আড়ালে_ভালোবাসি পার্ট_১৭

আড়ালে_ভালোবাসি পার্ট_১৭
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
||||

নিশাত আজ ভার্সিটিতে যাবে বলে রেডী হচ্ছে । আরহান বাইরে বাইকে বসে আছে । দেখতে দেখতে ১সপ্তাহ চলে গেলো কিন্ত নিশাত আর আরহান এর সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিশাত আরহান এর সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না ।আরহান কথা বলার চেষ্টা করলেও নিশাত সবসময় ঈশা কে নিয়ে ব্যাস্ত আর এক সপ্তাহ পর আরহান এর এক্সাম সেই জন্য নিশাত কে বেশি কিছু বলছে না।এই এক সপ্তাহ নিশাত বাসায় থেকে ঈশার অ্যাসাইনমেন্ট করে দিয়েছে আজ নেহা ফোন করতেই নিশাত ভার্সিটিতে যেতে রাজি হইছে ।

আরহান আধা ঘন্টা ধরে অপেক্ষা করছে কিন্ত নিশাত এর খোঁজ নেই। আরহান বিরক্তি নিয়ে বাইক থেকে নেমে বাড়ির দিকে যেতে গেলে হটাৎ থেমে যায় বুকের বা পাশে ধুকধুক করছে

নিশাত আজ নীল রঙের একটা গাউন পড়েছে আর সবচেয়ে অবাক করা বিষয় নিশাত আজ হিজাব পড়েছে ।এই প্রথম নিশাত কে হিজাব পড়তে দেখছে । আরহান হা করে তাকিয়ে দেখছে নিশাত কখন ওর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সেই দিকে খেয়াল নেই ।

নিশাত কিছুটা বিরক্ত নিয়ে বলে

_” আপনি কি এখানেই দাড়িয়ে থাকবেন ? থাকলে বলুন আমি অন্য ভাবে চলে যাচ্ছি

আরহান এর হুস ফিরে সে কিছু না বলে ঘরের ভিতর যায় ।নিশাত তো রেগে বোম

_” আজব তো আমার কথার কোনো দাম নেই ঘোড়ার মত ছুটলো ফাজিল একটা

নিশাত গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে রইলো । আরহান এসে নিশাতের সামনে দাঁড়ায় । নিশাত অন্য দিকে ফিরতে গেলে আরহান হাতে থাকা কাজল নিশাতের গলায় লাগিয়ে দেয় ।

_” কি করছেন কি?

আরহান নিশাতের কথায় পাত্তা না দিয়ে ।নিশাতের কপালে ভালোবাসা দিয়ে বলে

_” মাশাল্লাহ আমার বউয়ের উপর কারোর যেনো নজর না লাগে

নিশাত থতমত খেয়ে যায় । আরহান মুচকি হেসে বাইকে উঠে স্টার্ট দেয় । নিশাত ঐভাবে দাড়িয়ে বুঝার চেষ্টা করছে কি হলো । আরহান বাকা হেসে বলে

_” তুমি কি উঠবে নাকি আমি নামবো ? আমি নামলে কিন্ত অনেক কিছু হবে

আরহান এর কথায় নিশাত এর হুস ফিরে । বকতে বলতে বাইকে উঠে

_” ধরে বসো নাহলে পড়ে যাবে

_” না ঠিক আছে

আরহান জোড়ে স্টার্ট দিতেই নিশাত হুমড়ি খেয়ে পড়ে । আরহান বাকা হেসে চালানো শুরু করে ।

নিশাত বাইরের দৃশ্য দেখতে ব্যাস্ত । প্রিয় মানুষটার সাথে বাইকে ঘুরার মজাই আলাদা সেই জন্য তো আরহান বাইক এনেছে ।

আরহান বাইক চালাচ্ছে আর গ্লাসে নিশাত কে দেখছে । নিশাত কে যত দেখে তত প্রেমে পড়ে যায়

ভার্সিটিতে সামনে আসতেই নিশাত নেমে চলে যেতে গেলে আরহান ডাক দেয়

_” নিশা পাখি

নিশাত কোনো কথা না বলে পিছনে ঘুরে তাকায়। আরহান বাইক রেখে নিশাতের সামনে এসে বলে

_” কোনো কিছুর দরকার হলে আমাকে বলবে ।যাওয়ার সময় একা যাবে না আমার জন্য অপেক্ষা করবে কেমন ?

নিশাত মাথা দুলিয়ে চলে যেতে নিলে আরহান হাত ধরে আটকায় । নিশাত প্রশ্নবোধক চোখে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করে ।

আরহান কিছু না বলে নিশার কপালে নিজের কপাল ঠেকিয়ে দাড়িয়ে থাকে । নিশাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে

_” কি করছেন কি ? সবাই দেখছে ছাড়ুন

নিশাত এক প্রকার জোর করে ছাড়িয়ে দৌড়ে চলে আসে আর আরহান হাসতে হাসতে ক্লাসে চলে যায়।

নিশাত এক ছুটে ক্লাসে এসে হাফাতে থাকে নেহা সেটা দেখে বলে

_” কিরে এমন হাফাচ্ছিস কেনো ? জিজু কি কিছু দিলো

নেহার কথায় নিশাত অবাক হয়ে বলে

_” কি সব বলছিস ও কি দেবে আর তুই এমন করছিস কেনো ? আজব তো আমি ভাবছি দেরি হয়ে গেছে তাই

_” জিজু যতদিন আছে তোর দেরি হবে না দেখ আজ কেমন সময়ের আগে চলে আসলি

নিশাত আড় চোখে তাকাতেই নেহা মুখে আঙ্গুল দিয়ে বলে।

_” আচ্ছা বাবা আর বলবো না আচ্ছা যাই হোক তোর শশুর শাশুড়ি আসছে

নিশাত দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে

_” নারে উনার আব্বু আসছে কিন্ত উনার আম্মুর নাকি কাজের জন্য চট্টগ্রাম শিফট হতে হইছে । ওদের বাড়ির কিছু আমি বুঝছি না ওদের তো কোনো কিছুর কম নেই তাহলে কেনো উনার আম্মুর জব করা লাগবে ? আর ওখানে আমার থাকতে ভালো লাগে না সারাদিন বন্ধির মত থাকি এই বয়সে ছেলেরা বাবার লাঠি হবে কিন্ত আমার বেলায় উনার আব্বুর ঘাড়ে বসে বসে খেতে হচ্ছে। ঈশা কে নিয়ে চিন্তা নেই কিন্ত নিজের কাছে খুব খারাপ লাগছে

নেহা নিশাত এর কাধে হাত দিয়ে বলে

_” দেখ ভাইয়া তো স্টাডি করে সামনে এক্সাম শেষ হোক তারপর দেখ ভাইয়া একটা জব করবে ।

_” তোর কথায় আমি সায় দিতে পারছি না যাই হোক এমন একটা ছেলেকে নিজের হাসব্যান্ড হিসেবে কি করে মানবো? সব কিছু না হয় বদলাতে পারলাম কিন্ত চরিত্র সেটা কি করে বদলাবো ? আমার কিছু ভালো লাগছে না এর থেকে তো কাকী যার সাথে বিয়ে দিচ্ছিল তার সাথে বিয়ে হওয়া ভালো ছিল

নেহা এবার রেগে বলে

_” তুই ভাইয়া কে কেনো দোষ দিচ্ছিস ? জানি ভাইয়ার দোষ আছে কিন্ত সে তো ভালো হতে চাইছে তুই কি সেই সুযোগ দিচ্ছিস ভাইয়া কে? শুন ভাইয়া ছোট থেকে যেইভাবে বড়ো হইছে সেইভাবে থাকছে ভাইয়াকে বুঝানোর মত কেউ ছিলো না এখন তুই যদি ভাইয়া কে সঠিক পথে আনতে পারিস তাহলে ভালো । ভাইয়া তো ভালো হতে চাইছে তুই একটা সুযোগ দিয়ে দেখ । সব তো তোর জানা ছোট বেলা থেকে ভাইয়া কেমন কষ্ট পেয়েছে

সব থেকে বড় হতভাগা সে যার সব থেকেও কিছু নেই

নেহার কথায় নিশাত ভাবতে থাকে

_” সত্যি তো আমি নিজেই তো এইসব ভেবে দেখিনি । আমার কি উনাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত উনি কি সত্যি ভালো হবে (মনে মনে ) নেহা চল তো

নেহা অবাক হয়ে বলে কোথায়?

নিশাত নেহা কে কিছু বলতে না দিয়ে বের হতে গেলে স্যার আসে ।

_” ধুর

_” কি রে কোথায় যাবি?

নিশাত কিছু বলে না ক্লাসে করতে থাকে ।

এদিকে
আরহান নিশাতের কথা ভাবছে আর স্মোক করছে । সেই সময় নিশাত এর ক্লাসে নিশাতের ফোন ফেরত দিতে গিয়ে নিশাত আর নেহার কথা শুনে ফেলে তখন থেকে আরহান এর মুড অফ। পাশে জয় বসে বসে গেম খেলছে

_” সত্যি তো আমি তো নিশা পাখি কে নিয়ে দূরে যেতে চাইছি কিন্ত কিভাবে অন্যের টাকায় আমি নিশা পাখি কে খাওয়াবো কোনো স্ত্রী সেটা মেনে নিবে না । একটা জবের ব্যাবস্থা করতে হবে। নিশা পাখির তো অনেক খরচ সেই গুলোর জন্য আমি আব্বুর কাছে টাকা চাইলে কেমন স্বামী আমি । আমার আগে এইগুলো ভাবা উচিত ছিল । দেখি কোনো জব পাই কি না কিন্ত আমার মত ছেলে কে কী কেউ জব দেবে উফফ ভাবতে পারছি না (মনে মনে )

আরহান এইসব ভাবতে ব্যাস্ত তখনই জয় ধাক্কা দেয় ।

_” তোর সমস্যা কি ?

জয় কিছু না বলে সামনে ইশারা করে । জয়ের দৃষ্টি অনুসরণ করে আরহান তাকিয়ে দেখে নিশাত আসছে । আরহান বুঝে যায় ওর কাছে তো আসছে না তাই মাথা নিচু করে সিগারেট খেতে থাকে

নিশাত এসে জয়দের পাশে বসলো ।আরহান তখনো মাথা নিচু করে বসে আকাশ পাতাল ভাবছে হটাৎ নিশাতের কথায় মাথা উচু করে তাকায়

_” দেন আমার খুদা লাগছে

আরহান এর সামনে হাত পেতে । আরহান পাল্টা প্রশ্ন করলো

_” কি খাবে ? রোল দিতে বলবো

নিশাত কে বলতে না দিয়ে আরহান রোল অর্ডার করতে গেলে নিশাতের কথা শুনে থেমে যায়

_” না আপনার হাতে যেটা ওইটা খাবো। দেন !

আরহান তো রীতিমত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে

নিশাত আবার বলে

_”কিহলো? দেন খুদা লাগছে বললাম না

আরহান সহ জয় ও অবাক । আরহান অবাক চোখে তাকিয়ে বলে

_” তুমি এটা খাবে কেনো ?

নিশাত ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে

_” কেনো? আমি তো সারাক্ষণ খান নিশ্চয় খুব মজা লাগে আর পেট ও ভরে তাই আমি ভাবলাম আমিও একটু টেস্ট করি

আরহান এর শরীর এখন রাগে কাপছে

_” তুমি কি পাগল হলে ? এইসব ভালো না মেয়েরা খায় না

_” ফিহা তো খেত তাহলে আমিও খাবো আপনি তো খুব ইনজয় করে খান

কথাটা বলে আরহান এর হাত থেকে সিগারেট নিয়ে খেতে গেলে। আরহান কেরে ফেলে দেয়

_” দেখো সিনক্রিয়েট করো না। সবাই দেখছে

_” দেখছে তো কি হইছে ? আপনি খেলে ত কেউ কিছু বলে না তাহলে আমি খেলে

নিশাত এর সাথে জয় তাল মিলিয়ে বলে

_” ভাবী তো ঠিক বলছে wait ভাবী আমি আপনাকে এনে দিচ্ছি

আরহান চোখ রাঙিয়ে জয়ের দিকে তাকায় সেটা দেখে নিশাত বলে

_” জয় ভাইয়াকে কেনো চোখ রাঙাছেন ? যা বলছি আমি বলছি আমাকে বলুন

আরহান মাথা নিচু করে জোরে জোরে নিশ্বাস নিয়ে মাথা ঠাণ্ডা করার চেষ্টা করছে। জয় মিটমিট করে হাসছে।

আরহান সোজা হয়ে বলে

_” সোজা কথা বলো ? কি করতে হবে

_” সোজা কথাই বলছি আপনি যেটা আমাকে খেতে দেবেন না সেটা আমি কি করে আপনাকে খেতে দেবো ? আমি খেলে আপনার মানসম্মান যাবে আর আপনি খেলে আমার সম্মান অনেক বাড়বে তাই তো

আরহান কিছু বলে না দেখে নিশাত বলে

_” আপনার যদি কোনো উত্তর না থাকে তাহলে আমাকে দেন

_” চুপ আর একবার ও বলবে না । আমি ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো

_” ওইসব জানিনা ছাড়তে হবে তাই জানি নাহলে

_” থাক কিছু করতে হবে না আমি বললাম তো খাবো না। এখন বলো কি খাবে

পাশ থেকে নেহা বলে উঠে

_” বিয়ের ট্রিট কিন্ত দিলেন না জিজু

আরহান নিশাতের দিকে তাকিয়ে বলে

_” খুব তাড়াতাড়ি দেবো । এখন বলো কি খাবে

নেহা কে বলতে না দিয়ে নিশাত বলে

_” আমাদের ক্লাস আছে যেতে হবে

_” এখন তোমাদের কোনো ক্লাস নেই তাই চুপচাপ কি খাবে সেটা বলো ? আচ্ছা থাক আমি অর্ডার করছি

আরহান খাবার অর্ডার করে নিশাতের কাছাকাছি বসে সেটা দেখে জয় আর নেহা মিটমিট করে হাসছে। নিশাত সরে যেতে গেলে আরহান হাত ধরে বলে

_” ভালোই তো আমার বদঅভ্যাস ছাড়ানোর টেকনিক জানো

নিশাত আরহান এর মত বাকা হেসে বলে

_” আপনার সাথে থাকতে থাকতে আপনার মত হয়ে গেছি

আরহান নিশাতের গালে হাত দিয়ে বলে

_’ তোমাকে বাকা হাসিতে মানায় না । কিউট স্মাইল দিয়ে সবসময় আমাকে ঘায়েল করবে

নিশাত কিছু বলে না । খাবার আসলে আরহান খাইয়ে দিতে চাইলে নিশাত দৌড়ে চলে যায় আরহান ও পিছু পিছু যায় । জয় আর নেহা হাবলার মত বসে থাক

নিশাত গার্ডেনে আসতেই আরহান হাত ধরে ফেলে । নিশাত হাত ছাড়িয়ে আরহান এর কলার ধরে বলে

_” ওই আপনার মাথার তার কয়টা ছিঁড়ছে ? সবার সামনে কি করছেন ?

_” কি করছি ? (না জানার ভান করে )

_” একদম নাটক করবেন না । একবার খাইয়ে দিচ্ছেন,তো একবার হাত ধরছেন ,গাল ধরছেন এই সব কি হা ? আপনার লজ্জা সরম নেই বলে কি আমার নেই

_” তুমি কি আমাকে কিস করবে ?

আরহান এর কথায় রীতিমত অবাক হয়ে যায় নিশাত । কি বলছে আর এই ছেলে কি বলছে

_” মানে?

_” যেইভাবে আমাকে ধরে আছো মনে হচ্ছে কিস করবে তাই বললাম

নিশাত এখন খেয়াল করে দেখে কথা বলতে বলতে নিশাত আরহান এর অনেকটা কাছে চলে আসছে । নিশাত দূরে যেতে গেলে আরহান কোমর জড়িয়ে ধরে বলে

_” তুমি চাইলে ও আমার সাথে থাকতে হবে না চাইলে ও । তোমাকে আমার কাছে থাকতে হবেই আমার মৃত্যুর পর ও তোমার মুক্তি নেই

আরহান এর কথা নিশাতের বুকে গিয়ে লাগলো কেমন যেনো হারিয়ে যাওয়ার ভয় মনে জাগলো।নিশাত মাথা নিচু করে বলে

_” ছাড়ুন ক্লাসে যাবো

আরহান কোনো কথা না শুনে জড়িয়ে ধরতে যায় দুর থেকে কিছু ছেলে ছিটি বাজিয়ে খারাপ কথা বলছে ।

আরহান নিশাত কে ছেড়ে বলে

_” তুমি যাও আমি আসছি

নিশাত বুঝতে পারে আরহান কি করতে চাইছে তাই সে আরহান এর হাত ধরে ক্যান্টিনের দিকে যায় ।

আরহান আজ অবাক এর উপর অবাক হচ্ছে। নিশাত কে অন্য দিনের চেয়ে আলাদা লাগছে । আরহান কাছে খুব ভালো লাগছে এটাই ত চেয়েছিল সে ।

ভার্সিটি ছুটি দিয়েছে অনেকক্ষণ আরহান এখনো আসছে না। নিশাত বোরিং হয়ে দাড়িয়ে আছে হটাৎ একটা গাড়ি এসে নিশাত এর সামনে থামলো

নিশাত মুচকি হেসে সালাম দিলো । গাড়ির কাচ নামিয়ে নিশাতকে ডাকলো আমজাদ হাবিব ।

চলবে

(গল্পটা আমি নিজের মতো শেষ করতে চাইছি যাদের ভালো লাগছে না ইগনোর করুন । আর হা রোমান্টিক মানে যদি শরীর ছোঁয়া হয় তাহলে সরি আমি ওই ধরনের গল্প লিখতে পারবো না আমার কাছে রোমান্টিক মানে চোখে চোখ রেখে কথা বলা আরো আছে সেটা একটা গল্পে বলেছি । অনেকের অভিযোগ আমার গল্পে রসকষ নেই ঠিক কারণ আমি নিজেই সিঙ্গেল । গল্পটা কেমন হইছে জানাবেন ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here