#অনুভূতির_অন্বেষণ
#চন্দ্রিকা_চক্রবর্তী
#পর্বঃ৪
(৯)
পার্কের মধ্যে বসে আছে সাদমান আর ইশরাত। দু’জনেই বেশ চিন্তিত। চিন্তার এক এবং একমাত্র কারণ হলো মিশরাত। ফোন রিং হওয়ার পরে তার ফোনটা একেবারে অফ হয়ে গেল কেন? বিপদে পড়লো না তো আবার?
সাদমান ভেবেছিলো তারা পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়তো মিশরাত চলে আসবে। কারণ তারা জ্যামে পড়েছিলো তাই বেশ খানিকটা সময় সেখানেই নষ্ট হয়েছে। ততোক্ষণে মিশরাতের কাজ শেষ করে চলে আসার কথা। এখন সাড়ে পাঁচটা বাজে প্রায়। একটু পর সন্ধ্যে হয়ে যাবে। মিশরাত তাহলে আসছে না কেন?
—-আমার এখানে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। আপুর জন্য চিন্তা হচ্ছে। আমি বাসায় যাবো।
—-চিন্তা তোমার একার নয়, আমারও হচ্ছে। বাসায় গিয়ে কী করবে? বাসায় কী মিশরাত বসে আছে? যেদিকে গেলে কাজ হবে সেদিকে চলো।
—-কোথায়?
—-থানায় যাবো।
—-কেন?
—-আমার মনে হচ্ছে মিশরাতকে আরিয়ান নিয়ে গিয়েছে।
—-মানে! আপনি কী বলতে চাচ্ছেন যে আমার বোন কিডন্যাপড্ হয়েছে?
—-কিডন্যাপ কিনা জানি না। তবে মিশরাত কোনো বিপদে পড়েছে সেটা বুঝতে পারছি। চলো আমার সাথে।
—-কোনো একটা মেয়েকে একটু ডেকে দিতে পারবেন?
—-মানে?
—-মানে আপনার না জানলেও চলবে। একটা মেয়েকে ডেকে দিন না প্লিজ? এখানে অনেকেই আছে দেখুন আশেপাশে।
—-ডাকবো না সেটা তো বলছি না। কিন্তু কী কারণে ডাকবো কারণটা আমার জানতে হবে।
—-মেয়েদের সবকিছু জানতে হয় না। চুপচাপ যান গিয়ে ডেকে আনুন। আমার সত্যিই সাহায্য দরকার। নয়তো আপনি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকুন, আমি জোরে চিৎকার করে মেয়ে ডেকে আনছি? সেটা কী ভালো লাগবে?
আমতা আমতা করে সাদমান চলে গেল কোনো মেয়েকে ডাকা যায় কিনা তা দেখতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মধ্যবয়সী একজন মহিলাকে সে নিয়ে আসলো। মহিলাটি আসার সাথে সাথে ইশরাত বললো
—-আপনি এখান থেকে যান।
—-কী! আমি কোথায় যাবো?
—-আরে আপনাকে একেবারে যেতে বলছি না। আপাতত এখান থেকে যান। আমার সমস্যা হবে আপনি থাকলে।
মহিলাটি সাদমানের দিকে তাকিয়ে বললেন
—-তুমি চিন্তা করো না।
ইশরাতের দিকে ইশারা করে বললেন
—-তাকে আমি কোথাও নিয়ে যাচ্ছি না।
সাদমান মহিলাটির দিকে একবার আর ইশরাতের দিকে একবার তাকিয়ে চলে গেল। যাওয়ার আগে ইশরাতকে বলে গেল সে কোথায় থাকবে। কাজ শেষ হলে যাতে সেখানে এসে ইশরাত তার খোঁজ করে। মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো ইশরাত।
তখন রিকশা থেকে নামার সময় ইশরাতের শাড়ির পিন খুলে গিয়েছিলো পেছন থেকে। শাড়ির আঁচল ধরে কোনোরকমে রিকশা থেকে নেমে সে এসে বসেছে পার্কে। ভেবেছিলো মিশরাত আসার সাথে সাথেই তাকে দিয়ে ঠিক করিয়ে নেবে। কিন্তু এখন মিশরাত তো আসলোই না, উল্টো থানায় যাওয়া লাগবে তার জন্য। আর এই অবস্থায় থানায় যাওয়া ইশরাতের সম্ভব না। তাই একজন মেয়েকে ডেকে আনার কথা সাদমানকে বলেছে ইশরাত।
মহিলাটি ইশরাতকে পার্কের ভেতরে একটু নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে গিয়ে শাড়ি ঠিক করে আবার পিন লাগিয়ে দিলেন। ইশরাত ভদ্রতাসূচক একটা হাসি হাসলো। এরপর ধন্যবাদ জানালো।
—-তোমার চোখ মুখের এই অবস্থা কেন? কাজল লেপ্টে আছে, বাম গালটা এভাবে লাল হয়ে আছে কেন?
ইশরাত অসহায় মুখে তাকালো৷ এখন কী বলবে এই মহিলাকে? এমন এমন সব কথা বলে সাদমান, আর ঠিক এমন স্বরে বলে যে কান্না ছাড়া আর কিছুই আসে না ইশরাতের চোখ দিয়ে। আর তখনের কাহিনি? সে যখন সাহস করে বলে ফেলেছিলো যে রাস্তায় থাকা সবগুলো রিকশা, বাইক, সিএনজিতে থাকা ছেলেদের পাশে গিয়ে সে বসে পড়বে, তখন এতো জোরে গালে একটা থাপ্পড় পড়েছিলো! কথাটা মনে হওয়ায় আবারও নিজের বাম গালে হাত দিলো ইশরাত।
আজ পর্যন্ত কেউ তাকে এভাবে মারেনি। নিজের বাবা-মা পর্যন্ত না। অথচ সাদমান তাকে কী জোরেই না মারলো! আচ্ছা, সে তখন চুপচাপ বসেছিলো কেন? এখনই বা চুপ আছে কেন? না, এর একটা বিহিত তো করতে হবে!
—-কোন চিন্তায় পড়লে বলো তো? কোনো সমস্যা?
মহিলাটির কথায় ঘোর কাটলো ইশরাতের। মাথা নেড়ে বোঝালো কোনো সমস্যা নেই।
—-প্রথমবারের মতো হাসবেন্ডের সাথে এসেছো? নিউলি ম্যারিড নাকি?
—-জি?
—-হ্যাঁ, শাড়ির পিন খুলে গিয়েছে সেটা তো তোমার হাসবেন্ডকে স্বাচ্ছন্দ্যে বলতে পারো। এখনো যেহেতু এতো সংকোচ বোধ করছো, তাই বললাম আর কি। নিউলি ম্যারিড দেখেই বোধহয় এখনো সংকোচ কাটেনি তোমার। চিন্তা করো না, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমিও নিজে থেকে চেষ্টা করবে।
—-কী চেষ্টা করবো?
—-শোনো মেয়ের কথা! বিয়ের পর হাসবেন্ডের সাথে দূরত্ব মেটাতে যা করতে হয় তা-ই করবে।
থাপ্পড় খেয়ে এমনিতেই ইশরাতের বাম গাল আগে থেকে লাল হয়ে ছিলো। এখন তো এসব কথা শুনে লজ্জায় পুরো মুখ-ই লাল হয়ে গিয়েছে।
—-তোমাদের বয়সের গ্যাপ কতো? লাভ ম্যারেজ নাকি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ?
—-হ্যাঁ?
—-দেখে তো মনে হয় তোমাদের মধ্যে গভীর প্রেম ছিলো। মনে তো হয় লাভ ম্যারেজ। কিন্তু লাভ ম্যারেজ হলে এতো সংকোচ কেন তোমাদের মধ্যে?
—-আমার একটু তাড়া আছে আপু। আমি যাই? ধন্যবাদ আবারও। ভালো থাকবেন।
তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে গেল ইশরাত। এই মহিলা যা কথা শুরু করেছে, এখানে থাকাটা একেবারেই নিরাপদ নয়। না জানি কখন আবার বেফাঁস কথা বলে বসে!
ইশরাত এক দৌড়ে চলে গেল সাদমানের বলে যাওয়া জায়গায়। দৌঁড়ানোর কারণে সে হাঁপিয়ে গিয়েছে। হাঁপাতে হাঁপাতে গিয়ে সাদমানের সামনে দাঁড়ালো। সেদিকে তাকিয়ে ভ্রূ কুঁচকে সাদমান বললো
—-কী হয়েছে? কুকুর তাড়া করেছে? হাঁপাচ্ছো কেন?
—-আপনার মাথার মধ্যে কুকুর বিড়ালের চিন্তাই আসবে। আপনি কী ওই মহিলাকে কিছু বলেছিলেন?
—-কী বলবো আমি?
—-আম…আমরা কী স্বামী স্ত্রী কিনা?
—-পাগলে পেয়েছে আমাকে? তোমাকে বউ বলবো কেন আমার? নিজে যেমন অন্যকে তেমন ভাবার কোনো কারণ নেই।
এইটুকু কথা যথেষ্ট ছিলো ইশরাতের মনের কোমলতাকে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার জন্য। ভেবেছিলো এখন সাদমানের সাথে কোমর বেঁধে ঝগড়া করবে। কিন্তু এই কথাটা শোনার পর তার কেন যেন কোনো কথা বলার রুচিই চলে গিয়েছে। শান্তস্বরে বললো
—-এভাবে না বললেও বোধহয় পারতেন। উনি বারেবারে বলছিলেন বিয়ের কথা। তাই ভাবলাম আপনি কিছু বলেছেন নাকি। আর এটা মনে হয়েছিলো কারণ আপনি উনার কাছে সাহায্য চাইতে গেলে হয়তো উনি জিজ্ঞেস করতেই পারেন যে আমি আপনার কে হই। পার্কে দু’টো ছেলেমেয়ে একসাথে দেখলে এরকম প্রশ্ন জিজ্ঞেস করাটা স্বাভাবিক। আর প্রেমিক প্রেমিকা বলার থেকে স্বামী স্ত্রী বললে সম্পর্কটা শুনতে সভ্য মনে হয় বেশি। প্রচন্ড বেহায়া আমি সেটা জানি। মুখের উপর এভাবে বলার প্রয়োজন ছিলো না তো সরাসরি নিজের সাথে তুলনা দিয়ে।
(১০)
রিকশায় বসে আছে ইশরাত আর সাদমান। গন্তব্য হলো নিকটবর্তী কোনো থানায় যাওয়া। ইশরাতের চোখ মুখে এখন মন খারাপের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। চোখ লাল হয়ে আছে কিন্তু একটুও পানি দেখা যাচ্ছে না। শুধু নাক টানছে বারেবারে। সূর্যের তীব্রতা এখন একেবারে নেই বললেই চলে। রাস্তায় কোলাহল অনেকটা কমে এসেছে। মৃদু বাতাস বইছে। তাতে ইশরাতের খোলা চুলগুলো উড়ছে অবিরত। হাতে থাকা পার্স থেকে একটা রাবার ব্যান্ড বের করলো ইশরাত। চুলগুলো একেবারে খোঁপা করে ফেললো। কানের ঝুমকো খুলে রেখে দিলো। খুলে ফেলে দিলো কপালের ছোট্ট টিপ। টিস্যু পেপার দিয়ে ঠোঁটের লিপস্টিক মুছে ফেললো। কানে গুঁজে রাখা কাঠগোলাপ রাস্তায় ফেলে দিলো। শুধু এখন দু’হাতে চুড়ি রয়েছে। এতোসব কিছু ইশরাত নির্দ্বিধায় আপনমনে করে গেল৷ আশেপাশে তাকালোও না একবার। মনে হচ্ছিলো রিকশায় সে একা বসে আছে। আশেপাশে আর কেউ নেই। অথচ একটাবারের জন্য পাশে ফিরে তাকালেই বুঝতে পারতো কতোটা অবাক হয়ে সাদমান তাকিয়ে ছিলো তার দিকে।
পুরোটা সময় জুড়ে শুধু রাস্তার দিকেই তাকিয়ে ছিলো ইশরাত। একটা কথাও বলেনি। থানার সামনে রিকশা এসে থামার পর সে সাদমানের কথার অপেক্ষা না করে নেমে গিয়েছে। সোজা হেঁটে চলে গিয়েছে থানা বরাবর। তার পেছনে কিঞ্চিৎ মুখ হা করে হেঁটে হেঁটে আসছে সাদমান। থানার ভেতরে যেতে না যেতেই ইশরাতের ফোন বেজে উঠলো। ফোন হাতে নিয়ে ইশরাত দেখলো মিশরাত ফোন করেছে তাকে।
—-হ্যালো আপু, কোথায় তুই? আসিস না কেন? ফোন বন্ধ ছিলো কেন তোর? আমরা তোর জন্য অপেক্ষা করতে করতে এখন থানায় চলে এসেছি।
—-আমি বাসায় ফিরছি ইশু। তোরা চলে আয়। থানায় যাওয়া লাগবে না।
—-কিন্তু এতোক্ষণ তুই ছিলি কোথায়?
—-সব বাসায় গিয়ে বলি? বাসায় চলে আয়।
(১১)
—-আজকে যা করেছে সেটা বাড়াবাড়ি ছিলো মিশরাত। অবশ্যই আমাদের আরিয়ানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। নয়তো সে ভাববে আমরা কিছু করতে পারবো না আর তার মনে যা চায় সে তা-ই করবে।
—-আমাকে নাকি কী একটা বলতে চায় সে। বারেবারে শুধু একই কথা।
—-এসব নতুন অভিনয় আপু। তোর মন গলানোর জন্য। একেবারেই পা দিবিনা এসব ফাঁদে।
—-সে কাঁদছিলো যে?
—-হ্যাঁ, চোখে গ্লিসারিন দিলে কান্না সবারই আসে।
—-ইশু, সে আসলেই কাঁদছিলো।
—-তো? কাঁদলেই তোর মন গলে যাবে? তুই যখন কেঁদেছিলি তখন? আপু, এতো বছর ধরে নিজেকে এতোটাও শক্ত করে তুলতে পারিসনি তুই?
—-ইশু, যদি সত্যিই আরিয়ানের কথায় সত্যতা থাকে?
—-তুই তাহলে কী চাচ্ছিস আপু? আবারও ওই লোকটার কাছে ফিরে যেতে?
—-মোটেও না ইশু। আমি শুধু ভাবছি আরিয়ান কোন কারণের কথা বলছে, সেটা জানাটা কী ঠিক হবে কিনা।
—-তার বলা কথা মিথ্যে হবে না তার গ্যারান্টি কী? সে তোকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সেটা তুই জানিস না? এখন সত্য মিথ্যে সব মিলিয়ে সে একটা কাহিনী তৈরি করতে চাইছে।
—-মিশু?
মিশরাতের মায়ের কন্ঠ শুনে সকলের হুঁশ ফিরলো। এতোক্ষণ ধরে তারা কথা বলে যাচ্ছিলো আপন মনে। কিন্তু আশেপাশে খেয়াল ছিলো না কারোরই। মিশরাত ভীষণ চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। তার মা আবার শুনে ফেললো নাকি সব?
—-মিশু, তুই একা এসেছিস কেন? সাদমান আর ইশু আলাদা ভাবে এসেছে কেন? তোরা তিনজন একসাথে গিয়েছিলি, তোদের একসাথে আসার কথা ছিলো না? তাহলে?
—-আম্মু, আসলে পার্কে একটা বান্ধবীর সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিলো৷ তো তার সাথে কথা বলে ফিরতে ফিরতে একটু দেরী হয়েছে। সাদমান আর ইশুকে বলে দিয়েছিলাম যাতে তারা চলে আসে, আমি একটু পরে আসবো। তাই আর কী…
—-মায়ের সাথে মিথ্যে কথা বলতে শিখে গিয়েছিস তাই না?
—-আম্মু,
—-চুপ কর। আমি এইমাত্র শুনেছি আরিয়ান হক এর কথা। সে আজকে তোকে নিয়ে গিয়েছিলো? কোথায় নিয়ে গিয়েছে তোকে? ওই ছেলে কবে থেকে তোর জীবনে আবার এসেছে?
—-আম্মু, একটু শান্ত হও প্লিজ?
—-না, বল আমাকে কী হয়েছে। নইলে তোর আব্বুর কাছে আমি ফোন করবো বললাম!
—-না আম্মু। প্লিজ আব্বুকে জানিও না এসব। তুমি একটু ঠান্ডা মাথায় বসো? আমি তোমাকে সব খুলে বলছি। আমি নিরাপদ আছি আম্মু। প্লিজ একটু ঠান্ডা হও?
একে একে আজকে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনা মিশরাত তার আম্মুকে বললো। সব শুনে মিশরাতের আম্মু রেণু আক্তার বললেন
—-ওই ছেলের বাবা-মায়ের সাথে আমাকে একটু কথা বলার ব্যবস্থা করিয়ে দে। আমি উনাদের জিজ্ঞেস করতে চাই যে আমার মেয়ের পেছনে এভাবে হাত ধুয়ে কেন পড়েছে উনাদের ছেলে। মানে ফাজলামো নাকি এসব?
—-আমি তোমার কথাটা বুঝতে পারছি আম্মু। কিন্তু
—-কোনো কিন্তু নয়, তার এতো সাহস আসে কোত্থেকে যে তোর ফোন বন্ধ করে দেয় একেবারে? কীসের অধিকার এতো তার?
—-সাদমান কল করছিলো বলে হয়তো এতোটা রিয়েক্ট করেছে। নয়তো এমন করার কথা না।
—-কেন? সাদমান ফোন করলে কী সমস্যা তার? সে তোর কেউ হয় না। কিন্তু সাদমান তোর কঠিন সময়ে তোর পাশে ছিলো। এখন সাদমানের উপস্থিতিতে তার গায়ে জ্বালা ধরে কেন? আমি আজই কথা বলবো ওই ছেলের মায়ের সাথে।
—-আম্মু, এখন এসব কিছু বলতে যেও না। আন্টি তো অসুস্থ তুমি জানোই। এসব শুনলে উনার শরীর আরও খারাপ করবে।
—-তুই কী তাহলে আরিয়ানাকে প্রশ্রয় দিতে চাইছিস?
—-একদমই নয় সেটা আম্মু। আমি চাইছি মাথা গরম না করে ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করতে।
—-কীভাবে করবি তুই?
চলবে…
(ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কার্টেসী ছাড়া দয়া করে কেউ কপি করবেন না।)
[গল্প প্রতিদিন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। পরিবারকে সময় দিতে হয় তার উপর এখন পরীক্ষা শুরু হয়েছে অনলাইনে। গল্প তাই একদিন পরপর দেই আমি। দুঃখিত, প্রতিদিন গল্প দেওয়া আসলেই সম্ভব নয় আমার পক্ষে।]