#অব্যক্ত ভালোবাসা
#পর্ব :৩৭(Mehendi special)
#সুমাইয়া ইসলাম নিশা
দুঃখের পর সুখ আসে এটা হয়তো ন্যাচারাল ট্রু।দুঃখের সিড়ি বেয়ে মানুষ যখন সুখের সিড়িত পৌছায় তখন যেনো তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত সুখানুভূতি হয়।মায়ান আর মেহবিনের জীবনেও সুখের বৃষ্টি নেমেছে।সব ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে আজ তারা সুখের সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছে।মাইজা আর মায়ানের বিয়ে ভাঙার আজ এক সপ্তাহ।এই এক সপ্তাহে মেহবিন আর মায়ানের বিয়ের ব্যাপার নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে।সবাই ছেলেমেয়ের খুশিতে খুশি।সবথেকে বেশি খুশি দুইজন।প্রথম হলো মায়ান আর দ্বিতীয় মাইজা।মায়ান নিজের ভালোবাসার মানুষকে নিজের করে পাবে।এটা তার কাছে জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।আর মাইজা খুশি তার মায়ের শেষ চাওয়া পূরন করতে পারায়।হোক না সেটা নিজের ভালোবাসার বিনিময়ে।মায়ান মাইজার কাছে কৃতজ্ঞ।মাইজার কাছে এতদিন তার সাথে করা ব্যবহারের জন্য ক্ষমাও চেয়েছে।মাইজা হাসিমুখে শুধু বলেছে-
-”একটা মেয়ে যখন নতুন কৈশোর বয়সে পা রাখে তখন সে নতুন নতুন জিনিসের সাথে পরিচিত হয়।ঐ বয়সে তখন আবেগ বেশি কাজ করে।আমারো কাজ করেছিলো।আমার প্রথম আবেগ আপনি।প্রথম ভালোবাসা বলবোনা।কারণ ভালোবাসলে কখনো ভালোবাসার মানুষটাকে কষ্ট পেতে দেয়না।তবে আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের কারণ এই আমি।সবকিছু ভুলে নতুনভাবে সব শুরু করুন।নিজের জন্য,মেহুর জন্য,আপনাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সবকিছু ভুলে যান।
মায়ান শুধু অবাক চোখে মাইজার কথাগুলো শ্রবণ করেছে।এই ম্যাচিউর মাইজার সাথে সে পরিচিত নয়।তবে এতে মায়ান খুশিই হয়েছে।মেহবিন নিজেও বেশ খুশি।কিন্তু সেটা মায়ানের মতো প্রকাশ করতে পারছেনা।কারনটা মাইজা।মাইজা যতই ভালো থাকার নাটক করুক সে জানে মাইজার ভিতর কি চলছে।মেহবিন নিজেও তো এমন পরিস্থিতি পাড় করে এসেছে।
————–
আজ মেহবিনের মেহেন্দি।তেরো তলার এপার্টমেন্টটি সুন্দর করে ডেকোরেশন করা।মেহবিনের ফ্লাটে আত্মীয়দের ভীর।মোটামুটি অনেকেই এসেছে মেহবিনের বিয়ে উপলক্ষে।মায়ানের বিয়ের কথা শুনে তার প্রবাসী চাচাও এসেছেন সপরিবারে।এখন মনে হচ্ছে এটা একটা বিয়ে বাড়ি।মেহবিন এতকিছুর অনুষ্ঠান করতে চায়নি।কিন্তু মাইজার জোরাজুরিতে বরাবরের মতো তাকে হার মেনে নিতে হয়েছে।মেহেন্দি আর হলুদের আয়োজন ওদের এপার্টম্যান্টের ছাদেই করা হয়েছে।আর বিয়ে সেন্টারে হবে।এটা মায়ানের ইচ্ছা।ওখান থেকে বিদায়পর্ব শেষ করে মায়ানের কেনা নতুন বাড়িতে উঠবে।এখন সন্ধ্যা ছয়টা।একটু পর পার্লারের মেয়েরা এসে মেহেদী পরিয়ে যাবে।মেহবিন একটা হালকা সবুজ রঙের লঙ গাউন পড়েছে।সাজ বলতে শুধু কাজল লিপস্টিক।মেহবিন বরাবরই কম সাজতে পছন্দ করে।এখন ও ছাদে ডেকোরেট করা স্টেজে বসে আছে।মাইজা ওর পাশে বসে ওর সাথে এই সেই বকবক করেই যাচ্ছে।মেহবিন মাথা নিচু করে বসে আছে।সেটা খেয়াল করে মাইজা কৌতুকের সুরে বললো-
-”এভাবে মাথা নিচু করে বসে আছিস কেনো।লজ্জা পাচ্ছিস নাকে।ভেরি ফানি!আমার সামনে লজ্জা পাওয়ার কি কারন?
মেহবিন চোখ তুলে মাইজার দিকে।ওর চোখে পানি টলমল করছে।মাইজা জানে ওর কান্নার কারন কি।তাই সে আগেভাগেই বলে ফেললো-
-”তোর জন্য আজকে আমি মায়ান ভাইকে পেয়েছি।তুই নিজের সব কষ্ট ভুলে আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছিস।তোর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।প্লিজ ডোন্ট টক লাইক দেট মেহু।গত একসপ্তাহ ধরে আমি এসব শুনে আসছি।আর না।
মেহবিন আর কিছু বললো না।সে সত্যিই এখন এগুলোই বলতো।পার্লারের মেয়েদের আসতে দেখে মাইজা উঠে ওদের নিয়ে মেহবিনের কাছে নিয়ে যায়।তারপর যেতে নিলেই মেহবিন হাত ধরে বলে-
-”কোথায় যাচ্ছিস?
-”পানি খেয়ে আসছি।
মেহবিন আচ্ছা বলতেই মাইজা চলে গেলো।পার্লারের মেয়েরা মেহবিনের দুইহাতে সুন্দর করে ব্রাইডাল ডিজাইন করে দিচ্ছে।হাতের তালুতে দেওয়ার এক পর্যায়ে একটা মেয়ে জিজ্ঞেস করল-
-”বরের নাম কি আপু?
বর কথাটা শুনতেই মেহবিনের লজ্জায় গাল দুটো গোলাপি হয়ে গেলো।মায়ান নামক খবিশটা দুদিন বাদে তার বর হবে।এটা ভাবতেই মেহবিনের ঠোটের কোণে লাজুক হাসি ফুটে উঠল।সে আস্তে করে বললো-
-”মায়ান।
পার্লারের মেয়েটা আচ্ছা বলে সুন্দর ডিজাইন করে মায়ান নামটা লিখে সেখানে লাভ আর্ট করে দিলো।মেহবিন আলতো হাসল।একটু দূরেই মাইজা দাড়িয়ে মেহবিনের খুশিতে ভরা মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে।তার ঠোটে হাসি অথচ চোখে জল।চোখ থেকে এক ফোটা জল গড়িয়ে পরতেই পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো-
-”আর ইউ জেলাস?
আগুন্তকের করা এমন প্রশ্নে মাইজা চমকে গেলো।তারাতারি চোখের পানি মুছে নিয়ে পাশ ফিরে তাকাল।একটা ছেলে দাড়িয়ে আছে।ছেলেটা দেখতে খারাপ না।ছিমছাম শরীর,লম্বা,চুলগুলো একটু কোকড়ানো।তবে তার পোশাকটা বড় অদ্ভুত।ছেলেটা একটা কালো হুডি পরে আছে।মুখে মাস্ক।চোখে সানগ্লাস।যেটা বর্তমানে এমন পরিবেশের সাথে বড্ড বেমানান।মাইজা বুঝতে পারল না এই রাতের বেলা সানগ্লাস পরার কারন।হুট করে ছেলেটার একটু আগের করা প্রশ্নের কথা মনে আসতেই মাইজার টনক নড়ে।সে কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করে-
-”আমাকে বলছেন?
ছেলেটি পকেটে এক হাত গুজে অন্য হাত দিয়ে সানগ্লাস খুলে হুডিতে ঝুলালো।তারপর ভ্রু নাচিয়ে বললো-
-”এখানে কি অন্য কারো জেলাস হওয়ার কথা?
মাইজা ভরকালো।তারপর শান্ত গলায় বললো-
-”আপনার কথা বুঝলাম না।
ছেলেটি হুডির টুপিটা নামিয়ে তার কোকড়া চুলে হাত বুলাতে বুলাতে বললো-
-”না বুঝার তো কিছু নেই।আপনি যেভাবে চোখে পানির টাঙ্কি লাগিয়ে আপনার বন্ধুর দিকে তাকিয়ে আছেন এতে আমার মতো যে কোনো স্মার্ট মেন বুঝবে যে হয় আপনি জেলাস নাহলে ছেকা খেয়েছেন।
মাইজা চমকে গেলো আগুন্তকের কথায়।হঠাৎই মাইজার রাগ উঠে গেলো ছেলেটার কথায়।সে কেনো জেলাস হতে যাবে।কন্ঠে রাগ নিয়ে ছেলেটার দিকে তাকিয়ে বললো-
-”কি লেইম কথা।আমি কেনো জেলাস হতে যাবো।আশ্চর্য।আর মানুষ কি কাদে শুধু জেলাস অথবা ছেকা খেলেই।অনেক সময় সুখেও কাদে।এটা যে কোনো স্মার্ট মানুষ বুঝতে পারবে।
কথাটা বলেই মাইজা চলে যাওয়ার জন্য পা বারাতেই ছেলেটা মাইজার হাত টেনে ধরল।মাইজা থেমে তাকাল ছেলেটির দিকে।ছেলেটা মাইজার হাত ধরে আবার আগের জায়গাতেই দাড় করাল।তারপর হাত ধরে রেখেই বললো-
-”এসব লেইম কথা বলে কোনো লাভ নেই মিস শুকনো মরিচ।আমি জানি আপনি আপনার বন্ধুর উড বি কে ভালোবাসেন।আর নিজের ভালোবাসাকে অন্য কারো হতে দেখলে যে কেউ জেলাস হবে।এটা যে কোনো স্মার্ট মানুষ বুঝার ক্ষমতা রাখে।
মাইজা ছেলেটার কথায় চমকালো।এই ছেলের মুখে এসব শুনতে পারবে ভাবেনি।মাইজা নিজের অবাক হওয়া প্রকাশ করল না।উল্টো ছেলেটার কথা বলার ধরনে রাগে গা পিত্তি জ্বলে উঠল।মাইজা তেজি গলায় বললো-
-”এই কে আপনি বলুন তো।কখন থেকে ফালতু কথা বলে যাচ্ছেন।অসহ্য।আমি জেলাস হলে জেলাস আপনার কি তাতে?আপনার পাকা ধানে মই দিয়ে জেলাস হয়েছি যে আপনার এতো সমস্যা।যত্তসব।
মাইজা আর কথা বলার সুযোগ দিলো চলে গেলো সেখান থেকে।ছেলেটা রহস্যময়ী হাসল।তারপর আবার হুডির টুপিটা পরে চলে গেলো।
————
মেহবিনের মেহেদী দেওয়া শেষ।বেশ অনেকটা শুকিয়ে গেছে।পার্লারের মেয়েরা চলে গিয়েছে অনেকক্ষন।এখন ছাদে ওর কিছু কাজিন আর মাইজা আছে।মাইজা এতক্ষণ ওর পাশেই বসা ছিলো।একটা কল আসায় দূরে গেছে।মেহবিন হাতের দিকে মায়ান নামটার দিকে একধ্যানে তাকিয়ে আছে।ওর ধ্যান ভাঙে মায়ানের গলা শুনে।মায়ান ফোনে কথা বলতে বলতে ছাদের শেষের দিকে যাচ্ছে।মায়ান এতক্ষন ছাদে ছিলো না।সবেই এসেছে।মেহবিন সবার দিকে একনজর তাকিয়ে উঠে দাড়াল।তারপর স্টেজ থেকে নেমে মায়ানের পিছু গেলো।মায়ান ফোনে কথা বলতে বলতে ছাদের রেলিং ঘেষে দাড়ালো।মেহবিন কিছুক্ষণ মায়ানের দিকে তাকিয়ে রইল।মায়ান আজ কালো রঙের পাঞ্জাবি পরেছে।পাঞ্জাবির বুকের দিকে সোনালী রঙের কাজ করা।মেহবিন হাসল।এই সুন্দর ছেলেটি তার বর।ভাবতেই মেহবিনের ভিতর ভালো লাগায় ছেয়ে গেছে।মায়ান উল্টো দিকে ঘুরে কথা বলছিল।মেহবিন আস্তে আস্তে মায়ানের পিছে গিয়ে দাঁড়িয়ে নিজের দুই হাত মায়ানের হাতের মাঝখান দিয়ে বের করে ওর সামনে মেলে ধরল।মায়ান মেহেদি রাঙা হাত দেখে বুঝে গেলো এটা আর কেউ না তার প্রিয়তমা।মায়ান মেহবিনের হাত দুটো একহাত দিয়ে ধরল তারপর ওকে টেনে সামনে এনে দাড় করাল।মেহবিন মায়ানের দিকে একপলক তাকিয়ে চোখ নামাল।মায়ান মেহবিনের দিকে তাকিয়েই ফোনের ওপাশে কাউকে বললো-
-”কল ইউ লেটার।
বলে ফোন কেটে দিয়ে পকেটে ঢুকাল।তারপর পূর্ণ দৃষ্টি দিলো মেহবিনের দিকে।মেহবিন চোখ তুলে তাকাল মায়ানের দিকে।মায়ানের এমন চাহনি দেখে মেহবিন আবারো চোখ নামিয়ে নিলো।মায়ান মেহবিনের লাজুকফেস দেখে ঠোট কামড়ে হাসল।মেহবিনের দুই হাত মেলে ধরল।তারপর গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।সবকিছুর মাঝে মায়ান লেখাটাই যেনো হাতে জ্বলজ্বল করছে।মায়ান বেশিকিছু না ভেবে মায়ান লিখা জায়গাতে নিজের ঠোট ছোয়ালো।সময় নিয়ে ঠোট ছুঁয়ে রাখল।মেহবিন চোখ বন্ধ করে ফেললো।মায়ান মেহবিনের দিকে তাকিয়ে ওর দুই গালে হাত রেখে ফিচেল গলায় বললো-
-”লুক এট মি মেহু।
মেহবিন আরো শক্তকরে চোখ খিচিয়ে রাখল।তারপর দুইদিকে মাথা নাড়ল।যার অর্থ সে চোখ খুলবেনা।মায়ান হাসলো মেহবিনের এমন লজ্জা পাওয়া দেখে।মেহবিনকে আরো লজ্জা দিতে মায়ান ঠোট চেপে হেসে বললো-
-”এত লজ্জা পাচ্ছো কেনো,স্ট্রেঞ্জ।আমি তো কিছুই করলাম না।
মেহবিনের কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে।সে মায়ানকে হাত দিয়ে দূরে ঠেলে দিয়ে লজ্জা মিশ্রিত হেসে বললো-
-”চুপ করুন আপনি।আমার আপনার কাছে আসাই ভুল হয়েছে।খবিশ একটা।
মায়ান শব্দ করে হেসে দিলো।তারপর মেহবিনের কোমড় জরিয়ে কাছে এনে লো ভয়েজে বললো-
-”তোমারইতো।
মেহবিন আবারো লজ্জা পেলো।মায়ান এবার হতাশ হয়ে বললো-
-”এই হলো পিচ্চি মেয়েকে বিয়ে করার ফল।কারনে অকারনে লজ্জা পেয়ে মুখ লুকিয়ে বসে থাকে।
মেহবিন মায়ানের কথা শুনে রেগে গিয়ে কিছু বলতে নিলে মায়ান থামিয়ে দিয়ে বলে-
-”তুমি যে পিচ্চি না এটার রেফারেন্স পরে দিও।এখন স্টেজে চলো।
মেহবিন হুম বলল।এদিকে মাইজা কথা বলে এসে মেহবিনকে না দেখতে পেয়ে চারপাশে তাকাল।তারপর ছাদের অন্য দিকে এগোতে নিলে শোনা গেলো পুরুষালি কন্ঠ-
-” ওখানে গিয়ে থার্ড পারসন হওয়ার কোনো প্রয়োজন কি আছে মিস শুকনো মরিচ?
আগুন্তকের প্রশ্ন শুনে মাইজা ফট করে পিছনে ঘুরে তাকায়।সেই ছেলেটা দাড়িয়ে আছে।মাইজার মেজাজ বিগড়ে গেলো।সে এক আঙুল তুলে ছেলেটার দিকে তেড়ে এসে বলে-
-”আবার আপনি এসেছেন আপনার এসব ফালতু কথা নিয়ে।আর শুকনো মরিচ কাকে বলছেন?
ছেলেটা হাসল।তারপর বিগলিত গলায় বললো-
-”আপনি চাইলে আমার আরো কাছে এসে কথা বলতে পারেন মিস শুকনো মরিচ।আমি মাইন্ড করবোনা।
মাইজা কথা বলতে বলতে কখন যে ছেলেটার এত কাছে চলে গেছে খেয়াল ই করেনি।মাইজা লাফিয়ে দুইকদম পিছনে চলে যায়।তারপর রাগে বিরবির করতে করতে বলে-
-”যত্তসব লেইম লোক।
ওদের কথার মাঝেই মায়ান আর মেহবিন সেখানে আসে।ওরা মাইজাদের সামনে গিয়ে দাড়াতেই মাইজা মায়ানের কাছে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ কন্ঠে জিজ্ঞেস করে-
-”মায়ান ভাই,এই এলিয়েনটা কে?আমাদের বাসায় কি করছে?
মায়ান ছেলেটার দিকে তাকাল।তারপর ভ্রু কুচকে ছেলেটার কাধ চাপড়ে বললো-
-”শালা তুই আর চেঞ্জ হইলিনা।তোর সব জায়গায় এমন বেশভূষা নিয়ে থাকতে হবে।
ছেলেটা হেসে নিজের মাস্ক টা খুলল।মাইজা আর মেহবিন অবাক হয়ে ওদের দেখছে।মায়ান মাইজার দিকে তাকিয়ে হেসে বললো-
-”ও হলো আমার কাজিন ব্রাদার।আমার ছোট চাচার ছেলে ইশতিয়াক রনক।বিয়ে উপলক্ষে লন্ডন থেকে এসছে।বাট তুমি এতো রেগে আছো কেনো মাইজা।
মাইজা বিষ্ময় নিয়ে রনকের দিকে তাকায়।এই অদ্ভুত বেশভূষে থাকা ছেলেটা কিনা মায়ানের ভাই।
চলবে……