অনুভূতি #Roja_islam #part 6

0
598

#অনুভূতি
#Roja_islam
#part 6
প্রায় ৩০ মিনিট পর বর্ণ নিজের কলেজের সামনে গাড়ি থামায়।
– ওহ শিট বেলা আমি তো কলেজের নাম শুনে নিজের কলেজ চলে এসেছি।আই এম সরি। তোমার কলেজ কোনটা বলো আমি এক্ষুনি নিয়ে যাচ্ছি।
.
বর্ণ ওর কথা শুনে বেলার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।
– কিহহহ,এটা আপনার কলেজ?-অবাক হয়ে।
– হ্যা, এটা আমার কলেজ কেনো?
– এটাই আমার ও কলেজ। আপনি ঠিক রাস্তায় যাচ্ছিলেন দেখে আমি কিছু বলিনি। মনে করেছি আপনি জানেন আমি কোন কলেজে পরি।এনিওয়ে আমি আসছি।
.
বেলা বেড়িয়ে গেলো কার থেকে।
.
বর্ণ এর মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো।
– বেলা এই কলেজে পরে।তাহলে কি নিয়ান…… ওহ শিট। — বলেই বর্ণ কার থেকে নেমে গেলো।
.
.
বেলা কলেজে ঢুকবে এমন সময় একটা ছেলে এসে বেলা কে জড়িয়ে ধরলো। এটা দেখা মাএ বর্ণ যেতে লাগলো বেলার কাছে।
– বেলা, বেলা কই ছিলে তুমি। জানো নিয়ান?
– কই নিয়ান?বলো রাফি….
.
রাফি কিছু বলবে তার আগেই বর্ণ বেলা কে টেনে নিজের সাথে মিসিয়ে নিলো। এটা দেখে রাফি বললো।
– বর্ণ তুই? বেলা কে এভাবে ধরার সাহস পেলি কই।- রেগে।
– হাহাহা, সাহস?
– ছাড় বেলা কে। নিয়ান ভাই জানলে খারাপ হবে কিন্তু।
.
বেলা বুঝতে পারলো এরস একে ওপর কে চিনে তাই চুপ করেই আছে। বর্ণ ওর ভয়ে কিছু বলছে না।
.
– ইউ নো রাফি তোর কপাল টা ভালো। তোর ভাবি আমার সাথে না হলে। সোজা দারাতে পারতি না।
.
রাফিকে আর কিছু বলার চান্স না দিয়ে। বর্ণ বেলা কে টানতে টানতে গাড়িতে বসায়। আর নিজে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।
– আমি বাসায় যাবো না। আমি কলেজে যাবো। – চিল্লিয়ে
– তুই কোনো কলেজে পরতিস সেটা ভুলে যা। – খুব রেগে।
.
বেলা বর্ণ এর মুখ দেখে আর কিছু বলতে পারলো।বর্ণ খুব রেগে আছে বেলা বুঝতে পারলো।
– এই হনুমান আমাদের ভার্সিটি পরে আবার নিয়ান কেউ চিনে। কিন্তু আমি তো কখনো দেখিনি। – মনে মনে
.
বাড়ি এসে টানতে টানতে বেলা কে নিয়ে নিজের রুমে যায় বর্ণ। বেলা কে বেডে ছুরে ফেলে চিল্লিয়ে বলতে থাকে।
– আর কাউকে পাশনি তুই। আমার শত্রুর সাথেই প্রেম করতে হলো তোর।- বেলার মুখ দুহাতে চেপে ধরে বলে।
– ভুলে যা আগের সব বেলা না হলে খুব খারাপ হয়ে যাবে। আর কান খুলে শুনে রাখ এই বর্ণ ওর সাথেই তোকে সাড়া জীবন থাকতে হবে। তাই আমায় রাগিয়ে দিস না তোর জন্য ভালো হবে না।
.
বলেই বর্ণ বেলার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে পাগলের মতো কিস করতে থাকে।বেলা ভয়ের সাথে অবাক হয়ে চুপটি করে থাকে।
বর্ণ অনেক্ষন পর ছেড়ে। বেলার কোপালে এক টা কিস করে হন হন করে রুম থেকে চলে যায়।জাওয়ার সময় বায়রে দিয়ে দরজা লক করে দিয়ে যায়।
.
বেলা ঠোঁটে হাত দিয়ে বসে আছে।
– কি চায় এই লোক। নিয়ান কবে এই হনুমান এর শত্রু হল।
.
বেলা বসে বসে নানান চিন্তা করতে লাগলো।
বর্ণ অফিস বসে আছে। কাজে বিন্দু পরিমাণ মন নেই তার।
– কি করে পারলি বেলা নিয়ান এর মতো মানুষ কে ভালোবাসতে।
ইয়াক, ইয়াক। আজ পর্যন্ত কোতো মেয়ের সাথে বেড শেয়ার করেছে নিজেই তো জানে না। I am sure বেলার সাথেও খারাপ কিছু করতে চায় বলেই পটিয়েছে। কিন্তু বেলা কে কি করে বুঝাবো যে নিয়ান ভালো না।
.
চিন্তার মাঝেই বর্ণ এর ফোন বেজে উঠে
বর্ণ দেখে বেস্ট বাডি রনি লেখা স্ক্রিনে(রনি বর্ণ ওর বেস্ট ফ্রেন্ড) সাথে সাথে ফোনটা রিসিভ করে বর্ণ।আর ধরেই বকা দিতে থাকে বর্ণ।
– সালায়ায়া খচ্চর, তুই আমায় কেনো বলিস নি হ্যা।- রেগে + চিল্লিয়ে
– হাহাহাহাহা
– আবার হাসে, সালা লম্পট। – বিরক্ত হয়ে।
– কি করমু বল। আমি তো মজা করে তোর বিয়েটা খাইতে চাইছিলাম তাই আর বেঘাত ঘটাতে মনে সায় দিলো না আর কি।- হেসে
– বেলা নিয়ান এর গার্লফ্রেন্ড এটা আমি ছাড়া তোরা সবাই জানতিস????
– হ্যা তুই তো ইদানীং কলেজ যাস না। অফিস এর চক্করে। তাই এসব কিছু জানিস না।বেলা জুনিয়র মাএ ৩ মাস হইছে ভর্তি হইছে যে। আর নিয়ান বেলার পিছে পরছে বেলার রুপ দেখে আর কিছু না।
– কত দিন রিলেশন দুজনের? – রেগে
– নিয়ান তো কবে থেকেই পিছন ঘুরে। কিন্তু বেলা মনে হয় বেশি দিন হবে না রাজি হইছে।
– টাকা থাকলেও জ্বালা না থাকলেও জ্বালা। না টাকার লোভে বিয়ে করতাম না অনুভূতি তৈরী হত বেলার জন্য। না এতো খারাপ লাগতো। বউ প্রেম করে শুনে। সব টাকার দোষ।
– তাহলে তোর জ্বালা আমায় দিয়া দে। তোর প্রবলেম শেষ। – দাত বের করে হেসে বলে রনি।
– কি জ্বালা দিয়া দিমু তোরে? – ভ্রু কুঁচকে।
– তোর টাকা দিয়া দে তোর জ্বালা শেষ। চাইলে বউ টা ও দিয়া দিতে পারস।
– সালা ফোন রাখ সব তোদের জন্য হইছে।- রেগে।
.
বলেই বর্ণ ফোন কেটে দেয়।
এক্টু পর রুনি টেক্সট করে কাল দেখা করতে।
বর্ণ টেক্সট দেখে ফোন রেখে ভাবতে থাকে।
-বেলা নিয়ানের সাথে রিলেশন এ ছিলো। ভাবতেই রাগ লাগতেছে আমার । মন চাইতেছে থাপ্পড় দিতে ধরে বেলা কে। কেনো নিয়ান এর প্রপোজাল এ হ্যা বলছ তুমি। মাথাটা খারাপ হয়ে যাবে এই মেয়ের চক্করে।
.
বর্ণ ঘড়ি তে দেখে ১ টা বাজে। দেখা মাএ বর্ণ বাড়ির উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে।
.
বেলা সেই কোন সময় থেকে দরজা ধাক্কাচ্ছে কেউ খুলছে না দেখে রেগে। ওয়াশরুমে গিয়ে ঝরনা ছেড়ে বসে আছে। খুব রাগ লাগছে তার।
.
– কেনো এসব হচ্ছে আমার সাথে। এভাবে আটকিয়ে রাখার মানে কি। সব হারামি বাবার দোষ। কি জল্লাদ এর কাছে বিয়ে দিছে। আজকে আয় তুই বাড়ি লুচু হনুমান খবর আছে তোর আমায় আটকায় রাখার শাস্তি দিবো।
.
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here