#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 42
[ কালকে একটু লজ্জা দিবো লজ্জা নিবো 🐼 আর প্লিজ আপনার প্লিজ কমেন্ট করবেন যারা পরবেন। কমেন্ট সবাই না করলেও একটু রিআ্যক্ট করার চেষ্টা করবেন। নাহলে গল্প সবার ফিডে পৌঁছায় না! আর আমি উৎসাহ হারিয়ে ফেলি লিখার। আর হ্যাঁ গল্প একদিন পর পর আবার দিবো এখোন থেকে ধন্যবাদ ]
ডেনিয়ালকে আজ প্রায় ২ সাপ্তাহ পর পানি পান করতে দেওয়া হয়েছে! এই ২ সাপ্তাহ পর্যাপ্ত খাবার ওকে দেওয়া হলেও কোনও প্রকার পানি পান করতে তাকে দেওয়া হয়নি। সুঠাম দেহ অনেকটা নেতিয়ে পরলেও সুন্দর মুখশ্রীতে তার ছাপ বুঝা যায় না! তবে কিছু রক্তাক্ত আঘাতের জায়গা শুকিয়ে কালসিটে দাগ ফেলেছে সুন্দর সুঠাম দেহ খানায়।
টনি অনেক চেষ্টা করেও কেন যেন ডেনিয়ালের উপর হাত তুলতে পারেনি। যতবারই হাত তুলতে গিয়েছে মনে হয়েছে ডেনিয়ালের হাতের প্রয়োজন নেই ওকে শেষ করতে ডেনিয়াল তীক্ষ্ণ চোখ জোরাই যথেষ্ট! তবে স্তব্ধ একমাত্র ব্যাক্তি হয়ত যে ডেনিয়ালের কিছুকেই ভয় করেনি টানা ৭দিন ওকে জ্ঞান ফিরতে দেয়নি এভাবে টর্চার করেছে স্তব্ধ। সেই টর্চারের দাগ ডেনিয়ালের শরীরে এখনও দগদগে। তবে ডেনিয়ালকে স্তব্ধ যখন মারছিলো তখন একটা প্রশ্নও স্তব্ধ ওকে করেনি। তবে টনি বুঝেছে টিয়াকে টর্চার করার ফলস্বরূপ ছিলো স্তব্ধের ভয়ানক আঘাত গুলো ডেনিয়ালের উপর। ডেনিয়াল টর্চারের এক পর্যায়ে কাতরাতে কাতরাতে একটু পানি চাইছিলো। স্তব্ধ চিৎকার করে পানি দিতে মানা করে দিয়েছে ওর পার্মিশন ছাড়া। আজ স্তব্ধ ঢাকা এসে ওকে পানি দিতে জানিয়েছে টনিকে! তাই আজ পানি দেওয়া হয়েছে ওকে তবে। টনি ডেনিয়ালের সামনেও যায়নি!
স্তব্ধ সেদিন যাওয়ার সময় টনিকে বলেত গিয়েছে ডেনিয়ালকে দিয়ে নিজের মুখে সবটা বলাতে ওর কার্যসিদ্ধি কি ছিলো জানতে। কিন্তু টনি স্তব্ধকে কী করে বলবে ও একটা প্রশ্ন পর্যন্ত করতে পারেনি ডেনিয়ালকে? ওর বার-বার এটাই মনে হয়েছে ও ডেনিয়ালকে আটকিয়ে রাখা রুমটা আনলক করলেই ডেনিয়াল ওদের সবাইকে মেরে পালিয়ে যাবে! ভয়ে ঘাম ঝড়ছে চড়চড় করে মাথা বেয়ে! স্তব্ধ ঢাকা চলে এসেছে আজ নিশ্চয়ই কাল এসে জিজ্ঞেস করবে ওকে কি বলেছে ডেনিয়াল আর ও কাওয়ার্ডের মতো মাথা নিচু করে থাকবে। এদিকে ডেনিয়ালের ভয় অন্যদিকে স্তব্ধের ভয়! মধ্যে খানে ও ফেসে গেছে!
ও জ্যাককে কল লাগালো যদি কিছু একটা করা যায়। হারামখোর টা ওকে ফেলে বাংলাদেশ ঘুরেবেরাচ্ছে।
জ্যাক সিলেটের একটি রিসোর্টে আছে। এখানে আসার পর ও ডেনিয়ালের সামনে একটি বার ও যায়নি। আসলে জ্যাক ভুলেও ডেনিয়ালের সামনে পরতেই চায়না আর কারণ ও জানে এবার কোনও চান্স নেই। যেদিন ডেনিয়ালের সামনে যাবে ও সেদিনি ওর মৃত্যু। তবে জ্যাকের মন ফুরফুরে ডেনিয়ালের বর্তমান অবস্থা চিন্তা করে। জ্যাক জানে ডেনিয়াল এত সহজে হারবেনা। না ওকে কেউ সহজে মারতে পারবে! ডেনিয়াল এখান থেকে পালাবে। কারো ক্ষমতা নেই ওকে ধরে বেঁধে রাখার। তবে সাময়িক একটা শাস্তি হলেও জ্যাক ওকে দিতে চেয়েছে। টিয়াকে ডেনিয়াল থেকে কেরে নিক স্তব্ধ সেটাই ও চেয়েছিলো। এবং ওর উদ্দেশ্যে সফল হয়েছে। তাই স্তব্ধকে তো ওই বাঁচিয়েছিল! যদিও ধরা পরার মতো ঝুকিও ছিলো। তবে ডেনিয়াল ওকে বিশ্বাস করতো আর ওর বিশ্বাসই ওর কাল হয়ে দাঁড়িয়ে আজ। ব্যাপার টা একটু দুঃখ জনক হলেও। ব্যাপার টা মজারো বটের কাছে কেননা ডেনিয়ালের মতো মানুষ ও কাউকে বিশ্বাস করে। সেটা জ্যাকের ভাবনার বাহিরে ছিলো।
অনেক আয়েশের সাথেই ড্রিংকস করছিলো জ্যাক। ফোন বাজতেই কিছু বিরক্ত হয়। তবে টনির কল পেয়ে কিছুটা ধাতস্থ হয়ে ফোন রিসিভ করে গম্ভীর কণ্ঠে বলল,
–” তুমি বড্ড বিরক্ত করছো আমাকে! প্রেমে ট্রেমে পরে গেলে নাকি আমার?”
চিন্তিত মাথায় জ্যাকের কথা শুনে ভরখে গেলো টনি। পরমুহূর্তেই চেঁচিয়ে বলল,
–” আর ইউ কিডিং ওয়েথ মি?”
জ্যাক কাধ ঝাকিয়ে হেসে বলল,
–” ট্যাল মি হোয়াট দ্যা ম্যাটার ইজ?
টনি লজ্জিত হলো কোন মুখে বলবে ওর ডেনিয়ালকে ভয় পাচ্ছে? ও শুধু যায় ডেনিয়াল মরে যাক! টনি চুপ থাকতে দেখে জ্যাক কি বুঝলো জ্যাক সেটা বুঝা গেলো না। ও গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো,
–” ইউ সাউন্ড উয়ারিড? আর ইউ ওকে! ডেনিয়াল….
টনি ফোন কেটে দিলো। টনিকে অনেকবার ফোন দিয়েও আর পাওয়া গেলোনা তাকে জ্যাক একটু চিন্তায় পরে গেলো!
🍁
টিয়ারা ঢাকায় পৌঁছে সবাই যে যার মতো ফ্রেশ হতে রুমে চলে গেলো সকাল থেকে জার্নি করে ক্লান্ত সবাই! টিয়া ফ্রেশ হয়ে রুমে ঢুকেই ঘুরে ঘুরে রুমটা দেখতে লাগলো। ওরা আসবে বলে হয়তো সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে বেশ চকচক করছে সব। এইবাড়িটায় ও একটা রাতের জন্য ছিলো। সেটা একটা লাইফ টাইম বাজে স্মৃতি ওর। ইশ কী বিচ্ছিরি অনুভূতি আর তিক্ত অতীত। কিয়াশাকে এতদিনে একটু খারাপ লাগেনি ওর। কিন্তু আজ এই বাসায় ঢুকতেই কিয়াশাকে জরিয়ে ধরা অবস্থায় স্তব্ধ শুয়ে ছিলো দৃশ্য টা বারবার চোখে ভাসছে! যদিও এখন ও জানে সেটা ওকে দেখানোর জন্যেই ছিলো তবুও সেদিন ও খুব কষ্ট পেয়েছিলো। সেই কষ্টের অনুভূতি টা বড্ড তাজা আজো। কেননা দেখানো জিনিয় টা অভিনয় হলে ওর কষ্ট টাতো আর অভিনয় ছিলো না? দীর্ঘশ্বাস ফেলে ড্রেসিং এর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই স্তব্ধ ক্লান্ত শরীতে রুমে ঢুকে টিয়ার দিকে এক নজর তাকিয়ে দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকলো।
টিয়া মাথা নিচু করে রইলো পুরোটা সময়। ও স্তব্ধের সাথে কথা বলবেনা বলেই ঠিক করেছে। কত করে চাপাচাপি করলো আজকেই বাসায় পৌঁছে দিতে ওকে দিলো না কালকে নাকি নিয়ে যাবে। ভাই কাল আর আজকের মধ্যে তফাৎ টা কি? হ্যাঁ তফাৎ টা হচ্ছে গুণ্ডাটার ঘাড়ত্যাড়ামো। টিয়াও ঠিক করেছে ও আর কথাই বলবেনা। দেখবে তখন ঘাড়ত্যাড়ামোটা করে কার সাথে? স্তব্ধ কেন বুঝতে চাইছেনা ও জাস্ট পাগল হয়ে আছে কখন মা, বাবা আরাফকে একটাবার দেখবে! কিন্তু স্তব্ধ ওর জন্য কিছুই করছেনা! মেনে নিতেই কষ্ট হচ্ছে ওর!
স্তব্ধ ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার আগে নাক ফুলিয়ে টিয়া রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছে টিয়া স্তব্ধ যেন শুনতেই পাচ্ছিলোনা ওকে! টিয়া দ্রুত হাটতে লাগলো আস্ফির কাছে যেতে হবে। গুণ্ডাটার ভাইকেও একটা ধোলাই তো দিতেই হবে। কি করছেটা কি আস্ফি! ও কী ভুলে গেছে পিউকে পাগল আস্ফি নিযে করেছে! পিউ করেনি। হ্যাঁ পিউ আস্ফিকে বুঝায়নি ও কতটা ভালোবাসে ওকে। কিন্তু টিয়াতো জানে সব। ও মেনে নিতে পারছেনা আস্ফি এই ন্যাকামো রূপ কিয়াশার সাথে। টিয়ার ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে পিউ এসব দেখলে কি হতো। যেখানে ও নিজেই এসব মেনে নিতে পারছেনা!
যেতে যেতে নিচে এসে থামলো টিয়া। আস্ফির রুম ও চিনেনা তাই কোন রুমে আছে আস্ফি ও জানেনা। এদিক ওদিক তাকিয়ে ড্রইং রুমে যেতেই দেখলো। লোম্বাসম্বা বেশ সুদর্শন এক পুরুষ বসে আছে। স্তব্ধের বয়সেরই হবে। টিয়া আরেকটু এগিয়ে যেতেই অনেকটা থমকে দাঁড়িয়ে পরলো ও। এই ছেলেটাকে ও চিনে। কয়টা বছর ওকে ফলো করেছে ছেলেটা। রাস্তাঘাটে বাড়ির আশেপাশে সব জায়গায় যেখানেই ও যেতো সেখানেই দেখেছে ও ছেলেটাকে! আসলে সেখানে মুগ্ধ বসে আছে। টিয়ার এমন অদ্ভুত দৃষ্টি দেখে মুগ্ধ দাঁড়িয়ে পরলো। এদিকে টিয়া ভাবছে ছেলেটা এখানে কি করছে? স্তব্ধের পরিচিত কেউ ছেলেটা? তাহলেতো চট্রগ্রাম অদের সাথেই থাকতো! টিয়া ছেলেটা কিছু জিজ্ঞেস করবে। তখন পিছন থেকে স্তব্ধের গম্ভীর কণ্ঠে শুনতে পেলো,
–” টিয়া তুমি এখানে কি করছো। উপরে যাও তোমার রেস্ট প্রয়োজন! ”
টিয়া থেমে গেলো ক্রুদ্ধ চোখে স্তব্ধের দিকে একবার তাকিয়ে। মুগ্ধকেই জিজ্ঞেস করলো!
–” এই যে আস্ফিকে চিনো?”
মুগ্ধ স্তব্ধের দিকে একবার তাকিয়ে বলল,
–” হ্যাঁ ভাবী!”
ভাবী ডাক শুনে টিয়া থ হয়ে গেলো কিছুক্ষনের জন্য! পরমুহূর্তে ভাবলো ওর আরো কতকি জানার বাকি। স্তব্ধের ঠিক আরও কতগুলো ভাই আছে? ওর থ ভাব কাটলো মুগ্ধের কথায়। ছেলেটা ভদ্রতার সাথে বলল,
–” কিছু প্রয়োজন ভাবী!”
টিয়ার স্তব্ধের দিকে তাকিয়ে দেখলো ও ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে আছে। সেটা দেখে ওর আরো রাগ হলো। রেগেই বলল,
–” ভাবী ভাবী বন্ধ করো। আস্ফির রুম কোনটা সেটা বলো!”
মুগ্ধ বিনাবাক্য আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো। টিয়া স্তব্ধকে ভেংচি কেটে উপরে চলে গেলো! স্তব্ধের মুখ শীতল হয়ে এলো টিয়ার ভেংচি দেখে! মুগ্ধ স্তব্ধের দিকে এগিয়ে এসে বলল,
–” ভাই ভাবী মনে হয় আমাকে চিনে ফেলেছে! ”
স্তব্ধ কটমট চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
–” ফেইস ভাসিয়ে ফলো করে বেরালে যে কেউ তোকে চিনে ফেলবে। তোর ভাগ্য ভালো টিয়া ওর আসোল রূপ তোকে দেখায়নি!”
মুগ্ধ দ্রুত মাথায় হাত রাখলো আসলেই। ওর ভাবীর যা রাগ মাথা যে ফাটিয়ে দেয়নি ওর সেটাই ভাগ্য। টিয়াকে অসংখ্যবার ছেলেদের উপর হাত তুলতে দেখা গেছে মেয়েদের ডিস্টার্ব টিজ করতো বলে। সেখানে অবশ্য টিয়ার আড়ালেই স্তব্ধ ব্যাপার গুলো মিট করতো মুগ্ধদের দিয়ে। তাই টিয়া বেঁচে যেতো ওর কোনও সমস্যাই হতো না। মুগ্ধ স্তব্ধের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করলো যেমন বর তেমন পাত্নী দুটোর মধ্যেই মিল আছে অন্যায় সহ্য করতে পারেনা!
টিয়া আস্ফির রুমে নক না করেই ঢুকে গেলো। আস্ফি শুয়ে ছিলো দরজার ধারাম করে শব্দ হওয়ায় চমকে উঠে বসলো। টিয়াকে অগ্নিরূপে দরজার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই বুঝলো কেন এসেছে ও।
আস্ফি কি করে সবাইকে ম্যানেজ করবে বুঝলোনা। এখনো ত স্তব্ধ জানেনা কি চাইছে আস্ফি জানলে নিশ্চয়ই টিয়ার থেকে দীগুন রাগবে ওর সাথে। আর ও নিজেই মানে ভুলটা ওর!
কিন্তু ও কি করে ভুলে যাবে। স্তব্ধ ঠিক কতটা রিস্ক নিয়ে টিয়াকে ঢাকা নিয়ে এসেছে। শুধু মাত্র টিয়ার পরিবারের সাথে দেখা করাতে। আর এটাই হয়তো ওর শেষ দেখা ও হবে পারে টিয়ার পরিবারের সাথে টিয়ার। সেটা টিয়া নিজেও হয়তো জানে না!
ও পিউকে কিছুতেই এমন একটা লাইফ দিতে চায়না যেখানে সেক্রিফাইজ ছাড়া কিছুই নেই। পিউ ওর বাবা মার এক মাত্র মেয়ে তারাইবা পিউকে ছাড়া কি করে বাঁচবে! আস্ফির শ্বাসটাই আটকে এলো। চোখ মুখ লাল হয়ে গেলো। টিয়া বেডে ওর পাশে বসলো। পাশে আস্ফি মাথা নিচু করে বসে রইলো টু শব্দ টুকু করলো না। টিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
–” কেন এমন করছিস আস্ফি? তোর কি পিউয়ের সাথে আবার ঝগড়া হয়েছে? প্লিজ আমাকে খুলে বল!”
আস্ফি কি খুলে বলবে টিয়াকে বুঝে পেলো না। সব খুলে বললে টিয়া কষ্ট পাবে। টিয়া হয়তো ভাবছে ওর লাইফ নরমাল হয়ে গিয়েছে কিন্তু ব্যাপার টা মোটেও তেমন নয়। টিয়াতো জানে ওর লাইফে জট বেঁধে ছিলো। কিন্তু সেটাযে কখনও খোলার নয় সেটা হয়তো মেয়েটা এখনও বুঝতে পারেনি!
আস্ফি হতাশার নিশ্বাস ফেলে বলল,
–” তেমন কিছু নয় আমি পিউয়ের সাথে দেখা করে নিবো কাল! তুই চিন্তা করিস না!”
টিয়াধাতস্থ হয়ে বলল,
–” সত্যি?”
আস্ফি অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,
–” হ্যাঁ তুই যা রেস্ট কর!”
টিয়া বেরিয়ে গেলো। আস্ফি ধপ করে শুয়ে ফোনটা হাতে নিলো
বহুদিন পর পিউয়ের নাম্বারে ছোট্ট করে একটা ম্যাসেজ পাঠালো!
ভার্সিটির এক কোণায় পিউদের ডিপার্টমেন্ট এর বিশ পঁচিশ জন মিলে আড্ডা দিচ্ছে সবাই।আড্ডার এক পর্যায়ে দুজন গিটার বাজিয়ে গান ধরলো। সবাই তাদের সাথে তাল মিলালো। এটা আসলে অদের লাস্ট আড্ডার আসোর। কিছু দিন পরেই ফাইনাল এক্সাম। তাই আজ সবাই একসাথে হয়েছে বন্ধুরা মিলে সারাদিন কেম্পাসে কাটাবে বলেই ঠিক করেছে। এটা যেন এক্সামের প্যারা কম চিল করার মেডিসিন অদের জন্য। পিউ সবার কথায় আজ বহুদিন পর ভার্সিটি এলেও। আড্ডার এক কোণায় বসে আছে ও!
আজ মনে হচ্ছে টিয়াকে ছাড়া কিছুই করতে ওর ভালো লাগেনা। বেস্ট ফ্রেন্ড বোধহয় এটাকেই বলে। কিন্তু মেয়েটা দেশে ফিরে এলেও ওর সাথে একবার দেখা করলোনা! সবাইকে নিয়ে বিজি হয়ে গেছে নিশ্চয়ই আর সেই চাপে ওকে ভুলে বসেছে কিন্তু ও কেন ভুলতে পারছেনা কাউকে! বুকফুলিয়ে শ্বাস নিতেই। ম্যাসেজ বাজলো টুং করে। পিউয়ের দেখার রুচি হলো না। সবার সাথে সুর ধরলো!
চলবে!