#আমি_শুধুই_তোমার🌺
#পর্বঃ২৬ এবং শেষ
#Arshi_Ayat
মেয়েটার কথাটা শুনে আদ্রির বুক ফেটে কান্না আসতে লাগলো।আদ্রি সোজা আয়াশদের বাসার ছাদে চলে গেলো।আর রেলিং এর ওপর উঠে দাড়িয়েছে হঠাৎ কেউ এক ঝটকায় টেনে নিচে নামালো আর কিছু বুঝে উঠার আগেই গালে একটা চড় দিলো
চড় খেয়ে সামনে তাকাতেই দেখলে আয়াশ গরম চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে।আদ্রি কান্না করতে করতে আয়াশকে জড়িয়ে ধরলো।আয়াশ ওর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলল
“কষ্ট হচ্ছে?”
“হুম অনেক।”
“যখন আমাকে দিতি তখন আমারও কষ্ট লাগতো তোর থেকেও বেশি লাগতো।”
“সরি আয়াশ আমি তোকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।”
“কিন্তু আমারতো বিয়ে হয়ে গেছে।”
এবার আদ্রি আয়াশের বুকের থেকে মাথা উঠিয়ে বলল
“আমি বিশ্বাস করি না।”
“আচ্ছা বিশ্বাস করাই দাড়া।”
এই বলেই মুন বলে জোরে ডাক দিলো।আর মুন এসে হাজির হলো।মুনকে দেখে আদ্রি আয়াশকে ছেড়ে ছাদের কিনারায় চলে গেলো।আর বলল
“আয়াশ তোর যেহেতু বিয়ে হয়েই গেছে তাহলে আমি আর বেঁচে থেকে কি করবো।”
এই বলে যেই লাফ দিতে নিবে তখনই আয়াশ বলল
“আমার বিয়ে হয় নি।”
আদ্রি পিছনে ফিরে বলল
“কিহ!!!”
“হুম।মুন আমার বড় আপু আজকে আপুর আর দুলাভাইর বিয়ে হয়েছে।তোকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আর বোঝানোর জন্য এমনটা করেছি।আপু আর দুলাভাই দুজনেই আমাকে সাহায্য করেছে।তাছাড়াও আব্বু আম্মুও ইনান,ইনশিরাও জানতো। ”
এবার আদ্রি দৌড়ে এসে আয়াশকে জড়িয়ে ধরলো আর হাত দিয়ে আয়াশের বুকে কিল বসিয়ে দিলো।পিছন থেকে হাত তালির আওয়াজ পেয়ে দুজনেই পিছনে তাকাতেই দেখলো আয়াশের বাবা,মা,মুন আর ওর স্বামী, ইনান,ইনশিরা দাড়িয়ে আছে।প্রথমে ইনশিরা ই বলল
“শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলি না চলে আসতেই হলো।”
ইনান বলল
“আদ্রি এমনি এমনি আমরা আয়াশকে তোর কাছে বিয়ে দিবো না।তোকে আগে আমাদের ট্রিট দিতে হবে।”
আয়াশ বলল
“শালা পেটুক চুপ কর তুই।দেখিস না কান্না করতে করতে চোখ লাল হয়ে গেছে।”
তারপর মুন ওদের থেকে বিদায় নিয়ে আর আদ্রিকে সরি বলে চলে গেলো।আয়াশের বাবা মাও চলে গেলো হাসতে হাসতে।আয়াশ ইনানকে বলল
“তোদেরকে কি আলাদা করে যেতে বলতে হবে?”
“আচ্ছা আমরা গেলে তোরা কি করবি এখানে?”
“তোকে বলবো কেন?তুই বলছিস তুই বাসর রাতে কি করছিস!!”
ইনান মাথায় হাত দিয়ে বলল
“বিশ্বাস কর দোস্ত কিচ্ছু করি না শুধু… ”
এটুকু বলতেই ইনশিরা ইনানের মুখে হাত দিয়ে ওকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো।ওরা যেতেই আয়াশ আবার আদ্রিকে বুকে টেনে নিলো।এরপর আদ্রির বাবা মা কে জানানো হলো।আদ্রির বাবা মা ও রাজি হলো।ওদের অনার্স শেষ হলেই বিয়ে হবে।
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
,
ছয়মাস পর…….
আজ আয়াশ, আদ্রি আর ইনান, ইনশিরার বিয়ে।কয়েকদিন আগে ওদের অনার্স পরীক্ষা শেষ হলো।ইনান আর আয়াশ দুজনেই শেরওয়ানি পরলো।আয়াশ কালো কালার আর ইনান নীল কালারের।ওদের শেরওয়ানির সাথে মেচিং করে ইনশিরা আর আদ্রি লেহেঙ্গা পরলো। দুজনে মিলে সুন্দর করে সাজলো।চারজনই একসাথে বসলো।আগে আয়াশ আর আদ্রির বিয়ে পড়ানো হলো তারপর ইনান আর ইনশিরার।চারজনই আজ খুশী।
ইনশিরা আর আদ্রি দুজনকেই বাসর ঘরে বসানো হলো।ইনান, আয়াশ আর ওদের বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছে।
রাত ১২ টায় দুজনেই ঘরে ঢুকলো।ইনান ঢুকতেই ইনশিরা ওকে সালাম করতে নিলেই ইনান ওকে জড়িয়ে ধরে বলল
“যখনই সালাম করতে ইচ্ছে হবে তখনই আমাকে জড়িয়ে ধরবি।”
“ভালোবাসি।” (ইনশিরা)
“আমিও।(ইনান)
এদিকে আয়াশ ঘরে আসতেই আদ্রি ওকে সালম করতে গেলো কিন্তু আয়াশ ধরে ফেললো তারপর কপালে চুমু দিয়ে বলল
“ভালোবাসিস?”
“খুব বেশিই।”
বলেই আয়াশকে জড়িয়ে ধরলো আদ্রি।এভাবেই ওদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেলো এক নতুন সম্পর্কের ভিড়ে।
❤সমাপ্ত❤
(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।গল্পটা শেষ করলাম আজ।আপনাদের অনুভূতি জানাবেন।আর আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ আমি অসুস্থ থাকা কালীন আমাকে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য। সত্যি আপনাদের সাপোর্ট না পেলে আমি হয়তো গল্পটাই শেষ করতে পারতাম না।সকলকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।আর নতুন গল্প নিয়ে হাজির হচ্ছি।নেক্সট গল্পটা অনেকটা আলাদা হবে।তাই চমক হিসেবে নামটা বলে দিচ্ছি।নেক্সট গল্পের নাম হলো “যদি_মন_কাঁদে “। নেক্সট গল্পের জন্য অপেক্ষা করুন।আর সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।ধন্যবাদ।)