#আমার_হৃদবক্ষে_শুধুই_তুই💖
| পর্ব-১৬ |
জুহি র শ্বাস নিতে ও কস্ট হচ্ছে কারনটা অনেক ক্ষণ হয়ে যাও য়ার পর ও জুহি কবুল বলছে না আর এইটা দেখে রিয়ান জুহির গলা চেপে ধরেছে !
রিয়ান রাগে ফোস ফোস করছে আর বলছে !
– জুহুপাখি কবুল বলে ফেলো ! নয়তো তোমার জন্য ভালো হবেনা !
( রাগে ফোস ফোস করতে করতে বলল রিয়ান )
এই দিকে জুহি র শ্বাস নিতে ও কস্ট হচ্ছে রিয়ান এতো জোরে শক্ত করে জুহি র গলা চেপে ধরেছে !
জুহি র চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে চোখে র কোণ বেয়ে টপ টপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে । এদিকে কাজী সাহেব,সেই মেয়ে দুটো আর রিশান সাথে রিয়ানের কি লোকজন দাড়িয়ে আছে।
রিশানে র মাথা নত প্রথমত এই জুহি র প্রতি ফিলিংস টা মিথ্যা ভেবে ছিলো কিয়ৎক্ষণে র পাগলামী ভেবে ছিলো কিন্তু যে রিয়ান এতোটা সিরিয়াস আগে জানতো না যার জন্য ফাহয়াজ নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড কেও সে মেরে ফেলেছে আর দ্বিতীয়ত একটা মেয়ের দ্বিমতে সে বিয়ে করছে।
জুহি এদিকে কথাও বলছেনা নিশ্চুপ হয়ে যাচ্ছে । এদিকে রিয়ান আরও শক্ত করে জুহির গলা চেপে ধরে আছে।
জুহি র প্রাণ প্রায় যায় যায় অবস্থা।
এদিকে রিয়ান জুহি কে শক্ত ভাবে চেপে ধরছে। রিয়ানে র চোখে মুখে হিংস্রতা অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
হঠাৎই কেউ রিয়ানের মাথা বরাবর রড দিয়ে বারি মারলো।
রিয়ান তরিৎগতিতে জুহিকে ছেড়ে মাথা চেপে ধরলো। তার মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত বের হচ্ছে মাথার পেছন দিক দিয়ে ফেটেই যাচ্ছে।
রিয়ান বহু কস্টে মাথা চেপে পিছু ঘুড়লো।
রিশান আর বাকি মেয়ে দুটো সাথে রিয়ানের কিছু বর্ডিগার্ড হন্তদন্ত হয়ে উঠলো।
কাজি তো হা হয়ে তাকিয়ে আছে।
রিশান আর রিয়ান সামনে তাকিয়ে দেখলো ফাহয়াজ রড হাতে দাড়িয়ে আছে ফাহয়াজের পিছুই পুলিশ ডুকছে ভেতরে। রিয়ান ঘাবড়ে গেলো ঘোলাটে চোখে ফাহয়াজের চোখের দিকে তাকালো। ফাহয়াজ রেগে আছে ভয়ংকর রেগে আছে।
জুহি ও আধো আধো চোখে দেখলো সামনে ফাহয়াজ দাড়িয়ে আছে প্রথমত সপ্ন ভেবে চোখ বন্ধ করে নিলো কিছু ক্ষণ পর চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলে সত্যিই ফাহয়াজ দাড়িয়ে আছে ।
জুহি র চোখে জলে পরি পূর্ণ হয়ে উঠলো ঠোঁটে আলাদা রকম ভাবে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে তুলল।
জুহি আর চোখ মেলে তাকাতে পারলো না চোখ বন্ধ করে নিলো।
এদিকে পুলিশ দেখে রিশান মাথা নিচু করে নিলো পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে রিয়ানের সব বর্ডিগার্ড দের ধরে নিয়ে যেতে লাগলো।
রিয়ান হুশে ফিরলো যেই রুমটার জানালা দিয়ে পালিয়ে যেতে নিবে।
ওমনি পুলিশ ও বাধ্য হয়ে ফায়ার করে দেয়।আর সেখানেই মৃত্যু হয় রিয়ানের।
ফাহয়াজের খারাপ লাগছে ছোটকালের সব চেয়ে বেস্ট বন্ধুত্ব, বেস্ট মুহুর্তকে আজ চোখের সামনে মরতে দেখে।
ফাহয়াজের নজর গেলো এবার জুহির দিকে জুহি পড়া আছে সেন্সলেস হয়ে ।ফাহয়াজ জুহির দিকে এগিয়ে তাকে কোলে তুলে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।
অন্য দিকে।
রুবা আর নদী আজকে বেরিয়েছে সপিং করতে।এরিমধ্যে তাদের এক ফ্রেন্ড লিয়ার বিয়ে ।তাই তাদেরও যেতে বলেছে সেখানে আর তার জন্যই সপিং করা হচ্ছে।
নদী ঠিক করেছে এখন যখন বিডিতে ফিরেছে আর সে কোথাও যাবেনা সবসময় রুবার সাথেই থাকবে।
সপিংমলে গিয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকান ঘুড়েই বেড়াচ্ছে তবে একটা জামা ওদের পছন্দ হচ্ছেনা।
হঠাৎ রুবার চোখ একটা সপে আটকেঁ যায়।
রুবার মুখ থেকে একটা শব্দই বের হয়
” আয়াত ”
নদী ভ্রু কুচঁকালো রুবার বিরবিরি করে বলা কথাটা শুনে। রুবার সেখানেই দাড়ালো চোখ এখনো সেই দোকানটার দিকে হঠাৎ নদী রুবার হাত ধরে সেই দোকানটার দিকে ই এগিয়ে যাচ্ছে। রুবা চুপচাপ নদীর সাথে পা মিলিয়ে আয়াতের দিকে তাকিয়ে দোকান টার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
দোকানের প্রবেশ করতেই সকলে রুবা আর নদীর দিকে তাকালো সাথে আয়াত ও।
অনেকদিন পর আজ আবার আয়াত আর রুবার চোখাচোখি হলো । রুবা চোখ সরিয়ে ফেলল ।
এই দোকান টায় মূলত শাড়ি,থ্রী পিস সব রকমের কাপড়ও পাওয়া যা সাথে কসমিটিক’স ও রুবা আর নদী শাড়ির দোকানের যায় যেখানে আয়াত ছিলো ।আয়াত শাড়ি চুজ করছে।
রুবা মাঝে মাঝে আড়চোখে সেদিকে তাকাচ্ছে।
আয়াত একবারও তার দিকে তাকাচ্ছে না। রুবার মনে হতে লাগলো ওই গিফট গুলো হয়তো আয়াত পাঠায় নি আর আয়াতই বা কিভাবে দিবে। তারা তো শুধু দু দুই বার করেছে তাও অনাকাক্ষিত ভাবে । সব ভেবে রুবা দীর্ঘনিশ্বাস ছাড়লো পরক্ষণেই রুবার মনে হলো কেনো না নিজের জন্য এখন ড্রেস না কিনে সেই অনাকাক্ষিত লোকটার দেওয়া গিফটের শাড়িই পড়ে যাওয়া যাক।
রুবা নদীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ।
– ” নদী তুই তোর জন্য শাড়ি কিনে নিস আমি কিন বোনা ! ( ধীর গলায় )
নদী ভ্রু কুচঁ কিয়ে রুবা এর দিকে তাকালো । রুবা মিন মিনে চোখে তার দিকে তাকাচ্ছে নদী সন্দেহ জনক দৃষ্টিতে বার বার রুবার দিকে তাকাচ্ছে ওই গিফট গুলো পাওয়ার পর থেকেই রুবা অন্যরকম আচরণ করছে ।
নদী রুবার থেকে দৃষ্টি শাড়িয়ে একটা সিল্কের শাড়ি চুজ করলো। শাড়িটা দেখতে বেশ কিউট। শাড়িটা মেরুন কালারের । নদী সেটার পেমেন্ট করে রুবার দিকে তাকালো দেখলো রুবা অন্য মনষ্ক হয়ে কি জানি ভাব ছে । নদী ভ্রু কুচঁ কে এবার বলে উঠলো ।
– ” লেবুনি তোর কি হইসে রে তুই এইরকম আচরণ করছিস কেনো ! শাড়ি কিন বিনা ভালো কথা তুই এইরকম আচরণ কর ছিা কেনো কাল থেকে গিফটা পাওয়ার পর একদম ভাবার শহরের খাতায় কি নিজের নাম লিখাইছোস নাকি ! কি ভাবছিস এতো বল তো !( সন্দিহান গলায় ভ্রু কুচঁকে বলল নদী)
রুবা হতচকিত হয়ে উঠলো ।
মিন মিনে স্বরে বলে উঠলো ।
– ” আসলে নদী আমার না ভালো লাগছেনা চল কসমিটিক’স কিনে নেওয়া যাক !
নদী ভ্রু কুচঁ কে সেই কসমিটিকসের দোকানের দিকে হাটাঁ ধরলো । রুবা ও পিছু পিছু যেতে লাগলো যাও য়ার আগে আয়াতের দিকে একবার তাকালো দেখলো আয়াত শাড়ি চুজই করছে । তবে তার মাঝে অন্য রকম পরিবর্তন দেখা দিয়েছে সেই দুবার দেখার সময় যেমন আয়াত অন্যরকম পোশাক পড়লো কিন্তু এবার তৃতীয়বার দেখার সময় আয়াতের চোখ মুখে সাজ পোশাকে একদম আধুনিকতার ছাড় বহন মান।
রুবা সেদিকে আর খেয়াল দিলো না ভাবতে লাগলো কে তাকে এই গিফট গুলো দিয়েছে ? কে সে অনাকাক্ষিত ব্যাক্তিটি।
এদিকে রুবার যাওয়ার পর আয়াতের ঠোঁটের কিনারায় মুচকি হাসি ফুটে উঠলো সে এতক্ষণ ভালোই বুঝতে পেরেছে রুবা তাকে নিয়েই ভাবছিলো আর এ ও টের পেয়েছে রুবা এত ক্ষণ আড়চোখে তার দিকে তাকাচ্ছিলো।
আয়াতের ঠোঁটে হাসি ফুটলো। তার চুজ করা শাড়ি গুলো প্যাকিং করে পেমেন্ট দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো।
এদিকে।
জুহি জ্ঞান ফিরেছে এখন । জুহি চুপ করে সে যেখানে শুয়ে আছে সেখানে নজর বুলাচ্ছে সে কোথায়! সে তো এখানে ছিলো না তাহলে কে এনেছে পরক্ষণেই জুহির সেই সময়ের ফাহয়াজের কথা মনে পড়লো জুহির দৃঢ় বিশ্বাস জমা হতে লাগলো।
ফাহয়াজই তাকে এখানে এনেছে!
চলবে,,
[গল্পটা আর এক পার্টেই শেষ করে দিবো।]
#Rubaita_Rimi(লেখিকা)