#অব্যক্ত ভালোবাসা
#পর্ব :৩৯(wedding special part-2❤)
#সুমাইয়া ইসলাম নিশা
সাজের পর্ব চুকিয়ে সবাই পার্লার থেকে বের হয়।বাইরে মায়ানের ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।মেহবিনরা গাড়িতে উঠতে নিতেই কেউ মেহবিন বলে চেঁচিয়ে ওঠে।মেহবিন ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখে ওর কলেজের একটা ফ্রেন্ড ওকে ডাকছে।ঐ ফ্রেন্ডও পার্লারে সাজতে এসেছিলো মেহবিনের বিয়ে উপলক্ষে।মেহবিন ওর ফ্রেন্ডকে গাড়িতে উঠতে বলে,যেহেতু সবাই একজায়গাতেই যাবে।ফ্রন্ট সিটে কায়া,আর পিছনের সিটে মেহবিন ওর ফ্রেন্ড আর ওর দুইজন কাজিন বসেছে।সবার বসার পর মাইজার বসার জন্য জায়গা হলোনা।মেহবিন কি করবে বুঝতে না পেরে বললো-
-”গাড়িতে তো আর জায়গা নেই।তুই কিভাবে যাবি?
মাইজাকে চিন্তিত দেখালো না।সে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো-
-”তোরা চলে যা মেহু,আমি রিকশা করে যাবো।
-”আমার মতো স্মার্ট একটা ছেলে থাকতে শুকনো মরিচ কিনা রিকশাতে যাবে।ইমপসিবল।
সবাই রনকের কথায় ফিরে তাকায় ওর দিকে।রনককে এখানে দেখে সবাই অবাক হয়।কারন রনকের এখন মায়ানের সাথে সেলুনে থাকার কথা।তবে মাইজা অবাক হয়নি।রনককে এমন হুটহাট দেখতে পাওয়া ওর জন্য তেমন আহামরি কিছু নয়।রনক ওদের সামনে দাড়াতেই মেহবিন জিজ্ঞেস করে-
-”ভাইয়া আপনি এখানে?
-”এলাম মাই ডিয়ার ভাবি,আমার স্মার্ট মস্তিষ্ক থেকে আওয়াজ আসছিলো যে সামথিং ওয়েন্ট রং।
মেহবিন হাসল রনকের কথার ধরনে।রনক মাইজার দিকে তাকিয়ে দাত বের করে হেসে বললো-
-”মিস শুকনো মরিচ,চলো।আজকের জন্য আমার বাইকের বেক সিটটা তোমার জন্য।
মাইজা ভাবলেশীন ভাবে বললো-
-”আমি রিক্সা করেই যেতে পারবো।ধন্যবাদ।
রনকের কপালে অনেকগুলো ভাজ পরল।সে আর বাক্যব্যয় করলো না।সোজা মাইজার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো।মাইজা তবুও কোনো দ্বিরুক্তি করলোনা।রনকের সাথে চলে গেলো।মেহবিন খানিকক্ষণ ওদের দিকে তাকিয়ে থেকে ড্রাইভার কে গাড়ি স্টার্ট দিতে বলল।রনক মাইজার দিকে তাকিয়ে ওকে ইশারায় বাইকে বসতে বললো।মাইজা বসতেই রনক বাইক স্টার্ট দিলো।বাইক চলছে দ্রুতগতিতে।চারপাশ থেকে দমকা হাওয়ায় মাইজার চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে।মাইজা নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে।চোখের পলক ও ফেলছেনা।এতক্ষণ কষ্ট না হলেও তার যে এখন বেশ কষ্ট হচ্ছে।যাকে সে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখেছিল তার বিয়েতেই এখন সে সেজেগুজে যাচ্ছে।তবে সেটা বধূবেষে নয়।মাইজার চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।সে কাদতে চায়না।কিন্তু না কেদেও পারছেনা।মাইজা চোখ বন্ধ করে বেখেয়ালিভাবে রনকে পিঠে মাথা রাখে।রনক চমকায়।পেছন ঘুরে তাকাতে গিয়েও পারেনা।রনক জানে মাইজা সজ্ঞানে করছেনা এমনটা।রনক কিছু বললোনা।বাইকের স্পিড কমিয়ে দিলো।
মেহবিনদের গাড়ি বেশ সময় আগেই পৌছেছে সেন্টারে।রনক বাইক সেন্টারের সামনে থামিয়ে দেয়।মাইজা তখনো ও ওভাবেই রনকের পিঠে মাথা রেখে চোখ বুজে আছে।রনক মাইজাকে দুইতিনবার ডাকলো।কাজ হলোনা।শেষে উপায় না পেয়ে কাধ একটু ঝাকি দিতেই মাইজা বাস্তবে ফিরে আসে।চোখ খুলতেই নিজেকে এভাবে রনকের পিঠে মাথা রাখতে দেখে একলাফে মাথা উঠিয়ে বাইক থেকে নেমে যায়।মাইজা চোর ধরা পরার মতো এদিক সেদিক তাকাচ্ছে।রনক মাইজার অস্বস্তি দেখে মাইজার অস্বস্তি কাটাতে বললো-
-”তোমার যে এমন হুটহাট বসে বসেই ঘুমিয়ে পরার অভ্যাস আছে জানতাম না তো মিস শুকনো মরিচ।
মাইজা হাফ ছাড়ল এটা ভেবে যে রনক ভেবেছে ও হয়তো ঘুমিয়ে ওর পিঠে মাথা রেখেছে।রনক বাইক থেকে নেমে সেন্টারের দিকে এগুলো।মাইজার কিছু একটা মনে পড়ল।সে দৌড়ে রনকের সামনে দাঁড়িয়ে বললো-
-”শুনুন আমি এতো ভনিতা পছন্দ করিনা।তাই সরাসরি বলছি কালকে রাতে আপনি আমার জন্য ঐ ছেলেটাকে শায়েস্তা করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।
রনক একটু তাকিয়ে রইল মাইজার দিকে।তারপর ভ্রু উপরে উঠিয়ে বললো-
-”বাহ মিস শুকনো মরিচ তুমি আমাকে ধন্যবাদ বলছো।যদিও এটা হওয়ারই ছিলো।আমার মতো স্মার্ট ছেলেকে যে কেউ থ্যাংকস জানাতে বাধ্য।আমি কাজগুলোই এমন করি।
মাইজা মুখ ভেঙালো।তারপর ব্যাঙ্গ করে বললো-
-”এহহহ স্মার্ট ছেলে ঘোরার ডিম।
মাইজা চলে গেলো।রনক নিজের চুলে কয়েকবার হাত চালিয়ে হাসল।তারপর নিজেও ভিতরের দিকে অগ্রসর হলো।
___________________
মেহবিন স্টেজে বসে আছে।পাশাপাশি দুটো স্টেজ।একটাতে মেহবিন বসেছে আরেকটা তে মায়ান।ওদের মাঝখানে বিশাল পর্দা টানানো।মেহবিনের অনেক কান্না কান্না পাচ্ছে।এটা কি নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে নিজের করে পাবে সেই খুশির কান্না।নাকি নিজের মা-বাবাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে কষ্টের কান্না।একটু পরেই কাজি এলো।প্রথমে গেলো মেহবিনের কাছে।মেহবিনের পাশে মিসেস রুকাইয়া বসে আছেন আর শামসুর রাহমান এখানে বর্তমানে উপস্থিত নেই।সে নিজের মেয়ের কাছে এখন থাকলে নাকি নিজেকে সামলাতে পারবেননা।ভেঙে পরবেন।তাই তিনি নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখছে।কাজি মেহবিনকে কবুল বলতে বললো।তবে মেহবিন কবুল না বলে কেদে দিলো।মিসেস রুকাইয়াও কান্নায় ভেঙে পরছেন বারবার।তবুও নিজের কান্না আটকিয়ে মেয়েকে ধরে শান্ত করাল। অনেকবার বলার পর অবশেষে মেহবিন কবুল বললো।মেহবিন কবুল বলাতে কাজি সাহেব আলহামদুলিল্লাহ বলার আগেই মায়ান মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বললো।সে তো ভয় পেয়ে গিয়েছিল মেহবিনের এত সময় নিয়ে কবুল বলাতে।শেষে যদি মায়ান কেনো তাকে ছেড়ে গিয়েছিলো তার শাস্তিস্বরূপ বিয়ে করবেনা বলে বেকে বসে মেহবিন।মায়ান স্বস্তি বোধ করল।কাজি সাহেব এবার মায়ানের কাছে গিয়ে ওকে কবুল বলতে বললে সেকেন্ড পেরুতেই কবুল বলে দেয়।অবশেষে ওদের বিয়ে হলো।সব ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে আজ তারা এক পবিত্র সম্পর্কে বাধা পরেছে।যেই সম্পর্ক তাদের একসাথে পথচলার প্রথম পদক্ষেপ।
মাইজা দূর থেকে ওদের দিকে তাকিয়ে ছিলো।ভেতরটা কিছু হারানোর ব্যথায় হুহু করছে।মাইজার কান্না আটকানোর ক্ষমতা লোপ পেলো।নিজেকে আর সামলাতে পারলোনা।একহাতে মুখ ঢেকে কেদে দিল।তখনই অন্য হাত কেউ নিজের হাতের মুঠোয় নিলো।মাইজা তাকাল তার হাত আকড়ে ধরার মানুষটির দিকে।রনক,হ্যা রনকই মাইজার হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়েছে।রনক মাইজার চোখের জল বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে মুছে দিলো।তারপর বললো-
-”তুমি কি জানো শুকনো মরিচ,তোমার মধ্যে একটা অদ্ভুতমনুষ্যত্ব লুকিয়ে আছে।যেই মনুষ্যত্ব তোমাকে নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে খুশি রাখার জন্য নিজের খুশি ত্যাগ করতে শিখিয়েছে।নিজের বন্ধুর ভালো থাকার জন্য নিজের ভালো থাকার অস্তিত্ব টাকে বিলিয়ে দিয়েছে।সর্বোপরি এই মনুষ্যত্ব তোমাকে নিজের মৃত মায়ের ইচ্ছা পূরণের তাগিদ দিয়েছে।তুমি অনন্য মিস শুকনো মরিচ,অনন্য।একবার ফিল করো তো তোমার মা দূর থেকে তোমার করা ত্যাগের জন্য খুশির অশ্রু ফেলছে।তুমি কতটা ভাগ্যবান হলে ভাবো একবার।আশা করি এরপর তোমাকে আর কষ্ট ছুতে পারবেনা।
মাইজা মনোযোগ দিয়ে রনকের কথাগুলো শুনলো।রনকের কথামতোই ফিল করতে চেষ্টা করল নিজের মাকে।হ্যা সে ফিল করতে পারছে ওর মা ওর দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতার হাসি হাসছেন।মাইজা রনকের হাত আগলে ধরল।মুখে হাসির রেখা টেনে চোখ বুজেই বিরবির করলো-
-”আমি তোমার কথা রাখতে পেরেছি আম্মু।
_________________________🍁
ফুলে সজ্জিত রাউন্ড বিছানায় একহাত ঘোমটা টেনে বসে আছে মেহবিন।পুরো ঘরময় জুরে গোলাপ,রজনীগন্ধা, বেলি ফুলের গন্ধে মো মো করছে।মেহবিনের বুকের ভেতর ধিরিম ধিরিম আওয়াজ হচ্ছে।তার কেমন জেনো ভয় ভয় লাগছে।মেহবিন ঘোমটা একটু উঠিয়ে পুরো ঘরে চোখ বুলাল।যখন ওকে এই ঘরে এনে বসানো হয়েছিলো তখন কান্নার দাপটে কিছুই খেয়াল করেনি।স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিটি মেয়ের মতো মেহবিন ও নিজের বিদায়ে কেদেছে।সবচেয়ে বেশি কেদেছে নিজের বাবাকে জড়িয়ে ধরে।সব মেয়েরাই কেনো বাবার বেশি আদরের হয়?বিদায়ের সময় নিজের বাবাকে দেখে এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছিল মেহবিনের মাথায়।সবার শেষে যখন মেহবিন মাইজার কাছে গেলো মাইজা মেহবিনকে নিজ থেকেই জড়িয়ে ধরে বলেছিলো-
-”ধন্যবাদ মেহু,আমাদের মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করার জন্য।
মেহবিন কান্না বাদ দিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো মাইজার দিকে।সত্যিই কি কেউ এত ত্যাগ স্বীকার করতে পারে।মেহবিন পুরো ঘরে চোখ বুলাল।ঘরটা মোটামোটি বড়ই।বেশ সুন্দর করে সাজানো।মেহবিনের পা মিষমিষ করছে বেলকনিতে যাওয়ার জন্য।ওর পুরো ঘর দেখার মাঝেই দরজা খুলার শব্দ এলো।মেহবিন তাড়াহুড়ো করে ঘোমটা টেনে গুটিসুটি মেরে বসে পরল।মায়ান দরজা আটকে তাকিয়ে থাকল নিজের সদ্য বিয়ে করা মানবীর দিকে।তার পিচ্চি,তার শ্যামলতা আজ তার।একান্তই তার।মায়ান ধীর পায়ে বেডের দিকে এগুতে লাগলো।মেহবিনের হৃৎপিণ্ড তড়িৎ গতিতে লাফাচ্ছে।মায়ান বেডে বসে মেহবিনের ঘোমটা উঠালো।মেহবিন এতটুকুতেই চোখ বন্ধ করে ফেলল।মায়ান মেহবিনের অস্তিত্ব দেখে হাসল।এগিয়ে এসে অধর ছোয়ালো মেহবিনের কপালে।তারপর বললো-
-”এতভারি ড্রেসে অস্বস্তি লাগছেনা?চেঞ্জ করে নরমাল শাড়ি পড়।আমি গিয়ে চেন্জ করে আসি ততক্ষণে তুমি গয়নাগুলো খুলে ফেলো।
মেহবিন মাথা নেড়ে হ্যা বললো।মায়ান কাবার্ড থেকে ট্রাউজার আর টি শার্ট নিয়ে চলে গেলো।মেহবিন বেড থেকে নেমে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একে একে সব গয়না খুললো।তারপর ল্যাগেজ থেকে খুজে একটা শাড়ি বের করল।শাড়িটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল।মায়ান বের হতেই মেহবিন চেন্জ করতে চলে গেলো।মায়ান বেডে গিয়ে বসল।আধাঘন্টা পর মেহবিন দরজা খুলে বের হলো।মায়ান দরজা খুলার শব্দে মেহবিনের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে গিয়েই থেমে গেলো।চোখের পলক পরা যেনো এক মুহূর্তের জন্য বন্ধ হয়ে গেলো তার।চোখ আটকে খেলো সামনে দাড়ানো তার স্ত্রীর দিকে।মেহবিন মায়ানের দেওয়া সেই শুভ্র রঙের শাড়ি পরেছে।মায়ানের চাহনির দিকে মেহবিন তাকিয়ে আতকে উঠল।দ্রুত চোখ সরাল।এই চাহনি আজকে তাকে মেরেই ফেলবে।মায়ান ধীর পায়ে এগুতে লাগলো মেহবিনের দিকে।মেহবিন সেখানেই শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।মায়ান মেহবিনের সামনে দাড়াল।মেহবিন নিচের দিকে ফ্লোরে পায়ের নখ দিয়ে ঘষছে।মায়ান মেহবিনের শাড়ি ভেদ করে উন্মুক্ত কোমড়ে হাত রাখতেই মেহবিন চমকে উঠে।মায়ান একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তো আছেই।মেহবিনের দম আটকে যাচ্ছে।সে সরতে নিলে কোমড়ের বাধন শক্ত হয়।মেহবিন মায়ানকে একটু সরানোর চেষ্টা করে বলে-
-”ছা-ছাড়ুন।
মায়ান ছাড়ল না।ফিচেল কন্ঠে শুধাল-
-”চুড়িগুলো কোথায়।
মেহবিন অনেক কষ্ট হাত উচিয়ে লাগেজ দেখাল।মায়ান মেহবিনকে ছেড়ে লাগেজ থেকে চুড়ি এনে আবারো মেহবিনের সামনে দাড়ায়।যত্ন করে মেহবিনের দুহাত ভরে শুভ্র চুড়িতে সাজিয়ে দেয়।মায়ান চুড়ির উপর হাতে চুমু খায়।তারপর মেহবিনের দিকে তাকিয়ে বলে-
-”শুভ্রতায় ঘেরা আমার শ্যামলতা।
মেহবিন চোখ তুলে তাকায় মায়ানের দিকে।মায়ান মেহবিনের গালে চুমু খায়।মায়ান আরেকটু কাছে আসতে নিলে মেহবিন মায়ানের টি শার্ট ধরে এক হাত পাশে ঝুলানো গিটারের দিকে তাক করে জিজ্ঞেস করে-
-”আপনি গান গাইতে পারেন।
মায়ান হেসে বলে-
-”একটু আকটু।
মেহবিন আবদারের সুরে বলে-
-”আমায় শুনাবেন?
মায়ান এক ভ্রু উচিয়ে মেহবিনের কপালের চুল গুলো সরিয়ে বললো-
-”Trying to change my mind?
মেহবিন আমতা আমতা করে বললো-
-”না-না তা কেনো হবে,শুনতে ইচ্ছে হলো তাই আরকি।
কথা শেষ হবার আগেই মায়ান মেহবিনকে পাজা কোলে তুলে নিলো।মেহবিন ভয় পেয়ে মায়ানের টি শার্ট খামছে ধরল।মায়ান মেহবিনকে বেলকনিতে নিয়ে গিয়ে খোলা রেলিং এর পাশে বসাল।তারপর গিটার টা নিয়ে আবারো বেলকনিতে গিয়ে মেহবিনের পেছনে গিয়ে বসল।গিটার টা মেহবিনের সামনে নিয়ে পেছন থেকে জরিয়ে নিলো মেহবিনকে।তারপর গলায় সুর তুললো-
-Dua Bhi Lage na mujhe
Dawa bhi lage na mujhe
Jabse dil ko mere tu laga hain
Neend raaton ki meri
Chahat baaton ki mari
Chain ko mere tone yoon thaga hai
Jab saansein baroon main band
Ankhein karun main
Nazar tu aaya kar
Dil ko karar aya
Tujhpe hai pyar aya
Pehli pehli baar aya
oh yaara………..
Dil ko karar aya
Tujhpe hai pyar aya
pehli pehli bar aya
oh yaaraa…🌹
গান শেষে মায়ান মেহবিনের কাধে ঠোট ছুঁয়ে দেয়।মেহবিন পুরো গান চোখ বন্ধ করে অনুভব করে।মায়ান গিটারটা রেখে মেহবিনের কাধে থুতনি রেখে জিজ্ঞেস করে-
-”কেমন লাগলো?
মেহবিন ঘুরে মায়ানের গলা জড়িয়ে বলে-
-”আপনার মতোই ভীষণ সুন্দর।
বলেই লজ্জা পেয়ে মুখ লুকালো মায়ানের বুকে।মায়ান আবারো হারিয়ে গেছে তার লজ্জাবতীতে।মেহবিন চোখ তুলে মায়ানের দিকে তাকায়।এভাবে মায়ানের চাহনি সহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।তাই সে মায়ানের ধ্যান ভাঙানোর জন্য বলতে নিলো-
-”জানেন মাইজা আর রনক ভাই-
পুরো কথা শেষ করার আগেই মায়ান ঠোটের উপর এক আঙুল রাখলো।তারপর হিসহিসিয়ে বললো-
-”উহু।আজকে আর অন্য কারো কথা নয়।আজকে শুধু তুমি আর আমির মধ্যেই সবকিছু সীমাবদ্ধ থাকবে।আমার হৃদয়ের জমানো #অব্যক্ত ভালোবাসা আমি তোমায় ব্যাক্ত করতে চাই।তবে আজ সেটা মুখে বলা পর্যন্তই ইতি টানবেনা।অনেক ভালোবাসি মেহু,অনেক।
অধরে অধর ছোয়ালো মায়ান।টুপ করে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ল মেহবিনের অক্ষিযুগল থেকে।সময় সাপেক্ষ স্পর্শ গভীর হলো।ভালোবাসারা তীব্র থেকে তীব্র ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করলো।ব্যাক্ত হলো তাদের অব্যক্ত ভালোবাসা।নতুন সূচনার সাক্ষী হয়ে গেলো চারপাশের নিঝুম মাতোয়ারা পরিবেশ।
চলবে……….
(কেমন হলো আজকের পর্ব?সবাই প্লিজ গঠনমূলক মন্তব্য করবেন❤)