আড়ালে_ভালোবাসি সূচনা_পর্ব

0
12512

দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েও কাজীর সামনে বসে আছে নিশাত। এক মাস আগে তার প্রথম স্বামী মারা গেছে শশুর বাড়ির চাপে আবার নতুন করে বিয়ে করতে হচ্ছে কাজী বার বার কবুল বলতে বলছে কিন্ত নিশাত এর মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না ।

নিশাতের শাশুড়ি নিশাতের কাছে এসে বলে

“মা কবুল বল সবাই অপেক্ষা করছে বলে দে (করুন কণ্ঠে)

নিশাত একবার শাশুড়ি মায়ের দিকে তাকিয়ে এক হাত পেটে রেখে চোখের পানি মুছে কবুল বলে দেয়। সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে ।

এখন নিশাতের বিদায় এর পালা কয়জন মেয়ের ভাগ্য এমন হয় শশুর বাড়ির লোক তাকে বিদায় দিচ্ছে । এখনো নিশাত তার স্বামী কেমন কি করে কিছু জানেনা ।বিদায়ের সময় নিশাত তার প্রথম স্বামীর ছবি ধরে অনেক কান্না করছিলো

নিশাতের শাশুড়ি বলে

“মারে আমরা যা করছি তোর ভালোর জন্য তোকে নিজের মেয়ের মতো দেখি আমি তো জানি আমার পাগল আরহান (নিশাতের প্রথম স্বামী) তোকে কত ভালোবাসত কিন্ত বিশ্বাস কর ও তোকে খুব সুখে রাখবে

নিশাত কোনো কথা বলে না চুপচাপ গাড়িতে বসে অজানা অচেনা গন্তব্যে ।গাড়িতে বসে নিশাত শুধু আরহান এর সাথে কাটানো মুহুর্তের কথা মনে করছে চোখ দিয়ে তার নিরবে পানি পড়ছে

কিছু স্মৃতি খারাপ বা ভালো সব সময় আমাদের সাথে থেকে যায় চাইলে ও মুছে ফেলা যায় না ।

একটা মানুষের মৃত্যুর পর তার স্মৃতির মাধ্যমে সে বেচে থাকে।

ফুল ভর্তি খাটের মাঝখানে নিশাত বসে আছে আর কান্না করছে নিজেকে একটু ও গুছিয়ে নিতে পারছে না

“না যাই হোক আমি আরহান এর জায়গা অন্য কাউকে দিতে পারবো না নিজেকে শক্ত করতে হবে নিজের জন্য না হলেও নিজের সন্তানের জন্য (পেটে হাত দিয়ে) আচ্ছা এই বাড়িতে কি আর কেউ থাকে না উনি কি আমার কথা বুঝবে নাকি আমার সাথে জোর করবে কিন্ত কিভাবে উনি তো আমার সব কিছু জেনে বিয়ে করতে রাজি হইছে আর বিয়ে আগে তো আম্মু (আরহানের আম্মু) বলেছিল বাচ্চার জন্য উনি বিয়ে করতে চাইছে তাহলে

এসব ভাবতে ভাবতে হটাৎ দরজা লাগানোর আওয়াজে নিশাতের ভাবনার ছেদ ঘটে । নিশাত একটু নড়েচড়ে বসে

লোকটা যত এগিয়ে আসছে ততই নিশাতের হার্ট বিট ফাস্ট হচ্ছে

“নিশা পাখি

কথাটা শুনে নিশাত চমকে উঠে এই নামে তো অন্য কেউ ডাকতো তাহলে কি

এসব ভাবতে ভাবতে নিশাত সামনে তাকিয়ে বড়ো সর ঝটকা খায় এ সে কাকে দেখছে

লোকটা ধির পায়ে নিশাতের কাছে এসে বসে নিশাত বুঝতে পারেনি সে তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে

“কিহলো নিশা পাখি আমাকে চিনতে পারছো না (গালে স্পর্শ করে শান্ত কণ্ঠে) )

” তু ম ম ম ম ম মি

” হ্যা আমি কেনো অন্য কাউকে আশা করছিলে বুঝি

মুহুর্তেই আরহান এর চোখ লাল হয়ে যায় নিশাত কে দাড় করিয়ে গাল চেপে ধরে

“আমাকে খুন করে আমার বাচ্চাকে ও মারতে চেয়েছিলি এত রাগ আমার উপর (চিল্লিয়ে)

নিশাত যেনো পাথর হয়ে আছে আরহান এর কথা ওর কান পর্যন্ত যাচ্ছে না নিশাতের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আরহান আবার চিল্লিয়ে বলে

” কিহলো খুব কষ্ট হচ্ছে ভাবছিস তোর প্ল্যান কি করে নষ্ট হলো তাই তো এই আরহান আবরার কে মারা এত সহজ না তোর জন্য আমি নিজেকে বদলে ফেলেছিলাম কিন্ত তুই আমাকে ধোঁকা দিয়েছিস এর শাস্তি তুই পাবি

নিশাত এবার কাপা কাপা কণ্ঠে বলে

“বিশ্বাস করো আমি তোমাকে মারতে চাইনি আমি ইচ্ছা করে তোমাকে ধাক্কা দেয়নি বিশ্বাস করো

নিশাতের কথা শুনে আরহান জোড়ে জোড়ে হাসতে থাকে যেনো নিশাত কোনো জোকস বলেছে নিশাত অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আরহান নিজের হাসি থামিয়ে মুখ শক্ত করে বলে

“বিশ্বাস আর তোকে অস্বীকার করতে পারবি আমার সন্তান কে তুই মেরে ফেলতে চাস নি আমাকে সেইদিন ধাক্কা দিস নি কত বার তোকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমি ভুল কিছু করিনি কিন্তু তুই

আরহান এর কথায় নিশাতের সেদিনের কথা মনে পড়ে যায় আর সে আরহান কে জোড়ে ধাক্কা দেয়

” হ্যা হ্যা বেশ করেছি যা করেছি বেশ করেছি তোমার মত লোকের সাথে থাকার থেকে মরে যাওয়া অনেক ভালো আমি চাইনি তোমার মত পাপ জন্ম দিতে (চিৎকার করে )

নিশাতের কথায় আরহান নিশাতের গালে সজোরে চর মারে ।নিশাত তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়

আরহান এর সাড়া শরীর রাগে কাপছে পিছন দিকে ফিরে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে নাহলে এমন অনেক কিছু হয়ে যাবে যেটা আরহান চায় না ।

“দেখো নিশা আমি

আর বাকিটা বলতে পারলো না নিশাত কে দেখে অবাক হয়ে গেলো নিশাত ঐভাবে শুয়ে আছে। আরহান তাড়াতাড়ি নিশাতের কাছে যায়

” নিশা পাখি এই নিশা পাখি কি হয়েছে তাকাও আমার দিকে তোমার কিছু হবে না আমি কিছু হতে দেবো না

আরহান তাড়াতাড়ি নিশাতকে কলে তুলে বিছানায় শুয়ে দেয় চোখে মুখে পানি দেয় তবু নিশাতের সেন্স ফিরে না দেখে ডক্টর কে ফোন করে

ডক্টর নিশাতের চেকআপ করছে আরহান নিশাতের পাশে দাড়িয়ে আছে

ডক্টর : কোনো সমস্যা না টেনশনের থেকে সেন্স হারিয়েছে একটু খেয়াল রাখবেন আর খাওয়া দাওয়ার দিক দেখবেন শরীর অনেকটা দুর্বল

আরহান : বাচ্চা

ডক্টর : কারোর কোনো ক্ষতি হয়নি দুইজনেই সুস্থ

আরহান মানিব্যাগ বের করে ডক্টরের ফিস দিয়ে নিশাতের পাশে বসে ।

“জানো নিশা পাখি তুমি সে যে আমাকে ভালোবাসা শিখিয়েছিলে খুব যত্ন সহকারে আমার সব খারাপ অভ্যাস ছাড়িয়ে আপন করে নিয়েছিলে সেই তুমি এভাবে ঠকালে আমার বাচ্চা কে ও

আরহান এর হাত শক্ত হয়ে আসে চোখ লাল হয়ে গেছে নিশাতের দিকে তাকিয়ে বলে

” আমার ভালো রূপ তুমি দেখেছো এখন থেকে আবার আগের আরহান কে দেখবে বিশ্বাস এর উপর সম্পর্ক টিকে থাকে আমি চাইলে ও তোমাকে মাপ করতে পারবো না কখনো না তোমাকে তোমার যোগ্য শাস্তি দিয়ে আমি আমার বাচ্চা নিয়ে অনেক দূরে চলে যাবো মরেই তো গিয়েছিলাম কিন্ত ফিরে আসছি শুধু তোমাকে বুঝাতে

কথাটা বলে আরহান উঠে চলে যেতে চাইলে আবার ফিরে এসে নিশাতের শাড়ি গহনা খুলে ড্রেস পড়িয়ে দেয়।

পেটে একটা চুমু দিয়ে বলে

” কিছু হবে না সোনামনি বাবা তোমার কিছু হতে দেবে না

নিশাতের কপালে চুমু দিতে গিয়ে ও ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে চলে যায় ।

সকালে
নিশাতের ঘুম ভাঙলে চারিদিক তাকিয়ে মনে করার চেষ্টা করে কালকের কথা মনে পড়তেই নিশাতের মাথায় রাগ উঠে যায়

“এখন বুঝতে পারছি কিসের জন্য বিয়ের এত তাড়া তার মানে আব্বু আম্মু সব জানতো কিন্ত আমাকে কেউ কিছু বলে নি সবাই মিথ্যেবাদী

কথাটা বলতে বলতে নিশাত চারিদিক তাকিয়ে দেখে

“এটা কার বাড়ি আর উনি বেঁচে থাকলে ওই বাড়ি না গিয়ে এখানে কেনো আসলো যাই হোক ঐ লোকটার সাথে আমি থাকতে পারবো না চলে যাবো

নিশাত বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে নিজের শরীরের দিকে নজর যায় আর নিশাতের রাগ উঠে যায়

আরহান সারারাত ছাদে থেকে এখন ঘরে ঢুকতেই তীব্র গতিতে কিছু একটা আরহান এর দিকে আসে একটুর জন্য বেঁচে গেছে ।

আরহান ভালো করে দেখে একটা ফুলদানি যেটা ছুড়ে মারা হইছে

“নিশা (চিল্লিয়ে)

আরহান এর চিৎকারে নিশা কিছু ভয় পেয়ে যায় কারণ আরহান খুব শান্ত ছেলে খুব সহজে রেগে যায় না নিশাত নিজেকে সাভাবিক করে আরহান এর সামনে গিয়ে কলার ধরে বলে

“একদম চিল্লাবে না তোমার চিল্লানি তে আর যেই ভয় পাক না কেনো আমি পাই না কোন সাহসে তুমি আমার ড্রেস চেঞ্জ করছো কে দিছে এই অধিকার

আরহান নিশাতের হাত জোড়ে ছাড়িয়ে চিৎকার করে বলে

“কিসের অধিকার তুমি আমার লিগালি ওয়াইফ একবার না দুই বার বিয়ে করা বউ আর সাহস সেটা যে আমার বরাবরই বেশি তুমি ত জানো এসব নাটক অন্য কারোর কাছে দেখাও আরহান আবরার এর কাছে না

” কিসের অধিকার তোমার মত নিচু মানুষের সাথে আমি থাকতে পারবো না কিছু তেই না

“নিচু মন আমার না নিচু মন তোমার এতটাই নিচু যে নিজের সন্তান কে ছি আমার ভাবতে ও ঘৃনা লাগছে যে তোমাকে একদিন আমি ভালোবেসেছিলাম।আর ড্রেস বদলানোর কথা বলো সেটা আর নতুন কি

“ভালোবাসা সেটা তোমার মুখে মানায় না হা তুমি তো মেয়েদের শরীর টায় বুঝবে তোমার মত মানুষের মুখ দেখতে ও ইচ্ছা করে না কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয়না সেটা তুমি প্রুফ করে দিলে

আরহান নিশাতের হাত পিছনে মুচড়ে ধরে

“আমি কুকুর তাই না অন্যের দিকে আঙুল তুলার আগেই নিজের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ তুই বেঁচে আছিস এই কুকুরের পরিচয়ে কি করিনি তোর জন্য পুরো দুনিয়ার সাথে লড়াই করেছি নিজের সব কিছু ছেড়েছি তোর জন্য আর তুই

কথায় বলে না যার জন্য করলাম চুরি সে বলে চোর

এতদিন আমার ভালোবাসা দেখেছিস এখন থেকে আমার আসল রূপ দেখবি আগের আরহান আবরার কে মনে আছে তো (বাকা হেসে)

আরহান কথাটা বলে নিশাত কে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ফ্রেশ হতে যায় আর নিশাত ওখানে থেকে বারান্দায় চলে যায় চোখের পানিতে গলা ভিজে যাচ্ছে

কথায় আছে একটা ভুল সারাজীবনের কান্না

নিশাত চোখের পানি মুছতে মুছতে অতীতে ডুব দিলো।

অতীত

ভার্সিটিতে নতুন দের রাগিং করছে সিনিয়ররা ।

নেহা গেটের কাছে দাড়িয়ে বক বক করে যাচ্ছে

নেহা : উফফ এই মেয়েটা আজকে ও লেট কবে যে একটু সময় মত আসতে পারবে (বিরক্তি নিয়ে)

নেহার কথার মাঝে একটা মেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে নেহার সামনে হাজির

মেয়েটা হাফাচ্চে আর নেহা রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে

নেহা : আজকে ও

“সরি জানু বাড়িতে অনেক কাজ ছিল সেইজন্য দেরি হয়ে গেছে

মুহুর্তেই নেহার রাগ উঠে গিয়ে করুন কণ্ঠে বলে

“আজকে ও তোকে দিয়ে কাজ করিয়েছে নিশু ?

” আমি ছাড়া কে করবে কাকীর শরীর তো ভালো না এখন বক বক বন্ধ করে চল ক্লাস শুরু হবে

নেহা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিশাতের হাত ধরে ক্লাসে যায়

(আমাদের গল্পের নায়িকা নিশাত আনজুম ।বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান মা ছোট বেলায় মারা গেছে আর বাবা ৫বছর আগে অ্যাকসিডেন্ট এ মারা যায় আপন বলতে চাচা চাচী আর ছোট একটা বোন আছে নাম ঈশা এবার এসএসসি দেবে। নেহা হলো নিশাত এর বেস্ট ফ্রেন্ড সেই ছোট থেকে দুইজন এক সাথে পড়ে দুই বোনের মতো বলা যায় নেহা নিশাত কে নিশু বলে ডাকে বাকিটা গল্প পড়ে জানতে পারবেন )

নিশাত আর নেহা ক্লাস করে বেরিয়ে আসে তখন নিশাত বলে

“নেহু আমার একটা বই লাগবে একটু লাইবেরিতে চল

“উফফ আমার খুব খুদা লাগছে

“আরে চল না একটা বই বেশিক্ষণ লাগবে না

“ঠিক আছে

নেহা নিশাত লাইবেরীতে যায় নেহা বসে দেখছে আর নিশাত বই খুঁজছে হটাৎ জানলার দিকে নিশাতের চোখ যায় কিছু মেয়ে মিলে একটা মেয়ের চুল কাটছে

নিশাত রেগে নেহা কে কিছু না বলে সেখানে যায় একটা মেয়ে হাসতে হাসতে চুল কাটছে তখনই নিশাত পিছন থেকে বলে

“আপনারা মেয়েটার সাথে এমন করছেন কেনো ?

নিশাতের কথায় সবাই পিছনে তাকায়

একটা মেয়ে বলে
“এটা কে বলে raging তুই কে যে তোকে বলতে হবে

ওদের কথার মাঝে নিশাত গিয়ে মেয়েটার হাত ধরে টেনে তুলে মেয়েটা নিশাত কে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে

মেয়েটা : আপু আমাকে বাঁচাও

নিশাত মেয়েটাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে হটাৎ একটা মেয়ে বলে উঠে

” এই যে হিরোইন এখানে হিরো গিরি দেখিয়ে লাভ না যা হচ্ছে টা কেউ আটকাতে পারবে না

নিশাত বলে উঠে

“দেখেন আপনারা ছেড়ে দেন নাহলে আমি প্রিন্সিপাল এর কাছে যাবো

“এই তুই কাকে ভয় দেখাচ্ছিস প্রিন্সিপাল স্যার আমার শশুর হয়

“কে কার শশুর দেখাচ্ছি

নিশাত মেয়েটার হাত ধরে প্রিন্সিপাল এর রুমে যেতে গেলে নেহার সাথে দেখা হয়

“কিরে এই তারে কই পাইলি

“চুপচাপ চল

মেয়েটা হটাৎ বলে উঠে

“আপু তুমি ভুল করছো ওরা ছেড়ে দেবে না তোমাকে

“সেটা পরে দেখা যাবে

নিশাত মেয়েটাকে কিছু বলতে না দিয়ে প্রিন্সিপাল এর রুমে যায়

প্রিন্সিপাল এর রুমে এক পাশে নিশাত নেহা আর ওই মেয়েটা দাড়িয়ে আছে অন্য পাশে ফিহা (যে চুল কাটছিল ) আর ওর বান্ধুবী দাড়িয়ে আছে

আমজাদ হাবিব (প্রিন্সিপাল স্যার) মেয়েটাকে বলতে বলে কি হইছে মেয়েটা বলার আগেই ফিহা চোখ রাঙিয়ে তাকায়

চলবে

আড়ালে_ভালোবাসি সূচনা_পর্ব
#নুসরাত_জাহান_অংকুর

(চলে আসলাম নতুন গল্প নিয়ে ভুল ত্রুটি হলে ধরিয়ে দিবেন ঠিক করার চেষ্টা করবো। প্রথম পার্ট পড়ে বিচার করতে আসবেন না শেষ পর্যন্ত সাথে থাকুন ইনশাল্লাহ ভালো লাগবে কেমন হইছে জানাবেন )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here