#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব -৮
নিস্তব্ধতায় ছেয়ে আছে চারদিক। দূর থেকে ভেসে আসছে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক। নির্জন পরিবেশ। কিন্তু সমস্ত নির্জনতা কাটিয়ে পরপর চারটি গাড়ি ঢুকল একটা বড় গেইট দিয়ে। তুলি পুরো রাস্তা আদ্রর বুকে ঘুমিয়েছিল তাতে বেশ লজ্জা অনুভব করছে। যদিও ইচ্ছাকৃত তবুও তার লজ্জার কারণ গাড়িতে থাকা বাকি সবাই। পাশে বসেই আদ্র বাহিরে তাকিয়ে আছে। তুলিও আগ্রহ নিয়ে বাহিরে তাকাতেই রাতের আঁধারে চাঁদের মৃদু আলোয় চোখে পড়ল কিছুটা দূরে বড় বড় পাহাড়ের দিকে। পাহাড়গুলো বিশাল বাড়িটার পেছনে দাম্ভিকতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তুলির কাছে এমনটাই মনে হল। কিন্তু বেশ দূরেই অবস্থান তাহাদের। খুশিতে চকচক করে উঠল তুলির দু’চোখ। এতো বড় পাহাড় এর আগে কখনও দেখে নি সে। পাহাড়ি শহর বান্দরবানে এসে তার খুশির মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গেল। ইচ্ছে করছে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পাহাড় টা ছুঁয়ে আসতে। দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি এক নিমিষেই দূর হয়ে গেল প্রকৃতির সান্নিধ্যে। নির্মল একটা বাতাস এসে ছুঁয়ে দিয়ে গেল আদ্র ও তুলির অঙ্গে। চোখ বুঁজে বাতাসে প্রকৃতির ঘ্রাণ নেওয়ার চেষ্টায় লেগে পড়ল তুলি যা দেখে আদ্রর চোখে এক রাশ মুগ্ধতা এসে ভর করল। খুশিতে আত্মহারা তুলি আদ্রর বাহু আঁকড়ে ধরে উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলে উঠল,
‘ আপনারা সবসময় এইখানে কেন থাকেন না ডাক্তার সাহেব?আপনারা এখানে থাকলে তো আমি বারো মাস আপনাদের বাসায় বেড়াতাম।’
তুলির কথা কর্ণপাত হতেই সবাই মিটমিট করে হাসতে লাগল। সেদিকে কোনো খেয়াল নেই তার। সে তো দৃষ্টি তুলে নিষ্প্রভ চেয়ে আছে আদ্রর ঠোঁটের কার্ণিশে লেগে থাকা হাসির পানে। পিছন থেকে হাসির শব্দে ধ্যান ভাঙল তার। জড়তায় আড়ষ্ট হয়ে পড়ল তুলি। অন্তু দাঁত কেলিয়ে বলে উঠল,
‘ তুমি কিন্তু তেরো মাস বেড়াতে পারো তুলি।’
ভ্রু কুঁচকাল তুলি। অবাক স্বরে প্রশ্ন করল,
‘ তেরো মাসও হয় নাকি ভাইয়া?’
তুলির প্রশ্নে সবাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল অন্তুর দিকে। অন্তুর মনে মনে পৈশাচিক আনন্দ হচ্ছে সবাইকে প্রশ্নের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পেরে। এতোকাল ছিল অবহেলিত, আজ তুলির কারণে বেচারা সবার কাছে পাত্তা পাচ্ছে। কিন্তু রিস্ক নেওয়া যাবে না। কারণ দেখা যাবে জবাবে উৎসুক দৃষ্টি গুলো আগুনের ন্যায় জ্বলে উঠবে। আর নিজের ভালো তো পাগলেও বুঝে তাহলে অন্তু কেন বুঝবে না?কথাটা ভেবে অন্তু গম্ভীর স্বরে বলল, ‘ আগে নামি,যেতে যেতে বলব।’
পায়েল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে নেমে গেল,যা দেখে অন্তু বুকে থু থু দিতে লাগল। ‘এই এক মেয়ে যদি পারত তোকে চোখ দিয়েই খুন করত অন্তু। সাবধান ভাই!সাবধান পায়েল ডাকিনীর নিকট হতে।’ বিড়বিড় করতে করতে গাড়ি থেমে গেল অন্তু। বাড়ির ভিতরের দিকে চলে যেতে নিলে পায়েল সামনে এসে হাত ছড়িয়ে দাঁড়াল। অন্তু অবিশ্বাস্য স্বরে বলে উঠল,
‘ বেবী ইউ ওয়ান্ট টু হাগ মি?আই কান্ট বিলিভ দিস।’
কথাটা বলেই যেই না পায়েল কে জড়িয়ে ধরতে যাবে পায়েল ধুম করে এক ঘুষি দিল অন্তুর বুকে। বেচারা অন্তু ‘আহ্’ শব্দ করে ছিটকে এল। ততটা ব্যাথা না পেলেও করুন চাহনি নিক্ষেপ করল পায়েলের উপর। হাসতে হাসতে গাড়ি থেকে নেমে এল সবাই। বাড়ির কাজের লোক এগিয়ে এসে ব্যাগ গুলো নিয়ে গেল ভিতরে। আদ্র আমরিনের কাছ থেকে জারিফা কে নিজের কাছে নিয়ে নিল। মেয়েটা এতো ঘুৃম কাতুরে, সারা রাস্তা ঘুমোতে ঘুমোতে এসেছে। এখনো আদ্রর কাঁধে মাথা রেখে গলা জড়িয়ে ঘুমে মগ্ন। পায়েল রাগী চোখে তাকিয়ে বলল,
‘ ঢং না করে তুলির কথার জবাব দিয়ে যা। অনেক তো জিনিয়াস আপনি ফেলটুস ডাক্তার অন্তু। কাইন্ডলি বলে যান তেরো মাস কিভাবে হয়?’
‘ বারো মাসের সাথে এক মাস যোগ করলে তেরো মাস। একদমই সিম্পল।’
অভিজ্ঞদের ন্যায় ভাব নিয়ে প্রতুত্তর করল অন্তু। তুলি ফিক করে হেসে দিল। হাসতে হাসতে আদ্রর বাহুতে মাথা ঠেকাল। অন্যদিকে সাগর,রিমি,নিবিড়,আমরিনও হেসে কুটিকুটি। পায়েল ভাবুক স্বরে বলে উঠল,
‘ ওহ আচ্ছা তাই নাকি ফেলটুস ডাক্তার? আপনার মতো জিনিয়াস কে তো সম্মাননা প্রদান করা নাহলে আমাদের মতো ডাক্তারদের জীবনটাই তেজপাতা।সুতরাং,,,,,,,আমি আপনাকে কিছু দিতে চাই। ‘
পায়েল শয়তানি হাসি দিয়ে এগিয়ে আসতে লাগল। অন্তু আঁড়চোখে একবার পরখ করে নিল পায়েলকে। সুবিধা ভালো ঠেকছে না তার কাছে। হয়তো রক্ত চুষার প্রস্তুতি নিচ্ছে মেয়েটা। অন্তু ওয়ান, টু, থ্রি বলে দৌড়ে এসে পায়েল কে ধাক্কা দিয়ে পালাতে লাগল। পায়েল মাটিতে পড়ে গিয়ে রাগে,অভিমানে চিল্লিয়ে উঠল,’অন্তুর বাচ্চা সন্তু!আই কিল ইউ।’
অন্তু পিছন ফিরে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে বলল,’ আই কিস ইউ।’
হু হু করে আরেকদফা হেসে উঠল সবাই। তুলির সাথে হাঁটতে হাঁটতে রিমি বলল,’ ওরা দু’জন এতো বড় হয়েছে তবুও বাচ্চা। একসাথে হলেই দ্বন্দ্ব। কিন্তু জানো তুলি দু’জন আবার দু’জন কে না রাগানো ছাড়া একটা মুহুর্তও থাকতে পারে না। আমাদের পুরোটা মেডিকেল লাইফ কাটল ওদের খুনসুটি দেখেতে দেখতে।’
‘ ওনারা কি একে অপরকে ভালোবাসে?’ -তুলি মুখ ফস্কে মনের প্রশ্ন বাহিরে প্রকাশ করে ফেলল। করে নিজেই হতভম্ব। রিমি আলতো হেসে বলে,
‘ আরে না। ওরা তো একে অপরের জাত শত্রু। তাছাড়া পায়েলের একটা রিলেশন আছে। রিলেশন বললে ভুল হবে বিয়েটা দু’বছর আগে পারিবারিক ভাবেই ঠিক হয়েছে। হয়তো খুব শিগগিরই বিয়েটা হয়ে যাবে।’
কথাগুলো শ্রবণ গ্রন্থিতে পৌছাঁতেই অজানা এক ব্যাথা অনুভব করল তুলি। কেন সে নিজেও জানেনা। তবে তার অবুঝ মনটা চার জোড়া চোখে ভালোবাসা দেখেছে। হতে পারে তার বুঝার ভুল। তাহলে কি আদ্রর অনুভূতিগুলো বুঝতেও অক্ষম সে?আঁতকে উঠল তুলি। আদ্রর দিকে চাইল সূক্ষ্ণ দৃষ্টিতে। তার মন বলছে কোনো কিছুই মিছে নয়,আবার সবকিছুই মিছে। কেননা কার মনে কি আছে কে জানে!চোখ তো অনেক কিছুই দেখায়,কিন্তু মন!মন তো অনেক কিছুই লুকায়। ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল তুলি।রিমির দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
‘অন্তু ভাইয়া?’
‘ অন্তু তো পায়েল কে রাগায়। কিন্তু কেন জানিনা আমার মাঝে মাঝে ফিল হয় অন্ত পায়েল কে নিয়ে কিছু অনুভব করে। আমার দ্বারা ভুলও হতে পারে। শুধু এতটুকু চায়, দু’টো ভালোবাসার মানুষ সর্বদা একসাথে থাকুক।’
হতাশ কন্ঠে বলল রিমি। নিজের আঁখি যুগল নিবদ্ধ করল মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাড়ির ভিতরে যাওয়া সাগরের দিকে।
তুলি আর কিছু বলার ইচ্ছে পোষণ করল না৷ সবাই একসাথে বাড়ির ভিতরে ঢুকল। ওদের আগেই বাকি সবাই চলে এসেছে। ড্রইং রুমে আসতেই অপরিচিত অনেক লোক দেখতে পেল তুলি। একজন পুরুষ ও মহিলা এগিয়ে এসে সবার সাথে কথা বলতে লাগল। তাদের চিনে না তুলি। রিমি,পায়েলরা নাকি আগেও এসেছিল এখানে বেড়াতে, তাই জিজ্ঞেস করতেই জানালো ওনারা আদ্রর চাচা-চাচী। দূরে একটা মেয়েকে দেখিয়ে বলল,মেয়েটা আদ্রর চাচাতো বোন ঝুমু। নজরকাড়া সুন্দরী মেয়েটা। বয়স তুলির থেকেও দুই অথবা তিনেক বড় হবে ধারণা করে নিল তুলি। আদ্র জারিফা কে তার ছোট ফুপুর কোলে দিয়ে সবার সাথে হাসিমুখে কৌশল বিনিময় করতে লাগল। মুগ্ধ নয়নে দীর্ঘক্ষণ চেয়ে রইল তুলি। ঘোর কাটল তার একটা মেয়েলি কন্ঠস্বরে।
‘ আমি ঝুমু। তুমি নিশ্চয়ই তুলি?আমরিনের কাছ থেকে অনেক শুনেছি তোমার কথা।’
‘ শুনেই চিনে ফেললেন?’
চোখ বড় বড় করে বলল তুলি। বিনিময়ে ঠোঁট প্রসারিত করে একটা মুগ্ধময় হাসি উপহার দিল ঝুমু। তুলির হাত টা টেনে ধরে,
‘ ছবি দেখেছি।’
‘কার কাছ থেকে?’
‘ ইট’স সিক্রেট। ‘–মুখের হাসিটা বজায় রেখে বলল ঝুমু।
তুলিও আর মাথা ঘামাল না। এতোক্ষণ খারাপ না লাগেলও এখন সারাদিনের ক্লান্তি ঝেঁকে ধরেছে তাকে। মাথাটা ভার হয়ে আসছে। আদ্র একবার তুলির দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিল। ঝুমুর উদ্দেশ্যে বলল,
‘ ওকে নিয়ে যা।’
ঝুমু কোনো প্রকার শব্দ না করে বাধ্য মেয়ের মতো তুলি কে নিজের রুমে নিয়ে এল। রুমটা বেশ সুন্দর। বেলকনি থেকে বাতাস ধেয়ে আসছে। সাদা পর্দাগুলো উড়ছে বাতাসের দাপটে। অমায়িক হাসল তুলি। ক্লান্ত মিশ্রিত স্বরে বলল,
‘এটা কি তোমার রুম আপু?’
‘হুম। তুমি আমার সাথেই থাকবে।’
তুলি আর কিছু না বলে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। ঝর্ণার পানি ছুঁয়ে যাচ্ছে দেহের সর্বাঙ্গে। কিছুটা শীত শীত অনুভব করল তুলি। নিজের ডান হাত টা মেলে ধরতেই শীতল একটা স্রোত বয়ে গেল শিরদাঁড়া বরাবর। শরীর টা কাটা দিয়ে উঠছে ক্ষণে ক্ষণে। গাড়িতে বহুবার আমরিন কে জিজ্ঞেস করতে চেয়েছে মেহেদী সে দিয়েছে কিনা!কিন্তু জড়তা-সংকোচে দমে যায় তুলি। চুল মুছতে মুছতে রুমে আসতেই বারান্দায় একটা অবয়বের উপস্থিতিতে অন্তর আত্মা কেঁপে উঠে তার। তোয়ালে টা রেখে পা পা টিপে টিপে অবয়ব টা কে ভয় দেখানোর দুষ্ট বুদ্ধি নিয়ে শব্দহীন পিছনে এসে স্থির হল। উচ্চস্বরে চিল্লানোর প্রস্তুতি নিতেই মানুষ টা পিছন থেকে তার এক হাত টেনে সামনে এনে নিজের সম্মুখে দাঁড় করাল দ্রুত গতিতে। আচমকা এহেন কান্ডে দু’ চোখ বুঁজে জোরে জোরে শ্বাস ফেলতে লাগল তুলি ক্রমাগত। সামনের ভেজা চুল গুলো থেকে টুপ টুপ পানি গড়িয়ে যাচ্ছে শ্যামলা চেহারায়,যা চোখে ভাসতেই ঘোর লেগে এল আদ্রর। হৃদপিণ্ডে প্রবল কম্পন অনুভত করল সে। ঠোঁটে মুগ্ধ হাসি ফুটিয়ে ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,
‘ চোখ খুলো তুলা।’
ধপ করে চোখ মেলে চাইল তুলি। আদ্র কি জানে তার একটা ডাকে তুলির ভিতরটা কেমন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে? ঘোর লাগা কন্ঠস্বর সেকেন্ডের পলকেই কেমন করে তুলির হৃদপিণ্ডে আঘাত করেছে?উঁহু জানেনা। জানলে বিরত থাকত তুলি কে এলোমেলো করা হতে। আজকাল তার ছোট্ট মন, হৃদপিণ্ডটা অসুস্থ অনুভব করছে। ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠে, বেদনায় সিক্ত হয়ে পড়ছে আদ্র কে পাওয়ার লোভে। হাতে স্পর্শ পেতেই ধ্যান ভাঙল তার। আদ্র হাত টা আঁকড়ে ধরে বেলকনির হলদেটে আলোয় কিছুটা একটা গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করে চলেছে। জমে গেল তুলি। লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠল তার মুখটা। এভাবে লজ্জায় পড়তে হবে ভাবে নি একদম । সে তো ভেবেছিল কয়েকদিন লুকিয়ে রাখলে মেহেদীর রঙ মুছে যাবে সেই সাথে ডান হাতের তালুতে হলদেটে নিয়ন আলোয় জ্বলজ্বল করা ‘ আদ্র ‘ নামক নামটাও। আদ্র হাত টা আরেকটু উপরে তুলতেই তুলি এক নাগাড়ে বিষন্ন স্বরে বলতে লাগল,
‘বিশ্বাস করুন আমি লিখি নি। কে লিখেছে জানিনা। আমি তো,,’
‘ আমি লিখেছি। মেহেদী আমরিন দিয়েছে, নামটা আমি লিখেছি।’–আদ্রর নির্লিপ্ত জবাব।
অসম্পূর্ণ থেকে গেল তুলির মুখের বাক্য। কিঞ্চিৎ দূরত্ব তৈরি হল দু ঠোঁটের মাঝে। আদ্রর কথাটা যেন ঠিক বর্জ্যপাতের ন্যায় তরঙ্গিত হল কর্ণকুহরে। এটা একদম অপ্রত্যাশিত তার নিকট। কম্পিত স্বরে প্রশ্ন করল ‘আ,,আপনি?’
‘হু!’
সামান্য মৃদু হাসল আদ্র। তুলির হাতে ছুঁয়ে দিল নিজের শুষ্ক ওষ্ঠদ্বয়। নিমিষেই ছ্যাঁৎ করে উঠল বুক টা। নির্ভীক,নিষ্পলক তুলির দৃষ্টি। পা দুটো অসার হয়ে আসছে। তুলি প্রখরভাবে নিজের অনুভূতি গুলো অনুভব করতে পারছে। অনুভব করতে পারছে সদ্য ধেয়ে আসা ঝড়। থম মেরে রইল সে। আদ্র তুলির হাতে একটা ব্রেসলেট পড়িয়ে দিল,যা গাড়িতে ফেলে এসেছিল তুলি। তুলির ছোট ছোট আঙ্গুলের ভাঁজে নিজের আঙ্গুল রেখে মুগ্ধতার স্বরে বলে উঠল,
‘ আমার অস্তিত্ব না থাকলেও তোমার হৃদয়ের গহীনে যেন ‘আদ্র’ নামটা চির সজীব থাকে তুলা।’
তুলির চমকিত নয়ন দু’টো আদ্রর নীলাভ চোখে স্থির হল। সাথে সাথেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে গেল এক ফোঁটা নোনাজল। দুর্বল হাতে আদ্রর সাদা শার্ট টা টেনে ধরে করুণ কন্ঠে ডেকে উঠল,
‘ ডাক্তার সাহেব? ‘
‘হু!’
‘আমার হার্টের চিকিৎসা করে দিবেন?’
#চলবে….!
(ভুল -ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। রি-চেইক করা হয়নি।)