কথা বলেই ওনার বাইক খুঁজতে লাগলাম।হ্যাঁ!ঠিকই তো!ওনার বাইক দূরে পড়ে আছে।আমি তখন বললাম,দেখেন ভাইয়া আমি নিজেই প্রচন্ড আঘাত পেয়েছি।আমার অনেক জায়গায় ছিলেও গেছে।হিসেবে চিকিৎসার জন্য আমাকে আপনার টাকা দেওয়া লাগে যেহেতু এক্সিডেন্ট টা আপনি করেছেন।কিন্তু ভার্সিটির বড় ভাই বলে চাইলাম না টাকা।কথা টা শোনামাত্র ইভান ভাই তার হাত আর পা দেখালো।আর বললো আমারও কিন্তু অনেকখানি ছিলে গেছে।আচ্ছা আমার কথা বাদ দাও,এসব ছোটোমোটো চোঁটের আমি তোয়াক্কা করি না।কিন্তু গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে আমার বাইকের অবস্থা শেষ।সেজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তোমাকে।আমি সেই কথা শুনে তোতলাতে লাগলাম।এতে আমার দোষ কোথায়?আমি কি করেছি?
কি করেছো মানে?তুমি কানে তুলা গুজে দিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাঁটছিলে।পাশে আরেকটা গাড়ি ছিলো।তোমাকে বাঁচাতে গিয়েই তো আমি গাছের সাথে ধাক্কা খাই।আমি তখন বললাম,আপনি আমাকে কখন বাঁচালেন?আপনি তো আরো ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন।ইভান ভাইয়া সেই কথা শুনে বললো,আসলে আমারি ভুল হয়ে গেছে।হাত দিয়ে ধাক্কা না মেরে তোমার গায়ের উপর দিয়ে বাইক নিয়ে গেলে ভালো হতো।এখন বেশি কথা না বলে টাকা বের করো।
আমি তখন আমতা আমতা করে বললাম,দেখুন আমি তো সাথে করে টাকা আনি নি।বাসায় গিয়ে ভাইয়াকে বলে টাকা নিতে হবে।
ভাইয়া?ভাইয়াকে বলতে হবে কেনো?তোমার কাছে যা আছে সেটাই দাও।
আমি তখন বললাম,আমার কাছে কোনো টাকা নাই।আর বাসাতেও নাই।যখন টাকা দরকার হয় তখন ভাইয়াকে বলি, ভাইয়া সাথে সাথে দিয়ে দেয়।
ইভান ভাই সেই কথা শুনে আর এক মুহুর্তও দেরী করলো না।।মনে মনে কি যেনো বলতে বলতে
বাইক এর কাছে চলে গেলেন।আমি তখন ওনাকে পিছন দিক দিয়ে ডাকতে লাগলাম,এই যে ভাইয়া?শুনছেন?টাকা টা কবে দিতে হবে?উনি কোনো উত্তর না দিয়ে বাইক নিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে গেলেন।।এদিকে আমিও উঃ আঃ করতে করতে ভার্সিটির দিকে চলে গেলাম।কারন এতোক্ষন ওনার বকবকানি শুনে ব্যাথার কথা ভুলে গিয়েছিলাম।এখন বুঝতে পারছি ছেলা জায়গার জ্বালা।
ভার্সিটিতে যেতেই দেখি ক্লাস শুরু হয়ে গেছে।সেজন্য আর ক্লাসের দিকে গেলাম না।মাঠের মধ্যে বসে থাকলাম।একা একা ভালোও লাগছে না।বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি আর ভাবছি কখন শেষ হবে ক্লাস টা!হঠাৎ কে যেনো আমার সামনে একটা প্যাকেট ফেলে দিলো।আমি প্যাকেট টা না নিয়ে উপরের দিকে তাকালাম।এমা!ইভান ভাইয়া!ইনি আবার কেনো এসেছেন?আমি কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবো তার আগেই উনি কথা বলে উঠলেন।ব্যান্ডেজ করে নিও।এটা বলেই চলে গেলেন।আমি সেজন্য আর কিছু বলতে পারলাম না।কিন্তু বেশ অবাক হলাম প্যাকেট টা দেখে।উনি নিজে এসে আমাকে ব্যান্ডেজ দিয়ে গেলেন!ব্যাপার টা খুব অদ্ভুত লাগলো।প্যাকেট টা হাতে নিয়ে দেখতেই আমার বান্ধুবীরা এসে হাজির।লিশা আমার ঘাড় ধরে বললো কি রে পড়াচোরা!ক্লাস বাদ দিয়ে এখানে কি?
আমি তখন বললাম কলেজে পৌঁছতে লেট হয়ে গেছে আজ।নেহা হঠাৎ আমার হাত থেকে প্যাকেট টা নিয়ে নিলো আর বললো, ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ!এটা দিয়ে কি করবি?আমি সেই কথা শুনে আমার হাত দেখালাম।আর কি কি ঘটনা ঘটেছে সব বললাম।কিন্তু যেই বললাম এই প্যাকেট টা ইভান ভাইয়া নিজে এসে দিয়ে গেলো সবাই কিছুক্ষণের জন্য নীরব হয়ে গেলো।আর একে অপরের দিকে তাকাতে লাগলো।আমি ওদের মুখের অবস্থা দেখে বললাম এতে অবাক হওয়ার কি আছে?উনি কি এলিয়েন নাকি!উনিও আমাদের মতো মানুষ। তাছাড়া এক্সিডেন্ট টা যেহেতু উনিই করেছেন সেজন্য একটা দায়িত্ব তো আছেই!তাই না?
আমার এমন কথা শুনে সুইটি বললো,দোস্ত তুই কি ঠিক আছিস?না মানে তোর মাথা কি ঠিক আছে?হ্যাঁ, ঠিকই তো আছে।কেনো?
সেই কথা শুনে সুইটি বললো,না মানে তুই না ওনাকে দেখে ভয় পাইতিস!আজ তোর কথাবার্তায় বিন্দুমাত্র ভয় নাই।ব্যাপার কি?
দূর!কিসের ব্যাপার!তোরা দুই লাইন বেশি বেশি বুঝিস।বাদ দে তো এখন ওনার কথা।আসল কাহিনী শোন!
কিসের আবার আসল কাহিনী!
ভাইয়া আমার বিয়ে ঠিক করেছে।কালকে আমাকে না জানিয়ে ছেলেপক্ষের সামনে নিয়েও গিয়েছিলো।
তোর বিয়ে!সত্যি বলছিস!হ্যাঁ সত্যি বলছি।সেখানে গিয়ে আবার আমি সেই নাম না জানা প্রেমিক কেও খুঁজে পেয়েছি।
কি বলছিস!বান্ধুবীরা আমার অনেক বেশি অবাক হলো।আমি তখন বললাম শুধু এটাই না,সেই ছেলে আবার ভাইয়ার বন্ধু হয়। তিনি আমাকে চুরি করে একটা চিরকুট দিয়েছেন।তাতে তিনি আমার মনের কথা জানতে চাচ্ছে।কি বলবো এখন তোরাই বল।
আমার বান্ধুবীরা কথাটা শোনামাত্র বললো,তুই আসলেই পাগল হয়ে গেছিস।তুই বুঝতে পারছিস কি করতে যাচ্ছিস?অন্য ছেলে হলে ভাবা যেতো।কিন্তু এ ছেলে তোর ভাইয়ের বন্ধু হয়!তার মানে এর পরিনতি কি হতে পারে একবার সুস্থ মাথায় ভেবে দেখ।তারপর ডিসিশন নে।
#চলবে,,,,,,
কেমন লাগছে গল্পটি অবশ্যই জানাবে।পরবর্তী পর্বে গল্পের মোড় ঘুরে যাবে।