“”””””””””অভিশপ্ত বাসর রাত”””””””””””
……………..পর্ব -১…………………..
===গল্পটা অনেক সুন্দর পড়ে দেখতে পারেন।
😊😊 না পড়লে শুধু আফসোস থেকে যাবে😒
✌✌✌✌অসাধারণ লেখনী ✌✌✌✌
#আজ সাবিহার বাসর রাত। ছোট বেলা থেকেই এ রাতের ব্যাপারে শুনতে শুনতে আর নিজের বন্ধু বান্ধব এর মুখে শুনতে শুনতে নিজেরই আজ কেমন ঘোর লাগছে, কেমন যেন কি হয় কি হয় অবস্থা। তাছাড়া আজ বিয়ের পর মিঃ মেহবুব ই ওর লাইফে প্রথম পুরুষ। ও হ্যা, মেহবুব ওর হাজবেন্ড এর নাম। মেডিকেল এর পড়ার দরুন কোন দিন প্রেম ভালবাসা নিয়ে ভাবার সময় হয় নি সারাক্ষণ শুধু পড়া আর পড়া। কিন্তু অন্য সবার মত প্রকাশ না করলেও ও ঠিকই এই দিনটির জন্য অনেক অপেক্ষা করছে। . মেহবুব পেশায় একজন সেনাবাহিনী কর্মকর্তা। মা বাবার ছোট ছেলে। সাবিহাও ছোট। উনি সাবিহার মেডিকেলের প্রফেসর এর ভাইয়ের ছেলে। সাবিহার বাবা স্যারের মুখে ছেলের বায়োডাটা শুনে আর তাদের পরিবার পরিজনের সাথে দেখা করে খুব পছন্দ করেছেন। স্যার সাবিহাকে ওর মেডিকেল লাইফ থেকেই খুবই স্নেহ করত তো সাবিহাও স্যারের কথার অন্যথা না করেই ও বিয়ের মত দে আর যেহেতু ওর নিজস্ব কোন পছন্দও ছিল না তাই অমতের কারনও ছিল না। আর যতটুকু মেহবুবকে দেখেছে ওর ভালই মনে হয়েছে।বাসায় যে দিন দেখতে গিয়েছিল শুধু ওর শাশুড়ি আর বড় ননদ ই কথা বলছে। ওর দুলাভাই ওদের কথা বলতে বলেছিল কিন্তু সে রাজি হয় নি তো সাবিহার মনে যে টুকু আশা ছিল তাও শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে ভাবল যাক বেটা বিয়ের পর তো কথা বলবিই আগেই না হয় একটু ভাব ধর। . বিছানায় বসে বসে আকাশ পাতাল ভাবছিল ও এরই মধ্য ওর বড় জাল আর ননদ ঢুকল মেহবুবকে নিয়ে। বেটা রুমে ঢুকেই ওয়াশরুমে চলে গেল আর ওর জাল আর ননদ ওর সাথে গল্প করা শুরু করল। -কি ভাবি কেমন লাগছে? দেখ আমি কিন্তু তোমার থেকে ছোট তো তুমি করেই বলব। – তোমার যা ইচ্ছে ডাকতে পার কোন সমস্যা নেই। -ভাবি আমার ভাই কিন্ত বিশিষ্ট ভাবিস্ট সে কিন্তু ভাব ধরবে তুমি তার ভাবের কোন পাত্তা দিবা না। সাবিহা মনে মনে ভাবল যাহ বাবা ও মেহবুব সম্পর্কে যা ভাবছিল তাই ই যাই হোক একটু পর তার প্রমাণ পাওয়া যাবে যে সে কতটুকু ভাব নেয়। -ওই বেটা মেহবুব আমাকে ওনেক জালাতন করছে ছোটবেলা থেকে। এর শোধ কিন্তু আমি তোমার উপর থেকে নিব। বড় ভাবি হাসতে হাসতে বলল – আচ্ছা তুই থাম এবার। বেচারিকে একটু রিলাক্স হতে দে। আচ্ছা সাবিহা আমরা গেলাম তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও আর হ্যা সকালে কিন্তু সব গল্প বলতে হবে। একথা শুনে সাবিহা হাসবে না কাঁদবে কিছুই বুঝতে পারছিল না। তারা চলে যাবার পর একা একা খাটে বসে আছে। ডাক্তারি লাইফে অনেক ক্রিটিকাল সমস্যা ফেস করছে কিন্তু এমন দিশেহারা হয় নি কিন্তু আজ কেমন জানি ফিলিংস হচ্ছে। আরও একা, মা বাবাকে ছেড়ে আসার কষ্ট তো আছেই। মনে হল যেন দুনিয়া হঠাৎ পালটে গেছে, সব থমকে গেছে। গত কয়েক দিনের কর্ম ব্যস্ততা পুরো শরীরে ভর করছে, একটু শুতে পারলে বাচেঁ কিন্তু ওই লোক এসে দেখে ও ঘুম তাহলে কেমন লাগবে এই ভাবতে ছিল ওমনি সে ওয়াশরুম হতে ফিরে এল। ওর মুখে ঘোমটা দেয়া তাই লোকটাকে পুরোপুরি দেখাও যাচ্ছিল না।পরে কিছু একটা আলমারি থেকে খুলে নিয়ে বারান্দায় গেল। [6/5, 3:14 PM] Promity: প্রায় আধা ঘণ্টা পর একসময় এসে বসল বিছানায়, একটু কেশে নিয়ে মাতালে স্বরে বলল অনেক রাত হল তুমি সোফায় গিয়ে শোও অথবা কোন সমস্যা না থাকলে বিছানায় ও শুতে পার। . সাবিহা কথাটা শুনে যত না অবাক তার থেকে বেশি হল তার গায়ের গন্ধ পেয়ে। মদের গন্ন্ধ!!!! সাবিহা বলল – আপনি ড্রিংকস করেছেন???? অমনি মেহবুব রেগে গিয়ে বলল – খবরদার বিয়ে করেছি বলে আমার উপর কখনই অধিকার প্রয়োগ করবা না। সোফায় গিয়ে শুতে বলেছি গিয়ে শোও। . কথাটা শুনার পর ওর মনে হল ওর দুনিয়াটা পুরো অন্ধকার হয়ে গেছে। ভয়ে না লজ্জায় কাঁপতে কাঁপতে ও সোফায় কোন মতে গিয়ে শোয়। শুধু ভাবছে -এ কি হল???? আল্লাহ কেন ওর সাথে এমন করল ও তো কাউকে ঠকায় নি তাহলে!!!! সে দিনের রাত ওর কেমন কাটল তা ওই আর ঐ সোফার বালিশটাই জানল।ওর জীবনের সব থেকে অভিশপ্ত রাত।………..
__________চলবে___________
==পরবর্তী পর্ব আসছে….
নোটিফিকেশনে নেক্সট পর্ব পেতে গ্রুপে জয়েন দিয়ে কমেন্ট করে রাখুন 🙂