অন্তর্লীন_প্রণয় পর্ব-০৮
সাদিয়া মেহরুজ দোলা
গোধূলি বেলা! পুরো আকাশে জুরে কমলা, হলদেটে ভাব এঁটে সেঁটে আছে। শেষ বিকেলের হিম শীতল বায়ু এসে শরীরে বাড়ি খেতে শিহরণ বয়ে যায় মন গহীনে। অহর্নিশ বেলকনিতে দাঁড়িয়ে তার পূর্ণ দৃষ্টি বাহিরে নিক্ষেপ করে আছে! মাঝেমধ্যে এলোমেলো হয়ে ওঠা ধোঁয়া মিশ্রিত কফিতে অধরের ছোঁয়া দিচ্ছে।মুখশ্রীতে তার ক্লান্তি দৃশ্যমান। চোখদুটো কেমন নির্জীব! শুষ্ক অধর যুগল হালকা করে কাঁপছে। ভ্রু কিঞ্চিৎ বাঁকানো তার!
অহর্নিশ কফির মগটা বেলকনিতে স্থাপন করা টেবিলে রেখে দিয়ে পিছন ফিরে! আয়ন্তিকার দিকে দৃষ্টি তার। পাতলা কম্বলের নিচে আয়ন্তিকার ছোট্ট শরীরটা গুটিয়ে আছে। চেহারায় মলিনতার ছাপ! দুই দিনের মাঝে মনে হচ্ছে আগের থেকে অনেকটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
দুই দিন যাবৎ জ্বর আয়ন্তিকার। স্বাভাবিক জ্বর নয়! উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর তাকে এই দু- দিনে কাবু করে নিয়েছে। শরীরের বেহাল দশা তার! অহর্নিশ আয়ন্তির হটাৎ জ্বর আসার কারণটা খুঁজে পায় না।ডাক্তার দেখিয়েছে কত জন হিসেব নেই। তবে সবার একই কথা, আয়ন্তিকা ভয় পেয়েছে! ভয়ের কারণে এমনটা তুমুল জ্বর। থামার নাম নেই। একটু খানি জ্বর ছাড়লে পরক্ষণেই হাড় কাঁপুনি দিয়ে আসছে।
অহর্নিশ আয়ন্তিকার জ্বরের জন্য নিজেকে দায়ী মনে করে বারংবার! সেদিন যখন আঁধারের মাঝে হলদেটে মোম বাতির আলোতে সে আয়ন্তিকা কে জরীয়ে ধরেছিলো তারপরই আয়ন্তিকা তার বুকে নুইয়ে পড়ে! সেন্সলেস হয়ে পড়ে। সেই রাত থেকে যে জ্বর শুরু হলো। তা থামার নামকরণ নেই। তবে, দুইদিন বাদে আজ আয়ন্তির শরীর খানিকটা ভালো!
অহর্নিশ লম্বাটে শ্বাস নেয়। বুকে চাপ অনুভূত হচ্ছে তার। বিড়বিড় করে সে নিম্ন কন্ঠে বলল,
-‘ আই এ্যাম সরি আয়ন্তিকা! এক্সট্রিমলি সরি! মাফ করো আমায়। আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে ব্যার্থ হয়েছি। ব্যার্থ হয়েছি তোমায় ভালো রাখা হতে। সুস্থ হয়ে যাও একটু! দোহাই লাগে আর কষ্ট দিওনা।’
কন্ঠনালি ধরে আসে অহর্নিশের। অনুতপ্ততা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। ওপরের ওষ্ঠ দ্বারা নিচের ওষ্ঠ সে আঁকড়ে নিয়ে পা বাড়ায় সামনের দিকে! আয়ন্তির পাশে এসে বসলো সে। উবু হয়ে আয়ন্তিকার কানের কাছে নিজের মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
-‘ মাফ করে দাও আয়ন্তিকা আমায়! ‘
আয়ন্তিকা ঘুমের ঘোরে কাপুনি দিলো। ভুলবশত তার মন অজান্তে এক হাতে আঁকড়ে নিলো অহর্নিশের শার্টের কলার। ঠোঁটদুটো বেগতিক ভাবে কাঁপছে। বিড়বিড় করে কিছু বলছে! অহর্নিশ আয়ন্তিকার অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়ে। এক হাত দিয়ে সে আয়ন্তিকার গাল ধরে বলল,
-‘ আয়ন্তিকা, কি হয়েছে? ‘
আয়ন্তিকা জবাব দিলো না। বিড়বিড় করে সে তার কাঁপা অধর যুগল দিয়ে শব্দফালি বাহিরে নির্গমন করছে। অহর্নিশ তার কান আয়ন্তিকার অধরের সন্নিকটে এগিয়ে নেয়। কি বলছে তা শোনার জন্য!
আয়ন্তিকা ভীতিগ্রস্ত কন্ঠে বলল,
-‘ সায়িদ ভাই, ছেড়ে দিন আমায় দয়া করে! দোহাই লাগে আমায় স্পর্শ করবেন না। ‘
অহর্নিশের পিলে চমকে যায়! আয়ন্তিকা কি বলল এটা সবেমাত্র? এই সায়িদ টা কে? গুচ্ছো খানেক রাগ চেপে বসে অহর্নিশের মাথায়। অহর্নিশ নিজের তরতর করে উৎপন্ন হওয়া রাগকে দমন করার প্রয়াস চালায়। গহীন চোখে আয়ন্তিকার মুখশ্রীতে দৃষ্টিপাত স্থাপন করে সে নিচু কন্ঠে বলল,
-‘ সায়িদ কে আয়ন্তিকা? কি করেছে ও তোমার সাথে?’
আয়ন্তিকা তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলো। সঙ্গে সায়িদের কথা পুনরায় মাথায় চেপে বসাতে তার হালকা করে আবার ও জ্বর এসেছে। এতে করে হুঁশ নেই ওর মাঝে! তবুও কপালের ফর্সাটে চামড়া খানিকটা কুঁচকে নিয়ে সে বলল,
-‘ সায়িদ ভ..ভাই, আ…আমায় বাজে ভাবে ছুঁয়েছে। কষ্ট দিয়েছে অ..অনেক! বাজে ভাবে তাকায় সে সব সময় আমার দিকে। শুধু আমার দিকেই নয়, গ্রামের সব মেয়ের দিকে সে বাজে ভাবে তাকায়! কয়েক জনকে তো রাতে জঙ্গলে উঠিয়ে নিয়ে ধ..র্ষ..ণ করেছে। ‘
আয়ন্তিকার দুই পাশে রাখা অহর্নিশের হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়। কপালের বা দিকটার রগ কিঞ্চিৎ ফুলে উঠেছে। গলার দিকের সবুজ বর্ণের রগ গুলোর অবস্থা একই। চোখদুটো বর্তমানে তার লালচে!পলিটিক্স করলেও অহর্নিশ কখনো কাওকে খুন করেনি, তবে তার এই মূর্হতে এই ‘সায়িদ ‘ নামক জা-নো-য়া-র কে নিজ হাতে খুন করতে ইচ্ছে করছে। কঠিন মৃত্যু দেয়ার ইচ্ছানুভূতি জেগেছে। অহর্নিশ চেষ্টা করে সায়িদ টা কে?তা জানার! কোথায় থাকে? পূর্ণ পরিচয় জানার প্রয়াস চালায় অহর্নিশ। কিন্তু সে ব্যার্থ। আয়ন্তিকা সায়িদের পরিচয় টা বলছে না। শুধু বারংবার এই কথা বলছে, ‘ সায়িদ ভাই আমায় স্পর্শ করবেন না। ‘
অহর্নিশ আয়ন্তিকার হাত নিজের শার্টের কলার হতে আলগোছো সরিয়ে নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। ফোন বের করে সে নাহিদকে কল দেয়। রিসিভ করতে এক সেকেন্ড ও ব্যায় করেনা নাহিদ! ফোন রিসিভ করা মাত্রই অহর্নিশ কর্কশ কন্ঠে বলল,
-‘ আয়ন্তিকার গ্রামে যারা ধর্ষন মামলায় জেলে গিয়েছে তাদের লিষ্ট হতে সায়িদের নাম বের করো! যেই থানায় সায়িদ আছে সেখানের পুলিশ অফিসার কে আমার নাম বলে সায়িদকে আমাদের আস্তানায় নিয়ে আসো। ‘
নাহিদ শুকনো ঢোক গিললো। পরক্ষণে সে কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম গুলোকে মুছে নিয়ে বলল,
-‘ আচ্ছা ভাই, আমারে একটু সময় দেন! আমি এখনি যাইতেছি গ্রামে। ‘
অহর্নিশ কল কেটে দেয়। অস্থিরতা মিশ্রিত তপ্তশ্বাস ফেলে সে হাতের ফোনটা সজোরে মাটিতে আঘাত করে ফেলে দেয়। সায়িদ কে নিজের সামনে না পাওয়া অব্দি তার এই অস্থিরতা, বেসামাল রাগ দমন করা সম্ভব নয়। আর্তনাদ শুনে পিছন ফেরে অহর্নিশ। আয়ন্তিকা কেমন ছটফট করছে বেডে!তা দেখে তড়িৎ বেগে সে এগিয়ে যায়। আয়ন্তিকাকে শান্ত করার চেষ্টা করলে সে শান্ত হয়না! পরিশেষে দ্বিধা ফেলে সে দ্বিতীয় বার নিজের উষ্ণ আলিঙ্গনে আয়ন্তিকা কে আবদ্ধ করে নেয় অহর্নিশ।
সময়ের তালে আয়ন্তিকা শান্ত হয়ে তন্দ্রায় মগ্ন হয়ে পড়লে অহর্নিশ ছোট্ট করে শ্বাস ফেলে ঠোঁট আঁকড়ে ধরে নিজের। তার কাছে সবকিছু স্বচ্ছ পানির মতো পরিস্কার হয়ে গিয়েছে। আয়ন্তিকার জ্বর আসার জন্য সে নিজেই দায়ী। আর্নিয়া আপু একবার তাকে বলেছিলো, আয়ন্তিকা পুরুষ মানুষের স্পর্শ বা তাদের কে সহ্য করতে পারে না। কেমন উদ্ভট হয়ে ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে! কিন্তু কি কারণে আয়ন্তিকা এমন হয়ে যেতো বা এমন করতো? তা জানা ছিলো না আর্নিয়ার। কিন্তু আজ অহর্নিশের কাছে সব ধোঁয়াশা দূর হয়ে গেলো ক্ষনেই। আয়ন্তিকার পুরুষ মানুষের স্পর্শ এবং তাদের সহ্য করতে না পারার একমাত্র কারণ যে ‘ সায়িদ ‘ তা নিশ্চিত সে!
.
শাফি গালে হাত দিয়ে হতভম্বের ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে। তার হতবিহ্বল দৃষ্টি আয়ন্তিকার নানীর ওপর আবদ্ধ! ঠিক কি কারণে তাকে এতোটা জোরে থাপ্পড় মারা হলো তা ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না শাফির। তার বাম গাল জ্বলছে! আরশির মাঝে দাঁড়ালে নিশ্চিত দৃশ্যমান হয়ে ফুটে উঠবে তার গালে পড়া পাঁচটি আঙ্গুলের ছাপ!
শাফি কাতর কন্ঠে বলল,
-‘ নানীমা, থাপ্পড় ক্যান? আমি কি করছি?’
নাহিয়া আহমেদ ফুঁসে উঠে বললেন,
-‘ তো কি কছ এগ্লা? আমার নাতী একটাই বিয়া করছে। আয়ন্তি রে! এই নূর তো ফেমিকা(প্রেমিকা) অহর্নিশের। তাও আবার আমার নাতি ওর লগে পেরেমে (প্রেম) করে নাইগা! এই মাইয়াই হারাদিন আমার নাতির পিছে ঘুরছে। সবাইরে বইলা বেড়াইছে অহর্নিশ ওর স্বামী। পরে অহর্নিশ সেটা জানতে পাইরা তো সব ঠিকঠাক করলো। ‘
শাফি এবার প্রতুত্তরে বলল,
-‘ অহ, বুঝচ্ছি। একটু নাহয় ভুল কইলাম তাই কইয়া এতো জোরে থাবড় মারবেন? ‘
-‘ হ মারুম! উল্টাপাল্টা কথা কইলে অবশ্যই মারুম’
অবস্থা বেগতিক দেখে শাফি চুপসে যায়! কন্ঠনালি দিয়ে দ্বিতীয়ত আর কোনো শব্দফালি উচ্চারিত করলো না সে। নতুবা দেখা যাবে নাহিয়া আহমেদ যা বললেন মাত্র তা সত্যতে রূপান্তর করবেন। শুকনো ঢোক গিলে শাফি গাল হতে হাত নামিয়ে নেয়।
নাহিয়া আহমেদ এবার শান্ত হয়ে বললেন,
-‘ উজমার লাশ কবর দিছস?’
-‘ হ! পুকুর পাড়ের পিছের কবরস্থানে দাফন করছি। কিন্তু আপনি তো কইছিলেন ওর লাশ অহর্নিশ ভাইয়ের বাসার সামনে ফালাইতে। তাইলে আবার কবর দিতে কইলেন যে?
-‘ ঐটা আমার ব্যাপার, তর কি? যা অহন! ‘
শাফি প্রশান্তির শ্বাস ফেলে চটজলদি জমিদার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। এই বাড়িতে আসলে তার শ্বাস দমে আসতে চায়! বাড়িটা বাহির থেকে বেশ সুন্দর, চমৎকার দেখতে লাগলেও। এই বাড়ির সবার মনে যেই নিকৃষ্টতা আছে তা দেখলে কেও জমিদার বাড়ির পাশ দিয়েও যেতো না নিশ্চিত।
.
আজ প্রায় তিনদিন পর সম্পূর্ণ হয়েছে আয়ন্তিকা।এই তিনদিন অহর্নিশ আঠার মতো লেগেছিলো আয়ন্তিকার সাথে। এক মিনিটের জন্যও বেড থেকে নামতে দেয়নি! প্রাকৃতিক কাজের প্রয়োজন এলে অহর্নিশ আয়ন্তিকা কে নিজে কোলে করে ওয়াশরুম অব্দি পৌঁছে দিয়েছে। অহর্নিশের কোলে উঠলে আয়ন্তির তীব্র অস্বস্তি, লাজুকলতা চেপে ধরলেও কিছু করার ছিলো না। কারণ অহর্নিশের কড়া দৃষ্টির মাঝে তার কথা বলার সাধ্য নেই। সাধে তো সবাই তাকে ‘ভীতু ‘ উপাধিটা দেয়নি।
আয়ন্তিকা কোলে বই নিয়ে বাহিরে নিজ দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রেখেছে। পড়ায় আজ তার মন বসছে না! খোলা আকাশের নিচে বিশুদ্ধ শ্বাস নেয়ার জন্য তার মন আকুপাকু করছে। কিন্তু সে বাহিরে একা যাবে কি করে? ঢাকার রাস্তা তো আর আয়ন্তি পূর্ণরূপে চেনা নেই। একা একা বের হওয়ার ইচ্ছে মনে জন্ম নিলেও তৎক্ষনাৎ তার গহীনে এসে হানা দেয় অতীত! সায়িদের মতো নিকৃষ্ট কোনো মানব যদি ফের রাস্তায় মিলে যায়!
সায়িদের কথা মাথায় আসতেই আয়ন্তিকা শিউরে ওঠে।
বাহির থেকে হাসাহাসির আওয়াজ কানে এসে বাড়ি খায় আয়ন্তিকার। তৎক্ষনাৎ তার মন আরো বিষন্ন হয়ে পড়ে! আয়ন্তিকা বিড়বিড় করে বলল,
-‘ নিজে তো বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে। আর আমায় ঘর বন্দী করে রেখে মেরে ফেলার প্লান করছে। বদ লোক! ‘
পড়ায় মন দিতে নিলে আয়ন্তিকার কানে মেয়েলী কন্ঠস্বর ভেসে আসে। সামনে তাকায় সে! একজন মেয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে। আয়ন্তিকা কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-‘ আপনি কে?’
-‘ আমি অহর্নিশের ফ্রেন্ড। স্কুল থেকে আমাদের ফ্রেন্ডশিপ! ‘
-‘ অহ! ‘
ছোট্ট করে জবাব দেয় আয়ন্তিকা। মেয়েটা এগিয়ে আসে। মিষ্টি কন্ঠে সে প্রফুল্লতা নিয়ে বলল,
-‘ মাশাল্লাহ! আমাদের অহর্নিশের পছন্দ আছে বলতে হবে। তুমি খুব সুন্দর দেখতে। এনিওয়ে আমার নাম সারা। তুমি আমার অনেক ছোট। তাই তুমি করেই ডাকছি। সমস্যা নেই তো?’
-‘ নাহ আপু। কি সমস্যা হবে?’
-‘তারপর বলো, আমাদের হ্যান্ডসাম ম্যান উরফে অহর্নিশ কে তোমার কেমন লাগে?
আয়ন্তিকা দম নিলো লম্বা করে! দ্বিধা, সঙ্কোচ ফেলে এবার সে গরগর করে বলল,
-‘ একদমই ভালো লাগেনা আপু। অহর্নিশ ভাই একজন গম্ভীরমুখো, বদ লোক, হিটলার! তার মনে দয়া মায়া বলতে কিচ্ছু নেই জানো? আমাকে কতো কষ্ট দেয়। বুড়ো বদমাইশ লোক আমায় বিয়ে করে বন্দী করে রেখেছে। তার কোনোদিনও বিয়ে হবেনা। তিনি একজন চরম অসভ্য মাত্রার লোক। ‘
সারা হতভম্ব! হাসতে গিয়েও হতবিহ্বল হয়ে সে তাকিয়ে আছে আয়ন্তিকার দিকে। ঘোর কাটিয়ে সে বলল,
-‘ অহর্নিশ হিটলার তা তো জানি! কিন্তু গম্ভীরমুখো?
তুমি জানো আমাদের বন্ধু মহলে যখন কারো মন খারাপ হয় তখন অহর্নিশই আমাদের কে উদ্ভট কথা বলে মন ভালো করে! ও হাস্যরসক মানুষ। গম্ভীর কে বলল?’
আয়ন্তিকা কিছু বলতে নিবে তখন অহর্নিশের আগমন ঘটে রুমে। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে সারা, আয়ন্তিকা দুজনের দিকে তাকিয়ে পরিশেষে সারা কে উদ্দেশ্য করে বলল,
-‘ বাহিরে আয়! অয়ন ডাকে তোকে। ‘
-‘ আসছি! বায় আয়ন্তিকা, আরেকদিন কথা বলবো।’
সারা চলে যাওয়ার পরপরই অহর্নিশ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় আয়ন্তিকার দিকে। দেখে মনে হলো সে কিছু কঠিন কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু না! অহর্নিশ আয়ন্তিকা কে অবাক করে দিয়ে বলল,
-‘ রেডি হও ফাষ্ট! বাহিরে যাচ্ছি আমরা। ‘
চলবে…
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সামনে আমার বোর্ড এক্সাম তাই রিচেইক দেয়া হয়না।এ কারণে গল্পে আজকাল ভুল বেশি হয়! যার জন্য আপনাদের নিকট আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
#দ্র: আয়ন্তিকা এবং অহর্নিশের বয়সের ব্যাবধান ১২ বছর। ৫ পর্বে ভুলবশত আমি আয়ন্তির বয়স ১৭ দিয়ে ফেলেছিলাম যার কারণে অনেকেরই কনফিউশান হয়েছে।