আকাশে তারার মেলা সিজন 2 পর্ব-৫১

0
2294

#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব_৫১

হাতে দু’টো চিরকুট ও মনে দুপুর হতে জমে থাকা ভাবনা নিয়ে তুলি বেলকনিতে পাতানো কাউচে বসে আছে। পা দুটো গুটিয়ে রেখে হলদে দীপ্ততায় নির্নিমেষ চেয়ে আছে মেঝেতে। অন্তস্থল কাঁপছে, মনে জাগছে প্রশ্ন। মস্তিষ্কে বিচরণ করে বেড়াচ্ছে আদ্রর উচ্চারিত ‘ বছরের পর বছর আড়ালে প্রটেক্ট করে আসছি আর তুই সামনেই ছুঁয়ে দিবি’ বাক্যটা। তুলির মন বলছে আদ্র তাকে বহু আগে থেকে ভালোবাসে। নয়তো এই চিরকুট দুটোতে এমন কেন লিখত! আঠারো তম জন্মদিনে দেওয়া সেই চিরকুট টা এক হাতের মুঠোয়, অন্য হাতে গ্রামে দেওয়া ‘বেক্কল’ বলে সম্বোধন করা প্রথম চিরকুট।

তুলি কখনও এই চিরকুটে লিখিত প্রত্যেক টা শব্দের গভীরতা কল্পনা করে দেখে নি। আজ আদ্রর কথায় কেমন রহস্য রহস্য ঠেকছে তার নিকট। চিরকুট দু’টো ও আজকের সমীকরণ মেলালে ফলাফল বেরিয়ে আসে দীর্ঘদিনের ভালোবাসা। কিন্তু কবে,কখন, কিভাবে ভালোবাসল আদ্র!তাকে তো তুলি কখনও দেখে নি। সেইবার যখন সায়েরা বেগম বলেছিল তখনও দেখার সুযোগ হয় নি। আর প্রথম যেই চিরকুট টা দিয়েছিল সেটাতে স্পষ্ট ভালোবাসার ছোঁয়া কিন্তু অবুঝ তুলি কোনো কালেই ঠাহর করতে পারে নি তা। তাহলে ভালোবাসে আগে থেকে কিন্তু তুলির আদ্রের সাথে দেখা হয়েছে ঢাকা শহরে এসে প্রথম। সব কেমন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে তুলির। কোথায় মিলবে এই রহস্যের সমাধান?

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উঠে দাঁড়াল তুলি। আজ এত বেশি খাইয়েছে আদ্র জোর করে নিজ হাতে,এখন মনে হচ্ছে পেট ফুলে বড় আকার ধারণ করেছে। লাভ কি!দেখা যাবে একটু পরেই বমির সাথে সব বের হয়ে যাবে। কোনো কিছু খেয়ে শান্তি নেই তুলির। আদ্রও হাল ছাড়ার পাত্র নয়,বারংবার জোর করে খাওয়ায়। না খেলে জেদ দেখিয়ে নিজেও খায় না। তুলি নিজের জন্য তো আর তার ডাক্তার সাহেব কে কষ্ট দিতে পারে না। অতএব চুপচাপ গিলে যায় সব খাবার। আগে এতোটা জোর করত না আদ্র তবে যখন থেকে শুনেছে প্রেগন্যান্সির কথা তখন থেকেই এমন করে যাচ্ছে। তুলি জানে আদ্রর মাঝে খুশির পাশাপাশি প্রচন্ড ভয়ও কাজ করছে। হারিয়ে ফেলার ভয়। আজ সন্ধ্যার দিকে বেহুঁশ হয়ে গিয়েছিল তুলি। তখন পায়েল ভালো করে দেখে কিছু টেস্ট করে জানাল তুলির শরীর খুব বেশি দুর্বল। প্রেগন্যান্সি টাইমে এতো দুর্বলতা পরবর্তীতে ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াতে পারে। তখন থেকেই আদ্র কে অস্থির দেখাচ্ছে, কথা বলছে না খুব একটা। আদ্র এতো জলদি বেবী চাই নি,তুলিকে শারীরিক ও মানসিক দু’ভাবে স্ট্রং হওয়ার সময় দিতে চেয়েছিল। অথচ! তুলির জেদের কাছে হেরে গিয়েছে, নত হয়ে গেছে ভালোবাসার মানুষের অশ্রুসিক্ত কন্ঠের আবদারে।

ধীর স্থির ভঙ্গিতে হেঁটে রুমে এল তুলি। আদ্র নেই। নীরবতা, নিস্তব্ধতা ছেয়ে আছে পুরো রুমে। এখনই তো বসে বসে ল্যাপটপে কিছু একটা করছিল,হুট করে কোথায় উদাও হয়ে গেল! দরজা টা খোলা। হয়ত নিচে গিয়েছে। একটু ঝুঁকে ড্রয়ার থেকে ডায়েরি টা বের করে হাতে নিল তুলি। ওই বাড়ি থেকে আসার সময় নিয়ে এসেছিল। পুরোটা পড়া তো হয়নি সেদিন আদ্রর আকস্মিক আগমনে। হতে পারে বাকি রহস্য উন্মোচন হবে এই ডায়েরি পড়ার পর। বিছানায় পা তুলে বসল।শাড়ির আঁচল মেঝে ছুঁই ছুঁই।
.
.
বিষাক্ত যন্ত্রণায় যখন প্রতিনিয়ত ছটফট করছিল অন্তঃকরণ, হৃদপিন্ড,তখনই সাগরের ঢেউ যেন আছড়ে পড়ল আমার বুকে। দহন নিভে গেল কিন্তু বেড়ে গেল তৃষ্ণা। যে নিঃশেষ করেছিল অনল তাকে দেখার নিমিত্তে দিনকে দিন তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়লাম। কল্পনার জগতে,মন মস্তিষ্কে বিচরণ করতে লাগল ঘর্মাক্ত ক্লান্ত দেহটুকু নিয়ে দৌড়ে আসা সেই মেয়েটা। পিচ্চি একটা মেয়ে! দুই বেনুনি দুলছিল দুই দিকে দৌড়ার তালে তালে। গায়ে কালো রঙের একটা থ্রি পিস। ডাগরডাগর আখিঁ যুগল অবিন্যস্ত দৃষ্টি ফেলে হাতে কাঁচা হলুদ নিয়ে এগিয়ে আসছে। মেঠোপথে দাঁড়িয়ে আমি তাকিয়ে রইলাম মেয়েটার দিকে কয়েক পলক। হাতের সিগারেট টা ফেলে দিলাম। ইচ্ছে করছিল মেয়েটা কে থেমে যেতে বলি। কিন্তু পারলাম না। চলে গেল পিচ্চি টা পাশ কাটিয়ে। চোখের আড়াল হলেও বাড়িয়ে দিয়ে গেল আমার হৃদস্পন্দন। শ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছিল। গাড়িতে উঠে পাঁচ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করে চলে এলাম নানুর বাড়িতে।

নানুর বাড়িতে আসার ইচ্ছে ছিল না। কোথাও গিয়ে বেড়ানোর ইচ্ছে টা হয় না আমার সচরাচর। ছোট বেলাতে তিন -চার বার হয়ত এসেছিলাম আর আসা হয় নি। মামাতো বোন নাহিদার রিকুয়েষ্ট ফেলতে পারলাম না। মেয়েটার বিয়ে এটেন্ড করেই চলে আসার ডিসিশন নিয়েই কুমিল্লা আসলাম। কিন্তু কে জানত যেখানে বছরের পর বছর পদলি পড়ে না আমার সেখানে আমার মন ছুটে আসার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে উঠবে!

নানুর বাড়িতে প্রবেশ মাত্র ভ্রুঁ জোড়া কুঁচকে গেল। তীব্র অবাকতা আষ্টেপৃষ্টে আবেষ্ট করে নিল আমায়। উঠোনে বসে পিচ্চি মেয়েটা হলুদ বাটা দেখছে। ভালো করে তাকাতেই মাথায় যেন আগুন জ্বলে উঠল। আমরিন কে দেখে এক সাইডে এনে জিজ্ঞেস করলাম,

‘ মেয়েটা কে?’
‘কোন মেয়েটা ভাইয়া?’
‘ উঠোনে কালো ড্রেস পড়া পিচ্চি মেয়েটা।’
‘ ওহ্ তুলি। তুমি তো ওকে দেখো নি,আফসানা খালা মণির মেয়ে। ‘
‘ ওকে বলিস সুন্দর ভাবে চলাচল করতে।’

এতটুকু পড়ে তুলি অপর পৃষ্ঠা উল্টালে সাদা পাতা ভেসে উঠল চক্ষে। দম বন্ধ হয়ে আসছে তুলির সবকিছু জানার জন্য। পরে কি হয়েছিল?আদ্র কেন সুন্দর করে চলতে বলেছিল!পুরো ডায়েরি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোনো লিখা পেল না তুলি। এতটুকুতেই শেষ ডায়েরির লিখা। তুলির বুকের উচাটন বেড়ে গেল। অস্থির অনুভব করতে লাগল ক্রমাগত। আদ্র কেন লিখে নি আর!এ কেমন জ্বালায় ফেলে দিল? ইচ্ছে করেই কি এমন করল সুদর্শন ডাক্তার সাহেব!

তুলি ভাবনার প্রাসাদ চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল অকস্মাৎ। বিড়বিড় বন্ধ হয়ে এল নিমেষে। স্থবির দৃষ্টি চোখের সামনে ধরে রাখা দুধের গ্লাসের দিকে। আদ্র দুধের গ্লাস টা বাড়িয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঠাঁই। বার কতক ইশারা করল নেওয়ার জন্য। তুলি হাতে নিয়ে নিল। মুখ টা মলিন হয়ে আছে মেয়েটার। একটুখানি খেয়ে রেখে দিল টেবিলে গ্লাস টা। আদ্রর সাথে তার ঢেড় অভিমান হয়েছে। এটুকুই যখন লিখল তাহলে কি দরকার ছিল ডায়েরি টা দেবার?আবার যেচে জিজ্ঞেস করতেও পারছে না, লজ্জা লাগছে।

টু শব্দও করল না তুলি। গুটিসুটি মেরে শুয়ে পড়ল বিছানায় এক পাশে। আদ্র গায়ে কাঁথা টেনে দিল। ড্রিম লাইট টা জ্বালিয়ে শুয়ে পড়ল তুলির পাশে। কোমরে ধীর ধীর স্পর্শে তুলির বক্ষে দ্রিমদ্রিম শব্দ হচ্ছে। শাড়ির ফাঁক দিয়ে হাত গলিয়ে আদ্র কাছে টেনে নিল। পিঠ গিয়ে ঠেকল তার প্রশস্ত বুকে। তুলি ঘুরে তাকানোর পূর্বে আদ্র স্মিত হেসে বলে উঠল,

‘ প্রথম যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম সেদিনই তোমাকে কষিয়ে থাপ্পড় মারতে ইচ্ছে করছিল আমার।’

আদ্রর মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ কন্ঠ কর্ণপাত হতেই তুলি হুড়মুড়িয়ে উঠে বসল। উদ্বিগ্ন স্বরে প্রশ্ন করল,

‘ মারতে ইচ্ছে করছিল মানে?’

হাত টেনে তুলি কে শুয়ে দিল আদ্র। চুলে বিলি কাটতে কাটতে বললো,

‘ উঠোনে বসে যখন হলুদ বাটা দেখছিলে হয়ত ভুলবশত তোমার ওড়না সরে গিয়ে বুকের অনেকখানি দৃশ্যমান ছিল। মেয়েদের এতো বেখেয়ালি হতে নেই। তখন আমার অভ্যন্তরীণ সত্তা বার বার সেদিকে চেয়ে থাকার প্রস্তাব দিচ্ছিল। বহু কষ্টে নিজেকে সংযত করে নেই আমি। তবে আমার মাথায় উদয় হয়েছিল যদি আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকত?অন্য কোনো পুরুষ যদি তোমায় এভাবে দেখত?আমি প্রথম দেখায় তোমার প্রেমে পড়ি নি,ভালোও বাসি নি তবে নিদারুণ অধিকারবোধ জাগ্রত হয়েছিল। মন বলছিল তুমি আমার জন্যই। মেজাজ এত খারাপ হয়েছিল আমার হাতে সত্যিই থাপ্পড় খেতে তুমি। বেঁচে গেলে বিয়ে বাড়ি হওয়াতে এবং সেদিন বিকেলেই জরুরি কাজে আমি ঢাকা ব্যাক করায়।’

তুলির সঙ্গে সঙ্গে চক্ষুদ্বয় বুঁজে ফেলল। ছিঃ!আমরিন তার জন্যই সেদিন কৌশলে ওড়না টা ঠিক করে দিয়েছিল!মান সম্মান সব শেষ হয়ে গেল,ডুবে গেল জলে। আদ্রর হাত গাল স্পর্শ করতেই চোখ দুটো আরও খিঁচে নিল। আদ্র মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় চেয়ে থেকে মৃদু হাসি হাসল। কানের কাছে মুখ নিয়ে রসাত্মক স্বরে ফিসফিস করে বলে উঠল,

‘ এতো লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আর লজ্জা পেয়ে, মুখ লুকিয়েই বা কি হবে? মান-সম্মান সর্বস্ব তো আমি কেঁড়ে নিয়েছি বউ।’

আকাশ থেকে পড়লে তো মানুষ মরে যাবার কথা!তুলি শ্বাস ফেলছে কেন?আদ্রর কথা শুনে তো সদ্য অন্তরিক্ষ হতে লাফ দিয়ে পড়েছে মনে হলো। বুক টা ভীষণ কাঁপছে। পাশে অবস্থিত ব্যক্তির বুকে মুখ লুকানোরও জো নেই। পিটপিট করে নেত্র মেলতেই আদ্র ভ্রুঁ নাচালো। সাথে সাথে মুখ ফিরিয়ে নিল তুলি। ডাক্তার রা এতো অসভ্য হয়!তৎক্ষনাৎ অনুভব করল কপোলে উষ্ণ পরশ। গলায় ওষ্ঠ ছুঁয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে নিল আদ্র, তুলির নরম দেহটাকে। আলতো করে নয় বরং শক্ত করে। নিষ্প্রভ স্বরে বলতে লাগল,

‘ তোমাকে বিয়ে করব না বলে মা কে কতো এড়িয়ে গেলাম অথচ একটা সময় আমি নিজেই পাগলের মতো ছুটে এসেছি মায়ের কাছে। তোমাকে বিয়ে করব বলে আবদার করেছি। তোমাকে প্রথম দেখে আসার পর থেকে ভালোবাসা না জন্মালেও বড্ড তৃষ্ণা পেয়ে থাকত আমার তোমাকে দেখার। মনের সাথে জোর চলে কার!সপ্তাহে তিনদিন তোমাকে দেখতে ছুটে যেতাম কুমিল্লা। কষ্ট হতো এতো বার আসা যাওয়া কিন্তু পরিশ্রান্ত অক্ষি যুগল তোমার মুখটা দেখলেই শান্তি পেত। বিলীন হয়ে যেত সকল ক্লান্তি। একদিন স্কুল শেষে মর্মিতার সঙ্গে হাসতে হাসতে বাসায় ফিরছিলে। আমি গাড়িতে ছিলাম। ঠিক সেই মুহুর্তে উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম আমার হৃদয় স্পর্শ করা প্রথম মেয়ে তুমি যাকে পাওয়ার ঝোঁক প্রবল ভাবে ঝেঁকে ধরেছে আমাকে। তোমার বাবা কে তোমাদের নিয়ে আসার প্রস্তাব টা আমিই দেয়। কি করব তিনদিন একটু একটু করে দেখাতে প্রশান্তি পাচ্ছিলাম না। বছরের পর বছর কষ্ট বাড়তে লাগল উল্টো। তাই প্রতিদিন দেখার জন্য এমনটা করতে হলো।’

আদ্র থামল। তুলির চোখে চোখ রেখে বললো,

‘ তুমি আরেকটু বড় হতে পারলে না তুলা?তুমি যদি আমার অপেক্ষার মুহুর্তগুলো অনুভব করতে পারতে তবে বোধহয় আরও আগেই আমার বুকে থাকতে।’

শেষ কথাটা বলতে গিয়ে আদ্রর গলা ধরে এল,তুলি তা বুঝতে পারল স্পষ্ট। নিস্তব্ধ,নির্বাক তুলি!পরমুহুর্তে একটু উপরে উঠে আদ্রর কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিল। আদ্রর ভালোবাসা এত প্রখর কেন!গরম নিঃশ্বাস ছুঁয়ে দিচ্ছে তুলির অধর বরাবর। ঠিক সেখানেই আদ্র স্পর্শ করল গভীরভাবে।
____________

হসপিটালের করিডোরে তুলিকে বসে থাকতে দেখে স্তব্ধ পূর্ব। মেয়েটার পেট টা খানিক উঁচু হয়ে আছে। শরীরটা আগের থেকে গুলুমুলু হয়েছে। সুন্দরও হয়েছে বেশ। পূর্বর হৃদয়ে কোথাও একটা নাড়া দিয়ে উঠল ব্যাথা৷ অতি সূক্ষ্ম জমিয়ে রাখা ব্যাথা!চোখ ঝাপসা হয়ে এল। পাশে দাড়িয়ে থাকা তিশা অস্ফুট স্বরে বললো,

‘ আপনার কি খারাপ লাগছে পূর্ব?তুলি কে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে। ছোট্ট মেয়েটা মা হবে আজ বাদে কাল।’

পূর্ব তিশার কাছ থেকে ত্রিহান কে নিয়ে নিল। কিঞ্চিৎ ফাঁক হলো দু ঠোঁট। তিশার কপালের এক কোণে ছুঁয়ে বললো,

‘ আমাকে ক্ষমা করে দিও তিশা। আমি অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোথাও না কোথাও তুলি মনের সুপ্ত কোণে থেকে গেছে। ও শুধুই সুপ্ত কোণে থাকে। বর্তমানে আমি তোমাকে ভালোবাসি এটাই সত্য।’

‘ আমি জানি পূর্ব। এই যে আমাদের ছেলে আমাদের ভালোবাসার চিহ্ন। ত্রিহান কে তো ডাক্তার দেখিয়ে ফেলেছি, চলুন তুলির কাছে যাই।’

‘ না। ‘

তিশা কে বাঁধা দিয়ে সামনে তাকাতে বললো পূর্ব। দেখতে পেল আদ্র তুলি কে কোলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আর তুলি!সে তো লজ্জায় মুখ লুকিয়ে রেখেছে। পূর্ব ক্ষীণ হাসল। তিশার হাত টা ধরে বললো,

‘ ভালোবাসা মনে দ্বিতীয় বারও জন্মে। ভালোবাসি তিশা।’

#চলবে,,,

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্প কেমন হচ্ছে বলবেন প্লিজ!)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here