অ্যারেঞ্জ_ম্যারেজ
অবন্তিকা_তৃপ্তি
শুভ্র খাবারের একফাঁকে খোপ করে তুলির হাত ধরে নেয়। থমকে যায় তুলি। আড়চোখে শুভ্রর দিকে চেয়ে, টেবিলে বসে থাকা সবার দিকে চোখ ঘুরায়। সবাই খেতে মগ্ন। তুলি সবার অগোচরে ডান হাতে শুভ্রর হাতে থাপ্পড় বসায়, ফিসফিসিয়ে বলে,
‘কী হচ্ছে কী? স্যার হয়ে ছাত্রীকে ইভটিজিং করা হচ্ছে?’
শুভ্র দুষ্টু হেসে বললো,
‘হু, বাকি ইভটিজিং রুমে চলো,এস দেখিয়ে দিচ্ছি। প্লিজ গিভ মি অ্যা চান্স মিস ছাত্রী।’
শুভ্র শেষের কথাটা বেশ করুণ গলায় বললো। তুলি আরও দু কথা বলবে তার আগেই আফরোজা খেতে খেতে বললেন,
‘তুলি, খাবার ঠান্ডা হচ্ছে। ক্ষুধা নেই আজ তোর?’
তুলি সোজা হয়ে বসল। তাৎক্ষনিক বলল,
‘হ্যা আম্মু খাচ্ছি তো।’
পাশ থেকে শুভ্র বললো,
‘আম্মু বুঝতে পারছে না আসলে, তার ছেলের বউর আপাতত কী খেতে মন চাইছে? আমি হেল্প করবো?’
তুলি চোখ রাঙাল। সকাল থেকে এই ছেলেটা তাকে জালিয়েই যাচ্ছে। মূলত তার হয়েছেটা কী? শুভ্র ভদ্র ছেলের ন্যায় খেতে মশগুল। তুলি শুভ্রর দিকে চেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। কে জানে, এই শুভ্র মশাই মোটেও শুভ্র অর্থাৎ ভালো না। বরং নেহাতই অসভ্য পুরুষ। ইস তুলি যদি মানুষটার অসভ্যতা সবাইকে জানাতে পারত। একদম টাই টাই ফুশ হয়ে যেত।
শুভ্র এখন তুলির হাত চেপে ধরে আছে। তুলি ভালো করে খেতেও পারছে না। সারাদিন পর খেতে বসেছে, শুরু হয়েছে তার অসভ্যতা। তুলি বললো,
‘মশাই, এসব ছোয়াছুঁই আমরা রুমে গিয়ে করি? হু?’
শুভ্র আবার দুষ্ট হাসলো। তুলির দিকে চেয়ে ফিসফিস করে বললো,
‘ক্রিকেট টিম বানাবে বললে, তাহলে তো এভ্রি টাইম ছোয়াছোঁয়ি ইজ মাস্ট, মিসেস শুভ্র!আম ট্রায়িং মই বেস্ট টু মেইক অ্যা বেস্ট ক্রিকেট টিম, ইউ নো?’
শুভ্র চোখ টিপলো। তুলি হা হয়ে শুভ্রর দিকে তাকাল। কবেকার কথা নিয়ে এখন টিজ করছে? তুলি জোর করে নিজের হাত শুভ্রর থেকে ছাড়িয়ে নিলো। তারপর বললো,
‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়, মিসেস শুভ্র সম্পূর্ণভাবে এই রুলসে বিশ্বাসি, মিস্টার শুভ্র মশাই! ‘
পরবর্তী পর্ব সবার আগে পেতে নীল লেখায় চাপ দিয়ে আমার পেজটি ফলো করুন 👉 ব্যর্থ প্রেমের গল্প 👈
আসবে, সামনে কোন এক পর্বে। তবে আগামী পর্বে নয়। শুভ্র কেমন রোমান্টিক হবু, আইডিয়া হচ্ছে? পড়তে থাকুন! আমার পেজে সুন্দর সুন্দর গল্প পোষ্ট করা হয় সবাই পড়ুন।আমি গেলাম, বাই❤️
Next part please