আমার পুতুল বর লেখিকা: আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম) পর্ব:৩৩

আমার পুতুল বর
লেখিকা: আরশি জান্নাত (ছদ্মনাম)
পর্ব:৩৩

একটা খালি ক্লাসরুমে চোখ মুখ খিচে দাঁড়িয়ে আছে আরশি। ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে আছে সূর্য। যার এক হাত বর্তমানে আরশির কোমরের দিকে শাড়ি ঠিক করতে ব্যস্ত।

ফ্ল্যাশব্যাক,
_____________________
নাচ করার সময় অসাবধানতায় আরশির কোমড়ের দিকের সেফটিপিন খুলে হারিয়ে যায়। যার ফলে ওর পেটের আর কোমরের অনেক অংশই দৃশ্যমান হয়ে যায়। আরশির সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। কিন্তু সূর্য ঠিকই দেখেছিলো। রাগে নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলে সূর্য। আরশির নাচ শেষ হতেই ওকে সকলের আড়ালে স্টেজের পেছনের দরজা দিয়ে বের করে এই ফাঁকা রুমটাতে নিয়ে আসে।
~ আরে ভাইয়া আমাকে এখানে আনলেন কেনো?
সূর্য রেগে বললো,,,
~ কোনো হুশ জ্ঞান নেই তোমার তাই না?
আরশি না বুঝে সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে।
~ আমাকে না দেখে একবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখো।
আরশি নিজের দিকে তাকাতেই হতভম্ব হয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি হাত দিয়ে পেটের দিকটা ঢেকে ফেললো।
~ এখন ঢেকে কি হবে? যা দেখার তা তো দেখেই ফেলেছে সকলে।
আরশি কোনা চোখে সূর্যর দিকে তাকালো।
~ জলদি শাড়িটা ঠিক করো।
আরশি বুঝতে পারছেনা শাড়িটা ঠিক করবে কি করে, কোনো সেফটিপিনই তো নেই। অসহায় চোখে সূর্যের দিকে তাকালো।
~ কি হলো?
~ সেফটিপিন তো নেই আমার কাছে। যা আছে তা বিভিন্ন জায়গায় সেট করা। এখন আমি কিভাবে কি করবো? আপনি একটু আপ্পি কে বা মিহিকে ডেকে দিন।
~ মেইন গেট দিয়ে এখন কাওকে বের হতে দিবে না। আর পিছনের দরজা দিয়ে ওরা বেরোতে পারবে না। কারণ ওটা স্টেজের পিছনে। আমিতো তোমাকে তোমার ডান্স শেষ হওয়ার পরেই লুকিয়ে এখানে নিয়ে এসেছি।
আরশি চিন্তিত হয়ে বললো,, তাহলে এখন কি করব?
~ দাড়াও ভাবতে দাও।
আরশি চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ কোমরে হাতের স্পর্শ পেতেই কেপে উঠলো। আরশি হা হয়ে সূর্যকে দেখছে। সূর্য ওর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো।
~ আ.. আপনি কি করছেন?
~ শাড়ির সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছি।
~ ম…মানে?
~ চুপ করে দেখতে থাকো। ( চোখ গরম করে বললো )
আরশি আর কিছু বলার সাহস পেলো না। চুপ করে পিছনের দেয়ালে হেলান দিয়ে চোখ মুখ খিচে দাড়িয়ে গেলো।

ফ্ল্যাশব্যাক শেষ
___________________

সূর্য আরশির কুচির দিকটা থেকে সেফটিপিন ছুটিয়ে কোমরের দিকে লাগিয়ে দিলো। বেশ সুন্দর করে ওর পেট আর কোমর ঢেকে দিলো। তারপর কুচি গুলো আরেকটু শক্ত করে গুজে দিলো যাতে খুলে না যায়। শাড়ি ঠিক করতে গিয়ে যতবার সূর্যের হাত আরশির পেট ও কোমর ছুঁয়েছে, আরশির সারা শরীরে ততোবার এক অজানা শিহরন বয়ে গেছে।
বার বার কেপে কেপে উঠেছে ওর শরীর। এই অনুভূতি ওর কাছে সম্পূর্ণ নতুন। শেষে আর সইতে না পেরে শাড়ির আঁচল মুঠ করে ধরে চোখ বন্ধ করে রেখেছিলো। বেশ কিছুক্ষণ পর আর কোনো ছোঁয়া না পেয়ে আস্তে আস্তে চোখ খুললো। সূর্য ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ওর শ্বাস দ্রুত ওঠা নামা করছে। মনে হচ্ছে যেনো এক্ষুনি জগিং করে ফিরেছে।
সূর্য পিছনে ফিরে বললো,,,
~ তোমার শাড়ি আপাতত ঠিক আছে। খুলে যাওয়ার চান্স নেই। যদি তুমি সামলে রাখতে পারো তো। এখন চলো সবাই নিশ্চই তোমাকে খুঁজছে।
আরশি কিছু বললো না। ও সূর্যের দিকে তাকিয়ে ভাবছে,,
~ ওনার হঠাত কি হলো। এভাবে হাপাচ্ছেন কেনো? কোনো সমস্যা হলো না তো ?

সূর্য কোনো জবাব না পেয়ে আরশির দিকে ঘুরে তাকালো।
~ কি হলো চলো!
~ বলছি আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে?
সূর্য কপাল কুঁচকে তাকালো।
~ না তো । কেনো মনে হলো তোমার?
~ আপনি হঠাৎ করে হাপাচ্ছেন, তাই ভাবলাম।
সূর্যর কুচকে যাওয়া কপাল আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো। ও কিছু না বলে আস্তে আস্তে আরশির দিকে এগিয়ে গেলো। আরশি সূর্যর এহেন কাজে ঘাবড়ে গেলো। এভাবে এগুচ্ছেন কেনো উনি! আমি কি ভুল কিছু বললাম? সূর্য আরশির সাথে প্রায় ছুঁই ছুঁই হয়ে দাঁড়ালো। এক হাত আরশির মাথার বা পাশের দেয়ালে রাখলো। ওদের মাঝে দুরত্ব মাত্র এক সেন্টিমিটার। আরশি চোখ বড় বড় করে সূর্যকে দেখছে।
~ ক.. কি হয়েছে ভাইয়া? আমি কি ভুল কিছু বলেছি?
~ না ভুল কিছু বলোনি। আমার শরীরটা সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। কেমন খারাপ জানো?
আরশি মাথা নাড়লো মানে ও জানে না। সূর্য ওর কানে ঠোঁট লাগিয়ে ফিস ফিস করে বললো,,,,
~ এমন ফর্সা মেদহীন মসৃণ পেট আর কোমর এতো কাছ থেকে দেখলে , কোনো ছেলের শরীর কি ভালো থাকে ? আর এখানে তো আমি আমার খুব কাছের করোরটা দেখেছি । তো আমার শরীর আর ভালো থাকবে কি করে ? শরীরে যে নিষিদ্ধ কিছু চাহিদা জেগে উঠছে। কি করবো এখন?
সূর্যর ঠোটের ছোয়া আর ফিস ফিস করে বলা কথা গুলো আরশি কে একদিকে যেমন উদ্ভ্রান্ত করে তুলছে, অন্যদিকে ওকে লজ্জার সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আরশি ঘাড় ঘুরিয়ে সূর্যের দিকে তাকালো, সূর্য ও ওর দিকে তাকিয়ে আছে। ওর এমন চাহনি দেখে আরশির বুক কাপছে। শরীরে মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে। সূর্যের আরশির দিকে তাকিয়ে নেশা লেগে যাচ্ছে। ওর ঐ কম্পনরত ঠোঁট সূর্যকে কাছে ডাকছে। সূর্য হঠাৎ করে আরশির দু গাল চেপে ধরলো। আস্তে আস্তে নিজের ঠোঁট আরশির ঠোঁটের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কি ঘটতে যাচ্ছে তা বুঝতে পেরে আরশি চোখ বড় বড় করে ফেললো। কি করবে এখন? সূর্যকে আটকাবে? কিন্তু কেনো আটকাবে? সূর্য তো ওর বর হয়। তাছাড়া সূর্যের কাছাকাছি আসার সুযোগ তো আর রোজ পায়না। আজ যখন পাচ্ছে তখন কেনো সেটা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবে? আরশি আর কিছু না ভেবে নিজের চোখজোড়া বন্ধ করে ফেললো। সূর্যের নিশ্বাস ওর ঠোঁটের উপর পড়ছে। আরো শক্ত করে নিজের আঁচল চেপে ধরলো আরশি। সূর্য আরশি কে কিস করতেই যাচ্ছিলো কিন্তু,,,,,,,
~ আরশি!!! আরশি?? ( মিহি চেচিয়ে ডাকছে আরশি কে )
আরশি চমকে উঠে চোখ খুলে ফেললো। আর সূর্য আরশির দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সরে এলো।
আরশি দ্রুত নিজেকে ঠিক করে নিয়ে সোজা হয়ে দাড়ালো।
~ কোথায় গেলো মেয়েটা? ( রেহান )
~ বুঝতে পারছিনা। নাচ শেষে তো আমার পাশেই ছিলো। হঠাৎ গায়েব কোথায় হয়ে গেলো? ( মিহি )
~ কোথাও তো পেলাম না। পাঁচ মিনিটের মধ্যে আবার অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হতে হবে। কি করি। ( রেহান )

আরশি মাথা নামিয়ে রেখেছে। কিছুক্ষণ আগের ঘটনা মনে করে লজ্জয় আরো মিইয়ে যাচ্ছে। সূর্যের দিকে তো তাকাতেই পারছে না। সূর্য আরশির হাত ধরে ওকে বাইরে নিয়ে এলো। মিহি আর রেহান রুমের বাইরেই ছিলো। ওদের একসাথে খালি ক্লাসরুম থেকে বেরোতে দেখে অবাক হয়ে গেলো। মিহি আর রেহান একে অপরের দিকে তাকালো। আরশি এখনো মাথা নামিয়ে রেখেছে।
~ তোরা এখানে কি করছিস ? ( মিহি )

সূর্য আরশির দিকে তাকিয়ে মিহি কে বললো,,,
~ ওর শাড়ি নষ্ট হয়ে গেছিলো ওটা ঠিক করতেই ও এখানে এসেছিলো। আমি ওকে বেরোতে দেখে ওর পিছু পিছু এসেছি।
আরশি হতভম্ব হয়ে সূর্যের দিকে তাকালো। কতো বড় ধরিবাজ একটা।। কত সহজে মিথ্যা কথা বলে দিলো। আরশি চোখ ছোট ছোট করে কপাল কুঁচকে সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে। মিহি সন্দিহান চোখে ওদের দুজনকে পর্যবেক্ষণ করছে। আরশি কে উদ্দেশ্য করে বললো,,,,
~ তোর শাড়ি ঠিক করতে হবে এটা আমাকে বলা যেতো না? আর তুই বেরোলি কখন? কোন দিক দিয়ে বের হলি?

আরশি অসহায় ভাবে সূর্যের দিকে তাকিয়ে আছে। জানতে চাইছে এখন কি বলবে? কিন্তু সূর্য ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। আরশির সূর্যের হাবভাব দেখে রাগ উঠছে। অসভ্য লোক আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে, নিজে এখন চুপ করে আছে।
মিহি আরশি কে ঝাকিয়ে আবার জিজ্ঞেস করলো। আরশি কিছুটা ভেবে বললো,,,,
~ আসলে তোকে বলার সুযোগ পাই নি। তাছাড়া শাড়ির যা অবস্হা হয়েছিলো, ওখানে বেশিক্ষণ থাকা ও যেতো না। তাই ব্যাক ডোর দিয়ে বেরিয়ে চলে এসেছি।
~ ইয়ার! আমরা কতোটা টেনশন করছিলাম জানিস? সুজানা আপু তো প্রায় কেঁদে ফেলার মতো অবস্হা। ভাইয়া আর বাকিরা আপুকে সামলাচ্ছে।
~ সরি। ( আরশি আড়চোখে সূর্যের দিকে তাকিয়ে বললো )
~ উম বাই দা ওয়ে, তোমরা বেরোলে কি করে? ( সূর্য )
মিহি কোনা চোখে রেহানের দিকে তাকালো। রেহান দাত কেলিয়ে বললো,,,
~ আমি গার্ড কে বলেছি লাল মরিচের মাথা ঘুরাচ্ছে, বমি বমি পাচ্ছে। তাই ইমিডিয়েটলি ওকে বাইরে নিয়ে যেতে হবে ফ্রেশ ফিল করানোর জন্য।

~ নাচের জন্য বলবে কে? ( দাতে দাত চেপে বললো মিহি )
~ ও হ্যাঁ নাচের জন্যই তো মাথা ঘুরছিলো। কেন তুমি কি ভেবেছো? ( ভ্রূ নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল রেহান )
মিহি আমতা আমতা করে বললো,,,
~ ক.. কিছুনা। আ,, আরশি, ভাইয়া চলুন আমরা যাই সবাই টেনশন করছে।
~ হুঁ. ( আরশি )
____________________

সুজানা আরশি কে ইচ্ছেমতো বকে এখন জড়িয়ে ধরে রেখেছে। সূর্যকে ও বকা দিয়েছে। কেনো জানায়নি যে আরশি ওর সাথে ছিলো।
~ ( আরশি কে ছেড়ে ওর হাত ধরে ) আর কখনো এমন করবি না। ভয় পেয়ে গেছিলাম আমি।
~ সরি আপ্পি। ( টুপ করে সুজানার গালে চুমু দিয়ে দিলো ) সুজানা আর বাকিরা হেসে ফেললো।
আরশি আড়চোখে সূর্যের দিকে তাকালো। সরাসরি তাকানোর সাহস ওর নেই। কিন্তু সূর্য ঠিকই ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আরশি দ্রুত চোখ সরিয়ে ফেললো।

অনুষ্ঠান শেষে ওরা পার্কিং এরিয়াতে এলো।

~ ইয়ার আমার না লং ড্রাইভে যেতে ইচ্ছে করছে। কানাডা থাকতে তো আমরা প্রায়ই রাতে বেড়িয়ে পরতাম লং ড্রাইভে। কিন্তু এখানে আসার পর পারছিনা। ( ন্যান্সি )
~ হ্যাঁ ঠিক বলেছিস । ( রোজ )
~ এই সূর্য ! আমরা কি এখানেও লং ড্রাইভে যেতে পারিনা ? ( রিক )
~ গেলে অনেক ভালো হতো। আমি না কখনো লং ড্রাইভে যাই নি। ( সুজানা )
~ সিরিয়াসলি?? ( মাহির )
~ হ্যাঁ। মা আমাকে এসবের পারমিশন দিতো না। আর ভাই তো ওর ফ্রেণ্ড সার্কেল নিয়ে যেতো। তাই আমার যাওয়া হয় নি কখনো। ( মন খারাপ করে বললো সুজানা )
~ ওকে ডান। ( মাহির )
সবাই মাহিরের দিকে তাকালো। মাহির সুজানাকে এক পাশে জড়িয়ে ধরে বললো,,,
~ আজকে রাত ৮ টায় সবাই তৈরি থেকো। আমরা আজ লং ড্রাইভে যাবো।
~ ইয়ে!!!! ( সুজানা ও মাহির কে জড়িয়ে ধরলো )
~ সত্যি ভাইয়া ? ( মিহি অবাক হয়ে ওর ভাই কে দেখেছে। ওর কাজ পাগল ভাই লং ড্রাইভে যাবে বলছে )
~ হ্যাঁ সত্যি।
~ আমাকে একটা কথা বল। তুই তো কাজের কারনে আমাদের সাথে এক বেলা ঠিক করে খাওয়ার সময়টুকু পাস না। এখন হঠাৎ লং ড্রাইভে যাবি বলছিস ?
~ হ্যাঁ , যাবো। কারন সুজির মন খারাপ হোক এটা আমি চাইনা।
~ওওওও ! সো সুইট। ( রোজ আর ন্যান্সি একসাথে বললো )
নিধি আর অভ্র ড্যাব ড্যাব করে মাহির আর সুজানাকে দেখছে। এতক্ষণে ওরা জেনে গেছে যে মাহির আর সুজানা ছোটবেলা থেকে বেস্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু তাও মাহিরের এতটা কেয়ার দেখে ওরা অবাক হচ্ছে। নিধি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিওর যে মাহির ওদের বিয়ে ঠিক হওয়ার ব্যাপারে কিচ্ছু জানে না। নাহলে কিছু তো অন্তত বলতো। মাহির যে কিছু জানে না এটা ভেবেই নিধির শান্তি লাগছে। বিয়েটা হওয়ার কোনো চান্স বোধয় নেই।
~ সূর্য তুমি কি বলো যাচ্ছি তো আমরা লংড্রাইভে?
~ তুমি যখন হ্যাঁ বলে দিয়েছো তখন আমি আর মানা করে কি করবো ?
~ গ্রেট। তাহলে রেহান, অভ্র অ্যান্ড মিস নিধি তোমরাও ও আসবে। সবাই মিলে গেলে আনন্দ দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাবে।
রেহান আর অভ্র হেসে সম্মতি জানালো। মিহি রেহানকে ভেংচি কাটলো। রেহান অন্যপাশে তাকিয়ে হেসে দিলো। মাহির নিধির দিকে তাকালে, নিধি বোকা হেসে মাথা নাড়লো। যাই হোক না কেনো মাহিরের সামনে নিধির বেশ অসস্তি লাগে।

~ ওকে দেন আটটায় দেখা হচ্ছে। ( রিক )
~ সিওর। ( মাহির )
সবাই একে অপরকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলো।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here