‘ সতেরো বছর বয়সেই তুমি বিয়ের গন্ডি পেরিয়ে বহু বাচ্চা -কাচ্চার মা হয়ে যাবে বিষয় টা ইন্টারেস্টিং তুলা। তবে যাই বলো বাচ্চা আবার বাচ্চার মা হবে তা নিতান্ত হাস্যকরও বটে। বাই দ্যা ওয়ে তুমি প্রস্তুত তো তুলা?’
পুরুষালি গম্ভীর স্বরের তিরস্কার সুর কর্ণকুহরে পৌঁছতেই ধ্বক করে উঠল তুলির ছোট্ট মন। হাত থেকে ফস্কে পড়ে গেল তুলির সিঁদুর রাঙা লাল ওড়নাটা। মুহুর্তেই কান গুলো গরম হয়ে এল। ছি!এত লজ্জামিশ্রিত কথা কে বলতে পারে তাকে?লজ্জায় পুরো শরীরের লোমগুলো খাঁড়া হয়ে গেল। কেমন হিম করা ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে তুলির সারা দেহে। কিছুই ভাবতে পারছে না তুলি। কন্ঠ টাও বেশ অপরিচিত তার নিকট। তবে কন্ঠে কিছু একটা তো ছিল যা তুলির মনে,হৃদপিণ্ডে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে এল তুলির। কাঁপতে কাঁপতে নিচের দিকে ঝুঁকে ওড়না টা কোনোরকমে তুলে ঝটপট করে গায়ে জড়িয়ে নিল।
অজ্ঞাত ব্যক্তি টা কে দেখার তৃষ্ণায় আস্তে ধীরে কাঁপা কাঁপা শরীর টা কে হেলিয়ে পিছন ঘুরে দাড়াতেই থমকে গেল তুলি। প্রচন্ড বেগে কিছু একটা আচড় কেটে গেল তার বুকের ঠিক মাঝখানটায়। হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি হতে লাগল তীব্র থেকে তীব্রতর। আগের চেয়েও বেশি তেষ্টা ঘিরে ধরল তুলির কন্ঠনালিতে। এই বুঝি পিপাসায় কাতর তুলি কাঁপতে কাঁপতে ঢলে পড়বে মেঝেতে। তার সামনে একজন অচেনা, সুদর্শন যুবক দাড়িয়ে। সুদর্শন চেহারায় চাপ দাড়ি, মুখে গম্ভীরতার ছোঁয়া অথচ ঠোঁটে লেগে আছে এক চিলতে হৃদয় নিংড়ানো হাসি। যা তুলির হৃদয় নাড়াতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। এতো সৌন্দর্যের মাঝেও তুলি আটকে আছে একটা জায়গায়। মনের সাথে শত যুদ্ধ করেও পারছে না তুলি নীলাভ দু’টি চোখ থেকে নিজের ডাগরডাগর কাজল মাখা দু’টি আঁখি সরিয়ে নিতে। এ কেমন অস্থিরতা!তুলির অচেতন মন বলে উঠল- ‘ চোখের মণি আবার নীলবর্ণের ও হয় নাকি?হয়তো!ভূতের চোখের মণি নীল হয় তুলির গ্রামের এক স্কুল বান্ধবী বলেছিল। তবে কি এই লোকটা ভূত!’ অতি সাবধানে সূক্ষ্ম একটা ঢুক গিলল তুলি। ঘূর্ণনায়মান নজর তার লোকটার উপর। তুলি চিনে না। একদমই চিনে না এই অতি সুদর্শন, সুঠাম দেহের অধিকারী ছেলেটা কে। তবুও কোন মোহে আঁটকে পড়ছে সে?তড়িঘড়ি করে নজর সরিয়ে মাথা নত করে ফেলল তুলি। মনে পড়ে গেল একটু আগের বলা কথাটা।
কথাগুলো কি এই মানুষটাই বলেছে?প্রশ্ন টা মনে জাগতেই ভ্রু কুঁচকে তাকাল তুলি। চোখ দু’টো ছোট ছোট আকার ধারণ করছে। ছেলেটা এখনও ঠাঁই দাড়িয়ে। কোনো হেলদোল নেই। একটা অপরিচিত ছেলে কেন তাকে এমন লাগামহীন বিশ্রী কথা বলল?আবার তুলা ও ডাকল। “তুলা” ডাকটা মনে হতেই শীতল একটা স্রোত বয়ে গেল শিরদাঁড়া বরাবর। তার নাম টা কে এমন করে কেন ডাকল লোকটা?কে এই ছেলেটা?রুমে কিভাবে এল?তার নাম কিভাবে জানে কিছুই বুঝতে পারছে না তুলি?আনত মস্তক তুলতেই এক ঝটকায় পিছনের দিকে ছিটকে গেল । দেহ গিয়ে ঠেকল পিছনে ড্রেসিং টেবিলে। চোখ বড় বড় করে তাকাল তুলি। মানুষ টা একদম কাছে। এতো কাছে যে তুলির হৃদস্পন্দন অনাসয়ে পৌঁছে যাবে সামনে দাঁড়ানো মানুষ টার কানের ছিদ্র দিয়ে। মুখে প্রসারিত হাসির রেখা দেখে ধুক করে উঠল তুলির বুকটা। এতো সুন্দর হাসি!ছেলেদের এতো সুন্দর হাসি হয়?তুলির নিজেকে পাগল পাগল লাগছে। তার কিশোরী মন উদভ্রান্তের মতো ছুটে চলেছে এদিক সেদিক। সুদর্শন অজ্ঞাত এই যুবকের সান্নিধ্য নিতে পারছে না সদ্য ফুটে উঠা কিশোরী মন টা। বাচ্চা সুলভ মনটা যেন কোনো ট্রমায় ভুগছে। শুকিয়ে যাওয়া গলায় আমতা আমতা করে প্রশ্ন ছুড়ল সুঠাম দেহী যুবক কে।
“ককককে আপনি?”
“প্রস্তুত তো তুমি?”
দৃঢ় কন্ঠে পাল্টা প্রশ্ন শুনে হকচকিয়ে গেল তুলি। হাত দু’টো টেবিলের পিছনে চেপে ধরে বলে উঠল-
“কক,,কিসের জন্য? ”
নিমিষেই লোকটার গলার স্বর বদলে গেল। যা শুনে ড্যাব ড্যাব চোখে চেয়ে বোকা বনে গেল তুলি। কানে এসে দোলা দিয়ে গেল দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলা কথাটা।
” ইনশিতার দেবর কে বিয়ে করে বাচ্চা কাচ্চা পয়দা করার জন্য? ”
নিজের অজান্তেই মুখ হা হয়ে গেল তুলির। ইচ্ছে করল এখনই ফ্লোরে গর্ত গেঁড়ে লুকিয়ে পড়তে। অচেনা,অজানা, নিজের চেয়ে বয়সে অনেক বড় একটা যুবকের মুখে এমন কথা শুনার চেয়ে মরে যাওয়া শ্রেয় ছিল তার। সে তো কখনও গ্রামে এমন ঠোঁটকাটা ছেলে দেখে নি?ঢাকা শহরের ছেলে গুলো বুঝি এমন ঠোঁটকাটা স্বভাবের হয়?নাকি এই ছেলেটাই এমন?ভাবতেই তুলির সারা শরীরে শিহরণ বয়ে গেল। মনে পড়ে গেল একটু আগের কথা। আজ প্রথম ইনশিতা দের বাসায় এসেছে তুলি। এতো বড় বাড়ি দেখে প্রচন্ড অবাক হয়েছিল। বাবা -মার সাথে গতকালই ঢাকায় এসেছে। ইনশিতাদের বাগান বাড়ির দোতলায় ভাড়া থাকে ওরা। সম্পর্কে ইনশিতার মা তুলির মায়ের চাচাতো বোন। সেই সুবাদে খালার বাসায় আজ প্রথম এল দাওয়াত পেয়ে। ইনশিতা কে বিয়ের জন্য দেখতে এসেছে শুনে বড্ড খুশি হয়েছে তুলি। বিয়ের অনুষ্ঠান বেশ লাগে তার। কিন্তু কে জানত ইনশিতার দেবর ভাইয়ের বউ দেখতে এসে সবার সামনে লাজ লজ্জা ভুলে তুলির হাত চেয়ে বসবে। তখনই তুলি লজ্জায়-জড়তায় এক মুহুর্ত ও না দাড়িয়ে ছুটে চলে এসেছে এই রুমটায়। নিচে কি কথা হয়েছে কিছুই জানে না সে। রুমে এসে গলা থেকে জরজেট ওড়নাটা হাতে নিয়ে দ্রুত বেগে শ্বাস ফেলতে লাগল। ওড়নাটা যেন তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়েছিল। নীরবে নিজের লজ্জা নিবারণ৷ করতে চেয়েছিল তুলি তবে কে জানত এমনটা হবে! কিন্তু এই লোকটা কিভাবে জানল তুলি একদমই বুঝতে পারছে না।
‘আচ্ছা এই লোকটা কি ইনশিতা আপুর শশুড় বাড়ি থেকে এসেছে? হয়তো!আমি তো সবাই কে দেখি নি। হয়ত ছেলেটার কিছু প্রয়োজন। ‘
মনে মনে কথাগুলো বলে তুলি চট করে কিছু একটা আন্দাজ করে ফেলল। নিজের এক হাত তুলে ডান দিকে ইশারা করে দাঁত কেলিয়ে বলে উঠল-
‘আপনি বুঝি ওয়াশরুম খুঁজছেন তাই না ভাইয়া?ওই যে ওয়াশরুম। অনেক বড় ওয়াশরুম। টয়লেট টিস্যু ও আছে। এত বড় ওয়াশরুম যে আপনার বের হতেই ইচ্ছে করবে না। আর টয়লেট টিস্যু গুলো সেই,, ‘
তুলি নিজের অদ্ভুত কথাগুলো সম্পূর্ণ করার আগেই আঁতকে উঠল। চোখ মুখে নেমে এল ভয়ের ছায়া। কারণ সামনে দাড়ানো লোকটার চোখের অগ্নি তেজের প্রখরে ছোট্ট তুলি যেন জ্বলে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যাবে। মিনমিন করে বলে উঠল-
‘আমি কিছু করি নি। আমি কিছু বলি নি। আমি তো ওয়াশরুমের বর্ণনা দিচ্ছিলাম। আপনি এভাবে তাকাবেন না। আমি ছোট্ট। আমার তো ভয় লাগছে। আমি ভয় পাই তো।’
তুলির মিনমিন স্বরের কথাগুলো কানে পৌঁছতেই ঠোঁটের কোণে ক্ষীণ হাসি ফুটে উঠল লোকটার। তার নীলাভ চোখ দুটো বিচরণ করতে লাগল শ্যামবর্ণার ভয়মিশ্রিত মুখ জুড়ে। এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়া যেন নিভিয়ে দিল সমস্ত লাভা। লোকটা গায়ের শুভ্র সাদা শার্টের দু’টো বোতাম খুলতে খুলতে হেয়ালি গলায় বলে উঠল-
‘ বেচারা নিজের হাড় ভাঙার জন্য নিজেই বিপদ ডেকে এনেছে। ‘
বলতে বলতে আরকেটা বোতাম খুলের চেষ্টায় মত্ত হয়ে তুলির দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে রইল তুলি। এমন পরিস্থিতিতে সে কখনও পড়ে নি। মনে হচ্ছে তার শ্বাস টা কেউ আঁটকে দিচ্ছে। ভয়ার্ত স্বরে বলে উঠল-
‘ আপ,,আপনি কাছে আসছেন কেন?’
‘ আমি গভীরভাবে নিজের উষ্ম ছোঁয়া বিলিয়ে দিতে চাই তোমার কুচকুচে কালো তিল খানায় তাই।’
ঘোর লাগা কন্ঠের বাক্যবাণী শ্রবণ হতেই মৃদু বাতাস ছুয়ে দিয়ে গেল তুলির হৃদয়জুড়ে। ভয়মিশ্রিত চোখে একবার ছেলেটার দিকে তাকাতেই বাঁকা হাসি দেখে তব্দা খেয়ে গেল তুলি। যেন লোকটা তার মুখের ভয় দেখে মহা আনন্দ পাচ্ছে। পরক্ষনেই নিজের পিছনে আয়না আছে খেয়াল হতে মুহুর্তেই তুলির পায়ের নিচের মেঝেও যেন কাঁপতে লাগল।
‘ওওওওওমাগো,,,,’ বলে চিল্লিয়ে উঠল তুলি। নিজের সর্বশক্তি দিয়ে দৌড়ে এসে ইনশিতার রুমে ঢুকল। সুন্দর মায়াবী গড়নের চেহারার একটা মেয়ে এগিয়ে এসে ঝাপটে ধরল তুলিকে। থরথর করে কাঁপছে তুলি। আমরিন ভ্রু কুঁচকে তাকাল তুলির ভয়,লজ্জামাখা শ্যামবর্ণ চেহারায়। অসম্ভব মায়া মেয়েটার মুখে। লজ্জা, ভয় পাওয়া মুখে কাউকে এতো মায়াবী লাগে আমরিন তুলি কে না দেখেলে কখনও উপলব্ধি করতে পারত না। তবে তুলি এমন কেন করছে তা আগে জানতে হবে তার। তুলি কে বিছানায় বসিয়ে পানির গ্লাস এগিয়ে দিল আমরিন। ঢকঢক করে পানি খেয়ে তুলি ভয়ার্ত স্বরে বলে উঠল-
‘ বাম কর্ণারে দিকটায় বড় রুম টা তে একটা ভূত!’
‘ভূত?’ অবিশ্বাস্য স্বরে প্রশ্ন করল আমরিন।
‘ হ্যাঁ। নীল মণি সাপের মতো না না ভূতের মতো। অনেক ফর্সা লম্বা একটা ভূত। ছেলে ভূত।’
কপালে ভাজ ফেলে চিন্তায় মগ্ন হল আমরিন। কিছু সেকেন্ড পর তার দু গালে টোল পড়ল। হাসতে হাসতে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে এল আমরিনের। তুলির রাগে গা জ্বলে উঠল আমরিনের হাসি দেখে। দাঁত কিড়মিড় করে কিছু বলতে নিবে তখনই আমরিন হাসি থামিয়ে বলল,
‘ তুলো বেবী ওই ভূতটা আমার বড় ভাইয়া। আদ্র আহনাফ। আমার ভাই অতিরিক্ত রাগী,বদমেজাজী তাই বলে ভূত বলবি?ভাইয়া জানলে কিন্তু তুই শেষ তুলো বাচ্চা। ‘
‘ আমরিন!’
‘বল’
‘ বছর দুয়েক আগে যে গ্রামে মেম্বার এর ছেলেকে মেরে আইসিইউতে পাঠিয়েছিল উনি সেই আদ্র ভাই?’
অবিশ্বাস্য স্বরে এক ঝাঁক ভয় নিয়ে প্রশ্ন টা করল তুলি। আমরিন মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বুঝাল। পরক্ষণেই ভাবান্তর ভঙিতে প্রশ্ন করল,
‘তুই জানলি কিভাবে?’
তুলি ঢুক গিলে প্রতিত্তোর করল,
‘গ্রামের স্কুলে শুনেছি। নামটাও জেনেছি। মানুষ টা দেখি নি। কাল ডেকে এনেছি জীবনে।’
শেষের কথাটা আমরিনের কর্ণধার হল না। তুলি চট করে উঠে দাঁড়াল। আমরিন কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বড় বড় পা ফেলে সিঁড়ি বেয়ে নেমে এল। কেউ যেন না দেখে তাই পা পা টিপে বেরিয়ে এল বাড়ি থেকে। আর আসবে না সে এই বাড়িতে। কে চায় বাঘের খাঁচায় ধরা দিতে?তুলি যে নিজে এসে ধরা দিয়ে দিবে তা সম্পর্কে অবগত তো তুলি নিজেই ছিল না। বাহিরে বাগানের দিকটায় দাঁড়িয়ে দ্রুত গতিতে শ্বাস ফেলতে লাগল তুলি। চলে যেতে নিলেই কারো ডাকে পা আঁটকে গেল তার। ভয়ে ভয়ে পিছনে তাকাতেই চোখে পড়ল এক হাসিমাখা যুবকের শ্যামলা চেহারা টা। ইনশিতার হবু দেবর পূর্ব কে। একবার আশপাশ চোখ বুলাল তুলি। ভয়ে ভয়ে বলল,
‘জ্বি!’
‘চলে যাচ্ছো বুঝি?’
‘হু।’
‘ আবার দেখা হবে।’
‘হু।’
তুলি চলে যেতে নিলে আবার ঢেকে উঠল পূর্ব। রাগে,ভয়ে হাত পা ছড়িয়ে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে তুলির। এই ছেলের জন্য না জানি আবার বাঘের শিকার হতে হয় তার। পূর্ব কিছুটা কাছে এসে দাঁড়াতেই তুলি দু পা পিছিয়ে গেল। শুষ্ক ঠোঁট জোড়া জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে বলল,
‘কিছু বলবেন?’
‘ আসলে কিভাবে বলব বুঝতে পারছি না।’–মাথা চুলকে মৃদু হাসল পূর্ব।
রাগে -ক্ষোভে তুলির মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এল,
‘ বুঝতে না পারলে মুড়ি খা। মুড়ি খেয়ে বুঝ বাড়া।’
তুলির কথা শুনে হতবাক হয়ে গেল পূর্ব। চোখ ছোট ছোট করে বলে উঠল-
‘হোয়াট? ‘
হোয়াটের গুষ্টি কিলায়। আমার জান যায় যায় অবস্থা এখানে ইংরেজের আমদানি। তুলি মুখ বেঁকিয়ে কিছু একটা বলতে যাবে তখনই বারান্দায় এক জোড়া লাল চোখ দেখে হুঁশ উড়ে গেল তার। এক পা এক পা করে পিছিয়ে নিজের জীবন টা হাতে নিয়ে প্রাণপণে ছুটে গেইট দিয়ে বেরিয়ে গেল। ‘বেঁচে থাকলে অনেক কথায় বলা যাবে’ ছুটতে ছুটতে বলতে লাগল তুলি। লাল চোখ জোড়ার মালিক হাত মুষ্টিমেয় করে হালকা হেসে বিড়বিড় করল,
‘ আস্তে তুলা। দৌড়ের সাথে না জানি তুমি বাতাসে উড়ে যাও আর সাথে কারো প্রাণ পাখি টাকেও চুরি করে নাও।’
#চলবে,,,,
#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব [১]
{ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর হ্যাঁ সিজন ১ এর সাথে সিজন ২ এর কোনো মিল নেই। এটা সিজন ১ থেকে ব্যতিক্রম হবে। যারা সিজন ১ পড়েন নি তারাও সিজন ২ পড়তে পারবেন মন চাইলে। আবারও বলছি ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।}