আকাশে তারার মেলা সিজন 2 পর্ব-২০

0
2940

#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব_২০

শরতের সূর্য উদয় হয়ে আলোক রশ্মি ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিক। এক গুচ্ছ রশ্মি জানালা গলিয়ে উপচে এসে ছুঁয়ে দিচ্ছে তুলির ঘুমন্ত, মায়াবী মুখশ্রীতে। আঁখি পল্লব কুঁচকে নিল তুলি। অধর কোণে প্রস্ফুটিত হলো ক্ষীণ হাসির রেখা। আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসল। শরীর টা কেমন মেজমেজ করছে। আলসেমি কাটিয়ে ধীরস্থ গতিতে ছোট্ট ছোট্ট কদম ফেলে বারান্দায় এলো সে। পড়নে গায়ের পিংক টিশার্ট টা কিছুটা এলোমেলো। ঘুমের দাপটে চোখ দুটো ফুলো ফুলো। লম্বা কেশ পিঠময় ছড়িয়ে আছে। খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে চোখ বুঁজে ভোরের শুদ্ধ, নির্মল বাতাস নিজের মাঝে শুষে নিল তুলি কিছু সেকেন্ড ব্যয় করে। কর্ণে প্রবেশ করল সূদুর হতে এক নাম না জানা পাখির গুঞ্জন। ইট,পাথরের চাকচিক্যময় শহরে পাখির ডাক তুলির নিকট এক অতীব মিষ্টি সুর মনে হলো। হৃদয়টা জুড়িয়ে গেল নিমিষেই। ডাগরডাগর আখিঁ মেলে তুলি বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখা খাঁচাটার দিকে তাকাল। চেয়ে রইল অপলক। খাঁচায় বন্দি পায়রা জোড়া আজ কেমন নিষ্প্রভ। জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে পায়রা দু’টো। একে অপরের সাথে গা মিলিয়ে উষ্ণতা কুড়াতে ব্যস্ত ওরা। কপালে ভাঁজ পড়ল তুলির। অন্যদিন একাধারে ডাকতে থাকে ওরা। আজ ডাকছে না কেন?ঠান্ডা লাগছে বুঝি?কই এখন তো বর্ষা নেই, বর্ষণ নেই। বিশাল আকাশ পানে চাইল তুলি। বর্ষার নিবিড় ঘনঘটা অপসারিত হয়ে আকাশ নির্মল হয়ে উঠেছে। একদলা শুভ্র উড়ন্ত মেঘ নীলচে আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। তুলির কাছে মনে হলো শরতের সাদা মেঘভর্তি আকাশ যেন এক বিশাল সামিয়ানার মতো। আকাশের থেকে মুখ ফিরিয়ে তুলি পুনরায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করল পায়রা জোড়ার দিক। এ কি!আগের চেয়েও গভীর ভাবে সেঁটে বসে আছে দু’জন। কিছুক্ষণ চিন্তিত ভঙ্গিতে চেয়ে থেকে তুলির মুখ টা কেমন লাল আভায় ছেয়ে গেল। বিড়বিড় করে বললো–

” সময় এখন তোদের-ই। মাসখানেক ধরে বিবাহিত হয়েও আমি সিংগেল। আমার জামাই একটা নিষ্ঠুর। কি হয় মাঝে মাঝে একটু আকটু আদর করলে?নিজের বাহুতে জায়গা দিলে?তোদের প্রেম দেখে আমার প্রেম পাচ্ছে। ভীষণ রকমের প্রেম পাচ্ছে। মন হিংসায় জ্বলে পুড়ে আংরা আংরা হয়ে যাচ্ছে। সুদর্শন সেই যুবককে দেখিয়ে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে,মাঝে মাঝে নিজের উষ্ণতায় আমায় বিমোহিত করলেই তো পারেন,খয়েরী রঙা ঠোঁট দুটো আমার ওষ্ঠে একটুখানি! স্রেফ একটুখানি ছুঁয়ে দিলে তো পারেন।’

নিজস্ব অভিব্যক্তিতে থমকে গেল তুলি। লজ্জা ছড়িয়ে গেল দেহের সর্বাঙ্গে। কি বলল তার বেহায়া মন? যদি আদ্র শুনে ফেলত? হিংসের চোটে খাঁচা টা নেড়ে পায়রা জোড় কে আলাদা করায় লেগে পড়ল। নিজেকে ধিক্কার দিতে দিতে আওড়ালো,

” ছিঃ!ছিঃ!তুলি। তুই দিন দিন বড় হচ্ছিস, সেই সাথে চরম লেভেলের অসভ্য হচ্ছিস। ডাক্তার সাহেব শুনলে কি হতো একটা বারও কল্পনা করেছিস?শাস্তি দিতো না তোকে?আচ্ছা কি শাস্তি দিতেন?”

কল্পনার জগতে শাস্তি কল্পনা করতে মগ্ন হলো তুলি। গভীর এক শাস্তি মাথায় আসতেই তুলির বুক ঢিপঢিপ করতে লাগল। রুমে যেতে যেতে ধাতস্থ কন্ঠে বললো,

” অসভ্যতার লেভেল ছাড়িয়ে যাবি একদিন তুই তুলি। নিজেকে শুধরা। ”
__________

শুভ্র রঙের একটা থ্রি পিচ গায়ে জড়িয়ে তুলি খালি পায়ে হেঁটে চলেছে ঘাসের উপর দিয়ে। তার পদলি গভীর ভাবে ছুঁয়ে দিচ্ছে ঘাসগুলো কে। আজ যেন ঘাসগুলো ধন্য। শহরের অহংকারী মানুষ গুলো কি খালি পায়ে তুলির মতো করে স্পর্শ বুলিয়ে দেয় ঘাস গুলো তে?দেয় না তো। দিলে তাদের পা নষ্ট হয়ে যাবে না? তুলির মতে,জুতো পড়ে হেঁটে ব্যস্ত মানুষ জনেরা নাজেহাল করে ছেড়েছে এদের অবস্থা। আজ শরতের শিশিরের ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ঘাসের উপর সঞ্চিত শিশির বিন্দুকে তুলির কাছে রূপালী মুক্তার মতো মনে হচ্ছে। সর্বত্র শুভ্র ও নাতিশীতোষ্ণ অবস্থা বিরাজমান। তুলির গলায় জড়ানো লম্বা ওড়নার এক কার্ণিশ শিশির বিন্দুতে ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভিজে যাচ্ছে। তুলির সেদিকে খেয়াল নেই। তার একমাত্র লক্ষ্য আদ্র দের অর্থাৎ শশুড় বাড়ির পিছনে থাকা বড় শিউলি ফুলের গাছ টা। শরতের আঁচ করতে পেরে তুলি নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি। ছুটে এসেছে শিউলি ফুলের টানে। গ্রামে চেয়ারম্যান বাড়ির পাশে একটা শিউলি গাছ আছে,শরতের আগমন ঘটলেই মর্মিতার সাথে ছুটে যেতো ফুল কুড়াতে। আমরিনের সাথে ছাঁদে উঠে এক মাস আগে এ বাড়ির শিউলি গাছ টা দেখেছিল।

আদ্র দের বাগানের এক পাশের দূর্বাঘাস ডিঙিয়ে তুলি সবার আড়ালে শিউলি তলায় হাজির হলো। ঘাসের উপর চাদরের ন্যায় বিছিয়ে আছে শুভ্র শেফালি। উৎফুল্ল হয়ে উঠল তুলির মন। হাতের জুতো জোড়া এক পাশে রেখে খুশিতে গদগদ হয়ে ফুল কুড়িয়ে ওড়নায় রাখতে লাগল। হাত বাড়িয়ে আরো একটা ফুল নিতে গিয়ে নিজের শ্যামবর্ণ হাতের পাশে উজ্জ্বল ফর্সা বলিষ্ঠ এক হাতের দিকে দৃষ্টি স্থির হলো। নিস্তেজ,স্তব্ধ হয়ে পড়ল তুলি। ভয়ার্ত চোখে হাত টা অনুসরণ করে মানুষটার দিক দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেই, প্রগাঢ় কম্পনে কেঁপে উঠল হৃদপিণ্ড। চোখ দুটো জুড়িয়ে গেল মুগ্ধতায়। সাদা পাঞ্জাবি পড়েছে আদ্র। হাতা গুটানো,অনাসয়ে লোমশ গুলো ভেসে উঠছে তুলির চোখের পাতায়। শুভ্র গায়ের রং, শুভ্র পাঞ্জাবি, লোমশ হাত। তুলির ভিতর টা কাঁপছে। গলায় শুষ্কতা অনুভব করছে। অথচ আদ্র ভাবলেশহীন ভাবে ফুল কুড়িয়ে ভরে দিচ্ছে তুলির ওড়না তে। তুলি হতভম্ব হয়ে নিষ্পলক মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। আদ্র একে একে সবগুলো ফুল কুড়িয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়াল। তুলির চেহারা তে দৃষ্টি বুলিয়ে স্মিত হেসে,উঠে দাঁড়ানোর ইশারা করল তুলি কে। বাধ্য মেয়ের মতো উঠে সোজা হয়ে দাঁড়াল তুলি। নীল বর্ণী চোখের মাদকতায় হারিয়ে যাচ্ছে, ডুবে যাচ্ছে আবেগি মন। এতো সুন্দর পুরুষ! এতো সুন্দর বুঝি ছেলে রা হয়?তুলির নিজেকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে। এতো সুন্দর এক পুরুষের রূপের কাছে তার রূপ খুবই পানসে। ছেলেরা নাকি মেয়েদের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে?কই?তুলি নামক শ্যামবতীর তো এক যুবকের দিক থেকে চোখ ফেরানো দায় হয়ে পড়ছে। আদ্র কিছুটা কাছে এসে দাঁড়াতেই শীতল স্রোত বয়ে গেল তুলির সারা শরীর জুড়ে। মিষ্টি একটা ঘ্রাণ নাকে এসে ঠেকল। এটা কি শিউলির ঘ্রাণ নাকি আদ্রর শরীরের?বুকের ধুকপুকানি শব্দ নিয়ে লজ্জিত ভঙ্গিতে বললো,

” আপনাকে স্নিগ্ধ লাগছে আদ্র।”

শুধুই মেয়েদের হৃৎস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে প্রিয় মানুষ টার সান্নিধ্যে? উঁহু! ছেলেদের ও হয়। তার প্রমাণ স্বয়ং আদ্র। প্রাণ প্রিয় তুলার এক বাক্যে স্তম্ভিত সে। পরক্ষণেই হাত বাড়িয়ে অতি যত্নসহকারে তুলি কে কাছে টেনে নিল। হকচকিয়ে গেল তুলি। খেয়াল হলো মুগ্ধতার মোহজালে আঁটকে কতটা বেহায়া হয়ে পড়েছে। হলেই বা কি?হাত স্পর্শ করে শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিহরণ জাগিয়ে তোলা সুদর্শন মানুষ টা তো তার স্বামী!নত মস্তকে কানের লতিতে ভেজা ওষ্ঠের স্পর্শ পেতেই বিমূঢ় হয়ে গেল তুলি। এক হাতে আঁকড়ে ধরা ফুলে ভর্তি ওড়না টা পড়তে নিলেই আদ্র গা থেকে টেনে ওড়না টা নিজের হাতে নিয়ে নিল। লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে গেল তুলি। সাথে সাথেই পিছন ফিরে গেল। আদ্র নির্লিপ্তভাবে ওড়নাটা একটু ঢিল করে গিট্টু মেরে দিল,যেন ফুল গুলো পড়ে না যায়। পিছন থেকে ফিচেল স্বরে ডাকল,

“তুলা!এদিকে ফিরো।”

তুলি লজ্জায় আরো জড়োসড়ো হয়ে দাঁড়াল। কিছুতেই ফিরবে না সে। পিছন থেকে হাত বাড়িয়ে আমতা আমতা করে বললো,

” আমার ওড়না টা দিন।”

আদ্র গম্ভীর কন্ঠে বললো,

” বেয়াদব মেয়ে, বরের কথা অমান্য করো। দিব না। ”

তুলি অবাকের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে গেল। সে তো বেয়াদবি করে নি বরং লজ্জা পাচ্ছিল। মাথা তুলে ফিরতে যাবে তখনি আদ্র দ্রুত বেগে সামনে এসে উপস্থিত হলো। খানিক্ষণ নীরব থেকে বললো,

” টি-শার্ট,প্লাজু পড়ে বারান্দায় দাঁড়ালে প্রবলেম নেই অথচ বরের সামনে ওড়না বিহীন উপস্থিত থাকতেই তোমার পা কাঁপাকাপি শুরু।”

তুলি সচকিত নয়নে চাইল। এক রাশ বিস্ময় এসে জমলো চক্ষে। তার মানে আদ্র দেখে ফেলেছে? লজ্জায় অন্যদিকে চাইতেই আদ্র নেশা মিশ্রিত স্বরে বলে উঠল,

” তুমি যখন হাত উঁচিয়ে পায়রা দের সাথে বকবক করছিলে তখন গেঞ্জি উপরে উঠে দৃশ্যমান ছিল তোমার কোমর। ইচ্ছে হয়েছিল,, ”

তুলির আর দাঁড়াবার শক্তি নেই। এটুকু শুনেই হাত পা কাঁপছে তার। কেটে পড়ার আগেই নিজেকে শূন্যে অনুভব করল সে। আদ্রর পাঞ্জাবি টা শক্ত করে আঁকড়ে ধরল। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে উচ্চারিত করলো,

” কি করছেন?”

” চুপ থাকো।”

আদ্রর গম্ভীর কন্ঠে চুপসে গেল। বাগান পেরিয়ে বাড়ির ড্রইং রুমে আসতেই তুলি সতর্ক নয়নে চারপাশ দেখতে লাগল। যদি কারো নজরে পড়ে যায়?আদ্র কে ভয়ে বলতেও পারছে না। খালা মণি তো সকাল সকালই উঠে যায়। তুলির লজ্জার রেশ,ভয়ার্ত ছাপ কাটাতে আদ্র সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে উঠতে বললো,

” বাবা -মা,আমরিন সকালেই পার্কে গেছে মর্নিং ওয়াকের জন্য। ”

তুলি চিন্তা মুক্ত হলো। আদ্র রুমে এনে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে দিয়ে ওড়না থেকে ফুল গুলো একটা জায়গায় রাখল। ড্রয়ার থেকে একটা বক্স বের করে, তা থেকে সুই সুতা বের করলো। তুলির চোখে অবাকতার ছাপ দেখা দিল। গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল আদ্রর কর্মকান্ড। সুতায় ফুলগুলো গেঁথে একে একে কয়েকটা মালা বানিয়ে ফেললো আদ্র। তুলির কাছে এসে হাতে, গলায়,মাথায় শিউলি ফুলের মালা পড়িয়ে দিল নিজ হাতে। বিস্ময়কর দৃষ্টিতে তুলি আয়নায় নিজেকে দেখার চেষ্টা চালালো। কিন্তু তা হতে দিল না আদ্র। কোলে তুলে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে তুলির সামনে বসে পড়ল। সাদা শুভ্র ওড়না টা জড়িয়ে দিল তুলির মাথায়। বউ বউ লাগছে তুলি কে। স্নিগ্ধ এক শুভ্র বধূবেশী কন্যা যেন আদ্রর হৃদয় দুয়ারে দাঁড়িয়ে বলছে, “একটু আপনার হৃদয়ের গহীনে স্পর্শ করার অনুমতি দিবেন ডাক্তার সাহেব? ” গলা প্রায় শুষ্ক হয়ে উঠল আদ্রর। তুলির নত চিবুক এক আঙ্গুলে তুলে বললো,

” তোমার নিজেকে দেখতে হলে আমার চোখে চোখ রাখতে হবে তুলা। কারণ সর্বদা তুমি আমার চোখে নিজেকে মোহনীয় রূপে আবিষ্কার করবে।”

তুলি নির্নিমেষ ঘোরে আটকা পড়ল। তিরতির করে কাঁপতে লাগল ওষ্ঠ যুগল। ছোট্ট হৃদপিণ্ডের বেসামাল স্পন্দন আদ্রর কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না আদ্র। অধর ছুঁয়ে দিল তুলির কম্পনরত ওষ্ঠে। মুহুর্তেই তুলির পুরো দুনিয়া থমকে গেল। তার ডাক্তার সাহেবের প্রথম গভীর স্পর্শে কেঁপে উঠল তার বক্ষস্থল। কয়েক সেকেন্ড পর আদ্র ওষ্ঠ ছেড়ে দিতেই ঘনঘন শ্বাস নিল। আঁড়চোখে দেখল আদ্র শুয়ে পড়েছে। কোনোরকম লজ্জা মিশ্রিত মুখ লুকিয়ে চলে যেতে নিলেই হাতে টান পড়ল। শোনা গেল আদ্রর শান্তস্বর।

” তুলি!”

“হু!”

“লজ্জা পাচ্ছো?”

তুলি কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আদ্রের প্রশ্নে দ্বিগুণ লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠল গাল। কোথায় লুকাবে সে এই লাল হয়ে যাওয়া মুখ?তুলি ঝটপট পিছন ফিরল। এক প্রকার হামলে পড়ল আদ্রর বুকে। কিঞ্চিৎ ব্যাথায় আহ্ করে উঠল আদ্র। আমলে নিল না তুলি। আদ্রর বুকে মুখ লুকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কি সাংঘাতিক ব্যাপার!লজ্জা লুকাতে লজ্জা বাড়ানোর জায়গাতেই হামলে পড়ল বেচারি। তুলি মন কে শুধাল,” এটা আমার শান্তির স্থান। ”

আদ্র তুলি কে টেনে আরেকটু উপরে নিয়ে এলো। বললো,

” দূরত্ব আর সহ্য হচ্ছে না তুলি। তুমি কেন এলে সেদিন আমার চোখের সামনে?আসলেই যখন সাথে কেন এতো শর্ত? কেন দূরত্ব তোমার, আমার মাঝে?খুব শীগ্রই নিয়ে আসবো তোমাকে। পারব না কোনো শর্ত সহ্য করতে,মানতে। এতো সহ্যশক্তি আমার নেই। ”

#চলবে,,!

(আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আজ অনেক বড় পর্ব দিয়েছি। সবাই রেসপন্স করবেন প্লিজ,নয়তো লিখার আগ্রহ হারিয়ে যায়। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here