#আমার_শহরে_তোমার_আমন্ত্রণ
#পর্ব১৩
#Raiha_Zubair_Ripti
শীতের সকাল,কুয়াশা ভেদ করে সূর্য্যি মামা উঁকি দিচ্ছে আকাশে। চিত্রা রেডি হয়ে বসে আছে সোফায়। আজ তার এডমিশন পরীক্ষা, পাশেই রাফি চিত্রার নার্ভাসনেস দেখে বলে-
-“ এতো টেনশন করো না,সব তো পড়েই নিয়েছো কমন পড়বে,চান্স ও পেয়ে যাবে।
চিত্রা শরীরে জ্যাকেটের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বলে-
-” যদি একবার কমন না পরে, খুব ভয় করছে ভাইয়া।
-“ প্যারা নিয়ো না উঠো সময় হচ্ছে তো পরীক্ষার।
চিত্রা হাত ঘড়িটায় সময় দেখে নিলো,সত্যি সময় হয়ে এসেছে। চয়নিকা বেগম মেয়ের কপালে চুমু খেলো।
-“ অল দ্যা বেস্ট, ভালো মতো এক্সাম দিবে,তাড়াহুড়ো করবে না।
চিত্রা চয়নিকা বেগম কে জড়িয়ে ধরলো। রিয়া রিমি কে কোলে নিয়ে চিত্রার দিকে এগিয়ে এসে বলে-
-“ সাবধানে যাবি,বুঝেশুনে সব লিখবি।
চিত্রা চয়নিকা বেগম কে ছেড়ে রিয়ার কোল থেকে রিমি কে কোলে নেয়। রিমির গালে চুমু খেয়ে বলে-
-“ এই যে মাম্মাম দোয়া করো তো তোমার এই ফুপির জন্য। সে যেনো কারো মুখে ঝামা ঘষে চান্স পেয়ে যায়।
রিমি চিত্রাকে নরম দু হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে কাঁধে মাথা এলিয়ে দেয়। চিত্রা নৈঃশব্দ্যে হেঁসে রিমি কে রিয়ার কোলে দিয়ে রাফির সাথে বেরিয়ে পড়ে। রাফি গাড়িতে উঠতেই রাফির পকেটে থাকা ফোন টা বেজে উঠে। রাফি পকেট থেকে ফোনটা বের করো দেখে তুষার ফোন দিয়েছে। রাফি ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তুষার বলে উঠে-
-“ বের হয়ে গিয়েছিস তোরা?
রাফি সিট বেল্ট লাগাতে লাগাতে বলে-
-“ হ্যাঁ গাড়িতে উঠলাম কেবল।
-“ তোর পাশে চিত্রা আছে?
রাফি গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলে-
-“ হ্যাঁ আছে।
-“ ওহ্ আচ্ছা আমি ভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি দেখেশুনে আয়।
রাফি তুষারের কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে বলে-
-“ কিহ তুমি জাবির সামনে দাঁড়িয়ে আছো ব্রো?
তুষার বিরক্ত হলো রাফির কথায়। সে তো বললোই সে দাঁড়িয়ে আছে তারপর ও কেনো জিজ্ঞেস করছে। তুষার আর কিছু বললো না,ফোন টা কেটে দিলো। তৃষ্ণা ভাইয়ের বিরক্ত মাখা মুখ দেখে বলল-
-“ কিছু হয়েছে নাকি ভাইয়া?
তুষার তৃষ্ণার দিকে একপলক তাকিয়ে বলে-
-“ না কিছু হয় নি। কিছু খাবি?
-“ না খাবো না কিছু। চিত্রার আসতে কতক্ষণ লাগবে?
-“ মিনিট বিশেক লাগতে পারে।
চিত্রা রাফির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ কে ফোন দিছিলো?
-“ তুষার ব্রো।
চিত্রা জানে ওটা তুষারের ফোন তবুও না জানার ভান করে জমি করেছে।
-“ তা কি বললো?
-“ জাবির সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
-“ অফিস নেই উনার?
-“ সেটা তো জানি না।
চিত্রা চুপ রইলো। গতকাল রাতে ফোন দিয়েছিল তুষার। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে দুজনের মধ্যে কথোপকথন হয়েছে। তুষার মেন্টালি সাপোর্ট দিয়েছে। বারবার বলে দিয়েছে রাত জেগে না পড়তে। বেশি পড়তেও মানা করেছে। চিত্রার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় এই সেই গম্ভীর মুখো তুষার। যে কিনা আগে বেশি মানুষের সাথে কথা বলতো না। কথা বললেও মেপে মেপে হা হু বলে সরে যেত। সেই ছেলে টানা তিনদিন এরওর কাছে ফোন দিয়ে তার খোঁজ খবর নিয়েছে।
চিত্রা তপ্ত শ্বাস ফেললো,পাশ ফিরে তাকাতেই দেখলো জাবির সামনে চলে এসেছে। রাফি ইশারায় চিত্রা কে গাড়ি থেকে নামতে বললো। চিত্রা গাড়ি থেকে নামতেই রাফি গাড়ি টা সাইডে পার্ক করে। জাবির সামনে থাকা ওভার ব্রিজের দিকে চোখ যেতেই চিত্রা দেখে তুষার আর তৃষ্ণা তার দিকে এগিয়ে আসছে।
-“ কিরে প্রিপারেশন কেমন?
তৃষ্ণার কথা শুনে চিত্রা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে-
-“ মোটামুটি।
এরমধ্যে রাফি এসে চিত্রার পাশে দাঁড়ায়। তৃষ্ণা দেখেও না দেখার ভান করে। তুষার চিত্রার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে –
-“ চলো ভেতরে যাওয়া যাক।
রাফি আর তৃষ্ণা আগে আগে হাঁটছে,আর পেছনে তুষার চিত্রা। চিত্রা হাঁটতে হাঁটতে বলে-
-“ শুধু শুধু অতো দূর থেকে কেনো আসলেন।
তুষার সামনের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ কেনো এসেছি জানো না?নাকি না জানার ভান ধরে আছো।
চিত্রা তপ্ত শ্বাস ফেললো।
রাফি তৃষ্ণার দিকে বারবার আড়চোখে তাকাচ্ছে। সেদিনের পর থেকে মেয়েটা তার সাথে একটু ও কথা বলে নি। একটু না হয় হেসে কথাই বলেছিল অধরার সাথে তার জন্য এমন কথা বলা বন্ধ করবে। রাফি মুখটাকে গম্ভীর করে বলে-
-“ এই মেয়ে এতো এটিটিউড কেনো তোমার?
তৃষ্ণা শুনেও না শোনার ভান ধরলো। রাফি আশেপাশে তাকিয়ে তৃষ্ণার হাত নিজের হাতে মুঠোয় নেয়। তৃষ্ণা ছাড়াতে নিলে রাফি রাগী দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে বলে-
-“ হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ঠাটিয়ে গাল লাল করে দিবো।
তৃষ্ণা চুপচাপ হাঁটতে লাগলো। রাফি তৃষ্ণার নিরবতা দেখে ফের বলে উঠলো-
-“ সরি তৃষ্ণা।
তৃষ্ণা ঘাড় ঘুরিয়ে রাফির দিকে তাকালো। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো-
-“ সরি ফর হোয়াই?
রাফি দাঁতে দাঁত চেপে বলে-
-“ সরি কিসের জন্য বলেছি জানো না?
তৃষ্ণার সরাসরি জবাব-“ না জানি না।
-“ অধরা সত্যি আব্বুর বান্ধবী, আমি তাকে আন্টি বলে ডাকবো ট্রাস্ট মি।
তৃষ্ণার হাসি পেলো। কিন্তু প্রকাশ করলো না। গা ছাড়া ভাব নিয়ে বললো-
-“ আশ্চর্য এতো সুন্দর রমণী কে আন্টি কেনো ডাকবেন? সে তো আপনার….
রাফি তৃষ্ণা কে আর বলার সুযোগ না দিয়েই বলে-
-“ সে তো আমার আন্টি।
-“ তাকে এখন থেকে আন্টি ডাকবেন তো?
রাফি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললো সে আন্টি ডাকবে। সেদিন চিত্রা দের বাড়িতে রাফি তৃষ্ণা কে জেলাস ফিল করানোর জন্য এমন নাটক করলো যে বেচারা নিজেই ফেঁসে গিয়েছিল। সেদিন খাওয়া শেষে যখন চিত্রা আর তৃষ্ণা সোফায় বসে ছিল রাফি গিয়ে ঠিক অধরার থেকে কিছুটা দুরত্ব নিয়ে বসেছিল। তৃষ্ণা আড়চোখে দেখেছিল। অধরা ফোনে সময় দেখে রাফির দিকে তাকিয়ে বলেছিল-
-“ মিস্টার রাফি,এখন আমায় যেতে হবে।
রাফি আড়চোখে একবার তৃষ্ণার পানে তাকিয়ে অধরা কে উদ্দেশ্য করে বলে-
-“ চলুন তাহলে এগিয়ে দিয়ে আসি।
-” না তার দরকার হবে না,আমি যেতে পারবো।
রাফি বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে বলে-
-“ আরে সেটা বললে হয় নাকি? আপনি আমাদের গেস্ট আপনাকে এগিয়ে দিয়ে আসতেই পারি চলুন।
অধরা গম্ভীর মুখে নিজের হ্যান্ড ব্যাগ টা নিয়ে বেরিয়ে যায়। রাফিও অধরার পেছন যেতে নিলে তৃষ্ণা পেছন থেকে রাফিকে শুনিয়ে বলে-
-“ আজকাল মানুষ যেচে মানবতা দেখাতে যায়।
রাফি শুনলো তবুও না শোনার ভান করে চলে গেলো। তৃষ্ণা রেগে উঠলো। চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলল-
-“ দেখলি মেয়েটা না করলো তবুও রাফি ভাই চলে গেলো।
চিত্রা সোফায় মাথা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে বলে-
-“ মনে হয় ভাইয়ার পছন্দ হয়েছে ঐ আপু কে।
ব্যাস এই একটা কথাই ছিলো তৃষ্ণার মনে বিষ ঢুকানোর জন্য যথেষ্ট। তৃষ্ণা পাড়ছিলো না সেখানেই চোখের জল গুলো ছেড়ে দিতে। রাফি অধরাকে তাদের মেন গেট অব্দি ছেড়েই বাসায় ব্যাক করে। ততক্ষণে তৃষ্ণা নিজের মায়ের কাছে চলে যায়। রাফি ভেবেছিল তৃষ্ণা হয়তো জেলাস হবে আর তাকে এসে বলবে কেনো সে গেলো। কিন্তু তার কিচ্ছু টি হলো না উল্টো তৃষ্ণা সেদিন সন্ধ্যায় তার বাবা মায়ের সাথে বাসায় চলে যায়। তুষার দুপুরে খেয়েই চলে গিয়েছিল।
এরপর তৃষ্ণা একবারের জন্য ও ফোন দেয় নি রাফি কে। রাফি দিয়েছিল, কিন্তু তৃষ্ণা প্রথমে রিসিভ না করলেও পরে করেছিল। রাফিকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তৃষ্ণা বলেছিল-
-“ মামুর বান্ধবী কে গিয়ে ফোন দেন আমাকে দিবেন না ফোন।
এই ছিলো শেষ কথা। সময়ের অভাবে যেতেও পারে নি তৃষ্ণা দের বাসায় রাফি।
-“ হ্যালো মিস্টার রাফি।
রাফি আর তৃষ্ণা হাঁটছিলো হঠাৎ কারো কন্ঠ শুনে পাশে তাকিয়ে দেখে অধরা নামের সেই মেয়ে। রাফি এক ঢোক গিলে। পাশে তৃষ্ণার দিকে তাকায়। তৃষ্ণা একবার রাফি তো আরেক বার অধরার দিকে তাকায়। রাফি ভদ্রতার খাতিরে বলে-
-“ হ্যালো। আপনি এখানে যে?
অধরা চোখের সামনে আসা চুল গুলো কানের পেছনে গুঁজে দিতে দিতে বলে-
-“ আমার কাজিন এসেছে এক্সাম দিতে তাই এসেছি। তা আপনার এক বোন কে দেখছি সাথে আরেক বোন যার এক্সাম সে কই?
রাফি পেছনের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে বলে-
-“ ঐ যে পেছনে দুই ভাইবোন আসছে। আর আমার সাথে যেটা আছে এটা আমার বোন না। এটা আপনার ফ্রেন্ডের ছেলের বউ।
অধরা ভ্রু কুঁচকে তাকালো রাফির দিকে। রাফির পাশে থাকা মেয়েটা তার কোন ফ্রেন্ডের ছেলের বউ?
-“ আমার ফ্রেন্ডের ছেলের বউ মানে?
রাফি মুচকি হেসে, মাথার চুল গুলোকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে বলে-
-” ও আপনি বুঝবেন না আসি ভালো থাকবেন।
কথাটা বলে রাফি তৃষ্ণা কে নিয়ে চলে আসে। তৃষ্ণা সন্দেহান দৃষ্টি নিয়ে বলে-
-“ আপনি তাকে বুঝিয়ে বললেন না কেনো?
-“ কি বুঝিয়ে বলবো?
-“ এই-যে ফ্রেন্ডের ছেলের বউ কিভাবে সেটা।
-“ তার মাথায় গবর না থেকে বুদ্ধি থাকলে বুঝে নিবে। আমার তাকে বুঝাতে হবে না।
তৃষ্ণা আর কথা বাড়ালো না। অতিরিক্ত রাগ অভিমান দেখানো মানে সম্পর্কে ফাটল ধরানো। যা তৃষ্ণা চায় না। হালকা করে দেখাবে সব।
—————–
-“ এক্সাম কেমন হলো?
হল থেকে বাহিরে আসতেই প্রশ্ন টি ছুঁড়ে দেয় তুষার। চিত্রা ঘাসের উপর বসে বলে-
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হয়েছে।
-“ পানি খাবে?
চিত্রা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ জানালো। তুষার স্টল থেকে পানির বোতল এনে চিত্রার হাতে দেয়। চিত্রা ঢকঢক করে পানি টুকু খায়। আশেপাশে তাকিয়ে বলে-
-“ তৃষ্ণা আর ভাইয়া কোথায়?
-“ রাফি তৃষ্ণা কে বাসায় পৌঁছে দিতে গিয়েছে।
-“ কেনো?
-“ মা ফোন করে বলল তৃষ্ণা কে যেনো পাঠিয়ে দেওয়া হয়,তাি রাফিকে বললাম পৌঁছে দিতে।
-“ ওহ চলুন তাহলে আমাকে বাসায় পৌঁছে দিন।
-“ খুব কি টায়ার্ড লাগছে?
-“ হ্যাঁ প্রচুর। এখানে একটা বিছানা থাকলে ট্রাস্ট মি এখানেই আমি শুয়ে পড়তাম।
-“ আচ্ছা চলো তাহলে বাসায় পৌঁছে দেই।
চিত্রা বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। তুষার চিত্রার হাত ধরে গাড়ির দিকে যায়। গাড়িতে চিত্রা কে বসিয়ে নিজেও বসে পড়ে। তুষার গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলে-
-“ চিত্রা একটা কথা বলতে চাই।
চিত্রা সিটে মাথা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে বলে-
-“ বলুন।
-“ আর কত ওয়েট করাবে? শীতের মধ্যে বিয়ে টা করতে চাচ্ছি।
চিত্রা চোখ মেলে তাকায়। সোজা হয়ে বসে বলে-
-“ মানে?
-“ মানে হচ্ছে এই যে আমি চাইছি এই শীতেই তোমাকে আমার বউ করে নিতে।
-“ এই শীতেই কেনো?
-“ সিঙ্গেল ছেলেদের শীতে বউ ছাড়া থাকতে কতটা কষ্ট হয় তুমি কি জানো?
চিত্রা আড়চোখে তাকালো তুষারের পানে। তুষার মুখ টাকে বাচ্চাদের মত করে ইনোসেন্ট ফেস বানিয়ে রেখেছে।
-“ আপনি দিন কে দিন লাগামহীন হয়ে যাচ্ছেন। কোথায় কি বলতে হয় জানেন না?
-“ আমি কি লাগামহীন কোনো কথা বলেছি?
-“ শীতের মধ্যে বউ ছাড়া থাকতে কষ্ট হয় মানে কি?
-“ মানে টা তো তুমিও বুঝো তবুও আমার মুখে শুনতে চাইছো?
-“ চুপচাপ গাড়ি চালান।
-“ গাড়িতো চালাচ্ছি,এবার গ্রাম থেকে ফিরে ট্রাস্ট মি মামুর কাছে আমি তোমাকে চেয়ে বসবো। আমি জানি মামু আমাকে ফেরাবে না।
-” সবজান্তা আপনি?
-” না তবে কনফিডেন্স আছে নিজেকে নিয়ে।
-“ ওভার কনফিডেন্স কিন্তু ভালো নয়।
তুষার কিছু বললো না। মুচকি হেসে গাড়ি চালাতে লাগলো। মিনিট কয়েকের মধ্যে বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামায় তুষার। চিত্রা গাড়ি থেকে নামার আগে বলে-
-“ যাবেন না ভেতরে?
তুষার চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ না।
-“ মেয়েরা দ্বিতীয় বার যখন কাউকে ভালোবাসার চেষ্টা করে তখন ওপর পাশে থাকা মানুষটা কে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে তারপর ভালোবাসে। যেনো প্রথমবারের মতো ভুল আবার না করে বসে৷
-“ তা আমাকে যাচাই-বাছাই করে কি দেখলে?
চিত্রা গাড়ি থেকে নামতে নামতে বলে-
-“ জীবনসঙ্গী হিসেবে মন্দ নন।
-“ ভেবে বলছো তো?
-“ চিত্রা না ভেবে কিছু বলে না।
-“ তারমানে আপত্তি নেই আর।
-“ হয়তো।
-“ হয়তো কেনো? ডাউট আছে এখনো?
-“ না।
-“ তাহলে?
-“ কিছু না, সাবধানে বাসায় যাবেন আল্লাহ হাফেজ। কাল দেখা হচ্ছে। চিত্রা বাড়ির ভেতর যায়। তুষার চিত্রার যাওয়ার পানে তাকিয়ে কিছু একটা ভেবে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যায়।
(গল্প ছোট হবার জন্য দুঃখিত। মাথা ব্যাথা+চোখ ব্যাথায় নাজেহাল অবস্থা। চোখ মেলে বেশিক্ষণ তাকিয়ে কিবোর্ডে টাইপ করতে পারছি না,আশা করি বুঝবেন আমার অবস্থা টা)
#চলবে?