#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 8
সকাল ১০ টা….
টিয়ার মা নাফিছা টিয়ার বাবা রফিক এর পাশে বসে কাঁদছে! টিয়ার বাবা রফিক আজ তিন দিন হলো একি যায়গায় বসে! তিনি না টিয়ার খোজ করছে না কাঁদছে না নিজে স্বাভাবিক হচ্ছে! নাফিছা এতে বেশ চিন্তিত! এভাবে গুম মেরে বসে থাকলে যদি কিছু হয়ে যায় স্বামীর!! ঐদিকে আরাফ ও ভয়ে নাফিছা আর রফিক এর সামনে আসে না! কারন আরফা এর কথাতেই টিয়ার স্তব্ধকে বিয়ে করার জেদ রফিক মেনে নিয়েছিলো কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি কেউই! এভাবে গায়েব হয়ে যাবে তাদের মেয়ে? আর তাদের বেশী কিছু বলার ও ছিলোনা কারণ ছেলে মেয়ে বড় হয়ে গেলে এক সময় তাদের উপর মা বাবা হয়েও কিছু বলা যায় না! রফিকের ও তাই হয়েছে ছেলে মেয়ে বড় হয়েছে বুঝতে শিখেছে এখন তাদের কথাই কথা! তবুও টিয়ার জেদ মানতে নারাজ রফিক কিন্তু আরাফ এর কথায় আর কিছু বলেনি রফিক এক প্রকার রাগ করেই চুপচাপ সব সহ্য করেছেসব! এদিকে নাফিছা কাঁদছে আর বলছে!
— তুমি সব সময় মেয়েকে শাসন এ রেখেছো! আমি বললেও ওকে একটু স্বাধীনতা দাওনি! তবে কেনো ওর এতো বড় জেদ টা মেনে নিলে?? আমি ভাবতে পারিনি তুমি এই অন্যায় জেদ মেনে নিবে মেয়েটার! যে ছেলের বিয়ে করতে আসবে তার বাবা মা কেউ আসবেনা তারা জানে কি না তাও আমরা জানি না! ছেলে কি করে কোথায় থাকে মা বাবা কে কিছু জানিনা এমন ছেলের কাছে মেয়ে দিয়ে দিলে তুমি ! বিয়ের এক্টু আগেও আমি বলেছি বিয়ে টা আটকাও এখনো সময় আছে কিন্তু না আমার কথা তোমরা শোনোনি!! এখন কেনো এভাবে বসে থাকো? শোনো তোমরা বাপ ব্যাটা আমার মেয়েকে এনে দাও আমি মরেই যাবো না জানি কি অবস্থায় আছে আমার মেয়ে!! এদিকে পারাপ্রতিবেশী যা হয় তাই বলছে আমার মেয়েকে নিয়ে আমি আর এসব শুনতে পারছিনা!!
আরফার বাসায় ঢুকে ড্রইং এ আসতেই মার কথা শুনে দাঁড়িয়ে পড়ে! আরাফের চোখেও পানি! বোনের কথা রাখতে গিয়ে সেদিন বাবাকেও দুই কথা শুনিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু আজ সেই কারণেই বোন ও গেলো বাবাও রাগ করে আছে! আরাফ ভাবছে না বাবাকে বলতে হবে সব কেনো সে মেয়ে নিয়েছিলো টিয়ার জেদ! আরাফ দ্রুত বাবার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। নাফিছা ছেলেকে দেখেই স্বামীর পাশ থেকে উঠে ছেলের গালে থাপ্পড় লাগায়। হতভম্ব হয়ে যায় আরাফ যেই মা কোনদিন হাত তুলেনি ছেলের উপর সে আজ মারলো। তবে ভুল করেছে সে এটা পাওনাই তো। নাফিছা ছেলের গালে থাপ্পড় দিয়ে ক্রুদ্ধ হয়ে বললো।
— খুব তো ঐদিন ছেলে মেয়ের পছন্দ আছে বাবা মাকে বুঝাচ্ছিলি? বাবার উপর কথা বলছিলি?? তা আজ কি হলো? তোর বোন তার পছন্দের জায়গায় গেলো এখন কই? গায়াব কেনো হলো???? একটা বিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করেছে নিশ্চয় ওর সতীনই ওকে মেরে ফেলেছে আমার মেয়েকে !! আরাফ তুই আমার মেয়েকে এনেদে আমার মেয়ে আমার চাই!!
নাফিছা এবার আরাফকে ধরে কেঁদে দিলো! আরাফ নিজেও কেঁদে দিলো কিন্তু রফিক নির্বিকার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে! একমাত্র মেয়েকে ছাড়া এক রাত ও থাকেনি তিনি। মেয়েকে কোথাও যেতে দেননি তিনি মেয়ের কিছু হয়ে যাবে ভয়ে! আর সেই মেয়ে এভাবে বিয়ে করে চলে গেলো উনার কষ্ট উনিই জানে! তাও মেয়ে সুখী থাকলে উনিও সুখী! ভেবে মনকে বুঝিয়েছেন তিনি! কিন্তু তাও হলোনা মেয়ের বিয়ের পর দিন থেকেই গায়াব। কি করে ভালো থাকবেন তিনি। অতি শকে পাথর হয়ে গেছেন উনি! আরফার বাবাকে থম মেরে বসে থাকতে দেখে! বাবার সামনে ফ্লোরে বসলো সে বাবার হাতের উপর হাত রেখে বললো।
— বাবা তুমি তো জানো আমাদের ভুল হয়ে গেছে আমাদের প্লিজ ক্ষমা করে দাও! আমি টিয়ার জেদ মেনে নিয়েছিলাম কারণ! টিয়া স্তব্ধকে বিয়ে করেনি এটা ওর করা একটা নাটক ছিলো। টিয়া শুধু স্তব্ধকে বুঝাতে চেয়েছিলো। টিয়া বিয়ে করছে স্তব্ধকে! আর কিছুনা! আমায় টিয়া বলেছিলো সে কিছুদিন বাদেই বাসায় এসে পড়বে! তখন সব কিছু বলবে তোমাদের। তাই আমি তোমায় রাজি হতে বলি বাবা ভুল হয়ে গেছে!!
আরাফ আর কিছু বলার আগেই রফিক থাপ্পড় দিয়ে বসে আরাফের গালে! নাফিছা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে আরাফ এর কথায়! রফিক জেনো রেগে ফেটে পড়ছে এবার রেগে চিৎকার করে উঠে।
— ভাই হয়ে বোনকে সঠিক টা না বুঝিয়ে বাবার সঙে বেয়াদবি করেছো?? এখন আমার মেয়েকে তুমি এনে দিবে আমি যাবোনা পুলিশ এর কাছে! শুনেছো তুমি??
নাফিছা বিলাপ করতে করতে বললো,
— নিশ্চয় এই ছেলে বুঝে গেছে টিয়া বিয়ে করেনি অভিনয় করেছে তার সাথে! তাই বোধ হয় আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে!! আল্লাহ আমার মেয়েকে আমার কাছে এনে দাও……
রফিক নাফিছাকে ধমক দেয় এসব শুনে ভয়ে নাফিছা চুপ হয়ে যায়! রফিক এবার বাসা থেকেই বেরিয়ে যায়।
আরাফ বসে কাঁদছে কই খুঁজবে বোন কে?? মধ্যবিত্ত পড়িবার তাদের হুট হাটযে কিছু করবে তারো উপায় নেই!! আরফার এর এবার সব অন্ধকার মনে হচ্ছে! কিছুতেই কিছু মেলাতে পারছেনা সে টিয়া কোথায়? কি করেছে স্তব্ধ! কেনো টিয়া এই বিয়ের নাটক করলো! রাগে আরাফ নিজের চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছে কেনো সে টিয়ার জেদ মেনে নিয়ে ছিলো। বিয়ের ব্যাপারে নাটক বিষয় টা তো আর ছোট ছিলোনা! এসব আগে কেনো ভাবেনি আরাফ?? এর জন্যই বুঝি বলে “ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না”
.
.
.
.
সন্ধযা ৬ টা,
স্তব্ধের বাড়ীর সেই স্টোর রুমে চেয়ারে বসে আছে প্রত্যয়! হাতে লকআপ লাগানো চেয়ারের সাথে!! নাক, মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে! চোখের নিচে ঘুষি পরায় রক্ত জোমাট বেধে কালো হয়ে আছে! শরীর এর নানান জায়গায় কাটাছেঁড়া অবস্থা! তাও মুখে তার অদ্ভুত হাসি!! জেনো এই মারে কিছু হবে না তার! আস্ফি প্রত্যয় এর এই ত্যাড়ামি দেখে আরো কয় টা ঘুষি লাগালো মুখে। তাতে প্রত্যয় আরো হাসতে লাগলো! তাতে আস্ফি রেগে তাকিয়ে প্রত্যয় কে বললো
— লাঠি ভাঙবে সাপ মরবে না??
প্রত্যয় ঢুলুঢুলু হয়ে হেসে বললো,
— ঠিক ধরেছিস ছোটকা! আর একটু মার দেখি আমাদের ছোটকার মধ্যে কত টুকু দম??
আস্ফির এত সময় প্রত্যয় নামক এই সিনিয়র কে স্তব্ধের পারমিশন এ মারতে খারাপি লাগছিলো! কিন্তু এখন প্রত্যয় এর কথায় কাজে তার ইরেটেটিং লাগছে প্রচুর! আর রাগ টাও মাথা উঠে যাচ্ছে তিন জন তাগড়া লোকের মার খেয়ে। আস্ফির এত মার ঘুষি খেয়েও প্রত্যয় হাসছে! তাতে জেনো আস্ফির মাথাই বিগড়ে যাচ্ছে! আস্ফি আরেক টা ঘুষি দিয়ে বসে প্রত্যয় এর ডান লাগে।তারপর চুপ করে গিয়ে সামনের টেবিলে পা ঝুলিয়ে বসে পড়ে! আর তাকিয়ে থাকে প্রত্যয় এর দিকে। মুখে হাসলেও এত জনের মার খেয়ে শরীর চেয়ারে ছেড়ে দিয়েছে একদম। বারবার চোখ বুঝছে আর খুলছে তাও হেসেই যাচ্ছে সে! এই হাসির কারণ একটাই টিয়ার স্তব্ধের বিয়ে হতে দেয়নি তাই! প্রত্যয় টিয়াকে দিয়ে বিয়ের ব্যাপারটা নাটক বানিয়ে দিয়েছে তাই। প্রত্যয় জিতে গেছে। স্তব্ধ হেরে গেছে সেটা ভেবেই প্রত্যয় হাসছে!!
আর এই হাসি আস্ফির বিরক্ত লাগলেও প্রথমে! এখন লাগছেনা! কারণ আস্ফি যা বুঝার বুঝে গেছে! আজি প্রত্যয় এর শেষ দিন! আর এই হাসিই হবে প্রত্যয় এর মৃত্যুর কারণ! না হলে একটা সম্ভাবনা ছিলো বেচে থাকার কিন্তু এখন তা নেই ! আজরাইল বোধ হয় আশেপাশে ই আছে প্রত্যয় এর জান কবজ করবে বলে! ভেবেই আস্ফির আর মারতে ইচ্ছে করলো না প্রত্যয়কে! আস্ফি স্টোর রুম থেকে চলে গেলো সে প্রত্যয় এর মৃত্যু দেখতে পারবেনা! এক সাথে সিনিয়র হিসেবে অনেক চলাফেরা ছিলো! থেকেছেও কত এক বাসায়! ফাম হাউজের আড্ডায় ছোটকা ছোটকা বলে মাতিয়ে রাখতো! আর সেই ছেলেটাকে মৃত্যুশয্যয় দেখতে পারবেনা আস্ফি!
আস্ফি বেরিয়ে গেলো স্তব্ধের বাড়ী থেকে যদিও এটাই আস্ফির ও বাড়ী! তাও এখানে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছেনা তার! ফোন বের করে পিউকে কল লাগালো আস্ফি ধরছেনা পিউ! ধরবেও না দুদিন না গেলে! অবশ্য এবার তো আস্ফি কান্ড টাও বড় করেছে! কে জানে এবার দুদিনে সব ঠিক হবেনাকি? আস্ফির মন এটা ভেবে আরো খারাপ হয়ে গেলো! পিউকে মেসেজ দিলো অনেক গুলো! তার পর বাইক নিয়ে বেরিয়ে গেলো আস্ফি উদ্দেশ্য পিউ এর বাসা!
পিউ গল্পের বই পড়ছিলো উল্টো হয়ে শুয়ে কাল থেকেই রুম বন্দি পিউ বই পরে সময় কাটাচ্ছে পাশে এক কাপ হট কফি রাখা। কফিতে চুমুক লাগাচ্ছে আর বইয়ে মুখ গুঁজে আছে সে! ফোন বাইব্রেড হচ্ছে সেই কখন থেকেই। কিন্তু ধরবে দূর তাকাচ্ছেও না সে দিকে! এভাবে একবসায় আরো ১০ পৃষ্ঠা শেষ করে বই রেখে বিছানায় পিউ উঠে বারান্দায় গেলো! গিয়ে যা দেখার তাই দেখলো! তার বাড়ির নিচে রাস্তায় ঐপাশ এ আস্ফি বাইক এ বসে আছে আর তাকে ফোন লাগাচ্ছে! হাতে থাকা ফোনটা বাজতেই পিউ পিক করে কানে রাখলো।
ওপাশ থেকে আস্ফির রাগী প্রশ্ন,
— কই তুই??
পিউ ভাবলেশহীন ভাবে বললো,
— উপরে তাকা!
আস্ফি এবার উপরে তাকিয়ে কিছুক্ষণ দেখলো পিউকে চুল গুলো ছাড়া হোয়াইট টি শার্ট গায়ে একটু দেখা যাচ্ছে! চোখ গোল গোল চশমা লাগানো।তা দেখে আস্ফি বললো!
— তুই বই পড়ছিলি না??
— পড়তে আর দিলি কই? কল করে করে মাথা খাচ্ছিলি!!
আস্ফি ধমক দিয়ে বললো,
— তাও তো মিনিমাম ১০ পৃষ্ঠা শেষ করে তবে এসেছিস! চাঁদ মুখ টা দেখাতে! এটা আর নতুন কি?
সব সময় এর মতো পিউ ভরখে গেলো আস্ফির কোথায়! কারণ এটা নতুন না আস্ফি কোন ভুল করলে সরি বলতে বাইক নিয়ে বাড়ী এসে তাকে কল করে বারান্দায় আসতে! কিন্তু পিউ সব সময় ১/২ ঘণ্টা আস্ফিকে দাড়া করিয়ে রেখে তার পর আসে বারান্দায়! আর আস্তে আস্তে আস্ফি পিউ এর কারসাজি বুঝে ফেলে যে পিউ ইচ্ছে করে এমন করে! আর ধরা খায় আস্ফির কাছে পিউ!
পিউ আমতা আমতা করে বললো,
— বাদ দে!! কেনো এসেছি সেটা বল??
আস্ফি ব্যাঙো করে বললো,
— কেনো এসেছিস এহ ঢং! তুই জানিস না কেনো এসেছি কল পিক করছিলিনা কেনো??
আস্ফির ব্যাঙো মার্কা কোথায় রেগে গেলো পিউ,
— কুত্তা তোর কল আমি পিক করবোনা! আমার ইচ্ছা আমি ধরবোনা মানে ধরবোনা! তোকে আর একদিন আমার বাসার সামনে দেখলে আমি পুলিশে দেবো তোকে হারামি কোথাকার!
পিউ বোকছে আর আস্ফি এক হাতে ফোন ধরে রেখেছে অন্য হাতে আরেক কান চেপে ধরে আছে! পিউ আরো কিছু গালি দিয়ে ফোন কেটে ভেতরে চলে গেলো! আস্ফি এবার মহা আনন্দে ফোন কেটে পকেট ঢুকিয়ে বাইক স্টার্ট দিলো! এবার আস্ফির ভালো লাগছে! পিউ এর সাথে একদিন ঝগড়া না হলে আস্ফির ঘুম হয় না! তার এই ঝগড়ার মেশিন টা সারাজীবন এর জন্য নিজের করে চাই কিন্তু পিউ তো রাজী হয় না কি করবে আস্ফি?? বেশী রাগালে সত্যি তুলে নিয়ে চলে যাবে ব্যাস শেষ! আর ধৈর্যবান হতে পারবেনা আস্ফি ভেবেই জোরে টান দেয় বাইক!
স্তব্ধ দাঁড়িয়ে প্রত্যয় এর সামনে! প্রত্যয় সেই আগের মতন হাসছে! স্তব্ধ শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলো!
— আমি তোকে বলেছিলাম টিয়ার থেকে দূরে থাকতে! কিন্তু তুই এটা কেনো করলি??
— তুই বলেছিস আর আমায় শুনতে হবে কেনো ভালোবাসি আমি ওকে!!
স্তব্ধের কপালের রগ দাঁড়িয়ে গেলো প্রত্যয় এর কথায়। প্রত্যয় আবার বললো,
— তাও দূরেছিলাম আমি ওর থেকে তোর হাতে মরতে হবে ভেবে! কিন্তু যখন শুনলাম তুই বিয়ে করবি ওকে মাথা ঠিক ছিলোনা আমার! তাই ওকে তোর ব্যাপারে মিথ্যে বলেছি আর তোকে তো টিয়া নিজেই দেখেছে মাহিন কে মারতে! আমার কাজ সহজ হলো! টিয়া জানতে চাচ্ছিলো তুই কে তোর পরিচয় কি?আমি জানতাম সব বলে দিতে পারতাম ওকে সব! কিন্তু এসব ওকে বললে ও তোর থেকে দূরে থাকতো ঠিকি! কিন্তু তুই তো ছাড়তিনা ওকে! আমি জানি তুই ওকে বন্দি করে হলেও নিজের কাছে রাখতি! এসব তোর বা হাতের খেল ! সেটা টিয়া মেনে নিক বা না নিক!! তাই টিয়াকে তোর প্রস্তাব এ রাজি হতে বলি আর! বিয়ের নাটক করতে বলি টিয়া কবুল বলেনি না সই করেছে সই করেছে ওর ভাই আরাফ!! যেমন টা আমি টিয়াকে করতে বলেছি! হা হা হা…
স্তব্ধ আবারো শান্ত কিন্তু কঠিন গলার বললো,
— তারপর??
প্রত্যয় বিশ্রী হেসে বললো,
— তারপর রাতে টিয়াকে রাইজিং এর লোককে দিয়ে কিডন্যাপ করাই তোর বাড়ীর গার্ডদের টাকা খাইয়ে!! যাদের তুই এই রুমেই নিজের হাতে মেরেছিস!!জানিস চাইলে তোকে আর জেসিয়াকে ধরিয়ে দিতে পারতাম তাতে আমি যা চাই তা হতোনা তুই বেঁচে যেতি সব ঠিক করে ফেলতি আমি জানি সেটা। তাই আমার উদ্দেশ্য সেটা ছিলোনা। আমার উদ্দেশ্য ছিলো তোর থেকে টিয়াকে আলাদা করা!! আর সেটাই হলো এখন তুই চাইলেও টিয়াকে পাবিনা টিয়া কই আছে বের করা অসম্ভব! কারণ রাইজিং এর হাতে পড়েছে যে! আর তুই যদি ওকে ফিরে পেতেই চাস তো অদের প্রস্তাব এ তোকে রাজি হতে হবে লিংকোন স্যার এর সব ডিটেলস দিতে হবে ওদের আমি জানি সেটা তুই মরে গেলেও করবি না! আর না টিয়াকে ওরা ছাড়বে কোনদিন!! হাহা তোর টিয়া পাখি অন্য কাউর পাখি হয়ে গেছে স্তব্ধ খান। যাকে বাঁচাতে তুই তার থেকে দূরে ছিলি সে এবার সত্যি ফুড়ুৎ!! তোর টিয়া পাখি আর তোর নেই!! টিয়ার জন্য তুই আমার গ্যাংকে মেরেছিস! আমায় অপমান করেছিস!! জেদ চেপে গেছে আমার মাথায় টিয়া আমার না হলে তোর ও হবে না!! হাহা হা আরে আরে স্তব্ধ একটা ভাবিই নি…. শোন কথা টা কি টিয়া যা মেয়ে যারা অকে তুলে নিয়ে গেছে ওদের একজনের নজর যদি পরে যায় টিয়ার উপর তবে তো তুই স্বপ্নেও পাবিনা টিয়াকে…….
আর কিছু বলতে পারেনি প্রত্যয় তার মুখ চিরকাল এর জন্য বন্ধ করে দিয়েছে স্তব্ধ। আস্ফির কোথায়ি সত্যি হলো! আজি প্রত্যয় এর শেষ দিন হবে! তাই হলো স্তব্ধের হাতেই মরলো সে! স্তব্ধের হাতে থাকা রিবলবার টা থেকে এখনো ধোঁয়া বেরুচ্ছে..!
চলবে
[ আপনাদে রেসপন্স দেখে গল্প লিখার উৎসাহ ইচ্ছা দিন দিন হারিয়ে ফেলেছি ভালো না লাগলে বলবেন গল্প শেষ করে দিবো 😐]