#আমার রাজ্যের রানী
#Part:7
#Writer : Sriti Nur Avni
🍁
নীহাল আহম্মেদ ভ্রু কুচকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন তার সামনে বসে থাকা নীলের দিকে।ঢাকা মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস থার্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট হয়ে অফিসে বসতে চাচ্ছে সে।যেই ছেলেকে হাজার বার বলেও একবার অফিসে আনা যায়না তার ব্যাস্ততার জন্য সেই ছেলে নিজের ইচ্ছায় অফিসে বসতে চাচ্ছে সেটা ঠিক হজম হচ্ছে না ওনার,,,বার বার মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরছে ওনার,,,
–হাউ ইট’স পসিবল?
কিন্তু এতে নীলের কোনো ভাবান্তর নেই,,দুই হাতে দুইটা আপেল নিয়ে টুকটুক করে খেয়েই যাচ্ছে সে,,,,ছোট বেলা থেকেই অত্যান্ত জেদি ছেলে নীল তাই সে জানে তার কথা নীহাল আহম্মেদ শুনবেই।
—কিন্তু কেন? (নিহাল)
—বাবা দেখো মামুনির এখনো অফিস যাওয়ার সময় নয়,,মামুনি এবার রেস্ট নিক,,তাছাড়া তুমিও একার হাতে আর কত সামলাবে ভাইয়া ও তো দেশের বাহিরে তাই আর কি (নীল)
—ওকে রেডি হয়ে নাও (নীহাল)
🍀
আজকে আবারো কিছু ছেলে পিছু নিয়েছে অভনীর,,ওর ইচ্ছা করছে সব গুলোকেই ঠাটিয়ে চড় মেরে দিতে কিন্তু সেদিনের কথা মনে হতেই আৎকে উঠেছে সে,,,সব সময় তো আর কেউ বাঁচাতে চলে আসবে না তাকে,,তাই নিজেকে রক্ষা করার জন্য নিজেকেই অলওয়েজ সতর্ক থাকতে হবে তাকে।
ছেলেগুলো পিছু নিয়েছে বাস থেকে,,,বাসের মধ্যে এতো এতো ভীড়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার খুচাখুচি করেছে,, অভনী একবার জোরে বলেই ফেলেছে,,,
—সমস্যা কি আপনাদের?এমন গায়ে পড়ে যাচ্ছেন কেনো?
কিন্তু ছেলেগুলোর একটাই কথা জায়গা নেই দেখতে পাচ্ছেন না।
অভনী আর কিছু বলতে পারেনি তার বাস কন্ট্রাক্টর এর উপর রাগ হচ্ছে প্রচুর পরিমানে রাগ,,,কতো গুলো পুরুষ সীটের মধ্যে বসে আছে কিন্তু একজন ও উঠে মহিলা দের বসতে দিচ্ছে না,,।
অভনী বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলো ছেলেগুলো এখনো পিছন পিছন আসছে আসে পাশে এতো এতো মানুষ থাকলেও অভনীর ভয় লাগছে খুব,,, বিশ্বাস যোগ্য কেউ নেই যে তার পাশে,,,অভনী নানা রকম চিন্তা করতে করতেই হঠাৎ করে একটা গাড়ি এসে থামলো অভনীর সামনে,,,অভনী ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল,,,
—এই যে ম্যাম গাড়িতে উঠুন (নীল)
পরিচিত কন্ঠে অভনী চোখ খুলে তাকালো,,নীল কে দেখে তার ভিতর থেকে একটা স্বস্তির নিশ্বাস বেড়িয়ে আসলো,,,অভনী একবার পিছন দিকে তাকালো,, দেখলো ছেলেগুলো এখনো পিছনেই আছে।অভনী আর কিছু না ভেবে দৌঁড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠে পড়লো,,,,
—উফফ বেঁচে গেলাম,,আচ্ছা আপনি কি সুপারম্যান নাকি সত্যি সত্যিই হিরো বলেন তো?যখনি আমি বিপদে পরি তখনি গাড়ি নিয়ে দুম করে আমার সামনে এসে পড়েন (অভনী)
—কিসের বিপদ? (নীল)
—ওই যে এই ছেলে গুলো কে দেখছেন বাসের মধ্যে থেকে ডিস্টার্ব করা শুরু করছে আবার এখনো পিছন পিছন এসেছে,,আমি তো বাস থেকে নেমে এতো টুকু জায়গা হেটে যাই তাই খুব ভয় লাগছিলো।থেংক গড যে আপনি চলে এসেছেন এখন আর আমার একটু ও ভয় করছে না। (অভনী)
—কুল কুল আসতে আসতে কথা বলো,,, তাছাড়া এতো সহজেই কাউকে বিশ্বাস করো না এটা ঠিক না (নীল)
নীল অভনীর সাথে কথা বলতে বলতেই অভনীর আড়ালে ছেলো গুলোর একটা ছবি তুলে নিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো,,,।
নিলিমা ম্যাম এর জায়গায় নীল কে দেখে খুব অবাক হলো অভনী,,ও ভেবেছিল হয়তো এমনি ই এসেছে অফিসে কিন্তু এখন থেকে নীল অফিস করবে আর ওর নীলের পি এ হতে হবে এমন টা বুঝতে পারেনি সে।
কিছুক্ষন পর নীল আর অভনী কে একটা ডিল ফাইনাল করার জন্য একটা রেস্টুরেন্টে যেতে বললেন নিহাল আহম্মেদ,,, ওনি দেখতে চান এই ছোট ডিল টাই নীল ফাইনাল করতে পারে কিনা তাহলেই আসতে আসতে বড় ডিলে কাজ করতে দিবে তাকে,,অভনর নীলের পি এ হওয়ায় তাকেও যেতে হবে সাথে।
আজ নীল নিজে থেকেই বললো রিকশা করে যাবে এটা শুনে অভনী ও খুব খুশি হলো,,,অভনীর ছোটখাট বিষয় গুলো তে খুশি হওয়া দেখে খুব ভালো লাগে নীলের,,, অফিসের সামনে থেকে একটা রিকশায় উঠে বসলো ওরা,,,, রিকশা চলছে তার গন্তব্যের উদ্দেশে।
বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলো সামনে অনেক গুলো মানুষের ভীড় জমে আছে,,, রিকশা লোক গুলোকে সাইড করে চলে যেতে নিলেই লোক গুলোর মাঝখানে একটা মেয়েকে কাঁদতে দেখে গাড়ি থামাতে বললো নীল,,।নীলের পিছন পিছন অভনী ও গেলো লোকগুলোর কাছে।
—একটা মেয়েকে নিয়ে এতো ভীড় কোনো কি হচ্ছে এখানে? (নীল)
—এই মেয়ে কানা হয়ে হেটে গাড়ির নিচে পরে আত্নহত্যা করতে গেছিলো,,,ভাগ্য ভালো বেঁচে গেছে।যদি ঠিক সময় গাড়ি না থামতো তাহলে এতোক্ষনে মরে যেতো (অচেনা)
লোকটার কথায় নীল মেয়েটার কাছে গেলো,,মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা করলো,,,
—তুমি সত্যিই আত্নহত্যা করতে গিয়েছিলে? (নীল)
—হাম (মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে)
—কেনো? (নীল)
— আমার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে ৩ বছরের সম্পর্ক ব্রেকাপ করে আসলাম একটু আগে,,,আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো আরেকটা মেয়ের জন্য আমারে ছেরে গেছে ও (মেয়েটি)
মেয়েটির কথায় খুব রাগ উঠছে নীলের তবুও নিজের রাগ টাকে কন্ট্রোল করে শান্ত কন্ঠে বললো,,
—তোমার মা বাবা কে ভালোবাসো না? (নীল)
—হুম মা বাবা কে তো সবাই ই ভালোবাসে। (মেয়েটি)
—আত্নহত্যা করার কথা ভাবার আগে মা বাবা ভাই বোন দের কথা একবার ও মনে হয়নি? (নীল)
কোলাহল পুর্ন শহরের মধ্যে এতোটুকু জায়গা যেন স্তব্ধ হয়ে আছে এখন,,গাড়ির হন ছাড়া আর কোনো শব্দ হচ্ছেনা।এখানের প্রায় অনেকেই চিনে নীল কে।
—আমার ওদের কথা মনে হয়নি।আমার মধ্যে শুধু ওর (বফ) সাথে কাটানো সময় গুলোর কথাই মনে হচ্ছিলো। প্রচন্ড ভালোবাসতো আমায় আর সেই আজ এতো পাল্টে গেলো সেটা আমি মেনে নিতে পারছিলাম না তাই চাইছিলাম আত্নহত্যা করে সব ভুলে যেতাম (মেয়েটি কেঁদে কেঁদে)
নীল এবার ঠাস করে মেয়েটির গালে চড় বসিয়ে দিল,,,,এতে সবাই একটু বড়কে গেলো,,,অভনী কিছু বলতে পারছে না তার পুরুনো কথা গুলো মনে হতেই ভিতর টা পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে আর মনে হচ্ছে “”” সত্যিই প্রিয়জনের হঠাৎ করে পাল্টে যাওয়া বড্ড কষ্টের যা ও খুব ভালো করেই জানে,,,তাহলে সে কিভাবে আরেকজন মেয়েকে সান্ত্বনা দিবে?তাই চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখছে শুধু সে,,,,মেয়েটি মাথা নিচু করে বসে আছে।
—আত্নহত্যাই কি সব কিছুর সমাধান?আত্নহত্যা কখনো কোনো কিছুর সমাধান হতে পারে না।আজ যদি তুমি মরে যেতে তোমার বফ এর একটু ও কষ্ট হতো না কারন যার তোমার চোখের জলে কষ্ট হয়নি সে কখনো তোমার মৃত্যুতে কষ্ট পেতো না,,ও ঠিকই আরেকটা মেয়ে কে নিয়ে হ্যাপি থাকতো মাঝখান দিয়ে তুমি কোনো অন্যায় না করেও আত্নহত্যা করে সারাজীবন জাহান্নামের আগুনে ভুগতে হতো।তোমার মা বাবা কিভাবে পারতো ছোট থেকে এতো যত্নে গড়ে তোলা মেয়েটার এভাবে মৃত্যু সহ্য করতে?বলো আমায় কিভাবে পারতো তোমার ভাই তার বোনকে ছাড়া থাকতে?
কষ্ট হতো তোমাদের ওই ছেলেটার না,,,
“মনে রাখবে যে তোমার সে কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবেনা,,ছেড়ে গেলেও একদিন না একদিন ঠিকই ফিরে আসবে,,,আর যে তোমার না তার জন্য হাজার কাঁদলেও সে কখনো তোমার হবে না ” mind it!
এইজন্যই বলে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না,,তুমি আত্নহত্যা করে হাজার চাইলেও আর ফিরে আসতে পারতে না আর না তোমার মা বাবা ফিরে পেতো তার মেয়েকে,,,তুমাদের মতো মেয়েরা বাবা মায়ের এতো এতো কষ্টের কথা ভুলে গিয়ে ১ টা ছেলের জন্য নিজের জীবন শেষ করে দাও।কিভাবে পারো নিজের জীবন কে এতো ছোট করতে?জীবন টা ছোট কোনো জিনিস নয় যে একবার পেলাম হাড়িয়ে ফেললে আবার পেলাম,,,শুনো মেয়ে জীবন একটাই আর সেই জীবনে যে তোমাকে অবহেলা করেছে তার জন্য আত্নহত্যা নয় নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলো যেনো ছেলেটা পড়ে আফসোস করে তোমাকে হাড়িয়ে বুঝতে পেরেছো? (নীল)
এতক্ষন যাবৎ চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে কথা গুলো বলছিলো নীল আর সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে,,মেয়েটাও নীলের দিকে তাকিয়ে আছে।অভনী দেখলো নীলের চোখে পানি চিক চিক করছে।এতো জেদি শক্ত মনের মানুষ হয়েও নীলের চোখে পানি দেখে চমকে উঠলো অভনী।ওর মনে প্রশ্ন জাগছে তাহলে কি নীলের জীবনেও ওর মতো এমন কিছু ঘটে গেছে?
নীল নিজেকে একটু শান্ত করে আবারো বলতে লাগলো,,,
—শুনো কথা গুলো আমি শুধু তোমাকেই না সব ছেলে মেয়েদের কেই বললাম,,,তুমি নিজেকে গড়ে তুলো দেখবে একদিন ঠিকই ওর থেকে ভালো কাউকে পাবে।এখন তুমি বাসায় যাও নইলে তোমার বাবা মা কে ফোন দাও এসে নিয়ে যেতে এভাবে রাস্তায় নিজেকে মজার খোরাক বানাতে আশা করি তোমারো ভালো লাগছে না। (নীল)
—আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিবো আমার জানা নেই কিন্তু আপনার সব গুলো কথা আমি রাখবো। আমার বাবা মা কে এইসব জানিয়ে আমি আর কষ্ট দিতে চাইনা,,, আসছি ভালো থাকবেন আড আমাড জন্য দোয়া করবেন। (মেয়েটি)
মেয়েটি উঠে চলে গেলে নীল ও আর কিছু না বলে গিয়ে রিকশায় উঠে গেলো,,,অভনী অবাক চোখে তাকিয় আছে নীলের দিকে,,, এমন একজন লাইফ পার্টনার ই তো চেয়েছে সে যে মেয়েদের কে সম্মান করবে,,,কিন্তু নীল কে নিয়ে এইসব ভাবা তার কাছে আকাশ পাতাল সমান তাই আর কিছু না ভেবে সে ও গাড়িতে উঠে গেলো। রিকশা আবারো চলতে শুরু করলো তার আপন গতিতে,,,কিন্তু অভনীর মনে একটা প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছেই কেন নীলের চোখে পানি ছিলো কোনো নীল এমন মনমরা হয়ে আছে।
অভনী নিজের মাথায় প্রশ্ন গুলো কে আর ঘুরপাক খেতে না দিয়ে নীল কে প্রশ্ন করেই বসলো,,,
—আচ্ছা আপনার লাইফেও কি আমার মতো এমন হয়েছিল না মানে এই মেয়েটির মতো? (অভনী)
—মানে? (ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসা করলো নীল)
—না মানে আপনার গার্লফ্রেন্ড আপনাকে ছেরে চলে গেছে বা আত্নহত্যা করতে গেছিলেন এমন? (অভনী)
নীল একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতে লাগলো,,,
—আমার হয়নি তবে আমার একটা মেয়ে বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলো,,, স্কুল থেকে সব সময় এই একটা মেয়েকেই আমার ফ্রেন্ড লিষ্ট এ রেখেছিলাম আমি,,,খুব মিশুক ছিলো নাম ছিলো স্নিগ্ধা। স্নিগ্ধা কে আমি খুব পছন্দ করতাম কিন্তু কখনো বলতে পারিনি,,,ক্লাস টেন এ থাকতে ও একটা ছেলের সাথে রিলেশনে জরায় আমার কষ্ট লাগলেও কখনো কিছু বলিনি ওকে।এইভাবেই চলছিলো সব কিন্তু ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের এইচএসসি পরীক্ষার পরে ওদের মধ্যে কোনো একটা কারনে ব্রেকাপ হয়ে যায়।পরে শুনেছিলাম ছেলেটা মেয়েতে আসক্ত ছিলো ভালো ছিলো না কিন্তু জানতে জানতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো।স্নিগ্ধা গলায় ধরি দিয়ে আত্নহত্যা করেছিলো।সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এমন একটা খবরের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আমি।খুব কষ্ট হচ্ছিলো সেদিন আরো অনেক বেশির কষ্ট হচ্ছিল নিজের মেয়েকে হাড়িয়ে তার বাবা মায়ের আহাজারি দেখে,,,,ওর বাবা আমায় জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলো,,,
বাবা তুমি তো ওর সব থেকে ভালো বন্ধু তুমি ওকে বলো না উঠতে,, ওরে বলো না আমরা কি অন্যায় করেছি যার শাস্তি ও আমাদের দিলো?
আংকেলের প্রশ্নের কোনো উওর আমি দিতে পারিনি সত্যিই তো কি অন্যায় করেছেন ওরা?স্নিগ্ধার মা কে কতোদিন হসপিটালে ভর্তি করিয়ে রাখতে হয়েছিলো।
মেয়েটার স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হবে স্টুডেন্ট ও খুব ভালো ছিলো কিন্তু দেখো একটা ভুল সিদ্ধান্ত মেয়েটাকে কোথায় নিয়ে গেলো,,, (নীল)
কথা গুলো বলতে বলতে নীলের চোখ দুটো আবারো পানিতে চিক চিক করছে,,,নীলের কথা শুনে রিকশাওয়ালার চোখ দিয়েও পানি চলে এলো,,অভনী নীলের আড়ালে মুছে নিলো নিজের চোখের জল,,,সত্যিই বাস্তবতা তো এমনি হয়।
নীল একটু থেমে আবারো বলল,,,
—btw তোমার লাইফের মতো মানে বুঝলাম না,,,কি হয়েছিলো তোমার? (ভ্রু কুচকে জিজ্ঞাসা করলো নীল)
নীলের কথা শেষ হতে না হতেই রিকশাওয়ালা বলস উঠলো,,,
—স্যার চইলা আইছি।
নীল আর অভনী নেমে গেলো রিকশা থেকে,,, আজ আর জানা হলো না নীলের অভনীর ঘটনা তবে নীল যাওয়ার সময়ের অপেক্ষা করছে,,অজানা কোনো কারনে বুকটা কেঁপে উঠছে তার বার বার।
চলবে,,,,
( আত্নহত্যা কখনো কোনো কিছুর সমাধান হতে পারেনা)