উত্তরণ পর্ব-৪

0
1017

#উত্তরণ
পর্ব_৪

উজান যখন বেরিয়ে আসে তখন পার্টি প্রায় শেষের মুখে. লিফ্ট করে গ্রাউন্ড ফ্লোরে নেমে রিসেপশনের সামনে দিয়ে বেরিয়ে আসে. ওর জাগুয়ার টা ও সামনের ওপেন পার্কিং এই পার্ক করেছে. এগিয়ে যায় ওর প্রিয় গাড়িটার দিকে. একটা ভালোবাসা আছে গাড়িটার প্রতি, যেখানে যায় সেখানে আগেই গাড়িটা পাঠিয়ে দেয়. ঘন্টার পর ঘন্টা ও ওর জাগুয়ারের সাথে কাটাতে পারে. গাড়িটা শুধু ওর বন্ধু নয়, রক্ষকও বটে.

গাড়ির দরজা খুলতে গেলে হঠাৎই কিছু টুকরো টুকরো কথা ওর কানে আসে. একটু এদিক ওদিক তাকাতেই দেখতে পায় হিয়াকে, সাথে সেই মহিলা পাইলট.

মহিলা: তু আকেলে মত যা, ম্যায় ছোড় দেতি হুঁ. আগর তেরি বাঁতে সাচ নিকলী ফির তু বহত বড়ী মুসিব্বত মে হে.

পার্কিং এর আবছা আলোয় হিয়ার এক্সপ্রেশন দেখতে পায়না উজান.

হিয়া: না রে আমি একাই যেতে পারবো. আর সত্যিই যদি বিপদ ওঁৎ পেতে থাকে তাহলে তুইও অকারণে বিপদের মধ্যে জড়িয়ে যাবি আর আমি সেটা হতে দিতে পারিনা.

মহিলা: আমরা দুজন থাকলে একটা রাস্তা ঠিক বেরিয়ে আসবে. তোকে একা কোনোভাবেই ছাড়তে পারবোনা. You are my best friend Hiya.

হিয়া: দেখ আমার কেও নেই, আমার থাকা না থাকায় কারোর কিছু এসে যাবেনা. কিন্তু আন্টির কি হবে ভেবে দেখেছিস যদি তোর কিছু হয়?

মহিলা: আরে মম তো পাতিয়ালা তে থাকে. তু চিন্তা মত্ কর মম কো লে কর.

দুজনের কথার মাঝেই উজান এগিয়ে আসে. ওর গলা খাকরানির শব্দে ওরা চমকে ওঠে.

উজান: Any problem?

হিয়া: ওহ ক্যাপ্টেন আপনি? না না সেরকম কিছু না. আলাপ করিয়ে দি, উনি হলেন ক্যাপ্টেন উজান চ্যাটার্জী, আজই জয়েন করেছেন. আর ও হলো ফার্স্ট অফিসার সোনাল কৌর আমরা একসাথেই জয়েন করি.

সোনাল এতক্ষন হাঁ করে তাকিয়ে ছিল উজানের দিকে. একটু দেরিতে পার্টিতে এসেছিলো বলে ফর্মাল আলাপ টা হয়নি উজানের সাথে. এবার হিয়ার একটা গুঁতো খেয়ে হুঁশ ফেরে. দুজনেই “হ্যালো” বলে একে অপরকে.

উজান বোঝে হিয়াকে কিছু জিজ্ঞাসা করে লাভ নেই, হিয়া ওকে কিছুই বলবেনা. তাই সোনালকেই বলে۔۔۔

উজান: You can share with me. Probably I can resolve the issue.

সোনাল: Sir Hiya needs to be dropped today but she is denying. She hasnt brought her car…..

উজান: আমি ড্রপ করে দিচ্ছি

হিয়া: Thank you so much sir. আমি একাই যেতে পারবো.

হিয়ার প্রত্যাখ্যান উজানের কেন জানিনা ভালো লাগেনা. সে এবার কড়া গলায় হিয়াকে বলে۔۔

উজান: Get into the car fast Miss Mitra…I’m not in a mood for any arguments right now.

বলেই উজান হাঁটা লাগায় তার গাড়ির দিকে. হঠাৎ উজানের এই রকম ব্যবহারে ওরা দুজনেই কিছুক্ষনের জন্য হতবাক হয়ে যায়. ঘোর কাটে গাড়ির হর্নের আওয়াজে.

সোনাল কৌতুকের সুরে বলে: গাড়ি আর গাড়ির মালিক۔۔۔۔দোনো হি মস্ত হ্যায়۔۔۔۔সম্ভাল কর রেহানা দোস্ত.

হিয়া রেগে বলে: সব তোর জন্য

সোনাল: হুম۔۔۔দেখিস একদিন আমাকে হয়তো আজকের জন্য থ্যাংকস দিবি.

উজান: মিস মিত্র, বন্ধুকে তাড়াতাড়ি গুড নাইট বলে আসুন. আমার হাতে সারা রাত নেই আপনার জন্য.

উজানের ব্যবহারে হিয়া খানিকটা বিরক্ত হলেও কিছু বলেনা. ও সোনালকে বাই বলে গাড়িতে গিয়ে বসে. উজান গাড়ি স্টার্ট দেয়. হিয়া বিরক্ত মুখে বাইরের দিকে চেয়ে থাকে. উজান একবার আড়চোখে হিয়াকে দেখে নেয়. পাঁচতারা হোটেল থেকে বেরিয়ে ইএম বাইপাস ধরে উজানের গাড়ি হু হু করে ছুটে চলে হিয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে….

দেখা যাক দুটো অচেনা মানুষের হঠাৎ একসাথে পথচলা কেমন হয়!!

NB:#উত্তরণ একদম ভিন্নধর্মী গল্প।ছকভাঙ্গা কাহিনি।এই ছকভাঙ্গা কাহিনি আপনাদের কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আর #ভালোবাসার_নীড় কাল সকালে যথা সময়ে পেজে ল্যান্ড করবে😁😁😁😁।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here