আঁধারে ঢাকা ভোর পর্ব-১০

0
1654

#আঁধারে_ঢাকা_ভোর
#দশ
প্রজ্ঞা জামান দৃঢ়তা
আভার ডিভোর্সের খবর গ্রামে বাতাসের চেয়েও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে গেল। অনেকে বাড়ি বয়ে এসে সান্ত্বনা দেয়ার নামে খোঁচা দিয়ে গেলেন।

তাদের ভাষ্যমতে একে তো কালো আবার ডিভোর্সি এখন সমাজের মানুষ ছিঃছিঃ দেবে। তাছাড়া এমন মেয়েকে কে বিয়ে করতে আসবে। প্রথম কয়েকদিন কোনোরকম চলে গেলেও

রেহেনা বেগম সবাইকে বলে বেড়ালেন ছেলে পক্ষের কোনো দোষ নেই। মেয়ের তেজ বেশি তাই বড়লোকদের ঘরের ভাত খেতে পারেনি।

কথাগুলো অনিক শফিক সাহেবকে জানালে। তিনি কয়েকদিন দোকানে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। তিনি বাড়িতে থাকলে কেউ সাহস পায় না আসার। কিন্তু এভাবে কতদিন চলে? তাকে বাধ্য হয়ে দোকানে যেতেই হয়। আভাও তাকে আস্বস্ত করে সে মানুষের কথায় কর্নপাত করে না। এমন একটা বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবেই।

মুশকিল হলো রেহেনা বেগমের ব্যবহার দিনদিন খুব খারাপ হতে লাগল, তার সাথে নাফিজা তো আছেই। বাড়ির সব কাজ করার পরও মায়ের মন পায় না। সে নিজের ভাগ্য বলে সব মেনে নেয়। বাবাকে কিছুই বলে না। এমনিতেই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকে তাই নতুন করে বাড়ানোর কোনো কারণ সে দেখে না। যেহেতু পরীক্ষা শেষ তাই তার কাজ করতে তার কোনো সমস্যাও হয় না।

দিন যেতে যেতেই সে খেয়াল করল মানুষের কটুক্তিতে তার একটুও খারাপ লাগছে না। বরং করুণা হয় এসব সমালোচকদের জন্য, যারা অপ্রয়োজনে নিজের সময় নষ্ট করে অন্যের চর্চা করে। আজকাল বাড়ির বাইরে গেলেও যখন কেউ এসব নিয়ে কথা বলে তখন সে খুব সুন্দর করে হেসে পাশ কাটিয়ে চলে আসে। সারাদিন শেষে অপেক্ষা করে কখন রাত হবে, কারণ রাতের বেলা বাবা ও অনিকের সাথে গল্প করে ও উপন্যাস পড়তে খুব ভালো লাগে তার। অনিক সারাক্ষণ আপুনি, আপুনি করে, এতে অবশ্য রেহেনা বেগমের খুব কথা শোনান ওদের। অনিক মায়ের সাথে এই নিয়ে লাগতে গেলে আভা তখন বলে,

“মা তো বকতেই পারেন, তাই বলে কী মায়ের উপর রাগ করতে আছে?”

তখন ভাই বোনকে জড়িয়ে ধরে বলে, “তুমি একদম আলাদা আপুনি, সবচেয়ে ভালো।”

সে জানে না এই কথাটিতে কী আছে, তারপরও একফাঁলি সুখ তার মনের একোণ-সেকোণ সূর্যের কিরণের মতো উঁকি দেয়, এত এত বঞ্চনার মাঝে এই সুখ টুকু যে তাকে শান্তি দেয়।

★★★

দেখতে দেখতে আভার পরীক্ষার ফলাফলের দিন চলে এলো। প্রতিদিনের কাজ শেষ করে এসে নিজেকে ঘরবন্দী করে ফেলে। যদি ফলাফল ভালো না হয় তবে এখানেই তার সব স্বপ্নকে মাটি চাপা দিতে হবে।

শফিক সাহেবের বিশ্বাস আভা চান্স পাবেই। তিনি বসে আছেন কম্পিউটার দোকানে আজ সার্ভারে খুব সমস্যা করছে তাই ফলাফল পেতে সময় লেগে যাচ্ছে। ওদিকে উনার মেয়ে যে চিন্তায় কাহিল হয়ে পড়েছে সে তিনি জানেন। তাই তিনি নিজেই অস্বস্তিতে কাঁটা হয়ে আছেন মেয়ের জন্য। মেয়েকে কখন সুখবর দিবেন সেই চিন্তায় আছেন। অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল কম্পিউটার স্ক্রিনে ভেসে ওঠেছে। অরনী আভা মেরিট লিস্টে জায়গা করে সরাসরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ার সুযোগ পেয়ে গেছে।

শফিক সাহেবের অজান্তেই চোখের কোল বেয়ে কয়েক ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়ল। কাঁপা কাঁপা হাতে কম্পিউটার স্ক্রিনটা ছুঁয়ে দেখলেন! অন্যরকম শান্তি পেলেন। একবার ভাবলেন আভাকে কল দিয়ে জানাবেন। আবার ভাবলেন না বেশি তো দূর নয়। মিনিট বিশেকের রাস্তা বাড়ি গিয়ে মুখে বলে মেয়েটার হাসি মাখা মুখখানা দেখতে চান। যেই ভাবনা সেই কাজ চলে গেলেন বাড়িতে। আভা তখনও ঘরের দরজা বন্ধ করে ঝিম মেরে বসে আছে। ফোনে ফলাফল দেখার চেষ্টা করে যাচ্ছে,কিন্তু নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না।

শফিক সাহেব বাড়ি এসেই উচ্চস্বরে ডাকলেন, “আভা? মা আভা? কই গেলি? এদিকে আয় মা শুনে যা কী খবর নিয়ে এসেছি তোর জন্য?”

বাবার গলার স্বর শুনে সে দরজা খুলে বেরিয়ে এলো। রেহেনা বেগমসহ পরিবারের সবাই আসলেন।

তিনি মেয়ের দুগালে হাত রেখে জড়ানো গলায় বললেন, “তুই চান্স পেয়েছিস মা, তুই আইন নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে গেছিস। তোর স্বপ্নের পথের একটা সিঁড়ি তুই সফলভাবে পার করেছিস।”

কথাগুলো বলার সময় তার চোখে জল অথচ ঠোঁটের কোণে প্রাপ্তির হাসি স্পষ্ট! কিন্তু কান্নার ধমকে তার কথাগুলো জড়িয়ে যাচ্ছে। উনার ষাট বছরের জীবনে এতটা খুশি কোনোদিন হননি। কখনো খুশিতে এমন করে কাঁদেননি। আভাও কাঁদছে। বাবা মেয়ের হাসি মিশ্রিত কান্না দেখে অনায়াসে বুঝা যায় এই দিনটির জন্য তারা কতটা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। পাশের বাড়ির চাচি, ভাবীরা উঠোনে এসে দাঁড়িয়েছেন। বিষয়টা প্রথমে না বুঝলেও এখন সবাই বুঝেছেন।

কেউ কেউ বলছে, “অভাগী মাইয়ার কপাল খুলছে।”

আবার কেউ বলছে, “ঢঙ দেখলে মনে অয় তামাম দুনিয়া জয় কইর‍্যা আইছে।”

রেহেনা বেগম দাঁড়িয়ে সব দেখলেন, রাগে তার সারা শরীর রি-রি করছে।

উঠোনে এগিয়ে এসে কুসুম বেগমকে বললেন, ” দেখছেন ভাবী নিজের পোলা,মাইয়ার খবর নাই, পালিত মাইয়ার লাইগা কী দরদ! এসব দেখলেও গা জ্বইল্যা যায়। সারাদিন দুজনে কী কুটুর-কুটুর করে কে জানে। এই বুইড়া একদিন সব ওই মাইয়ার নামে লিইখা দিবো দেইখো তোমরা।”

কথাগুলো কানে যেতেই শফিক সাহেব ও আভার খুশি মনে হঠাৎ অন্ধকারের ছায়া পড়ল। আভা বলল, “বাবা মাকে সালাম করে আসি।”

সে এগিয়ে যেতেই রেহেনা বেগম এক লাফে জায়গা থেকে সরে দাঁড়ালেন। চিৎকার করে বললেন, “এই একদম মাইষের সামনে ভালা সাজতে আইবি না। তুই কী ভাবোস? তোর এসব ন্যাকামি আমি বুঝি না? সব বুঝি। তুই ব্যারিস্টার হইলে তো আর আমার লাভ নাই, নিজের সন্তান যাইও যায় না। আর পরের সন্তান থাকিও থাকে না।”

আভা খুব কষ্ট পেল। আগে মা এসব কথা তার পেছনে বললেও, সামনে বলতেন না। কিন্তু আজকাল সবসময় সামনেই বলেন। শুধু এই কথা না যা মুখে আসে বলে যান তিনি। মাঝে মাঝে গালি দিতেও ছাড়েন না। কেউ বাড়িতে আসলেই তার বদনাম ছাড়া যেন উনার মুখে কোনো কথা নেই। সে এসব পাত্তা না দিলেও গালি দিয়ে কথা বললে সহ্য করতে পারে না। তাই তখন নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। এই মুহূর্তে তার খুব কষ্ট হচ্ছে।

এই যে জীবনের সবচেয়ে বড় সোনার হরিণ হাতে পাওয়ার আনন্দটাও কেমন যেন পানসে হয়ে গেছে। আজ ভীষণভাবে নিজের মাকে মনে পড়ছে, নিজের মেয়ের সফলতার খবর শুনে নিশ্চয়ই তিনি খুব খুশি হতেন।

তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হলো না। চুপচাপ নিজের ঘরে চলে গেল। শফিক সাহেব কিছু একটা বলতে গিয়েও বললেন না। কারণ তিনি জানেন এখন তিনি একটা কথা বললে রেহেনা বেগম আরও হাজার কথা বলে বাড়ি মাথায় করবেন। তাই এমন মানসিকতার মানুষের সাথে কথা না বলাই শ্রেয় মনে করে নিজের ঘরে চলে গেলেন।

★★★

শফিক সাহেব আভাকে নিয়ে চট্টগ্রাম আসেন। আগের হোস্টেল চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে তাই নিউমার্কেটের দিকে বাসা নিয়েছেন। একটা দুই রুমের বাসা, সাথে বাথরুম ও ছোট রান্নাঘর রয়েছে। আগের বাসা থেকে সব জিনিস নিয়ে এসেছেন তারা। আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে এনেছেন।

বাবা মেয়ে মিলে রুম গোছাচ্ছেন। আভা অনেকবার বলেছে ভার্সিটির হলে সিটের জন্য আবেদন করবে। হলে থাকলে খরচ অনেকটা কম পড়বে, কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না।

কারণ বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। ধর্ষণ, হত্যা, র‍্যাগ যেন প্রতিদিনকার ঘটনা। তাই তিনিই কোনোরকম ঝুঁকি নিতে চাননি। তবে উনার ভয়ের কারণটাও মেয়েকে বলেননি। অগত্যা তাকে বাবার কথা শুনতে হলো আভাকে। এখন সমস্যা হচ্ছে আগের যে রুমমেট ছিল সে ভার্সিটিতে চান্স পায়নি, তাই তাকে একাই এখানে থাকতে হবে।

শফিক সাহেব বললেন, “তুই চিন্তা করিস না, আমি বাসার জমিদারের সাথে কথা বলেছি, তুই চাইলে আরেকটা মেয়েকে সাথে নিতে পারবি। ভার্সিটিতে গেলে অনেকের সাথেই পরিচয় হবে। তাছাড়া অনেকেই বাসা খুঁজে আশাকরি দুই এক সপ্তাহের ভেতর তুই একজন রুমমেট পেয়ে যাবি। সে পর্যন্ত আমি না হয় থাকলাম তোর সাথে।”

” কিন্তু বাবা তোমার ব্যবসা কে দেখবে?”

তিনি খাটের উপর তোষক মেলতে মেলতে বললেন, “তুই চিন্তা করিস না, তোর রহিম চাচাকে বলে এসেছি উনি এই কয়দিন দেখবেন। তাছাড়া দোকানে অন্য ছেলেরা আছে। অনিক বলছে কলেজ শেষ করে দেখবে। আমি যেন চিন্তা না করে তোর খেয়াল রাখি। বুঝলি মা অনিক তোর যোগ্য ভাই হবে। তোর জন্য তার অনেক চিন্তা। তা দেখে আমি শান্তি পাই। আমি না থাকলে অন্তত কেউ তো তোর পাশে থাকবে।”

“তুমি সবসময় আমার পাশে থাকবে বাবা। তোমাকে কোথাও যেতে দেব না আমি।

তিনি মেয়ের মাথায় হাত রেখে বললেন, “পাগল মেয়ে কারো বাবা কী সারাজীবন বেঁচে থাকে? তুই চিন্তা করিস না, আমি তোকে প্রতিষ্ঠিত না দেখে কোথাও যাব না। আল্লাহর কাছে চাইব যাতে আমি আমার মেয়ের সুখ দেখে যেতে পারি। যদিও আমি জানি আল্লাহ চাইলে আমার মেয়ে অবশ্যই তার লক্ষ্যে সফল হবে।”

আভা বাবার কথাগুলোতে অনেকটা জোর পেল। অনেকটা সময় মায়াভরা দৃষ্টিতে বাবাকে দেখল। এই মানুষটি তার কাছে অনুপ্রেরণার জগৎ। এই মানুষটির দিকে তাকালেও শান্তি অনুভব হয়।

★★★

ভার্সিটিতে প্রথম দিন নিয়ে আভার খুব উৎসাহ ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শাটল ট্রেন রয়েছে। প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীরা ট্রেনে করে ভার্সিটিতে যায়।

ট্রেনে উঠলেই বাড়ি ফেরার পথে যে ছেলেটার ট্রেনে দেখা হয়েছিল তার কথা না চাইতেও মনে পড়ে যায়। এই মানুষটাকে মনে পড়ার কোনো কারণ সে খুঁজে পায় না। তারপরও কেন মনে পড়ে কে জানে!

ভার্সিটিতে ঢুকে আভা অবাক হয়ে যায়! এত সুন্দর নয়নাভিরাম সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করে। চারদিকে সবুজের সমারোহ। এর আগে যখন পরীক্ষা দিতে এসেছিল তখন পরীক্ষার চিন্তায় এতটা খেয়াল করেনি।
আজ বুঝতে পারছে এতটা ভয়ংকর সৌন্দর্য! সত্যিই অবাক করার মতো। ভার্সিটিতে ঢুকে প্রথমে বুঝতেই পারল না কোনদিকে আইন অনুষদ। কয়েকটা মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে গিয়ে তাদের জিজ্ঞেস করলো, “আইন অনুষদ প্রাঙ্গণ কোনদিকে একটু বলবেন? ”

মেয়েগুলো তার কথায় চমকে গিয়ে তাকাল তার দিকে। আভা আবার বিনয়ের সাথে বলল, “এক্সকিউজ মি! আমাকে একটু আইন অনুষদটা কোনদিকে বলতে পারবেন?”

মেয়েগুলো সরু চোখে তাকাল তার দিকে। তারপর নিজেদের মাঝে চোখ চাওয়াচাওয়ি করে হেসে উঠল উচ্চস্বরে। সে আচমকা হাসির কারণ বুঝতে পেরে বলল,
“সরি! আসলে আমি বুঝতে পারলাম না, আপনারা হাসছেন কেন?”

ফর্সা মতো একটা মেয়ে বলল, ” এখানে কী মনে করে প্রবেশ করেছো? তাছাড়া আইন অনুষদে শুধু আইনের ছাত্রছাত্রীরাই পড়ে তুমি কেন সেটার খবর নিচ্ছো?”

আভা এতক্ষণে বুঝতে পারল এদের হাসির কারণ।

“আসি তাহলে দুঃখিত আপনাদের ডিস্টার্ব করার জন্য।”

আভা হেসে মেয়েদের দলটি থেকে বিদায় নিয়ে যেতেই পেছনে থেকে একটা মেয়ে বলল,

” দুই নম্বর গেটের থেকে অল্প একটু দূরত্বেই দেখতে পাবেন আইন অনুষদ। চলুন আমিও সেদিকেই যাচ্ছি।”

আভা খেয়াল করল পান পাতার মতো মুখের গড়ন, শ্যামলা চেহারার একটা মেয়ে। যার মুখে হাসি লেগে আছে। চেহেরায় কেমন একটা মায়া আছে।

সে হেসে বলল, “চলুন যাওয়া যাক।”

মেয়েটি বলল, “আমি ফারহা এলএলবি ফার্স্ট ইয়ার। তুমিও কী নতুন? ”

“আমি অরনী আভা। তোমারই সহপাঠী।”

দুজনে পরিচিতির মধ্যে দিয়ে সামনে এগিয়ে গেল। আভাকে দেখে যে দলের অন্য মেয়েগুলো আইনে পড়ার যোগ্য মনে করেনি, সে ঠিকই বুঝেছে। মানুষ ফলাফলের আগে গায়ের রঙ দেখে। কার সার্টিফিকেট কতটা যোগ্য সেটার আগে, কার চামড়া কতটা সাদা দেখা হয়। এটা আসলে তাদের দোষ নয়। এমনটাই-তো হয়ে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।

আইন অনুষদ গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই কেমন একটা সুখ অনুভব করল আভা। এখানে আসাটা তার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নকে ছুঁতে পেরে এক টুকরো স্বস্তির বাতাস মন প্রাণকে শান্ত করে দিল। ভেতরে যেতেই দেখতে পেল ‘এ কে খান আইন অনুষদ ভবন’। আভা ফারহার সাথে পুরো আইন বিভাগটা দেখে নিল। এবং বুঝতে পারল অল্প সময়ে ফারহা মেয়েটাকে দারুণ লেগেছে তার। দুজনের মধ্যে মিলও আছে খানিকটা।

দুজনে মিলে একটু একটু করে ভার্সিটির সুন্দর জায়গা গুলো দেখল। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা মনোরম পরিবেশে গড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সব ছেলে মেয়েদের স্বপ্ন থাকে। সে স্বপ্ন পূরণ হলে কতটা আনন্দ হয় তা এদের দুজনকে দেখে বুঝা যায়।

ইনশাআল্লাহ চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here