#অন্ধকার_মানব(The unpredictable love)
#পর্ব_৭
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি
“আসলে বাবা প্রফেসর ইতাফ এসেছে।”
“প্রফেসর ইতাফ!!!এতো সকালে?”
“হুম”।
“তো,তাতে কি?”
“প্রফেসর ইতাফ দ্বিধার সাথে কথা বলার সময় সেখানে অন্য কেউ থাকুক তা পছন্দ করেন না।তাই তুমি এখন ওর ঘরে যেওনা।”
“কিন্তু আনটি,,,,,,,,,
পিছন থেকে ইরাজ ইরাম বলে উঠল –
“তোমার আনটি ঠিকই বলেছে।”
সিরিয়াসলি!এ কেমন কথা?একটা যুবতী মেয়ের ঘরে একটা যুবক ছেলে সকাল সকাল এসে বসে রয়েছে আর এদের কোনো মাথা ব্যথাই নেই(রিশাল মনে মনে ভাবছে)
“আঙ্কেল,প্রফেসর ইতাফের সাথে কি দ্বিধার কোনো সম্পর্ক আছে।আই মিন আমি বলতে চাচ্ছিলাম,,,,,
মি.ইরাজ রিশাল কে থামিয়ে বলল-
“এইসব ব্যাপারে তোমার না ভাবলেও চলবে।”বলেই নিজের ঘরে চলে গেলেন।রিশাল ইরাজ ইরামের ব্যবহারে খুব অবাক হয়।পারিজা ইরামকে উদ্দেশ্য করে বলে-
“ব্যাপারটা কি খুলে বলুনতো।”
“আমি নিজেই তো বুঝতে পারছিনা তোমায় কি করে বলব।তার কড়া নির্দেশ ইতাফ যখনি দ্বিধার আশেপাশে থাকবে তখন যেন কেউ না থাকে।আমি ওনাকে অনেকবার প্রশ্ন করেছি কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেন নি।”
“দ্বিধা কিছু বলেনি।”
“না।ও তো কখনো তেমন কিছু বলেনি।কিন্তু,,,,
“কিন্তু কি??”
“কিন্তু যখনি ইতাফ ওর আশেপাশে থাকে ও যেন কেমন হয়ে যায়।যেন এক মোমের পুতুল।(বলেই একটা নিঃশ্বাস ছাড়লেন।)মেয়েটা আমার ছোট বেলা থেকেই অনেক কষ্ট নিয়ে বড় হয়েছে তাই ওর বাবা যখন বলল যা হচ্ছে দ্বিধার ভালোর জন্য হচ্ছে তাই আমি আর কোনো অমত করিনি।আর প্রফেসর ইতাফ আজ পর্যন্ত দ্বিধার সাথে কোনো খারাপ আচরণ ও করেনি।”
দ্বিধা সোফার উপর মাথা নিচু করে বসে আছে।
“মায়াপরী,আপনি এখনো আমার প্রশ্নের উত্তর দেননি।সেদিন জাদ এর সাথে কি হয়েছিল।”
“প্রফেসর,আসলে সেদিন,,,,,
কথা বলার জন্য দ্বিধা মাথা উচু করতেই ইতাফের চোখ যায় ওর গোলাপী ঠোঁটের দিকে।যেনো এক ঔশ্বরিক মায়া ওকে ওর ঠোঁটের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।ইতাফ ওর অধরযুগল ধীরে ধীরে দ্বিধার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।দ্বিধা নির্বাক।ঠিক সেই মুহূর্তে দরজা খুলে ভিতরে আসে রিশাল।দরজা খোলার আওয়াজ শুনে ইতাফ পিছন ফিরে তাকায়।
“আই অ্যাম রিয়েলি সরি,প্রফেসর।আনটি আমাকে বাড়ন করেছে আসলে স্পাইসির কাছে আমার মোবাইলের চার্জার টা রয়ে গেছে।মোবাইলের মরমর অবস্থা।তাই বাধ্য হয়ে আসতে হলো।”
ইতাফ ওর দিকে তাকায় যেনো এখনি ওকে ছিড়ে খাবে।ও ভালো করেই বুঝতে পারে ও যা বলেছে সব মিথ্যে। ও কিছু না বলেই উঠে দাড়ায়।
এইবার রিশাল এর নজর দ্বিধার দিকে যায়।দেখে মনে হচ্ছে প্রানহীন কোনো দেহ বসে আছে।কোনো সাড়া শব্দ নেই।রিশাল ওর কাছে গিয়ে ওকে বলল-
“মিস স্পাইসি,আমার চার্জার টা কোথায়”।
দ্বিধা আমতা আমতা করে বলে–চার্জার,,,,,জানি না তো।”
ইতাফ কিছু না বলে সোজা রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
সিড়ি বেয়ে গটগট করে নামতে নামতে আড়চোখে পারিজা ইরামের দিকে তাকায়।উনি বেশ বুঝতে পারেন ইতাফ কোনো কারনে ভীষন রেগে আছ। পরক্ষনেই যখন রিশাল কে দেখতে পেলেন না তার আর কিছুই বুঝতে বাকি রইলোনা।তিনি দৌড়ে স্বামির কাছে গেলেন–
“ইরাজ,আমার মনে হয় রিশাল দ্বিধার ঘরে গিয়েছে।
ইরাজ আতকে উঠলেন-“কি বলছো তুমি??
দুজন হুড়োহুড়ি করে দ্বিধার ঘরে পৌছালেন।
“রিশাল তোমাকে আমি বাড়ন করার পর কেন এলে তুমি??(চিৎকার করে বললেন)
“আমি তো শুধু আমার চার্জার টা নিতে এসেছিলাম।আমি বুঝতে পারিনি উনি এতোটা রেগে যাবেন।
ইরাজ ইরাম তার চোখ বড় করে বললেন–
“দ্বিতীয় বার যেনো এই ভুল না হয়।”
“জ্বি।”
আজ আরেকটু দেরি হলে ওই ইতাফ আমার স্পাইসির সাথে কোনো দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলত।আমি তো তা হতে দিবো না।আজকের পর থেকে স্পাইসি একা না আমি আছি ওর সাথে।ইতাফের আসল রহস্য আমি খুজে বের করবই।
ক্যাম্পাসের মাঠে বসে দ্বিধা,রিপ্তি,রিশাল সহ ওদের আরো কয়েকজন ক্লাসমেট মিলে আড্ডা দিচ্ছিল।রিপ্তি হাসতে হাসতে বলল–
“তুমি যাই বলো রিশাল যে মেয়ে তোমাকে বিয়ে করবে সে কিন্তু লাকি।তুমি যেভাবে দ্বিধার পিছনে লেগে রয়েছো বিয়ে হলে না জানি বউয়ের পিছনে কিভাবে লেগে থাকবা।”
রিশাল দ্বিধার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বলল-
“সেই লাক টা না হয় তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডকেই নিতে বলো”।
দ্বিধা ওর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট বাকিয়ে বলল–
“ইশ,শখ কতো।তোমার সে আশায় গুড়েবালি।”
“কেন,কেন??আমাকে পছন্দ হয় না বুঝি?
“”গোধুলির শেষ বেলায় আমি তোমাকে চাই–
কারো আওয়াজ শুনে ওরা সেদিকে তাকায়।জাদ কে দেখে দ্বিধা আর রিপ্তি পাশাপাশি উঠে দাড়ায়।জাদ এক পা এক পা করে সামনে আগাতে আগাতে বলতে থাকে–
জীবনে শেষ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই
নিশি রাতের জোস্না হয়ে আমি তোমাকে চাই
বৃষ্টিস্নাত ভোরের কদম হয়ে আমি তোমাকে চাই
জাদ ওদের সামনে হাটুগেড়ে বসে হাত বাড়িয়ে বলে–
উইল ইউ বি মাইন??
দ্বিধা যে আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে।ও কখনো ভাবতেও পারেনি জাদ নিজে ওকে প্রপোজ করবে।ওর খুশি যেনো দুচোখ উপচে পড়ছে।দ্বিধা ওর হাত বাড়িয়ে দিতেই,,,,,,
জাদ ওর বাম হাত দিয়ে রিপ্তির বাম হাত নিয়ে অনামিকায় একটি আংটি পড়িয়ে দেয়।সেখানে উপস্থিত সবাই হাত তালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়। রিপ্তি এক ঝাপে জাদ কে জড়িয়ে ধরে।কিন্তু ওর চোখ এখনো দ্বিধার চোখে গেথে আছে।যেখান থেকে টুপ টুপ করে ঠান্ডা অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।দ্বিধা নিজেকে আর সামলাতে পারলো না।ওর চোখের অঝোড় ধারা কেউ দেখার আগেই ও দ্রুত গতিতে সেখান থেকে চলে যায়।
পিছন থেকে রিশাল জাদ এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ও ডান হাত রিশালের কাধে রেখে ওকে থামিয়ে বলে–
“সুধানিধির খেয়াল রেখো।তোমায় ওর বড় প্রয়োজন।”
রিশাল এক ঝাটকায় ওর হাত সরিয়ে সামনে আগায়।
ভার্সিটির বাইরে গাড়ির কাছে এসে দ্বিধার কান্নার পরিমান আরো বেড়ে যায়।যেনো ভিতরে সবকিছু দুমড়ে মুছড়ে যাচ্ছে।নিজেকে যতো থামানোর চেষ্টা করছে ততই ওর কান্না বেড়ে যাচ্ছে।
রিপ্তি এখনো জাদ কে জড়িয়ে আছে।জাদ ওকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে বলল–
“ড্রামা কমপ্লিট।এবার যাওয়া যাক।”
নিজের ল্যাবরেটরির জানালা দিয়ে সবই দেখেছে ইতাফ।মনে মনে ভাবছে–
“সময়কে এখনি থামাতে হবে।নইলে সব হাতের নাগালের বাহিরে চলে যাবে।”
“পারিজা,দ্বিধা কোথায়??”
“ওর ঘরেই আছে।মেয়েটার আজ কি হয়েছে কে জানে।সেই যে ফিরে এসে ঘরে গিয়ে শুয়েছে আর বের হয়নি।দুপুরেও খাইনি মেয়েটা।ডাকতে গেলেই বলে ভালো লাগছে না।যাও এখান থেকে।”
“আগে বলবেনা। মেয়েটা এখনো না খেয়ে আছে।”ইরাজ ইরাম উঠতে গেলে রিশাল বলল–
“আঙ্কেল আপনি বসুন।আমি ওকে ডেকে আনছি”।
রিশাল দরজা খুলে দেখে পুরো রুমে ঘুটঘুটে অন্ধকার বিরাজ করছে।ওর নাম ধরে ডাকার পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শির শির হাওয়ায় বারান্দার পর্দা সরে যেতেই দেখে দ্বিধা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।ধীরে ধীরে ওর পাশে গিয়ে দাড়ায়।বড় নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল–
“জাদ কে ভালোবাসো?আগে তো বলনি?
এইবার দ্বিধা নিজেকে ধরে রাখতে পারলোনা।ঘুরেই রিশালকে জড়িয়ে হেচকি দিয়ে কাদতে লাগল।রিশাল বুঝতে পারছেনা কি করবে।খুব করে ওকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে করছে—-“স্পাইসি,আমি আছি তো তোমার পাশে।সারাজীবন তোমায় ভালোবাসবো ঠিক তোমার মতো করে।তোমার সব কষ্ট মুছে দিব আমার ভালোবাসার পরশে।আমার হয়ে যাও তুমি।”
কিন্তু তা আর সম্ভব নয়।ওর স্পাইসি যে অন্য কাউকে চায়।কি করে পারে একটা মানুষ এতো ভালোবাসতে!মেয়েটা সারাদিন বোধহয় কেদেছে।
“স্পাইসি,প্লিজ স্টপ।সব ঠিক হয়ে যাবে”।
দ্বিধা হেচকি তুলতে তুলতে বলল–
“কেকেনো এএমমনন হহহলো বললততো।আআমিমিইই কিইই এএতো ইই খাখারারাপ।
রিশাল বেশ বুঝতে পারছে,কতটা কষ্ট হচ্ছে ওর কথা বলতে।
“বললাম তো সব ঠিক হয়ে যাবে।আমি আছি তো তোমার পাশে।আমি সব ঠিক করে দিবো।”
দ্বিধা ওর বুক থেকে মাথা উঠিয়ে বলল-তুতুমি
পারবে??
ওর চোখ দুটি লাল হয়ে ফুলে উঠেছে।মুহূর্তেই দ্বিধা রিশাল এর কোলে ঢলে পড়ে।রিশাল আতকে উঠে।
“স্পাইসি,স্পাইসি চোখ খুলো।কি হয়েছে তোমার?আঙ্কেল,আনটি,,,,,,,,
রিশাল এর চিৎকার শুনে দৌড়ে মি.আর মিসেস ইরাম দৌড়ে উপরে আসেন।
“প্রিন্সেস,কি হয়েছে আমার প্রিন্সেস এর??মি.ইরাম রেগে বলেন।
“আঙ্কেল,রিল্যাক্স।আসলে দুপুরে খাইনি তো তাই প্রেশার লো হয়ে গেছে।একটু পর সবঠিক হয়ে যাবে।পারিজা ইরাম কথাটা ঠিক হজম করতে পারলেন না।কিন্তু মুখে কিছু প্রকাশ করেন নি।মেয়ের এই অবস্থায় তিনি হতবিহম্বল।ইরাজ ইরাম ডক্টর এর কাছে কল করতে চাইলে রিশাল বাড়ন করে।মেয়ের এ অবস্থায় পারিজা ইরাম ওকে একা ছাড়তে নারাজ।তাই বাকি সবাই ও সেখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন।
অন্ধকার ঘরে দরজা খুলে কেউ প্রবেশ করল।আইভান আর ফ্রিদা ইন্দ্রিয়াজ ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে ছিলেন।আগন্তুক কে দেখে তারা দুজন উঠে দাড়ায়।
“কিং আপনি?”(আইভান অবাক হয়ে প্রশ্ন করল)
তারা দুইজন হাটুগেড়ে বসে দুহাত হাটুতে রেখে মাথাটা হালকা ঝুকিয়ে কিং কে সম্মান জানায়।
“জাদ আমায় খবর পাঠিয়েছে।সে আমার সাথে কথা বলতে চায়।”
“কিন্তু সে তো আমাদের কিছুই জানায় নি”।
জাদ ঘরে প্রবেশ করতেই কিং কে সম্মান জানিয়ে তার মুখোমুখি বসে।
“কেনো ডেকে পাঠিয়েছো?
“সে তো আপনার অজানা নয়।”
“তাহলে তুমি কি করতে ইচ্ছুক?”
“আপনি তাদের কে সাবধান করে দিবেন।আমার কাজে বিঘ্ন ঘটানো আমি একদম পছন্দ করিনা।পুরোনো কথা আমি ভুলে যাই নি।আর আপনি আমাকে ভালো করেই জানেন।”
“ঠিক আছে।তুমি যেভাবে বলবে সেইভাবে সবকিছু হবে।কিন্তু ইশায়ার বিষয়টা তোমার মাথায় রাখতে হবে।আফটার অল শি ইজ ইউর উড বি।”
জাদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই ফ্রিদা বলল–
“অবশ্যই কিং।এই কাজটা সম্পূর্ণ হওয়ার পরই আমরা ইশায়া আর জাদ এর বিষয়টা নিয়ে আগে বাড়বো।”
“ঠিক আছে।আমি তাহলে আসি”।
কিং চলে যেতেই আইভান রেগে বলে–
“হোয়াট ডু ইউ থিং?এইসবের কি দরকার ছিল?”
“জাদ তুমি ভালো করেই জানো মল্লিকায় আলিয়া কিং এর অর্ধাঙ্গীনি।আজ তারা আলাদা।তারমানে এই নয় তারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।”
জাদ তাদের কথার কোনো প্রতিউত্তর না দিয়ে চলে যায়।
ভ্যাম্পায়ার।অনেকে অনেক নামে চেনে।রক্তচোষা বাদুর,বেতাল,চর্মচটিকা,রাক্ষস,পিশাচ,নোসফেরাতু,লামিয়া ইত্যাদি।কিন্তু তাদের অস্বিত্ব সবার অগোচরে।প্রাচীনকাল থেকে ভ্যাম্পায়ার রা তাদের পৃথিবীর মানুষের কাছ থেকে আড়াল করে রেখেছে।তারা তাদের মতো করে থাকতে পছন্দ করে।মানুষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।তারা তাদের নিজেদের আলাদা দুনিয়া তৈরী করে নিয়েছে।
পৃথিবীতে তিন ধরনের ভ্যাম্পায়ারের অস্বিত্ব রয়েছে।সাঙ্গুইনারিয়ান,সাইকিক ও হাইব্রিড। যখন কোনো ভ্যাম্পায়ার ও মানুষের অথবা ভ্যাম্পায়ার ও ওয়েরওলফ(নেকড়ে মানব)এর শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে কোনো ভ্যাম্পায়ার এর জন্ম হয় তখন তা হাইব্রিড প্রজাতির হয়। সাধারনত ওয়েরওলফ দের সাথে ভ্যাম্পায়ারদের সাথে প্রকৃতিগত ভাবেই বিরোধ রয়েছে।তাই তাদের মিলন অনেকটা অসম্ভবনীয়।কিন্তু ভ্যাম্পায়ারের সৌন্দর্য ও এক্সট্রা অরডিন্যারি গুনের জন্য মনুষ্য জাতী সহজে তাদের সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ হয়।
সাইকিক প্রজাতির ভ্যাম্পায়াররা অতি মাত্রায় রক্ত পিপাসু হয়ে থাকে।আদিকাল থেকে ভ্যাম্পায়াররা চেয়েছিল মানুষ আর তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে।তাই তার নিজেদের রক্তের পিপাসা নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে।কিন্তু এদের মাঝেই কিছু ভ্যাম্পায়ার অতিরিক্ত ক্ষমতার লোভে নিজের জাতীর সাথে বিশ্বাসঘাতকা করে মানুষের আর ভ্যাম্পায়ারদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাই তাদের আলাদা করে দেওয়া হয়।
সাঙ্গুইনারিয়ান সবচেয়ে নির্ভীক আর শক্তিশালী।তারা মানুষের রক্তের পরিবর্ত বিভিন্ন পশুপাখির রক্ত পান করে।কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়া তারা মানুষের রক্তের স্বাধ গ্রহন করেনা আর করলেও খুবই অল্প পরিমানে।
জাদ এবং তার পরিবার সাঙ্গুইনারিয়ান প্রজাতির ভ্যাম্পায়ার।জাদ এর জন্ম থেকেই ওর মধ্যে অন্যান্য ভ্যাম্পায়ার অপেক্ষা অধিক ক্ষমতা রয়েছে।তাই আজ তাদের জাতির জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য ওদের এখানে পাঠানো হয়েছে।
চলবে,,,