“”””””””””অভিশপ্ত বাসর রাত”””””””””””
……………..পর্ব -৮…………………….
সাবিহা মেহবুবকে দেখে যতটা অবাক
তারথেকেও বেশি অবাক হলো যখন
মেহবুব হঠাৎ করে বলল -আচ্ছা আজ
আমি আসি। তুমি ভাল থেক।
এরপরই ও আর সাবিহা বা রানার কারো দিকে
আর না ফিরে চলে গেল। রানা বলল-ভাইয়া
বোধহয় লজ্জা পাইছে,বেচারা।
-আরে না, উনি খামাখা লজ্জা পাবেন
কেন?ও সব কিছুই না। বোধহয় ওনার
কোন কাজ ছিল এখানে।
-আচ্ছা, তুই তাড়াতারি বাসায় যা। নাইলে দেখা
যাবে আবার আসছে।
এই বলে ওর কলিগ হা হা করে হাসতে
ছিল।কিন্তু সাবিহা মেহবুবের যাওয়ার
পথের দিকে তাকিয়ে ভাবতে ছিল -ব্যাটা
পাগল টাগল হলো নাকি?? কোন কথা নাই
বার্তা নাই চলে এলো আবার কিছু না
বলেই ফিরে গেল!!!
সাবিহা কলেজ থেকে বেরনোর সময়
বার বার চারদিকে তাকাচ্ছিল হয়তো
মেহবুব যায় নি। নাহ্ পরে নিজেকেই
বুঝাল -নিশ্চই সে কোন কাজে
এসেছিল, হয়তো যাবার পথে এমনিই
দেখা করে গেছে। কিন্তু সাবিহা
নিজেকে যতটা বুঝাক মেহবুবের
সকালের আচরণ বেশ রহস্যজনক
লাগছে ওর কাছে।আসলে ওর জন্য
কোন লোক এভাবে ওকে চমকিয়ে
দেবার জন্য দাঁড়িয়ে আছে এটা শুধু ও
সিনেমা দেখেই ভাবত বাস্তবে
কোনদিন হবে তা ভাবে নি,তাও আবার
কোন লোক?যে কিনা ওকে বিয়ের
রাত থেকেই অস্বীকার করছে।সারাটা
দুপুর আর বকাল এই চিন্তা করে কাটাল।
নিজের পড়ায়ও মনোযোগ দিতে
পারছিল না,ভাবছিল কাল ক্লাসের পড়া ও
নিজে একবার রিভিসন দিবে রাতে
ডিউটিতে যাবার আগে কিন্তু মেহবুবের
চিন্তা এমন ভাবে মাথায় ঘুরছিল শেষে
ভাবল -যাহ্ আমি এমন কেন? যে লোক
আমাকে এত এত খারাপ দিন দেখাল আমি
কেনই বা তার কথা চিন্তা করে নিজের
বারোটা বাজাচ্ছি???
রাতে ডিউটিতে যাবার পর ওর কলিগরা খুব
মজা নিচ্ছিল ওর আর মেহবুবের।
মেহবুবের কথা তারা রানার কাছে
শুনেছে। কিভাবে বেচারা মামুনকে
রিকোয়েস্ট করে ওকে দেখা
করিয়ে দেবার জন্য, কিভাবে ওকে
খুঁজছিল এসব কথা।উলটো সাবিহা লজ্জা
পাবার পরিবর্তে মনে মনে রাগ হাচ্ছিল।
উহ্ এই লোকটা কেন এখানে আসছিল??
কেন নিজেকে চিনিয়ে দিয়ে গেল?
কাল যখন ডির্ভোস হবে তখন এদেরই
বা কি জবাব দিবে???
ওদিকে মেহবুব সারাদিন অফিস করে বাসায়
ফিরে যে সুস্থির হয়ে বসবে তাও
পারছিল না। মা,বাবা,পরিবারের সবাই সাবিহা সাবিহা
করতে করতে অস্থির। এই মেয়েটা
মাএ কিছুদিনের মধ্যে বাসার সবাইকে
কিভাবে আপন করে নিছে ও ভাবতেই
পারে না, ও যতক্ষন দেখত হয় ও ভাবি বা
মায়ের সাথে নাহলে হসপিটালে থাকত।
আর ও অবশ্য ওর কোন খেয়ালই রাখত
না যে সাবিহা কোথায় কি করছে না না
করছে,ও চাইতই সারাক্ষন ওকে তাড়াতে।
যদি সাবিহা কথাও বলতে আসত বকা দিত আর
মেয়েটা মুখটা কালো করে রুম হতে
বের হয়ে যেত। তখন ওর খারাপ লাগে
নাই কিন্তু এখন ওসব চিন্তা করলে খারাপ
লাগে। আসলেই আনেক বাজে আচারন
করা হয়েছে,এতটা না করলেই হতো।।
ও প্রতিটা ক্ষেত্রে সাবিহাকে ভুল
বুঝছে, ভাবছিল প্রতিটা মেয়েই রিতার
মত, সুযোগ খুঁজে। যখন মন ভরবে
তখন রিতার মতো অন্যের হাত ধরে
চলে যাবে।
খাবার সময় মা বলে সাবিহার এটা খেতে
পছন্দ ওটা অপছন্দ,বাবা বা ভাইয়ার সাথে
থাকলে বলে সাবিহা মায়ের অসুস্থতার
সময় কি কি করছে, টিভি দেখার সময়
বোন বা ভাবিও শুরু করে সাবিহার কথা-জানিস
ভাইয়া ছোট ভাবি না এই সিরিয়ালটা দেখতে
খুবই পছন্দ করে। শেষে ও ওর
বোনের চুল টান দিয়ে বলে
-যে মেয়েরা সিরিয়াল দেখতে পছন্দ
করে তাদের আমার সহ্য হয় না।
-আমাকেও পছন্দ না তোর?
-না।
-আচ্ছা ভাবি ফিরুক, আমি নালিশ দেবো
তোর নামে।
কথাটা শুনে মেহবুব কেমন যেনো
ফিল করল,বোনকে কিভাবে বলবে
যে তার ছোট ভাবি আর ফিরবে না
কখনই।ও নিজেই তো সাবিহাকে বাসা
থেকে বের করে দিয়েছে।তখন
তো ওর চলে যাওয়ায় খুশি হয়েছিল কিন্তু
আজ খারাপ লাগছে পরক্ষনে নিজেই
বলল-নাহ্ আমি তো সাবিহাকে মানিই না
নিজের বউ হিসেবে তাহলে কেন
খারাপ লাগবে??ওর চিন্তায় ছেদ পরল
যখন ভাবি পাশ হতে বলে উঠল-কবে
যাচ্ছ সাবিহাকে নিয়ে আসতে?
-জানি না।
-দেখ আরিফ আমি জানি না তোমাদের
মধ্যে সমস্যা কি কিন্তু এটাই বলব দুজনে
মিলে প্রথম থেকে আবার শুরু কর
দেখবা সব ঠিক হয়ে যাবে।
-আচ্ছা ভাবি, কাল অফিস আছে,ঘুমুব এখন।
গেলাম।
এই বলে ভাবিকে আর কিছু বলতে না
দিয়ে নিজের রুমে ফিরে আসল।কিন্তু
রুমে ফিরে কি ঘুমুবে, সোফাটা
দেখেই মনে হলো একটা মেয়ে
বিয়ের সাজে গুটিসুটি মেরে ঘুমুচ্ছে।
যেমনটা দেখেছিল বিয়ের রাতে
সাবিহাকে।তখন ভাবতেই পারে নি যে
আজ এত দিন পর ঐ রাতের কথা মনে
করে আফসোস করতে হবে।শুয়ে
শুয়ে সাবিহা আর ওর বিয়ের ফটোটা
হাতে নিয়ে দেখছিল আর ভাবছিল
মেয়েটাতো সংসার করার জন্যই আসছিল
ওর কাছে,ওর জন্যই মেয়েটার লাইফ
নষ্ট হলো।এসব ভাবতে ভাবতে কখন
ঘুমিয়ে পরছিল ও নিজেই জানে না।
পরের দিন সকালে মেহবুব অফিসে
যাবার সময় ওর বড় ভাইয়ের ছোট
মেয়েটা দেখে কাঁদছে।কাছে গিয়ে
জিজ্ঞাস করল-কি হয়েছে মা? কে
মেরেছে?
-কেউ মারেনি চাচু।
-তাহলে কাঁদ কেন?
-ফুপি আমার সব চকোলেট খেয়ে
ফেলছে। ওকে বক তো।
আচমকা মেহবুবের মনে পরল সাবিহার
বোনের বাচ্চারাও ওর নামে নালিশ করছিল
যে ওদের খালামনি ওদের চকোলেট
চুরি করে খায়।ও ওর বোনকে ডাকল
বলল…
এদিকে সাবিহা সারাটা দিন ব্যস্ত সময় পার
করেছে।সকালে ডিউটি, দুপুরথেকে
তিতুনের স্কুলের জন্য নাচের প্রাকটিস।
বাচ্চাদুটোর খুব ইচ্চা যে ওদের
খালামনিও অন্যান্য অভিভাবকের মতো
স্কুলের ফাংশনে অংশ নিক আর ওর
বোনও জোর করছিল অনেক। ও
প্রথমে না করছিল কারন নাচটা ও অনেক
আগে স্কুল কলেজে থাকতে করত
মেডিকেলে এসে আর হয় নি পড়ার
চাপে।ওদের জোড়াজুরিতেই রাজি
হয়েছে শেষ পর্যন্ত।হঠাৎ আজ এত
বছর পর নাচতে গিয়ে দেখে ও
নাচের স্টেপ সহজে তুলতে পারছিল না,
জড়তা এসে গেছে হাত পায়ের। ওর
ভুল ভাল স্টেপ দেখে তো তিতুন আর
ওর বোন তো হেসে কুটিকুটি।
-খালামনি পারে না, পারে না।
-দাড়াও, আমি তোমাদের থেকেও ভাল
নাচ করে দেখাব। তোমরা সাত দিন
প্রাকটিস করছ আর আমি মাএ কয়েক ঘন্টা।
যখন ও ঠিকমত তুলতে পারছিল তখনই
আবার তাদের তুমুল হাততালি।
বিকেলে যখন ওরা স্কুল অডিটোরিয়াম এ
পৌছাঁল দেখল তিতুনদের বাবাও এসে
গেছে।সে সাবিহাকে বলল
-আজ কিন্তু সব তোমার উপর ফোকাস
থাকবে, বুঝছ??ভাল পারফর্ম করতে
হবে।
-জি ভাইয়া।
সাবিহা তো আর মেহবুবের আসার কথা
জানত না ও ভাবছিল ভাইয়া বিচারকদের কথা
বলছে।যাইহোক সন্ধ্যায় কয়েকজন
অভিভাবক আর বাচ্চাদের পারফর্ম করার পর
ওদেরটা শুরু হলো। সাবিহা প্রথমে
নাচেই ডুবে ছিল পরে নাচের মাঝখানে
হঠাৎ সামনের দিকে তাকাতেই দেখল
মেহবুব ওর দুলাভাইয়ের সাথে বসা।
আক্কেলগুড়ুম অবস্থা তখন ওর।
–আরে এই লোক এখানে কি
করতেছে???ওনার এখানে কি কাজ?হঠাৎ
হঠাৎ কোথা হতে উদায় হয় উনি? তাও
বাচ্চাদের ফাংশনে।মনে হয় উনি অন্য
কোথাও মানুষকে ভয় বা রাগ দেখাতে
পারছে না তাই শেষ মেষ এখানে
ছোট বাচ্চাদের ভয় আর রাগ দেখাতে
আসছে। -এসব কথা ভাবতে ভাবতে সাবিহা
নিজের মনেই হেসে দেয়।
যথাসময়ে নাচও শেষ হলো তারপর
যথারীথি অন্যান্য পর্বগুলোও শেষ
হলো,সাবিহা পারর্ফমার সারিতে বাচ্চাদের
সাথে বসা ছিল, এরই মাঝে মেহবুবের
সাথেও কয়েকবার দূর থেকে
চোখাচুখি হলো। অনুষ্ঠান কি উপভোগ
করবে!!?বারবার ও মেহবুবের দিকে
তাকিয়ে ওর চেহারা বুঝতে চেস্টা
করছিল।
অবশেষে এলো পুরস্কার পর্ব ওরা
নাচে পেলো সেকেন্ড পুরস্কার।
তিতুনের সে কি কান্না অবশ্য সে অন্য
ক্ষেএে পুরস্কার পেয়েছিল।মেহবুব
ওর কান্না দেখে স্টেজ থেকে নামার
পর কোলে তুলে নিল। ওদের
চকোলেট দিল তারপর ওর কান্না থামল।
সাবিহাকে মেহবুবের দিকে তাকাতে
দেখে ওর দুলাভাই বলল,
-কি ডা. অবাক হইছো নিশ্চই??কেন তুমি
জানতে না? মেহবুব কিছু বলে নি?
সাবিহা কিছু বলার আগেই মেহবুব বলে
উঠল -না না। সে ব্যস্ত মানুষ, তার কি এসব
ছোট খাট কথা বলার সময় আছে?
ওর বোন বলল-আমি কিন্তু জানতাম ইচ্ছে
করেই বলি নি। ওর জন্য সারপ্রাইজ।
তিতুনরা দুইভাই বোন তো চকোলেট
পেয়ে খুশিতে আত্নহারা। ওরা সাবিহার
বদলে তাদের আংকেল যে কি পরিমানে
ভাল তা নানা ভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে
যাচ্ছে। সাবিহা শুধু শুনছে আর মনে
মনে খেপছে।
-বাব্বাহ মেহবুব সাহেব আপনার মনে
মনে এত!!!!!
পুরো সময় মেহবুব বা সাবিহা কারও সাথে
কোন কথাই বলল না, ও কথা বলতে
ব্যস্ত ওর বোনের সাথে আর মেহবুব
বাচ্চা আর ওর দুলাভাইয়ের সাথে। কিন্তু
সাবিহার মনে একটা শংকা উকি দিচ্ছিল যে
যখন ওরা ফিরবে তখন তো ও একদিক
আর মেহবুব একদিকে যাবে।তখন
এদের কে কি কি বলবে???ওর সব রাগ
গিয়ে পরল মেহবুবের উপর।
-উহ্ এই লোকটার কি সমস্যা? সব জায়গায়
গিয়ে হাজির হচ্ছে,সবার কাছে ভাল
হচ্ছে । নিজের তো কারো কাছে
কিছু বলতে হবে না, আমাকেই সব ফেস
করতে হবে।তখন তো সবাই বলবে
এত ভাল মানুষ কিভাবে ডির্ভোস দেয়
নিশ্চই তোমার কোন দোষ ছিল।
সাবিহার তো শেষে মেহবুবের হাবভাব
দেখে মনে হতে লাগল মাথার
আঘাতের ফলে ওর সৃতিশক্তি লোপ
পেয়েছে। ওরা যখন গেটের কাছে
গেল ওর মাথাই কাজ করতে ছিল না যে
এখন কি হবে!!? কিন্তু পরক্ষনে ওকে
অবাক করে দিয়ে মেহবুব গাড়ির দরজা
খুলে দিয়ে বলল -আসো সাবিহা।
অনেক রাত হলো, এবার চলো।
আসো আসো।
হ্যা এই লোক কি সব পিছনের কাহিনী
ভুলে বসে আছে?? নিজে বের
করে দিল বাসা হতে আর এখন নিজেই
ওকে নিতে চাচ্ছে- সাবিহা মনে মনে
বলল।ভাবল নিশ্চই এর পিছনে ও বাড়ির
লোকের হাত আছে,বকা খেয়ে
কোন উপায় না পেয়ে ওকে নিতে
আসছে।
ও চুপচাপ কিছু না বলে গাড়িতে গিয়ে বসল
অবশ্য গাড়িতে ওঠার আগে তিতুনের
গায়ে একটা গাট্টাও মারল।মেহবুবকে ভাল
বলার রাগ!!
গাড়িতে উঠেও দুজন চুপচাপ। কথা বলল
প্রথমে মেহবুবই।
-কি ব্যাপার ডা. তুমি চোখ নাক মুখ কুচঁকিয়ে
আছ যে?
-কৈ না ত।
-আমার সাথে কি ঘুরার ইচ্ছে সারারাত?
-না কেন?
-তুমি যে তোমার ঠিকানা বলছ না??
বাবাহ্ এত কবি?? সাবিহা ওর ঠিকানা দিল।
-আচ্ছা তুমি তিতুনকে আসার সময় ওভাবে
খোঁচা দিলা কেন?
-আমাদের মধ্যে এরকম মার পিট
চলতেই থাকে।
-ওহ্ তুমি কিন্তু আসলে অনেক সুন্দর
নাচ। আই মিন তোমরা।
-আমি ছোট থেকেই নাচ করতাম মাঝে
অবশ্য অনেক বছর হয় নি করা।
-গান পার?
-না। ওটা শেখা হয় নি।
-ও।আচ্ছা তোমার মুখ দেখে মনে
হচ্ছে তুমি আমাকে কিছু বলতে চাও। কি
বলবা বল।
ধরা খেয়ে সাবিহা চুপসে গেছে আমতা
আমতা করতে করতে বলল-আপনি
আসলে……….
-আমি এখানে আসছি ভাইয়ার ইনভাইটে আর
ওদেরও কথা দিয়েছিলাম, আর ওদের
জন্য কিছু গিফট ও ছিল।তাই ভাবলাম দেখা
করেই দেব।
আসলে মেহবুবের মনে যে অন্য
কথা তা আর প্রকাশ পেল না।
-আপনি বোধহয় বাচ্চাদের অনেক
পছন্দ করেন?
-হ্যা খুব।
-হুম
-আচ্ছা তুমি সেদিন হসপিটালে আমাকে
দেখে ভূত দেখার মত চমকে উঠলা
যে?
-আসলে আপনি যে ওভাবে আসবেন
আমি বুঝি নি। হঠা ৎ দেখেছিলাম তো।
-হাহাহা। কেন এর আগে এরকম কেউ
করে নি?
মেহবুব যে মনে মনে কি জানতে
চাইছে তা ও ঠিকই বুঝতে পারছিল। তাই
ইচ্ছে করে ঘুরিয়ে বলল -হ্যা
করেছে। এরপরে যে আরেকটা
প্রশ্ন আসবে তা ও ঠিকই জানত এবং
মেহবুব করলও -কে????
-আমার আব্বু আম্মু আর বোন।মাঝে
মাঝে হোস্টেলে এসে চমকে দিত।
এখনও দেয়।
উওর শুনে মেহবুব হাহাহা করে হাসতে
লাগল।পরে জানতে চাইল ও কেন
হাসছে উওরে মেহবুব কিছুই বলল না।
সাবিহা বলল-আমি তো আপনাকে ওভাবে
চলে যেতে দেখে ভাবলাম মাথায়
আঘাতের ফলে গন্ডোগোল দেখা
দিয়েছে।
-তাই তাহলে তো বলতে হবে এটা
আমার না তোমার জন্য হইছে।
-বারে!!!কিভাবে আমার জন্য?
-কেন ভুলে গেছো আমার ডা. কিন্তু
তুমি ছিলা?
-হ্যা এখন তো আমারই দোষ।
-সবই তোমারি দোষ। তোমার উপর
রেগে ছিলাম বলে উলটা পালটা গাড়ি
চালিয়েছিলাম আবার এখন পাগলও হলাম
তোমার জন্য।
এভাবে হঠাৎ করে সেই তিক্ত
অভিজ্ঞতাগুলো মেহবুব মনে করিয়ে
দেওয়ায় সাবিহার মন খুব খারাপ হয়ে
গেল। ও অন্য দিকে তাকিয়ে ছিল।
মেহবুব ওকে অন্য দিকে তাকিয়ে
থাকতে দেখে বুঝছিল যে ও ভুল
করে ফেলছে অন্তত আজ উচিৎ হয় নি
ওকে ওসব কথাগুলো বলা দোষটা তো
মেহবুবেরই।ও ওকে বলল,
-সরি সাবিহা আমি ওসব ভেবে বলি নি
আসলে এখন পর্যন্ত যাই হোক না
কেন সব কিছুর জন্য আমি দায়ি।
-না আপনি না আমার ভাগ্য দায়ি।
এরই মধ্যে ওরা সাবিহার বাসার সামনে চলে
এল।
-আমি আসছি,আপনি সাবধানে যাবেন–
বলে সাবিহা আর কোন কথা না বলেই,
পিছনে আর না ফিরেই গেটের ভিতর
ঢুকে গেল।
সেদিন ওর চোখে ছিল পানি সেটা
কোন ভাবেই ও মেহবুবকে দেখাতে
চাইছিল না। আর পিছনে রইল মেহবুবের
বুকে হাহাকার।
……….
_________চলবে___________