অপেক্ষার প্রহর পর্ব-২০

0
702

অপেক্ষার প্রহর (পর্ব- ২০)
ঘটনার সুত্রপাত আজ থেকে প্রায় সাত মাস আগে যখন সুদীপ্ত- ইয়াসমিন তাদের আগের বাসায় থাকত। জামাল ছিল ঐ বাড়ির বাড়িওলার ছেলে। দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় জামাল অন্য জায়গায় ফেরার ছিল। একটা রেপ কেসের মামলা ছিল ওর। একটা মেয়েকে রেপ করে ওরা কয়েক বন্ধু মিলে।পুলিশ প্রথমে তাদের গ্রেফতার করলেও পরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।পুলিশের কাছে প্রমাণ আসে যখন মেয়েটা রেপ হয় তখন জামাল এখানে ছিলই না। পুলিশও জামালকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। জামালের বাবা ছেলেকে গ্রামে পাঠিয়ে দেয় নিজের কথা সত্যতা প্রমাণ করতে।
নিজের বাসায় ফেরার কয়েকদিনের মধ্যে জামাল জানতে পারে তাদের বিল্ডিং-এ এক অপুরুপ সুন্দরী মহিলা আছে। ইয়াসমিন ও আগে থেকে সবার কাছ থেকে জানতে পারে জামালের ব্যাপারে। তাই বাইরে আসা- যাওয়া করার সময় যখন দেখতে পেত জামাল তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে তখন প্রচণ্ড অস্বস্তি হত, নিজেকে যথাসম্ভব লুকিয়ে চলত। কিন্তু একদিন পারেনি ইয়াসমিন। সেদিন দুপুর বেলা খাওয়াদাওয়া শেষে একটু চোখটা বন্ধ করে শুয়েছিল ইয়াসমিন। হঠাৎ কলিংবেলের আওয়াজ। লুকিং গ্লাস দিয়ে দরজার ওপাশে জামালকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। কি দরকার জিজ্ঞেস করলে জামাল জবাব দেয়, “ভাবি, আপনাদের বিলের কাগজ ছিল।” ইয়াসমিন দোটানায় পরে দরজা খুলে দেয়।
“ভাবি এক গ্লাস পানি খাওয়াইবেন? খুব পানির পিপাসা লাগছে।” ইয়াসমিনের একবার বলতে ইচ্ছে করল নিজের বাসায় গিয়ে খান। কিন্তু তা বললে অভদ্রতা করা হবে, তাই ইয়াসমিন দরজা খুলে বলল, “ঠিক আছে, আপনি ভিতরে এসে বসুন, আমি পানি নিয়ে আসছি।”
এই বলে ইয়াসমিন ভিতরে এসে একটু শরবতের ব্যবস্থা করতে থাকে। বাড়িওলার ছেলে প্রথম তাদের বাসায় এসেছে, শুধু পানি দিলে কেমন হয়, ইয়াসমিন শরবতের আয়োজন করতে থাকে। হঠাৎ পিঠে একটা স্পর্শ টের পায় ইয়াসমিন। পিছন ফিরে জামালকে দেখতে পেয়ে ভয় পেয়ে যায়। “ভাবি আপনে কি সুন্দর” এই বলে ইয়াসমিনকে জড়িয়ে ধরে। কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয় দুজনের মাঝে। শেষে ইয়াসমিন দা তুলে ভয় দেখালে জামাল বাসা ছেড়ে চলে যায়। ইয়াসমিন আর এক মুহূর্ত দেরী না করে সুদীপ্তকে ফোন করে। সুদীপ্ত অফিস থেকে চলে আসে। বাড়িওলার কাছে তার ছেলের নামে বিচার দেয়।বাড়িওলা তাদের সামনেই ছেলেকে মারেন তার কৃতকর্মের জন্য, ছেলেকে ঘরে আটকে রাখে। সুদীপ্তর কাছে এই বাসায় থাকাটা আর নিরাপদ মনে হয় না, তাই তারা বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্য জায়গায় বাসা ভাড়া নেয়।
অবশ্য হত্যাকাণ্ডের সম্ভাবনা শুধু একদিক ছিল না, অন্য আরেকটা দিক ছিল। সুদীপ্ত বিয়ের আগে পুরান ঢাকায় কাপড়ের ব্যবসা করত। একদিন কাজের প্রয়োজনে ঐদিকে যাওয়ার পর মনে হয় আগের সহকর্মী ফারুক সাহেবের সাথে দেখা করার কথা। ফারুক সাহেবও খুশি হয় সুদীপ্তকে দেখে। সুদীপ্তকে চা খেতে বলে।
আলাপের এক পর্যায়ে ফারুক বলে উঠে, “ভাইজান হুনলাম বিয়া করছেন।ভালা ভালা। তয় ভাবিসাব নাকি দেহব্যবসা করত। ভালা ভালা।এসব মহিলার লগে কাম কইরা মজা আছে। এরা বহুত টেকনিক জানে। আমাগো বৌগোরে দেহেন, দুইটা বিয়া করলাম একটাও যদি ঠিকমতো কাম করবার পারে।”
স্বভাবত এ কথা সুদীপ্তর ভাল লাগেনি। সুদীপ্তর সাথে ফারুকের মারামারি লেগে যায়। এক পর্যায়ে লোকজন এসে দুজনের মাঝে বিবাদ থামায়। সুদীপ্ত চলে যায়। কিন্তু ফারুক এলাকার সবার সামনে নিজের অপমান মানতে পারেনি। তাই প্ল্যান করে সুদীপ্তকে মারার। রাতের বেলা এলাকার মাস্তানকে ডেকে এনে সুদীপ্তকে কিভাবে মারবে তা নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। সমস্ত কথাবার্তা রেকর্ড করে নেয় ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা। পরে রাতে যখন রুমা স্বামীকে রেকর্ডটি শুনায় তখন ফারুক অবাক হয়ে যায়। “ভাইবেন না এইটা একটাই রেকর্ডিং। এটার আরও কপি আছে। আপনে খুন করবেন কিনা এইটা আপনের ব্যাপার। তয় যদি চান এই কথা গোপন থাক তাইলে একটু খরচ করন লাগব। পোস্তগোলার বাড়িটা আমার নামে লেইখা দিতে হইব আর নগদ দশ লাখ টাকা দিতে হইব।”ফারুক অবাক হয়ে যায়। খুন করার সিদ্ধান্ত বাদ দিলেও রেহাই পায়না রুমার চাপ থেকে। শেষ পর্যন্ত দশ লাখ টাকাও দেয় আবার বাড়িও লিখে দেয়। কিন্তু তারপর ও শেষ রক্ষা হয়না ফারুকের। এই ঘটনার এক মাস পর রুমা গোপনে বাড়ি বিক্রি করে সমস্ত টাকা পয়সা নিয়ে আগের প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। খুনের পরদিন যখন খবরের কাগজে সুদীপ্তর মৃত্যু সংবাদ বেরোয় তখন ভয় পেয়ে যায় ফারুক। ভাবে রুমাই কাণ্ডটা ঘটাল নাতো।
সুদীপ্ত রক্ত দিতে না আসলেও ইয়াসমিনের পরিচিত দুইজন রক্ত দিতে এসেছিল। ইয়াসমিন মেয়েদের নাম উচ্চারণ করলেও তারা যে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হতে পারে তা একবারও কারও মনে হয়নি। শিলা নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সে একজন ডাক্তার। তার অবাক হয়ে থাকলে চলবে না। শিলা রক্ত সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে গেল। ক্রস ম্যাচ করে দুইজনের কাছ থেকে রক্ত নেয়া হল। জামিলুর সাহেব অবাক হয়ে চিন্তা করতে লাগলেন কি ঘটছে এসব তার স্ত্রীর সাথে। একটা হিন্দু ছেলে কিডনি দিল আবার দুইজন হিজড়া রক্ত দিল।
সন্ধ্যার দিকে শফিক শিলাকে ফোন দেয়।শিলা ফোন ধরে বলে, “আপনার বন্ধু কোথায়? সেই দুপুরবেলা বের হয়ে গেলেন, বললেন এক ঘণ্টা লাগবে, এখনও আসার নাম-গন্ধ নেই। এদিকে ওনার ফোন ও বন্ধ। ইয়াসমিন তো অনেক চিন্তা করছে।”
“শিলা, সুদীপ্ত খুন হয়েছে। আপনি প্লিজ ইয়াসমিনকে কিছু বলবেন না। ও যে জায়গায় খুন হয়েছে সেখানকার পুলিশ অফিসার আমাদের বন্ধু। ও আমাকে একটু আগে জানালো। মাকে রক্ত দেয়া হয়েছে? আরও দুইজন আসার কথা ছিলনা?”
সুদীপ্তর খুনের খবর শুনে শিলা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল। এইত দুপুরবেলা সুদীপ্ত তার বিয়ের কথা বলেছিল। শিলা কোন জবাব দিতে পারছিল না। শফিক আবার ডাকায় সম্বিৎ ফিরে পেল, “হ্যাঁ, রক্ত দেয়া হয়েছে।”
“আমি ইয়াসমিনকে নেয়ার জন্য আসছি। আপনি প্লিজ ওকে কিছু বলবেন না। আর আমার মাকে একটু দেখবেন প্লিজ।”
শফিক আধাঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আসে। “ইয়াসমিন সুদীপ্ত একটা ঝামেলায় পড়ে গেছে। তোমাকে সাথে নিয়ে যেতে বলেছে।”
সিএনজিতে ওঠার পর ইয়াসমিন বলল, “ও কি ধরনের ঝামেলায় পড়েছে? ওর ফোন বন্ধ কেন? আর আমরা থানায় যাচ্ছি কেন? প্লিজ বলেন ভাইজান কি হয়েছে ওর? ও কি এক্সিডেন্ট করেছে? তাহলে তো ওর হাসপাতালে যাওয়ার কথা, থানায় না। প্লিজ ভাইজান বলেন। একি আপনি কাঁদছেন কেন?”
“ইয়াসমিন, একটু শক্ত হও। নিজের জন্য না হলেও বাচ্চাটার জন্য।” একটু চুপ থেকে বলল, “সুদীপ্ত খুন হয়েছে।” বলে কাঁদতে লাগলো শফিক। ইয়াসমিন বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকল। সুদীপ্ত নেই। কি বলবে ইয়াসমিন? ইয়াসমিন বিধবা হয়ে গেছে? ওর সন্তান পিতৃহারা হয়েছে? সুদীপ্ত বেঁচে নেই এটাই ওর কাছে বড় কথা- খুন হয়েছে নাকি অসুখে মরেছে এটা ওর কাছে বড় না। আল্লাহ কেন মানুষটাকে নিয়ে গেলেন তার জীবন থেকে? ইয়াসমিন এখন কাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচবে? কাকে উপলক্ষ করে বাঁচবে? অজান্তেই চোখে পানি জমা হয়েছে। আজকে রাস্তায় জ্যাম নেই কেন? কেন সিএনজিটা তাড়াতাড়ি যাচ্ছে? সুদীপ্তর চেহারাটা কি নষ্ট হয়ে গেছে? এতদিন ধরে যে চেহারা দেখে ও অভ্যস্ত এখন কেন অন্য চেহারায় দেখতে হবে? আল্লাহ কেন ওকে এই পরীক্ষায় ফেললেন?
সুদীপ্তর বাবা-মা, ভাই-বোন আগেই থানায় পৌঁছে গিয়েছিল। ইয়াসমিনকে দেখে অঞ্জনা তেড়ে আসলেন, “এই ডাইনি আমার ছেলেটারে খাইছে।”
কৌশিক অঞ্জনাকে সামলাল, “মা প্লিজ সিনক্রিয়েট করো না। তোমার তো আরও দুইটা ছেলে-মেয়ে আছে, মানুষটার কে আছে একবার চিন্তা করো।” অঞ্জনা ঘেন্নায় মুখ সরিয়ে নিল। সুদীপ্তর বন্ধু রায়হান এই থানার অফিসার। সুদীপ্ত যখন ইয়াসমিনকে বিয়ে করে তখন রায়হানকে নিয়ে গিয়েছিল। রায়হান ইয়াসমিনকে সুদীপ্তর লাশ দেখানোর পর নিজের রুমে নিয়ে যায়। “ভাবি আমাদের কাছে হত্যার ভিডিও আছে। ভিডিও করেছে এই মেয়েটি- জয়া নাম ওর।” আগে থেকে দুইটা মেয়ে ছিল রুমে- জয়া আর ওর বান্ধবী তিশা। তিশার বোন নিশাকে জামাল আর ওর বন্ধুরা মিলে রেপ করে। নিশারা কেস করলেও জামালকে ধরা যায়নি। ভুয়া প্রমান দেখিয়ে ঐ কেস থেকে রেহাই পায় জামাল আর ওর বন্ধুরা। সবাই নিশাকে দোষারোপ দেয়, ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করে। সহ্য করতে না পেরে নিশা আত্মহত্যা করে। সেদিন জয়া ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেড়িবাঁধে যায় সময় কাটাতে। হঠাৎ গণ্ডগোল শুনে যখন ঐদিকে তাকায় তখন আড়াল থেকে জামালকে দেখেই চিনতে পারে জয়া। জামালরা চলে যাবার কিছুক্ষণ পর আড়াল থেকে বেরিয়ে সুদীপ্তকে মৃত অবস্থায় পায় জয়া। তারপরই দৌড় দিতে থাকে তিশাদের বাড়ির দিকে, মোহাম্মাদপুর থেকে ইন্দিরা রোড পর্যন্ত বেহুঁশ হয়ে দৌড়ে আসে জয়া। ভিডিওটা দেখার পরই থানায় চলে আসে তিশা আর জয়া।
“ভাবি আপনি ভিডিওটা দেখে অপরাধীদের সনাক্ত করুন। আর কি কারনে খুন হয়েছে মনে করে বলুন। আপনার স্টেটমেন্ট অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট। আমরা অবশ্য অপরাধীদের ধরেছি। ওরা লকআপে আছে।” ইয়াসমিন স্টেটমেন্ট দিল।
থানা থেকে বের হবার সময় তিশা জামালের সামনে গিয়ে বলল, “আমার বোনের সাথে যে অন্যায় হয়েছে আমি এই পরিবারের সাথে তা হতে দিবনা। আমার বোনের মামলার কোন সাক্ষী ছিলনা, কিন্তু এই ছেলের খুনের প্রমান আছে। ওরা কি করবে জানিনা তবে তোরে আমি ফাঁসিতে লটকাব জাইনা রাখিস।” জামাল রাগ চোখে তাকিয়ে রইল।
পরের দিন সকালবেলা শওকত সাহেব হেঁটে বাসায় আসছেন। জুতোর মধ্যে একটু ময়লা লেগেছে।বাসায় ঢুকার আগে নিচে পা ধুয়ে নিলেন। পাশে আরেক ফ্ল্যাটের এক ড্রাইভার খবরের কাগজ পড়ছিল। শওকত সাহেবের চোখ চলে যায় খবরের কাগজের দিকে। শওকত সাহেব অবাক হয়ে দেখলেন সুদীপ্তর ছবি। শফিকের বন্ধু। শওকত সাহেব ড্রাইভারের কাছ থেকে পেপার নিয়ে পড়তে লাগলেন। সুদীপ্ত খুন হয়েছে। কয়েকদিন আগেই তো শফিকদের বাসায় এসেছিল। অনেক কথা হয়েছিল সেদিন। শওকত সাহেবের মাথা ঘুরাচ্ছে। বুকের ভিতর একটা চাপ অনুভব হচ্ছে। শওকত সাহেব আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না।
“স্যার স্যার কি হইছে?” দারোয়ান দৌড়ে আসল। শওকত সাহেবের চোখ- মুখ বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। দারোয়ান ভয় পেয়ে শিলাকে ফোন দিল। শিলা ফোন পেয়েই বাসার জন্য রওনা দিল। মিলাকে ফোন করে বাসায় যেতে বলল। মিলা দশ মিনিটের মধ্যে বাবার বাসায় চলে আসে। তাড়াতাড়ি শওকত সাহেবকে পাশের ক্লিনিকে নিয়ে যায়।
শিলা একটা গাড়িও পাচ্ছে না। রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। সব গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়। বিদেশি এক কূটনীতিক এসেছে তাই পুরো ঢাকা শহর জুড়ে জ্যাম। শিলা কোনদিকে না তাকিয়ে দৌড়াতে লাগলো। কিছুদুর যাওয়ার পর মিলার ফোন আসে। “শিলা বাবা নেই।”
“মানে? বাবা নেই মানে কি?”
“বাবা মারা গেছে।”
শিলা ধপ করে রাস্তায় বসে পড়ল। মৃত্যুসংবাদ শুনলে ইন্নালিল্লাহ পড়তে হয়। শিলা একথা ভুলে গেছে। শওকত সাহেব শাপলা দিয়ে চিংড়ি মাছের ঝোল খেতে চেয়েছেন। অনেকদিন আবদার করার পরও শিলা রাজি হচ্ছিল না। শওকত সাহেবের কলেস্টরল বেশি। তাই শিলা চাচ্ছিল না চিংড়ি রান্না করতে। তারপরও কি মনে করে সেদিন বাজার থেকে চিংড়ি মাছ এনে ধুয়ে বেঁছে ফ্রিজে রেখেছে। ভেবেছিল যাওয়ার সময় শাপলা কিনে নিয়ে যাবে। বাবার পছন্দের খাবার আর খাওয়া হলনা। বাবার জানাজা কখন হবে? কখন কবর দিবে?শিলার বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে না। বাসায় যাওয়ার আর কোন তাড়া নেই। কোথাও বসে এক কাপ কফি খেতে ইচ্ছে করছে। শিলার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? ওর বাবা মারা গেছে আর ও এখানে বসে কফি খেতে চাচ্ছে? (চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here