আকাশে তারার মেলা সিজন2 পর্ব-২

0
4146

#আকাশে_তারার_মেলা_২✨
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব -[২]

ইনশিতা ও আমরিনের সাথে দ্রুত পায়ে হসপিটালের ভেতরে প্রবেশ করল তুলি। প্রবেশ করতেই গলাটা পিপাসিত হয়ে উঠল। খামচে ধরল আমরিনের হাত টা। হসপিটাল ভীতি আছে মেয়েটার। আবার সাথে কেউ থাকলে একদমই ভয় পায় না। তবে এই ভয় টা এখন কিসের জন্য ঠিক আন্দাজ করতে পারছে না তুলি। ইনশিতা যে তাকে কেন ধরে বেঁধে হসপিটালে নিয়ে এল একদমই বুঝতে পারছে না তুলির অবুঝ মনটা। আমরিনের হাত টা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ইনশিতার পিছু পিছু চলল দু’জন। একটা কেবিনের সামনে এসে থামল ওরা। দরজা ঠেলে ভিতরেই ঢুকতেই স্তব্ধ হয়ে গেল তুলির শরীর। ডাগর ডাগর চোখ গুলো কয়েকবার পলক ঝাপটিয়ে সামনে তাকাল। না তুলির চোখ গুলো একদম সত্যিই দেখছে। এ কি করে সম্ভব! দু’দিন আগেও তো ভালো ছিল লোকটা। তুলির মনে আষাঢ়ে ঝড় নেমে এল। বিষাদ ফুটে উঠল যন্ত্রণায় কাতর বেডে শুয়ে থাকা লোকটা কে অবলোকন করতেই। অতি নরম মনের আবেগে মিশ্রিত মেয়ে তুলি। সহজে কারো কষ্ট তার সহ্য হয় না। সহ্য করতেই পারে না। লোকটার জন্য খুব খারাপ লাগছে তার। আমরিনের সাথে এক সাইড হয়ে দাঁড়িয়ে রইল ঠাঁই। বেডে শুয়ে থাকা পূর্বের নিকট এগিয়ে গেল ইনশিতা। ব্যথিত নয়নে একবার দেখে নিল পূর্ব কে। হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ। কপালের দিকটাও কাটা। দেখেই বুঝা যাচ্ছে ছেলেটা বেশ ভালোই ব্যাথা পেয়েছে। অথচ গত দু’দিন আগেও ইনশিতাদের বাড়িতে সুস্থ সবল দেহ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। হঠাৎ করে কারা এমন করে মারল কিছুই জানে না কেউ। জ্ঞান ফেরার পর পূর্ব বলেছিল তিনটা ছেলে ছিল আর সবাই মুখে মাস্ক পড়া ছিল। রাতের আঁধারে স্পষ্ট দেখার সুযোগ হয় নি তার। দুঃখী কন্ঠে বলে উঠল ইনশিতা,

‘ কেমন লাগছে পূর্ব ভাইয়া?কেমন ফিল করছেন?’

পূর্ব জড়োসড়ো হয়ে স্থির হয়ে থাকা তুলির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে স্মিত হেসে উত্তর দিল,

‘ভালো ছিলাম না তবে কারো উপস্থিতি আমায় মনের জোর বাড়িয়ে ভালো হতে বাধ্য করছে। থ্যাংকস ভাবী।’

পূর্বের কথা শুনে অধর জোড়ায় হাসি ফুটে উঠল ইনশিতার। ড্যাবড্যাব চোখে চেয়ে রইল তুলি। পূর্বের নজর তাকে তীব্র লজ্জায় ফেলে দিল। মনে কেমন একটা ভয় ভয় অনুভূত হতে লাগল। পূর্বর দৃষ্টি স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না তুলি। আমরিন নিজের চশমা টা ঠিক করে একবার তুলির দিকে তো একবার পূর্বের দিকে তাকাল। পূর্ব যে তুলির প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে মরতে বসেছে তাতে কিঞ্চিত মাত্র সন্দেহ নেই কিন্তু তুলির মনে কি চলছে তা সঠিক ঠাওর করতে ব্যর্থ আমরিন। তাতে কি?যার মন চায় প্রেম করুক কিন্তু তার যে প্রেম করা নিষিদ্ধ। এক সুদর্শন যুবক তাকে থ্রেট দিয়েছে -‘ কারো প্রেমে পড়লে তার হৃদপিণ্ড বের করে বাক্সবন্দি করে নিজের কাছে রেখে দিবে।’ অধিকার মিশ্রিত সেই ভয়ংকর বাক্যটা শুনলে অন্তর টা কেঁপে উঠে আমরিনের। ভিতর জুড়ে বয়তে থাকে শীতল স্রোতের তান্ডব।

অতিশয় বিস্ময়ে জড়ীভূত তুলি সংকোচ কাটানোর লক্ষ্যে ধীর পায়ে ইনশিতার পাশে এসে দাঁড়াল। মুখে হাসি টেনে পূর্ব কে উদ্দেশ্য করে বলল,

‘ কেমন আছেন ভাইয়া?’

সাময়িক ব্যবধানে চুপসে গেল পূর্বের অমায়িক হাসিটা। চেহারা দেখেই আন্দাজ করা যাবে ভাইয়া ডাক টা তার বিশেষ পছন্দ হয় নি। ইনশিতা তুলির পাশ থেকে সরে এল। আমরিনের হাত টা চেপে ধরে বাহিরে যাওয়ার জন্য উদ্ধ্যত হতেই আঁতকে উঠল তুলি। হুড়মুড়িয়ে ওদের সাথে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই ইনশিতা ব্যস্ত কন্ঠে বলল,

‘ আমরা ক্যান্টিনে যাচ্ছি তুলি। রনক বোধ হয় ক্যান্টিনে। পাঁচ মিনিটে যাব ঠিক দশ মিনিট পর চলে আসব।’

‘কিন্তু, ‘

তুলি কে বলার সুযোগ না দিয়ে পায়ের গতিবেগ বাড়িয়ে উদাও হয়ে গেল দু’ বোন। হতবুদ্ধি হয়ে পড়ল তুলি। কোনো উপায় না পেয়ে পূর্ব ইশারা করতেই টুল টেনে বসে পড়ল। তবে তার নজর মেঝেতে। পূর্ব শান্ত স্বরে বলে উঠল-

‘ আমার দিকে তাকাচ্ছো না কেন তুলি?ব্যান্ডেজে বুঝি বড্ড রোগা রোগা লাগছে?’

পূর্বের কথায় ফিক করে হেসে উঠল তুলি। হাসতে হাসতে বলে উঠল-

‘রোগা রোগা লাগছে কিনা জানিনা তবে খুব অদ্ভুত লাগছে।’

তুলির হাসির দিকে মুগ্ধ চোখে চেয়ে রইল পূর্ব। কোনো প্রকার দ্বিধাহীন বিমূর্ত স্বরে বলল,

‘ আমার তোমাকে অনেক ভালো লাগে তুলি।’

বাক্যটা শ্রবণ হতেই কেঁপে উঠল তুলি। মৌনতা পালন করে তড়িঘড়ি করে বাহিরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল। পূর্ব হাত বাড়িয়ে তুলি কে আটকানোর চেষ্টা করতেই,কেউ এসে প্রচন্ড জোরে হাত টা ছিটকে ফেলে দিল। হ্যাঁচকা টানে সম্মুখে দাঁড়ানো ব্যক্তিটার বুকে আবিষ্কার করল নিজেকে তুলি। চোখ মুখ খিঁচে ফেলল ভয়ের চোটে। পূর্বের ব্যাথাতুর আর্তনাদ কর্ণগোচর হলেও নির্বাক তুলি। তার সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে। মাথা ঠেকিয়ে রাখা বুকের বা পাশ হতে প্রচন্ড দরফরানির শব্দ শুনতে পাচ্ছে। হৃদস্পন্দন গুলো তড়িৎ গতিতে তার কানে এসে বারি খাচ্ছে। তুলির ইচ্ছে জাগল বুকে দীর্ঘক্ষণ মাথা রেখে মানুষটার হার্টবিট মাপতে। এ কেমন অনুভূতি! মনের সুপ্ত কোণে সদ্য জন্ম নেওয়া কিশোরী অনুভূতি গুলো ছুটতে শুরু করল তীব্র বেগে। তুলির বেহায়া মন মস্তিষ্কের কাছে জিততে গিয়েও হেরে গেল। পরক্ষণেই সতন্ত্র হয়ে উঠল তুলি। নিজের মন কে ধিক্কার জানাতে লাগল বার বার।

ভীত মন নিয়ে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই তার বাহু আঁকড়ে ধরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল মানুষ টা। হকচকিয়ে গেল তুলি। পড়তে নিয়েও নিজেকে সামলে নিল। লজ্জায়, অপমানে হু হু করে কেঁদে উঠল মনটা। ছলছল দৃষ্টি নিবদ্ধ হল এক জোড়া ক্রোধান্বিত নয়নে। ফর্সা চেহারায় ক্রোধানলের ছাপ দেখে তুলির অন্তর টা কাঁপলেও উপর থেকে স্তব্ধতা তাকে ঘিরে ধরেছে। মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এল ‘আদ্র!’

নিমিষেই এক ঝাঁক অনুভূতি জড়ো হল তুলির অজান্তেই মন পাজরে। আদ্র নামটা অযাচিত মনে কয়েকবার আওড়াল । ক্রোধাবিষ্ট উজ্জ্বল ফর্সা মুখশ্রী, গায়ে ব্লু শার্টের উপর সাদা এপ্রোণ, নীলাভময় চোখে একরাশ রাগের ছটা সব একত্রিত হয়ে একটা অস্ত্রে পরিণতি লাভ করে যেন অনবরত তুলির হৃদপিণ্ডে আঘাত করছে প্রতি মুহুর্তে। সেই সাথে তীব্রতর অবাক আদ্র কে দেখে। আদ্র ভাইয়া কি ডাক্তার?তুলির মস্তিষ্ক তৎক্ষনাৎ বলে উঠল- “হুম।” তুলির দিক থেকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সরিয়ে পূর্বের মুখ পানে তাকাল আদ্র। পূর্ব তখনও হাতের ব্যাথায় আর্তনাদ করছে। আদ্র নির্লিপ্ত ভঙিতে একবার চেয়ে সঙ্গে আসা নার্স কে কিছু একটা ইশারা করল। নার্স ইয়েস স্যার বলে পূর্বের অপর হাতে একটা ইনজেকশন পুষ করে বলল,

‘রিলেক্স মিস্টার পূর্ব। ব্যাথা সেড়ে যাবে। এখন একটু ঘুমানোর চেষ্টা করুন।’

পূর্ব আদ্রর দিকে এক পলক চেয়ে কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারল না। অজস্র ঘুম এসে ভিড় জমাল তার দু চোখে। নিভু নিভু চোখ দুটো একটা সময় ঢলে পড়ল ঘুমের রাজ্যে। নার্স ও বেরিয়ে গেল সাথে সাথে। পূর্বের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল আদ্র। দূর থেকেই তুলির চক্ষুগোচর হচ্ছে আদ্রর কপালে দৃশ্যমান রগগুলো। অথচ ঠোঁটের কার্নিশে প্রতীয়মান প্রস্ফুটিত হাসি। কারোই বুঝার সাধ্যি নেই রেগে আছে নাকি স্বাভাবিক। তুলি আনমনেই বলে উঠল- ‘আজব ডাক্তারসাহেব!’
––––––––––––––––––––––––

আদ্র কে নিজের দিকে শার্টের হাতা ফ্লোড করতে করতে নিজের এগিয়ে আসতে দেখে ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ল তুলি। এক পা এক পা করে পিছাতে পিছাতে দেয়ালের সাথে সেঁটে দাঁড়াল। ‘ এতো শক্তিশালী হাত দিয়ে আমায় মেরে ফেলবে নাতো?’ তুলির চিন্তার মধ্যেই হুট করে খুব কাছে এসে দাঁড়াল আদ্র। আদ্রর উপস্থিতি নিজের এত কাছে পেয়ে অজস্র শিহরণ বয়ে গেল তুলির সারা শরীরে। দেয়ালের এক পাশে হাত ঠেকিয়ে সম্মোহিত নয়নে চেয়ে তুলির দিকে ঝুঁকে পড়ল আদ্র। পারফিউমের ঘ্রাণ নাকে এসে বারি খেতেই অতি সন্তর্পণে ছোট্ট একটা ঢুক গিলল তুলি। যা দেখে আদ্রর গলা শুকিয়ে গেল। সরে আসতে নিয়েও আরো অত্যাধিক ঝুঁকে গেল তুলির দিকে। কানে এসে স্পষ্ট বাজতে লাগল মেয়েটার হৃদস্পন্দন। দু’চোখ বন্ধ করে নিল আদ্র। নীল বর্ণের চোখে মাত্রাধিক নেশা ফুট উঠল সম্মুখে স্থির শ্যামবতীর তিরতির করে কাঁপতে থাকা চেহারা টা দেখে। ঘনঘন ঢুক গিলতে মগ্ন মেয়েটা। তুলির অস্থিরতা অনুধাবন করতেই হৃদয়ে শীতল স্রোত অনুভব করল আদ্র। সম্মুখে ভাসমান কম্পনরত চেহারার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেই কঠিন গলায় উচ্চারণ করল,

–” হাত টা স্পর্শ করার অধিকারও আমি কাউকে দেই নি। ছুঁয়ে দেখার অধিকার আমার, নিঃশ্বাস টুকু কেড়ে নিয়ে স্বয়ং নিজেকেই নিঃশেষ করে দেওয়ার অধিকারটুকুও আমার।”

চমকে উঠল তুলি। সারা কেবিনে চোখ দুটো বিচরণ করছে তার। একটু আগেই আদ্রর সাথে এই কেবিনটা তে এসেছে। আদ্রর কথার আগামাথা কিছুই ঠাওর করতে পারছে না তার মস্তিষ্ক। এক প্রকার ব্যর্থ বললেই চলে। ডাক্তারদের লিখার মতো ঠিক কেমন যেন প্যাঁচানো আদ্রর কথাগুলোও। এতো গভীর ভাষা বুঝার ক্ষমতা নেই তার মস্তিষ্কে। মনে মনে বলে উঠল- ” একটু সাধাসিধে ভাষা বললে কি ডাক্তার সাহেবের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে?”

তুলির দিকে ঝুঁকে থেকেই আদ্র ফের বলে উঠল,

–” এখানে কেন?”

–” হসপিটাল দেখতে।” (কাঁপতে কাঁপতে জবাব দিল তুলি)

–” হসপিটাল দেখতে? ”

আদ্রের ভ্রু উঁচিয়ে করা প্রশ্নে হতভম্ব হয়ে গেল। নিচু স্বরে জবাব দিল,

–” পূর্ব ভাইয়াকে দেখতে।”

–” কখনও যদি কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলো তাতে একদম আমায় দোষারোপ করতে পারবে না। দ্বিতীয় বার পূর্ব ডাকতে সাবধান তুলি।”

আদ্রর ঠান্ডা গলায় কঠোর বাক্য শ্রবণ হতেই পিলে চমকে উঠল তুলির। মুখ খুলে কিছু বলার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলল। দেয়ালের সাথে আরেকটু মিশে দাঁড়াল। না চাইতেই ভয়ার্ত চোখ দুটো বারংবার আঁটকে যাচ্ছে আদ্রর নেশাময় চাহনি তে। মাথা টা ভনভন করছে তুলির। শ্বাস আটকে আসছে। ঝাপসা ঝাপসা লাগছে সবকিছু। কেন আদ্র কাছে আসলে এতো ভয়ানক ঝড় হয় হৃদয় পটে?কিছুটা দূরত্ব রেখে সরে দাঁড়াল আদ্র। মুচকি হেসে তুলি কে লক্ষ্য করে বলল,

–” কি খাবে?”

খাওয়ার কথা শুনে তুলি বেক্কল বনে গেল। মনটা বলে উঠল- “দেখেছিস তুলি তোকে দুর্বল বানিয়ে এখন খাওয়ার অফার করছে। এটা তো জুতো মেরে গরু দান হলো তাই না?” তুলির মনে কথা কে সায় জানাল। হ্যাঁ প্রচন্ড দুর্বল অনুভব করছে। এমনিতেই সকাল থেকে খায় নি। ইনশিতা ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছে। তার উপর আদ্র নামক মানুষ টা তার মন শরীর দুটো অংশে প্রবল দুর্বলতা বিস্তার করে চলেছে। তুলি দুর্বল গলায় জবাব দিল,

–” কিছু না।”

–” কিছু একটা তো খেতে হবে মিস ইশতাক তুলি। কফি খাবেন?”

তুলি মাথা নাড়িয়ে না বুঝাল। ঝাপসা চোখে আদ্রর দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে রইল।

–” চা খাবেন?”

–” না।”

দু’ কদম এগিয়ে এসে আবারও তুলির নিকট দাঁড়াল আদ্র। ঠোঁট দুটো প্রসারিত করে তুলির চুল গুলো পরম যত্নে কানের পিঠে গুঁজে দিল। নির্পিল্ত কন্ঠে বলে উঠল,

–” তাহলে কি খাবে?কিস?”

সারা শরীর ঝনঝন করে কেঁপে উঠল তুলির। হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে হ্যা বলে উঠল। পরমুহূর্তেই আবার ভয়ার্ত স্বরে তোতলাতে তোতালাতে বলে উঠল-

–“কিস,,মিস!কিসমিস খাবো।”

ভীষণ হাসি পেল আদ্রর। হাসি চেপে তুলির তোতলানো স্বর শুনে কিছু বলতে নিবে তার আগেই প্রচন্ড বেগে আছড়ে পড়ল তুলি আদ্রর বুকে। চমকে গেল আদ্র। তুলির নিভু নিভু মুখের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই কর্ণকুহরে ভেসে এল –” ভয়ংকর আপনি আদ্র।”

#চলবে,,,?

{ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। যারা যারা গল্পটা পড়েন রেসপন্স করবেন প্লিজ। নয়তো লিখার আগ্রহ হারিয়ে যায়।}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here