অসুস্থ_ভালোবাসা
লেখিকা: তিয়ানা তিথি
পার্ট_4
.
“” তুমি তো কাল আমার সাথে কোনো কথা বললে না দৌড়ে পালিয়ে গেলে তাই বাধ্য হয়ে এখানে নিয়ে আসলাম।
“” ক…ক…কে……নো থ্যাংকস ব…বলার জ…জন্য?
“”(তিথির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল) না ভালোবাসি বলার জন্য…..
“” আ..আ..আ..আ..মি….বা…বা…সা
….য়….যাবো।
“” (তিথির একদম কাছে গিয়ে দুই গালে হাত রেখে অয়ন বলতে শুরু করলো) আমি তোমাকে ভালোবাসি তিথি তুমি কি সেইটা শুনতে পাওনি? যেদিন তুমি আমার এই জীবন বাঁচিয়েছো সেইদিন থেকে অয়ন শুধুমাত্র তোমার তিথি।
“” (আল্লাহ তুমি আমারে বাঁচাও এই সন্ত্রাসীটার হাত থেকে,আমি এখন কি করি?)
“” তিথি তুমি কিছু বলছোনা কেনো? (রেগে গিয়ে শক্ত করে তিথির হাতটা ধরে)
“” আউচ….(ব্যাঁথায় কুঁকিয়ে)
হাতটা ছেরে দিয়ে অয়ন উঠে দাঁড়ালো আর দেওয়ালের সাথে জোরে হাতটা মুঠিবদ্ধ করে বাড়ি দিলো। আমি কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না এখন মনে হচ্ছে সেদিন এই সন্ত্রাসীটাকে বাঁচিয়ে ভুল করেছি। তা না হলে আজ আমার লাইফে এই ঝড় আসতো না।উফফ হাতটা ব্যাঁথা করছে দেখছো কীভাবে ধরেছিলো আমায় পুরো লাল হয়ে গেছে শয়তান বদমাস একটা এখন মনে হচ্ছে…বলতে বলতেই অয়ন আবার আমার কাছে এসে দাঁড়ালো আমি ভয় পেয়ে একটু পিছনে সরে গেলাম।
“” তিথি যাও ওরা তোমাকে তোমার বাসায় পৌছে দিবে।(মাথা ঠান্ডা করে)
“” ( আমি কি করব বুঝতে পারলাম না গুটিশুটি মেরে বিছানাতেই বসে রইলাম মাথা নিঁচু করে)
“” আমার সামনে থেকে যাও। এরপর কিন্তু আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারবো না।( একটু চিৎকার করেই বলল কথাটা)
আমি অয়নের দিকে একবার তাঁকালাম কি ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে চোখ দুটো পুরো লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই আমাকে গিলে খাবে রাক্ষস একটা। আমি আর দেরি করলাম না তারাতারি বিছানা থেকে নেমে যেই চলে যেতে নিব তখনি অয়ন আমার হাত টান দিয়ে ওর কাছে টেনে নিলো। অয়নের দিকে তাঁকাতেই বলল।
“” তিথি তুমি শুধু আমার কথাটা যেনো মনে থাকে।
“” ছারুন বলছি আমাকে।
“” তুমি এইভাবে আমার দিকে তাঁকালে তো আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা কি করবো বলো।
বলেই আমার কাছে আসতে লাগলো। না না আর কাছে আসতে দেওয়া যাবেনা তাহলে আজ আমার সব শেষ। আর রিস্ক নেওয়া যাবেনা তাই শরীরের সব শক্তি দিয়ে ওরে ধাক্কা দিয়ে চলে আসলাম। বাহিরে এসে হাঁপাতে লাগলাম জোরে নিশ্বাস নিচ্ছি। হায় আল্লাহ তোমাকে অনেক ধন্যবাদ তুমি আজ আমাকে জোর বাঁচা বাঁচিয়ে দিলে।ঘার ঘুরিয়ে একবার পিছু তাঁকালাম এ বাবা সন্ত্রাসীটা আমার দিকে তাঁকিয়ে কীভাবে অসভ্যের মতো হাসছে দেখো আর এক মূহুর্ত দাঁড়ালাম না। ছুটে গাড়ির সামনে চলে এলাম। যেই লোকটা সেদিন হাসপাতালে ছুরি দিয়ে ডাক্তারকে ভয় দেখাচ্ছিলো সেই লোকটা আমার সামনে আসলো..
“” ভাবি আমাকে চিনতে পারছেন? আমি ভাইয়ের সব থেকে কাছের। আমার নাম জনি ভাবি। চলেন আপনাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসি।
বলেই জনি গাড়ির দড়জা খুলে দিলো আমি আর কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলাম।রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে ইসস্ বলে কিনা ভাবি। মন চাচ্ছে বলি ওই আমি তোর কোন জন্মের ভাবি ছিলাম রে।হঠাৎ গাড়িটা থেমে গেলো। কি হলো জিঙ্গাসা করতেই জনি বলল যে চলে এসেছি। উফফ আল্লাহ!!আমি যেনো আমার জীবন ফিরে পেলাম তারাতারি করে গাড়ি থেকে নেমে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় ঢুকতেই আম্মু জিঙ্গাসা করলো যে এতো দেরি হলো কেনো আমি কিছু বললাম না রুমে চলে এলাম।
.
বসে আছি বেলকনিতে ঘুম আসছেনা। কিছুতেই আজকের ঘটে যাওয়া ঘটনা ভুলতে পারছিনা। কি নাম যেনো বলল ও হে মনে পরেছে অয়ন। ছেলেটা কে প্রথম দেখায়ই অনেক ভালো লেগেছিলো। যে কোনো মেয়ে দেখলেই প্রেমে পরে যাবে আমার বিশ্বাস। প্রেমে পরারই কথা মাশাআল্লাহ ছেলেটা খুবই সুন্দর। লম্বা তো সেই ৬ ফুটের উপরে ছারা নিচে তো হবেই না।আমি যে ৫ ফুট ৪ ইন্চি লম্বা তাতেও আমি তার বুক সমান ছিলাম,শক্ত সুঠাম দেহ মনে হয় নিয়মিত জিম করে। জোরা ভ্রুঁ,ফর্সা,চেহারাটা একটু লম্বা টাইপের ঠোট টার কথা কি বলব মনে হচ্ছিলো কোনো বাচ্চা ছেলের ঠোট,চুল গুলো সিল্কি সব মিলিয়ে পুরা হিরো একদম সালমান খানের মতো দেখতে। যদি সন্ত্রাসী না হতো তাহলে আমি নিশ্চই প্রেমে পরে যেতাম কিন্তু না এখন তো প্রশ্নেই আসেনা প্রেমে পরার লম্পট একটা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো।আজ তো একটু হলে আমার সব লুঠ করে নিচ্ছিলো। আমি তার প্রেমে পরবো কি দেখলেই আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে কাঁপতে থাকে।
“” আপু তুই ঘুমাবি না।(তৃন্নি)
“” হু…তুই যা আমি আসছি।
“” আপু তোর কি কিছু হয়েছে?
“” (একটু হেসে বললাম)কি হবে আবার? এমনি রাতের অন্ধকার দেখছিলাম। সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছে?
“” হুমমম…তুমিই শুধু জেগে আছো চলো তো।
আমার হাত টেনে নিয়ে গেলো। আমি ও ঘুমোতে চলে গেলাম এতো ভেবে লাভ নেই যা হবার তা হবে। আমি এখন থেকে খুব কেয়ারফুল থাকবো। কি করবে টা কি ওই সন্ত্রাসী আমার..হু?এরপর আমাকে কিছু বললে ডিরেক্ট থানায় গিয়ে ওর বিরুদ্ধে মামলা করে দিব। আমি আর একটুও ভয় পাবোনা…হুমম।
.
ভার্সিটিতে…….
ক্যান্টিনে বসে কফি খাচ্ছি আর গল্প করছি একটু পর খেয়াল করলাম আমি আসাতে ছেলে গুলো সব উঠে চলে যাচ্ছে।কি ব্যাপার কি হলো আজিব। হঠাৎ আশিক আসলো আমাকে দেখেই চলে যেতে লাগলো আমি ডাক দিলাম কিন্তু না শোনার ভান করে চলে গেলো।
“” কিরে অথৈ আশিক চলে গেলো কেনো? ও না এই সময় আমাদের সাথে বসে আড্ডা দেয়?
“” তোরে দেখে সবাই লজ্জা পাইছে তাই সবাই চলে গেলো দেখলি না।
বলেই হাসতে শুরু করে দিলো…মন চাচ্ছে দেই একটা থাপ্পর।
“” ওয়েট ওয়েট না ব্যাপারটা খুব ভাবাচ্ছে। এই তিথি কিছু কি হয়েছে? (শায়লা)
“” কই কিছুই তো হয় নাই।
“” তাহলে ওরা এমন আচারণ কেনো করছে!! আচ্ছা বাদ দে ভালো কথা তোকে কাল গাড়িতে কে তুলে নিয়ে গেলোরে?(শায়লা)
ইসস্ এখন আমি ওদের কি বলব ওদের কে তো বলা যাবেনা যে আমি এক সন্ত্রাসীর পাল্লায় পরেছি।
“” কিরে কি ভাবছিস। তারমানে তিথি তুই ও!!(অথৈ)
“” আরে দোস্ত কি যে বলিস তোরা তো জানিস আমি প্রেমের ধারে কাছেও নেই। একদম বিয়ের পর হাজবেন্ডের সাথে চুটিয়ে প্রেম করবো।
“” তিথি আমি কিন্তু এখনো আমার উত্তর পেলাম না।
“” ও আমার এক কাজিন নিতে আসছিলো।(এড়িয়ে গেলাম)
“” ওহহহ্..
“” আচ্ছা আমি এখন উঠিরে বাসায় যেতে হবে বাই ।
আর বসলাম না শায়লা যে কথাটা বিশ্বাস করেনি ওর চোখ দেখেই বুঝতে পেরেছি। ক্যান্টিন থেকে বের হতেই দেখি অয়ন। তারাতারি ক্যান্টিনে যাওয়ার জন্য ব্যাক করলাম না এর সামনে পরা যাবেনা। কিন্তু তার ডাকেই থমকে দাড়াঁলাম।
“” তিথি এখান থেকে চলে গেলে কিন্তু আমার থেকে খারাপ আর কেউই হবেনা।
এক পা এক পা করে সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম মাথা নিঁচু করে। আর মনে মনে বলছি আল্লাহ বাঁচাও আমারে এই সন্ত্রাসীটার হাত থেকে।
“” কেমন আছো?
“” (চুপ)….
“” তুমি আমাকে ভয় কেনো পাও?
“” সন্ত্রাসীকে ভয় সবাই পায়।
সাহসের সাথে বলে ফেললাম। কিন্তু এইটা আমি কি করলাম নিজেই নিজের মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরলাম আল্লহ তুমি আমারে রক্ষা করো। ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছি। হাসির শব্দে চোখ খুললাম এইটা কি হলো সন্ত্রাসীটা আমার দিকে তাঁকিয়ে হাসছে। মাশাআল্লাহ হাসি টাও অনেক সুন্দর। না তিথি একদম এই সন্ত্রাসীটার হাসির প্রেমে পরা যাবেনা।
“” আমি সন্ত্রাসী???
“” (চুপ)
“” তাহলে তুমি সন্ত্রাসীর বউ।
বলেই আবার হাসতে শুরু করলো। কি বলল আমি সন্ত্রাসীর বউ ইসস এতোটা দুর্ভাগ্য এখনো হয়নি যে সন্ত্রাসীর বউ হতে হবে। দেখো কিরকম নির্লজ্জ এখনো হেসেই চলেছে। তবে আজকে তাকে আরো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে কেউ বলবেই না যে সে একজন সন্ত্রাসী।
আমার কানের কাছে মুখ এনে বলল
“” এভাবে তাঁকিয়ে থেকো না নজর লেগে যাবে আমার ।
ইসসস্ কি লজ্জ কি লজ্জা তারমানে আমি এতক্ষন তার দিকে তাঁকিয়ে ছিলাম। সন্ত্রাসীটা নিশ্চই ভাবছে আমি তাকে দেখে তার প্রেমে পরে গিয়েছি। ইসস উনি সুন্দর হলে আমি কম কীসে আমি যথেষ্ট সুন্দরি লম্বায় ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি,গায়ের রং উজ্বল শ্যামবর্ণ দেখতে অনেক বেশি কিউট সব ছেলেরা আমার জন্য পাগল…হুহ।
“” তুমিও অনেক সুন্দরি ভেবো না।
এইটা কি হলো আমার মনের কথা সে জানলো কীভাবে। জাদু জানে নাকি আবার!!!!!
“” আমি সুন্দরি সেইটা আমি জানি। আর আপনাকে আমি কেনো দেখবো আপনি মোটেও দেখতে সুন্দর না রাগি,বদমেজাজি,গম্ভির,লম্পট,সন্
ত্রাসী একটা।
“” (আমার দিকে এগোচ্ছে আর বলছে) আমি লম্পট? আমি বদমেজাজি? আমি সন্ত্রাসী?
তিথিরে তুই অনেক বলে ফেলেছিস মানসম্মান বাঁচাতে চাইলে পালিয়ে যা তারাতারি তা না হলে যে আজ তোর কি হবে তা তুই নিজেও জানিসনা।আর কোনো কিছু না ভেবে দিলাম একটা দৌড়। সন্ত্রাসীটা আমাকে একটু চিৎকার করেই বলল…
“” তিথি আজকে পালিয়ে গিয়ে বেঁচে গেলে।
কে শুনে কার কথা আমি আর নেই। বাসায় চলে আসলাম। দুদিন আর ভার্সিটিতেই যাবোনা ঠিক করলাম।
“” এই আপু আব্বু তোকে ডাকছে।(তানিম)
“” কেনো?
“” জানিনা বলল তোকে একটু ডেকে দিতে।
আব্বু আবার কেনো ডাকছে কিছু কি জেনে গেলো? ধ্যাৎ আমার মাথাটা পুরো গেছে আব্বু এইসব জানবে কীভাবে ভাবতে ভাবতে আব্বুর রুমে গেলাম।
“” আব্বু তুমি আমাকে ডেকেছো?
“” হ্যাঁ তোর জন্য একটা সম্বন্ধো এসেছে।
“” আব্বু আবার তোমাকে না বলেছি লেখাপড়াটা শেষ করি তারপর এইসব নিয়ে ভাবা যাবে।
“” কিন্তু ছেলেটা খুবই ভালো ।
“” কোনো কিন্তু না।আমি তোমাকে নিজে থেকে জানাবো বিয়ের সময় হলে এখন প্লিজ এইসব বাদ দাও।
“” মেয়ে বলল অমনি তুমি চুপ হয়ে গেলে। মেয়ের যে বয়স দিন দিন বারছে সে খেয়াল নেই।(আম্মু)
“” মা তুমি প্লিজ আর আব্বুকে কানপোড়া দিওনা।
“” শুনেছো মেয়ের কথা সব তোমার কারনে হয়েছে মেয়েকে আহ্লাদ দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলেছো।
“” আহহ্ তনিমা থামো তো। তিথি মা যা তুই তোর ঘরে যা।(আব্বু)
আমি আব্বুকে জরিয়ে ধরে কপালে একটু আদর দিয়ে রুমে চলে আসলাম আর আম্মু আব্বুর সাথে রাগারাগি শুরু করে দিলো। দুজনের দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া সবসময়ই চলে দেখতে ভালোই লাগে। দুদিন হলো ভার্সিটি যাই না আজ যাচ্ছি জানি না আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।
.
“” এই তিথি জানিস সব ছেলেরা তোকে দেখলে পালিয়ে বেড়ায় কেনো?(অথৈ)
“” কেনো?
“” সেদিন যেই হ্যান্ডসাম ছেলেটা কথা বলছিলো সেই ছেলেটা নাকি সব ছেলেদের বলেছে তোর থেকে দূরে দূরে থাকতে।
“” কিহহহহ্????????
“” কি রোমান্টিক ব্যাপারটা তাইনা? উফফ আমার তো ভাবতেই ভালো লাগছে। আর ছেলেটা কি জোশ ইসস্ তোর জায়গায় যদি আমি থাকতাম।
“” আমার জায়গায় তুই থাকবি মানে!!!!!!!
“” কিরে হিংসা হচ্ছে?
“” আমার কেনো হিংসা হবে? আমি অয়নকে ঘৃণা করি। আর আজকে পেয়েনি ওর একদিন কি আমার একদিন কি ভেবেছেটা কি ভয় পাই বলে যা খুশি তা করবে।
বলেই ক্যাম্পাসে খুঁজতে লাগলাম আর অথৈ আমার পিছু পিছু ছুটছে আর থামতে বলছে। ওইতো অয়ন গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর ওর চ্যালারা ওর সাথেই আছে। আশেপাশে তাঁকাতেই দেখলাম ওর দিকে সব মেয়েরা তাঁকিয়ে আছে ইসস্ জীবনে মনে হয় এতো সুন্দর ছেলে দেখে নাই চোখ দিয়েই ওরে গিলে খাবে। রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম।
“” আপনি কি শুরু করেছেনটা কি আপনাকে ভয় পাই বলে যা খুশি তা করবেন । সব সহ্যের একটা সীমা থাকা উচিত। আপনি আমার মানসম্মান নিয়ে এভাবে খেলতে পারেন না। আপনার মতো সন্ত্রাসীকে আমি ভালোবাসব আপনাকে কে বলল। তাই বলছি আমার থেকে দূরে থাকুন।
“” তোমাকে ভালোবাসতে তো বলিনি। আর আমি যা করেছি ঠিক করেছি তোমার আশেপাশে কোনো ছেলেকে যেনো আমি না দেখি মনে থাকে যেনো কথাটা।(রেগে গিয়ে)
“” আমার চারপাশে হাজারটা ছেলে থাকবে। সব ছেলের সাথে আমি প্রেম করব আপনি কি করবেন কি……
কথা শেষ না হতেই এইটা কি করলো আমি এখন ভার্সিটিতে মুখ দেখাবো কীভাবে?
চলবে…….