আড়ালে_ভালোবাসি পার্ট_৬
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
নিশাত ওর চাচার পাশে বসে বলে
“কি বলবে কাকা বলো
নিশাতের কাকা : শুন মা তোর আব্বু মারা যাবার পর আমাদের উপর তোদের দায়িত্ব আসে কিন্ত তুই নিজের দায়িত্ব আর বোনের দায়িত্ব একা নিচ্ছিস কোনো খরচ করতে হয় না আমাদের ।তাই বলে আমার কোনো কর্তব্য নেই
নিশাত : কাকা প্লীজ আমি ওভাবে বলো না আব্বু যখন ছিল তখন ও আমি বেশি খরচ করতাম না আর আমার কোনো খরচ লাগবে ঈসুর ও তো লাগে না
নিশাতের কাকা : তাও মামনি তোকে আর বাড়ির কাজ করতে হবে না কাজের লোক সব করবে
নিশাত : কাকা আমার বাসার কাজ করতে ভালো তুমি
নিশাতের কাকা : কোনো কথা শুনতে চাই না আর এই ধর অফিস থেকে আশার সময় এই শাড়ি টা তোর জন্য এনেছি
নিশাত : কিন্ত কাকা
নিশাতের কাকা : চুপ কোনো কথা শুনতে চাই না কাকা বলে এমন করছিস
নিশাত : না কাকা বাবার পর তো তুমি আমার আরেক বাবা
কাকা : দেখ তো মা পছন্দ হইছে কি না
নিশাত : খুব ভালো হইছে । কাকা একটা কথা ছিল
কাকা : হা বল
নিশাত : আসলে ভার্সিটিতে অনুষ্ঠান আছে স্যার এর বিদায় তাই
কাকা : টাকা লাগবে ? কতো টাকা
নিশাত : না টাকা না আসলে রাতে অনুষ্ঠান তো
কাকা : তাই কি যা আমি তোকে আনতে যাবানে
নিশাত : কিন্ত কাকী
কাকা : তোর কাকীর আব্বুর শরীর ভালো না আসতে দেরি আছে আর ফোন করলে বলবি বাসায় । বাকিটা আমি দেখে নেবো
নিশাত : আচ্ছা কাকা
কাকা : অনেক রাত হইছে ঘুমিয়ে পড়
নিশাত ওর কাকার রুম থেকে এসে শাড়িটা আলমারিতে রেখে ঘুমন্ত ঈশার পাশে শুয়ে পড়ে ।
ভার্সিটিতে নেহা সিনিয়দের থেকে সকল কাজ বুঝে নিচ্ছে ।
নেহা : আজকে ও এই পেত্নী দেরি করছে আজ আসুক একে আমি কাচা চিবিয়ে খাবো
নেহা বকতে বকতে যাচ্ছে হটাৎ জয়ের সাথে ধাক্কা খায়
নেহা : আম্মু গো
জয় : উফফ চোখ কোন জায়গায় রাখছো দেখে চলতে পারো না (বিরক্তি চোখে )
নেহা : আসলে আমি খেয়াল করি নি কিন্ত আপনি তো খেয়াল করতে পারতেন
জয় : হুম আমি ফোন টিপছিলাম আর তোমার ফ্রেন্ড আসে নি কেনো ?
নেহা : জানিনা আমি ওকে ফোন দিচ্ছি
জয় : হুম
নেহা দূরে গিয়ে ফোন দিচ্ছে কিন্ত ধরছে না হটাৎ পিছন থেকে ডেকে উঠে
নিশাত : আমি এখানে
নেহা : এতক্ষণ লাগে আসতে কই ছিলি ? একটা দিন সময় মতো আসা যায় না
নিশাত হাফাচ্ছে কপাল দিয়ে ঘাম পড়ছে
নেহা : কিহলো বল ?
নিশাত : আরে ভাই একটু নিশ্বাস নিতে দে
নেহা : তুই এখানে বস আমি পানি আনছি
নিশাত কিছু বলে না নেহা চলে যায় ।
নিশাত কিছুক্ষণ বসে উড়না দিয়ে মুখ মুছে পাশে তাকাতেই দেখে ঠান্ডা পানির বোতল আর রুমাল ।নিশাত অবাক হয়ে যায়
নিশাত : এখানে এটা কে রাখলো যাই হোক আগে খেয়ে নিই
নিশাত ঢকঢক করে পানি খেয়ে রুমাল দিয়ে মুখ ভালো করে মুছে নেয় । রুমালের পাশে খেয়াল করে দেখে একটা চিরকুট ।
নিশাত
ক্লান্ত মন,ক্লান্ত শহর ,বেলা বাড়ছে কাটছে পোহর
তবুও আমি দাড়িয়ে দেখছি শুধু তোমাকে
বলবো না কাছে এসো শুধু বলবো
______আড়ালে_____ভালোবাসবো
ইতি
#আড়ালে_ভালোবাসা
নিশাত চিরকুট দেখে থ মেরে বসে হইলো
নিশাত : কে দিয়েছে এটা আর এইসব কি? তাহলে কি কাল যে এসেছিল সে
নিশাত এর ভাবনার মাঝে নেহা চলে আসে। নিশাত তাড়াতাড়ি রেখে দেয়
নেহা : কে দিলো এটা ?
নিশাত : ওই সামনে থেকে আনলাম । আচ্ছা চল ভিতরে অনেক কাজ
নেহা : সেটা পরে আগে বল এত দেরি হলো কেন ?
নিশাত : আরে বাসায় নতুন কাজের লোক আসছে তাকে সব বুঝিয়ে বের হইছি রাস্তায় কোনো রিকশা পায়নি
নেহা : তার মানে এত দুর তুই হেঁটে আসছিস
নিশাত : মাঝ রাস্তায় একটা রিকশা পাইছিলাম সেটাই আসছি
নেহা : আজ যদি তোর আব্বু বেচে থাকতো হয়তো তোকে কষ্ট করে আসা লাগতো না (মনে মনে ) আচ্ছা কাল থেকে আমি তোকে আনতে যাবো
নিশাত : ওকে দেখা যাবে
নিশাত যেতে আড়াল থেকে আরহান বেরিয়ে আসে।
আরহান : কাছের মানুষের জন্য মাঝে মাঝে কিছু অনুভূতি প্রকাশ করার থেকে আড়ালে রাখা ভালো
কথাটা বলে আরহান চলে যায় । হলরুমে সবাই কাজ করছে ফিহা দাড়িয়ে দাড়িয়ে সেলফি তুলছে জয় আর নিশাত একে ওপরের হেল্প করছে ।
আরহান এসে নিশাতের দিকে একবার তাকিয়ে ফিহার কাছে যায়
ফিহা : বেবস আমার কিছু কিউট পিক তুলে দাও
আরহান : sure
আরহান ফোন বের করে পিক তুলছে তবে ফিহার পিক না নিশাতের । নিশাত বেলুন ফুলাচ্ছে আর কপালের থেকে চুল সরাচ্ছে। হাজার হাজার বেলুনের মধ্যে নিশাত কে অন্য রকম লাগছে ।
আরহান ফিহা কে নিশাতের বরাবর দার করিয়ে পিক তুলছে যাতে কোনো সমস্যা না হয় ।
ফিহা : দেখি তো কেমন হইছে ? (হাত বাড়িয়ে )
আরহান কি বলবে ভাবছে
আরহান : আমার চোখের দিকে তাকাও তোমার সৌন্দর্য এই চোখেই আবদ্ধ (নিশাতের দিকে তাকিয়ে )
ফিহা খুশিতে আরহান কে একটা কিস করে বেরিয়ে যায় । আরহান দাড়িয়ে আছে
অনেকক্ষণ ধরে নিশাত আরহান কে দেখছে। সেটা
আরহান খেয়াল করেও কিছু বলে না হটাৎ দেখে নিশাত ওর দিকে এগিয়ে আসছে
আরহান চলে যেতেই নিশাত পিছন ডাকে
নিশাত : শুনছেন একটু দাড়ান
আরহান দাড়িয়ে যায় কিন্ত নিশাতের দিকে ফিরে না দেখে নিশাত নিজেই আরহান এর সামনে যায়
নিশাত : আপনি কাল কোথায় ছিলেন ?
আরহান : মানে?(অবাক হয়ে )
নিশাত : আপনাকে কাল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না কোথায় ছিলেন ? এভাবে কেউ না বলে যায় কোনো দায়িত্ব জ্ঞান নেই
আরহান নিশাতের আরেকটু কাছে এসে দাঁড়ায় । নিশাত স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে
আরহান : যে মায়া ধরে রাখতে পারবে না আমায় সে মায়ায় জড়িয় না আমায় (নিশাতের কানে কানে )
নিশাত পিছনে পড়ে যেতে নিলে আরহান নিশাতের পিঠে ধরে কাছে আনে ।
আবার ফিসফিস করে বলে
আরহান : এত মায়া ভালো না
নিশাত কি বলবে বুঝতে পারছে না ওর সব কথা বন্ধ হয়ে গেছে তাও নিজেকে ঠিক করে বলে
নিশাত : আমি মানে
আরহান : তুমি মানে কি নিশা পাখি
নিশাত নিচে তাকিয়ে আছে ওর সব শক্তি যেনো শেষ । আরহান এর শার্ট খামচে ধরে রাখছে ছেড়ে দিলে যেনো পড়ে যাবে ।আরহান আরো শক্ত করে নিশাত কে ধরে
নিশাত হটাৎ আরহান কে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। আরহান এতক্ষণ ঘোরের মধ্যে ছিল কি হচ্ছিল কিছু
আরহান এর জ্ঞানে না
আরহান : ওহ গড আমি এইসব কি করছি আমাকে নিজের উপর কন্ট্রোল রাখতে হবে । নিশার থেকে দূরে থাকতে হবে নাহলে আমি যা চাই না সেটা নিজের ভুলে হয়ে যাবে (মনে মনে )
জয় উপরে দাড়িয়ে হাত বাড়িয়ে বেলুন চাইছে কিন্ত কেউ দিচ্ছে না
জয় : নিশাত বেলুন দাও ।কি হলো
কনক সাড়া না পেয়ে দেখে নিশাত নেই দূরে তাকিয়ে দেখে নিশাত বেরিয়ে যাচ্ছে
জয় : হটাৎ নিশাতের কি হলো ?
জয় ও পিছন পিছন যায় । নিশাত বাইরে এসে জোরে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছে
নিশাত : উফ আল্লাহ আর একটু হলে মরে যাচ্ছিলাম এই লোকটা কাছে আসলে আমার এমন কেনো হয় ? (বিড়বিড় করে )
জয় : নিশাত
নিশাত পিছনে তাকিয়ে হাসি মুখে বলে
নিশাত : হুম বলুন
জয় : তুমি এভাবে চলে আসলে কেনো ? আর এভাবে ঘামছ কেনো ?
জয়ের কথায় নিশাত কপালে হাত দিয়ে দেখে ঘাম । জয় পকেট থেকে রুমাল বের করে দিতে গেলে নিশাত বলে
নিশাত : লাগবে না আমার কাছে রুমাল আছে চলুন
জয় : আচ্ছা চলো
নিশাত আর জয় বারান্দা দিয়ে যাচ্ছে । নিশাত ঘাম মুছতে মুছতে যাচ্ছে হটাৎ ধাক্কা খেয়ে পড়ে যেতে নিলে কেউ ধরে ফেলে । নিশাত মনে করে জয়
নিশাত : ধন্যবাদ জয় আমাকে
বাকিটা বলার আগেই চোখ খুলে দেখে আরহান ধরে আছে । আরহান নিশাত কে সোজা করে দাড় করিয়ে বলে
আরহান : দেখে চলতে পারো না
জয় : তুমি ঠিক আছো ?
নিশাত : আমি তো ঠিক চলছিলাম আপনি তো সামনে আসলেন
আরহান এর রাগ আরো বেড়ে যায় কিছু না বলে চলে যায় । নিশাত এর হটাৎ মনে পড়ে রুমাল যেই গন্ধ পাচ্ছে আরহান এর শরীর দিয়ে একি গন্ধ আসছে
নিশাত : তাহলে কি এইসব আরহান করছে ? কিন্ত কেনো ? (মনে মনে )
জয় : কিহলো চলো ?
নিশাত : হা
নিশাত জয়ের সাথে গিয়ে বেলুন লাগাতে থাকে । প্রায় অনেকটা শেষ বাকিগুলো কাল করবে ভাবছে
নিশাত : একবার উনার সাথে দেখা করে আসি আমার জানার দরকার আছে
নিশাত নেহা কে বলে বাইরে যায় । খুঁজতে থাকে কোথায় আরহান আছে । অনেক খোঁজাখুঁজির পর শেষে ছাদে দেখা পায় ।
আরহান পিছন দিকে ফিরে আছে । নিশাত আরহান এর পিছনে দাঁড়িয়ে ডাক দেয়
নিশাত : আরহান
আরহান না তাকিয়ে বলে
আরহান : তুমি এখানে কি করছো ?
নিশাত : এই চিঠি আপনার লিখা তাই না
নিশাত এর কথায় আরহান নিশাতের দিকে তাকায়
নিশাত : কিহলো বলেন
আরহান ….
নিশাত : ওভাবে কি দেখছেন ? বলে এটা আপনার কি না
আরহান কিছুক্ষণ চুপ থেকে নিশাত কে বলে
আরহান : তুমি নিজেকে কি মনে করো ? খুব সুন্দরী নাকি মিস ওয়ার্ল্ড
আরহান এর কথায় নিশাত বোবা হয়ে যায় সে কি এমন বললো যাতে আরহান এই কথা বলছে।
নিশাত কাপাকাপা কণ্ঠে বলে
নিশাত : মানে?
আরহান : মানে বুঝতে পারছো না নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছো ? তোমাদের মত মেয়েদের আমার চিনা আছে ছেলে পটাতে উস্তাদ তুমি ভাবলে কি করে তোমাকে আমি চিঠি লিখবো আমার কি কোনো ক্লাস নেই নাকি ? আমার টেস্ট এত খারাপ না যে তোমাকে ছি
নিশাত এর চোখ জ্বলজ্বল করছে ।আরহান কি বলছে সব ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে । নিশাত তো ওমন কিছু ভাবেনি
নিশাত : আমি তো
আরহান : কি তুমি তো পটাতে চাইছিলে । নিজে একটা ফালতু চিঠি লিখে সেটা আমার নামে চালিয়ে টাকা হাতাতে চাইছিলে হা কত টাকা লাগবে বলো আমি দিয়ে দিচ্ছি । তোমাদের মত মেয়েরা টাকার জন্য সব করতে পারে ভাবলে কি করে আরহান আবরার তোমার ফাঁদে পা দিবে । আমার ভাইকে ও নিজের বসে করে ফেলছ এখন কি আমাকে ও । তোমার সাথে কথা বলে নিজের ইমেজ নষ্ট করতে চাইছি না
কথাটা বলে আরহান চলে গেলো ।নিশাতের চোখ দিয়ে টুপটাপ পানি পড়ছে । এত অপমান কখনো কেউ করেনি । বাবা মারা যাবার পর আজ অনেক বছর পর নিশাত কান্না করছে । এই প্রথম নিশাতের নিজের উপর ঘৃনা হচ্ছে । নিশাত ভাবতেও পারেনি এভাবে আরহান ওকে অপমান করবে
আরহান বারান্দার গ্রীলে জোড়ে বারি মারে নিশাত কে এত অপমান করতে চাইনি কিন্ত জয়ের সাথে নিশাতকে দেখে রাগ উঠে যায় আর সেই রাগের জন্য এমন করে ফেলেছে
আরহান : আজ আমার জন্য নিশার চোখে পানি সব কিছুর জন্য আমি দায়ী । এখন নিশা পাখি আর আমার মুখ দেখতে চাইবে না । কেনো আমি একটু ভালোবাসা পাই না কেনো আল্লাহ কি সব দুঃখ আমাকে দিয়েছে সব থেকে ও আজ আমি অনাথ (মনে মনে)
“পৃথিবীতে সেই সব থেকে বেশি হতভাগা যার সব থেকেও কিছু নেই ।
না পাওয়ার যন্তনার থেকে পেয়ে ও না পাবার যন্তনা
বেশি ।
নেহা অনেকক্ষণ ধরে নিশাত কে খুঁজছে শেষে না পেরে ফোন দেয় কিন্ত নিশাত ধরে না ।
নিশাত চোখ মুখ মুছে নিচে যায় । নেহার সাথে দেখা হতেই নিশাত চোখ নামিয়ে নেয় কারণ নিশাতকে দেখলেই নেহা সব বুঝতে পারবে নেহা কিছু বলার আগে নিশাত বলে
নিশাত : আমার শরীর খুব খারাপ লাগছে বাসায় যাব চল
নেহা আর কিছু বলতে পারলো না নিশাত যাচ্ছে । গেট থেকে বের হবার সময় দেখে আরহান আর ফিহা দাড়িয়ে আছে । নিশাত কে দেখে আরহান ফিহা কে জড়িয়ে ধরে ।
নিশাত আর নেহা কে জয় বাসায় পৌছে দেয় । বাসায় পৌছে নিশাত দরজা আটকিয়ে ওর আব্বু আম্মুর ছবির সামনে দাঁড়ায়
নিশাত : কেনো ছেড়ে চলে গেলে কেনো ? আজ তোমরা থাকলে আমাকে এত অপমানিত হতে হতো না কখনোই না কেনো আমাদের একা করে গেলে কেনো (কান্না করতে করতে )
নিশাত কান্না করছে হটাৎ চোখ মুছে ফেলে
নিশাত : না আমি কেনো কান্না করবো কিসের জন্য ? ওই লোকটার মন মানসিকতা নিচু তার জন্য আমি কেনো কষ্ট পাবো তার ফলের শাস্তি সে পাবেই । অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সয় দুইজনে সমান অপরাধী । মিস্টার আরহান আবরার তোমাকে তোমার পাপের শাস্তি পেতেই হবে এই নিশাত তোমাকে বুঝাবে কাউকে কষ্ট দিলে কেমন লাগে
কথাটা বলে নিশাত চোখ মুছে ওয়াশরুমে যায় ।
চলবে
(যাদের কাছে অতীত ভালো লাগছে না তারা কিছু দিন পড়া ওফ রাখুন অতীত শেষ হলে আবার পড়বেন খুব তাড়াতাড়ি অতীত শেষে হবে । গল্পটা শুরু করলাম কবে 😕 । ভুল হলে ক্ষমা করবেন ১০টা ঝাল খেয়ে আমার অবস্থা খারাপ হ্যাপি রিডিং)