গলার টাই টা হাত দিয়ে লুজ করে যথেষ্ঠ রাগ নিবারণ করে শান্ত গলায় বলে উঠে,
“আজ আমার আর কথার এনগেজমেন্ট’র ছিল। ড্যাড তোমার সাথে এনগেজমেন্ট’র অ্যানাউস করল কেন?
বলেই কিছূ সেকেন্ড’র জন্য থামল নির্ঝর! আশায় আছে উওরের। কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে সামনে থাকা মেয়েটা কিছু’ই বলল না। সে আগের মতোই দাঁড়িয়ে রইল। নির্ঝরের রাগ বাড়ছে। মেয়েটা তাকে ইগনোর করছে সে বেশ বুঝতে পারছে। রাগে তার হাত কাঁপছে। নির্ঝর মেয়েটার পিছনে থাকায় তাকে দেখতে পারছে না নাহলে বেশ রেগেই কথা বলতো সে! যে মেয়ে তার দিকেই ফিরে তাকাচ্ছে তার আড়ালে রাগ দেখানো অর্নথক। নির্ঝর ঠোঁট ভিজিয়ে আবারো বলে উঠে,
“আমি তোমাকে কিছু বলছি, তুমি কি আমার কথা শুনতে পারছো মিস…
মেয়েটা সামনে ঘুরে জবাব দিল,
“মেহেরিন বর্ষা খান!
নির্ঝর চোখ তুলে মেয়েটার দিকে তাকাল। মেয়েটার হরিণী চোখ নজর কাড়ল তার। চোখের পাতা ফেলে ফেলে মেয়েটা দেখছে তাকে। নির্ঝর মুগ্ধ হয়ে দেখছে তাকে। কিন্তু মুগ্ধ হচ্ছে কেন। আজ পর্যন্ত অনেক মেয়ে কেই দেখেছে সে কিন্তু এমন অনুভূতি আর কখনো হয় নি। কিছু কি আছে তাহলে মেয়েটার মাঝে!
মেহেরিন ধীরে ধীরে হেঁটে নির্ঝরের সামনে দাঁড়াল। নির্ঝর এখনো দেখছে তাকে। যেন কোন এক মেঘকন্যা দাঁড়িয়ে আছে তার সামনে। সাদা রঙের একটা গ্রাউন যেন তাকে মেঘকন্যা বানিয়ে দিয়েছে। মেহেরিন নির্ঝরের মনোযোগ পাবার জন্য হালকা কাশল। নির্ঝরের ঘোর ফিরল। খানিকটা স্বাভাবিক হয়ে বলে উঠল,
“মিস..
“মিস মেহেরিন! মেহেরিন বর্ষা খান!
“তুমি কি সেই..
“হ্যাঁ আমি’ই সেই যার সাথে আপনার এনগেজমেন্ট অ্যানাউস হয়েছে। কেন অ্যানাউসমেন্ট এ নাম শুনেন নি।
“হ্যাঁ শুনেছি কিন্তু..
“মনে রাখেন নি! কিন্তু রাখতে হবে। নিজের হবু বউ’র নাম মনে রাখতে হবে
“এক্সকিউজ মি! তুমি হয়তো জানো না কথা আমার গার্লফ্রেন্ড। আজ ওর সাথে আমার এনগেজমেন্ট আর পরবর্তীতে ওর সাথেই বিয়ে..
নির্ঝর কে কথা শেষ না করতে দিয়ে মেহেরিন বলে উঠে,
“ভুল করছেন। হয়তো কথা আপনার গার্লফ্রেন্ড ছিল তবে আপনার এনগেজমেন্ট আমার সাথেই হবে আর বিয়েও।
নির্ঝর হেসে বলে উঠে,
“তোমার মনে হয় না তুমি আমাকে জোর করছো?
“হুম তা তো মনে হয়!
নির্ঝর খানিকটা ভাব নিয়ে বলে উঠল,
“দেখো মিস মেহে.. Whatever! তোমার যদি আমাকে এতোই পছন্দ হয়ে থাকে তুমি আমাকে প্রপোজ করতে পারতে। সুন্দর করে হাঁটু করে গেড়ে বসে একটা গোলাপ হাতে নিয়ে প্রপোজ করতে। তখন আমি ভেবে চিন্তে দেখতাম তোমাকে হ্যাঁ বলব কি না!
মেহেরিন ভ্রু কুঁচকে বলল,
“আপনাকে এটা কে বলল আমি আপনাকে পছন্দ করি?
নির্ঝর থমতম খেয়ে,
“মানে? তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও কেন?
মেহেরিন ছোট করে নিঃশ্বাস ফেলে বলে,
“মিঃ নির্ঝর চৌধুরী মেঘ! ( বলেই মেহেরিন হেঁটে ঘরের কোনে থাকা টেবিলের কাছে গেল। সেখান থেকে কিছু কাগজপত্র নিয়ে নির্ঝরের সামনে দাঁড়িয়ে বলল) মেহেরিন প্রফিট ছাড়া কখনো কিছু দেখে না। তো আমাকে বিয়ে করলে আপনি খান কোম্পানির ৪০% শেয়ার পাবেন। আর আমি..
নির্ঝর কাগজের থেকে মুখ ঘুরিয়ে মেহেরিন’র দিকে তাকিয়ে বলে,
“৫০% ! মানে আর্ধেক! এটা কেন?
“আমি আগেই বলেছি মেহেরিন প্রফিট ছাড়া কিছু দেখে না।
নির্ঝর কিছু বলবে তার আগে মেহেরিন তাকে থামিয়ে বলে উঠে,
“রাখুন! আপনার সেই ভালোবাসা আর গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে কোন বাণী শুনতে চাই না। একটা কথা মনে রাখবেন খান কোম্পানি থেকে আপনাদের চৌধুরী কোম্পানি অনেকটা পিছনে। আমার সাথে এই ডিল করলে আপনাদের ক্ষতি না বরং লাভ হবে। তবে হ্যাঁ এখন আপনার সেই ভালোবাসার জন্য যদি আপনি এই ডিল হাত ছাড়া করতে চান তাহলে আমার কিছু করার নেই। কিন্তু সুযোগ বার বার আসে না। এই নিয়ে আপনার বাবার সাথে আমার বিস্তারিত কথা শেষ।
“কিন্তু আমি কথার সাথেই এনগেজমেন্ট করবো।
“এস ইউর উইস! তবে উইস করা মন্দ না সেটা পূরণ হোক আর না হোক।
বলেই মেহেরিন নির্ঝরের পাশ দিয়ে বের হতে নিল তখন’ই মিঃ রিদুয়ান চৌধুরী কে দেখে থেমে গেল মেহেরিন। বলে উঠল,
“মিঃ রিদুয়ান চৌধুরী!
বাবা’র নাম শুনে পিছনে ফিরল নির্ঝর! মেহেরিন বাঁকা হেসে বলে উঠল,
“আমার যা বলার ছিল বলে দিয়েছি বাকিটা আপনি দেখুন!
বলেই হন হন করে হেঁটে চলে গেল মেহেরিন। নির্ঝর বির বির করে বলে উঠে,
“কি অহংকারী মেয়েরে বাবা!
রিদুয়ান চৌধুরী ঘরে প্রবেশ করে নির্ঝরের ঘাড়ে হাত রেখে বলে,
“তো কি ভাবলে!
“ভাবাভাবির কি আছে ড্যাড। আমি যখন বলেছি তখন কথার সাথেই এনগেজমেন্ট করবো।
রিদুয়ান চৌধুরী মাথা নাড়িয়ে বলে উঠে,
“আচ্ছা! খুব ভালোবাসিস মনে হচ্ছে কথা কে।
“ড্যাড, সি ইজ মাই গার্লফ্রেন্ড!
“আমি জানি, কিন্তু গার্লফ্রেন্ড কে ভালোবাসো তো।
“ভালো তো আমি ওই মেহু কি জানি যাই হোক তাকেও বাসি না তো!
“আচ্ছা নির্ঝর তোমার লাস্ট গার্লফ্রেন্ড এর নাম কি?
“হঠাৎ এই কথা কেন জিজ্ঞেস করছো?
“বলো না!
“হাম লাস্ট গার্লফ্রেন্ড কি জানি নাম তমা, ইশা না না না আশা মেবি..
রিদুয়ান নির্ঝরের মাথায় বাড়ি মেরে বলে,
“তমা ইশা আশা লাস্ট গার্লফ্রেন্ড হলে কথার সাথে কেন এনগেজমেন্ট করছিস!
নির্ঝর জিহ্বা কেটে বলে,
“ওহ হ্যাঁ হ্যাঁ কথা। লাস্ট গার্লফ্রেন্ড তো কথা নাহলে আমি ওর সাথে কেন এনগেজমেন্ট করছি। হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক বলেছ!
বলেই হাসল নির্ঝর। রিদুয়ান ছেলের সাথে হেসে বলে উঠে,
“তা বর্তমান গার্লফ্রেন্ড এর নাম কি?
নির্ঝর হাসতে হাসতে বলল,
“ওটা তো অনামিকা!
রিদুয়ান চৌধুরী নির্ঝরের গলার টাই ঠিক করে দিয়ে বলে,
“বাহ লাস্ট গার্লফ্রেন্ড একজন আর বর্তমান গার্লফ্রেন্ড আরেকজন!
নির্ঝর এবার চুপ হয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে বলে,
“তুমি এভাবে কেন কথা পেঁচিয়ে যাচ্ছো ড্যাড। হ্যাঁ মানছি আমার অনেক গার্লফ্রেন্ড কিন্তু আমি তো তোমারই ছেলে বলো। কিন্তু প্লে বয় না। একদম না!
“না তা হবে কেন? তুমি তো আমার ছেলে। মেয়েরা সবসময় তোর পিছনে পিছনে ঘুরে, ফ্লার্ট করে আর তুমিও পাত্তা দাও।
“তুমি ঠিক কি বলতে চাইছো তাই বলো।
“শোন নির্ঝর, তুমি আমার ছেলে তো। আমি চিনি তোমাকে ভালোমতো। তুমি কথার সাথে এনগেজমেন্ট করছো ঠিক আছে কিন্তু তাকে এই জন্মেও বিয়ে করবে না সেটা আমি ভালো করেই জানি।
“ড্যাড, তাই তুমি চাইছো আমি এই অহংকারী মেয়ে কে বিয়ে করে ঘর সংসার করি!
“ঠিক ধরেছো!
“যেমন দাদা করেছিল তোমার সাথে!
রিদুয়ান সাহেব হেসে ছেলের দিকে তাকাল। নির্ঝর বিরক্ত মুখে বলে উঠল,
“ড্যাড এটা ঠিক না, দাদা তোমার সাথে যা করেছে এটার রাগ তুমি আমার ওপর ঝাড়তে পারো না।
“পারি পারি আরো অনেক কিছুই পারি। আমার বাবা আমাকে যা বলেছিল আমি সেটাও বলছি তোমায়। মেহেরিন কে বিয়ে না করলে আমি তোমাকে ত্যাজ্য পুত্র করব।
বলেই হেসে বেরিয়ে গেলেন রিদুয়ান। নির্ঝর পেছন থেকে অনেকবার ডাকল কিন্তু তার বাবা কিছুই শুনলেন না।
.
নির্ঝর রেগে ঘর থেকে বের হতেই থেকে কথা দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখে অশ্রু ঝলঝল করছে। নির্ঝর কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। কথা বলে উঠে,
“তুমি তাহলে ওই মেয়ের সাথেই এনগেজমেন্ট করছো।
“কথা আমি..
“তাহলে আমাকে আর আমার পরিবার কে ডেকে এনে এভাবে অপমান কেন করলে তুমি নির্ঝর!
“আমি নিজেও জানতাম না ওর সাথে আমার এনগেজমেন্ট হবে।
“তুমি আমাকে এভাবে ঠকালে।
“কথা আমার কথা তো শোন ইয়ার..
কথা কিছু না বলেই দৌড়ে চলে গেল। নির্ঝর তার পিছনে দৌড়াল না। সে সেখানেই দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগাল। কি করবে সে? এনগেজমেন্ট করে ফেলবে মেহেরিন কে নাকি করবে না। কিন্তু মেহেরিন কে এনগেজমেন্ট না করলে ড্যাড তাকে ত্যাজ্য পুত্র করবে। তখন এসব গাড়ি, বাড়ি টাকা পয়সা কিছুই পাবে না সে। বিলাসিতা ছাড়া যার এক মুহুর্ত চলে না এসব ছেড়ে সে থাকবে কি করে?
অনেক ভেবে নির্ঝর একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাল। অতঃপর নিচে নেমে এলো সে। সবাই তার’ই অপেক্ষা করছে। তাকে নামতে দেখে হাততালির আওয়াজে চারদিক মুখরিত। মেহেরিন স্টেজে দাঁড়িয়ে আছে। তার পাশে তার বাবা আর মা। মা কে বেশ খুশি খুশি লাগছে এর মানে তার মাও রাজি। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামতেই ফরহাদ, ঈশান, আরিফ তার দিকে তাকিয়ে হাসল। এ হাসির মানে সে জানে। বন্ধুরা মজা করছে তাকে নিয়ে। করবে না’ই বা কেন? যে নির্ঝর এতোদিন মেয়েদের কে তার পিছনে ঘুরিয়েছে আজ সেই নির্ঝর কেই একটা মেয়ে এভাবে হারিয়ে দিল। এটা ভাবতেই রেগে যাচ্ছে সে।
.
নির্ঝর ভেবেছিল কথা চলে গেছে। কিন্তু না এই মেয়ে যায় নি। সে এখনো আছে, শেষটা দেখে তারপর’ই যাবে সে। নির্ঝরের হাতে একটা আংটি যেটা সে পড়িয়ে দিবে মেহেরিন’র হাতে। অদ্ভুত বিষয় ছিল এটা সে আংটি না যেটা সে আর কথা কিনেছিল। নির্ঝর একবার তাকাল কথার দিকে। ভাবছে এখন’ই চলে যাবে তার কাছে। আংটি টা পড়িয়ে দিবে তার হাতে। বেশ হবে এই মেয়েটা তখন অপমানিত হবে। নির্ঝর একপা এগিয়ে স্টেজ থেকে নামতে যাবে ওমনি মেহেরিন ওর হাত ধরে ফেলল। সে হেসে বলে উঠল,
“আংটি টা না হয় আমিই আগেই পরিয়ে দেই!
বলেই নির্ঝরের অনামিকা আঙ্গুলে আংটি পড়িয়ে দিল। নির্ঝর ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। মেহেরিন নির্ঝরের ঘাড়ে এক হাত রেখে কানের কাছে গিয়ে বলে,
“আশেপাশে কিন্তু প্রেস এর লোকজন। নিজেকে হাসির পাত্র না করতে চাইলো চুপচাপ আংটি পরাও।
নির্ঝর কিছু না বলে পাশে তাকিয়ে দেখে কথা নেই। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেহেরিন’র অনামিকা আঙ্গুলে পরিয়ে দিল আংটি টা। সবাই হাততালি দিল। মেহেরিন আংটির দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে নির্ঝরের দিকে তাকাল। নির্ঝরের মনে হলো মেহেরিন যেন তাকে বলছে সে হেরে গেছে। হঠাৎ করেই নির্ঝর হেসে উঠলো। হুট করেই মেহেরিন’র হাত খানা ধরে চুমু খেল। উপস্থিত সবার হইহুল্লোড় বেড়ে গেল। নির্ঝর চোখ টিপ দিয়ে মেহেরিন কে দেখল। মেহেরিন দ্রুত হাত সরিয়ে নিল। অতঃপর পরের মাসে বিয়ের তারিখ অ্যানাউস করল সে।
.
ছাদের গ্রিলে ঠেসে দাঁড়িয়ে বিয়ার খাচ্ছে নির্ঝর। তাকিয়ে আছে অন্ধকার আকাশের দিকে। আরিফ আর ঈশান ওর পাশে দাঁড়িয়ে বিয়ার খাচ্ছে। আরিফ বলে উঠে,
“ব্যাপারটা কি বল তো। তোর বাবা হঠাৎ করে এমন পল্টি মারল কিভাবে?
নির্ঝর বিয়ারের বোতল মুখে দিয়ে বলে উঠে,
“জানি না। এইসব ওই মেয়ের ধান্দা বাজি বুঝলি। খুব চালাক মেয়েটা।
“তুই কি মেহেরিন’কে বলছিস।
“হ্যাঁ ওই মেহেরিন!
ঈশান নির্ঝরের ঘাড়ে হাত রেখে বলে,
“আর যাই বল এই মেয়েটা অবশেষে জব্দ করল তোকে। কিভাবে নিজের কাজ করিয়ে নিল দেখলি!
“নির্ঝর চৌধুরী অবশেষে জব্দ হলো কোন মেয়ের কাছে।
“ধরা খেলো অবশেষে কারো কাছে।
নির্ঝর রেগে বিয়ারের বোতল মুখে দিল। অতঃপর বলে উঠে,
“দেখো নেবো ওই মেয়েকে। খুব শখ না নির্ঝর চৌধুরী কে বিয়ে করবে। ওর বিয়ের সাধ মিটিয়ে দেব আমি।
আরিফ বলে উঠে,
“কথাকে নিয়ে কি ভাবলি।
“এতো ভাবার কি আছে। আমি কি ওকে কখনো এনগেজমেন্ট করতে চেয়েছি নাকি। এ তো সারাদিন কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করছিল বলে রাজি হলাম। ভেবেছিলাম একদিন কিছু একটা করে ব্রেকাপ করে নেবো। ব্যাস কাজ হয়ে যেত। কিন্তু মাঝখানে…
ঈশান হেসে বলে উঠে,
“মাঝখানে তোর বাড়া ভাতে ছাই ফেলল মেহেরিন বর্ষা খান!
“এই থাম তো। ফরহাদ কোথায় দেখছি না যে।
“নিচে গেছে আসবে!
বলতে বলতে দৌড়াতে দৌড়াতে ফরহাদ চলে এলো। টেবিলের কাছ থেকে বিয়ারের বোতল টা নিয়ে নির্ঝরের কাছে গেল। অতঃপর বলে উঠল,
“সরি সরি লেট হয়ে গেছে। আচ্ছা নে চিয়ার আপ কর।
“কিসের?
“আগে করতো বলছি!
অতঃপর সবাই বোতল একসাথে করল। ফরহাদ বলল,
“চিয়ার! নির্ঝরের বাবা হবার খুশিতে!
নির্ঝর নিজের বোতল মুখের কাছে নিয়ে মুখের ভেংচি কেটে বলে,
“বিয়েই হলো না আসছে বাবা হবার খুশিতে ধ্যাত!
ফরহাদ বিয়ারের বোতল মুখে দিয়ে বলে,
“এটাই তো! তুমি বিয়ে করার সাথে সাথেই বাবা হচ্ছো।
আরিফ বলে উঠে,
“এর মানে!
ফরহাদ নির্ঝরের ঘাড়ে হাত রেখে বলে,
“ব্রো! এখন থেকেই বাবা ডাক শোনার প্রস্তুতি নাও! মেহেরিন বর্ষা খানের অলরেডি একটা ছেলে আছে!
নির্ঝর সবে বিয়ারের বোতল টা মুখে দিয়েছিল। ফরহাদের কথা শুনে সে বিষম খেল। কোনমতে নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠে,
“কিহহহ!
#চলবে..
#অনুভূতিতে_তুমি
#মিমি_মুসকান
#সুচনা_পর্ব
[ নতুন গল্প নিয়ে চলেই এলাম। তবে একটু তাড়াতাড়ি এসেছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে। প্রথম পর্ব তাই একটু ছোট’ই দিলাম। পাঠকদের রেসপন্স’র ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পর্ব দেওয়া হবে। ধন্যবাদ সবাইকে! ]