#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 10
— কিছু করতে চাইনি কিন্তু তুমি করতে বাধ্য করেছো!! আমার কথা শুনলেই এসব হত না আমার হিংস্র রূপ টা দেখতে হত না!!
টিয়া ডেনিয়ালের কথা শুনে দ্রুত বললো,
— আমি আপনার সব কথা শুনবো প্লিজ আমার থেকে দূরে থাকুন প্লিজ!!
ডেনিয়াল উত্তরে বাঁকা হেসে বললো,
— সব শুনবে??
টিয়ার দ্রুত জবাব,
— হ্যাঁ হ্যাঁ সব শুনবো!
ডেনিয়াল এবার টিয়াকে ছেড়ে এক্টু দূরে দাঁড়ালো জিন্সের পকেট দুই হাত ঢুকিয়ে টিয়ার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্ঠে তাকিয়ে বললো,
— তাহলে স্তব্ধ খান কে ভুলে যাও!
টিয়া যেনো শক খেলো! নিজেকে সামলে বললো,
— কিন্তু কেনো?
এবার ডেনিয়াল টিয়ার দিকে একটু ঝুকে বললো,
— কারণ আমি বলছি তাই! তুমি আমায় ভালোবাসবে!! কজ আই লাইক ইউ!
টিয়ার মাথায় যেনো কেউ একটু কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিলো। টিয়ার এত টাই রাগ লাগছে সে কিছুটা রূঢ় গলায় চেঁচিয়ে বললো,
— স্বপ্ন দেখুন! আপনাকে তো আমি ফিরেও দেখবো না!!
হাসলো ডেনিয়াল,
— জানি সেটা! লেট ইট গো! ফ্রেস হয়ে নিচে এসো! কথার নড়চড় হলে তোমায় কি করে কথা শুনাতে হয় আমি জানি!
কথাটা বলেই ডেনিয়াল চলে গেলো! টিয়া রাগী দৃষ্টে তাকিয়ে রইলো ডেনিয়াল এর যাওয়ার দিকে! তারপর আস্তে আস্তে উঠে আয়নার সামনে গেলো! নিজের গলা টা দেখে টিয়া কেঁদে দিলো! গলায় ডেনিয়ালের হাতের ছাপ পড়ে গেছে! বুঝাই যাচ্ছে ডেনিয়াল যদি আর একটু প্রেশার দিতো গলায় তো টিয়া এই ঈগল এর হাতে মরেই যেতো কাল! ভেবেই টিয়া ওয়াশরুমে ঢুকলো নিচে যেতে হবে যদি আবার তাকে মারতে আশে কথা না শুনলে ডেনিয়াল? ভেবেই টিয়া বললো!
— স্তব্ধ কই আপনি? আসবেন না একবারো আমায় বাঁচাতে??
কথাটা বলেই তাচ্ছিল্য হাসলো টিয়া,
— হাহা আমি কি পাগল! যার জন্য এসব হলো আমার সাথে! সেই আমাকে বাঁচাবে আশা করছি! টিয়া ইউ স্যাচ আ ফুল!
বলেই টিয়া ডুকরে কেঁদে উঠলো! তার সব বিষাক্ত লাগছে এখানে থাকতে কিন্তু কে বাঁচাবে তাকে এখান থেকে? আধো টিয়া কখনো বি ডি যেতে পারবে? ভেবেই কান্না বেড়ে গেলো টিয়ার!
রাত ১২ টা..
স্তব্ধ ছাদে পাতা সোফায় বসে ঢক ঢক করে ড্রিংস্ক করছে!! স্তব্ধের মন চাইছে তার ভেতর এর সব কেটে বের করে দেখতে ওখানে এত চিনচিন ব্যাথা কেনো করছে বুকে ? কেনো মন চাইছে নিজের সব পাওয়ার দিয়ে টিয়াকে খুঁজে নিজের সামনে বসিয়ে মন ভরে শুধু দেখতে?? কেনো মন চাইছে সব ভস্ম করে দিতে টিয়ার জন্য। কেনো এত কষ্ট হচ্ছে স্তব্ধ ওর না আজ নিজের কষ্ট ধরে রাখতে পারছেনা স্তব্ধ ভেতর ভেতর হলেও পুড়ে যাচ্ছে সব তার! ইশ যার জন্য স্তব্ধের ভেতর সব উথালপাতাল করছে সে যদি দেখতে পারতো তার জন্য স্তব্ধ কত পুড়ছে! এই চাপা, ছাড়ু, একরোখা মানুষ টাও ভেতর ভেতর ধংষ হয়ে যাচ্ছে ! কতই না খুশী হত তার টিয়া পাখি যদি স্তব্ধের ভেতরের এসব চিত্র দেখতে পারত সে !!
ভেবেই দুঃখের কিঞ্চিত হাসি টানলো স্তব্ধ তার ঠোঁটে! স্তব্ধ এই টুকু হাসি তে ঠোঁট টাও বোধ হয় খুশী হলো আজ ! এত সুন্দর দুই টা ঠোঁট কিন্তু স্তব্ধ হাসে বা বিদায় তারাও সুযোগ পায় না ঠোঁট প্রশারিত করার! স্তব্ধ যেমন ফর্শা ঠোঁটটাও তেমনি কালো! কালো বললে ভুল হবে চকলেট একটা কালার ফর্শা মুখে কালো ঠোঁটটা ফুঁটেই থাকে চেহারায়।
স্তব্ধ বেশ কিছুক্ষণ ড্রিংস্ক করে উঠে দাঁড়ালো হাতে সিগারেট এর প্যাকেট নিয়ে! তারপর কিছু দূর রেলিং এর উপর পা তুলে গিয়ে বসলো! স্তব্ধ যে এতক্ষণ ড্রিংস্ক করেছে বুঝাই যাচ্ছে না বুঝাই যাচ্ছে না তার ভেতরে কত বড় ঝড় বইছে! সে স্বাভাবিক ভাবে প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে দুই ঠোঁটে মাঝে গুঁজল! তারপর লাইটার বের করে পকেট থেজে চেপে আগুন টা সিগারেট এ ধরালো! বেশ আয়েশ আর মনের সুখে সিগারেট এ প্রথম টান দিলো স্তব্ধ ! কিছু সেকেন্ড পর বুক পোড়া ধোয়া গুলো! আকাশের দিকে নিশ্বাস এর সাথে বের করলো! পর পর হাতে গুজা সিগারেট টা টানতে লাগলো স্তব্ধ! চোখ বন্ধ করে আছে স্তব্ধ! পেছন থেকে আস্ফির গলা শুনতে পেলো স্তব্ধ!
— ভাই?
স্তব্ধ চোখ খুলে কাধ বাকা করে সিগারেট এ টান দিয়ে বললো,
— বল!
— তুমি ঠিক আছো?
স্তব্ধ হাতের সিগারেট টা ফেলে দিয়ে বললো,
— আমার কি হবে?
— কষ্ট হচ্ছে না তোমার?? আজ যা রায়হান করলো!!
স্তব্ধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে আস্ফিকে হাতে ইশারায় তার পাশে বসতে বললো! আস্ফিও রিলিং উঠে স্তব্ধের পাশে বসলো। স্তব্ধ বললো,
— আস্ফি আজ যা হলো এটা কোন ব্যাপারী না!! কাল এমনো হতে পারে আমি তোকে মেরে ফেললাম! তাই তোকে স্ট্রং হতে হবে রক্ত দিয়ে শাওয়ার নিতে হবে বুঝলি ! এই টুকু বিষয় নিয়ে কষ্ট পেলে আমি সেই কবেই এই জব ছেড়ে দিতাম!
আস্ফি কি বলবে ভেবে পেলো না আসলেও সে কত বোকা! ভূতকে বলছে তুমি ভয় পেয়েছো! নিজের কাজে লজ্জিত হলো আস্ফি! কথা বদলিয়ে বললো,
— টিয়ার কি হবে??
— ডোন্ট নো !!
আস্ফি শক খেলো স্তব্ধের কথায়! তবে কি স্তব্ধ ভেবে নিয়েছে! সে রাজী হবে না লিংকোন স্যার এর ডিটেলস দিতে রাইজিং কে? আর টিয়াকেও বাঁচাবে না?? আস্ফি কি বলবে স্তব্ধকে ভেবে পেলো না। এবার তার টিয়ার জন্য মায়া হচ্ছে কেনো স্তব্ধ টিয়াকে ভালো বাসলো! না হলে হাসি খুশী জীবন কাটাত আজ টিয়া কে জানে টিয়া কি অবস্থায় আছে!! আস্ফির প্রচুর রাগ হচ্ছে আজ স্তব্ধের উপর কি করে বলে ফেললো জানি না???
চলবে!
[অনুভূতি কাল দিবো সকালে আজ হলো না অনেক দিন পর লিখতে বসছি তাই আগের পার্ট খেয়ে ফেলছি! এখন কিছু পার্ট পড়ে তার পর এডিট করে সকালে পোস্ট করবো! এর জন্য এটাই দিয়ে দিলাম! তবে অনুভূতি লেখা শেষ প্রায় ☺কাল পেয়ে যাবা আর দুঃখিত আজ দিতে পারলাম না]