#বোনু
#সিজন_০২
#Part_09
#Writer_NOVA
Scotland…….
বিশাল বড় অফিসে একটা রুমে মিটিংয়ে ব্যস্ত ধূসর চোখের ছেলেটি।মিটিংয়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার তার মোবাইলে কল এলো।বারবার কেটে দিলো সে।মিটিং শেষ করে নিজেই আবার কল ব্যাক করলো।
—- কি ব্যাপার জিহান? এত বারবার কল দিচ্ছিলে কেন?আমি বারবার কল কেটে দিচ্ছিলাম, তারপরেও তুমি দিয়ে যাচ্ছো।তোমাদের না আমি বলেছি,মিটিংয়ে থাকলে আমি কখনো কল ধরি না।
জিহানঃ সরি বস।আসলে আমি বুঝতে পারিনি।
—- কি খবর বলো? তোমাকে না বলেছিলাম আমার হিরের আরো ছবি চাই। তুমি এখনো পাঠাও নি কেন?
জিহানঃ আসলে বস এর মধ্যে মনে ছিলো না। চিন্তা করবেন না আজকে পাঠিয়ে দিবো।আজ কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান তাই মিহু খুব সুন্দর করে সেজে এসেছে। আমি ক্যামেরা ম্যানকে ঠিক করে রেখেছি।মিহুর ছবি তোলার জন্য।
— গুড,ভেরী গুড।কিন্তু তুমি ওকে নাম ধরে ডাকবে না।ভাবী বলবে।শুনেছো,কি বলেছি?মনে রাখবে।
জিহানঃ জ্বি বস।তবে একটা বেড নিউস আছে।
—- কি বেড নিউস?(কপাল কুঁচকে)
জিহানঃ নিবরাজ—
— ওয়েট,এই নিবরাজ কে?খান কোম্পানি ও কলেজের ওনার নিবীড় খানের ছেলে?
জিহানঃ জ্বি বস।
—নিবরাজ তো আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষ।ওদের সাথে আমাদের বিজনেসের ক্ষেত্রে ভালো শত্রুতা চলছে।
নিবরাজ ও তার ভাই আইজান নাকি দেশে ফিরেছে।
ওদের কলেজেই তো হির ভর্তি হয়েছে। কিন্তু নিবরাজ কি করেছে?
জিহানঃ তেমন কিছু নয় বস।
— তাহলে???
জিহানঃ নিবরাজ, মিহুকে ভালোবাসে।
—What???(রেগে)
জিহানঃ জ্বি বস। গত তিন বছর ধরে রাজ মানে নিবরাজ ভাবীকে ভালোবাসে।
— তোমায় কে বললো?
জিহানঃ ওদের বন্ধুরা এই বিষয়ে কথা বলছিলো। আমি গাছের আড়ালে লুকিয়ে শুনে নিয়েছি।
— আমি ওকে ছারবো না। তবে তোমরা চিন্তা করো না।হির শুধু আমার,ও আমারি থাকবে।শুধু নিবরাজকে ওর জীবন থেকে সরিয়ে দিবো।নাহ, চুপ করে থাকলে হবে না।এবার গেম স্টার্ট করতে হবে।
জিহানঃ ঠিক আছে বস।আমি রাখছি।
— রাখো।ঐ জায়গার সারাদিনের খবর আমাকে দিও।
জিহান কেটে দিলো।ধূসর চোখর ব্যক্তিটা টেবিলে থাকা সব জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিলো।সামনে থাকা যাবতীয় জিনিসপত্র ভাঙচুর করতে লাগলো। আজও কলটা কেটে জিহান বাঁকা হাসি দিলো।
জিহানঃ আগুন লাগিয়ে দিয়েছি তোর মনে মিস্টার……। অনেক হিসাব বাকি আছে তো।তবে সে পর্যন্ত তোর গোলামী করা ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই। তুই নিবরাজের ক্ষতি করবি?হাউ ফানি।নিবরাজের গায়ে তোর একটা আঁচড়ও আমি পরতে দিবো না।আর ওর ক্ষতি করবি তুই? হাউ ফানি।
জিহান নিজের মনে বির বির করতে করতে তার কাজে চলে গেল।মুখের মধ্যে তার এক টুকরো বাঁকা হাসি। কারো সর্বনাশ ঘনিয়ে এসেছে। তবে সেই সর্বনাশ নিবরাজের নয়।
☘️☘️☘️
কলেজে…….
স্টেজের সামনের চেয়ারে The tim of rainbow -এর সবাই বসে আছে। স্যারদের উপদেশ আর বকবকানি অসহ্য লাগছে।তারপরেও উঠতে পারছে না।ওদের সাথেই রাজ,জান,মেহরাব ও তাদের দল বসে আছে। মিহুর সাথে রাজ বসেছে।বসেও থাকতে পারছে না আবার উঠতেও পারছে না।আজকের প্রধান অতিথি নিবীড় খান। বিশেষ অতিথি জীবন খান।মিহুর বাবাও তাদের সাথে আছে। মিহু কিছু সময় পর পর বিরক্তির সাথে হাই তুলছে।
মিহুঃ ধূর,ভাল্লাগে না।এই জায়গায় মূর্তির মতো বইসা বকবকানি সহ্য করার কোন মানেই হয় না।যাইতেও পারতাছি না।সাথেই নিবরাজ চিলি মসলা বইসা রইছে।ধূর,ছাই, অসহ্যকর।সরেও না এইডায়।কালকে যে হাতের মধ্যে চিপা ধরছিলাম তাও সরম হয় নাই। আজকেও আমার সাথে আইসা বইসা রইছে। ইচ্ছা করতাছে হাতের মধ্যে জোরে কামড় দিয়া কাইট্টা ফালাই।নিজে মোবাইল টিপতাছে আর আমারে এই বকবকানি শুনাইতাছে।জীবনডা তেজপাতা হইয়া গেলো এই ছেমড়াডার লিগা।(বিরবির করে)
নিবরাজঃ কি এতো বিরবির করে?
মিহুঃ আমার বকবকানি সহ্য হইতাসে না। প্লিজ, আমাদের এখান থেকে যেতে দিন।
নিবরাজঃ এখান থেকে এক পা নরলে, পায়ের মধ্যে বারি দিবো।চুপচাপ বসে থাকো।এটাই তোমার শাস্তি। গতকাল আমার হাত চিপা দিছিলা না,সেইজন্য আজকে তুমি এসব সহ্য করবা।(ধমকের সুরে)
মিহু আর কথা বললো না।চুপচাপ চেয়ারে মাথা হেলান দিয়ে রাখলো।ঘুমে ওর চোখ বুজে আসছে।মিহুর বেশি বকবকানি শুনলে ও বেশি কাজ দেখলে ওর ঘুমে ধরে। একসময় রাজের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরলো।
নিবরাজঃ পাগলী মেয়ে। এই হৈ চৈ, মাইকের আওয়াজে কিভাবে ঘুমিয়ে গেলো? সত্যি এক লাখের মধ্যে একটা হবে ওর মতো মেয়ে।
নিবারাজ মিহুর মুখে আাসা বেবি চুলগুলো কানের নিচে গুঁজে দিলো। তারপর কপালে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো।পেছন থেকে মেহরাব জোরে চিৎকার করে বললো।
মেহরাবঃ রাজ এটা পাবলিক প্লেস। যা করার একটু ভেবে চিন্তে করিস।এতদিন পর আমার বোনকে পেয়ে আবার মাথা গুলিয়ে ফেলিস না।
রাজ মুচকি হাসলো। ও যে কত খুশি এখন।ওর মিহু আজ ওর কাঁধে মাথা রেখেছে। এর চেয়ে বেশি খুশি আর কিসে হতে পারে। বিষয়টা চোখ এড়ালো না নিবীড় খান ও ফাহিম মির্জার থেকে।
নিবীড়ঃ ফাহিম,আমরা বোধহয় এবার বন্ধু থেকে বেয়াই হতে চলেছি।
ফাহিমঃ কেন?
নিবীড়ঃ রাজ ও মিহুকে দেখছিস।
ফাহিমঃ দেখলাম তো।
নিবীড়ঃ আমার ছেলে কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকায় না।কোন মেয়েকে নিজের ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেয় না।সেই ছেলের কাঁধে তোর মেয়ে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।আর আমার ছেলের কোন রিয়েকশন নেই। আপন মনে মোবাইল চালাচ্ছে। এতেই সবকিছু
বোঝা যায়।
ফাহিমঃ তোদের যদি মিহুকে পছন্দ থাকে তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই। আমার রাজকে ভীষণ পছন্দ।
নিবীড়ঃ আমার কোন আপত্তি নেই। আমার ছেলে যাকে পছন্দ করবে আমরা তার সাথেই বিয়ে দিবো বলে ঠিক করে রেখেছি।এখন সে যদি তোর মেয়েকে পছন্দ করে আমাদের কিসের আপত্তি? তারপরেও রাজের মা রাজী থাকলেই হবে।এবার বুঝেছি এই জন্যই আমার ছেলে অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজী হচ্ছিল না।
ফাহিমঃ তুই যা ভালো বুঝিস তা কর।আমিও এর মধ্যে পরিবারের সবার সাথে কথা বলে দেখবো।
নিবীড়ঃ ঠিক আছে।
অনেকখণ পর মিহুর ঘুম ভাঙলো।ঘুমের মধ্যে মিহু,রাজের ডান বাহুটাকে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। মিহু ঘুমে থাকতে রাজ অনেকগুলো ছবি তুলে নিয়েছিলো।কে জানে, কবে আবার এমন সুযোগ পাবে।ঘুম ভাঙতেই মিহু দেখলো এখনো বকবকানি থামেনি।মিহু কিছুটা বিভ্রান্ত হয়েই রাজের হাত ছেড়ে দিলো।তারপর উঠে চলে গেল The tim of rainbow -এর কাছে।
☘️☘️☘️
কয়েক ঘন্টা পর……..
এর মধ্যে নবীন বরণ হয়ে গেছে। কিছুখণ পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যাবে। মিহু কিছু সময় ধরে খেয়াল করছে একটা ক্যামেরা ম্যান শুধু ওরি ছবি তুলেছে।মিহু আস্তে করে চেয়ার থেকে উঠে গেল। সাথে বাকি ছয়জন। বাইক থেকে হকি স্টিক নিয়ে এলো।তারপর ঐ ক্যামেরা ম্যানের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো।
ক্যামেরা ম্যানঃ কোথায় গেলো?ম্যাডাম তো এদিকেই উঠে এলেন।
হঠাৎ ক্যামেরা ম্যানকে মিহু পেছন থেকে স্টিক দিয়ে ২/৩ টা খোঁচা দিলো।পেছন ঘুরে তাকাতেই মিহু ভ্রু নাঁচিয়ে চোখের ইশারা করলো।
মিহুঃ অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছি আমার ছবি তুলছেন।ঘটনা কি🤨?
ক্যামেরা ম্যানঃ কোন ঘটনা নেই ম্যাডাম।
মিহুঃ রুশান,সায়েম, কিরন।
তিনজনঃ জ্বি বস বলেন।
মিহুঃ এইডারে উঠাইয়া কলেজের পেছনে নিয়া আয়।অনেক হিসাব-নিকাশ আছে। ওরে মিহুর ছবি তুলনোর মজা বুঝামু।
তিনজনঃ ওকে,তোরা যা।আমরা আইতাছি।
তিনজন মিলে ধরে, জোড় জবরদস্তি করে ক্যামেরা ম্যানকে কলেজের পেছনে নিয়ে গেল।মিহু একটা উঁচু টিলার ওপর বসলো। ওর সামনে ছেলেটাকে দাঁড় করানো হলো।
মিহুঃ ছবি কে তুলতে বলেছে?
ক্যামেরা ম্যানঃ আমি জানি না ম্যাডাম।
মিহুঃ সত্যি করে বল।তা না হলে এই স্টিক দেখছোত।এইটা দিয়া মাথা ফাটামু।
এবার ক্যামেরা ম্যান সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গেল।ছেলেটার বয়স বেশি নয় ২৪/২৫ হবে।
ক্যামেরা ম্যানঃ আমি চিনি না। একটা ছেলে আমাকে কিছু টাকা দিয়ে আপনাকে দেখিয়ে দিলো।আর Imo-এর নাম্বার দিয়ে গেলো।বলছে ছবি তোলা শেষ হলে, ছবিগুলো ঐ নাম্বারে পাঠিয়ে দিতে।
মিহুঃ দেখ তো রুশান, কতগুলো ছবি তুলছে?
রুশান ক্যামেরা ম্যানের হাত থেকে ছোঁ মেরে ক্যামেরাটা নিয়ে ছবি দেখতে লাগলো।
রুশানঃ হির,এই ব্যাডায় তো বহুত ছবি তুলছে।
মিহুঃ ডিলিট করে দে।আর যা গিয়ে ডায়পার নিয়ে আয়।
আভাঃ কি ডায়পার🙄?? ডায়পার দিয়া কি করবি?
মিহুঃ ওরে পরামু।ওর সাহস কি কইরা হয় আমার ছবি তুলে।
সায়েমঃ ডায়পারের অনেক দাম।৫ পিস ২০০ টাকা।উন্নত মানেরটা আর কি।
আফরাঃ কিপ্টা জানি কোনহানকার!!
কিরনঃ এতোগুলা দিয়া কি করবি?
মিহুঃ বাকিগুলা তোগো পরামু।(রেগে)
রিমঃ ডায়পার ছার।আমার ব্যাগে শাড়ি আছে ঐ টা দিয়া কাম চালা।আমিতো শাড়ি চেঞ্জ করে ফেলছি।
মিহুঃ আচ্ছা দে।
ক্যামেরা ম্যানঃ ম্যাডাম আমাকে মাফ করে দিন।আমি আর আপনার ছবি তুলবো না।আমি এখনি চলে যাচ্ছি।
আভাঃ মাফ করতে পারি এক শর্তে।
ক্যামেরা ম্যানঃ কি শর্ত?
আফরাঃ তুমি এই শাড়িটা পরবা।আর আমরা তোমার ছবি তুলমু।
ক্যামেরা ম্যানঃ না ম্যাডাম, আমি পারবো না।
কিরনঃ তাইলে মাম্মা আমগো হির তোমারে হসপিটালে ভর্তি করবো।
আফরাঃ বেশি ভাইবো না মাম্মা। জলদী কও।
রিমঃ যদি রাজী হইয়া যাও তাহলে শুধু শাড়ি পরাইয়া কয়েকটা ছবি তুলমু। আর যদি রাজী না হও তাহলে—
সায়েমঃ শাড়ি পরাইয়া সারা কলেজে ঘুরামু।
মিহুঃ কোনডায় রাজী আছো?
☘️☘️☘️
ছেলেটা ১ম শর্তে রাজী হয়ে গেলো সায়েম,কিরন,
রুশান মিলে ছেলেটাকে শাড়ি পরাচ্ছে।আফরা বলে দিচ্ছে কি করে পরাতে হয়।শাড়ি পরানো শেষ হলে ওরা সবাই মিলে ছেলেটার সাথে অনেকগুলো ছবি তুললো।তারপর শুধু ক্যামেরা ম্যানের ছবিগুলো যে ছেলেটা Imo-এর নাম্বার দিয়েছিলো সেই ছেলের নাম্বারে পাঠিয়ে দিলো।
অনেকগুলো ছবি তুলেছে ছেলেটার।আফরা কিছুখণ ছেলেটাকে শাড়ির আঁচল মেলে ধরতে বলে,আবার ঘোমটা দিয়ে দেয়,আবার অন্য স্টাইল করতে বলে।
হঠাৎ সেখান দিয়ে আইজান যাচ্ছিলো।ওদেরকে দেখতে পেয়ে এদিকে চলে এসলো।ওদের সামনে এসে ক্যামেরা ম্যানের এই অবস্থা দেখে চোখ কপালে তুললো।
আইজানঃ কি হচ্ছে এখানে?
রিমঃ ছবি তোলা হচ্ছে।
আইজানঃ ওকে শাড়ি পরিয়েছো কেন?
রুশানঃ ও হিরের ছবি তুলছে।তাই আমরা ওকে স্পেশালভাবে সাজিয়ে ছবি তুলেছে।
আইজানঃ ছারো ওকে।এই ছেলে তুমি শাড়ি খোলো।
মিহুঃ হ্যাঁ,তুমি শাড়ি খোলো। কারণ এখন শাড়িটা আইজান খানকে পরানো হবে।(দাঁতে দাঁত চেপে)
আইজানঃ কি-ই-ই-ই 😳!!!!
মিহুঃ জ্বি।কারণ তিনি এখন আমাদের ডিস্টার্ব করতে আসে এই নেংটি ইঁদুরটা।তাই এখন ওকে শাড়ি পরাবো।
ওদের কথা বলার ফাঁকে ক্যামেরা ম্যান শাড়ি খুলে ওর ক্যামেরা ও মোবাইল নিয়ে দৌড়। একাবারে কলেজ গেইটের সামনে এসে থামলো।তারপর একটা রিকশা ডেকে তার মধ্যে চড়ে বসে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।
ক্যামেরা ম্যানঃ বাপ–রে🥶!!! কি মেয়েরে বাবা?? যেমন মেয়ে তেমন তার ফ্রেন্ড। আমি আর ঐ কলেজে পা রাখছি না। আরেকটু সময় থাকলে আমাকে শাড়ি পরিয়ে সারা কলেজ ঘুরাতো। বড্ড বাঁচা বেঁচে গেছি।
অন্যদিকে…..
আইজান ক্যামেরা ম্যানকে বাঁচিয়ে দিয়ে,নিজে বিপদে পরে গেছে।
মিহুঃ কি বললাম সায়েম,রুশান,কিরন?কানে কি শুনতে পাসনি।আমার সাথে লাগতে আসার মজাটা বুঝিয়ে দিবো। ধর ওকে।শাড়ি পরিয়ে সারা কলেজ ঘুরাবো।
আইজানঃ একদম না।তোমরা তিনজন আমার কাছে আসবে না।
ছেলে তিনজন সামনে এগুতেই জান পেছন দিকে দৌড় দিলো।সোজা নিবরাজের সামনে চলে গেল।ওরা সাতজন হাসতে হাসতে মাটিতে বসে পরলো।
নিবরাজঃ কি রে কি হয়েছে?
আইজানঃ সব দোষ তোর।
নিবরাজঃ আমি আবার কি করলাম?
আইজানঃ কে বলেছিলো ঐ এনাকোন্ডাকে খুঁজে আনতে?
নিবরাজঃ আমি বলেছি তো কি হয়েছে?
আইজানঃ বাপ–রে!!! আর কিছু সময় থাকলে আমার মান-সম্মানের তেরটা বাজিয়ে দিতো।
মেহরাবঃ কি হয়েছে বলবি তো?
আইজান সবাইকে পুরো ঘটনা খুলে বললো।ওরা প্রত্যকে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো।
নিবরাজঃ ভালোই হতো, তোকে শাড়ি পরা দেখতাম।
সিয়ামঃ আমি এর মধ্যে তোকে কল্পনাও করে ফেলেছি দোস্ত।
আইজানঃ হাসতে থাকো। তোমাদেরি তো দিন।তোমরা হাসবে না তো কে হাসবে? মনে রাখিস দিন সবার সমান যায় না। আমারও দিন আসবে।
রাগে বিরবির করতে করতে আইজান ওদের সামনে থেকে চলে গেল।কিছু সময় পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হলো।
#চলবে
আমাকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন,মিহু ও হির আলাদা আলাদা দুইজন মানুষ কিনা।আর যে মারা গেছে তার নাম কি?আমি তাকে বলতে চাই মিহু,হির ও মেহরুন আলাদা তিনজন ব্যাক্তি নয়।একজনের তিনটা নাম।যে মারা গেছে তার নাম আরো পরে জানতে পারবেন।তাই আমি এখন বলতে চাইছি না।
তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষ কনফিউশান নায়ক কে?নায়ক নিবরাজ।স্কটল্যান্ডে যে আছে সে নায়ক নয়।যেহেতু সে নায়ক নয়, তাহলে কে হতে পারে আপনারাই আন্দাজ করে নিন।