13+14 eksathe
অসুস্থ_ভালোবাসা
লেখিকা: তিয়ানা তিথি
পার্ট_13
.
অয়ন আস্তে আস্তে তিথির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর তিথি ভয়ে বিছানার একপাশে গুটিশুটি মেরে বসে আছে আর একটু পর পর অয়নের দিকে চোখ তুলে তাঁকাচ্ছে। তিথির মনে হচ্ছে এখনি বুঝি তার আত্মা দেহ ত্যাগ করবে…
অয়ন তিথির খুব কাছে চলে এসেছে তিথি একবার দেখেই কিছুটা শব্দ করে কেঁদে দিলো। অয়ন মূহুর্তেই তিথিকে হ্যাঁচকা টান দিয়ে দাঁড়া করালো শক্ত করে হাত ধরে দাঁতে দাঁত চেপে খুব চাপা গলায় বলল…
“” কাঁদছো কেনো?????
তিথি কাঁদতে কাঁদতে বলল…
“” আপনাকে খুব ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে।
অয়নের রাগ যেনো আরো বেরে গেলো। চিৎকার করে বলল…
“” চুপ করো তোমার এই ন্যাকামি কান্না আমার সহ্য হচ্ছে না।
তিথি অয়নের দিকে তাঁকিয়ে এতটাই ভয় পেলো যে কান্না নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে গেলো গলা দিয়ে আর কোনো শব্দ বের হচ্ছে না চোখ দিয়ে পানি পরছে না। অয়ন এবার স্বাভাবিক গলায় বলতে শুরু করলো..
“” আমি এই দুদিন পাগলের মত কল করেছি রিসিভড করলে না কেনো??? সেদিন কল কাটার পর থেকে তোমাকে কল করেই যাচ্ছি করেই যাচ্ছি তোমার কি একবারো ইচ্ছে করলো না একবার রিসিভড করি। আমাকে কি তোমার মানুষ বলে মনে হয়না?????
তিথি চুপ করে আছে অয়নের মেজাজ যেনো তাতে আরো বেশি খারাপ হচ্ছে। এইবার খুব জোরে চিৎকার করে বলে উঠলো….
“” কি হলো কথা বলছো না কেনো?
তিথি ভয়ে আঁতকে উঠলো। কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না এই দুদিন ইচ্ছে করে একটা কল ও রিসিভড করেনি অয়নের। আস্তে করে বলল….
“” আ..আ…আমি ই..ই..ই…চ…
“” ইচ্ছে করে ধরোনি তাই তো????
অয়ন রাগে তিথিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো। তিথি তাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পরে গেলো। তিথির সামনে অয়ন হাটু মুরে বসে তিথির হাত চেপে ধরে আবার জিঙ্গাসা করলো….
“” এই বিয়ে মানো না??? আবার বিয়ে করবে???
একটু থামলো তারপর তিথিকে আস্তে করে ধরে বিছানায় বসালো অয়ন হাটুগেরে তিথির সামনে বসে তিথির দুই হাত ধরে শান্ত গলায় বলল…
“” তুমি কেনো এমন করছো জান?? আমি তোমাকে পাগলের মত ভালোবাসি তুমি সেইটা বুঝার চেষ্টা করো। আমার মত করে তোমাকে আর কেউ ভালোবাসতে পারবে না। তুমি প্লিজ এমন করো না জান। তুমি ছারা আমার জীবনে সব অর্থহীন। আমাদের বিয়েটা সব নিয়ম মেনে হয়েছে। আমরা এখন পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
কথা গুলো বলতে বলতে অয়নের গলা ধরে আসছিলো মনে হচ্ছে এখনি কেঁদে দিবে কিন্তু তিথির এইসবের কিছুতেই মন দিলো না। তিথি শুধু ভাবছে এই লোকটা না তাকে আজ মেরেই ফেলে।
“” তিথি তুমি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো না?????
তিথি ভয়ে ভয়ে বলল….
“” আমি আপনাকে হাজবেন্ড হিসেবে মানিনা। প্লিজ আমাকে যেতে দিন।
অয়ন তিথির মুখের দিকে তাঁকালো ওই চোখে মুখে শুধু ভয়ের ছাপ কিন্তু কেনো?? তিথি কি একটুও অয়নের চোখে তাঁকিয়ে দেখতে পারেনা ওই চোখে তিথির জন্য কতটা ভালোবাসা। একটু খানি ভালোবাসা পাওয়ার জন্য অয়ন ছটফট করছে পাগল হয়ে যাচ্ছে। কেনো তিথি বুঝতে চায় না অয়ন তার ভালোবাসার মানুষটাকে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। আজ তিথিকে মন ভরে ভালোবাসবে অয়ন। তিথিকে বেধে রাখবে তার ভালোবাসার বাধনে ভাবতে ভাবতেই অয়ন তিথির দুই গালে হালকা ভাবে ধরে বলল…
“” আজ আমি তোমাকে খুব ভালোবাসতে চাই তিথি। আমি তোমাকে আমার ভালোবাসায় বেধে রাখতে চাই। আমার হৃদয় নিঙ্গরানো ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে সিক্ত করতে চাই। আমি এইভাবে আর পারছি না আমি তোমাকে খুব কাছে পেতে চাই তিথি…
অয়ন তিথিকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে। খুব যত্ন সহকারে শুইয়ে দিয়ে অয়ন তিথির খুব কাছে গেলো একবার চোখে চোখ রাখলো তারপর মনে মনে বলল আজকের পর তুমি আর আমাকে দুড়ে সরিয়ে রাখতে পারবে না। অয়ন তিথির দুগাল ধরে ঠোটে ঠোট রেখে গভীর চুমু খেতে লাগলো। অয়ন যেনো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে তিথির মাঝে। তিথির নেশায় মাতাল হয়ে যাচ্ছে অয়নের নিশ্বাস দ্রুত গতিতে বেরে চলল অয়ন তিথির কপালে, চোখে, গালে, ঠোটের স্পর্শ দিতে লাগলো। অয়ন যেনো অজানা সুখের সন্ধানে মেতে উঠছে গলায় ঘারে পাগলের মত চুমু খেতে লাগলো।
অয়ন তিথির দুহাত চেপে ধরতেই ভয় পেয়ে গেলো তিথি কোনো রেসপন্স করছে না। অয়ন হালকা মাথা তুলে তিথির দিকে তাঁকালো গালে আলতো করে ধাক্কা দিলো বুঝতে পারলো সেন্সলেস হয়ে গেছে তিথি। সাথে সাথে অয়ন নিজেকে সামলে নিয়ে উঠে বসে গ্লাসের পানিটা নিয়ে কয়েকবার চোখে মুখে দিতেই তিথি আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাঁকালো। অয়ন তিথির মাথাটা হালকা করে তুলে পানি খাওয়ালো। তিথি ওইভাবেই শোয়া অবস্থায় পরে রইলো অয়ন তিথির পাশেই দুহাতে মাথা চেপে ধরে বসে রইলো।
.
অতিরিক্ত ভয়ে কান্নাকাটির ফলে তিথি সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলো। অয়ন উঠে দাঁড়ালো….
“” চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি।
“”( চুপ)
“” আজকের পর আর আমি কোনো কিছুতে জোর করব না তোমাকে। তুমি নিজের মত থাকো। চলো তোমাকে তোমার বাসায় দিয়ে আসি।
তিথি আস্তে আস্তে উঠে বসলো। ওরনা ঠিক করতে করতে উঠে দাঁড়ালো। অয়ন আর তিথির দিকে না তাঁকিয়ে বেড়িয়ে গেলো। তিথিও অয়নের পিছু পিছু চলল।
.
সেদিন রাতেই তিথি বাবার রুমের সামনে এসে দাঁড়ালো। খুব শান্ত গলায় বলল…..
“” আসবো আব্বু??
“” হে মা আয়।
“” আব্বু আমি বিয়েতে রাজি। তুমি যেই ছেলের কথা বলেছিলে আমি তাকেই বিয়ে করবো।
“” ভেবে বলছিস তো???
“” হ্যাঁ আব্বু।
তিথির মা রুমে ঢুকতেই শুনতে পেলো কথাগুলো। এসেই তিথিকে জরিয়ে ধরে বলল..
“” আমি জানতাম তুই ঠিক বিয়েতে রাজি হবি।
তিথি একটু হেসে নিজের রুমে ফিরে এলো। আজকে তিথির খুশির দিন একবার বিয়েটা হয়ে গেলেই ব্যাস তাহলে তিথি ওই সন্ত্রাসী অয়নের হাত থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু অয়ন যদি ওর বিয়ের কথা জানতে পারে ভেবেই ভয় হলো খুব তারপর ভাবলো কিছু একটা প্ল্যান করতেই হবে যেনো অয়ন কিছুতেই বিয়েটা ভাঙ্গতে না পারে।
.
অয়ন বসে বসে ভাবছে আজ তিথি কীভাবে পারলো সেন্সলেস হয়ে যেতে একটুও অয়নের অনুভূতির কথা ভাবলো না। কিসব ভাবছে মেয়েটা আসলে এইটা নিতে পারেনি তাই সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলো। খুব রাগ হয়েছিলো তখন তিথির উপর অনেক কষ্টে সামলে নিয়ে তিথিকে বাড়িতে দিয়ে এসেছিলো। একবার ভেবেছিলো আর যেতে দিবেনা ওর কাছেই রেখে দিবে কিন্তু পরে কি ভেবে যেনো দিয়ে এসেছিলো। নাহ ভালো লাগছে না কোনো কিছুতে তিথির ভয়েসটা খুব শুনতে ইচ্ছে করছে। ভাবতে ভাবতেই মোবাইলটা হাতে নিলো অয়ন আর কোনো কিছু না ভেবে কল দিলো।
চলবে…………
অসুস্থ_ভালোবাসা
লেখিকা: তিয়ানা তিথি
পার্ট_14
.
ফোনটা সেই কখন থেকে বেজে চলেছে তিথি ফোনের স্ক্রীনের দিকেই তাঁকিয়ে আছে কিন্তু রিসিভড করবে না বলে যেনো শপথ নিয়েছে। আর ওই দিকে অয়ন একের পর এক কল দিয়েই চলেছে। তিথি খুব বিরক্তের সাথে কল টা রিসিভড করলো বাধ্য হয়ে….
“” এইভাবে কল দিয়ে আমার মোবাইলের চার্জ শেষ করছেন কেনো??(রেগে)
“” তোমার ভয়েসটা খুব শুনতে ইচ্ছে করছিলো।
“” শুনা হয়েছে????
“” হুমমম..
“” তাহলে আর দয়া করে ডিস্টার্ব করবেন না।
“” এখন কেমন আছো?
“” অনেক ভালো আছি।
“” হুম আমার থেকে দূরে থাকতে পারলেই তো তুমি ভালো থাকো।
“” এতো দিনে বুঝতে পেরেছেন তাহলে!!!
“” কি করছো?
“” ক্রিকেট খেলি।
“” এভাবে কথা বলছো কেনো তিথি?
“” এতো রাতে মানুষ কি করতে পারে?? নিশ্চই ঘুমায়?? তাহলে জেনেও এই আজব প্রশ্ন করলে কি বলব??
“” তুমি ঘুমাচ্ছিলে না তিথি।
“” (চুপ)
“” আচ্ছা শুনো…
“” কি…
“” খুব মিস করছি আমার বউটাকে।
তিথি মনে মনে হাসলো কে কার বউ তা কিছুদিন পরই বুঝা যাবে….হুহ।
“” তিথি I love you…..
“” এই এক কথা বলতে বলতে তো আমার কান ঝালাপালা করে দিলেন। আর কতো বার বলবেন?
“” আমার এই নিশ্বাস যতো দিন আছে ততোদিন আমি বলে যাব ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি…
“” দেখুন কদিন পর আমার এক্সাম প্লিজ আমাকে এইভাবে ডিস্টার্ব করবেন না।
“” এবার তো তোমার অনার্স শেষ তাইনা? শুনো তারপর কিন্তু তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো বলে রাখছি।
“” হি হি হি হি….
“” হাসছো কেনো? হাসির মত কি বললাম?
“” না এমনি ( কেনো হাসছি তা যদি জানতেন)
“” যে কারনেই হাসোনা কেন তোমার হাসি শুনতে পেলাম এইটাই আমার অনেক সৌভাগ্য।
“” (চুপ)
“” তোমার মতো তোমার হাসিটাও খুব সুন্দর। আমি আরেকবার তোমার প্রেমে পরে গেলাম।
“” (চুপ)
“” স্যরি তিথি…..
“” কেনো???
“” আজকের জন্য…. আমি আসলে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি তখন। রিয়েলি স্যরি তিথি।
“” আমি আর সেই কথা মনে করতে চাই না।
“” প্লিজ স্যরি। আমি তোমার অনুমতি ছারা কখনো কিছু করতে চাই না আমি তোমাকে ভালোবাসি।
“” আমি ঘুমাবো এখন।
“” ওকে গুড নাইট।
.
অয়ন সেদিনের পর থেকে তিথি কে আর সেইভাবে ডিস্টার্ব করেনি শুধু দূর থেকে দেখেছে। অয়ন চায়না তিথি ওরে ভুল বুঝুক। তাই একা ছেরে দিয়েছে চলুক নিজের মত। কিন্তু একবার এক্সামটা শেষ হলেই আর নিজের থেকে আলাদা থাকতে দেবেনা তিথিকে একবারের জন্য নিয়ে আসবে নিজের কাছে।
.
তিথি আজ খুব খুশি এক্সাম শেষ এখন থেকে আর অয়নের সাথে দেখা হবেনা। বিয়ের দিনও সামনে এগিয়ে আসছে আর কিছুদিনের মধ্যে তিথির বিয়ে হয়ে যাবে। বিয়ের আয়োজন রিতিমত শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু তিথি খুব ভয়ে আছে অয়ন যদি কোনো গোন্ডগোল করে বসে সন্ত্রাসী তো কোনো বিশ্বাস নেই।
.
আজ তিথি তৃন্নিকে নিয়ে একটু বেড়িয়েছে বিয়ের কিছু কেনাকাটা করার জন্য। অনেকটা লুকিয়েই বিয়েটা করছে তিথি নিজের ফ্রেন্ডদের কেউ বলেনি বিয়ের কথা। ওদের কে বললেই অয়ন জেনে যাবে তাই বলেনি। আজ তিথি ভাবছে এসেছেই যেহেতু নিজের পছন্দেই বিয়ের বেনারসিটা কিনে নিয়ে যাবে।
“” এই আপু দেখ এই শাড়িটা সুন্দর না??
“” দেখি দেখি…এ্যা বাবা লাল!!! না আমি বিয়েতে লাল শাড়ি পরবো না।
“” বিয়েতে তো সবাই লাল শাড়িই পরে!!!!
“” আমি লাল পরতে চাচ্ছিনা। অন্য কোনো কালার দেখ না আমি কিছুই চুজ করতে পারছি না!!
“” আপু তোরে নিয়ে আমার আসাই উচিত হয় নাই। দোকানের সব শাড়ি দেখে ফেলছি কোনোটাই তো তোর পছন্দ হচ্ছে না।
“” আরেকটু দেখনা বোন।
“” আচ্ছা আপু এইটা দেখ লাল পাড়ের সাদা শাড়ি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।
“” ওয়াও সত্যিই তো অনেক সুন্দর!!! ভাইয়া আপনি এইটা এতক্ষন লুকিয়ে রেখেছিলেন কেনো??? আচ্ছা তুই বস আমি একটু ট্রাই করে দেখি।
তিথি শাড়িটা নিয়ে যাচ্ছিলো আর তখনি কেউ একজন তিথির হাত ধরে টান দিয়ে আড়ালে নিয়ে এলো। চিৎকার করতে যাবে তখনি মুখ চেপে ধরলো…
“” এক্সাম শেষ হলো আজ দশ দিন। এই দশটা দিন তোমাকে আমি দেখিনা। জানো আমার মনের অবস্থা কি??? কোনো ধারণা আছে তোমার সেই বিষয়ে??? আমার মনের ভিতর কি চলছে সেইটা তুমি বুঝো??? কথা বলো না কেন????
অয়ন তিথির হাতের দিকে তাঁকালো বিয়ের শাড়ি। এইটা দেখে যেনো অয়নের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। এক হাত দিয়ে তিথির মুখ চেপে ধরে আছে আর এখন আরেক হাত দিয়ে তিথির হাত শক্ত করে চেপে ধরলো….
“” বিয়ের শাড়ি????? তুমি বিয়ে করছো আবার??? এতো সাহস পাও কীভাবে????? কিছু বলিনা বলে কি ভেবেছোটা কি যা খুশি তাই করবা???? কি হলো বলো না কেন???
তিথি চোখ দিয়ে ইশারা করলো অয়ন তার মুখ চেপে ধরে রেখেছে। অয়ন মুখ ছেরে দিলো কিন্তু হাত এখন ধরে রেখেছে। তিথি ভয়ে ভয়ে বলল…
“” এইটা আমার কাজিনের বিয়ের শাড়ি। আমাকে বলল পছন্দ করে কিনে আনতে। তাই….
“” আমাকে তুমি বোকা পাইছো???? তোমার কাজিনের বিয়ের শাড়ি তুমি নিজে টায়াল দিচ্ছো????
“” ও তো নাই তাই আমি ট্রাই করছি। সত্যি বলছি।
“” বুঝলাম…আমি যে কল দিচ্ছি তোমার মোবাইল বন্ধ পাই কেনো??
“” মোবাইল ছিনতাই হয়ে গেছে। আর আমার তো মোবাইল তেমন দরকার হয়না তাই এখনো কেনা হয়নি।
“” তুমি কি আমাকে পাগল করে দিতে চাইছো???
“” (চুপ)
“” আমাকে বিনা দোষে আর কত শাস্তি দিবা বলতে পারো? আমার অপরাধ কি? এতটা ভালোবাসি তোমাকে বুঝতেই চাও না।
অয়নের চোখ বেয়ে পানি পরছে তাতেও তিথির কিছু যায় আসে না। তিথি সিমটা ভেঙ্গে ফেলেছে যেনো অয়ন আর যোগাযোগ করতে না পারে। তিথি এখন শুধু অপেক্ষায় আছে কবে বিয়েটা হবে।
“” আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি তিথি। আমি পারবো না তোমাকে ছারা থাকতে। প্লিজ তুমি উল্টা পাল্টা কিছু করোনা আমি সহ্য করতে পারবো না।
“” আমাকে যেতে দিন। তৃন্নি একা বসে আছে।
অয়ন তিথিকে ছেরে দিলো । তিথি চলে যেতে নিলেই আবার তিথিকে টান দিয়ে জরিয়ে ধরলো অয়ন। এমন ভাবে জরিয়ে ধরেছে তিথির নিশ্বাস ছারতেও কষ্ট হচ্ছে। অয়ন তিথিকে জরিয়ে ধরে কেঁদে যাচ্ছে।
“” তিথি প্লিজ এমন কিছু করোনা যা আমি সহ্য করতে পারবোনা।
“” যেতে দিন প্লিজ।
অয়ন তিথিকে ছেরে দিতেই তিথি দৌড়ে চলে এসেই শাড়িটা নিয়ে চলে আসে। তৃন্নি জিঙ্গাসা করেছিলো এমন করছে কেনো তিথি। তিথি কিছুই বলল না তারাতারি বাসায় ফিরে বাবাকে রাজি করালো যেনো বিয়েটা গ্রামের বাড়িতে থেকে হয়। তিথির বাবা মেয়ে বলতে অজ্ঞান যখন যা বলছে তাই করছে। সবাই একটু অবাক হচ্ছে তিথির ব্যাবহারে কিন্তু কেউ কিছু বলছে না মেয়ে বিয়েতে রাজি হয়েছে এইটাই তাদের কাছে অনেক।
.
গ্রামে চলে এসেছে সব বিয়ের আয়োজন এখানেই হচ্ছে। কোনো অপশন রাখলো না অয়নের জন্য তিথি অয়ন চাইলেও আর তিথির সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। আর দুদিন পর বিয়ে।
চলবে………