অনুভূতিতে তুমি পর্ব-৪

0
4410

#অনুভূতিতে_তুমি 💖
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_৪

নির্ঝর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পেপার হাতে নিল। পেপার পড়তে পড়তে তার কপাল কুঁচকে গেল। পেপার রেখে মেহেরিন’র দিকে তাকিয়ে বলল,

“এইসব কি?

“যা পড়ছেন তাই।

“তুমি কি বিয়েটা কে একটা ডিল হিসেবে নিতে চাইছো।

মেহেরিন একটা বাঁকা হাসি দিয়ে খানিকটা উষ্ণ গলায় বলে,

“কেন আপনার কি আমার সাথে সারাজীবন থাকার জন্য!

“কোন ভাবেই না। আর সত্যি বলতে আমি এই বিয়েটাই করতে চাই না।

“তাহলে আর কি, তাহলে এটা তো আপনার জন্য বিরাট সুযোগ তা নয় কি। আমাদের বিয়েটা ১ বছরের একটা কন্ট্রাক হবে। ১ বছর পর আমি নিজেই আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে দেবো। তখন আপনি আপনার রাস্তায় আর আমি আমার।

“তাহলে বিয়েটা কেন করতে চাইছো, যদি সেটা ভেঙেই ফেলবে।

মেহেরিন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“সবকিছুর কারণ জানতে নেই মিঃ নির্ঝর! তবে আপনি নিশ্চিত থাকুন। কোম্পানির শেয়ার যা ছিল তেমনি থাকবে।

“আর ১ বছর! ১ বছর পর কি হবে। আর তুমি কেন’ই বা ১ বছরের জন্য বিয়েটা করতে চাইছো।

“সবকিছুতে খুব আগ্রহ আপনার নির্ঝর! শুনুন আমাদের কোম্পানি তার একটা ব্রাঞ্চ খুব জলদি কানাডা’য় খুলতে যাচ্ছে। তো সেটার জন্য আমার হাতে ১ বছর আছে। ১ বছরের মধ্যে কাজটা শেষ হয়ে গেল আমি কানাডা শিফট করবো। তো তখন আপনি থাকুন আপনার মতো।

“বিয়েটা কে শুধু একটা নাম!

“ঠিক ধরেছেন! ( বলেই দাঁড়িয়ে নির্ঝর কে উদ্দেশ্য করে বলল… ) নির্ঝর আপনার ব্রেকগাউন্ড সম্পর্কে আমার জানা হয়ে গেছে। আপনি কেমন তা আমি খুব ভালো করেই জানি। সংসার বিয়ে এসবে আপনার কোন আগ্রহ নেই।

“তা তো এখনো নেই!

“আমি জানি সেটা। আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান না তো এই বিয়েটা কে বিয়ে না মনে করে একটা ডিল’ই মনে করুন। এতে আপনার ক্ষতি নেই।

“কিন্তু আমার বাবা মা!

মেহেরিন হেসে বলে উঠে,
“খুব চিন্তা দেখছি তাদের জন্য। আচ্ছা বাদ দিন সন্তান হিসেবে আপনি চিন্তা করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি আমি আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে চলে যাই তাহলে নিশ্চিত থাকুন আপনার মা বাবা আপনাকে দায়ী করবে না। আমি তাদের বলব দোষটা আমার তখন আর তারা আপনার কাছে কৈফিয়ত চাইবে না আর না জোর করবে দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য।

নির্ঝর চুপ করে শুনছে মেহেরিন’র কথা। এরকম টা কখনো আশা করে নি সে। খুব অচেনা লাগছে এই মেহেরিন কে। মন বলছে সে যেভাবে তার মেঘকন্যা কে সাজাতে চেয়েছিল এ মোটেও তেমন না। মেহেরিন কেন এমন করছে এটা সম্পর্কে জানতে চায় সে কিন্তু মেহেরিন তাকে কিছুই বলবে এটাও নিশ্চিত সে। যা করবার তার’ই করা লাগবে। নিজের’ই খোঁজা লাগবে সবকিছু!

“মিঃ নির্ঝর!

“হুম..

“কি এতো ভাবছেন। আমার মনে হয়েছিল আপনি এই ডিল টা দেখে বেশ খুশি হবেন। আফটার অল এতো বড় সুযোগ কেই’বা হাত ছাড়া করতে চাইবে।

“ঠিক’ই বলেছ, এতো বড় সুযোগ কে হাত ছাড়া করতে চাইবে। হ্যাঁ তাই তো, তাহলে তুমি কেন আমাকেই বাছলে?

“নির্ঝর একটা কথা মনে রাখবেন পৃথিবীতে যা কিছুই ঘটে না কেন সব কিছুর পেছনেই কারন থাকে। কারন ছাড়া কেউ কিছু করতে চায় না। প্রকৃতিও কারন ছাড়া চলে না।

“কারন টা কি?

মেহেরিন হেসে বলে,
“সেটা আপনি না জানলেও হবে। আপাতত আপনাকে যা বলছি তাই বলুন।

নির্ঝর পেপার টা হাতে নিয়ে বলে,
“১ টা বছর খুব বেশি..

“চিন্তা করবেন না। আপনার পার্সোনাল লাইফে আমি ইন্টারফেয়ার করছি না।

কলমটা নির্ঝরের দিকে এগিয়ে,
“নিন সাইন করুন!

“আমার কিছুক্ষণ ভাবার সময় চাই!

“হুম ভাবুন। সময় দিচ্ছি আমি। আগামীকাল অবদি আপনাকে সময় দিচ্ছি এর মধ্যে আপনার মত জানাবেন!

“হুম! আচ্ছা একটা কথা ছিল?

“বলুন!

“আমি শুনলাম তোমার একটা ছেলে আছে এটা কি সত্যি!

“ছেলে আছে বলেই তো শুনেছেন। কেন কি হয়েছে?

“কিছু না শুধু এমনেই জিজ্ঞেস করলাম। আমি যাচ্ছি..

বলেই নির্ঝর পেপার টা নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। মেহেরিন চোখ বন্ধ করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে চেয়ারে বসে। ডাক দেয় তার পিএ কে।

নির্ঝর বাইরে এসে পেপার’র দিকে তাকিয়ে আছে। ভাবছে কি করবে। পেপার থেকে চোখ সরিয়ে কপালে হাত দিয়ে মাথা ঝাকালো সে। এই মেহেরিন মেয়েটা বেশ জটিল। খুব প্যাচ আছে তার মধ্যে। হঠাৎ করেই মনে হলো কেউ তার হুডি ধরে টানছে। নির্ঝর নিচে তাকিয়ে দেখে একটা ছোট পিচ্চি বাচ্চা তার হুডি ধরে টানছে। নির্ঝর হাঁটু গেড়ে বাচ্চাটার সামনে বসে বলল,

“কি হয়েছে বাবু!

তখন বাচ্চা টা হাত দিয়ে উপরের দিকে ইশারা করে। নির্ঝর উপরে তাকিয়ে দেখে একটা বেলুন উড়ছে। উড়ছে বলতে উড়েই আকাশে চলে যেত কিন্তু কিছু একটার সাথে আটকে গেছে। নির্ঝর হেসে উঠে দাঁড়িয়ে বেলন টাকে ধরে বাচ্চাটার হাতে দিল। বাচ্চা টাকে বেশ মিষ্টি লাগছে তার। বেলুন পেয়ে তার মুখে স্নিগ্ধ হাসি দেখা গেল। নির্ঝরের খারাপ মন ভালো হলো। সে কি আবারো হাঁটু গেড়ে বসে বাচ্চা টার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,

“নাম কি তোমার বাবু!

বাচ্চা কথা না বলে তাকিয়ে রইল নির্ঝরের দিকে। নির্ঝরের কাছে একটু অদ্ভুত লাগলেও সে আবারো জিজ্ঞেস করল,

“তোমার নাম কি?

“অর্ণ!
বলেই হেসে দিল!

“অর্ণ!

বাচ্চা টা মাথা নাড়াল।

নির্ঝর হেসে বলল,
“কার সাথে এসেছ মাম্মির সাথে।

বাচ্চা টা আবারো মাথা নাড়ল।

“মাম্মী কোথায় তোমার?

বাচ্চা টা হাত দিয়ে ইশারা করে অফিস দেখাল। নির্ঝর অর্ণবের গালে টেনে বলল,
“মাম্মীর সাথে থাকো, একা একা খেলো না হারিয়ে যাবে বুঝলে!

বাচ্চা টা আবারো মাথা নাড়ল। নির্ঝর উঠে দাঁড়াল। অর্ণব হেসে বলে উঠে,
“ড্যাডি!
ড্যাডি ডাক শুনে নির্ঝর হেসে অর্ণবের মাথায় হাত বোলায়। ছোট একটা বাচ্চার ড্যাডি ডাক টা বিশেষ কোন প্রভাব ফেলল না তার উপর! হুট করেই একটা ফোন কল আসে নির্ঝরের ফোনে। নির্ঝর অর্ণব কে ভেতরে চলে যেতে বলল। অর্ণব হাত নাড়িয়ে তাকে টাটা দিল। নির্ঝরও হেসে তাকে টাটা দিল। নির্ঝর চলে যেতেই মেহেরিন’র একজন স্টাফ এসে অর্ণবের পাশে দাঁড়াল। অর্ণব তাকে দেখে খানিকটা ভয় পেয়ে এক পা পিছিয়ে গেল। স্টাফ খুব যত্ন করে অর্ণব কে নিয়ে মেহেরিন’র কেবিনের দিকে গেল!
.
ল্যাপটবে সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্ঝর আর অর্ণবের প্রতিক্রিয়া দেখছিল মেহেরিন। তার পাশে বসা চাইল্ড স্পেশালিস্ট ডঃ রাহেলা। বর্তমানে অর্ণবের ট্রিটমেন্ট সেই করছে। মেহেরিন ল্যাপটব থেকে চোখ সরিয়ে ডঃ রাহেলাকে উদ্দেশ্য করে বলেন,

“তো কি বুঝলেন ডঃ রাহেলা!

“হুম! প্রথমে মনে হলো সে গ্রোথ করছে কিন্তু পরক্ষণেই চেনা স্টাফ কে দেখে দূরে সরে যাওয়া টা আবার ভাবাচ্ছে!

“এটা প্রথমবার না দ্বিতীয় বার!

“এই লোকটার সাথেই না কি অন্যজন!

“না উনিই ছিল। এটা কয়েকদিন আগের কথা। অর্ণব আর আমি পার্ক থেকে শপিং মলে গিয়েছিলাম…
[ অতীত…
রাস্তায় কাঠ ফাটা রোদ। গাড়ি থেকে বের হয়ে মেহেরিন অর্ণব’র মাথায় একটা টুপি পড়িয়ে দেয়। পার্কে‌ মেহেরিন আর অর্ণব ফুটবল খেলে। অর্ণব দৌড়ে ফুটবল মেরে মেহেরিন কে দেয়। মেহেরিন হেসে বল টা আবারো অর্ণবকে দেয়। অন্য বাচ্চাদের সাথে মিশতে পারে না বলে মেহেরিন অর্ণবের একমাত্র খেলার সঙ্গী! অতঃপর সন্ধ্যার দিকে দু’জনে শপিংমলের দিকে যায়। যদিও ভিড়ের মাঝে যাওয়া টা অর্ণবের মোটেও পছন্দ না তবুও সেদিন মেহেরিন’র সাথে সে গিয়েছিল। হঠাৎ করেই মেহেরিন হারিয়ে ফেলে তাকে। মেহেরিন ব্যাকুল হয়ে খুঁজতে থাকে অর্ণব কে। এদিকে অর্ণব মেহেরিন কে না দেখতে পেয়ে এতো ভিড়ের মাঝে ভয় পেয়ে যায়। এক কোনে চুপটি করে বসে কাঁদতে থাকে সে।
সেদিন এনগেজমেন্ট এর উদ্দেশ্যে নির্ঝর আর কথা শপিং করতে আসে। কথার শপিং যেন শেষ’ই হচ্ছিল না। এটার পর এটা কিনেই যাচ্ছে। নির্ঝর যেন হাঁফিয়ে উঠে। একটু দম নেবার পর বাইরে ছোট অর্ণব কে বসে থাকতে দেখে। তার কাছে গিয়ে তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করে কিন্তু অর্ণব কোন কথাই বলে না। অর্ণব মাথা অবদি তুলে না যার কারণে নির্ঝর তার মুখটা দেখে নি। শুধু কান্না’র আওয়াছ পেতে থাকে। মাঝে মাঝে মাম্মি মাম্মি ডাকটা শুনতে পায়। নির্ঝর ধরেই নেয় অর্ণব হারিয়ে গেছে। অতঃপর নির্ঝর অর্ণব কে কোলে তুলে নেয়। বেচারা অর্ণব নির্ঝরের কোলে উঠে চুপটি করে থাকে।
মেহেরিন শপিং মলের সিকিউরিটি রুমে এসে সিসি টিভি তে অর্ণব কে খুঁজে চলছে। এসময় খবর আসে অর্ণব কে পাওয়া গেছে। মেহেরিন এসে দেখে অর্ণব নির্ঝরের কোলে। সে একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল। খুব শান্ত ভাবে তাকে আকড়ে ধরে আছে। মেহেরিনের এই প্রথম ধাক্কাটা খেতে একটু সময় লাগে। নির্ঝর সিকিউরিটি’র কাজে অর্ণব কে দিয়ে দেয়। তার মাথায় হাত বুলিয়ে সিকিউরিটির সাথে কথা বলে। অর্ণব পিছনে মেহেরিন কে দাঁড়িয়ে ধাকতে দেখে দৌড়ে তার কাছে চলে যায়। মেহেরিন তাকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে। সামনে তাকিয়ে দেখে নির্ঝর আর কথা দুজনেই একসাথে। কথা বলছে দু’জন। অর্ণব নির্ঝর কে দেখে বলে উঠে,
“ড্যাডি!

মেহেরিন অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে অর্ণবের দিকে। অর্ণব আবারো বলে উঠে ড্যাডি। এদিকে কথা নির্ঝরের হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এখানে পূর্ব পরিচিত হলেও নির্ঝর এখনো জানে না সেই বাচ্চা টা অর্ণব ছিল! ]

বর্তমান…
মেহেরিন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“এই প্রথম অর্ণব কোন অচেনা লোকের কোলে শান্ত ভাবে ছিল। ব্যাপারটা আমাকে বেশ ভাবিয়েছে! তাই আজ আবার দেখলাম, আর এখনও তাই হলো। অর্ণব তার সাথে মিশতে পারছে!

“হুম বুঝলাম তোমার কথা। তুমি তো জানোই অর্ণব বাকি বাচ্চাদের মতো না। সম্পূর্ণ আলাদা তবুও ওর মাঝে এই পরিবর্তন টা ভাবাচ্ছে!

“আপনিই তো বলেছিলেন অর্ণব এর মতো বাচ্চারা সবার সাথে মিশতে পারে না।

“হুম বলেছি সবার সাথে পারবে না। তা বলে ব্যতিক্রম যে হবে না তা না। যদি সে কারো সাথে কমফোর্টেবল ফিল করে তাহলে এটা তোমার জন্য খুশির খবর।

“তাহলে বলছেন এটা ওর জন্য ভালো।

“অবশ্যই! কিন্তু মেহেরিন একটা কথা?

“হুম..

“এই লোকটা সে না যার সাথে তোমার এনগেজমেন্ট হয়েছে!

মেহেরিন ডঃ রাহেলা’র দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে বলল,
“হুম!

ডঃ রাহেলা হেসে বলেন,
“তোমার এমন সিদ্ধান্তে আমি সত্যি’ই অনেক খুশি! অর্ণবের পক্ষে কারো সাথে এতো সহজে
মিশে যাওয়াটা কম আশ্চর্যের নয়। ওর মতো আমি আরো অনেক পেশেন্ট দেখেছি। সবার সাথে আমার মিশতে বেশিদিন লাগে কিন্তু অর্ণবের সাথে মিশতে আমার অনেক সময় লেগেছে। অনেক স্টাডি করেছি ওকে নিয়ে। তবে যেই ছেলে একদিনেই ওর সাথে এতোটা মিশতে পারছে তার সাথে সারাজীবন থাকার চিন্তাটা খারাপ না। এতে অর্ণবের জন্য’ই ভালো। তুমি আসলেই খুব চিন্তা করো তাকে নিয়ে।

মেহেরিন খানিকক্ষণ’র‌ জন্য চোখ বন্ধ করে মেলে বলে,
“আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন অর্ণব। ও ছাড়া পৃথিবীতে আর কেউ নেই।

“আমি জানি সেটা..
বলেই ডঃ রাহেলা থামলেন। দরজা নক হলো। মেহেরিন’র অনুমতি পাওয়া মাত্র ঘরে ঢুকল অর্ণব। দৌড়ে এসে মেহেরিন’র কোলে উঠে বসল। মেহেরিন হেসে তাকে জরিয়ে ধরল। ডঃ রাহেলা হেসে জিজ্ঞেস করলেন,

“অর্ণব! কেমন আছো?

অর্ণব হাসল। যার অর্থ সে ভালো আছে। ডঃ রাহেলা হেসে অর্ণবের মাথায় হাত বোলালেন। অর্ণব হেসে পাশ ফিরিয়ে তাকিয়ে মেহেরিন’র ল্যাপটবে নির্ঝর আর তাকে দেখতে পেলো। অর্ণব হেসে বলে উঠল,

“ড্যাডি!

ডঃ রাহেলা আর মেহেরিন অবাক হয়ে তাকাল অর্ণবের দিকে। অর্ণব আবারো ল্যাপটবের দিকে তাকিয়ে বলল,

“ড্যাডি!

মেহেরিনের চোখ গেল ল্যাপটবের স্কিনে। নির্ঝর হাঁটু গেড়ে বসে অর্ণবের মাথায় হাত রেখে আছে। এই দৃশ্য টুকু পজ হয়ে আছে ল্যাবটবে।

#চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here