আঁধারে ঢাকা ভোর পর্ব-২১

0
1930

#আঁধারে_ঢাকা_ভোর
#শেষ_পর্ব
প্রজ্ঞা জামান দৃঢ়তা

বাসার দরজা খোলা দেখে শফিক সাহেব ঘাবড়ে গেলেন। ভেতরে ঢুকতেই কান্নার আওয়াজ পেয়ে তাড়াতাড়ি করে মেয়ের রুমে এসে দেখলেন তার পাথরের মতো শক্ত মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মোমের মতো গলে ঝরে পড়ছে।

দিশেহারা হয়ে মেয়ের পাশে গিয়ে বসলেন। বললেন, “কী হয়েছে মা? কেন এমন করছিস? আমাকে বল?”

মেয়ে বাবার বুকে ঝাপিয়ে পড়ে অশ্রুপাত করতে লাগল। অনেকটা সময় কাঁদার পর আভা ধরা গলায় বলল, “আমার ভাগ্যটা এমন কেন বাবা? আমি কালো সেটা কী আমার দোষ? আমার জন্মপরিচয় নেই সেটা কী আমার পাপ?”

এ কথাটা শুনে শফিক সাহেবের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল। যে সত্যিটা সর্বদা বাক্সবন্দি করে রেখেছিলেন। সে সত্যিটা জেনে গেছে আভা! এটা কীভাবে সম্ভব!

“বাবা, ও বাবা আমার জীবনটা এমন কেন? সেদিন কুকুরগুলো থেকে আমাকে কেন বাঁচালে? সেদিন যদি সেগুলো আমাকে মেরে ফেলত। তবে আজ এত যন্ত্রণা আমাকে তো সহ্য করতে হত না। কেন আমাকে বাঁচালে বাবা?”

“শান্ত হ মা। কী হয়েছে বল আমাকে?”

“আমি যে সেই মানুষটাকেও কষ্ট দিয়ে দিয়েছি বাবা। যে আমার জন্য সব ছাড়তে রাজি। একজন মা থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাইনি বলে তাকে একজীবন কষ্ট উপহার দিলাম? আমার যে জাহান্নামেও ঠাঁই হবে না।”

“চুপ কর এভাবে বলিস না। সব ঠিক হয়ে যাবে”

শফিক সাহেব মেয়েকে শান্ত করতে চাইলেন।

“বেদনা বিদ্ধ সন্ধ্যায় একপ্রস্ত সুখের জন্য সে আসবে না। চলে গেছে সে। আমি তাকে তাড়িয়ে দিয়েছি।”

বিড়বিড় করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আভা।

মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি পাগলের মতো হয়ে গেলেন। আভাকে কোলে করে বিছানায় উঠালেন। নিজেও কাঁদতে লাগলেন। ভাবলেন মেয়েটা এই জীবনে আর বুঝি সুখের মুখ দেখল না।

এক অসহায় বাবা আল্লাহর কাছে প্রশ্ন করলেন, “কেন ভালো মানুষদের জীবনে অশান্তিই থাকে? কেন তাদের সুখ কেড়ে নেয়া হয় বারবার?”

তিনি জানেন এসব প্রশ্নের উত্তর তিনি কোনোদিন পাবেন না। কিছু প্রশ্নের জবাব কখনো মেলে না।

★★★

রাত আটটায় আভার ফ্লাইট। সব ফর্মালিটি শেষ করে এয়ারপোর্টে বসে আছে সে। শফিক সাহেবের সাথে অনিক এসেছে তাকে ছাড়তে। একটা চাপা আর্তনাদ তাদের ভেতর থেকে ঠিকরে বেরিয়ে চোখ মুখে ভেসে ওঠেছে।

শফিক সাহেব ভাবতেন জীবনে অনেক পূর্ণের ফলে এমন একটা মেয়ে পেয়েছেন। আজ মনে হচ্ছে কোনো পাপ করেছেন যার জন্য মেয়েটা তার কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। চাইলেও চোখের দেখা পর্যন্ত দেখতে পারবেন না। চট্রগ্রাম শহরটা আর তাকে টানবে না। কয়েকদিন যেতেই কেমন অস্থির হয়ে উঠতেন মেয়েকে দেখার জন্য। আজ থেকে আর সেই টানটা রইল না।

আভা মৃদুস্বরে বলল, “বাবা শরীরের দিকে খেয়াল রাখবে। মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করবে না। তোমার শরীরটা যে দিন দিন খারাপ হচ্ছে সে আমি দেখতে পাচ্ছি। মায়ের দিকে তুমিও খেয়াল রেখো। এখন তোমাদের দুজনের একে-অপরকে পাশে রাখা খুব দরকার।”

চট্টগ্রামে সব কাজ শেষ করে দীর্ঘ দুই বছর পর বাড়ি গিয়েছিল আভা। এই দু’বছরে একবারও রেহেনা বেগম কল দিয়ে বলেননি কেন সে বাড়ি যাচ্ছে না।
বিদায় দেয়ার সময় তিনি কেঁদেছেন। আভা অবাক হয়েছে তার কান্না দেখে। দু’বছর দেশে থাকার পরও একটা বার যে মানুষ বাড়ি যেতে বলেননি। হঠাৎ করে তার চলে যাওয়ার কথা শুনে কেন কাঁদছেন! তারপর এক মুহূর্ত দেরি হলো না তার কান্নার পেছনে যে স্বার্থ লুকিয়ে আছে। তিনি কেঁদে জানালেন সুযোগ পেলে যেন সে অনিককে তার কাছে নিয়ে যায়। শফিক সাহেব শুধু হাসলেন। তিনিও সবটা বুঝেছেন।

“তুই নিজের খেয়াল রাখিস মা। যেখানে যাচ্ছিস অসুস্থ হলে দেখারও কেউ থাকবে না।” কথাটা বলতেই তার চোখ ভিজে এলো।

বাবার চোখের জল মুছে দিয়ে সে বলল, “বাবা আমার একটা অনুরোধ রাখবে? আমার ফোন নম্বর কিংবা আমি আমেরিকায় কোন জায়গায় থাকব তার কিছুই তুমি কোনোদিন তুষারকে দিবে না। সে যত ব্যাকুলই হোক তুমি বলবে আমি নির্দিষ্ট কোনো নম্বর থেকে কল দেই না।”

তিনি কিছুক্ষণ মেয়ের মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে রইলেন। স্পষ্ট দেখতে পেলেন কতটা গভীর ক্ষত নিয়ে সে দেশ ছাড়ছে। মেয়েটা যে এই জীবনে আর ভালো থাকবে না তা তিনি জেনে গেছেন।

মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে ছলছল চোখে বললেন,

“আমি কোনোদিন তোর অনুমতি ছাড়া কাউকে তোর ঠিকানা দেব না। তুই নিজের দিকে খেয়াল রাখিস সবসময়। তোর যন্ত্রণা গুলো আমার সাথে অন্তত ভাগাভাগি করে নিস। আমি জানি না তুই কতটা ভালো থাকবি। কিন্তু এটা নিশ্চিত জানি তুই সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে যাচ্ছিস। যারা তোকে ছোট করেছে তারা তোকে ভার্চুয়ালে হয়তো দেখতে পাবে। বাস্তবে চেয়েও ছুঁয়ে দেখতে পারবে না।”

আভা হাসার চেষ্টা করল। সে হাসিতে যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট।

অনিক বোনকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে লাগল।

তার দু’গালে হাত রেখে আভা বলল, “তুই এখন অনেক বড় হয়ে গেছিস। একদম বাচ্চাদের মতো কাঁদবি না। ভালো করে পড়াশোনা করবি। যাতে খুব তাড়াতাড়ি আমার কাছে চলে যেতে পারিস।”

অনিকের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ পেছন থেকে কেউ তাকে নাম ধরে ডাকল। তাকিয়ে দেখে আসাদ হায়দার দাঁড়িয়ে আছেন। চেহেরায় বার্ধক্যের ছাপ স্পষ্ট। মনে হচ্ছে এই কয়েক বছরে অনেকখানি বয়স বেড়ে গেছে।

আভা বলল, “আসসালামু আলাইকুম বাবা। কেমন আছেন?”

“ওয়ালাইকুম আসসালাম! আমার আর ভালো থাকা মা। একমাত্র ছেলে যার সংশোধনাঘারে সে আর কেমন থাকতে পারে। নেশা করতে করতে শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। তোমার সাথে অন্যায় করার শাস্তি আল্লাহ তাকে দিচ্ছেন।”

বলতে বলতে হায়দার সাহেবের চোখ ছলছল করে ওঠে।

আভা বিনয়ের সাথে বলল, “এভাবে বলবেন না বাবা। ইনশাআল্লাহ, সব ঠিক হয়ে যাবে।”

“তুমি শাহিদকে ক্ষমা করে দিয়ো মা। সেদিন ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বলেছে যদি তোমার সাথে দেখা হয় তোমাকে যেন তাকে ক্ষমা করে দিতে বলি।”

“এভাবে বলবেন না বাবা। আমি সামান্য মানুষ। ক্ষমা করার মালিক তো মহান আল্লাহ।”

তিনি আভার মাথায় হাত রেখে বললেন,

“আল্লাহ তোমাকে অনেক বড় করুক। আমি সবসময় দোয়া করি।”

“আপনিও ভালো থাকবেন বাবা। নিজের খেয়াল রাখবেন।”

ইমিগ্রেশন ঢুকার সময় হয়ে এসেছে। আভা বাবাকে সালাম করে জড়িয়ে ধরল।

শফিক সাহেব কাঁদলেও আভা কাঁদছে না। সব যন্ত্রণা যেন তাকে পাথর করে দিয়েছে।

চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখল। না কেউ নেই! তুষার আসেনি, ভালোই হয়েছে। তাকে দেখলে যেতে ইচ্ছে করত না।

ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে লাগল অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। পেছনে রেখে গেল কত-শত সুখ-দুঃখের স্মৃতি। এক অসহায় বাবার কান্না, এক দিশেহারা প্রেমিকের আকুলতা। এত-এতকিছু নিয়ে সে ভালো থাকবে তো দূর দেশে! চোখের সামনে ভেসে উঠল তুষারের সাথে প্রথম দেখা থেকে শেষ দেখা পর্যন্ত। স্মৃতি যেন সব যন্ত্রণাকে তাজা করে তুলেছে। কোনোরকমে হেঁটে যাচ্ছে সে। বারবার লোভী মন চাইছে শেষ বারের মতো যদি একবার, একটাবার মানুষটাকে চোখের দেখা দেখতে পেত!

★★★

তুষার অন্ধকার বন্ধ ঘরে মেঝেতে বসে নিকোটিনের ধোঁয়া উড়াচ্ছে। সে ধোঁয়ায় মিলিয়ে দিতে চাইছে ভেতরের কষ্টগুলোকে। কিন্তু, এই সামান্য ধোঁয়া কিছুই করতে পারছে না তার। সিগারেটটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে হাঁটুগেড়ে বসে অসহায়ের মতো কাঁদতে লাগল।

ঘড়ির টাইম দেখে বুঝল মেয়েটা এখন উড়ছে ওই দূর আকাশে। ওর জন্মই হয়েছে উড়ার জন্য। সে এয়ারপোর্টে যায়নি। কারণ আভা তাকে দেখলে দূর্বল হয়ে যেত । কষ্টগুলো দিগুণ হয়ে যেত। সে নিজেও প্রেয়সীকে যেতে দিতে চাইত না। কিন্তু জীবনে প্রথম আভা তার কাছে কিছু চেয়েছে। তাকে বিনা বাধায় যেতে দিতে। সে চাওয়া কী করে অপূর্ণ রাখে সে!

মেয়েটার জন্য বড্ড যন্ত্রণা হচ্ছে তার। আর কেউ না জানুক প্রিয়তমা কতটা আঘাত, কতটা শূন্যতা নিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে সে জানে।

এই পৃথিবীর সেসব মানুষ গুলোকে ঘৃণা করতে ইচ্ছে করছে যারা তার অরনীকে কষ্ট দিয়েছে। ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল পবিত্র সুন্দর মুখশ্রী। হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করল সে, কিন্তু ছুঁতে পারল না। বুকের ভেতরটা হাহাকার করে ওঠল। ফোনটা বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে অঝোরে অশ্রুপাত করতে লাগল। সে জানে এই জীবনে আর এই কান্নার শেষ হবে না।

এমন সময় ফারহা তার রুমে আসল। চুপচাপ একটা খাম তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, “আভা দিয়েছে।”

খামটা দিয়ে এক মুহূর্তও দাঁড়াল না সে। আর একটু থাকলে তার চোখের জল তুষার দেখে ফেলবে।

খামটা খুলে তুষার দেখল একটা চিঠি।

‘তুষার’

“তুমি জানো? আমার বুঝ হওয়ার পর থেকে আমি প্রতিনিয়ত একটা কথাই ভেবে গেছি। আমাকে কেউ কোনোদিন ভালোবাসবে না। কেউ কোনোদিন আমার দিকে করুণা বাদ দিয়ে, ভালোবাসার নজরে তাকাবে না।

নিজের মনকে আমি সেভাবে তৈরিও করে নিয়েছিলাম। আমি সবসময় নিজেকে এটা বুঝিয়ে এসেছি যে আমার জীবন অন্য সাধারণ মেয়েদের মতো নয়। প্রেম, ভালোবাসা এসব আমার জন্য নয়।

হঠাৎ করে আমার জীবনে তুমি এলে। আমার সারাজীবনের সেই আফসোস এক মুহূর্তে মিটিয়ে দিলে। আমাকে এত ভালোবাসলে যে এই দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর মেয়েদেরও এমন করে কোনো ছেলে কখনো ভালোবাসতে পেরেছে বলে আমার অন্তত মনে হয় না। আর কেউ পারবে কিনা তাও জানিও না।

কারণ তাদের সৌন্দর্য দেখে সে ছেলেরা ভালোবেসেছে। আর তুমি আমার অসুন্দর দেখে আমায় ভালোবেসেছো। বলো তুষার? কে বেশি ভাগ্যবতী তারা, নাকি আমি?

আমার জীবনে তোমাকে না পাওয়া নিয়ে কখনো আফসোস থাকবে না। কারণ আমি জানি তুমি আমায় সত্যিকারের ভালোবেসেছো। এতটা কোন মেয়ে পেয়েছে বলো তো?

আজ যদি কোনো সুন্দরী মেয়ের চেহেরায় কেউ এসিড ছুড়ে মারে। তবে কয়টা প্রেমিক বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে? সেই মেয়েটাকে আগের মতোন করে ভালোবাসবে! সারাজীবনের জন্য জীবন সঙ্গী করবে।

আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি যদি এখন আমার পুরো শরীর কেউ এসিড ছুড়ে জ্বালিয়েও দেয়, তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না। কারণ তুমি আমার ভেতরটাকে ভালোবেসেছো। তুমি যদি ভেবে থাকো তুমি আমাকে কিছু দাওনি তবে আমি কষ্ট পাব। একটা কথা সত্যি জেনে রাখো আমার বাবার পর এ পৃথিবীতে কেউ যদি আমায় কিছু দিতে পেরেছে সেটা তুমি। যার প্রতিটি কথা আমার চলার পথে শক্তি ছিল। আজীবন থাকবে। তুমি ভালো থেকো এটা বলব না। কারণ কাউকে স্বয়ং খারাপ রেখে তাকে ভালো থেকো বলার মতো হিপোক্রেসি দ্বিতীয়টি আছে বলে আমার মনে হয় না। শুধু বলব ভালো থাকার চেষ্টা করো।

তোমার অরনী

তুষারের চোখের জলে চিঠি ভিজে যাচ্ছে। প্রতিটি শব্দ তার বুকে ঝড় তুলেছে।

★★★

প্লেনের সিটের সাথে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করতেই আভার দৃশ্যপটে তুষারের সুকুমার মুখটা ভেসে ওঠেছে। এতক্ষণ আটকে রাখা কান্নার দল বাধাহীনভাবে অশ্রু হয়ে ঝরতে লাগল। নিজের দেশে সে তার প্রাণটা রেখে যাচ্ছে। সাথে নিয়ে যাচ্ছে অজস্র স্মৃতি।

তার চোখের সামনে ভেসে ওঠেছে ছোট্ট সেই স্বপ্নপুর গ্রাম, ডাকাতিয়া নদী। অভিমান হলে নদীতে বাবার সাথে ঘুরতে যাওয়ার সময়গুলো। ছোট ভাইয়ের আদুরে মুখ। সেই গ্রামের প্রতিটি অলিগলি। তার জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো সেই ছোট্ট ঘরটি। যার প্রতিটি কোণায় জড়িয়ে আছে হাজারও স্মৃতি।

হঠাৎ তার মনে হলো কেন গ্রামের স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে! জীবন কী অদ্ভুত তাই না! ফেলে আসা স্মৃতি যত খারাপই হোক ভুলা যায় না। এমন তো নয় সেখানে সব স্মৃতি সুখের ছিল। বরং বাবার সাথে কাটানো সময়গুলো ছাড়া সুখের স্মৃতি আছে বলে তার মনে হয় না। তাও কেন মনে পড়ছে! আসলে আমরা স্মৃতিকে লালন করতে ভালোবাসি। সে যদি দুঃখের স্মৃতি হয় তাতেও সমস্যা নেই।

চলে যেতে যেতে আভার তার চারপাশে তাকিয়ে দেখল কেউ নেই।

আভার মনে হলো সারাজীবন তার জীবন অন্ধকারে তলিয়ে গেছে। শুধুমাত্র তার ভেতরের শক্তি তাকে এই পর্যন্ত আসার সাহস দিয়েছে। জানালায় তাকিয়ে দেখল রাতের অন্ধকার আকাশে কয়েকটি তাঁরা ঝলঝল করছে। একটা তাঁরা তার সবচেয়ে কাছের মনে হলো। মনে হলো সেই তাঁরাটা তার জীবনের একমাত্র ধ্রুবতাঁরা! মনে হচ্ছে এটাই তার জীবন, আলোয় অন্ধকার, কিংবা আঁধারে ঢাকা ভোর। যার সূর্য উদিত হতে হতেও নিভে গেল।

সমাপ্তি

বিঃদ্রঃ প্রিয় পাঠক, ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। যারা সন্ধ্যা নামার পরে গল্পটাকে ভালোবেসেছেন তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে তাদের মতোই নতুন দুজন আসতে চলেছে। এতদিন সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন। আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুক। ফি আমানিল্লাহ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here