আলোয় অন্ধকার পর্ব-৩৫

0
1518

#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 35
সত্যি বলতে টিয়া অনেক বেশি শক পেয়েছে এতটাই শক পেয়েছে যে ওর মাথা ঘুরে উঠছে বারবার। ডেনিয়াল সেটা দেখে বাঁকা হাসলো। ও জিজ্ঞেস ও করলোনা। ” আর ইউ ওকে!” বরং হেসে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে!

তবে ওর হাসি ক্ষনস্থায়ী! নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরুতেই। জ্যাক নক করলো,
–” ম্যে আই?”

ডেনিয়াল একটু বিরক্ত কণ্ঠে বলল,
–” ইয়েস!”

জ্যাক মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে! ডেনিয়াল সেটা দেখে রেগে তাকায় ওর দিকে চিল্লিয়ে বলে,
–” চুপ করে আছো কেন? আমি তোমাকে কিছু জানাতে বলেছিলাম জ্যাক! তুমিকি জানতে পেরেছো?”

জ্যান সেই অবস্থাতেই আস্তে করে বলল,
–” স্যার ওরা ডিল ইতালির সাথে ফাইনাল করেছে গত সাপ্তাহে কেউ বাংলাদেশ থেকে ইতালির গিয়ে এই কাজ সম্পূর্ণ করে এসেছে! ”

ডেনিয়াল মাথায় যেন কথাটা শুনে ধাউধাউ করে আগুন জ্বলছে! দাঁতে দাঁত পিষে বলল,
–” স্তব্ধ ইজ ড্যাড! ওর বডি বাবা নিজে ডিস্ট্রোয় করেছে! তাহলে ওদের গ্রুপের হয়ে বাংলাদেশ থেকে কে যাবে ইতালির সাথে ডিল ফাইনাল করতে? কার এত সাহস? ”

জ্যাক হাল ছেড়ে দেওয়া কণ্ঠে বলল,
–” স্যার সেটা জানা যায়নি এসব পারসোনাল বিগ বিগ ডিলের ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চায়না! আমি স্তব্ধের ফ্যামিলির ওপরেও যথেষ্ট নজর রেখেছি আমাদের লোক দিয়ে। তারা জানিয়েছেন স্তব্ধ এখানে আসার আগেই ওরা শহর চেঞ্জ করেছে! কিন্তু ওর বাবা আর একটা ছোট ভাই ওরা বাড়িতেই আছে ওদের প্রটেক্ট এর জন্য স্তব্ধের কিছু গার্ড ঐবাড়িতে তাদের সাথেই থাকে। তাদের কাউকে ঐ বাড়ি ছাড়তেই দেখা যায়নি! ওরা ইতালি গিয়ে ডিল ফাইনাল করবে সম্ভবই না। স্যার অন্য কেউ আছে যে এই কাজ সম্পূর্ণ করেছে। কিন্তু কে সেটা আমরা ধরতে পারছিনা! ”

ডেনিয়ালের কিছুক্ষণ আগের ঠান্ডা মাথা গরম হয়ে গেলো! এগুলো কি শুনছে ও? যার জন্য কিয়াশাকে মারলো! যেই ডিলের জন্য ও নিজে পর্যন্ত বাংলাদেশ গেলো। এতসব ঠিক করে এলো ওখানে। বাবার আগেই প্ল্যান করলো স্তব্ধকে কিভাবে শেষ করবে। টিয়াকে জব্দ করে রাখা হলো। এতকিছু করেও ও ইতালির সাথে ডিল ফাইনাল করা আটকাতে পারলোনা। ডেনিয়াল গ্লোবাল এই সামান্য কাজটা পারলোনা? ভেবেই ওর সব শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে! রাগে ওর শরীর কাঁপছে! চোখ দিয়ে যেন ফুলকি বের হচ্ছে! হুট করেই ডেনিয়ালের মাথায় কিছু একটা এলো। জ্যাকের দিকে তাকিয়ে ও বলল,
–” তুমি শিওর তো জ্যাক সেদিন এক্সিডেন্টে কিয়াশার স্পট ড্যাড হয়েছিলো? ”

জ্যাক মাথা দুলালো বলল,
–” স্যার আমি নিজে ওর প্লাস চেক করেছিলাম।”

সন্দেহ চোখে দেখতে লাগলো ডেনিয়াল জ্যাককে! বলল,
–” তুমি আমার সাথে মিথ্যে বলছোনা তো জ্যাক?”

জ্যাক হকচকিয়ে গেল দ্রুত বলল,
–” তুমি যান আমি মিথ্যে বললে তুমি নিজেও হয়তো আরও আগেই ডিস্ট্রয় হয়ে যেতে!”

আর কিছু বলতে পারলোনা ও জ্যাককে! শান্ত কণ্ঠে বলল,
–” বাংলাদেশ যাওয়ার ব্যাবস্থা করো কালকের মধ্যে! ”

জ্যাক বিস্ময় ভরা চোখে তাকালো ডেনিয়ালের দিকে! জ্যাকের বিস্ময় লক্ষ্য করে ডেনিয়াল রাগ, বাঁকা হাসি মিশ্রিত থমথমে মুখে বলল,
–” আমি নিজ হাতে স্তব্ধের ফ্যামিলি ডিস্ট্রয় করতে চাই! আমি জানি ঐ কবির খান নিজে না করলেও কাউকে দিয়ে করিয়েছেন এই কাজ! তাই আগাগোড়া সাফাই করতে হবে জ্যাক! গো নাউ যত দ্রুত পারো ব্যাবস্থা করো! আউট!”

জ্যাক বেরিয়ে গেলো। ও লক্ষ্য করলো ডেনিয়ালের প্রতি ওর কঠিন মনে কেমন বিতৃষ্ণা, ক্ষোভ জমা হচ্ছে! ডেনিয়ালের জেদ সম্পর্কে ও সম্পূর্ণ অবগত! আজ ডেনিয়াল এত বড় ডিল হারানোতে যে ও চুপ থাকবেনা! সেটা জ্যাক জানতো! তবুও ওর মনে হচ্ছে ডেনিয়াল খুব খারাপ করছে! জ্যাকের খুব করে মন চাইছে টনির প্রস্তাবে রাজি হয়ে যেতে। অদ্ভুত এমন হওয়ার কথা নয়! ডেনিয়াল যে এত বছর অনেক ভালো ভালো কাজ করেছে তা নয়। আর ডেনিয়ালের সব খারাপ কাজের সাথে ও শুরু থেকে ছিলো৷ তবে আজ এতটুকুতে বিতৃষ্ণার কারণ কী!

জ্যাক এসব ভাবতে ভাবতে বাসা থেকে বেরুতেই দেখতে পেলো টনি মুচকি হেসে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! জ্যাক ভ্রু কুঁচকালো৷ টনির হাসির কারণ খুঁজতে লাগলো! তবে ওর খুজার আগেই টনি বলে উঠলো,
–“এবার আর তোমার স্যারকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা! ”

জ্যাক এর কুঁচকে থাকা ভ্রু আরো কুঁচকে গেলো! বলল,
–” মানে?”

টনি কিছু বলল না হাসলো শুধু! জ্যাক সন্দেহ চোখে তাকিয়ে অবাক কণ্ঠে বলল,
–” তুমি যেনে গেছো স্যার বাংলাদেশ যাচ্ছেন?”

টনির ঠোঁট আরও বাঁকালো হাসিতে! তারপর ওর হাতে থাকা চমৎকার ঘড়িটার দিকে তাকালো! টনির দৃষ্টি লক্ষ্য করে নিজের হাত ঘড়িটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতেই ওর টনক নড়ে উঠলো! ও বোকার মতো টনির দিকে তাকিয়ে রইলো! টনি হেসে গাড়ি নিয়ে চলে গেলো। মন ওর খুশিতে আটখানা তবে সতর্ক থাকতে হবে এন্ড সময়ে না আবার সব ডেনিয়ালের হাতে চলে যায় গেমটা! তবে ও শিওর জ্যাক ওর বিষয়ে ডেনিয়ালকে কোনও হেল্প করবেনা! কারণ দুটো ডেনিয়ালকে শেষ করতে ওর অবচেতন মন নিজে চায়। আবার ভয় পায় তাই পেরে উঠে না ওর অবচেতন মনের ভাবনা গুলো ওর সাথে। দুই নাম্বার কারণ ও নিজে জ্যাকের জীবন বাঁচিয়েছে ডেনিয়ালের থেকে যখন টিয়া পালিয়েছিলো ডেনিয়ালের থেকে। যদিও টনি নিজ স্বার্থে এটা করেছিলো। কেননা ওকে ডেনিয়াল এবং জ্যাকের চোখে ভালো হতেই হতো না হলে ও টিয়ার আশেপাশে থাকতে পারতোনা। তবুও জ্যাক নিজের জীবন ফিরে পাওয়ায় ওর কাছে কৃতজ্ঞতা বিনিময় বারবারই করে এসেছে। তাই ও নিশ্চিন্ত জ্যাককে নিয়ে! যাইহোক ওর এখন কিছু কাজ করতে হবে! ভেবেই ও ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিতে দিতে কাউকে ফোন লাগালো!

আস্ফি পিউকে ভোরে বাসায় ফিরিয়ে দিয়ে! সকাল ৯ টার দিকে বাসায় এসেছে! ভেতরে ঢুকতেই মুগ্ধ দৌড়ে এলো ওর কাছে। কিছুটা রেগেই বলল,
–” আস্ফি এভাবে ১ মাসের জন্য নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মানে কি!”

আস্ফির মুগ্ধের কথায় মনোযোগ নেই। ও ধীরে ধীরে নিজের রুমে যেয়ে বেডে বসলো! ওর পিছনে মুগ্ধ ও এলো। আস্ফি বিছানায় শরীর এলিয়ে বলল,
–” কি হয়েছে?”

মুগ্ধোর সোজা জবাব,
–” অনেক কিছু হয়েছে!”

আস্ফি এবার চোখ তুলে তাকালো! বলল,
–” কি এমন হয়েছে?”

–” কিয়াশার মেয়েটার জ্ঞান ফিরেছে!”

লাফ দিয়ে উঠে বসলো আস্ফি! মুগ্ধের চোখে চোখ রেখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো বিস্মিত হয়ে। তারপর হুট করেই ছুটে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। কিয়াশার রুমে হুরমুরিয়ে ঢুকলো সে। কবির পাশে বসে আছে। কিয়াশা বেডে হেলান দিয়ে বসে খুব ধীরে কিছু বলছে কবিরকে! ওকে এভাবে ঢুকতে দেখে কবির, কিয়াশা অবাক হলেও পরে কবির রেগে চাইলো ওর দিকে। আর কিয়াশা অপরিচিত কাউকে দেখে স্নিগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলো অবাক হয়ে! আস্ফি কাছে এগিয়ে গিয়ে কবিরকে সার্বিকভাবে জিজ্ঞেস করলো,
–” বাবা! ডক্টর কী বলেছে? এখন কেমন আছেন উনি?”

কবির গম্ভীরমুখে ছেলের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলেন,
–” পার্ফেক্টলি অল রাইট! তুমি মুগ্ধকে বলো ওর যাওয়ার ব্যাবস্থা করতে!”

আস্ফি প্রায় সাথে সাথেই বলল,
–” কোথাও যাবেনা উনি! এখানেই থাকতে হবে আরও কিছুদিন ইতালি উনার জন্য এখনো বিপদ! ভাইকে উনার বাবা উনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ভাই নিজেও কথা দিয়েছিলেন ভাই উনাকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায়। উনার বাবার কাছে পাঠাবেন। ভাই নেই তবুও আমি চাইনা ভাইয়ের দেওয়া কথা খেলাফ হোক। উনি সম্পূর্ণ বিপদ মুক্ত হলেও ইতালি ফিরবেন!”

বলেই কাউকে কিছু বলতে না দিয়ে আস্ফি যেভাবে এসেছিল সেভাবেই দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো। কিয়াশা অবাক হলেও প্রথমে! ওর ভালো লাগলো আস্ফির কথা বলার স্টাইল। ও চট করেই মনে মনে বলে ফেললো। ” পুরো স্তব্ধের কার্বন কপি তার ভাই! দেখতেও হ্যান্ডসাম! ” ওর ভাবনার মাঝেই কবির বিদায় নিলেন ওর কাছে!

বিকেলের দিকে আস্ফি বারান্দায় দাঁড়িয়ে স্মোক করছিলো। সিলেটি শহর। পাহাড়ি এলাকা! পাহাড়ের অদ্ভুত চমৎকার গন্ধে আস্ফি মাতোয়ারা। সেই সাথে সবুজের এলোমেলো আঁকিবুঁকির দিওয়ানা! ঠান্ডা বাতাস সর্বদা কই কই থেকে ছুঁটে এসে ওর বারান্দায় ক্ষনে ক্ষনে ঝাপটা দেয় যেন! যেন ফালি ফাকি শান্তি ওর রন্দ্রে রন্দ্রে মিশিয়ে দিয়ে যায়। এত শান্তি আস্ফি আর কোথাও পায়নি। ১ মাস পর এখানে আসতে পেরে এখানের মূল্যটা যেন হারে হারে টের পাচ্ছে! প্রকৃতির রূপে ঢুবে চোখ বুঝে স্মোক করারা ফলে কবিক যে কখন ওর পাশে এসে দাঁড়ালো সেটা আস্ফি বিন্দু মাত্র টের পেলো না। যখন গম্ভীর কণ্ঠে কবির জিজ্ঞেস করে উঠলো,
–” স্মোকিং কবে থেকে করো আস্ফি?”

তখন ওর হুস এলো দ্রুত ফিল্টার দূরে ফেলে দিলো। কিন্তু হকচকিয়ে যাওয়ার জন্য ওর ভীষণ কাশি উঠে গেলো। কিন্তু সেটাও ওর বাবার কথা থেমে গেলো!
–” কোথায় ছিলে ১ মাস? তোমার কি আমার চিন্তাও হয়নি একবার? ”

এবার শান্ত হয়ে এলো আস্ফি। মাথা নিচু করে বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে রইলো ও। কবির আবার বলল,
–” তুমি বলেছিলে স্তব্ধ ফিরে আসবে? তুমি কি কিছু লুকাচ্ছো আস্ফি আমার কাছে? স্তব্ধকি সত্যি নেই?”

আস্ফি চোয়াল শক্ত করে বলল,
–” জানিনা আমি! ”

কবির ওর দিকে তাকিয়ে রইলো কিছু ক্ষণ! বলল,
–” আমাদের এখান থেকে যেতে হবে আজ রাতেই। তুমি ছিলেনা মুগ্ধ সব এরেঞ্জমেন্ট করেছে! তৈরী হয়ে নাও!”

আস্ফি অবাক হয়ে বলল,
–” কেন এখানে থাকলে কি হবে?”

–” আমার ক্ষতি হতে পারে! ”

বলেই কবির দাঁড়ালো না! আস্ফি মনে মনে আফসোস করতে লাগলো ইশ এতো চমৎকার স্থান ছেড়ে যেতে হবে ওদের। কিন্তু ও ভবিষ্যতে এখানেই একটা ছোট ভালোবাসা তৈরী করবে। ফিরে আসবে ও এখানে খুব দ্রুত। ভেবেই রুমে চলে এলো আস্ফি। বেডে মুগ্ধ বসে আছে ও আস্ফিকে দেখেই প্রশ্ন ছুড়লো,
–” কাজ টাকি ঠিক করলি? একদিন না একদিন আংকেল জানতে পারবেন! ”

–” আর একটু শক্ত হয়েনিক বাবা বলে দিবো! ”

মুগ্ধ দীর্ঘশ্বাস ফেলল। সব পিপারেশন নিয়ে। রাতের অন্ধকারে যেভাবে এসেছিল এই সিলেট শহরে। সেভাবে রাতের অন্ধকারে সিলেট ত্যাগ করলো সবাই। সবার মন প্রচুর পরিমাণে খারাপ থাকলেও। কিয়াশার চোখে মুখে ছিলো বিস্ময়। পাহাড়ি এলাকা দেখে ওর চোখে মুখে ছিলো একরাশ মুগ্ধতা!

আমেরিকায় এখন সকাল ১২ টা। টিয়া কোনও জায়গায় স্থির হতে পারছেনা! রাতে মাথা ঘুরানো এক পর্যায়ে ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ফলে এক সময় ঘুমিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠে ওর আর সময় ফুরাচ্ছেনা। ওর ভিতর পৃথিবী সমান উত্তেজনা। সত্যি ও বাংলাদেশ ফিরবে এখনো সেটা বিশ্বাস হচ্ছেনা! বিশ্বাস হলেও সময়টা আসছেনা কখনও ও যাওয়ার জন্য রওনা হবে! নিজের মাটিতে পা রাখবে। ফ্যামিলির সাথে দেখা হবে! ফ্যামিলির কথা মাথায় আসতেই নতুন চিন্তার ডালাপালা গজায় মাথায়। ডেনিয়াল ওর ফ্যামিলির সাথে দেখা করতে দিবে তো? টিয়া আর ভাবতে পারছেনা! কখন শেষ হবে এই আনন্দ, শংকা মিশ্র অনুভূতির যন্ত্রণার সময় টুকু?

রাত যখন ৮টা তখন ডেনিয়াল তৈরী হয়ে টিয়া রুমে আসে। ডেনিয়ালের আদেশে টিয়ার মাত্রই তৈরী হয়ে অপেক্ষা করছিল ডেনিয়ালের পরবর্তী আদেশের এ ছাড়া আর কিছুই করার নেই ওর! ডেনিয়ালকে দেখেই ও বেড থেকে উঠে দাঁড়ালো! ডেনিয়াল ওর দিকে কিছু সময় তাকিয়ে রইলো। তারপর ওর হাত ধরে নিয়ে বেরিয়ে গেলো। টিয়া হাফ ছেড়ে বাঁচলো। ওর বুক প্রচন্ড পরিমাণে ধুকপুক ধুকপুক করছে! ডেনিয়ালকেও সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগছে আজ কেমন যেন বিদ্ধস্ত!

ওরা বাইরে আসতেই টিয়া দেখলো জ্যাক, টনি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। টনির দিকে চোখ পরতেই টনি চোখে ইশারায় ধাতস্থ করলো! টিনা কিছুটা শান্ত হাওয়ায় চেষ্টা করলো! আর তারপর পরি ও ফিল করলো। ওর ঘাড়ে কেউ কিছু পুশ করেছে। কে করেছে কি করেছে বুঝার আগেই ও ঢলে পরলো ডেনিয়ালের বুকে! ব্যাস্ত ওর অশান্ত মন মূহুর্তেই শান্ত হয়ে গেলো!
🍁

🍁

🍁

যখন টিয়ার জ্ঞান ফিরলো ওর মনে হলো ওর দমবন্ধ হয়ে আসছে! ও শ্বাস নেওয়ার জন্য ঠোঁট দুটো খুলতে পারছেনা। কেউ ওর ঠোঁট চেপে ধরে আছে। হুট করে জ্ঞান ফিরতেই ওর ব্রেন দ্রুত কাজ করতে পারলোনা। ও বুঝলোনা কেউ ওকে আবেশে পাগলের মতো কিস করে যাচ্ছে…..!

চলবে!

[শেষ হয়ে যাবে আর বেশি নেই বাকি! আর হ্যাঁ 33 নাম্বার পর্বে কিয়াশা নাম টা কিয়াশ লিখে ফেলেছিলাম। তাই গুলিয়ে ফেলবেন না। ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেনা আমি একবারে লিখি পরে আর চেক করিনা!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here