#আলোছায়া
কলমে লাবন্য ইয়াসমিন
পর্ব:২৬
নীলু চায়ের ট্রে নিয়ে ডাইনিং রুমের সোফায় গিয়ে বসলো। মনটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। জুনায়েদ ওকে আড় চোখে দেখছে। ছেলেটার চোখেমুখে বিস্ময় খেলা করছে। হয়তো নীলুর মতিগতি বুঝতে চেষ্টা করছে তবে বেশ হিমশিম খাচ্ছে।এটা ভেবেই নীলু মিটিমিটি হাসছে।এদিকে অভ্রর ঐতিহ্যবাহী গল্পের তুমুল গসিপ চলছে। দোষারোপ হচ্ছে রাজপুত্রের চরিত্র নিয়ে। ছেলেটা হ্যাঙলা বলে লামিয়ার মনে হচ্ছে। কিন্তু অভ্র মানতে নারাজ। দুজনের কথা কাটাকাটি শুনে নীলু মিষ্টি হেসে বলল,
> তোমাদের এখন থামা উচিৎ। লামিয়া ভালোবাসার উদ্ধে কিছু নেই। কেউ যদি গায়ের জোরে ভূলকে সঠিক মনে করে তাহলে তর্ক না করাই ভালো। মূখ্যের সঙ্গে তর্ক করতে নেই।
অভ্র ওর কথায় বেশ চটে গেলো। ও বিরক্তি নিয়ে বলল,
> কিছু লোকের রুচি দেখলে বমি আসে। সব সময় উপরের দিকে তাকিয়ে চলতে হয়।
> উপরের দিকে তাঁকিয়ে চলতে চলতে পচা ডোবাতে চুবিয়ে কাজ নেই। যাইহোক মিস্টার অভ্র আপনি বরং ঠাণ্ডা কফি খেয়ে মাথা ঠাণ্ডা করুণ সেটাই আপনার জন্য বেটার হবে।
অভ্র মুখ হোপ করে কফির মগটা উঠিয়ে নিলো। এখানে থাকার বিন্দু পরিমাণ ইচ্ছে ছিল না ওর কিন্তু তবুও থাকতে হচ্ছে। এখানে না থাকলে যে ওর কাজকর্ম সব ভেস্তে যাবে। শুভ্রর গায়ে হলুদের তোড়জোড় চলছে। বাড়ির বাগানের দিকে আয়োজন চলছে। কমিউনিটি সেন্টারে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল জুনায়েদ বাধা দিয়েছে। নীলুকে নিয়ে বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। মেয়েটার চারপাশে বিপদ ঘাঁটি পেতে আছে। কখন কি হয় কোনো রিস্ক নেওয়া ঠিক হবে না। নীলু বাড়ির উপযুক্ত বউয়ের মতো শাশুড়ির আশেপাশে ঘুরছে আর কাজকর্ম করছে। ক্লান্ত শরীর অথচ মুখে হাসি লেগেই আছে। জুনায়েদের বড় মামি একটু খিটখিটে টাইপের। উনি নীলুকে বসতে দিচ্ছেন না হুকুম করেই চলছে। জুনায়েদ বেশ কিছুক্ষণ লক্ষ্য করে হঠাৎ ওর মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হলো ও দ্রুতগতিতে নীলুর হাত ধরলো। নীলুর এক হাতে তখন কাচা হলুদের বাটি। ওর হাত ধরার জন্য জুনায়েদের মামি রেগে গিয়ে ধমক দিয়ে বললেন,
> এসব কি জুনায়েদ? বউ কাজ করছে তুমি ওকে বিরক্ত করছো কেনো? যাও এখান থেকে। বউকে মাথায় তোলার দরকার নেই পরে পস্তাতে হবে।
ভদ্রমহিলার এতগুলো কড়া কথার উত্তরে জুনায়েদ ভ্রু কুচকে বলল,
> নীলকে আমার দরকার। ওকে আর খুঁজো না।
জুনায়েদ কথাটা বলে ওর হাত ধরে টানতে টানতে চলে গেলো। ভদ্রমহিলা রাগে ফুলছেন। ছেলে যে গোল্লায় গেছে উনি আগেই বুঝেছেন। কিন্তু বউটা কেমন পাজি। বর ডেকেছে আর অমনি চলে গেলো। সব রাগ গিয়ে পড়লো নীলুর উপরে। উনি ভেবে রেখেছেন রাতের রান্না এই মেয়েকে দিয়েই করাবেন। এই বাড়িতে যতদিন আছেন ট্রেনিং দিয়ে যাবেন। পারভীন কোনো কাজের না বলে উনি মনে করছেন।
জুনায়েদ নীলুকে রুমের মধ্যে ছেড়ে ধপাস করে দরজা বন্ধ করে দিল। নীলুর চোখেমুখে বিরক্তি। ও রেগে হাত উঁচু করে বলল,
> আপনি কাজটা একদম ঠিক করেননি। মামি মা কি ভেবেছেন শুনি?
জুনায়েদ কথাগুলো ইগনোর করে ওকে ঝাপটে ধরে বসে পড়লো। নীলু উঠে পড়ছে আর ও নীলুকে বসিয়ে দিচ্ছে। শেষমেশ না পেরে ধমক দিয়ে বলল,
> নীলু আমি রেগে যাচ্ছি। তোমার ওসব করতে হবে না। বর রেখে কেউ কাজ করে? বরের সেবাযত্ন করো লাভ আছে। চুপচাপ ঘুমিয়ে যাও রাতে দুজন মিলে একটা মিশনে বের হবো।
নীলু এবার শাস্ত হয়ে ওর মুখের দিকে তাকালো। জুনায়েদ মুখে হাসি রেখে ভ্রু উচু করলো। নীলু হাতটা ওর মুখে রেখে বলল,
> আপনার মাথায় কি চলছে বলবেন একটু?
> আজকে রাতে আমরা দুজন তীব্রর বাড়িতে যাবো। আমার বিশ্বাস সেখানে কিছু আছে।
> কিন্তু তীব্র ভাইয়াকে আমি আপনার কথা বলিনি। উনি জানেন আমার সম্পর্কে আপনি কিছুই জানেন না।
> এটাইতো চেয়েছি। তুমি ওকে ব্যস্ত রাখবে আমি ওর রুম তল্লাশি করবো। তুমি ঘুমিয়ে যাও সন্ধ্যায় তোমাকে ডেকে নিব।রাতে ঘুমানো চলবে না।
> এখন আমার ঘুম আসছে না। আপনি ঘুমাবেন সঙ্গে?
> হুম
নীলু জুনায়কে দুহাতে জড়িয়ে নিলো। ও ভেবেছিল ওসব খোঁজাখুঁজি আর করবে না কিন্তু জুনায়েদের মুখের উপরে না বলতেও পারবে না। লোকটাকে ওর দরকার, ভীষণ দরকার। আত্ন তৃপ্তি ছাড়া হাজার বছর বেঁচে থাকার চাইতে তৃপ্তি নিয়ে মারা যাওয়াও সুখের। তবুও মানুষ ভালোবাসার জন্য বেঁচে থাকতে চাই। জুনায়েদ ওকে অগ্রাহ্য করে বালিশ টেনে ওকে শুয়িয়ে দিয়ে নিজেও শুয়ে পড়লো। নীলু এখনো জুনায়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। জুনায়েদ ওর দিকে তাকিয়ে ঠোঁটটা এর কপালে ঠেকিয়ে বলল,
> দ্রুত চোখ বন্ধ করো।
নীলু ওর অবাধ্য হলো না। ঘুমিয়ে গেলো। সারা বাড়িতে লাইটিং করা হয়েছে। দুপুরে গায়ে হলুদ হলো নীলুকে ছাড়া। জুনায়েদ ওকে ঘুমিয়ে যেতে দেখে উঠে এসেছে। নীলুর ঘুম পরিপূর্ণ না হলে ওকে ডেকেও তোলা যাবে না। এটা ওর অজানা না। মিসেস পারভীন বেগমকে জুনায়েদ বুঝিয়ে দিয়েছে নীলুর শরীর খারাপ ওকে জোর করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। পারভীন বেগম শুধু আফসোস করলেন। মেয়েটাকে সবার সঙ্গে আলাপ করানোর ছিল কিন্তু হলো না। যাইহোক পরে হবে। আয়ানাদের বাসা থেকে বেশ কিছু লোকজন এসেছে হলুদ দিতে। ওরা রাতে অনুষ্ঠানের পরে ফিরবে। ছোটরা আসেনি সন্ধ্যায় আসবে। অনুষ্ঠানে নাচ গানের আয়োজন হয়েছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জুনায়েদ বা শুভ্র এসব কিছুই জানেনা। জুনায়েদ মারামারি করতে জানে এটাই অনেক। পড়াশোনাতে যার মনোযোগ নেই তার আবার নাচ গান। কখনও কোনো গান সম্পূর্ণ শুনেছে কি সন্দেহ হয়। অন্যদিকে শুভ্র একটা রোবট। জীবনটা ওর কেটে গেছে পড়াশোনা আর বাবার বিজনেস নিয়ে। আত্মীয়স্বজনেরা কি ভাববে বড়লোক বাড়ির বিয়ে বলে কথা। কোনো কমতি রাখার ইচ্ছে নেই। জুনায়েদ ভেবেছিল বাইরে থেকে লোক নিয়ে গানবাজনার বিষয়টা মিটিয়ে ফেলবে কিন্তু এতে শুভ্রর বিরোধীতা আছে।বাড়িতে ওসব চলবে না। যারা এসেছে ওরাই যা ইচ্ছে করবে। নয়তো বক্স বাজিয়ে গায়ে হলুদ দিয়ে মিটিয়ে নিবে।
সন্ধ্যায় নীলুর ঘুম ভেঙে আশেপাশে জুনায়েদকে পেলো না। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করা। নীলু ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লো দরজা ভেদ করে। কিন্তু দরজার মুখেই অভ্রর সামনে পড়ে গেলো। অভ্র চোখ বড়বড় করে বলল,
> বাহ ভীষণ সাহস দেখছি? এখানে আমি ছাড়া অন্য কেউ থাকলে কেমন হতো?
নীলু বিরক্তি নিয়ে বলল,
> হলে দেখা যেতো। যখন হয়নি তখন ভেবে কি লাভ?
> তা ঠিক। তোমাকে একটা প্রস্তাব দেবার ছিল।
> দ্রুত বলুন আমি নিচে যাবো। উনি অপেক্ষা করছে।
> তাসের ঘর বেধেঁ কিসের লাভ হচ্ছে শুনি? তুমি আমাকে বিয়ে করো। আমি তোমাকে আমার স্টোনের পাওয়ার দিব। আমাদের গোত্রের বউ হলেই তুমি এই যাত্রাই বেঁচে যাবে। ভেবে দেখো এসব মানুষের মধ্যে থেকে তোমাকে মরতে হবে।
> আমাকে নিয়ে ভেবেছেন তার জন্য ধন্যবাদ।। দরকার হবে না আপনার স্টোনের। আমি জুনায়েদ সাইদের সঙ্গে একদিন বাঁচবো তাতেই হাজার বছরের সুখ পেয়ে যাবো।
> পাতি ইমোশন দিয়ে জীবন চলে না। মানুষের মতো আবেগী হয়ে গেছো। কয়েক বছর আগেও হিংস্র ছিলে তুমি ভেবে দেখো।
> আমাকে নিয়ে না ভেবে নিজেকে নিয়ে ভাবুন। আমার পিচু ছেড়ে ফিরে যান নিজের দুনিয়ায়। এখানে থেকে মানুষকে বিব্রত করবেন না। আমি নেহায়েত বাধ্য তাই আছি।
> কিসের বাধ্য তুমি…
অভ্র কথা এগোতে পারলো না। জুনায়েদের মামি চলে এসেছে। উনি সন্দেহের চোখে দুজনকে দেখে ভ্রু কুচকে বললেন,
> বউ তুমি পর পুরুষের সঙ্গে কিসের কথা বলছো। তোমাদের কিসের সম্পর্ক?
নীলু ভদ্রমহিলার কথা শুনে অবাক হলো। এই মহিলা এসব কি বলতে ভেবে ও ভ্রু কুচকে ফেলল। অন্যদিকে অভ্র মিটিমিটি হাসছে। ওর মজা লাগছে নীলুকে এমন অবস্থায় দেখে। নীলু কিছু বলতে চাইলো কিন্তু হলো না। ভদ্রমহিলা সুযোগ দিচ্ছে না। একের পর এক প্রশ্ন করেই চলেছে সঙ্গে বাজে কথা তো আছেই। সকালবেলায় উনি অপমানিত হয়েছেন সেগুলোর শোধ তুলতে চাইছেন নীলু বেশ বুঝতে পেরেছে কিন্তু কিছু তো বলতে হবে যাতে উনি চুপ করেন। ভদ্রমহিলা এবার ওর চরিত্র নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন। হঠাৎ পেছন থেকে গম্ভীর কন্ঠ জুনায়েদ বলে উঠলো,
> কি হচ্ছে এখানে?
ভদ্রমহিলা পেছনে তাকিয়ে মুখটা করুণ করে বলল,
> জুনায়েদ তোর বউয়ের চরিত্রের ঠিক নেই। সারাদিন অসুস্থতার নাম করে ঘরে ছিল। এখন সুযোগ পেয়ে এই ছেলের সঙ্গে কি সব আলাপচারিতা করছে। আমি দেখে ফেলেছি এখন চুপ মেরে আছে। আমি দেখেই ভেবেছিলাম এই মেয়ে তোর উপযুক্ত না।
জুনায়েদ হাতের মুঠো শক্ত করে রেগে উঠে বলল,
> মামি তুমি খামাখা আমার বউয়ের পিছনে পড়ে আছো কনো বলবে? ওর চরিত্রের সমস্যা আমি বুঝে নিবো তুমি যাও। আর এখানে কি করছো তুমি?
ভদ্রমহিলা থতমত খেয়ে বলল,
> ওকে ডাকতে এসেছি। নতুন বউয়ের রান্না খেতে চাইছে সবাই।
> আমার বউ রান্না পারেনা। বাইরে এতো এতো রান্না হচ্ছে সেসব কে খাবে? আমি রাগলে কিন্তু রাধুনীদের বিদায় করে সবগুলোকে দিয়ে রান্না করিয়ে নিবো। আমাকে তো চিনো কাউকে ছাড়বো না।
জুনায়েদের মামি বিরক্ত হয়ে বিড়বিড় করে বকতে বকতে চলে গেলো। জুনায়েদ নীলুর হাত ধরে আবারও দরজা বন্ধ করলো। অভ্র ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। এখানে কি হলো বোঝার চেষ্টা করছে। নীলুর জন্য জুনায়েদের এমন ভাবসাব ওর পছন্দ হচ্ছে না। নীলুকে বশ করেছে এই ছেলে। কথাটা ভেবে ও অদৃশ্য হয়ে গেলো। নীলু চুপচাপ সোফায় বসে আছে। জুনায়েদ রাগে ফুসছে। নীলুর এই ভালো মানুষী ওর কাছে অসহ্য লাগছে। প্রতিবাদ করবে না করে দাঁড়িয়ে ছিল ভেবেই রাগ দ্বিগুণ হচ্ছে। নীলু কিছু বুঝতে পেরে ওর কোলের উপরে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। জুনায়েদ উঠতে চাইলো কিন্তু পারলো না। নীলু মিষ্টি হেসে বলল,
> রাগের কি হয়েছে বলবেন? সন্ধ্যা শেষ কিছুক্ষণের মধ্যেই রাত নেমে আসবে। ওসব ভেবে রাত কাটিয়ে দিবেন?
> একদম না। শুনো আমি তোমাকে সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দিবো। যদিও মন চাইছে না তবুও কিছু করার নেই আমি নিরুপায়।
> আপনি তীব্রর জন্য আমাকে সাজাতে চাইছেন একদম ঠিক হচ্ছে না। ও আমার জন্য এমনিতেই পাগল। ওসব লাগবে না। শুধু গিয়ে বলল তীব্র ভাইয়া চলুন গল্প করি তখনই দেখবেন
> নীলু আমি চাই না মিশন ব্যার্থ হোক। ওকে আমারা গোলক ধাঁধাতে ফেলে দিবো। আজকের রাতটা হবে ওর জন্য চমকপ্রদ রাত। নীলিমা নামটা ও চিরকাল ভুলে যাবে।
> কি করতে চাইছেন আপনি? তাছাড়া আমরা কিন্তু সিউর না ওর কাছে স্টোন আছে কিনা।
> আমার বুদ্ধি তোমার থেকে একটু হলেও বেশি। জানো মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব?
> একদম। আচ্ছা বলুন বিস্তারিত।
> তীব্র তোমাকে চাই কোনো স্বার্থ ছাড়া। তুমি ভেবে দেখো স্টোনের জন্য ও সব সময় এদিক ওদিকে ঘুরতো। তোমার কাছে থাকতে পারতো না। কিন্তু সেদিনের পর থেকে ও তোমার আশেপাশে ঘুরছে। কোথাও যাচ্ছে না। তোমার কি মনে হয়? তোমাকে বিপদে রেখে ও চুপচাপ বসে থাকবে?
> এটা আমিও ভেবেছিলাম কিন্তু পরে ভেবেছি আপনার সঙ্গে বিয় নিয়ে ও বিরক্ত হয়েছে।
> আচ্ছা তুমি স্টোন পেয়ে গেলে তখন যদি ওকে বিয়ে করো তবে ওর তোমাকে পাওয়া ছাড়া আর কোনো লাভ আছে?
> একটাই লাভ ও আমার রাজ্যের রাজা হয়ে যাবে। তোমাকে বলা হয়নি অভ্রও এটাই চাইছে। ও আমাদের শত্রু পক্ষ।
> বুঝতে পারছি। যাও লাল শাড়িটা নিয়ে আসো। আজ তুমি লাল রঙের শাড়ি পড়বে।
> লাল কেনো?
> পরে বলবো এখন যাও।
জুনায়েদ ওকে উঠিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করলো। মেজাজ হুটহাট খারাপ হচ্ছে। আগেও হতো কিন্তু এখন অতিরিক্ত হচ্ছে। এভাবে চললে নীলুর জন্য বিপদ হয়ে যাবে। মাথা ঠান্ডা রাখা দরকার। এই আলোছায়ার ঝামেলা থেকে কিভাবে বের হবে আল্লাহ্ ভালো জানে। বিয়ে বাড়িতে হাজারটা চোখ। মানুষের সঙ্গে সঙ্গে জ্বীন পরীও ভর করেছে ভেবে জুনায়েদ শিউরে উঠলো। নীলুর বুদ্ধিতে বাড়ির সবাইকে হলুদ সুতার বন্ধনী দিয়ে বিপদ থেকে রক্ষা করা হয়েছে। কাউকে বুঝতে দেওেয়া হয়নি এই হলুদ সুতার কারণ। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে নীলু চলে আসলো। জুনায়েদ নিজের মনের মতো ওকে সাজিয়ে দিলো। অভ্র এই বাড়িতে আসনি ওই বাড়িতে অনুষ্ঠান আছে। জুনায়েদ ওই বাড়ির উদ্দেশ্যে বিদায় নিয়ে নীলুকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
চলবে
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।
আসুন নামাজ ও কোরআন পড়ি।