#আমার_শহরে_তোমার_আমন্ত্রণ
#পর্ব৪
#Raiha_Zubair_Ripte
-“ মা ছবিটা এখনো আমার রুমের মধ্যে কি করছে?
তানিয়া বেগম সোফায় বসে টিভি দেখছিলো। হঠাৎ ছেলের কথা কর্ণকুহর হতে পাশে ফিরে দেখে তুষার রেডি হয়ে তার পাশে দাড়িয়ে আছে। তানিয়া বেগম ফের টিভির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ কিসের ছবির কথা বলছিস?
তুষার সোফায় বসে একটু ঝুঁকে তার মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে-
– কিসের ছবির কথা বলছি বুঝতে পারছে না? সিলেট যাবার আগে কিসের ছবি দেখিয়েছিলে।
তানিয়া বেগম এবার টিভি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ ছেলের দিকে দিয়ে উৎফুল্ল নিয়ে বলে-
-“ পছন্দ হয়েছে মেয়েটাকে? আজই তাহলে মেয়েটার বাবা মায়ের সাথে কথা বলবো।
তুষার তপ্ত শ্বাস ফেললো। পকেট থেকে ছবিটা বের করে তার মায়ের সামনের টেবিলের উপর রেখে বলে-
-“ নেক্সট টাইম যেনো এই ছবি কেনো অন্য কোনো ছবি আমার রুমের মধ্যে না দেখি।
তানিয়া বেগম ছবিটা হাতে নিয়ে ছেলের দিকে তাকিয়ে বিরস গলায় বলে-
-“ কেনো রে তুই কি বিয়ে করবি না নাকি। নাতী নাতনির মুখ দেখবো না নাকি আমি?
তুষার সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে হাত ঘড়িটার দিকে একবার তাকিয়ে বলে-
-“ বিয়ে করবো না কখন বললাম। বিয়ে অবশ্যই করবো কিন্তু তার জন্য তোমার মেয়ে খুঁজতে হবে না।
তানিয়া বেগম অবাক হয়ে বলে-
-“ তারমানে তোর পছন্দের কেউ আছে?
তুষার ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে-
-“ আমি সেটা কখন বললাম।
-“ তাহলে মেয়ে দেখতে মানা করছিস কেনো। আমি অবশ্যই মেয়ে দেখবো।
তুষার দীর্ঘ শ্বাস ফেলে হাঁটা ধরলো। বিরবির করে শুধালো-
-“ তোমার এই মেয়ের ছবির চক্করে আমার সংসার গড়ার আগেই ভেঙে যেতে বসেছিল।
তৃষ্ণা আর চিত্রা ছাঁদের কার্ণিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। চিত্রা বিদেশে চলে যাওয়ায় পড়াশোনায় পিছিয়ে গেছে। তৃষ্ণা এবার অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে আর চিত্রা বিদেশ থেকে কেবল ইন্টারমিডিয়েট শেষ করলো। এবার ভার্সিটি তে ভর্তি হতে হবে। তৃষ্ণা চিত্রার কাঁধে হাত দিয়ে বলে-
-“ চিত্রা তুই জাহাঙ্গীর নগরে ট্রাই কর। তোর বাসা থেকেও কাছে হবে। আর তা না হলে ঢাবি তে ট্রাই কর আমার সাথে যেতে পারবি।
চিত্রা আড় চোখে তৃষ্ণার দিকে তাকিয়ে কাঁধ থেকে তৃষ্ণার হাত সরিয়ে বলে-
-“ মজা নিচ্ছিস আমার সাথে? এমন ভাবে বলছিস ট্রাই করলাম আর হয়ে গেলো।
-“ তুই তো ভালো স্টুডেন্ট ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে। পাবলিকে চান্স না পেলে বোইন খোঁটা শুনতে শুনতে জীবন চলে যাবে।
-“ পাবলিকেই যে পড়তে হবে তার কি ধরা বান্ধা কোনো নিয়ম আছে নাকি। প্রাইভেট ভার্সিটি কি এমনি এমনি বানানো হইছে নাকি?
-“ আরে কথাটা ওমন না। কথাটা এমন যে যারা পাবলিকে চান্স পায় না তারাই তো প্রাইভেট ন্যাশনালে ভর্তি হয়।
-“ হয়েছে আমার পাবলিকে আসলে আসবে না আসলে নাই। পাবলিকেই যে পড়তে হবে এমন চিন্তা নাই।
-“ জানিস ভাইয়ার সামনে যদি এই কথাটা বলতি তাহলে ভাইয়া কি বলতো?
-“ কি বলতো?
-“ বলতো পাবলিকে চান্স পেতে হলে মেধা লাগে যা তোর নেই।
-“ চুপ করবি তুই। তোর আর তোর ভাইয়ের মাথা ভর্তি তো অনেক মেধা,আমাকে ধার দিস।
-“ ঐ দেখ ভাইয়া যাইতেছে।
চিত্রা মাথা এগিয়ে ঝুঁকে দেখে তুষার গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
-“ ভাইয়া।
তৃষ্ণার ডাক শুনে তুষার পেছন ফিরে ছাঁদের দিকে তাকায়। চোখাচোখি হয় চিত্রা তুষারের। চিত্রা চোখ সরিয়ে নেয়।
– “ ভাই আজ একটু বিকেলে তাড়াতাড়ি ফিরো তো।
– “ কেনো?
– “ আমি আর চিত্রা একটু শপিং এ যাবো। একটু নিয়ে যাবা।
– “ চেষ্টা করবো।
কথাটা বলে চিত্রার দিকে একবার তাকিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যায়।
তুষার দৃষ্টির সীমানার বাহিরে চলে যেতেই চিত্রার মুঠোফোন টা বেজে উঠে। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে তার মা ফোন দিয়েছে। মুহূর্তে মুখে হাসি ফুটে উঠে চিত্রার। ফোন টা রিসিভ করে কানে নেয়।
-“ কেমন আছে আমার মেয়ে টা?
-“ আলহামদুলিল্লাহ তোমার মেয়েটা ভালো আছে। তা এই মেয়েটার মা আর বাবাই টা কেমন আছে?
-“ সবাই ভালো আছে। যার কারনে তোমাকে ফোন দেওয়া। কাল বিকেলে চলে এসো বাসায়।
-“ কালই?
-“ হ্যাঁ রাফি আসছে।
-“ কিহ! রাফি ভাইয়া আসছে?
কিছুটা অবাক হয়ে কথাটা বলে চিত্রা। পাশে থাকা তৃষ্ণার বুকটা ধক করে উঠে। সে সত্যি শুনছে তো রাফি ফিরছে?
-“ হ্যাঁ কাল আসতেছে বাড়ি রাফি। তোর ফুফুরা সবাই কেমন আছে রে?
-“ তারা সবাই ভালো আছে। কথা বলবা?
-“ না থাক বিকেলে ফোন দিবো নি কাল চলে আসিস।
-“ আচ্ছা রাখি তাহলে।
চিত্রা ফোন টা কেটে দেয়। তৃষ্ণার হাত ঝাঁকিয়ে বলে-
-“ রাফি ভাইয়া আসছে দেশে,উফ ভাবতে খুশিখুশি লাগছে।
তৃষ্ণা নির্বাক রইলো। চিত্রার থেকে হাত ছাড়িয়ে বলে-
-“ চল নিচে যাই।
চিত্রা হ্যাঁ জানিয়ে তৃষ্ণার পিছে পিছে নিচে নেমে যায়।
__________________
বিকেলে রেডি হয়ে বসে আছে চিত্রা আর তৃষ্ণা তুষারের অপেক্ষায়। সেই আধঘন্টা আগে বলেছে রেডি হয়ে থাকতে সে আসবে, কিন্তু তার আসার নাম নেই এখনও। বিরক্ত লাগলো চিত্রার। তৃষ্ণা ফের তার ভাইকে ফোন দিতে নিবে এমন সময় বাহির থেকে গাড়ির হর্ণ বাজার শব্দ আসলো। তৃষ্ণা ফোনটা ব্যাগে ভরে চিত্রার হাত ধরে বাহিরে আসে। ড্রাইভিং সিটে তুষার বসে আছে। তার দিকে একবার চিত্রা তাকায়। তৃষ্ণার সাথে পেছনে চিত্রা বসতে গেলে তৃষ্ণা বলে-
-“ এখানে বসিস না সামনে বস। সামনে কেউ না বসলে ভাইয়ার নিজেকে ড্রাইভার মনে হয়।
-“ তো তুই সামনে গিয়ে বস।
-“ আমার সামনে বসতে ভালো লাগে না।
-“ আমারও সামনে বসতে ভালো লাগে না।
কথাটা বলে চিত্রা তৃষ্ণার পাশে বসতে নিলে সামনে থেকে তুষার গম্ভীর কন্ঠে বলে –
-“ চিত্রা জাস্ট দুই মিনিটের মধ্যে সামনে বসবা, জরুরি কথা আছে।
তৃষ্ণা ইশারায় বসতে বলে। চিত্রা গিয়ে তুষারের পাশে বসে পড়ে। তুষার ইশারায় সিট বেল্ট লাগাতে বলে। চিত্রা সিট বেল্ট টা লাগিয়ে নেয়। তৃষ্ণা গাড়ির জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে থাকে। সকাল থেকে তার মনের আকাশে কালো মেঘ জমেছে কারো আগমনের বার্তা শুনে। মানুষ টাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। আচ্ছা মানুষ টা কি সেই আগের মতোই আছে নাকি বদলে গেছে। এখন তো আর ছোট্ট নেই সে কি এবার ও বুঝবে না এই তৃষ্ণার তৃষ্ণাদগ্ধ ভালোবাসা।
-“ শুনলাম তুমি নাকি ভার্সিটিতে ভর্তির প্রিপারেশন নিচ্ছো?
চিত্রা সামনের দিকে তাকিয়ে সামনে থাকা গাড়ি গুলোকে দেখছিলো। তুষারের কথা শুনে তার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ হ্যাঁ নিচ্ছি।
-” পাবলিকে পড়ার ইচ্ছে নেই?
-“ না নেই।
-“ গাধা। কিছুটা আস্তে বললো তুষার। চিত্রা ভালোমত শুনতে না পেয়ে বলল-
-“ কিছু বললেন?
-” না, পাবলিকে চান্স পেতে হলে পরিশ্রম করতে হয়। মনোবল ও থাকতে হয়। যেখানে তোমার এগুলোর মধ্যে একটাও নেই।
-“ একটা সিটের জন্য লড়াই করবে কয়েক হাজার স্টুডেন্ট সেখানে আমি গিয়ে আরেকটা প্রতিযোগিতার সংখ্যা বাড়ানোর কোনো মানে দেখছি না।
-“ সেই কয়েক হাজারের মধ্যে তো তুমিও হতো পারো যে কিনা সবাইকে ছাপিয়ে ঐ একটা সিট দখল করবে নিজ যোগ্যতায়।
-“ অতো ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট আমি নই।
-“ চেষ্টা করতে ক্ষতি কি।
-“ আমি কখন বললাম চেষ্টা করবো না,চেষ্টা অবশ্যই আমি করবো। এখন টিকলে টিকবো না টিকলে নাই।
-“ আশা ছেড়ে দাও টিকবা না।
-“ আমারও ইচ্ছে নাই টিকার।
-“ পড়াশোনা ছেড়ে দিলেই তো পারো। একে তো দুই বছর পিছিয়ে গেছো তার উপর এমন পড়াশোনার অবস্থা না পড়াই বেটার।
চিত্রা কিছু বললো না চুপ রইলো। তুষার তপ্ত শ্বাস ফেলে গাড়ি চালানোয় মনোযোগ দিলো। শপিং এর সামনে এসে গাড়ি থামালো। তৃষ্ণা নামতেই চিত্রা ও নেমে গেলো। ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ ভাই তুমি ও আসো।
তুষার একপলক চিত্রার দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ নাহ তোরা যা আমি এখানে অপেক্ষা করছি তোদের কেনাকাটা শেষ হলে এখানে চলে আসিস।
-“ আচ্ছা।
তৃষ্ণা আর চিত্রা চলে গেলো। তুষার পকেট থেকে ফোনটা বের করে একটা পিকের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ আমার শহরে তুমি নামক মানুষটার আমন্ত্রণ স্থায়ী করার যুদ্ধে নেমেছি। আই হোপ খুব শীগ্রই স্থায়ী হবে।
——————–
-“ এক্সকিউজ মি, বলছি ঘাড় টা একটু সোজা করুন। আমার সমস্যা হচ্ছে।
হঠাৎ এক মেয়েলি কন্ঠে চোখ মেলে তাকায় রাফি। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল বুঝতে পারে নি। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে সরি বলতে গিয়ে থমকে যায় রাফি। মেয়েটার গায়ে সাদা সিল্কের শাড়ি। চুল গুলো হাত খোঁপা করা। গায়ে কোনে অলংকার নেই। কি স্নিগ্ধ লাগছে মেয়েটাকে। আচ্ছা মেয়েটার কি স্বামী মা’রা গেছে? স্বামী মা’রা গেলে তো মেয়েরা এমন বিধবা সাজে। মুহূর্তে রাফির মন খারাপ হয়ে গেলো। মেয়েটার জন্য কষ্ট লাগলো। বয়স তো বেশি হবে বলে মনে হচ্ছে না। এই টুকু বয়সে বিধবা হলো। অতি সুন্দর রমণী দের কপাল কেনো যে এতো খারাপ হয় কে জানে। মেয়েটা এক ধ্যানে প্লেনের জানালা দিয়ে বাহিরের মেঘ গুলো কে দেখে চলছে। রাফির ইচ্ছে হলো মেয়েটার সাথে কথা বলার। ইচ্ছে টাকে দমিয়ে রাখতে না পেরে বলে-
-“ হাই আমি রাফি আপনি?
মেয়েটা বাহিরের দিকে চোখ রেখেই বললো-
-“ অধরা।
রাফি বার দুয়েক ঠোঁটে বিরবির করে অধরা নামটাকে।
-“ আচ্ছা আপনি কোথায় যাচ্ছেন?
অধরা এবার রাফির দিকে তাকালো।
-“ আপনি যেনো কোথায় যাচ্ছেন?
রাফি শার্টে কলার পেছনের দিকে ঠেলে দিয়ে বলে-
-“ প্রশ্ন আমি করেছি উত্তর না দিয়ে প্রশ্ন কেনো করছেন?
-“ এটা কোথায় যাওয়ার প্লেন?
-“ বাংলাদেশ।
-“ আমি নিশ্চয়ই লন্ডন যাচ্ছি না এই প্লেনে চড়ে।
নিজের বোকামি বুঝতে পেরে বেক্কল একটা হাসি দিলো রাফি। বেশি স্মার্ট সাজতে গিয়ে ওভার স্মার্ট দেখিয়ে ফেলছে। মেয়েটাও কেমন ভাবে কথা বলে। এই মেয়ের কথার ধাঁচেই মনে হয় মেয়েটার স্বামী অকালে প্রাণ ত্যাগ করেছে। রাফি আর কথা বাড়ালো না। চুপচাপ কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে লাগলো।
অধরা একপলক ছেলেটার দিকে তাকিয়ে ফের বাহিরে তাকালো।
প্লেন টা বাংলাদেশে আসতে রাত আট টা বেজে চল্লিশ বেজে যায়। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে রাফি সোজা একটা গাড়ি বুক করে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়। রাফি কাল বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছিল সবাইকে কিন্তু সে আজই চলে এসেছে সারপ্রাইজ দিতে।
অধরা এয়ারপোর্ট থেকে বাহিরে এসে দেখে তার বাবা আর মা দাঁড়িয়ে আছে। অধরা গিয়ে তাদের জড়িয়ে ধরে। আশরাফুল রহমান মেয়ের হাত থেকে ল্যাগেজ নিয়ে গাড়িতে উঠায়। আয়েশা রহমান মেয়েকে নিয়ে গাড়িতে উঠে।
রিয়া আর রায়ান মিলে মেয়েকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। রিক্তা বেগম আর চয়নিকা বেগম সোফায় বসে টিভি দেখছেন। সাহেল আহমেদ আর রাসেল আহমেদ নিজেদের রুমে শুয়ে আছে। হটাৎ কলিং বেল বাজায় রিক্তা বেগম টিভির সামনে থেকে বিরক্ত নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। এতো রাতে আবার কে বেল বাজাচ্ছে। দরজা খুলে সামনে তাকাতেই দেখে সামনে কেউ নেই। অবাক হয় রিক্তা বেগম। আশেপাশে তাকিয়ে কাউকে না দেখে ফের দরজা বন্ধ করে ফিরে যেতে নিলে আবার দরজার কলিং বেল বেজে উঠে। রিক্তা বেগম দরজা খুলে কিছু বলতে নিবে আর ওমনেই কেউ তাকে জাপ্টে জড়িয়ে ধরলো। আচমকা এমন জড়িয়ে ধরায় ভয় পেয়ে যায় রিক্তা বেগম। চিৎকার দিয়ে বলে উঠে-
-“ আরে কে আপনি এভাবে জড়িয়ে ধরছেন কেনো? ছাড়েন বলছি।ঐ রায়ান কই গেলি।
রাফি রিক্তা বেগম কে ছেড়ে দেয়। মুখ থেকে মাক্স খুলে বলে-
-“ নিজের মাকেও কি আমি জড়িয়ে ধরতে পারবো না আশ্চর্য!
রিক্তা বেগম নিজের ছেলেকে দেখে হা হয়ে যায়। ছেলে না ফোন করে জানালো কাল আসবে। ছেলের শরীরে হাত দিয়ে বলে-
-“ তুই সত্যি রাফি?
-“ না আমার ভুত। চিমটি দেই হাতে?
-“ আয় বাপ ভেতরে আয়। রায়ান রে দেখ কে আসছে।
রায়ান আর রিয়া সদর দরজার কাছে আসে। সামনে রাফিকে দেখে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে রাফিকে। রিয়া জিজ্ঞেস করে –
-“ কেমন আছেন ভাইয়া।
রাফি এগিয়ে এসে পিচ্চি মেয়েটাকে কোলে নিয়ে বলে-
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি ভাবি। আমার সোনামণি টা কেমন আছে?
রায়ান ভ্রু কুঁচকে রাফির দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ তুই যে বললি কাল আসবি তাহলে হঠাৎ আজ আসলি যে।
-“ কেনো আমার আসাতে তোমরা খুশি হও নি?
-“ সেটা নয়,বাড়ির ছেলে বাড়ি ফিরেছিস খুশি হয়েছি।
রাফি কিছু বললো না। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চয়নিকা বেগমের সামনে গিয়ে বললো-
-“ কেমন আছো চাচি?
চয়নিকা বেগম রাফিকে জড়িয়ে ধরে বলে-
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি বাবা,তুমি কেমন আছো?
-“ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। চিতা বাঘ কোথায়?
হেঁসে উঠলো চয়নিকা বেগম।
-“ চিতা বাঘ সে তো তৃষ্ণা দের বাসায়। কাল আসবে।
#চলবে?