#আমার_শহরে_তোমার_আমন্ত্রণ
#পর্ব১৫
#Raiha_Zubair_Ripti
দুতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি। তার আশেপাশে রয়েছে একতলা বিশিষ্ট চারটি বাড়ি। বাড়ির সামনে ইয়া বড় একটি উঠান। উঠানে একপাশ ঘেঁষে সারি সারি সুপারি গাছ। উঠানের দক্ষিণ দিক থেকে ভেসে আসছে গরুর ডাক। বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে আছে চিত্রা,রিয়া,তৃষ্ণা। দৃষ্টি সবার দুতলা বিশিষ্ট বাড়ি টির দিকে। বাড়ির গায়ে জ্বলজ্বল করে লেখা আছে আহমেদ ভিলা। আহমেদ ভিলায় এসেছে ঘন্টা দুয়েক হলো। বাড়ির বড় সদস্যরা তাদের রুমে রয়েছে। রাফি রায়ান টায়ার্ড হয়ে শুয়ে আছে রুমে। লাঠি ঠকঠক করতে করতে এগিয়ে আসলেন সজল আহমেদ। এই আহমেদ ভিলার কর্তা। চিত্রা এগিয়ে গেলো সজল আহমেদের দিকে। সজল আহমেদ এর এক হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে বলে-
-“ দাদা ভাই বাড়িটা এমন চুপচাপ কেনো?
সজল আহমেদ নিজের বাড়ির পানে চাইলেন। কয়েক মাস আগেও বাড়িটা মানুষজন দিয়ে ভরপুর ছিলো। আর এখন মানব বিহীন জনশূন্য প্রায়। ভরাকান্ত মন নিয়ে সজল আহমেদ বলে উঠে-
-“ ইকবাল,ইয়াসমিন রা চলে গেছে মাস কয়েক আগে।
ইকবাল ইয়াসমিন সম্পর্কে সজল আহমেদের ছোট ভাই সাজিদ আহমেদের ছেলে আর ছেলের মেয়ে। চিত্রা নির্নিমেষ চোখ চেয়ে রয় দাদার দিকে।
-“ চলে গেছে কেনো?
-“ ইকবালের মেয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। মেয়েট পড়ালেখার জন্য পাড়ি জমিয়েছে রাজশাহী শহরে।
-“ ওখানে চাচা একা কি আপু কে সামলাতে পারবে? সে তো কাজে চলে যাবে আপু তো একা থাকবে।
-” সেটা ইকবালই ভালো জানে। মা মরা মেয়েটা, না জানি কিভাবে আছে সেখানে।
-“ কথা হয় না তোমার সাথে তাদের?
-“ হয়েছিল দু মাস আগে।
তৃষ্ণা সজল আহমেদের সামনে এসে দাঁড়ায় । কোমড়ে হাত গুঁজে বলে-
-“ এই বুড়ো আমাকে কি চিনো তুমি?
সজল আহমেদ চশমা টা ভালো করে চোখে নিয়ে বলে-
-“ আমার ছোট গিন্নি না এটা।
-“ চিনেছো তাহলে? আসার পর থেকে এই গিন্নিটাকে একটু সময় ও দাও নি। ছেলে মেয়ে নিয়ে পড়েছিলে।
-“ চলো তাহলে আজ তিন গিন্নি নিয়ে ঘুরবো।
রিয়া সজল আহমেদের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ দাদু আপনারা যান। রিমি ঘুমিয়েছে উঠে আমায় না পেলে কাঁদবে। আমি নাহয় পরে যাবো একদিন।
সজল আহমেদ সায় জানালো। তৃষ্ণা আর চিত্রা কে নিয়ে বেড় হলো গ্রামের রাস্তায়। সজল আহমেদের দু পাশে দুজন। তৃষ্ণা ফোন নিয়ে আশেপাশে প্রকৃতির ছবি তুলছে। আর চিত্রা মুগ্ধ হয়ে আশপাশ টা দেখছে। পুরো মাঠ টাকে এক হলুদের রাজ্য মনে হচ্ছে। সরিষা ফুলের সৌন্দর্য অতুলনীয়। সজল আহমেদ তাদের সবজির ক্ষেতে এসে সবজি দেখাচ্ছে নাতনি দের। হরেক রকমের সবজি,ফুলকপি বাঁধাকপি, সিম,টমেটো, মরিচ,লাউ।
-“ দাদা ভাই একটা লাউ নেই?
চিত্রার কথা শুনে সজল আহমেদ বললেন-
-“ শুধু লাউ কেনো যেটা নিতে ইচ্ছে করে নাও।
তৃষ্ণা বাঁধাকপির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ তাহলে আমি বাঁধাকপি নেই?
সজল আহমেদ মুচকি হেসে বলে-
-“ নাও।
তৃষ্ণা বাঁধাকপির সাথে সাথে ফুলকপি আর কয়েকটা টমেটো ছিঁড়ে নিলো। আর চিত্রা দুটো লাউ নিয়ে বাড়ি ফিরলো। বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসে আছে রিয়া,রিমি আর সানজিদা বেগম । চিত্রা তৃষ্ণা বাহির থেকে হাত পা ধুয়ে রিয়ার পাশে সোফায় গিয়ে বসে পড়ে। সজল আহমেদ এর স্ত্রী সানজিদা বেগম পেয়াজুর প্লেট টি-টেবিলে রেখে চিত্রা আর তৃষ্ণার উদ্দেশ্যে বলে-
-“ দিদিভাই রা নাও খাও এগুলো।
চিত্রা পেঁয়াজু নিয়ে মুখে নিতে নিতে বলে-
-“ দাদি তোমাদের এখন ভয় করে না দুজন মানুষ একা এতো বড় বাড়িতে থাকতে?
-“ ভয় ক্যান করবে?
-“ না এই-যে এতো বড় বাড়ি কেউ নেই দাদাভাই ছাড়া। ভয় হওয়ার কথা তো।
-“ না ভয় করে না। তোমার দাদার লগে আমার বিয়া হওয়ার পর থিকাই তো এই বাড়ি আমি থাকি। কত বছর হইয়া গেছে ভয় করে না।
-“ আমি তো একা জীবনেও থাকতে পারতাম না ভয়ে।
-“ হ্যাঁ রে তৃষ্ণা আমাগো তুষারে আইলো না যে?
-“ ভাই আসবে কাল পরশু। আচ্ছা মা কোথায় দাদি?
-” তর মা হেগোর ঘরে।
তৃষ্ণা বসা থেকে উঠে চলে গেলো উপরে। চিত্রা রিমি কে কোলে নিলো। বাহিরে তাকিয়ে দেখলো মাগরিবের আজান ভেসে আসছে। রিয়া উঠে বসার ঘরের সব জানালা গুলো বন্ধ করে দিলো। আহমেদের ভিলার কাজের মেয়ে নিলুফা রান্না ঘর থেকে খাবার এনে টেবিলে সাজাচ্ছে। চিত্রা রিমিকে নিয়ে বসা থেকে উঠে রান্না ঘরের দিকে। রান্না ঘরে উঁকি দিয়ে দেখে তার মা আর চাচি রাঁধছে। চয়নিকা বেগম মেয়েকে দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বলে-
-“ কিছু লাগবে?
চিত্রা মাথা নেড়ে না জানালো। রিক্তা বেগম চিত্রা কে উদ্দেশ্য করে বলে-
-“ চিত্রা যা তো এই কফি টা রাফি কে গিয়ে দিয়ে আয়।
চিত্রা কফির মগটা নিয়ে সিঁড়ির কাছে আসতেই দেখে তৃষ্ণা আসছে। চিত্রা কফির মগটা তৃষ্ণার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে-
-” তৃষ্ণা কফি টা রাফি ভাইয়া কে দিয়ে আয়। আমার কোলে দেখছিস তো রিমি আছে।
তৃষ্ণা কফির মগ টা নিয়ে রাফির ঘরের দিকে আসে। রাফি বিছানায় আধশোয়া হয়ে ফোনে কিছু একটা দেখছে। তৃষ্ণা দরজায় টোকা দেয়। রাফি দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে তৃষ্ণা কফির মগ হাতে করে দাঁড়িয়ে আছে।
-“ ভেতরে আসো।
রাফির অনুমতি পেয়ে তৃষ্ণা ভেতরে আসে। কফির মগটা রাফির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে৷ বলে-
-“ এই নিন আপনার কফি।
রাফি কফির মগটা হাতে নিয়ে বলে-
-“ কফিটা কি তুমি বানিয়েছো?
-“ না।
-“ এখন থেকে যখন আমার কফির প্রয়োজন হবে তুমি বানিয়ে দিবে। আচ্ছা তুমি কফি বানাতে পারো?
তৃষ্ণা বিছানার এক প্রান্তে বসতে বসতে বলে-
-“ হ্যাঁ কফি বানাতে পারি।
-“ আর কি পারো?
-“ নুডলস, চপ,ভাত,ডিম ভাজা এসবই।
রাফি কফির মগে চুমুক দিয়ে বলে-
-“ সমস্যা নেই আস্তে আস্তে শিখে নিবে বাকিসব।
তৃষ্ণা মাথার উপর থাকা ছাঁদ টার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ হ্যাঁ শ্বাশুড়ি মায়ের থেকে শিখবো বাকিসব।
রাফি আড়চোখ তাকালো তৃষ্ণার পানে।
-“ সব কি প্ল্যান করে রেখেছো?
-“ কিসের প্ল্যান?
-“ এই যে বিয়ের পর আমার মায়ের থেকে রান্না শিখবে।
তৃষ্ণা ঠোঁট চেপে হাসলো। রাফির দিকে ঘুরে বলল-
-“ আপনার মা কি আমার শ্বাশুড়ি?
-“ কেনো শ্বাশুড়ি হলে কি সমস্যা হবে নাকি?
-“ না সমস্যা হবে না কিন্তু তার ছেলে কি সে সুযোগ দিবে আমায়?
-“ চেয়ে দেখো, তোমাকে ফেরানোর সাধ্যি তার নেই।
-“ তাহলে চাইবো বলছেন?
-“ হুম চাও।
তৃষ্ণা চুপ রইলো, কিছুক্ষণ নিরব থেকে বলে উঠলো-
-“ না তৃষ্ণা চাইবে না।
রাফি ভ্রু কুঁচকে বলে-
-“ কেনো?
-“ জানি না বাট তৃষ্ণা নিজে থেকে কিছু চাইবে না।
-“ তাহলে কি স্বয়ং রাফি তাকে নিজ থেকে চাইবে?
-“ বিষয় টা মন্দ নয়।
-“ ওক্কে,এবার আসতে পারো। কফির মগ টা নিয়ে যাও। আর যাওয়ার আগে দরজা টা চাপিয়ে দিয়ে যেয়ো।
মুহূর্তে তৃষ্ণার মুখ টা চুপসে গেলো। কোথায় ভাবলো রাফি হয়তো সত্যি চাইবে তা না করে কফির মগ হাতে ধরিয়ে দিয়ে দিলো। তৃষ্ণা একপ্রকার রাফির হাত থেকে কফির মগটা ঝাড়া দিয়ে নিয়ে রুম থেকে হনু করে বেরিয়ে যায়। যাওয়া আগে দরজা টা শব্দ করে লাগিয়ে দেয়। তৃষ্ণার কর্মকাণ্ড দেখে শব্দ করে হেঁসে ফেলে রাফি।
-“ বোকা মেয়ে ধৈর্য্য জানে না।
রাতের আকাশে থাকা গোল চাঁদ টার দিকে তাকিয়ে আছে চিত্রা। কিছুক্ষন আগেই রাতের ডিনার সেরে রুমে এসেছে। বড্ড অস্থির লাগছে হৃদয়ে। শান্তিমত ঘুমাতে পারছে না। বাড়িটায় এসে আগের মতো শান্তি পাচ্ছে না। তৃষ্ণা রুমে এসে চিত্রা কে বেলকনিতে দেখে বলে-
-“ কিরে ঘুমাবি না?
চিত্রা আকাশের পানে তাকিয়ে বলে-
-“ ঘুম আসছে না।
-” কেনো?
-“ কেনোর উত্তর জানলে তো ঘুমকেও ধরে নিয়ে আসতাম।
-“ মন খারাপ?
-“ না রে।
-“ আয় বিছানায়, আমি ঘুম পাড়ানি গান গেয়ে ঘুম পাড়াই।
চিত্রা বেলকনি থেকে রুমে আসলো। তৃষ্ণার পাশে শুয়ে বলল-
-” ঘুম পাড়ানি গান গাইতে হবে না আপাতত আমার মাথাটা টিপে দে খুব ব্যাথা করছে।
তৃষ্ণা চিত্রার মাথা টিপে দেয়। মাথা টিপার মিনিট কয়েকের মাঝে তৃষ্ণা ঘুমে তলিয়ে যায়। চিত্রা বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করে। ঘুম কিছুতেই আসছে না। মনটা কেনো এত অশান্ত। চিত্রা উঠে বসে,মাথার চুল গুলো খামচে ধরে। হঠাৎ পাশে থাকা ফোনটা বেজে উঠায় চিত্রা ফোন হাতে নিয়ে স্কিনে তাকিয়ে দেখে তুষার ফোন দিয়েছে। সময় নিলো না চিত্রা ফোন রিসিভ করতে। ওপাশ থেকে তুষারের কন্ঠ ভেসে আসলো। চিত্রার নাম ধরে ডেকেছে। চিত্রা কোনো শব্দ করলো না চুপ রইলো। চিত্রার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তুষার ফের বলে উঠলো-
-“ চিত্রা শুনতে পাচ্ছো?
চিত্রা তবুও কথা বললো না।
-“ কি হলো কথা বলবে না?
চিত্রা এবার জবাব দিলো-“ আমি শুনতে পারছি তো আপনার কথা।
-” কিন্তু আমি তো পারছিলাম না তোমার কথা শুনতে। তা চুপ ছিলে কেনো?
-“ এমনি কথা বলতে ইচ্ছে করছিলো না।
-“ আমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছিলো না?
-“ না শুধু আপনার ভয়েস শুনতে ইচ্ছে করছিলো।
-“ একটু ছাঁদে আসবে?
-“ এতো রাতে ছাদে এসে কি করবো? আর তাছাড়া এখন রাত,রাতে ভূতপ্রেত ঘুরাঘুরি করে ছাঁদে।
-” সেসব কিচ্ছু নেই ছাঁদে আসো।
-“ না যাবো না।
-“ ভয় পাচ্ছো?
-“ হ্যাঁ কিছুটা।
-” ভয় পেয়ো না আমি ছাঁদে আছি।
চিত্রা কান থেকে ফোনটা নামায়। উনি ছাঁদে মানে? উনি তো ঢাকায়। চিত্রা নম্বর টা ভালো করে দেখে, এটা তুষারের নম্বর। মাথায় আবার হঠাৎ করে উদয় হলো, আচ্ছা ভুতপ্রেত কি নম্বর + ভয়েস নকল করে কাউকে ফোন দেয়? হ্যাঁ দিতেই পারে। চিত্রার নিরবতা দেখে তুষার আবার বলে উঠে –
-“ কি হলো আসবে না?
-“ আপনি কি সত্যি ছাদে?
-“ হ্যাঁ।
-“ আপনি না ঢাকায় ছিলেন অফিসের কাজে।
-“ আরে বাবা ছাঁদে তো আসো।
-“ আসবো?
-“ হুমম আসো।
চিত্রা ফোন কেটে দেয়। ওড়নাটা গায়ে জড়িয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। পুরো বাড়ি অন্ধকার, তৃষ্ণা ফোনের টর্চ জ্বালায়। সিঁড়ি বেয়ে ছাদে গিয়ে গলা উঁচু করে বলে-
-“ কোথায় আপনি?
-“ এই তো এখানে।
চিত্রা তুষারের গলার আওয়াজ পেয়ে দিক অনুসরণ করে দেখে ছাঁদের কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে তুষার। চিত্রা এগিয়ে গিয়ে তুষারের পাশে দাঁড়ালো। তুষার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালে চিত্রার পানে। চোখাচোখি হলো দুজনের। চিত্রা দৃষ্টি সরিয়ে নিলো।
-“ ভয় করছে এখনও?
চিত্রা মাথা নাড়িয়ে না জানালো।
-“ আপনি এসেছেন কখন?
-“ কিছুক্ষণ আগে।
-” আপনি যে আসবেন বললেন না তো?
-“ কেউ একজন বলেছিল অপেক্ষায় থাকবে আমার। অপেক্ষার প্রহর যেনো দীর্ঘ না হয় সেজন্য কাজ শেষ হওয়া মাত্রই চলে আসলাম।
-“ তা হঠাৎ ছাঁদে আসতে বললেন যে?
-“ তোমাকে না দেখে ঠিক ঘুম আসছিলো না। তাই ভাবলাম ডেকে দেখে তারপর নিশ্চিন্তে ঘুম দিবো।
-“ দেখা শেষ?
-“ দেখলাম ই কোথায় যে শেষ হবার কথা বলছো।
চিত্রা ফোনের লাইট টা নিজের চেহারার সামনে ধরে বলে-
-“ এই যে দেখুন, ভালে করে দেখুন,দেখে তারপর ঘুমাতে যান।
তুষার মুচকি হাসলো। -“ একটা অন্যায় করে ফেললে কি রাগ করবে?
-“ কি অন্যায়?
-“ অনুমতি নিবো না তবে বলে নিলাম তোমার ঐ কপালে আমি আমার ওষ্ঠদ্বয় দিয়ে ছুয়ে দিতে চাই।
চিত্রার কপালে দু ভাজ পড়লে। তুষার এক হাত দিয়ে চিত্রার কোমড় চেপে চিত্রা কে নিজের কাছে এনে শরীরের সাথে মিশিয়ে নেয়। চিত্রা কেঁপে উঠে,হৃদপিণ্ড টা কেমন জোরে জোরে লাফাচ্ছে। তুষারের নিঃশ্বাস চিত্রার মুখে আছড়ে পড়ছে। চিত্রা চোখ বন্ধ করে ফেললো। তুষার বা হাত দিয়ে চিত্রার মুখের উপর আসা চুল গুলো সযত্নে কানের পেছনে গুঁজে দেয়। হালকা করে নিজের ওষ্ঠদ্বয় চিত্রার কপালে ছুঁইয়ে দেয়।
রাফি কেবলই ছাঁদে এসেছিল হাওয়া খেতে। কিন্তু ছাঁদে এসে এমন দৃশ্য দেখবে কল্পনা ও করতে পারে নি। তুষার ব্রো আর চিতা বাঘ ছাঁদে এসে এমন রোমান্স করবে তা যেনো রাফির চিন্তা ধারার বাহিরে ছিলো। আগেই আচঁ করতে পেরেছিলো রাফি এদের মধ্যে কিছু একটা আছে আজ প্রমান হলো। রাফি দূর কেশে উঠে। রাফির গলার আওয়াজ পেয়ে চিত্রা চোখ মেলে তাকায়। তড়িৎ গতিতে তুষারের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়। একবার তুষার তো আরেকবার রাফির দিকে তাকিয়ে ছাঁদ থেকে নিচে নেমে যায় চিত্রা।
রাফি চিত্রার যাওয়ার পানে তাকিয়ে তুষারের দিকে এগিয়ে এসে বলে-
-“ ব্রো এটা ছাঁদ এখানে এসব কি কেউ করে?
তুষার ভ্রু কুঁচকে রাফির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ কি করছি?
-” কি করো নি সেটা বলো? আমার বোনের সাথে ছাঁদে এসে রোমান্স করছো!
তুষার বিরক্ত হলো রাফির কথায়। ছাঁদ থেকে নামতে নামতে বলে-
-“ জাস্ট শাট-আপ, রোমান্সের র ও করতে দিস নি। তার আগেই কাবাব মে হাড্ডি হতে চলে এসেছিস রাস্কেল।
#চলবে?